Wednesday, October 23, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

landslides

Kerala: কেরলের ধস ঘুম ছুটিয়েছে! দুর্যোগ মাথায় নিয়ে এখনও অব্যাহত উদ্ধারকার্য


নিউজ ডেস্ক: কেরলের ওয়েনাড়ে ভূমিধসের (Wayanad landslides) ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫৩। এখনও আটকে বহু এবং নিখোঁজ প্রায় ৯৮জন। তবে ধসের পর থেকেই দুর্যোগ মাথায় নিয়ে চলছে উদ্ধারকাজ। কেরলের বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, যেখানে যেখানে ধস নেমেছে, সেখানে দমকল এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (NDRF) মোতায়েন করা হয়েছে। আরও একটি এনডিআরএফ টিমকে ওয়েনাড়ে পাঠানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত উদ্ধারকাজ চালিয়ে ১০০০ জন বাসিন্দাকে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। 

মঙ্গলবার ভোর ৩টে নাগাদ কেরলের (Kerala) ওয়েনাড় জেলার পাহাড়ি এলাকায় প্রথম ধস (Wayanad landslides) নামার খবর পাওয়া যায়। এরপর ভোর ৪টে ১০ মিনিটে আরও একটি জায়গায় ধস নামার খবর আসে। তবে বিপর্যস্ত ওয়েনাড়ের উপর থেকে এখনই বিপদ কাটছে না। মৌসম ভবন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ওয়েনাড় এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। ফলে উদ্ধারকাজে এই বৃষ্টি বাধা হতে পারে বলে মনে করছেন উদ্ধারকারীরা। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, ওয়েনাড়ের মেপ্পাড়ি এলাকায় ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত ১৫৩ জনের দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশুও রয়েছে। অন্যদিকে প্রায় শতাধিক মানুষকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশে ওয়েনাড়ে ত্রাণ ও উদ্ধারকার্যে নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জর্জ কুরিয়ান। জানা গিয়েছে, এই উদ্ধারকার্যে ভারতীয় নৌবাহিনীর ৩০ জন বিশেষজ্ঞ সাঁতারুদের একটি দল মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এয়ার ফোর্স স্টেশন সুলুর থেকে দুটি হেলিকপ্টারও পাঠানো হয়েছে এই উদ্ধারকার্যে। জানা গিয়েছে, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার মধ্যে রয়েছে চুরালপাড়া, ভেলারিমালা, মুন্ডকাইল এবং পোথুকালু। ধসের পর এইসমস্ত এলাকাগুলি থেকে সবরকম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মঙ্গলবার কেরলের (Kerala) মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে কথা বলেছেন। শাহ বিজয়নকে এই পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে সম্ভাব্য সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, নিখোঁজ ব্যাক্তিদের খোঁজে এখনও আত্মীয়-স্বজনরা মুন্ডকাইলে ধ্বংসপ্রাপ্ত কিছু বাড়ির সামনে অপেক্ষা করছেন এই আশায়, যে উদ্ধারকারী দল হয়তো কাউকে জীবিত খুঁজে পাবে। অন্যদিকে পুলিশ ইতিমধ্যেই পর্যটকদের ওয়েনাদে (Wayanad landslides) ভ্রমণ থেকে বিরত রেখেছে কারণ, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলির বেশিরভাগ রাস্তাই এখন উদ্ধারকার্যের জন্য যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছে।

Sweta Chakrabory | 12:01 PM, Wed Jul 31, 2024

Kerala: ভারী বৃষ্টির জেরে ধস নেমে বিপর্যয় কেরলে! চলছে উদ্ধারকাজ


নিউজ ডেস্ক: ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কেরল। ভোর ৩টে নাগাদ কেরলের (Kerala) ওয়েনাড় জেলার পাহাড়ি এলাকায় প্রথম ধস (Wayanad landslides) নামার খবর পাওয়া যায়। এরপর ভোর ৪টে ১০ মিনিটে আরও একটি জায়গায় ধস নামার খবর আসে। এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৪৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও বৃষ্টিতে ভূমিধসে আটকে প্রায় শতাধিক মানুষ। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। এনডিআরএফ-এর অতিরিক্ত দলকে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট সব দফতর এবং বিভাগকে উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে বৃষ্টির কারণে মাঝেমধ্যেই উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। 

