Wednesday, October 23, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

mewat

Nuh Police arrests 42 cyber criminals: সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে নয়া নজির গড়ল নুহ পুলিশ

নিউজ ডেস্ক:  পুলিশের পাতা ফাঁদে ধরা পড়ল ৪২ জন সাইবার অপরাধী। দেশব্যাপী সাইবার জালিয়াতির মামলার বিষয়ে দুই দিনে নুহ, মেওয়াতের(mewat) বিভিন্ন অংশ থেকে ৪২ জন সাইবার অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে দ্বীন মোহাম্মদ, আসিফ, আরিফ, সরফরাজ, সাকিব, ইজাজ, মুনাজির প্রমুখ। শনিবার থেকে এই অভিযান শুরু হয়ে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে। অভিযানের সময়, অভিযুক্তদের কাছ থেকে মোট ৫০ টি সেলফোন, জাল আধার কার্ড(fake adhar card), জাল নথি সহ  ৯০ টিরও বেশি সিম কার্ড, নগদ টাকা এবং বেশ কয়েকটি এটিএম কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইপিসি ধারা ৪১৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮এবং ৪৭১ এর অধীনে ১৮টিরও বেশি মামলা দায়ের করেছে। গত বছর এপ্রিলের পর সাইবার অপরাধীদের বিরুদ্ধে এটাই সবচেয়ে বড় অভিযান। এর আগে, প্রায় ৫,০০০ পুলিশ একটি অভিযানে ১৪ টি গ্রাম থেকে ৬৬ জন সাইবার অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছিল । 

এই গ্রেফতারির একটি বিশদ বিবরন দিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছে নুহ পুলিশ(nuh police), আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ইন্টিগ্রেটেড সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টারের (i4C) প্রতিবিম্ব পোর্টালের(protibimb portal) সহায়তায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্তদের। পোর্টালটি এ বছর চালু হয়েছে। এটি মূলত সন্দেহভাজন প্রতারকদের সিম এবং আইএমইআই নম্বর রিয়েল-টাইম ভিত্তিতে প্লট করে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি থেকে সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করতে সাহায্য করে৷

 রাজ্যের পুলিশ প্রধান শত্রুজিৎ কাপুর বলেছেন যে," প্রতিবিম্ব পুলিশকে রাজ্য জুড়ে ৫৯৪ টি সাইবার জালিয়াতির অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দিয়েছে। এই ব্যক্তিদের মধ্যে, ১০১(১৮%) রাজস্থানের নুহ এবং পার্শ্ববর্তী শহর আলওয়ারের আশেপাশে অবস্থিত ছিল। সন্দেহভাজনদের রিয়েল-টাইম অবস্থানের ডেটা এবং তাদের ফোন নম্বরগুলি স্থানীয় পুলিশ এবং পঞ্চকুলায় অবস্থিত সাইবার ক্রাইম কেন্দ্রের সাথে ভাগ করা হয়েছিল।"  শত্রুজিৎ কাপুর এ বিষয়ে আরও জানিয়েছেন, “তাদের কাছ থেকে একাধিক সিম কার্ড এবং জাল আধার কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। তারা কতগুলি মামলায় জড়িত ছিল তা খুঁজে বের করতে তাদের বিবরণ I4C এর সাথে সংরক্ষিত ডেটার সাথে মেলানো হবে।” 

 জানা গেছে অভিযুক্তরা ভুয়া বিজ্ঞাপন(fake advertisement), জাল চাকরির(fake job) প্রস্তাব সহ বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করত। নুহ পুলিশের মুখপাত্র, কিশান কুমার বলেছেন যে যুবকরা বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে লোকেদের টার্গেট করত, যেমন ভিডিও কলের সময় তোলা ছবিগুলিকে অসৎ ভাবে জাল বিজ্ঞাপন দিতে ব্যবহার করত। তিনি আরও বলেন, তাদের মধ্যে কেউ কেউ যৌন নির্যাতনের সাথে জড়িত ছিল, অন্যরা লোভনীয় রিটার্নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে লোকেদের ঠকানো হত।”

নুহ পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট, নরেন্দ্র বিজার্নিয়া সাইবার অপরাধীদের জন্য কঠোর সতর্কতা জারি করেছেন। তিনি সাইবার অপরাধীদের(cyber criminal) সাইবার ক্রাইম বন্ধ করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন যে তারা যদি পুলিশের সতর্কবার্তা না মানে তাহলে, "নুহ পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোঠর ব্যবস্থা নেবে"।সাইবার ক্রাইম থানার এসএইচও, ইন্সপেক্টর বিমল রাই জানিয়েছেন যে সমস্ত থানার ম্যানেজার/অফিসার, সিআই ইউনিট/স্টাফ এবং নুহ সাইবার পুলিশের পৃথক দল সাইবার অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেছে। পাশাপাশি পুলিশ দৃঢ়ভাবে জানিয়েছে এই জালিয়াতির সাথে যুক্ত আরও অপরাধীদের ধরতে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Sweta Chakrabory | 12:11 PM, Tue Apr 02, 2024
upload
upload