RG Kar Hearing Breaking: আরজি কর মামলার শুনানি শুরু সুপ্রিম কোর্টে
Sweta Chakra... | 11:04 AM, Mon Sep 09, 2024
RG Kar BREAKING: সিল বন্ধ খামে আরজি কর কাণ্ডের তদন্তের রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই
Sweta Chakra... | 11:39 AM, Thu Aug 22, 2024
Buddhadeb Bhattacharjee: সকালে প্রাতঃরাশ সেরেই অসুস্থ, প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বয়স হয়েছিল ৮০
Sweta Chakra... | 11:47 AM, Thu Aug 08, 2024
Astra Mark 1: বিমান বাহিনীর অস্ত্র ভান্ডারে এবার দেশীয় দুরপাল্লার মিসাইল
Pankaj Kumar... | 16:58 PM, Wed Aug 07, 2024
RSS বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবি আরএসএসের
Pankaj Kumar... | 16:41 PM, Wed Aug 07, 2024
Paris Olympics 2024: প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছ ইতিহাস গড়লেন মানিকা বাত্রা, জাগালেন পদকের আশা
Pankaj Kumar... | 12:50 PM, Tue Jul 30, 2024
Amarnath Yatra: অমরনাথ যাত্রায় হামলার ছক, এবার খলিস্তানীদের ময়দানে নামাচ্ছে পাকিস্তান
Pankaj Kumar... | 18:35 PM, Sat Jul 27, 2024
Terrorist Attack: জঙ্গিদের ছবি প্রকাশ্যে এল, মাথার দাম পাঁচ লাখ টাকা
Pankaj Kumar... | 18:32 PM, Sat Jul 27, 2024
Meerut Police: নির্ভয়ার স্মৃতি ফিরল মেরঠে, গ্রেফতার হাসিন, শাহরুখ, একরামউদ্দিন এবং মহসিন
Pankaj Kumar... | 15:46 PM, Sat Jul 27, 2024
BJP Protest: “অন্য ধর্মে জন্মানো দুর্ভাগ্যের”, ফিরহাদের বিতর্কিত মন্তব্যে তোলপাড় বিধানসভা
Pankaj Kumar... | 15:23 PM, Sat Jul 27, 2024
Indian Army: ১৬ হাজার ফিট উচ্চতায় মোবাইল পরিষেবা, সেনাকে বিজয় দিবসের উপহার কেন্দ্রের
Pankaj Kumar... | 15:19 PM, Sat Jul 27, 2024
New CP Manoj Verma: কলকাতা পুলিশের নতুন কমিশনার মনোজ ভার্মা, এডিজি এসটিএফ করা হল বিনীত গোয়েলকে
নিউজ ডেস্ক: অবশেষে জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি মেনে বিনীত কুমারকে সরিয়ে কলকাতার নতুন পুলিশ কমিশনার করা হল মনোজ বর্মাকে (New CP Manoj Verma)। এছাড়াও কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশের আরও বেশ কয়েকটি পদে বদল আনা হয়েছে। জ্ঞানবন্ত সিংকে এডিজিএ আইবি করা হয়েছে। পাশাপাশি জাভেদ শামিমকে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এডিজি (আইন শৃঙ্খলা) পদে বদলি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে (Vineet Goyal) তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা গতকালই ঘোষণা করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন কমিশনারের নাম ঘোষণা ছিল কার্যত সময়ের অপেক্ষা। অবশেষে জানা গেল কলকাতা পুলিশের নতুন কমিশনারের নাম। আর আগের পুলিশ কমিশনার বিনীত কুমার গোয়েলকে রাজ্যের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের এডিজি করা হল।
১৯৬৮ সালে মনোজের জন্ম। সেপ্টেম্বরই তাঁর জন্মমাস। ৩০ সেপ্টেম্বর তাঁর জন্মদিন। রাজস্থানের সওয়াই মাধোপুরে মনোজের জন্ম। ১৯৯৮ ব্যাচের আইপিএস অফিসার মনোজ ভার্মা (New CP Manoj Verma)। এর আগে তিনি রাজ্য পুলিশে এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) ছিলেন। এছাড়া কলকাতা পুলিশের ডিসি ডিডি(স্পেশাল), ডিসি(ট্রাফিক)-এর দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারও ছিলেন মনোজ। মাওবাদী কার্যকলাপ রুখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। দার্জিলিঙের আইজি পদে দীর্ঘ সময় ছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল যখন তপ্ত সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখান পুলিশ কমিশনারের দায়িত্ব দেন মনোজ ভার্মাকে।
২০১৭ সালে রাজ্য সরকারের পুলিশ পদক পেয়েছিলেন মনোজ। পরে ২০১৯ সালে পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশ পদক। ওই বছর স্বাধীনতা দিবসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা তাঁকে (New CP Manoj Verma) ওই পদক দেন। ভাটপাড়ায় শান্তি ও স্বাভাবিকতা পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছিলেন বলেই মনোজকে ওই পদক দেওয়া হয়েছিল। ওয়াকিবহাল মহলের কথায়, সে সময় তিনি দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার ক্ষেত্রে। এবার শুরু হতে চলেছে তাঁর নতুন ইনিংস। কলকাতার নতুন পুলিশ কমিশনার হচ্ছেন তিনি। কিছুক্ষণ আগেই এই বিষয়ে বিজ্ঞাপিত জারি করা হয় নবান্ন থেকে।
