Friday, September 20, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

kerala

Kerala Congress leader arrested: বিনিয়োগে জালিয়াতি মামলায় পুলিশের জালে কেরলের কংগ্রেস নেতা

নিউজ ডেস্ক: ১৭ কোটি টাকার বিনিয়োগ জালিয়াতির তদন্তে এবার কেপিসিসি সেক্রেটারি সিএস শ্রীনিবাসনকে (CS Srinivasan) গ্রেফতার করল কেরল পুলিশ। আগেই এই বিনিয়োগ জালিয়াতির মামলায় নাম জড়িয়েছিল কেরলের কংগ্রেস নেতা সিএস শ্রীনিবাসনের। আর এবার ১৩ অগাস্ট মঙ্গলবার কালাডি থেকে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন তিনি। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, শ্রীনিবাসন আগাম জামিনের আবেদন দাখিল করার পরে আত্মগোপন করে ছিলেন, কিন্তু কালাডি থেকে জেলা কাইম ব্রাঞ্চ তাঁকে গ্রেফতার (Kerala Congress leader arrested) করে।

শ্রীনিবাসন (CS Srinivasan) ত্রিশুর কর্পোরেশনের স্থায়ী কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান। এছাড়াও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ছিলেন, যে প্রতিষ্ঠানেই বিনিয়োগ জালিয়াতির মামলায় নাম জড়িয়েছে তাঁর। জানা গিয়েছে, ত্রিশুরের পুনকুনমের সদর দফতরে আর্থিক সংস্থায় বিনিয়োগ করেছিলেন বিনিয়োগকারীরা। তবে অভিযোগে বিনিয়োগকারীরা বলেছেন যে হেওয়ান নিধি লিমিটেড এবং হিওয়ান ফাইন্যান্সে তাদের মোটা অঙ্কের টাকা জমা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পাঁচ বছরে টাকা দ্বিগুণ হওয়ার প্রলোভন দেওয়া হয়েছিল। তাদের মতে, কোম্পানি তাদের টাকা ফেরত না দেওয়ায় প্রায় ১৭ কোটি টাকার জালিয়াতি করেছে।   তাদের আরও অভিযোগ, কংগ্রেস নেতা সিএস শ্রীনিবাসন (CS Srinivasan) এবং সুন্দর মেননের রাজনৈতিক ও সামাজিক সম্পৃক্ততার উপর আস্থা রেখেই হিওয়ান ফাইন্যান্স এবং হিওয়ান নিধি কোম্পানিতে লক্ষ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন তাঁরা। তবে এখন কোম্পানি মূল অর্থ বা প্রতিশ্রুত সুদ ফেরত দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। শুধু ব্যর্থই নয়, বিনিয়োগকারীদের অর্থ ফেরত দিতেও অস্বীকার করেছে ওই প্রতিষ্ঠান। পুলিশের মতে, সংস্থাটি আরবিআই নির্দেশিকা লঙ্ঘন করে সমস্ত বিনিয়োগ সংগ্রহ করেছে।

এই মাসের শুরুতে, ৪ অগাস্ট, ত্রিশুর ক্রাইম ব্রাঞ্চ এই বিনিয়োগ জালিয়াতির মামলায় হিওয়ানের চেয়ারম্যান সুন্দর মেননকে গ্রেপ্তার করে। এই সংক্রান্ত মোট ১৮টি মামলা ইতিমধ্যেই নথিভুক্ত করেছে পুলিশ। প্রায় ৩০০ জন বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছেন। জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই পুলিশ হিওয়ান কোম্পানি এবং এর মালিকদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার পদক্ষেপ নেবে।

Sweta Chakrabory | 13:10 PM, Wed Aug 14, 2024

Indian Army: কোলে করে ওয়েনাড়ের দুর্গতদের উদ্ধার করছে সেনা জওয়ানেরা, প্রকাশ্যে ভিডিও


নিউজ ডেস্ক: দুদিন কেটে গেলেও এখনও স্বাভাবিক হয়নি ওয়েনাড়ের পরিস্থিতি। ভয়াবহ ভূমি ধসে (Wayanad Landslide) প্রাণহানি ক্রমশ বেড়েই চলেছে। কাদা ও বালির স্তূপ থেকে একের পর এক দেহ উদ্ধার হচ্ছে৷ তবে বৃষ্টি মাথায় নিয়েও প্রতিকূল পরিস্থিতিকে উপেক্ষা করে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন সেনা জওয়ানেরা (Indian Army)। এ বার দুর্গতদের উদ্ধার করতে মানবসেতু তৈরি করলেন তাঁরা। কোলে করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিলেন শিশুদের। 

