Sweta Chakra... | 13:57 PM, Tue Oct 08, 2024
RG Kar Hearing Breaking: আরজি কর মামলার শুনানি শুরু সুপ্রিম কোর্টে
Sweta Chakra... | 11:04 AM, Mon Sep 09, 2024
RG Kar BREAKING: সিল বন্ধ খামে আরজি কর কাণ্ডের তদন্তের রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই
Sweta Chakra... | 11:39 AM, Thu Aug 22, 2024
Buddhadeb Bhattacharjee: সকালে প্রাতঃরাশ সেরেই অসুস্থ, প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বয়স হয়েছিল ৮০
Sweta Chakra... | 11:47 AM, Thu Aug 08, 2024
Astra Mark 1: বিমান বাহিনীর অস্ত্র ভান্ডারে এবার দেশীয় দুরপাল্লার মিসাইল
Pankaj Kumar... | 16:58 PM, Wed Aug 07, 2024
RSS বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবি আরএসএসের
Pankaj Kumar... | 16:41 PM, Wed Aug 07, 2024
Paris Olympics 2024: প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছ ইতিহাস গড়লেন মানিকা বাত্রা, জাগালেন পদকের আশা
Pankaj Kumar... | 12:50 PM, Tue Jul 30, 2024
Amarnath Yatra: অমরনাথ যাত্রায় হামলার ছক, এবার খলিস্তানীদের ময়দানে নামাচ্ছে পাকিস্তান
Pankaj Kumar... | 18:35 PM, Sat Jul 27, 2024
Terrorist Attack: জঙ্গিদের ছবি প্রকাশ্যে এল, মাথার দাম পাঁচ লাখ টাকা
Pankaj Kumar... | 18:32 PM, Sat Jul 27, 2024
Meerut Police: নির্ভয়ার স্মৃতি ফিরল মেরঠে, গ্রেফতার হাসিন, শাহরুখ, একরামউদ্দিন এবং মহসিন
Pankaj Kumar... | 15:46 PM, Sat Jul 27, 2024
BJP Protest: “অন্য ধর্মে জন্মানো দুর্ভাগ্যের”, ফিরহাদের বিতর্কিত মন্তব্যে তোলপাড় বিধানসভা
Pankaj Kumar... | 15:23 PM, Sat Jul 27, 2024
Mithun Chakraborty: 'দাদাসাহেব ফালকে' সম্মান পেলেন মিঠুন, পুরস্কার পেয়ে আবেগঘন 'ডিস্কো ডান্সার'
নিউজ ডেস্ক: অবশেষে এল সেই দিন। ৭০তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে দাদাসাহেব ফালকে সম্মানে সম্মানিত হলেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। এদিন মঞ্চে দাঁড়িয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন মিঠুন। নাম ঘোষণা হয়েছিল আগেই। গত ৩০ সেপ্টেম্বর, অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) নিজের এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করে জানান সিনেমায় অনন্য অবদানের জন্য 'দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার' পাচ্ছেন মিঠুন চক্রবর্তী।
মঙ্গলবার ছিল সেই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। বিজ্ঞান ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, নিজের হাতে করে পুরস্কার তুলে দেন শিল্পীদের হাতে। এদিন তাঁর ওপর তৈরি 'শো-রিল' দেখতে গিয়ে নিজের চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি মিঠুন চক্রবর্তী। ক্যামেরায় ধরা পড়ল, তাঁর (Mithun Chakraborty) আবেগঘন মুহূর্ত।
হাতে পেয়েছেন চোট, ভেঙেছে হাড়। তা সত্ত্বেও সশরীরে উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে। বয়সের ভারও শরীরে স্পষ্ট। কোনও রকমে উঠে দাঁড়িয়ে এগিয়ে গেলেন মঞ্চের দিকে। যদিও তাঁর (Mithun Chakraborty) স্পিরিট দেখার মতো, এখনও শেখার মতো। রাষ্ট্রপতির হাত থেকে গ্রহণ করলেন তাঁর পুরস্কার। নিয়ম মতো পোজ দিলেন ছবির জন্য।
