Friday, September 20, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

kaziranga

Wild Animals Died: বন্যার জলে ভাসছে কাজিরাঙা! মৃত্যু শয়ে শয়ে পশুর


নিউজ ডেস্ক: বন্যায় (Assam Flood) বিপর্যস্ত অসম। ভাসছে কাজিরাঙা ন্যাশনাল পার্ক। কাজিরাঙার একটা বড় অংশই এখন জলমগ্ন। ডুবেছে ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশও। ইতিমধ্যেই গন্ডার, বুনো মহিষ, বিভিন্ন প্রজাতির হরিণ-সহ অন্তত ২০০ বন্যপ্রাণীর মৃত্যু (Wild Animals Died) হয়েছে বলে সরকারি সূত্রের খবর। তাদের মধ্যে অন্তত ১০টি একশৃঙ্গ গন্ডার রয়েছে।

সোমবার বনদফতর একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, বন্যায় (Assam Flood) ১৯৮টি বন্যপ্রাণীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১০টি একশৃঙ্গ গণ্ডার, ১৭৯টি বিলুপ্তপ্রায় প্যারা হরিণ, বারশিঙ্গা হরিণ, একটি ম্যাকাও, দুটি অন্য প্রজাতির পাখি, একটি পেঁচা এবং ২টি সাম্বর হরিণ। তবে জানা গিয়েছে, ২টি বরা হরিণের মৃত্যু জলে ডুবে হয়নি। বন্যার কবল থেকে বাঁচার জন্য জঙ্গলঘেঁষা জাতীয় সড়ক পার হওয়ার সময় গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে। প্রতি বারই এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় উদ্যানের বন্যাপ্লাবিত অঞ্চল থেকে কার্বি পাহাড় পাড়ি দেয় বন্যপ্রাণীরা। তাদের অনেকে জাতীয় সড়কে গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ হারায়। অন্যদিকে বন্যপ্রাণীদের উদ্ধারে অসমের বিভিন্ন বন্যপ্রাণপ্রেমী সংস্থার স্বেচ্ছাসেবকেরা ইতিমধ্যেই হাজির হয়েছেন কাজিরাঙায়।

১৯৮টি বন্যপ্রাণীর মৃত্যুর পাশাপাশি ঘরছাড়া বহু পশু। প্রতি বছরই নিয়ম করে বন্যায় ওলটপালট হয়ে যায় অসমের কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের ‘জীবনচক্র’। এ বারের বর্ষাতেও তার ব্যতিক্রম হল না। দুকূল ছাপিয়ে চলে আসা ব্রহ্মপুত্রের জলে ডুবেছে জঙ্গলের বিস্তীর্ণ এলাকা। কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান ও ব্যাঘ্রপ্রকল্প কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, গত দুদিনে বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে। তবে বনকর্মীদের ৪৬টি ক্যাম্প এখনও জলের তলায়। ১৩০০ বর্গ কিলোমিটারের কাজিরাঙা বিশ্বে একশৃঙ্গ গন্ডারের সবচেয়ে বড় আবাসভূমি। সংখ্যায় তারা আড়াই হাজারেরও বেশি। সেই সঙ্গে ১৩৫টি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারও রয়েছে অসমের এই অরণ্যে। বন্যায় তাদের অনেকেই ঘরছাড়া।

অন্যদিকে বন্যার (Assam Flood) ফলে ব্রহ্মপুত্রের পাশাপাশি রাজ্যের একাধিক নদীতে বাড়ছে জলস্তর। এর ফলে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে একাধিক এলাকা। বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে কাছাড়ের বরাক নদী। সব মিলিয়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসমের ২৯টি জেলা।