Nabanna Abhijan: নবান্ন অভিযান ঘিরে তুলকালাম! পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ উগরে দিলেন বিক্ষোভকারীরা
নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ছাত্র সমাজের ডাকা নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhijan) ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। সাঁতরাগাছিতে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা বিক্ষোভকারীদের। একইসঙ্গে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ। এর পরেই পাল্টা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। যদিও জল কামান, কাঁদানে গ্যাসের শেল উপেক্ষা করে নবান্নর পথে এগোচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। নিজেদের দাবিতে অনড় প্রতিবাদীরা। তাঁদের দাবি— মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ। 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস' বলে স্লোগান দিতে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা।
এদিন হাওড়ার ফোরশোর রোডে উত্তেজনা ছড়ায়। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা। লাঠি চালায় পুলিশ। জলকামান ব্যবহার করা হয়। তারইমধ্যে পুলিশকে রাস্তায় ফেলে মারার অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে কলকাতার মহাত্মা গান্ধী রোডেও তৈরি হয়েছে উত্তেজনা। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করা হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে জলকামান ব্যবহার করা হয়। তারইমধ্যে ধর্মতলা থেকে একটি মিছিল (Nabanna Abhijan) হাওড়ার দিকে যাচ্ছে। তাতে ‘মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফার’ দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি হেস্টিংসের কাছেও চলল জলকামান। কলকাতা পুলিশ ট্রেনিং স্কুলের (পিটিএস) কাছে জলকামান ব্যবহার করা হয়েছে। সেখানেও পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। সব মিলিয়ে গোটা শহর জুড়ে নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থতি তৈরি হয়েছে।
জল কামান প্রয়োগ করে, কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে এমন কি লাঠিচার্জ করেও কোথাও কোথাও বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ৷ জলকামানের জল একাধিক বার শেষ হয়ে গেলেও বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করা যায়নি৷ এমন কি, একা পুলিশকর্মীকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভকারীরা মারছেন, এমন ছবিও এ দিন ধরা পড়েছে৷ পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের ডাকে এ দিন নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল৷ উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে এই কর্মসূচিকে অরাজনৈতিক বলে দাবি করা হলেও পুলিশের পক্ষ থেকে এর পিছনে রাজনৈতিক উস্কানির অভিযোগ আনা হয়েছিল৷ শেষ পর্যন্ত এ দিনের বিক্ষোভ হিংসাত্মক রূপই নিল৷
Kolkata Police: আরজি কর কাণ্ডে নেটিজেনদের মুখ বন্ধ করতে ‘হুমকি’ পুলিশের
নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) রাজ্যজুড়ে আন্দোলন জোরদার হচ্ছে। বুধবার রাতে রাস্তায় নেমেছিলেন মহিলারা। শনিবার দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে আইএমএ। আর লাগাতার এই আন্দোলনে চরম ব্যাকফুটে শাসকদল তৃণমূল। আন্দোলনেও সামিল হয়েছে নেটিজেনরা। সমাজ মাধ্যমে আরজি করকে সামনে রেখে একের পর এক জ্বালাময়ী পোস্ট তৃণমূলের ঘুম ছুটিয়ে দিয়েছে। তাই, নেটিজেনদের মুখ বন্ধ করতে আসরে নেমেছে মমতার পুলিশ (Kolkata Police)। এমনিতেই রাজধানীর বুকে ডাক্তারকে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনার পর থেকে তথ্য লোপাট করতেই ব্যস্ত ছিল পুলিশ। যতদিন পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে ছিল মূল অভিযুক্তদের ধরার বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। উল্টে এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় আরজি কর কাণ্ড (RG Kar Incident) নিয়ে করা পোস্ট ডিলিট করতে তারা বাড়ি বাড়ি ছুটছে। এমনই অভিযোগ নেটিজেনদের। যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে।
বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) সাইবার ক্রাইম বিভাগের তরফে একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘‘পোস্ট ডিলিট করে দিন। আর ভবিষ্যতে এরকম কাজ থেকে বিরত থাকবেন। সেটা মেনে না চললে আইনের নির্দিষ্ট ধারার আওতায় কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে (RG Kar Incident)। এমন কয়েকজনকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে, যাঁরা আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন পোস্ট করেছিলেন। লেখক শেফালি বৈদ্য অভিযোগ করেন, ‘‘আমার বাকস্বাধীনতার অধিকার প্রয়োগ করে স্রেফ কয়েকটি প্রশ্ন করার জন্য কলকাতা পুলিশের থেকে হুমকি (Kolkata Police) দেওয়া চিঠি পেলাম। কলকাতা পুলিশের ক্ষমতা ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বর যে দমিয়ে দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার, সেটার প্রকৃষ্ট উদাহরণ এটা।’’
সেইসঙ্গে তিনি জানান, পুলিশের নির্দেশে 'ভয়' পেয়ে পোস্ট মুছে দিচ্ছেন না। বরং আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ (RG Kar Incident) এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে যা হয়েছে, তারপর নিজের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পোস্ট মুছে দিচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি। দেবায়ন সেন নামে এক ব্যক্তিকে নোটিশ পাঠিয়েছে কলকাতা পুলিশ। যে পোস্টটি ডিলিট করতে বলে নোটিশ পাঠানো হয়েছে তাতে দেবায়নবাবু লিখেছেন, ‘‘সংবাদমাধ্যমে যা প্রকাশিত হয়নি, নিহত চিকিৎসক আরজি কর মেডিক্যালে ড্রাগ, যৌন, ওষুধ ও অঙ্গ পাচার চক্রের ব্যাপারে জেনে ফেলেছিলেন। যাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সম্পূর্ণ সমর্থন ছিল। এই সব দুষ্কর্মের টাকার একাংশ তৃণমূল নেতাদের পকেটে যেত। এখন সঞ্জয় রায়কে বলির পাঁঠা করা হচ্ছে।’’
সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট (RG Kar Incident) ডিলিট করতে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) নির্দেশ নিয়ে সরব হয়েছেন নোটিশ প্রাপকরা। শুক্রবার এক পোস্টে সেই অভিযোগ প্রকাশ্যে এনেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘‘নোটিশ পাঠিয়ে মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছে তৃণমূলের পুলিশ। যারা সুবিচারের দাবি জানাচ্ছেন তাঁদের প্রতি: আমরা তৃণমূলের পুলিশের হুমকিতে ভয় পাই না। আমরা লক্ষ্যে অবিচল অটল দৃঢ়তায় ন্যায়ের লক্ষ্যে আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। বাক স্বাধীনতা হরণ করতে কলকাতা পুলিশ নোটিশ পাঠিয়ে যাক।’’ সুকান্তবাবু তাঁর পোস্টে ৩ জনকে কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম থানার পাঠানো নোটিশ প্রকাশ করেছেন। সাইবার ক্রাইম থানার ডেপুটি কমিশনারের তরফে নোটিশগুলি প্রকাশ করা হয়েছে। পোস্ট ডিলিট না করলে তা ধর্তব্যযোগ্য অপরাধ গণ্য হবে বলে পুলিশের তরফে হুমকি দেওয়া হয়েছে (RG Kar Incident)।
এই বিষয়টি নিয়ে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police) এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপির তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তিনি বলেন, ‘‘সাধারণ নাগরিকদের ভয় দেখানোর পরিবর্তে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার তদন্তে (RG Kar Incident) যদি মনোনিবেশ করত কলকাতা পুলিশ, তাহলে কাজে দিত। কলকাতা পুলিশ এবং তাদের মধ্যরাতের ছলচাতুরি কোনওদিন শেষ হবে বলে মনে হচ্ছে না। রাত ১ টা ৩৭ মিনিটে লোকজনকে পোস্ট ডিলিট করতে বলছে। হাস্যকর।’’
R G Kar Hospital: আরজি করকাণ্ডে পুলিশি তদন্ত নিয়ে কেন প্রশ্ন তুলছে চিকিৎসক মহল?