এদিন মঞ্চে তাঁর বক্তৃতায় উঠে আসে ইন্ডাস্ট্রিতে স্ট্রাগলের সেই দিনগুলো। ত্বকের রং কালো হওয়ায় একটা সময় প্রচুর অপমানের সম্মুখীন হতে হয়েছে অভিনেতাকে। সেই মুহূর্তগুলো কাটিয়ে উঠতে পেরেছিলেন বলেই তিনি মনে করেন এই সম্মানের মঞ্চে দাঁড়াতে পেরেছেন। মানুষ ভালোবেসেছেন তাঁকে। অভিনেতার কথায়, ‘প্রথম জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর আমারও (Mithun Chakraborty) মাথা ঘুরে গিয়েছিল। খালি মনে হতো খুব বড় কিছু হয়তো কিছু করে ফেলেছি। নিজেকে আল পাচিনো ভাবতে শুরু করেছিলাম। ছবির জন্য কথা বলতে গিয়ে নানা ধরনের অঙ্গভঙ্গি করতাম। একদিন এক প্রযোজক আমায় ভাগিয়ে দিয়েছিল এইসব হাবভাব দেখে। সেদিন বুঝতে পেরেছিলাম কত বড় ভুল করছি।’
কেবল বাংলা বা হিন্দি নয়, একাধিক ভাষায় মহাগুরুর (Mithun Chakraborty) কাজ, বছরের পর বছর ধরে মানুষের মন জয় করেছে। তাঁর নাচ হোক, বা কমিক টাইমিং, বা অ্যাকশন দৃশ্য, প্রত্যেকবারই ছক্কা হাঁকিয়েছেন অভিনেতা। অন্যান্য দেশের সম্মানও পেয়েছেন ভরপুর। সমস্তই ধরা রইল টুকরো মুহূর্তে, শো-রিলে।
Mithun Chakraborty: ভারতীয় সিনেমায় অনবদ্য অবদান, ‘দাদাসাহেব ফালকে’ পাচ্ছেন মিঠুন চক্রবর্তী
নিউজ ডেস্ক: ৪৮ বছরের অভিনয় যাত্রার স্বীকৃতি মিঠুন চক্রবর্তীকে। ‘দাদাসাহেব ফালকে’ পাচ্ছেন মহাগুরু (Mithun Chakraborty)। বিনোদ খন্না, অমিতাভ বচ্চন থেকে আশা পারেখ—দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারের বিজয়ীদের তালিকায় রয়েছে এমন অনেক নাম। এবার সেই তালিকায় জুড়তে চলেছে অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর নাম। সোমবার সকালে এই সুখবরটি ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। ৮ অক্টোবর ৭০তম জাতীয় চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে মিঠুন চক্রবর্তীকে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে পুরস্কৃত করা হবে।
অশ্বিনী বৈষ্ণ এক্স হ্যান্ডেলে এই সুখবর শেয়ার করে লিখেছেন, “মিঠুন দা’র অসাধারণ সিনেম্যাটিক সফর সব প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা। কিংবদন্তি অভিনেতাকে (Mithun Chakraborty) দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিলেকশন জুরি। ভারতীয় চলচ্চিত্রে মিঠুনজি’র অসামান্য অবদান রয়েছে।”
উল্লেখ্য, এই বছরেই গোড়ার দিকে মিঠুনকে (Mithun Chakraborty)পদ্মভূষণ সম্মান দেওয়া হয়েছিল। যা নিয়ে বাংলা সহ ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে যথেষ্ট চর্চা হয়েছিল। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে তিনি। উত্তর কলকাতার গলি থেকে মুম্বইয়ের রাজপথ তাঁর অভিনয় যাত্রা যেন অনেকটা ছবির চিত্রনাট্যের মতোই। মিঠুন চক্রবর্তী সিনেমা জগতে পা রাখেন বিশিষ্ট পরিচালক মৃণাল সেনের ক্যামেরা সামনে। ১৯৭৬ সালে জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী সিনেমা 'মৃগয়া'য় প্রথম অভিনয়ের স্বাক্ষর রাখেন বাংলার প্রথম 'দাদা'। মমতাশঙ্করের বিপরীতে অভিনয় করে ওই ছবিতে প্রথম শ্রেষ্ঠ অভিনেতার সম্মান ছিনিয়ে নেন তিনি।