কাদা আর বালির স্তূপ ঘেঁটে ঘেঁটে এখনও প্রাণের খোঁজ চালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। সম্প্রতি ওয়েনাড়ে (Wayanad Landslide) সেনাবাহিনীর উদ্ধারকাজের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানেই দেখা গিয়েছে, কী ভাবে হাতে হাত ধরে মানবসেতু তৈরি করেছেন জওয়ানেরা (Indian Army)। ওয়েনাড়ের চূড়ামালা গ্রামে মানবসেতু তৈরি করেছিলেন জওয়ানেরা। প্রবল স্রোতে বইছে নদী। তার উপরে দুদিকের স্থলভাগে দড়ি টাঙিয়ে কোনও রকমে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মানুষকে। মাঝে সেনা জওয়ানেরা দুহাত বিছিয়ে দড়ি ধরে সংযোগ রক্ষার চেষ্টা করছেন। শিশুদের কোলে তুলে নিরাপদ স্থানে তাঁদের পৌঁছে দিচ্ছেন জাওয়ানেরা। ১২ জন জওয়ান মিলে এই মানবসেতু তৈরি করেছিলেন ওই গ্রামে।

এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে (Wayanad Landslide) এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৫০-র গণ্ডি। ২০০ জনেরও বেশি আহত গ্রামবাসীকে উদ্ধার করেছে এনডিআরএফ৷ তাঁদের চিকিৎসাও শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই৷ এখনও পর্যন্ত ৩,০০০ জনেরও বেশি লোককে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিয়েছেন উদ্ধারকারীরা৷ উদ্ধারকাজে নামানো হচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনার হেলিকপ্টারও। যাঁরা বেঁচে গিয়েছেন, তাঁরা এখন ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই ইট, কাঠ বালি, কাদা সরিয়ে স্বজনদের খুঁজে বেড়াচ্ছেন। তবে এখনই শেষ হচ্ছেনা এলাকাবাসীর দুর্ভোগ (Wayanad Landslide)। আবহাওয়া দফতরের তরফে ওয়ানাড় এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে 'কমলা' সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ১ অগস্ট ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে এই সব স্থানে। আবহাওয়া দফতর আরও জানিয়েছে, ২ অগস্টও ওয়ানাড়ে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

Sweta Chakrabory | 11:49 AM, Thu Aug 01, 2024

Kerala: কেরলের ধস ঘুম ছুটিয়েছে! দুর্যোগ মাথায় নিয়ে এখনও অব্যাহত উদ্ধারকার্য


নিউজ ডেস্ক: কেরলের ওয়েনাড়ে ভূমিধসের (Wayanad landslides) ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫৩। এখনও আটকে বহু এবং নিখোঁজ প্রায় ৯৮জন। তবে ধসের পর থেকেই দুর্যোগ মাথায় নিয়ে চলছে উদ্ধারকাজ। কেরলের বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, যেখানে যেখানে ধস নেমেছে, সেখানে দমকল এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (NDRF) মোতায়েন করা হয়েছে। আরও একটি এনডিআরএফ টিমকে ওয়েনাড়ে পাঠানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত উদ্ধারকাজ চালিয়ে ১০০০ জন বাসিন্দাকে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। 