নিউজ ডেস্ক: দিনের বেলায় রোগীর ভিড়, ট্রলির আওয়াজ, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যস্ততার ছবিটা সূর্যাস্তের পরেই দ্রুত বদলে যায়! রাত বাড়লেই একেবারে ভিন্ন ছবি! রাতের অন্ধকারে যেন এক অজানা হাসপাতাল চত্বর! এবার এমনই কথা জানালেন আরজি কর হাসপাতালের (R G Kar Hospital) এমবিবিএস পড়ুয়াদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, হাসপাতালের একাধিক কুকীর্তি জানার জেরেই নিগৃহীতার সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটল। ঘটনার পর থেকেই পুলিশের তদন্ত নিয়েও একাধিক প্রশ্ন উঠছে। আরজি করকাণ্ডে বারবার প্রশ্নের মুখে পুলিশি তদন্ত। মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় একের পর এক অভিযোগ উঠছে। আর সব চেয়ে বেশি প্রশ্নের মুখে পড়ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা। রাজ্যের চিকিৎসক মহলের একাংশের অভিযোগ, প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করার একাধিক পথ থাকলেও পুলিশ কেন দেরি করছে! আর এখানেই অভিযোগ উঠছে, ক্ষমতাবান ব্যক্তির সম্পর্ক থাকার জেরেই কি এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে একাধিক প্রশ্ন? যদিও কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তদন্তে কোনও ত্রুটি থাকবে না। দ্রুত সকলের সঙ্গে কথা বলা হবে। সব রকম পদক্ষেপ করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রবিবারের মধ্যে ঘটনার সম্পূর্ণ কিনারা করতে না পারলে কলকাতা পুলিশ তদন্তের (Police Investigation) দায়িত্ব থেকে সরে যাবে। যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, ঘটনার পরে ১০দিন পেরিয়ে গেলে একাধিক তথ্য ও প্রমাণ নষ্ট হয়ে যাবে। তাই দশ দিন পরে অন্য তদন্তকারী সংস্থা দায়িত্ব নিলে কতটা তথ্য জোগাড় করতে পারবে, সে নিয়েও আশঙ্কা রয়েছে।
আরজি কর হাসপাতালের একাংশ জানাচ্ছে, রাতের হাসপাতাল চত্বরে চলে একাধিক বেআইনি কাজ। নানান নিষিদ্ধ ওষুধ পাচার থেকে যৌন কেলেঙ্কারির মুক্তাঞ্চল হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্বর। রাতে কর্তব্যরত একাধিক চিকিৎসকের নজরেও পড়ে সেই ঘটনা। কলেজের ইন্টার্ন থেকে স্নাতকোত্তর ট্রেনি চিকিৎসক, রাতে পরিষেবার দায়িত্বে থাকা একাধিক পড়ুয়ার চোখের সামনেই ঘটে এমন নানান অবৈধ ঘটনা। হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাসে এমন নানান ঘটনার অভিযোগ উঠলেও কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই। তাই অবাধে চলত বেআইনি কাজ। কলেজের এমবিবিএস-র শেষ বর্ষের পড়ুয়াদের একাংশ জানাচ্ছে, আরজি কর হাসপাতালে (R G Kar Hospital) শাসক দলের একাধিক নেতার আত্মীয়রা পড়াশোনা করেন। তাদের অনেকের বিরুদ্ধে এই সব বেআইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে। নির্দিষ্ট অভিযোগ জানানোর পরেও কোনও রকম প্রশাসনিক তৎপরতা চোখে পড়েনি বলেও তাঁরা অভিযোগ করছেন। পড়ুয়াদের একাংশ জানাচ্ছে, মাস দুয়েক আগে থেকেই প্রভাবশালী বেআইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশের সঙ্গে নিগৃহীতার বচসা শুরু হয়। নিগৃহীতা একাধিকবার তাদের কাজের প্রতিবাদ জানান। তাকে নানা রকম হেনস্থা ও হুমকির সম্মুখীন হতে হয় বলেও অভিযোগ উঠছে। বিভিন্ন মহলে জানানোর পরেও কোনও রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাঁর এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু জানান, নিগৃহীতা তাঁর বাবা-মাকে বারবার জানিয়েছিলেন, হাসপাতালে নাইট ডিউটি করতে তাঁর ভালো লাগে না। তাঁর মুখ বন্ধ করতেই এমন ভয়ানক অপরাধ ঘটল বলেও মনে করছেন আরজি কর হাসপাতালের অন্দর মহলের অনেকেই।
ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, মৃতার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট যথাযথ ভাবে বিশ্লেষণ করলেই নানান প্রশ্নের জট খুলে যাবে। ঘটনার পরে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু এই ঘটনা একজনের পক্ষে ঘটানো সম্ভব নয় বলেই স্পষ্ট জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ (R G Kar Hospital)। চিকিৎসক সূবর্ণ গোস্বামী জানান, মৃতার দেহ থেকে ১৫০ গ্রাম রক্ত মিশ্রিত সিমেন স্যাম্পেল পাওয়া গিয়েছে। ফলে, স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে, একাধিক ব্যক্তি ওই মহিলা চিকিৎসককে নিগ্রহ করেছে। আরজি কর হাসপাতালে কর্মরত আরেক চিকিৎসক-শিক্ষক বলেন, ঘটনার রাতে সেমিনার রুমের আশপাশে জনা চারেক ইন্টার্ন যাতায়াত করেছে। তার প্রমাণও রয়েছে। কিন্তু তারপরেও তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না। এই অভিযোগগুলো প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যের চিকিৎসক মহলের একাংশ পুলিশের তদন্ত (Police Investigation) নিয়েও প্রশ্ন তুলছে।
CV Ananda Bose: লালবাজারের নিরাপত্তায় সুরক্ষিত নন রাজ্যপাল! পুলিশকর্মীদের রাজভবন থেকে সরানোর নির্দেশ
নিউজ ডেস্ক: লালবাজারের নিরাপত্তায় সুরক্ষিত নন রাজ্যপাল। অবিলম্বে রাজভবন খালি করুন। সোমবার সকালে রাজভবনে মোতায়েন কলকাতা পুলিশের কর্মীদের এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। ইতিমধ্যেই রাজভবন চত্বরে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের সরানোর নির্দেশ দিয়ে নবান্নে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যপাল। এ প্রসঙ্গে রাজভবনের (Raj Bhavan) ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক জানিয়েছেন, রাজ্যপাল রাজভবনের ভিতরে মোতায়েন পুলিশ কর্মীদের অবিলম্বে প্রাঙ্গন খালি করার নির্দেশ দিয়েছেন।
চিঠিতে রাজ্যপাল জানিয়েছেন যে, রাজভবনের (Raj Bhavan) নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ কর্মীরা তাঁর নির্দেশনা মানছে না। ফলে রাজভবন চত্বরে থাকা কলকাতা পুলিশের নিরাপত্তায় তিনি একেবারেই সুরক্ষিত বোধ করছেন না। তাই অবিলম্বে রাজভবনের (Raj Bhavan) নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের সরিয়ে ফেলা হোক। যদিও রাজভবনের চিঠির প্রেক্ষিতে নবান্নের তরফে এখনও কোনও বক্তব্য মেলেনি।
গত বৃহস্পতিবার রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসায় 'আক্রান্তদের' নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে আসেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কিন্তু সে সময় তাঁকে ভিতরে ঢুকতে দেয়নি কর্তব্যরত কলকাতা পুলিশ। রাজভবনের বাইরে ১৪৪ ধারা জারি থাকার কারণ দেখিয়ে শুভেন্দু সহ শো দুয়েক লোককে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ফলে রাজ্যপালের (CV Ananda Bose) অনুমতি থাকা সত্ত্বেও রাজভবনে প্রবেশ করতে না পেরে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন বিরোধী দলনেতা। শুনানিতে বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, রাজ্যপাল কি গৃহবন্দী নাকি। তাঁর অনুমতি সত্ত্বেও কেন দেখা করার অনুমতি দেওয়া হল না। আর বিচারপতির এই মন্তব্যের পরেই এবার রাজভবন (Raj Bhavan) চত্বর থেকে লালবাজারের নিরাপত্তা সরিয়ে নেওয়ার জন্যে নবান্নকে চিঠি পাঠালেন রাজ্যপাল।
যদিও রবিবার বিরোধী দলনেতা একশোর বেশি ঘরছাড়াকে নিয়ে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের (CV Ananda Bose) সঙ্গে দেখা করেন। সেই সময় রাজ্যপাল শুভেন্দু অধিকারীকে বলেন, পশ্চিমবঙ্গকে তিনি হিংসা মুক্ত করবেন। তিনি এর শেষ দেখে ছাড়বেন বলেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু এসবের মাঝেই এবার বিচারপতির ওই মন্তব্যের পর সোমবার সকালে রাজ্যপাল এই নির্দেশ দেন।
Suvendu Adhikari: অভিষেকের মতো একই জায়গায় ধর্নায় বসতে চান শুভেন্দু! শর্তসাপেক্ষে শুভেন্দুকে রাজভবন যাওয়ার অনুমতি হাইকোর্টের
নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিঃসায় আক্রান্তদের নিয়ে রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসতে চান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। গত বছরের শেষ দিকে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে ধর্নায় বসেছিলেন, ঠিক সেখানেই এবার ধর্নায় বসতে চান তিনি। ইতিমধ্যেই ধর্নার অনুমতি চেয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গয়ালকে চিঠি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। উল্লেখ্য, ভোটের ফল প্রকাশের পর কর্মীদের ওপর আক্রমণের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। একইসঙ্গে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও উঠেছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের তরফে। এসব ইস্যু সামনে রেখেই আগামী ১৯ জুন থেকে ধর্নায় বসার পরিকল্পনা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
এ প্রসঙ্গে, শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার একক বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে যে, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করতে রাজ্যপালের কাছে নতুন করে আবেদন জানাতে পারেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। বিচারপতি জানিয়েছেন, রাজ্যপালের অনুমতি সাপেক্ষে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ও নির্বাচন পরবর্তী অশান্তিতে ‘আক্রান্ত’ ব্যক্তিরা। তবে রাজ্যপালের সঙ্গে কতজন দেখা করতে যাবেন, সেটা পুলিশকে জানাতে হবে। পাশাপাশি বিচারপতির নির্দেশ, যদি গাড়ি নিয়ে রাজ ভবনের (Raj Bhavan) ভেতরে যাওয়া হয়, তাহলে কতগুলি গাড়ি রাজভবনের ভিতরে ঢুকবে, সেটাও জানাতে হবে পুলিশকে।
তবে শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষের আইনজীবী এদিন আদালতে জানিয়ে দেন, তাঁদের কোনও গাড়ি রাজভবনের ভিতরে ঢুকবে না। সকলেই হেঁটে রাজভবনের ভিতরে প্রবেশ করবেন। অন্যদিকে রাজ্যের তরফে আবার সওয়াল করা হয়, যাঁরা রাজভবনের ভিতরে প্রবেশ করবেন, তাঁদের শনাক্তকরণের কাজ শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) পক্ষ থেকে কোনও ব্যক্তিকে করতে হবে। রাজ্যের এই দাবিতে বিচারপতি সম্মতি দিলেও, তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, কারও পরিচয় নথিবদ্ধ করা যাবে না। কারণ, সেরকম হলে পরে আবার তাঁদের হেনস্থা করার আশঙ্কা থেকে যায় বলেই মনে করছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
বিজেপি জানিয়েছে, এ বছর লোকসভা ভোটের ফলাফলে কিছুটা আশাহত দলের নিচুতলার কর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে দলের শীর্ষ নেতারা পাশে না থাকলে সংগঠন আরও দুর্বল হয়ে পড়বে। তাই শুভেন্দু অধিকারীর এই ধর্নার উদ্যোগকে দলের কর্মীদের চাঙ্গা রাখার একটি প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। বর্তমানে দলের নেতাকর্মীদের মনোবল বাড়ানোই রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। তাই শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) নগরপালকে জানিয়েছেন, তিনি আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের নিয়েই ধর্নায় বসতে চান। তবে এখনও পর্যন্ত কলকাতা পুলিশের (kolkata police) পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো উত্তর মেলেনি।
প্রসঙ্গত, গত বছর ডিসেম্বর মাসে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে এবং রাজ্যের বকেয়া মেটানোর দাবিতে রাজভবনের সামনে টানা ধর্নায় বসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার শাসক দলের বিরুদ্ধে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ তুলে ওই একই স্থানে ধর্নায় বসতে চান শুভেন্দু অধিকারী।
Calcutta High Court: একসাথে ১৪টি বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলতে পুরসভাকে নির্দেশ হাই কোর্টের