এরপর প্রায় বছর চারেক মুম্বই সিনেপাড়ায় লড়াই করার পর ১৯৮০ সালে তৎকালীন অভিনেত্রী রঞ্জিতার বিপরীতে একটি গোয়েন্দা চলচ্চিত্র সুরক্ষায় অভিনয় করে তাঁর প্রথম ছবি হিট করে। তারপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি মিঠুনকে (Mithun Chakraborty)। ডিস্কো ড্যান্সার, ডান্স ডান্স, প্যার ঝুকতা নেহি, কসম পয়দা করনে ওয়ালে কি, কমান্ডো সহ অসংখ্য বাংলা হিট ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের।
যদিও এই খবর ঘোষণার পর এখনও পর্যন্ত অভিনেতার (Mithun Chakraborty) তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে এ দিন কলকাতা শহরেই ছবির শুটিং করছেন তিনি। খবরটা ঘোষণা হওয়ার পর ছবির সেটে উচ্ছ্বাস। কেবল সেটেই নয়, এই খবরে আপ্লুত গোটা টলিউড। অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ থেকে পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়-সহ অনেকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অভিনেতাকে।
RG Kar Protest: ''এই বাংলায় দেখতে চেয়েছিলাম'', আরজি কর-কাণ্ডে প্রতিবাদ মুখর রাজ্য দেখে মন্তব্য মিঠুন চক্রবর্তীর
নিউজ ডেস্ক: আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদে (RG Kar Protest) দেশজুড়ে সরব হয়েছেন বিনোদন জগত থেকে শুরু করে বিশিষ্ট মহলের মানুষজন। প্রতিবাদে মুখর গোটা রাজ্য। বৃদ্ধা থেকে শিশু, সাধারণ মানুষ থেকে সমাজের নানা ক্ষেত্রের বিশিষ্টরা পা মিলিয়েছেন প্রতিবাদ মিছিলে, গলা মিলিয়েছেন স্লোগানে। কেউ পথে নেমে প্রতিবাদ দেখিয়েছে, কেউ আবার নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিচার চেয়ে প্রতিবাদ দেখিয়েছেন। যা দেখে এবার প্রশংসা করলেন মিঠুন চক্রবর্তী।
তাঁর বক্তব্য, “এই বাংলায় দেখতে চেয়েছিলাম। এখন দেখতে পাচ্ছি, খুব আনন্দ লাগছে।” এছাড়াও তিনি আন্দোলনকারী দের উদ্দ্যেশ্যে বলেন,”এই আন্দোলনে রাজনীতির উপরে উঠে সবাই যেন একসঙ্গে থাকি। এই বক্তব্য কোন বিজেপি নেতার নয়, এটা মিঠুন চক্রবর্তীর বক্তব্য।''
প্রসঙ্গত আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ (RG Kar Protest) করে প্রায় রোজই বিচার চেয়ে মহানগরীতে প্রতিবাদের মহামিছিল চলছে। নাগরিক সমাজের পাশাপাশি, মিছিলে পা মিলিয়েছেন তারকারা। ফের রাত দখলে নেমেছে নাগরিক সমাজ। রবিবার রাতে ধর্মতলায় ধর্নায় সামিল হলেন স্বস্তিকা, সোহিনী, দেবলীনারা। গানে-স্লোগানে প্রতিবাদ চলল সোমবার ভোর পর্যন্ত। ছিলেন অপর্ণা সেন, বাদশা মৈত্র, সাহেব চট্টোপাধ্যায়রাও। অন্যদিকে, গোলপার্ক থেকে কালো পোশাকে, মৌন মিছিল করেন রামকৃষ্ণ মিশনের প্রাক্তন পড়ুয়ারা। এছাড়াও দিকে দিকে নানা সংগঠনের প্রতিবাদ মিছিল তো থাকছেই। সকলের একটাই দাবি, 'জাস্টিস ফর আরজি কর'। আর এই প্রতিবাদী বাংলাকে দেখে গর্বিত অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)।
