Sweta Chakra... | 13:57 PM, Tue Oct 08, 2024
RG Kar Hearing Breaking: আরজি কর মামলার শুনানি শুরু সুপ্রিম কোর্টে
Sweta Chakra... | 11:04 AM, Mon Sep 09, 2024
RG Kar BREAKING: সিল বন্ধ খামে আরজি কর কাণ্ডের তদন্তের রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই
Sweta Chakra... | 11:39 AM, Thu Aug 22, 2024
Buddhadeb Bhattacharjee: সকালে প্রাতঃরাশ সেরেই অসুস্থ, প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বয়স হয়েছিল ৮০
Sweta Chakra... | 11:47 AM, Thu Aug 08, 2024
Astra Mark 1: বিমান বাহিনীর অস্ত্র ভান্ডারে এবার দেশীয় দুরপাল্লার মিসাইল
Pankaj Kumar... | 16:58 PM, Wed Aug 07, 2024
RSS বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবি আরএসএসের
Pankaj Kumar... | 16:41 PM, Wed Aug 07, 2024
Paris Olympics 2024: প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছ ইতিহাস গড়লেন মানিকা বাত্রা, জাগালেন পদকের আশা
Pankaj Kumar... | 12:50 PM, Tue Jul 30, 2024
Amarnath Yatra: অমরনাথ যাত্রায় হামলার ছক, এবার খলিস্তানীদের ময়দানে নামাচ্ছে পাকিস্তান
Pankaj Kumar... | 18:35 PM, Sat Jul 27, 2024
Terrorist Attack: জঙ্গিদের ছবি প্রকাশ্যে এল, মাথার দাম পাঁচ লাখ টাকা
Pankaj Kumar... | 18:32 PM, Sat Jul 27, 2024
Meerut Police: নির্ভয়ার স্মৃতি ফিরল মেরঠে, গ্রেফতার হাসিন, শাহরুখ, একরামউদ্দিন এবং মহসিন
Pankaj Kumar... | 15:46 PM, Sat Jul 27, 2024
BJP Protest: “অন্য ধর্মে জন্মানো দুর্ভাগ্যের”, ফিরহাদের বিতর্কিত মন্তব্যে তোলপাড় বিধানসভা
Pankaj Kumar... | 15:23 PM, Sat Jul 27, 2024
Homeopathy Threat Culture: হোমিওপ্যাথিতেও কি ছড়িয়ে পড়েছে থ্রেট কালচার? সামনে এল চাঞ্চল্যকর অভিযোগ
নিউজ ডেস্ক: শুধু এমবিবিএস কলেজেই নয়, হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজেও ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে পড়েছে থ্রেট কালচার। ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট হোমিওপ্যাথি ফ্রন্টের তরফে আনা হল একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। কোথাও ফেল করা পড়ুয়াকে অনার্স পাইয়ে দেওয়ার চাপ, কোথাও আবার কলেজে ঢুকলেই মারধরের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। এমনকি হোম সেন্টারে পরীক্ষা নেওয়ার পিছনেও বড় দুর্নীতি (Homeopathy Threat Culture) জড়িয়ে রয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হল ফ্রন্টের তরফে।
আর জি কর মেডিক্যাল থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্য়াল। মেদিনীপুর মেদিনীপুর কলেজ থেকে কলকাতা মেডিক্য়াল কলেজ। রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালগুলি থেকে উঠছে একের পর এক থ্রেট কালচারের অভিযোগ। আর এই আবহেই, রাজ্যের একাধিক হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজেও উঠল 'থ্রেট কালচার'-এর রমরমার অভিযোগ।
