Friday, November 15, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

partha chatterjee

Partha Chatterjee: দু'বছর দু'মাস অতিক্রান্ত, সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন পার্থর


নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের পরেই এবার জামিন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সব পক্ষকে নোটিস ইস্যু করল শীর্ষ আদালত। অনুব্রত মণ্ডলের পর এবার কি তবে জামিন পেতে চলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়? (Partha Chatterjee) জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার তাঁর হয়ে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেন আইনজীবী মুকুল রোহতগি। জামিন মামলা গ্রহণ করে বিচারপতিরা নিম্ন আদালতকে দ্রুত শুনানির নির্দেশ দিয়েছে বলে খবর। পুজোর পর প্রথম কাজের দিন মামলার শুনানি হবে।

প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০২২ সালে ২২ জুলাই দক্ষিণ কলকাতার নাকতলায় পার্থের বাড়িতে অভিযান চালায় ইডি। পার্থের (Partha Chatterjee) ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত অর্পিতার টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে হানা দেয় ইডি। টালিগঞ্জের ‘ডায়মন্ড সিটি’ আবাসনে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে নগদ ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। অন্যদিকে, বেলঘরিয়ার ‘ক্লাব টাউন হাইট্‌স’ আবাসনে অর্পিতার নামে থাকা দু’টি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে মোট ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা নগদ উদ্ধার করে ইডি। পার্থ-অর্পিতার ফ্ল্যাটে দীর্ঘ তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁদের।

সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টেও পার্থর জামিনের প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের কথা ওঠে। গরুপাচার মামলায় দু'বছর জেলবন্দি থাকার পর সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বীরভূমে তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত। পুজো মিটলেই আবারও রাজনীতিতে আগের ভূমিকায় তাঁকে দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন। এদিন হাইকোর্টের বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায় সেই প্রসঙ্গ টানেন। জামিন পেলে আবারও পার্থ পদে পুনর্বহাল হতে পারেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। বীরভূমের উদাহরণও দেন। তবে এর পাল্টা পার্থর (Partha Chatterjee) আইনজীবী জানিয়েছিলেন, দু'বছরের বেশি সময় ধরে জেলবন্দি পার্থ। এর পর আর কাউকে পাশে পাবেন বলে মনে হয় না। শুধু তাই নয়, তাঁর মক্কেলের চেয়ে অনুব্রত অনেক বেশি ক্ষমতাশালী বলেও মন্তব্য করেছিলেন পার্থর আইনজীবী।

আসলে সম্প্রতি, একাধিক হেভিওয়েট নেতারা, যেমন অরবিন্দ কেজরিবাল, মণীশ শিশোদিয়া-সহ একাধিক নেতা মন্ত্রী জামিন পেয়েছেন। প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই একটা বিষয় আইনজীবীরা জোর দিয়ে সওয়াল করেছেন, তদন্ত প্রক্রিয়া অত্যন্ত দীর্ঘায়িত হচ্ছে। তদন্ত কবে শেষ হবে, সেটা স্পষ্ট নয়। ফলে অন্ততকাল অভিযুক্তরা জেলে থাকতে পারেন না। হাইকোর্ট, সর্বোপরি সুপ্রিম কোর্টও এই বিষয়টিকে মান্যতা দিচ্ছে। আর এই যুক্তিতেই হেভিওয়েটদের জামিন মঞ্জুর হয়েছে। তাই এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

Sweta Chakrabory | 16:59 PM, Tue Oct 01, 2024

CBI: ওএমআর শিটের তথ্য উদ্ধার করার নির্দেশ আদালতের

নিউজ ডেস্ক: সিবিআইয়ে(CBI) দক্ষতায় অসন্তুষ্ট কলকাতা হাইকোর্ট ওএমআর শিটের আসল সার্ভার বা হার্ডডিস্কের তথ্য জানতে প্রয়োজনে যে কোন সংস্থা বা বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়ার নির্দেশ বিচারপতি রাজাশেখর মন্থার প্রসঙ্গত আদালতের তদন্তেই প্রাথমিক মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। এই মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি রাজশেখার মন্থা বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।

বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার নির্দেশ (CBI)

২০১৪ সালের প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় এবার সিবিআইকে অলআউট ঝাঁপানোর নির্দেশ দেওয়া হল ২০১৪ সালের ওর ও সার্ভার দুর্নীতির শেষ দেখতে সিবিআইকে হাইকোর্টের (High Court) নির্দেশ এই ঘটনার রহস্য উন্মোচনে পৃথিবীর যে কোন প্রান্তের এক্সপার্টদের শরণাপন্ন হতে পারবে সিবিআই (CBI)। প্রয়োজনে নিতে হবে বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা বা ব্যক্তিদের সাহায্য। শুক্রবার মামলার শুনানিতে এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তবে এ সংক্রান্ত যাবতীয় খরচ বহন করবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

ওএমআর শিটের তথ্য চায় আদালত  (High Court)

এ প্রসঙ্গে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন,“সিবিআই তদন্ত করে রিপোর্ট দিয়েছে, ওএমআর শিটের রিজিনাল ডিস্ক নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে আদালত জানতে চায়, এভাবে ডিস্ক নষ্ট করা যায় কি? নষ্ট করা গেলেও তথ্য উদ্ধার করা যায় কিনা আদালতের (High Court) ধারণা,তথ্য উদ্ধার করা যায় ডিজিটাল রেকর্ড এত সহজে ধ্বংস করা যায় না সে ব্যাপারে সিবিআইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রয়োজনে তাঁরা যে কোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।” প্রসঙ্গত ২০১৪ সালে প্রাথমিকে নিয়োগের পরীক্ষায় আসল ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছে বলে হাইকোর্টে আগেই জানিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তাঁদের বক্তব্য ছিল, আসল প্রতিলিপি নষ্ট করা হলেও পরিবর্তে তার ডিজিটাইজ়ড তথ্য রয়েছে। পরীক্ষার্থীদের ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি নামের একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাঁরাই ওএমআর শিট স্ক্যান করেছে। এর আগে ওএমআর শিট সংক্রান্ত এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তার পর এই মামলায় সিবিআইয়ের (CBI) কাছে রিপোর্ট তলব করেছিলেন বিচারপতি মান্থা। মঙ্গলবার আদালতে ওএমআর শিট নিয়ে রিপোর্ট জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে ওই রিপোর্টে সন্তুষ্ট হয়নি উচ্চ আদালত।

Pankaj Kumar Biswas | 17:26 PM, Fri Jul 05, 2024
upload
upload