তবে উল্লেখ্য, দিন পনেরো আগেই আর জি কর হাসপাতালে তরুণী ডাক্তারের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কড়া প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) বলেছিলেন, “আমি অনেক দিন ধরে, অনেক জায়গায় একই কথা বলে এসেছি যে, আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা খুবই ভয়াবহ হয়ে উঠবে। বাঙালি হয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছি। যত দ্রুত সম্ভব তাদের গ্রেপ্তার করে শাস্তি দেওয়া হোক। এটাই আমার কাছে সবথেকে বড় কাম্য।” তবে বিগত তিন সপ্তাহে বাংলার প্রতিবাদী সত্ত্বা দেখে এবার মত বদলে নিলেন মহাগুরু।
Mithun Chakraborty: ‘‘বাঙালি হয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছি’’, আরজি কর কাণ্ডে মুখ খুললেন ‘মহাগুরু’
নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় সম্প্রতি আরজি করে (RG Kar Incident) এক মহিলা চিকিৎসককে নৃশংস খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। এই ঘটনার বিচার চেয়ে পথে নেমেছেন আম জনতা। বিচারের আশায় সরব হয়েছেন বিভিন্ন তারকারা। ন্যক্কারজনক এই ঘটনায় পদক্ষেপ নিয়েছে বিজেপিও। বিরোধীদের মিছিল, ধর্নার পাশাপাশি উঠেছে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের, ইস্তফার দাবিও। আর এবার এই ঘটনায় মুখ খুললেন বিজেপি (BJP) নেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)।
আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) প্রতিবাদের ঝড় দেশের সর্বত্র। এ প্রসঙ্গে এদিন বিজেপি (BJP) নেতা মিঠুন চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘আমি অনেকদিন ধরে অনেক জায়গায় অনেকবার এই কথাটা বলে এসেছি যে আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা খুবই ভয়াবহ হয়ে উঠছে। কী বলব, বাঙালি হয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছি। পরিবারের (নির্যাতিতার পরিবার) প্রতি আমার সম্পূর্ণ সহানুভূতি রইল। আর যারা যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাড়াতাড়ি তাদের সবাইকে গ্রেফতার করে শাস্তি দেওয়া হোক। এটাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় কাম্য।’’ বিজেপি নেতার এই বক্তব্য বিজেপির ফেসবুক প্রোফাইলে শেয়ার করা হয়।
সোমবার থেকে বিজেপি আরজি কর কাণ্ডে লাগাতার প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণ করতে চলেছে। আগামী ২০ অগাস্ট থেকে ২৩ তারিখ পর্যন্ত লাগাতার ধর্না চলবে বিজেপির। সোমবার ধর্নার অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে রাজ্য বিজেপি। ঠিক হয়েছে, ভাগে ভাগে বিভিন্ন স্তরের নেতারা বসবেন ধর্নায়। রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে ২০ তারিখ এই ধর্নায় উপস্থিত থাকবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ অন্যান্য বিজেপি বিধায়করা। জানা গিয়েছে আগামী ২১ অগাস্ট রাজ্য বিজেপির সাংসদরা ধর্না দেবেন। ২২ তারিখ ঘেরাও করবেন স্বাস্থ্য ভবন।