এ প্রসঙ্গে, সরকারি হোমিওপ্য়াথি চিকিৎসক ফয়জুল হক বলছেন, 'আমার কলেজে ডিউটি থাকে। আমাকে বলছে তুমি যদি কালকে সকালে কলেজে আসো, তোমার যদি ক্ষমতা থাকে তুমি এসো। তোমাকে আমি মারব কলেজে আসলে।' একইসঙ্গে সরকারি জুনিয়র হোমিওপ্য়াথি চিকিৎসক কৌস্তভ রায়ের দাবি, 'বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের একটা থ্রেট কালচার (Homeopathy Threat Culture), একটা হুমকির কালচার। সমস্ত মেডিক্যাল কলেজগুলিতে এটা বিদ্যমান। শুধুমাত্র এমবিবিএস কলেজেই নয়। সোশালের নাম করে টাকা চাওয়া থেকে শুরু করে, বিভিন্ন অবস্থায় তাদের মতের বিরোধিতা যে মুহূর্তে করা হয়, সেই মুহূর্তে বিভিন্ন রকমের হুমকি দেওয়া হয়। বিভিন্ন বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করা হয়। মধ্যরাতে ফোন করে বিভিন্ন রকমের থ্রেট করা হয়েছে।'
এখানেই শেষ নয়, হোম সেন্টারে পরীক্ষা নেওয়ার পিছনেও বড় দুর্নীতি (Homeopathy Threat Culture) জড়িয়ে রয়েছে বলে উঠছে অভিযোগ। দিনের দিনে খাতা দেখে দেওয়া, ফেল করা পড়ুয়াকে পাশ করিয়ে দেওয়া, এমনকি ফেল করা পড়ুয়াকে অনার্স পাইয়ে দেওয়ার জন্য ক্রমাগত চাপ আসছে বলে অভিযোগ করেছেন হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজের আর এক চিকিৎসক মনসুর হাবিবুরউল্লা গাজি।
যদিও এ সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কাউন্সিলের সহ সভাপতি শ্যামলকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, ''যত কথা এখানে বলা হয়েছে প্রত্যেকটা ভুয়ো, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আরজি কর ঘটনাকে কেন্দ্র করে এরা ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছে।''
Threat culture: শাসক দলের মদতেই মেডিক্যাল কলেজে জারি থ্রেট কালচার! জানুন এই সংস্কৃতি সম্পর্কে
নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে (RG Kar Protest) পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তার মধ্যে একটা দাবি একটু অন্য রকম। সেটা হল ‘থ্রেট কালচার’ (Threat Culture) শেষ করতে হবে। বন্ধ করতে হবে ‘দাদাগিরি’। 'থ্রেট কালচার' বা 'হুমকি সংস্কৃতি'ঠিক ব়্যাগিং নয়। তার থেকেও মারাত্মক। মেডিক্যাল কলেজগুলিতে যে দাদাগিরি বা হুমকি দেওয়া হয় ডাক্তারির পড়ুয়াদের সেটাই হল 'থ্রেট কালচার' বা 'হুমকি সংস্কৃতি'।
হুমকি দিয়ে টাকা আদায় করা হয়। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল নিয়ন্ত্রণের রাখতে ও রাজ্যের শাসকদলের আনুগত্য পেতে একদল ডাকাবুকো ছাত্র এই 'থ্রেট কালচার' বা 'হুমকি সংস্কৃতি'র (Threat Culture) রাশ নিজের হাতে নিয়ে নিয়েছিল। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের কথা অনুযয়ী পাশ করিয়ে দেওয়া থেকে পছন্দের স্থানে কাজ পাওয়া সব কিছুতই হত টাকার বিনিয়ম। যারা টাকা দিতে রাজি হত না তাদের পরিণতি খুব একটা ভাল হয় না। ভয় দেখানো, মারধর করা, নাজেহাল করা, অপদস্থ করা- এসবই হল 'থ্রেট কালচার' বা 'হুমকি সংস্কৃতি'র অঙ্গ।
আর এই কালচারের (Threat Culture) সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের সকলরেই মাথায় রয়েছে শাসক দলের ছাতা। যে কারণে শিলিগুড়ি থেকে কলকাতা, মেদিনীপুর সর্বত্রই চলছে তৃণমূলের চিকিৎসক সংগঠনের ছত্রছায়ায় থাকা কোনও কোনও ‘দাদা’র দাদাগিরি। এই ‘দাদা’রা আবার নাড়া বেঁধে রেখেছেন তৃণমূলের ওপরতলার কোনও চিকিৎসক নেতার কাছে। তার জেরে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে কায়েম রয়েছে ‘থ্রেট কালচার’।