Sweta Chakrabory | 10:56 AM, Thu Jul 18, 2024

Kaziranga: বন্যায় ভাসছে কাজিরাঙা, ডাঙার খোঁজে বন্যপ্রাণীরা

নিউজ ডেস্ক: বন্যার জেরে অসমের পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্রের জলে ভেসেছে অসমের বহু এলাকা, কাজিরাঙা অভয়ারণ্যের বহু অংশও জলে ভাসতে শুরু করেছে। কাজিরাঙা অভয়ারণ্য থেকে ইতিমধ্যেই বহু পশু–পাখি উদ্ধার করেছেন বন কর্মীরা। এদিকে বৃহস্পতিবার সেই কাজিরাঙা অভয়ারণ্য থেকে বেরিয়ে জাতীয় সড়ক পার করতে দেখা যায় হাতির একটি দলকে। যেখানে বড় থেকে ছোট সব ধরনের হাতিই দেখা যায়। উল্লেখ্য, কাজিরাঙা অভয়ারণ্যে ১৭টি প্রাণী ডুবে মারা গিয়েছে, ৭২টি প্রাণীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, অসমের ২৯টি জেলার ১৬ লক্ষেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। অসমজুড়ে ৩৯ হাজার ৪০০ হেক্টরেরও বেশি জমির ফসল বন্যার জেরে নষ্ট হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র, বরাক ও বুড়িডিহিং নদীর জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০০টি সড়ক, ১১টি বাঁধ ও ১৪টি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যেই অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলাস্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন। বন্যা দুর্গতদের তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

Pankaj Kumar Biswas | 19:41 PM, Thu Jul 04, 2024

PM Modi In Kaziranga: শিলিগুড়ির সভার আগে হাতির পিঠে জঙ্গল সাফারি প্রধানমন্ত্রীর

নিউজ ডেস্ক: শনিবার উত্তরবঙ্গে চতুর্থ দফার জনসভা করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর আগে অসমে তাঁর কর্মসূচি রয়েছে। সেই সবের আগে শনিবার ভোরে কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানে হাতি পিঠে চেপে সাফারি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী প্রথমে কোহোরা রেঞ্জের মিহিমুখ এলাকায় হাতির পিঠে চড়েন। এরপরে সেই রেঞ্জেই জিপে করে জঙ্গল সাফারি করেন মোদী।

শনিবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় রাজ্য পুলিশের অতিথিশালা থেকে কহরা রেঞ্জের মিহিমুখের উদ্দেশ্যে রওনা হন প্ৰধানমন্ত্ৰী। সেখানে পৌঁছন ঠিক ভোর ৫:৪৫টায়। এরপর ‘লখিমি’, ‘প্ৰদ্যুম্ন’নামে দুটি হাতিকে আখ খাইয়েছেন। এর পর ‘প্ৰদ্যুম্ন’ নামের সবচেয়ে বলিষ্ঠ ও প্রশিক্ষিত হাতির পিঠে চড়ে ঘুরে ঘুরে উপভোগ করেন কাজিরঙার মনোরম দৃশ্য। এরই সঙ্গে প্রস্তুত ছিল আরও ১২টি হাতি। এগুলির পিঠে চড়েন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় নিয়োজিত এসপিজির কর্মকর্তারা।

এরপর মিহিমুখ থেকে ডাফলাং টাওয়ার পর্যন্ত জিপসি সাফারি করেছেন তিনি। ৮:২০ মিনিট পর্যন্ত আড়াই ঘণ্টার বেশি সময় কাজিরঙার কহরা রেঞ্জে পরিভ্রমণ করেছেন প্ৰধানমন্ত্ৰী। তিনি ‘বিগ ফাইভ’-এর মধ্যে এক শৃঙ্গের গণ্ডার, হাতি, সম্বর হরিণ, মোষের বিচরণ দেখে অভিভূত হয়ে পড়েন। তবে ‘বিগ ফাইভ’-এর মধ্যে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার দর্শনের সৌভাগ্য হয়নি প্ৰধানমন্ত্ৰীর।

প্রসঙ্গত, জঙ্গল সাফারির সময় প্রধানমন্ত্রী মহিলা বন সুরক্ষা কর্মী ‘বন দুর্গা’দের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। তাঁদের সঙ্গে মতবিনিময় করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'মহিলা বনরক্ষী দল যাঁরা সামনে থেকে আমাদের বন এবং বন্যপ্রাণী রক্ষা করছেন, প্রাকৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় তাঁদের নিষ্ঠা ও সাহস সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক।'

উল্লেখ্য এই সাফারির সময়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গী ছিলেন উদ্যানের ডিরেক্টর সোনালী ঘোষ ও বন দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্তারা। জানা যায়, এই প্রথম কাজিরাঙা সফরে এসেছেন মোদী। এর আগে শুক্রবার তেজপুর বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে পানবাড়ি হেলিপ্যাডে পৌঁছেছিলেন মোদী। এরপর সেখান থেকেই গত সন্ধ্যায় কাজিরাঙায় পৌঁছেছিলেন তিনি। সেখানে কোহরা রেঞ্জের অতিথিশালায় রাত কাটিয়ে শনিবার ভোরে সাফারিতে যান প্রধানমন্ত্রী।

Sweta Chakrabory | 12:22 PM, Sat Mar 09, 2024
upload
upload