অন্যদিকে রবিবার ‘তিলোত্তমা’র বিচার চেয়ে (RG Kar Incident) পথে নেমেছে টলিউড তারকারা। টেকিনিশিয়ান স্টুডিয়ো থেকে শুরু হওয়া তারকাদের মিছিলে ছিলেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, ঐন্দ্রিলা সেন, অঙ্কুশ হাজরা, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়, সৌরসেনী মৈত্র, অনির্বাণ চক্রবর্তী, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, রাহুল অরুণোদয় বন্দোপাধ্যায়, রাজ চক্রবর্তী, শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়-সহ অনেকেই।
Mithun Chakraborty: গায়ের রং-এর জন্য অপমানিত! বলিউডে এক সময় মিঠুন ছিলেন গরিবের অমিতাভ
নিউজ ডেস্ক: কোনও রকম বিশেষ সুবিধা ছাড়াও যে বলিউডে বড় তারকা হওয়া যায় তা প্রমাণ করে দেখিয়েছিলেন বাংলার ছেলে মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। কলকাতা থেকে গিয়ে এক অচেনা অজানা শহরে সহায় সম্বলহীন ভাবে দিনের পর দিন পরিশ্রম করে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। বলিউডে পা রাখার পর, প্রথমদিকে নাকি টেম্পো-তে চড়েও যাতায়াত করতে হয়েছিল মিঠুনকে। গায়ের রং কালো বলে শুনতে হয়েছিল কটুক্তিও। আবার সেই বলিউডেই এক সময় অমিতাভ বচ্চনের (Amitabh Bachchan) সঙ্গে তুলনা করা হত তাঁর।
সালটা ছিল ১৯৭৬, সেবছরই পরিচালক মৃণাল সেনের 'মৃগয়া' ছবির হাত ধরে অভিনয় জীবনে পা রেখেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। প্রথম ছবিতে অভিনয়ের পরই সেরা অভিনেতা হিসাবে জাতীয় পুরস্কার জিতে নিয়েছিলেন মিঠুন। পরবর্তী সময়ে মুম্বইতে গিয়ে তারকা হয়ে ওঠেন মিঠুন চক্রবর্তী। ১৯৭৯ সালে রাজশ্রী প্রোডাকশনের 'তারনা' ছবির হাত ধরে বলিউডে পথ চলা শুরু হয়েছিল তাঁর। তারপর ১৯৮২ সালে 'ডিস্কো ড্যান্সার' ছবিতে অভিনয়ের পর তাঁকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি, জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছেছিলেন।
বলিউডে তাঁর কোনও চেনা পরিচিতি ছিল না। এমনকি গায়ের রং কালো বলে পরিচালকরাও অপমান করতেন তাঁকে। তবুও তথাকথিত কোনো গডফাদার ছাড়াই নিজের পরিশ্রম এবং প্রতিভার জোরে নিজের ভবিষ্যৎ নিজে লিখেছেন বাগবাজারের ছেলে। আশির দশকের সুপারস্টারদের মধ্যে একজন ছিলেন ‘ডিস্কো কিং’। বিগ বি-র ঔজ্জ্বল্যের সামনে যখন ফিকে পড়ে যাচ্ছিলেন অন্য অভিনেতারা। তখন ব্যতিক্রম ছিলেন মিঠুন। অমিতাভের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সিনেমায় অভিনয় করছিলেন তিনি। সে সময়েই তিনি তকমা পান ‘গরিবের অমিতাভ বচ্চন’ (Gareebon ka Amitabh)।
এক সাক্ষাৎকারে অমিতাভকে ‘শতাব্দীর সেরা তারকা’ আখ্যা দিয়ে মিঠুন (Mithun Chakraborty) বলেছিলেন, “সে সময়ে বচ্চন সাব সব বড় ব্যানারের সিনেমা করতেন। আর আমার কাছে কোনও ব্যানারই ছিল না। কিন্তু আমার ছবির ব্যবসাও প্রায় ওঁর কাছাকাছিই যেত। মানুষ বলত, এ-ও অমিতাভ বচ্চন, কিন্তু গরিবের’’। লোকের ঠাট্টায় খুশিই হয়েছিলেন মিঠুন। অভিনেতার কথায়, এটা তাঁর কাছে সবথেকে বড় প্রশংসা ছিল।
Mithun Chakraborty: উত্তরবঙ্গে শেষ বেলায় জমকালো রোড শো মহাগুরুর
নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের শেষ বেলার প্রচারে সোমবার আলিপুরদুয়ারে লোকসভা ভোটের বিজেপি মনোনীত প্রার্থী মনোজ টিগ্গার হয়ে প্রচারে নেমেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী(Mithun Chakraborty),সকাল থেকেই ৮ থেকে ৮০ বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস নিয়ে আলিপুরদুয়ারের রাজপথে ভিড় জমিয়েছিলেন। ডিআরএম চৌপথী থেকে আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) শহরের চৌপথী পর্যন্ত দল মত নির্বিশেষে বিএফ রোডের দু ধারে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেছিলেন।
প্রচন্ড রোদ উপেক্ষা করে ঘন্টার পর ঘন্টা হাজার হাজার মানুষ একবার তার প্রিয় নায়ক কে দেখার জন্য ঠায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। তবে মাধবমোড় এলাকায় এসে মিঠুন চক্রবর্তী প্রচন্ড গরমে ক্লান্ত বোধ করায় হুডখোলা গাড়ি থেকে নেমে যান। এরপর তার কনভয় আলিপুরদুয়ার চৌপথীর দিকে রওনা হয়।
জনসংযোগে মিঠুন-
বাড়ির ছাদে,রাস্তার ধারে মিঠুনকে দেখে ভক্তরা হাত নেড়েছেন, পাল্টা মিঠুন নমস্কার করেছেন। মিঠুনের সঙ্গে হুড খোলা গাড়িতে ছিলেন বিজেপির(BJP) আলিপুরদুয়ারের প্রার্থী মনোজ টিগ্গা। মহাগুরু গাড়ি থেকে নেমে যেতেই পায়ে হেটে বাকি পথ হেঁটেছেন বিজেপি প্রার্থী মনোজ(Manoj Tigga)। তবে তিনিও গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর রাস্তার পাশে বিজেপি কর্মীরা প্রার্থীকে হাওয়া করতে শুরু করেন। কিছুক্ষন পর স্থিতিশীল হন তিনি।
রাজনীতির উর্ধ্বে অন্য ছবি-
অন্যদিকে শহরের ১১ ভাগ কালিবাড়ি এলাকায় জেলা কংগ্রেসের সহ-সভাপতি শ্যামল রায় মিঠুন চক্রবর্তীর কনভয়ের সামনে এসে দাঁড়িয়ে পড়েন, তার সঙ্গে হাত মেলাতে আসায় মিঠুন চক্রবর্তী ও পাল্টা হাত এগিয়ে দিয়েছেন। রাজনীতির উর্ধ্বে এ যেন অন্য ছবি ধরা পরল মিঠুনের আলিপুরদুয়ার শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে।
Mithun Chakraborty: উত্তরবঙ্গ প্রচারে মহাগুরু
নিউজ ডেস্ক: বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে পরামর্শে এবার ফের ভোট প্রচারের ময়দানে মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। তার প্রচার শুরু হবে উত্তরবঙ্গ থেকে রবিবার ১৪ই এপ্রিল থেকে। টানা তিন দিনের উত্তরবঙ্গে থাকছেন মিঠুন চক্রবর্তী। আলিপুরদুয়ার জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) ও কোচবিহারে(Coochbihar) দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে তার র্যালি ও সভা রয়েছে। স্থানীয় দলীয় কর্মীদের আহবানে বেশ কয়েকটি সাংগঠনিক বৈঠকেও অংশ নেবেন তিনি এমনটাই বিজেপি সূত্রে খবর।
২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন পাখির চোখ বিজেপির। সেই লক্ষ্যেই উত্তরবঙ্গে বিশেষভাবে জোর দিচ্ছে দলের উঁচুতলা থেকে নিচুতলার সমস্ত কর্মীরা। কারণ উত্তরবঙ্গ এখনও বিজেপির শক্ত ঘাঁটি। তবে দক্ষিণবঙ্গেও তারা প্রচারে হেলাফেলা করতে রাজি নয়। দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি আসনে তাদের বাড়তি সুবিধা রয়েছে। সেই সমস্ত আসনেও মিঠুন চক্রবর্তীকে ময়দানে নামানো হবে এমনটাই দলীয় সূত্রে জানা গেছে। যেহেতু দক্ষিণবঙ্গে পরবর্তী দফাগুলিতে ভোট রয়েছে তাই আগেভাগে উত্তরবঙ্গে মিঠুন চক্রবর্তীকে ময়দানে নামাচ্ছে পদ্ম শিবির।
