Friday, September 20, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

meteorology

Weather Forecast: সকাল থেকে আকাশের মুখ ভার, ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি আসছে কিছুক্ষণেই

নিউজ ডেস্ক: সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার হাওড়া (Howrah), হুগলী, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় আকাশ সকাল থেকেই মেঘলা (Cloudy Weather)। শহর ও শহরতলীর একাধিক জায়গায় হয়েছে বজ্রবিদ্যুৎসহ (Thunderstorm) বৃষ্টি (rain)। শেষ কয়েকদিনের তীব্র গরমে যে অস্বস্তি অনুভূত হয়েছিল তা থেকে অনেকটাই রেহাই মিলল রবিবারের সকালে। তবে সব জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে এমনটা নয়। দক্ষিণবঙ্গে পূর্বাভাস রয়েছে রবিবার বিকেল ও রাতের দিকে বজ্রবিদ্যুৎ সহ মুষলধারে বৃষ্টি হতে পারে।

 

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে রবিবার দক্ষিণবঙ্গের সাতটি জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। বিকেলের দিকে কালবৈশাখী ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে যদিও রবিবার সকালবেলায় গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গে ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হয়েছে ব্যারাকপুর (Barrackpore) শিল্পাঞ্চল হুগলী (Hooghly) জেলায় তুলনামূলকবেশি বৃষ্টি হয়েছে এদিন সকালে। অন্যান্য জায়গায় মেঘলা সকালে যেন সন্ধ্যার আমেজ। হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার(North & South 24 Pargana) বেশ কিছু অঞ্চলে দুই থেকে তিন ঘন্টার মধ্যে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড় বৃষ্টি হতে পারে মাঝারি গতিবেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে। একই পূর্বাভাস রয়েছে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাগ্রাম, বীরভূম পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে

এক সপ্তাহ ধরে কলকাতা ও শহরতলীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি ঘোরাফেরা করছিল। তীব্র দহনে নাজেহাল অবস্থা ছিল শহরবাসীর পশ্চিমের জেলাগুলিতেও তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি ছুঁয়ে ফেলেছিল যার জেরে লাল মাটির দেশেও সকাল ১০টার পর দৈনন্দিন কাজকর্ম করা কষ্ট হয়ে দাঁড়িয়েছিল আবহাওয়া দপ্তরের অনুমান বৃষ্টির জেরে রবিবার ও সোমবার সাতটি জেলার তাপমাত্রা দুই থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যেতে পারে। ফলে কিছুটা হলেও তীব্র দহন জ্বালা থেকে মুক্তি মিলবে। উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রাও কিছুটা নেমে যেতে পারে বলে অনুমান করছে আবহাওয়া দপ্তর। যদিও মঙ্গলবার এর পর ফের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার ইঙ্গিত রয়েছে।

 

 

Editor | 13:36 PM, Sun Apr 07, 2024

Jalpaiguri tornado: ত্রাণেও আমরা ওরার অভিযোগ জলপাইগুড়িতে!

নিউজ ডেস্ক: রবিবার ঝড়ের পর মুখ্যমন্ত্রী তড়িঘড়ি জলপাইগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেও এখনও সকলের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা হয়নি বলে অভিযোগ। বাছাই করা লোকেদের ত্রান দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। ত্রাণের ক্ষেত্রে পছন্দের মুখ না হলে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

প্রসঙ্গত জলপাইগুড়িতে কয়েক মিনিটের ঝড়ে বিপর্যস্ত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। অথচ ত্রাণ এসেছে মাত্র ৮০০ জনের জন্য। স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ বাড়ছে এলাকায়। জানা গিয়েছে জলপাইগুড়ির বার্নিশের কালীবাড়ি এলাকায় ত্রাণ দিতে পৌঁছেছিলেন জেলাশাসক শামা পারভিন। জেলাশাসকের উপস্থিতিতে কয়েকজনকে ত্রাণ দেওয়া হলেও বাকিদের ফিরে যেতে হয়েছে খালি হাতেই।

বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের বক্তব্য, “যেটুকু ত্রাণ দেওয়া সম্ভব তা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ আসলে আগামী দিনে আরো মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছে দেওয়া হবে।” রবিবার কয়েক মিনিটের ঝরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ ক্ষতিগস্ত হয়েছেন। শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। চারজনের মৃত্যু হয়। প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং আধিকারিকদের ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তার পরেও সকল ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য দেওয়া সম্ভব হয়নি। অনেকেই খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছেন। কারও বাড়ির ছাদ উড়ে গিয়েছে। কারো ভেঙেছে দেওয়াল। কারো আবার গোটা ঘরটাই ঝড়ের গ্রাসে উধাও হয়ে গেছে। বহু এলাকায় খাওয়ার জলের ব্যবস্থাটুকু নেই। মুখ্যমন্ত্রী নিজে তড়িঘড়ি উড়ে গেলেও পরিদর্শন ছাড়া আর কী কাজ হয়েছে জানতে চান জলপাইগুড়ি মানুষ।

এদিকে ত্রাণ বণ্টন নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, “যাদের ক্ষতি হয়নি তারা সাহায্য পাচ্ছে। অথচ যাদের ক্ষতি হয়েছে তাদের কপালে কিছুই জুটছে না। মুখ্যমন্ত্রী এসে দেখে যান এখানে কী চলছে।” প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ৮০০ জনের জন্য ত্রাণ এসেছে তবে আগামীতে আরও বহু মানুষের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করা হবে বলে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে। জলপাইগুড়ির দক্ষিণ সুকান্ত নগরে ত্রাণ দিতে গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়ে যান বিডিও অফিসের কর্মীরা। সেখানে শতাধিক মানুষ ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও মাত্র ছয়জনের জন্য ত্রাণ নিয়ে পৌঁছেছিলেন বিডিও অফিসের কর্মীরা। স্বাভাবিকভাবেই স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয় যা আছড়ে পড়ে বিডিও অফিসের কর্মীদের উপরে।

ত্রাণের দাবিতে রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে বিক্ষোভ দেখায় এবং পথ অবরোধ করে স্থানীয় গ্রামবাসীরা। তাদের অভিযোগ প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার রাতে প্রশাসনকে বলেছিলেন, “কেউ যেন বঞ্চিত না হয়। ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেককে যেন সরকারি সাহায্য পৌঁছে দেওয়া হয়। অথচ তার আমলারা সরকারি সাহায্যে কার্পণ্য করছেন বলে অভিযোগ উঠছে।”

প্রসঙ্গত জলপাইগুড়ি জেলায় ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ চরম অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন। তাদের ফসল বরবাদ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘর বাড়ি। স্বাভাবিকভাবেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে তাদের। কিন্তু প্রশাসনের কোনো হেলদোল নেই বলেই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

অন্যদিকে জলপাইগুড়িতে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজ, “তার অভিযোগ প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা সরকারি সাহায্য পাচ্ছে না। সরকারি সাহায্যের ক্ষেত্রে মুখ দেখে সাহায্য দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ যারা দায়িত্বে রয়েছেন তাঁরা পছন্দের মানুষদের ত্রাণ এবং সরকারি সাহায্য পৌঁছে দিচ্ছেন এমনটাই অভিযোগ বিজেপি সাংসদের। তিনি রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখবেন বলে জানিয়েছেন।

Sweta Chakrabory | 15:37 PM, Wed Apr 03, 2024
upload
upload