মঙ্গলবার ভোর ৩টে নাগাদ কেরলের (Kerala) ওয়েনাড় জেলার পাহাড়ি এলাকায় প্রথম ধস (Wayanad landslides) নামার খবর পাওয়া যায়। এরপর ভোর ৪টে ১০ মিনিটে আরও একটি জায়গায় ধস নামার খবর আসে। তবে বিপর্যস্ত ওয়েনাড়ের উপর থেকে এখনই বিপদ কাটছে না। মৌসম ভবন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ওয়েনাড় এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। ফলে উদ্ধারকাজে এই বৃষ্টি বাধা হতে পারে বলে মনে করছেন উদ্ধারকারীরা। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, ওয়েনাড়ের মেপ্পাড়ি এলাকায় ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত ১৫৩ জনের দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশুও রয়েছে। অন্যদিকে প্রায় শতাধিক মানুষকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশে ওয়েনাড়ে ত্রাণ ও উদ্ধারকার্যে নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জর্জ কুরিয়ান। জানা গিয়েছে, এই উদ্ধারকার্যে ভারতীয় নৌবাহিনীর ৩০ জন বিশেষজ্ঞ সাঁতারুদের একটি দল মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এয়ার ফোর্স স্টেশন সুলুর থেকে দুটি হেলিকপ্টারও পাঠানো হয়েছে এই উদ্ধারকার্যে। জানা গিয়েছে, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার মধ্যে রয়েছে চুরালপাড়া, ভেলারিমালা, মুন্ডকাইল এবং পোথুকালু। ধসের পর এইসমস্ত এলাকাগুলি থেকে সবরকম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মঙ্গলবার কেরলের (Kerala) মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে কথা বলেছেন। শাহ বিজয়নকে এই পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে সম্ভাব্য সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, নিখোঁজ ব্যাক্তিদের খোঁজে এখনও আত্মীয়-স্বজনরা মুন্ডকাইলে ধ্বংসপ্রাপ্ত কিছু বাড়ির সামনে অপেক্ষা করছেন এই আশায়, যে উদ্ধারকারী দল হয়তো কাউকে জীবিত খুঁজে পাবে। অন্যদিকে পুলিশ ইতিমধ্যেই পর্যটকদের ওয়েনাদে (Wayanad landslides) ভ্রমণ থেকে বিরত রেখেছে কারণ, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলির বেশিরভাগ রাস্তাই এখন উদ্ধারকার্যের জন্য যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছে।

Sweta Chakrabory | 12:01 PM, Wed Jul 31, 2024

Kerala: ভারী বৃষ্টির জেরে ধস নেমে বিপর্যয় কেরলে! চলছে উদ্ধারকাজ


নিউজ ডেস্ক: ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কেরল। ভোর ৩টে নাগাদ কেরলের (Kerala) ওয়েনাড় জেলার পাহাড়ি এলাকায় প্রথম ধস (Wayanad landslides) নামার খবর পাওয়া যায়। এরপর ভোর ৪টে ১০ মিনিটে আরও একটি জায়গায় ধস নামার খবর আসে। এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৪৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও বৃষ্টিতে ভূমিধসে আটকে প্রায় শতাধিক মানুষ। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। এনডিআরএফ-এর অতিরিক্ত দলকে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট সব দফতর এবং বিভাগকে উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে বৃষ্টির কারণে মাঝেমধ্যেই উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। 

গত কয়েক দিন ধরেই ভারী বর্ষণ হচ্ছে ওয়েনাড়ে। তবে মঙ্গলবার ভোরে বৃষ্টির জেরে ধস (Wayanad landslides) নামে ওয়েনাড়ে। ধসের খবর পেয়েই রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সঙ্গে উদ্ধারকাজে নামে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। মঙ্গলবার সকালে কেরলের রাজস্বমন্ত্রী কে রাজন জানিয়েছিলেন, আট জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে বেলা গড়ানোর সঙ্গে বাড়তে থাকতে নিহতদের সংখ্যা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী নিহতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৪৩-এ। এছাড়াও ধ্বংসস্তূপে আরও অনেকের চাপা পড়ে থাকার আশঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসন। ভারী বৃষ্টি এবং ধসের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওয়েনাড় জেলার মেপ্পাডি, মুন্ডাকাই এবং চুরাল মালা এবং নুলপুঝা।

বিপর্যয়ে আতকে পড়া মানুষদের জন্য জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করেছে। জরুরি সহায়তার জন্য চালু হয়েছে হেল্পলাইন নম্বরও। সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে তামিলনাড়ুর সুলুর থেকে বিমান বাহিনীর দুটি হেলিকপ্টার পাঠানো হয়। ভূমিধসে আহত ১৬ জনকে ওয়েনাডের মেপ্পাদির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও এই বিষয়ে নজর রাখছেন। তিনি বলেছেন, ওয়েনাড়ে ভূমিধসের (Wayanad landslides) পরে সমস্ত সম্ভাব্য উদ্ধার কাজ তৎপরতার সঙ্গে করা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে অর্থ সাহায্য দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে উল্লেখ্য, পরিস্থিতি যাতে আর খারাপ না হয় তার জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার ৫টি জেলায় রেড অ্যালার্ট জারি করেছে। যে জেলাগুলির জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে কাসারগোড, কন্নুর, ওয়েনাড়, কোঝিকোড় এবং মাল্লাপুরম। এসব জেলায় বাড়তি সতর্কতা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

Sweta Chakrabory | 15:47 PM, Tue Jul 30, 2024

Brain Eating Amoeba: কেরলে রহস্যজনকভাবে শিশুদের বাড়ছে মস্তিষ্কের সংক্রমণ! কীভাবে রুখবেন বিপদ? 