জুনিয়র ডাক্তার এবং ডাক্তারির ছাত্রদের একাংশের দাবি, ২০২০-’২১ সাল থেকে মেডিক্যাল কলেজে ‘দাদাগিরি’-র (Threat Culture) বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে থাকে। নানা অভিযোগ উঠতে থাকে। তাঁদের দাবি, এর পিছনে রয়েছে ‘আনুগত্য’ লাভের ইচ্ছা এবং ‘নিয়ন্ত্রণ’ করার চেষ্টা। রেজিস্ট্রেশন বাতিল থেকে আটকে দেওয়া -এমন হুমকিও দেওয়া হত জুনিয়র ডাক্তাররা। মোটকথা দিনের পর দিন একটি বড় চক্র তৈরি হয়েছিল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলিতে। রেহাই পেত না সিনিয়র ডাক্তাররাও। সিনিয়র ডাক্তারদের জন্য বরাদ্দ ছিল প্রোমোশন আটকে দেওয়া বদলি করে দেওয়ার হুমকি।
চিকিৎসকদের একাংশ আরও মনে করেন, দীর্ঘ দিন মেডিক্যাল কলেজগুলিতে নির্বাচন না হওয়ার কারণে জাঁকিয়ে বসেছিল থ্রেট কালচার। তাই মে়ডিক্যাল কলেজগুলিতে দ্রুত নির্বাচন করার দাবিও জানিয়েছে জুনিয়র ডাক্তাররা।
RG Kar Incident: মালদহে কাজে যোগ দিতে গিয়ে পড়ুয়াদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যাপক
নিউজ ডেস্ক: আশঙ্কায় সত্যি হল। স্বাস্থ্য দফতরের চিঠি নিয়ে কাজে যোগ দিতে গিয়ে পড়ুয়াদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়লেন আরজি করের (RG Kar Incident) চেস্ট মেডিসিনের বিভাগের প্রাক্তন প্রধান অরুণাভ দত্ত চৌধুরী। আরজি করে চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুন-কাণ্ডে যে ক’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের মধ্যে চেস্ট মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অরুণাভ দত্ত চৌধুরী অন্যতম ৷ ওই ঘটনায় জনরোষের আঁচ পেয়ে বাকি অভিযুক্তদের সঙ্গে তাঁকেও তড়িঘড়ি বদলি করে দেওয়া হয়৷ ৩১ অগস্টের মধ্যে অরুণাভকে মালদা মেডিক্যালে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেয় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর৷ ওই নির্দেশিকা জারির পর থেকেই অরুণাভর কোনও খোঁজ মিলছিল না৷
অবশেষে এ দিন তিনি মালদা মেডিক্যালে কাজে যোগ দিতে আসেন৷ কিন্তু এদিন অরুণাভকে দেখে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে মালদহ মেডিক্যালের পড়ুয়ারা। তাদের সাফ কথা, 'ওনার বিরুদ্ধে এক ডাক্তারি ছাত্রী খুনের ঘটনায় (RG Kar Incident) নানা অভিযোগ সামনে আসছে। এই ধরনের অভিযোগ থাকা অধ্যাপক-চিকিৎসক এখানে এলে হাসপাতালের পরিবেশ নষ্ট হতে পারে। আমরা কোনও অবস্থাতেই ওনাকে মেনে নেব না।' ঘটনার খবর পেয়ে মেডিক্যালে চলে আসে স্থানীয় ইংরেজবাজার থানার পুলিশ বাহিনী৷ পুলিশের উপস্থিতিতে ছাত্র বিক্ষোভ বড়সড় আকার নিতে পারেনি৷
যদিও অধ্যাপকের এই বদলির বিষয়টি জানতে পারার পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছিল মালদহ মেডিক্যালের পড়ুয়ারা। সেদিন থেকেই তাঁরা স্বাস্থ্য ভবনের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছিলেন। পড়ুয়ারা এদিনও সাফ জানিয়েছেন, 'জেলার মেডিক্যাল কলেজ মানে তো ডাস্টবিন নয়, যে যাঁকে তাঁকে এখানে পাঠিয়ে দেবে আর আমরা মেনে নেব।' আর পড়ুয়াদের এই কথাতে বোঝাই গিয়েছিল আরজি করের ওই অধ্যাপকের কাজে যোগ দেওয়া খুব সহজ হবে না। বৃহস্পতিবার সেই প্রমাণই মিলল।
এ ব্যাপারে মালদহ মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতীম মুখোপাধ্যায় বলেন, “জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।" তবে এব্যাপারে আরজি করের চেস্ট মেডিসিনের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান অরুণাভ দত্ত চৌধুরীর কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
RG Kar Incident:
নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামল কলকাতা। সোমবার কলেজ স্কোয়্যার থেকে একটি মিছিল করে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের (RG Kar Incident) উদ্দেশে হাঁটলেন কলকাতার বিশিষ্ট নাগরিক থেকে শুরু সাধারণ মানুষ। আজ, মঙ্গলবার বিকেল ৪টে থেকে শুরু হবে ‘ধিক্কার পদযাত্রা’। প্রতিবাদ মিছিলে (Protest Rally) হাঁটার কথা রয়েছে অপর্ণা সেন, সোহিনী সেনগুপ্ত, পল্লব কীর্তনীয়া, মীরাতুন নাহার, সুজাত ভদ্র-সহ শহরের বিশিষ্টজনদের। সময় গড়াচ্ছে যত, ততই তীব্র হচ্ছে আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলন। ডাক্তারি পড়ুয়াদের আন্দোলন এবার ছড়িয়ে পড়ল স্কুলের চৌহদ্দিতেও।
মঙ্গলবার, শ্যামবাজার নেতাজি মূর্তির পাদদেশ থেকে শুরু হবে মিছিল। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেটের সামনে গিয়ে মিছিল শেষ হওয়ার কথা। আরজি করের আন্দোলনকারী (RG Kar Incident) চিকিৎসকরা সন্দেহ করছেন, এই ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারেন। তাঁদের সেই সন্দেহের কথা উড়িয়ে দেননি পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলও। পুলিশের তরফে একটি হেল্পলাইন নম্বরের কথা জানিয়েছেন তিনি। আন্দোলনকারীদের কাছে তিনি অনুরোধ করেছেন, যদি তাঁদের কারও উপর সন্দেহ থাকে, সেটা যেন পুলিশকে জানানো হয়। আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মেডিক্যাল পড়ুয়ারা তো বটেই আন্দোলনে সামিল হন অন্য কলেজের পড়ুয়ারাও। এমনকী, দেখা যায় দিদিমণিদের পাশে নিয়ে মিছিলে হাঁটছে স্কুলের পড়ুয়ারাও। বাগবাজার থেকে স্কুল পড়ুয়াদের মিছিলও পৌঁছে গেল আরজি কর হাসপাতালে।
মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যু ঘিরে প্রতিবাদ, আন্দোলনের ঝাঁজ ক্রমেই বাংলার সীমানা ছাপিয়ে অন্য রাজ্যগুলিতেও পৌঁছে গিয়েছে। দিল্লি, মুম্বই, লখনউ, কর্নাটক-সহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। দিল্লি এইমসের সামনেও পোস্টার হাতে আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে শামিল হতে দেখা গিয়েছে চিকিৎসকদের। সোমবার আরজি করের (RG Kar Incident) সামনে নাগরিক মিছিল (Protest Rally) আটকে দেয় পুলিশ। কলকাতার রাস্তায় ইতিমধ্যেই প্রতিবাদে শামিল হতে দেখা গিয়েছে কৌশিক সেন, ঋদ্ধি সেন, চৈতি ঘোষাল, বোলান গঙ্গোপাধ্যায়দের। আন্দোলনকারীদের সুরেই মিছিলে যোগ দেওয়া সমাজকর্মীরা দাবি তোলেন, অবিলম্বে সমস্ত ঘটনা প্রকাশ্যে আনতে হবে। যাঁরা এর জন্য দায়ী, তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করতে হবে। পরিবেশ উত্তপ্ত বুঝেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রবিবারের মধ্যে তদন্তের কিনারা না হলে সিবিআই-এর হাতে তদন্তভার তুলে দেবেন তিনি। কিন্তু এতদিন আরজি করে যে অরাজকতা চলছিল সে বিষয়ে নীরবই থেকেছেন মমতা।
Doctors Organization: নির্ভয়া কাণ্ডের চেয়েও নৃশংস! কর্মস্থলেও নিরাপদ নন মহিলা চিকিৎসকরা
নিউজ ডেস্ক: আরজি করের (RG Kar Medical) কতর্ব্যরত ডাক্তারি পড়ুয়াকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় তোলপাড় সারা দেশের চিকিৎসক সংগঠন (Doctors Organization)। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে অবিলম্বে সারা দেশের প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা আইন লাগু করার দাবি জানিয়েছিল ন্যাশনাল মেডিক্য়াল অর্গানাইজেশন। ঘটনার (RG Kar Medical) প্রতিবাদে সোমবার থেকে দেশজুড়ে আন্দোলনের ডাক দিল ফেডারেশন অফ রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন। সোমবার দেশের হাসপাতালগুলিতে একাধিক পরিষেবা বন্ধ রেখেছে এই সংগঠন। জানানো হয়েছে, ‘ইলেক্টিভ সার্ভিস’ অর্থাৎ জরুরি নয় এমন অস্ত্রোপচার-সহ বিভিন্ন পরিষেবা, বন্ধ রাখা হয়েছে।
