Thursday, September 19, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

lalbazar

RG Kar Incident: নির্ঘুম রাত কাটিয়েও চলছে ধরনা! লালবাজার আন্দোলনকে সমর্থন নির্যাতিতার মায়ের


নিউজ ডেস্ক: সোমবার নির্ঘুম রাত কাটানোর পরও মঙ্গলবার সকালে প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন আর জি করের জুনিয়র চিকিৎসকরা। লালবাজারের অদূরে ফিয়ার্স লেনে অবস্থান বিক্ষোভে অনড় তাঁরা। রাস্তায় বসে চলছে ধরনা। দাবি একটাই, কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে হবে। নচেৎ ওই পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে। আন্দোলনকারীরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে যতক্ষণ না পর্যন্ত তাঁদের এই দাবি পূরণ করা হচ্ছে, তাঁরা এক চুলও নড়বেন না ধর্না থেকে।

আর জি কর হাসপাতালে (RG Kar Incident) কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডের পর কেটে গিয়েছে তিন সপ্তাহ। তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। কিন্তু এখনও তেমন অগ্রগতি নেই তদন্তে। যা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে জুনিয়র চিকিৎসকদের। তাঁদেরই সহকর্মীর এমন এক মর্মান্তিক পরিণতির নেপথ্যে কারা? এখনও কেন তা খুঁজে বের করতে পারল না সিবিআই? এই প্রশ্নের জবাব না পেয়ে ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছে তাঁদের। এরই মধ্যে কলকাতা পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে তাঁদের ভুরি ভুরি অভিযোগ। তাই তাঁর পদত্যাগ চান আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। আর তাই এই লালবাজার অভিযান।

এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার ভোরে সকলকে এড়িয়ে লালবাজার ছেড়ে বেরিয়ে যান কলকাতার পুলিশ কমিশনার। অন্যদিকে ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের তরফে আন্দোলনকারীদের প্রস্তাব দেওয়া হয় যে লালবাজারে একটি প্রতিনিধি দল পাঠানোর, তবে এই প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের একটাই দাবি, পুলিশ কমিশনারকে পদত্যাগ করতে হবে।

অন্যদিকে সোমবারই জুনিয়র ডাক্তারদের লালবাজার আন্দোলনকে (RG Kar Incident) সমর্থন করে বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবি যথাযথ বলেই জানিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা। সোমবার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, ‘‘কলকাতা পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের দাবি যথাযথ! সৎ সাহস থাকলে উনি জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে দেখা করতে পারতেন। জুনিয়র ডাক্তাররা নিরস্ত্র অবস্থায় আন্দোলন করতে গিয়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গে একবার হলেও দেখা করা উচিত ছিল পুলিশ কমিশনারের। কিন্তু, সেটা না করে লোহার ব্যারিকেড দিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের আটকানোর চেষ্টা করলেন! এটা অমানবিক ছাড়া আর কিছুই নয়।’’

উল্লেখ্য, সোমবার ডাক্তারদের লালবাজার ঘেরাও অভিযানে সামিল হয়েছিলেন অনেক অভিভাবকই। তাঁরা সাফ জানিয়েছেন, যে নারকীয় ও পাশবিক ঘটনা ঘটেছে সরকারি হাসপাতালে তার পর তাঁরা তাঁদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়েও উদ্বিগ্ন। তাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই অভিযানে নেমেছেন তাঁরা। তবে এবার জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে তাঁদের সঙ্গেই রাত জাগবেন নির্যাতিতার বাবা-মা।

Sweta Chakrabory | 13:22 PM, Tue Sep 03, 2024

RG Kar Issue: আরজি কর কান্ডের ২৪ দিন পার! বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবিতে লালবাজার অভিযানে জুনিয়র চিকিৎসকরা


নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কান্ডের (RG Kar Issue) ২৪ দিন পার। এবার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবি নিয়ে লালবাজার অভিযানে নামলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সপ্তাহের শুরুতেই সোমবার, দুপুর ২টোর সময় কলেজ স্কোয়ার থেকে লালবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হলেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। ১৪ অগাস্ট রাতে আর জি কর মেডিক্যালে হামলার সময় কেন নিষ্ক্রিয় ছিল পুলিশ? এই প্রশ্ন তুলে বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

এদিন হাতে গোলাপ নিয়ে প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হন তাঁরা। পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে গোলাপ দিয়ে বিদায় জানাতে চান জুনিয়র ডাক্তাররা। এমনটাই দাবি তাঁদের। জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে জানানো হয়েছে, ''না, কোনও সংঘাত নয়, শান্তিপূর্ণভাবে পুলিশ কমিশনারের অপসারণ বা পদত্যাগ ‌চান তাঁরা। তাই প্রতিকী মেরুদণ্ড আর গোলাপ নিয়ে মিছিল শুরু করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা।''