নিউজ ডেস্ক: ফের সংক্রমণের ভ্রুকুটি। মস্তিষ্কের সংক্রমণে (Brain Eating Amoeba) ফের শিশুমৃত্যুর ঘটনায় উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কেরলে একের পর এক শিশুমৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারলে, বিপদ বাড়বে।

কেরলে তিন শিশুর রহস্যজনকভাবে মস্তিষ্কের সংক্রমণ থেকে মৃত্যু হয়েছে। পাঁচ বছর বয়সি একটি মেয়ে এবং ১৩ বছর বয়সি আরেক কিশোরীর মৃত্যুর পরে, সম্প্রতি ১৪ বছর বয়সি আরেক কিশোর মারা যায়। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, মস্তিষ্কে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ (Brain Eating Amoeba) থেকেই এই মৃত্যু হচ্ছে। সংক্রমণের জেরে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তার জেরে শরীরের নানান অঙ্গের জটিলতা তৈরি হচ্ছে। সম্প্রতি ওই ১৪ বছরের কিশোর এই উপসর্গ নিয়েই কেরলের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট ওই হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানান, দ্রুত চিকিৎসা শুরু হয়েছিল। পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতিও হয়েছিল। কিন্তু তারপরে হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। আর তার জেরেই ছেলেটি মারা যায়। এর আগে আরও দুই শিশু এক ভাবে মারা যায়। আর তার জন্যই উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে, প্রত্যেক রাজ্যে এই নিয়ে সতর্কতা জারি করা জরুরি। শিশুরা এই সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। তাই মন্ত্রকের তরফ থেকে শিশুস্বাস্থ্যের দিকেও বাড়তি নজরদারি দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মস্তিষ্কের এই সংক্রমণ এক ধরনের অ্যামিবা থেকে হচ্ছে। তাঁরা আশঙ্কা করছেন, পুকুরের জল থেকেই এই সংক্রমণ হচ্ছে। পুকুর থেকেই ওই ব্যাকটেরিয়া নাকের মাধ্যমে মস্তিষ্কে প্রবেশ করছে। আর তার জেরেই বিপদ বাড়ছে। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমছে। আর হঠাৎ করেই প্রাণহানির মতো বিপদও ঘটছে।  চিকিৎসকদের পরামর্শ, শিশুদের বিশেষত পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের, আপাতত পুকুরের জলে (Pond Water) স্নান না করানোই ভালো। কারণ, এদের কতখানি সংক্রামক ক্ষমতা রয়েছে, সে বিষয়েও এখনও নিশ্চিত কিছু বোঝা যাচ্ছে না। তাই কয়েকটি বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া জরুরি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

১০ বছরের উর্ধ্বে শিশুদের পুকুরে (Pond Water) স্নানের ক্ষেত্রে ডুব দিয়ে নিঃশ্বাস নেওয়া এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, বহু কিশোর-কিশোরী খুব ভালো সাঁতার কাটতে পারে। তারা স্নানের সময় দীর্ঘক্ষণ পুকুরের ভিতরে ডুবসাঁতার দেয়। এই ধরনের ব্যাকটেরিয়া (Brain Eating Amoeba) সহজেই নাকের মাধ্যমে তখন মস্তিষ্কে পৌঁছতে পারে। আর তার থেকেই বড় বিপদ ঘটতে পারে। তাই আপাতত এই ধরনের কাজ থেকে আপাতত বন্ধ রাখা উচিত। সুইমিং পুলে নামার ক্ষেত্রে শিশুদের জন্য সতর্কতা জরুরি বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

Sweta Chakrabory | 09:53 AM, Wed Jul 10, 2024

Kerala: কেরলে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ব্রেন-খেকো অ্যামিবার সংক্রমণ, কীভাবে শরীরে বাসা বাঁধে এই এক কোষী প্রাণী?