প্রথম দফায় আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারে ভোট রয়েছে। উত্তরবঙ্গের এই সমস্ত আসনে আগেভাগেই প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রচার সেরে গিয়েছেন। শেষ বেলার প্রচারে মিঠুন চক্রবর্তীকে ময়দানে নামিয়ে বাজিমাত করতে চায় পদ্ম বাহিনী। বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই প্রচারে তারকা প্রচারক হিসেবে মিঠুন চক্রবর্তী বিজেপির হয়ে সুর ছড়িয়েছেন। শেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনেও তার ঠাসা কর্মসূচি ছিল এবার। আবার লোকসভার ময়দানে তারকা প্রচারক হিসেবে দেখা যাবে ডিস্কো ড্যান্সারকে। মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে বাংলার আবেগ জড়িয়ে আছে। সেই আবেগকেই কাজে লাগাতে চায় পদ্মফুল শিবির। শেষ বেলায় বাজিমাত করতে নিশীথ প্রামাণিক, মনোজ টিগগা এবং জয়ন্ত রায়ের সমর্থনে জনসভা রোড শো সহ একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেবেন মিঠুন।
Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালি প্রসঙ্গে এবার বিস্ফোরক মহাগুরু! রাজ্যপালের দ্বারস্থ বিজেপি
নিউজ ডেস্ক: এখনও উত্তাপের আঁচ রয়েছে সন্দেশখালিতে। তারইমধ্যে সন্দেশখালি নিয়ে এবার বিস্ফোরক বিজেপি নেতা মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী। শুক্রবার সকালে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে হাসপাতালে দেখতে যান মিঠুন। সেখানেই সংবাদ মাধ্যমের সামনে ‘খুব বড় সত্য বেরিয়ে আসবে’ বলে দাবি করেন মহাগুরু। সন্দেশখালির আসল ঘটনাকে কোনওভাবেই চেপে রাখা যাবে না, সত্য উদঘাটন হবেই বলেই দাবি করলেন তিনি। প্রসঙ্গত, বেশ কিছু এলাকায় এখনও ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তার মাঝেই শুক্রবার সন্দেশখালির পথে রওনা হয়েছিল বিজেপির প্রতিনিধি দল। সন্দেশখালি যাওয়ার আগে রামপুরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বিজেপির প্রতিনিধিরা। কিন্তু কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সেই বিক্ষোভ উঠে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। সন্দেশখালিতে যেতে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন তাঁরা। রামপুর থেকে সরাসরি তারা রাজভবনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে পরিস্থিতির কথা জানাবেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। রিপোর্ট দেওয়া হবে জেপি নড্ডাকেও। উল্লেখ্য এর আগে সন্দেশখালি যাওয়ার পথে বাধা পেয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে গেরুয়া শিবিরের ৬ সদস্য্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম যাচ্ছিল সন্দেশখালি। তবে শুক্রবারও সন্দেশখালি যাওয়ার পথে বাধা পেয়েছেন তাঁরা। এরপরে বিজেপির প্রতিনিধি দল জানান, ২ জনকে অন্তত যেতে দেওয়া হোক সন্দেশখালিতে। কিন্তু তাতেও রাজি হয়নি পুলিশ। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ে উত্তেজনা। রাস্তায় বসে প্রতিবাদ দেখানোর পর প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল ছাড়ে।