ফেডারেশন অফ রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের চিকিৎসকদের (Doctors Organization) মতে, দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের চেয়েও এই ঘটনা নৃশংস। তাঁদের কথায়, আরজি করে (RG Kar Medical) যা ঘটল, তারপরে তো চিকিৎসকদের কাছে তাঁদের কর্মস্থলও নিরাপদ নয়। আরজি করের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন চণ্ডীগড়ের চিকিৎসকরা। সারা দেশের চিকিৎসক সংগঠনগুলির অভিযোগ, এ ঘটনা রাতারাতি ঘটেনি। দীর্ঘদিন ধরেই নিরাপত্তায় গলদ ছিল
নির্বাচিত পরিষেবা, যা জরুরি নয় এবং অগ্রাধিকারমূলক চিকিৎসার আওতায় পড়ে না, সেগুলি এই ধর্মঘটের অংশ হিসাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। এই ধর্মঘটের নেতৃত্ব দিচ্ছে ফেডারেশন অফ রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (FORDA), যারা সোমবার থেকে সারা দেশে নির্বাচিত পরিষেবা বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছে। চিকিৎসকরা তাদের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রককে জানিয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ ও ন্যায়বিচারের আর্জি জানানো হয়েছে।
সংগঠনের তরফে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে দেওয়া চিঠিতে পাঁচটি মূল দাবি জানানো হয়েছে— চিকিৎসকদের দাবিগুলি গ্রহণ, দায়িত্বশীল সমস্ত কর্তৃপক্ষের পদত্যাগ (যার মধ্যে আছেন প্রিন্সিপাল, ডিন, পালমোনারি মেডিসিনের প্রধান, এবং আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের (RG Kar Medical) পুলিশ আউটপোস্টের এএসপি), পুলিশি নির্যাতনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ, মৃত চিকিৎসকের জন্য দ্রুত ন্যায়বিচার, এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা প্রোটোকল প্রবর্তন। এছাড়াও, একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের দাবি জানানো হয়েছে।
দিল্লিতে অন্তত ১০টি সরকারি হাসপাতাল, যার মধ্যে রয়েছে আরএমএল হাসপাতাল, সাফদারজং হাসপাতাল এবং মৌলানা আজাদ মেডিক্যাল কলেজ, এই ধর্মঘটে যোগ দিয়েছে এবং সমস্ত বহির্বিভাগ, অপারেশন থিয়েটার এবং ওয়ার্ড পরিষেবা স্থগিত রেখেছে। তবে জরুরি পরিষেবা অব্যাহত রয়েছে।
মহারাষ্ট্রে, মহারাষ্ট্র অ্যাসোসিয়েশন অফ রেসিডেন্ট ডক্টরস (BMC MARD) ১৩ অগাস্ট মঙ্গলবার থেকে নির্বাচিত পরিষেবা স্থগিত রাখার কথা জানিয়েছে। কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের (RG Kar Medical) চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়ে চণ্ডীগড় এবং লখনউ সহ অন্যান্য শহরেও বিক্ষোভ লক্ষ্য করা গিয়েছে।
এ রাজ্যেও বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে কর্মবিরতি পালন করেন চিকিৎসকরা। কল্যাণী এইমস থেকে শুরু করে কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে প্রবল প্রতিবাদে সামিল হন জুনিয়র ডাক্তাররা।
CBI in NEET: যে আবাসনে সাংসদ খুন, সেখানেই নিট কাণ্ডে সিবিআই