নিউজ ডেস্ক : আবারও শিরোনামে অবৈধ নির্মাণ। নারকেলডাঙা এলাকায় একসাথে ১৪টি বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলতে কলকাতা পুরসভাকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট(Calcutta High Court)। একই এলাকায় এতগুলি বেআইনি নির্মাণ গড়ে উঠলেও এত দিন পুরসভা কী করছিল, এ দিন কার্যত সেই প্রশ্নও তুলেছেন বিচারপতি সিংহ।
মঙ্গলবার বিচারপতি অমৃতা সিংহ জানান, অবিলম্বে কলকাতা পুরসভাকে(kolkata municipal corporation) এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে। আগামী সাত সপ্তাহের মধ্যে ওই ১৪টি বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে বলেও নির্দেশে উল্লেখ করেছেন তিনি।
নারকেলডাঙা তল্লাটে, পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে একাধিক বেআইনি বহুতল গড়ে ওঠার অভিযোগে মামলা হয়েছিল। সেই মামলায় পুরসভার আধিকারিকদের ঘটনাস্থলে গিয়ে সরেজমিনে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। পুরসভার সেই অনুসন্ধানেই ১৪টি বেআইনি নির্মাণের কথা সামনে এসেছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে এই এলাকায় বেআইনি নির্মাণ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল পুলিশ। নারকেলডাঙ্গা(narledanga) থানার ওসিকে সশরীরে হাজিরার দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিল আদালত। এবার ফের ওই থানা এলাকার তিন নম্বর বরোর ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে পর পর ১৪ টি বেআইনি নির্মাণের হদিশ পেল কলকাতা পুরসভা। যদিও কলকাতার বিভিন্ন তল্লাটে বেআইনি নির্মাণ নতুন কোনও ব্যাপার নয়। দিনের আলোয় বেআইনি নির্মাণ গড়ে উঠলেও পুলিশ এবং পুর প্রশাসনের সে সব নজরে আসে না বলেই অভিযোগ।
উল্লেখ্য , এই নারকেলডাঙা এলাকাতেই একটি বেআইনি ছ’তলা বাড়ি ভাঙা নিয়ে আদালতে পরস্পরের উপরে দায় চাপিয়েছিল কলকাতা পুরসভা এবং কলকাতা পুলিশ(kolkata police)। আর এবার সেই এলাকাতেই অবৈধ বাড়ি ভাঙতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট।
Lok Sabha Election 2024: CPIM প্রার্থীকে প্রচারে বাধা! পুলিশের সঙ্গে বচসায় সায়রা শাহ হালিম
নিউজ ডেস্ক: কলকাতা দক্ষিণের সিপিআইএম প্রার্থীকে প্রচারে বাধা। ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি সিপিআইএম প্রার্থীর। কলকাতার ভবানীপুরের হরীশ মুখার্জি রোডে সিপিএমকে ভোট প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, এই এলাকাতেই থাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । মমতা ও অভিষেকের পাড়ায় প্রচারে বাধা দেওয়ায় অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিককে অবিলম্বে ভোটের সব দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনে আর্জি জানিয়েছে বামেরা ৷
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকাল ন'টা নাগাদ কালীঘাট রোড এলাকায় কলকাতা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের বামফ্রন্ট সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিমের প্রচার কর্মসূচি ছিল পূর্ব ঘোষিত। কিন্তু, মিছিল শুরুর পর হরীশ মুখার্জি রোডে প্রবেশের আগেই তাকে বাধা দেয় পুলিশ । মিছিল ঘুরিয়ে অন্য পথে যেতে বলা হয় । কিন্তু, সিপিএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিমের যুক্তি, আইন অনুযায়ী রাস্তা সকলের । সেখানে কেন তাঁকে প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে ! নির্বাচনী এলাকায় প্রচারে বাধা দিতে পারে না পুলিশ ।
ঘটনায় বামেদের অভিযোগ যে, তাঁরা প্রচার করতে করতে হরিশ মুখার্জি রোডে ঢুকতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। ১৪৪ ধারার যুক্তি দেখিয়ে বলা হয়, এত জনের জমায়েত করা হবে না। এরপরেই কালীঘাট থানার পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন সায়রা এবং বাম কর্মী-সমর্থকেরা। পুলিশ অবশ্য তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।