অন্যদিকে লালবাজারের এই অভিযানে জুনিয়র ডাক্তারদের রুখতে ‘লৌহকপাট’ কলকাতা পুলিশের। ফিয়ার্স লেন, বউবাজার-সহ সহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে ৯ ফুট উচ্চতার লোহার ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে। ব্যারিকেড বাঁধা হয়েছে বিশাল শিকলে। একই ভাবে ব্যারিকেডের কাছে নজর রাখতে বসানো হয়েছে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা। যাতে বড় রকমের কোনও অশান্তি হলে ওই ক্যামেরায় ওঠা ফুটেজ থেকে পরবর্তী সময়ে চিহ্নিত করা যায়। এছাড়াও পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠি-কাঁদানে গ্যাস হাতে প্রস্তুত বিশাল পুলিশ বাহিনী।

উল্লেখ্য, আজকের জুনিয়র চিকিৎসকদের এই মিছিলে (RG Kar Issue) শামিল হন কামদুনির প্রতিবাদী টুম্পা কয়ালও। কামদুনি মামলার তদন্তের দায়িত্বেও ছিলেন বিনীত গোয়েল। টুম্পাদের কথায়, কোনও কামদুনির মতো পরিণতি যেন আর জি কর মামলার না হয়।

অন্যদিকে বুধবার মানববন্ধনের ডাক দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডাক্তার ফ্রন্ট। ঘরের আলো নিভিয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে মানববন্ধনের ডাক দেওয়া হয়েছে। জুনিয়র চিকিৎসকরা আগামী বুধবার রাত ৯টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সকলকে ঘরের আলো নিভিয়ে রাখার অনুরোধ করেছেন। ওই সময়ে মানববন্ধন করবেন তাঁরা।

Sweta Chakrabory | 16:22 PM, Mon Sep 02, 2024

Bhabanipur Murder:নিমতায় জলের ট্যাঙ্কের নীচ থেকে উদ্ধার ব্যবসায়ীর দেহ! খুনের অভিযোগ বিজনেস পার্টনারের বিরুদ্ধে

নিউজ ডেস্ক: খাস কলকাতায় হাড়হিম করা ঘটনা। উত্তর ২৪ পরগনার নিমতা এলাকায় জলের ট্যাঙ্কের নীচ থেকে উদ্ধার ব্যবসায়ীর দেহ। বস্তাবন্দি করে রাখা হয়েছিল ওই ব্যাক্তির দেহ। ব্যবসায়ীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে, তার ‘বিজনেস পার্টনারে’র বিরুদ্ধে। নিহত ব্যবসায়ীর নাম ভাবো লাখানি। ভবানীপুরের বাসিন্দা তিনি। ঘটনাটির তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, জলের ট্যাঙ্কের নীচে বস্তাবন্দি দেহ রেখে রাতারাতি পাঁচিল তোলা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যবসায়িক অংশীদার অনির্বাণ গুপ্ত ও সুমন দাস নামে দু’জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে বালিগঞ্জ থানার পুলিশ।

জানা গেছে ওই মৃত ব্যাক্তি পরশু বাড়ি থেকে স্ত্রীকে বলে বেরিয়েছিলেন ব্যবসার কাজে। কিন্তু তারপর থেকে আর খোঁজ মেলেনি। এরপর মঙ্গলবার ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রী ভবানীপুর থানায় মিসিং ডায়েরি করেন। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ভবানীপুরের ওই ব্যবসায়ীর মোবাইল ফোন উদ্ধার করে বিডন স্ট্রিট থেকে। সেই ফোনেরই সূত্র ধরে পুলিশের হাতে তথ্য আসে। জানতে পারে মোবাইলের শেষ কথা হয় ব্যবসায়ীর নিমতার বন্ধুর সঙ্গে। এরপর বুধবার সকালেই তাঁর বাড়িতে হানা দিতেই উদ্ধার হয় ব্যবসায়ীর দেহ।

পুলিশ সূত্রে খবর, যে বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে, তার মালিক মৃত ব্যবসায়ীর পরিচিত। তাঁরা একসঙ্গে ব্যবসা করতেন। অভিযুক্তের সঙ্গে তাঁর ওষুধের ব্যবসা ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ মনে করছে, ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরে ৫০ লক্ষ্য টাকার দেনা পাওনার জেরেই খুন। ব্যবসায়ীকে নিমতায় ডেকে এনে মাথায় উইকেট দিয়ে বাড়ি মেরে খুন করে জলের ট্যাঙ্কের নীচে দেহ ঢুকিয়ে রাখা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, দেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রমাণ লোপাট করতে বাইরে পাঁচিল দিয়ে ঘিরে ফেলার চেষ্টা হয়। লালবাজার সূত্রের খবর, ঘটনার খবর পেয়েই গোটা বিষয়টি কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল নিজে খতিয়ে দেখতে শুরু করেন। তার সঙ্গে বালিগঞ্জ থানার পুলিশ এবং লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ যৌথভাবে তদন্তে সামিল ছিল। ।

Sweta Chakrabory | 12:38 PM, Wed Mar 13, 2024
upload
upload