নিউজ ডেস্ক: যেই আবাসনে বাংলাদেশের সাংসদ খুন হয়েছিলেন সেই আবাসনেই এবার সিবিআইয়ের হানা। তবে সাংসদ খুন কাণ্ডে নয়, নিট প্রশ্নপত্র ফাঁস কাণ্ডে অভিযুক্ত অমিত কুমারের নিউটাউনের ফ্ল্যাটে এদিন হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ঝাড়খন্ডের বাসিন্দা অমিতের নিউটাউনের সঞ্জিবা গার্ডেনে ফ্ল্যাট রয়েছে। বুধবার দুপুরে তল্লাশি চালায় সিবিআই।
নিট কাণ্ডের কলকাতা যোগ
সিবিআই সূত্রের খবর, নিট প্রশ্নপত্র ফাঁস কাণ্ডে ঝাড়খণ্ড থেকে ধৃত পাঁচজনকে জেরা করে অমিত কুমারের নাম জানতে পারেন তদন্তকারীরা। সেই সূত্রেই এদিনের তল্লাশি অভিযান। তদন্তকারীরা মনে করছেন, অমিতের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে নিটের প্রশ্নফাঁস কাণ্ডের একাধিক তথ্য মিলতে পারে। যদিও ফ্ল্যাটটি তালাবন্ধ ছিল। সেই তালা ভাঙতে সিবিআই আধিকারিকেরা এক জন চাবিওয়ালাকেও নিয়ে যান। নিটের প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় ইতিমধ্যেই বিহার, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাট থেকে বেশ কয়েক জন গ্রেফতার হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত এই কাণ্ডে ৩৩ জন গ্রেফতার হয়েছেন। ২২ জুন সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়। তদন্তভার হাতে পাওয়ার পর বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং মহারাষ্ট্র থেকে মোট সাত জনকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। ধৃতদের জেরা করে এই প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় দুই চক্রীর নাম উঠে এসেছে। তাঁদের মধ্যে সিকন্দর যাদব আগেই গ্রেফতার হয়েছেন। অন্য চক্রী সঞ্জীব মুখিয়ার এখনও হদিস পায়নি সিবিআই। সূত্রের খবর, এই সঞ্জীবই প্রশ্নফাঁসকাণ্ডের মূল চক্রী। তদন্তে জানা গিয়েছে, সঞ্জীব বেশ কয়েকটি রাজ্যে নিয়মিত যাতায়াত করতেন। উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে তাঁর নিয়মিত যাতায়াত ছিল।
হাজারিবাগ থেকে প্রশ্ন ফাঁস
নিটের প্রশ্ন প্রথমবার ফাঁস হয়েছিল হাজারিবাগের একটি প্রস্তুতি সেন্টার থেকে। সেখান থেকেই অন্যান্যদের হাত ধরে তা বাকি জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। একেকটি প্রশ্ন পত্র বিক্রি হয়েছিল ৩৫-৪০ লক্ষ টাকায়। সিবিআই মনে করছে এই ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে নথি পেতে পারে। সেই কারণেই এই তল্লাশি অভিযান।প্রসঙ্গত এই সঞ্জীবা গার্ডেনের একটি ফ্ল্যাটেই খুন হয়েছিলেন বাংলাদেশের ঝিনাইদহের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম। সেই আবসনেই বুধবার নিট কাণ্ডে সিবিআই হানা দিল।
National Medical College Hospital: রোগী ও তাঁর পরিবারকে বেধড়ক মারধর ন্যাশনাল মেডিক্যাল হাসপাতালে
নিউজ ডেস্ক: ব্যথা কেন সারছে না? প্রশ্ন করায় প্রথমে অবাঞ্ছিত ব্যবহার ও পরে রোগী তাঁর পরিবারকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (National Medical College Hospital) । অভিযোগ করতে গেলে এফআইআর না নেওয়ার অভিযোগ খোদ পুলিশের বিরুদ্ধেই। দোষীদের শাস্তি দাবি করেছে আক্রান্ত পরিবার। খাস কলকাতায় (Kolkata) হাসপাতালের মধ্যেই রোগী ও তাঁর পরিবারকে লাঠিপেটা করার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে।
পুলিশের উপর লাঠিচার্জের অভিযোগ (National Medical College Hospital)