নিউজ ডেস্ক: পুকুর বা নদীতে নেমে স্নান, এরপরেই শুরু হচ্ছে সংক্রমণ। শেষ পরিণতি হচ্ছে মৃত্যু! কেরলে (Kerala) দিন দিন বাড়ছে ব্রেন-খেকো অ্যামিবার সংক্রমণ (Brain Eating Amoeba)। গত ৪ জুলাই ১৪ বছরের এক কিশোরের মৃত্যুর কারণও ছিল ব্রেন-খেকো অ্যামিবার সংক্রমণ। এখন আরও এক কিশোর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ঠিক কী কারণে এই বিরল সংক্রমণ বাড়ছে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে এনিয়ে বাড়ছে আতঙ্ক। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, আক্রান্তদের প্রাথমিকভাবে দেওয়া হয়, অ্যামফোটেরিসিন বি, অ্যাজিথ্রোমাইসিন, ফ্লুকোনাজোল, রিফাম্পিন, মিল্টেফোসিন, ডেক্সামেথাসোন এই জাতীয় ওষুধ। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, সংক্রমণ (Brain Eating Amoeba) বেশি হয়ে গেলে রোগীর বাঁচার সম্ভাবনা খুব কমে আসে।    

মে মাস থেকে কেরলে আক্রান্ত  ৪, তারমধ্যে মৃত ৩ (Brain Eating Amoeba)

জানা গিয়েছে, গত মে মাস থেকে এখনও পর্যন্ত ৪জন এমন রোগে আক্রান্ত হয়েছে কেরলে (Kerala)। তাদের মধ্যে তিনজনেরই মৃত্যু হয়েছে। বেশিরভাগ রোগীর বয়সই ছিল ১৮ বছরের কম। বর্তমানে আরও এক ১৪ বছরের কিশোর সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। কিন্তু কেন আচমকা এই বিরল রোগের প্রকোপ বাড়ছে রাজ্যে তা বুঝে উঠতে পারছে না অনেকেই। তবে চিকিৎসক মহলের একটা বড় অংশের ধারণা, দূষিত জল থেকেই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।    

দূষিত জলে থাকে এই অ্যামিবা (Brain Eating Amoeba)

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সাধারণত দূষিত জলে থাকে এই অ্যামিবা। দেশের একাধিক নদী, পুকুরের জলে এই ধরনের অ্যামিবার খোঁজও মিলেছে। চিকিৎসকরা তাই পরামর্শ দিচ্ছেন, কোনও জায়গায় স্নান করতে নামার আগে সতর্ক হতেই হবে। স্নানের সময়ই অজান্তে অ্যামিবা মানবশরীরে প্রবেশ করে। নাক বা কানের ফুটো দিয়ে প্রবেশ করে অ্যামিবা। তারপর তা সোজা মস্তিষ্কে গিয়ে ব্রেনের অংশ খেতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, অ্যামিবা হল এককোষী প্রাণী। বিজ্ঞানের ভাষায় অ্যামিবা হল থার্মোফিলিক। উষ্ণ প্রস্রবণ বা গরম জলেই প্রাণীকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। অনুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে দেখা যায় অ্যামিবাকে (Brain Eating Amoeba)। ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ভাল থাকে এই অ্যামিবারা। সে জন্য হট ওয়াটার লেকে এদের দেখা মেলে অনেক বেশি।    

কেরলের পুকুর জলাশয়গুলি পরিষ্কারের কাজ চলছে

পরিস্থিতি এতটাই ভয়ের যে গত শুক্রবার এ নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। সূত্রের খবর ওই বৈঠকের পরেই তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, যে সমস্ত জায়গার পুকুর বা নদীর জল পরিষ্কার নয় সেখানে স্নান করা যাবেনা। পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদেরও এই নিয়ম মেনে চলতে হবে। বিধি নিষেধ না মানলে ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, রাজ্যের পুকুর বা জলাশয়গুলিকে দ্রুত পরিষ্কার করার কথাও বলা হয়েছে ওই বৈঠকে। একই সঙ্গে তিনি বিভিন্ন সুইমিং পুলের জলের দিকেও পর্যাপ্ত নজর দিতে বলেছেন।

Pankaj Kumar Biswas | 17:44 PM, Sun Jul 07, 2024

Kerala: কেরলে সরকারী চাকরিতে বাড়ছে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা

নিউজ ডেস্ক: কেরলে ৩১.৫% চাকরি রয়েছে মুসলিম ও খ্রিষ্টানদের হাতে। বিধানসভায় সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাজ্যে ৫,৪৫,৪২৩ জন কর্মচারী (Govt Jobs) কাজ করেন। সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী (Kerala) রাজ্যে ৭৩,৭৭৪ জন মুসলিম সরকারি কর্মচারী রয়েছেন। অন্যদিকে রাজ্যে৩,৭১৪ জন উচ্চ বর্ণের খ্রিস্টান সরকারি কর্মচারী রয়েছেন।

কেরলে সরকারি চাকরি কাদের হাতে (Kerala)

জানা গিয়েছে ল্যাটিন চর্চার সদস্য ২২,৪৫২ জন কর্মী কেরল সরকারে (Govt Jobs) কাজ করছেন এদের মধ্যে ২৩৯৯ জন খুব অল্প সময়ে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছেন। ৯২৯ জন কর্মীকে নাদাখ্রিস্টান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মোট৯৯,৪৯৯ জন খ্রিস্টাকেরলের (Kerala) বিভিন্ন ধরনের সরকারি কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত। অর্থাৎ সরকারি কর্মীদের মধ্যে ১৮.২৫% খ্রিস্টান সরকারি কাজের সঙ্গে যুক্ত। বাইবেল না কুরান অনুসারে খ্রিস্টান এবং ইসলাম ধর্মে বর্ণবৈষম্য না থাকলেও কেরলে খ্রিস্টান ও মুসলিমদের মধ্যে চরম বর্ণ বৈষম্য রয়েছে। মুসলিম ও খ্রিস্টান মিলিয়ে সরকারি কাজের সঙ্গে যুক্ত ১,৭৩,২৬৮ জন কর্মী অর্থাৎ সরকারি কর্মীদের ৩১.৫% ব্যক্তি এই দুই ধর্মের সঙ্গে যুক্ত। জৈন ধর্মের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সংখ্যা মাত্র ২৭। তফসিলি জনজাতির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সংখ্যা ১০,৫১৩। তফসিলি জাতির সরকারি কর্মীদের সংখ্যা ৫১,৭৮৩। এই রাজ্যে ৭,১১৩ জন ব্রাহ্মণ সরকারি কর্মী রয়েছেন অর্থাৎ তাদের সংখ্যা মাত্র ১.৫%। এই রাজ্যের যাদব ২৬ জন এবং ২৮ জন ক্ষত্রিয় সরকারি কর্মী রয়েছেন। প্রায় ১,১৫,০০০ এঝাভা জাতি যুক্ত সরকারী কর্মী রয়েছেন। এই জাতি এই রাজ্যে দলিত সম্প্রদায়ভুক্ত। এবং নায়ের সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সংখ্যা প্রায় ১,০৮,০০০

কেরলে বাড়ছে ধর্মপরিবর্তন

প্রসঙ্গত কেরলে ৪৯ শতাংশ মানুষ ব্রাহিমিক ধর্মে বিশ্বাস করেন। এদের মধ্যে প্রায় ২২ শতাংশ খ্রিস্টান এবং ২৭ শতাংশ ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী। প্রসঙ্গত কেরলে বিরোধীরা বাম-কংগ্রেস জোট সরকারকে তাদের রাজ্যের দুর্বল অর্থনৈতিক অবস্থার জন্য নিয়মিত বিধানসভায় আক্রমণ করে। প্রসঙ্গত কেরলে শিক্ষিতদের সংখ্যা বেশি হলেও ধর্ম পরিবর্তন একটি বড় সমস্যা হতে দাঁড়িয়েছে। খ্রিস্টান মিশনারি এবং বেশ কিছু তাবলিগ ইসলামী সংস্থা নিম্ন বর্ণের মানুষদের ধর্ম পরিবর্তনের জন্য প্রলোভন ও চাপ দেয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই সংবাদমাধ্যমে এই ধরনের বহু ঘটনা সামনে এসেছে। এমনকি কেরলের (Kerala) একটি অংশের মানুষের মস্তিষ্কে উগ্রপন্থাও ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বহু সংগঠন। এ নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই কেন্দ্র সরকারকে রিপোর্ট দিয়েছে।

Pankaj Kumar Biswas | 14:25 PM, Fri Jul 05, 2024
upload
upload