Kolkata Holi Security: দোল ও হোলিতে সকাল থেকে সন্ধ্যা কলকাতার রাস্তায় বিশেষ নজরদারিতে উচ্চপদস্থ কর্তারা
নিউজ ডেস্ক: সোম ও মঙ্গলবার, দোল এবং হোলির দিনে যাতে কোনও গোলমাল না হয় সে দিকে নজর রাখা হবে। দোল ও হোলির দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কলকাতার রাস্তায় থাকবে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী। বড় রাস্তার পাশাপাশি গলি রাস্তগুলোতেও নজরদারি চালানো হবে। যাতে কোনও রকম অশান্তির ঘটনা ঘটে। এবার দোল-হোলির দিন শহরে তিন হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
সকাল থেকেই রাস্তায় থাকবেন কলকাতা পুলিশের ২৬ জন ডিসি মর্যাদার কর্তা। তাঁদের অধীনে থাকবে পুলিশবাহিনী। থাকবে ৪৪টি করে টহলদার বাইক। এছাড়াও অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদা অফিসার, ইন্সপেক্টর পদমর্যাদা অফিসার, সাব- ইনস্পেকটর পদমর্যাদা অফিসার সহ থাকবে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়। বিভিন্ন জায়গায় ৩৫০ টি পিকেট তৈরি করা হয়েছে।
পাশাপাশি সকালে ২৭টি ও রাতে ১৯টি এইচআরএফএস (HRFS), মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য শহর থাকবে উইনার্স বাহিনী। প্রস্তুত রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত পিসিআর ভ্যানও। শহরের বিভিন্ন ঘাটে এই ভ্যান নিয়ে নজরদারি চালানো হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। লালবাজারের তরফে নির্দেশ এসেছে, কোনও গোলমালের খবর পেলেই যাতে দ্রুত পুলিশ হাজির হতে পারে, সেদিকে থানাগুলিকে নজর দিতে হবে। কোনও গাড়ির ভিতর থেকে যাতে পথচারীদের লক্ষ্য করে রং না ছোড়া হয়, সেদিকে কড়া নজর থাকবে পুলিশের।
অন্যদিকে, রং খেলার পর স্নান করতে যাওয়ার সময় যাতে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে সেজন্য গঙ্গা ও বিভিন্ন সরোবর বা পুকুর ঘাট সহ মোট ৭০ টি ঘাটে মোতায়েন থাকবে পুলিশ বাহিনী। এর মধ্যে ৪৩ টি ঘাটে মোতায়েন থাকবে কলকাতা পুলিশের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ।
Holi Special Security For Dogs: দোলে পথকুকুরের গায়ে রঙ দিলেই কড়া ব্যবস্থা লালবাজারের
নিউজ ডেস্ক: প্রতিবারের মতো এবারও দোলের আগে কড়া নির্দেশ জারি করল লালবাজার। দোল ও হোলির দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কলকাতার রাস্তায় থাকবে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী। শহরে শুধু অনিচ্ছুক মানুষ নয়, পথকুকুরের গায়ে রঙ দিলেও কড়া পদক্ষেপ করা হবে।
আগামী সোমবার দোল ও মঙ্গলবার হোলি। ওই দুই দিন পুলিশের তরফ থেকে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই নিয়ে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। দোল ও হোলির দিন যাতে কোনও গন্ডগোল না হয় সেদিকে নজর থাকছে পুলিশের। শহরের বিভিন্ন স্থানে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হবে। পুলিশের নজর থাকবে শহরের বহুতলগুলিতেও।
লালবাজারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কোনো ব্যক্তির ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাঁর গায়ে যাতে রং দেওয়া না হয়, তার জন্য অপরিসর রাস্তা ও বহুতলগুলিতে নজর থাকছে পুলিশের। পাশাপাশি, রাস্তায় কুকুর ও অন্যান্য কোনও পশুর শরীরে রং দিয়ে কেউ মজা না করেন, সেই ব্যাপারেও শহরবাসীকে পুলিশের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হচ্ছে। এতে পশুপ্রেমীদের সাহায্যও নিচ্ছে লালবাজার। এই ধরনের ঘটনার কোনও অভিযোগ এলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে লালবাজারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।