এক রোগীকে ইনজেকশন দেওয়া ঘিরে বচসার সূত্রপাত। কলকাতার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (National Medical College Hospital) বাইরে বিক্ষোভ দেখান রোগীর আত্মীয়রা। সংশ্লিষ্ট রোগীর পরিবারের সদস্যদের উপরে বেধারক লাঠিচার্জ করার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনায় হুলস্থুল পড়ে যায় ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ চত্বরে। লাঠিচার্জের ভিডিও ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এনেছেন রোগীর আত্মীয়রা। হাসপাতালে সুপারের কাছে এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। রোগীর শাহনওয়াজ বেগম জানিয়েছেন তিনি রবিবার বুকে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে দুপুর বারোটা নাগাদ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে এসেছিলেন। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে দেখে বুকে ব্যথার একটি ইনজেকশন লিখে দেন। হাসপাতালে দু-বার ইনজেকশন দেওয়ার পর তৃতীয়বার ইনজেকশন দেওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর তাঁর বুকের ব্যথা কমার বদলে আরও বেড়ে যায়। বারংবার ইনজেকশন দেওয়ার পরেও কেন ব্যথা বেড়ে যাচ্ছে, জিজ্ঞাসা করায় নার্স এবং হাসপাতালের অন্যান্য কর্মীরা দুর্ব্যবহার শুরু করেন বলে অভিযোগ। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে হাজির হয় পুলিশ এবং কয়েকজন সিভিক ভলেন্টিয়ার। অভিযোগ তাঁদের টেনে হিঁচড়ে জরুরী বিভাগ থেকে বের করে দেওয়া হয় এবং গালিগালাজ করা হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ তুলেছেন রোগী এবং তাঁর আত্মীয়রা। এরপর হাসপাতাল চত্বরে তাঁকে এবং তাঁর স্বামীকে বেধড়ক মারধর করে পুলিশ।তাঁর ছেলেকেও লাঠির বাড়ি মারা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার ভিডিও তুলে রাখলে পুলিশ মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। ভিডিও করতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই রোগীর পরিবার যে ভিডিও প্রকাশ্যে এনেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে পুরুষ পুলিশকর্মী লাঠির বাড়ি মারছেন এক ব্যক্তিকে।তাঁকে বাঁচাতে মহিলারা এগিয়ে গেলে তাঁদের লাঠির আঘাত লাগে।
পুলিশের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ার অভিযোগ
রোগীর পরিবারের আরও অভিযোগ তাঁরা বিষয়টি নিয়ে থানায় গিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাঁদের অভিযোগ গ্রহণ না করে ফিরিয়ে দিয়েছে। এমনকি এফআইর তো দুর-অস্ত জিডিও নেওয়া হয়নি। রোগীর ছেলে মোহাম্মদ শাহাদাত বলেন,“আমরা থানায় গিয়েছিলাম। লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু অভিযোগ নেওয়া হয়নি। উল্টে আমাদের একটা কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছে। আমাকে, আমার মা, বাবা সকলকে মারধর করা হয়েছে। সাহায্যের জন্য আমরা আত্মীয়দের হাসপাতালে ডাকি। পুলিশ তাঁদের সাথেও খারাপ আচরণ করে। আমরা ওই পুলিশের শাস্তি চাই। হাসপাতালের(National Medical College Hospital) সিসি ক্যামেরা দেখলেই বোঝা যাবে আমরা কিছুই করিনি। তা সত্ত্বেও আমাদের মারধর করা হয়েছে।” পাল্টা পুলিশের দাবি, রোগী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা হাসপাতাল চত্বরে চেঁচামেচি জুড়ে দিয়েছিলেন। তাই তাঁদের শান্ত হতে বলা হয়। কিন্তু ওরা কর্তব্যরত পুলিশের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। পরিস্থিতি সামলাতে ব্যবস্থা নেয় পুলিশ।