গত কয়েক দিন ধরেই ভারী বর্ষণ হচ্ছে ওয়েনাড়ে। তবে মঙ্গলবার ভোরে বৃষ্টির জেরে ধস (Wayanad landslides) নামে ওয়েনাড়ে। ধসের খবর পেয়েই রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সঙ্গে উদ্ধারকাজে নামে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। মঙ্গলবার সকালে কেরলের রাজস্বমন্ত্রী কে রাজন জানিয়েছিলেন, আট জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে বেলা গড়ানোর সঙ্গে বাড়তে থাকতে নিহতদের সংখ্যা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী নিহতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৪৩-এ। এছাড়াও ধ্বংসস্তূপে আরও অনেকের চাপা পড়ে থাকার আশঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসন। ভারী বৃষ্টি এবং ধসের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওয়েনাড় জেলার মেপ্পাডি, মুন্ডাকাই এবং চুরাল মালা এবং নুলপুঝা।

বিপর্যয়ে আতকে পড়া মানুষদের জন্য জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করেছে। জরুরি সহায়তার জন্য চালু হয়েছে হেল্পলাইন নম্বরও। সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে তামিলনাড়ুর সুলুর থেকে বিমান বাহিনীর দুটি হেলিকপ্টার পাঠানো হয়। ভূমিধসে আহত ১৬ জনকে ওয়েনাডের মেপ্পাদির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও এই বিষয়ে নজর রাখছেন। তিনি বলেছেন, ওয়েনাড়ে ভূমিধসের (Wayanad landslides) পরে সমস্ত সম্ভাব্য উদ্ধার কাজ তৎপরতার সঙ্গে করা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে অর্থ সাহায্য দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে উল্লেখ্য, পরিস্থিতি যাতে আর খারাপ না হয় তার জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার ৫টি জেলায় রেড অ্যালার্ট জারি করেছে। যে জেলাগুলির জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে কাসারগোড, কন্নুর, ওয়েনাড়, কোঝিকোড় এবং মাল্লাপুরম। এসব জেলায় বাড়তি সতর্কতা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

Sweta Chakrabory | 15:47 PM, Tue Jul 30, 2024

National highway 10 affected: ব্যাপক ধসের মুখে সিকিমের 'লাইফলাইন'! বিপর্যস্ত যোগাযোগের পথ


নিউজ ডেস্ক: দুর্ভোগ পিছু ছাড়ছে না উত্তরবঙ্গে। শনিবার রাত থেকে একটানা বৃষ্টি চলছে ধুপগুড়ি-সহ ডুয়ার্সে। বৃষ্টি ও ঝড়ো হওয়ায় বিভিন্ন রাস্তায় উপরে পড়েছে গাছ। এদিকে একটানা বৃষ্টির জেরে জলস্তর বেড়েছে সমস্ত নদীতে। তিস্তায় জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা। আর এর ফলে বিপর্যয়ের মুখে শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং এবং সিকিম যাওয়ার ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। ধসের (Landslides in North Bengal) কারণে ওই রাস্তা দিয়ে যান চলাচল আপাতত বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। সংশ্লিষ্ট জাতীয় সড়কটি তিস্তা নদীর পার ধরে গিয়েছে। ওই অংশটি ক্রমশ বসে যাচ্ছে বলে খবর। 

এনএইচ১০ সিকিমের 'লাইফলাইন' হিসেবে পরিচিত। শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং এবং সিকিমের মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী এই সড়ক ধসের (National highway 10 affected) কারনে বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিপাকে পড়েন বহু মানুষ। প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের গেইলখোলার কাছে সেলফিধরায় ধস নেমেছে। নতুন করে কালিঝোরা এবং হনুমান ঝোরায় ধস নেমে পুরো রাস্তাটাই বসে গিয়েছে। ফলে বিকল্প রাস্তা হিসাবে সেবকের করোনেশন সেতু হয়ে ওদলাবাড়ি, ডামডিম, গরুবাথান, লাভা, লোলেগাঁও হয়ে কালিম্পং যাতায়াত করছে যানবাহন। সিকিম যাওয়ার জন্যও আপাতত ওই রাস্তার উপর নির্ভর করতে হচ্ছে।

জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জলপাইগুড়িতে বৃষ্টি হয়েছে ১৩৬ মিলিমিটার। অন্যদিকে রবিবার সকালেই গজল ডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে প্রায় ২৬০০ কিউমেকের বেশি জল ছাড়া হয়েছে। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে তিস্তার জল। দফায় দফায় প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত সিকিম ও কালিম্পং। একাধিক এলাকায় ধস (Landslides in North Bengal) নেমেছে। তবে প্রশাসন সূত্রে খবর, পাহাড়ে অতি বৃষ্টির ফলে ধসকবলিত যে সব এলাকা রয়েছে, সেখানকার রাস্তা ঠিকঠাক করার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

Sweta Chakrabory | 17:33 PM, Sun Jun 30, 2024
upload
upload