Tuesday, September 17, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

political news

Kunal Ghosh attacks Dev: ''তুমি চৈতন্যদেব সাজছো'', ফের কুণালের নিশানায় দেব


নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে দেবের সৌজন্য-রাজনীতি নিয়ে ঘাটালের প্রার্থীকে কড়া আক্রমণ করেছিলেন কুণাল ঘোষ। তা নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। আবারও কুণালের নিশানায় দেব (Kunal Ghosh attacks Dev)। সম্প্রতি ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে উদ্বোধন হওয়া ডায়ালিসিস ইউনিট দেব ফের নিজের নামে উদ্বোধন করেছেন বলে অভিযোগ আনলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ৷ দেবকে সুপারস্টার বলে কটাক্ষও করেছেন তৃণমূল নেতা৷
এ প্রসঙ্গে এক্স হ্যান্ডলে কুণাল (Kunal Ghosh attacks Dev) লেখেন, “ঘাটাল হাসপাতালে ডায়ালিসিস ইউনিটের উদ্বোধন করেছিলেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ১২ মার্চ ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন তিনি। সেই একই ইউনিটের উদ্বোধন করলেন সাংসদ দেব। উদ্বোধক হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর নাম পাল্টে সাংসদ। সুপারস্টার একেই বলে।”
অর্থাৎ কুণালের আপত্তি উদ্বোধক হিসেবে মমতার নাম পাল্টে দেবের (Kunal Ghosh attacks Dev) নাম ব্যবহারে। তবে এর প্রত্যুত্তর দিতেও ছাড়েননি দেবও। তিনি ঘটনাটি ব্যাখ্যা করে বলেন, ''দিদিকে ঘাটাল হাসপাতালে ডায়ালিসিস ও সিটি স্ক্যান মেশিনের জন্য অনুরোধ করেছিলাম। দিদি মার্চ মাসে ভার্চুয়ালি ঘোষণা করেন। এক সপ্তাহ আগে মেশিনগুলো আসে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুরোধে উদ্বোধন করি। যাতে সাধারণ মানুষ পরিষেবার ব্যাপারে জানতে পারেন।'' সেই সঙ্গে কুণালকেও কড়া অথচ সৌজন্যসহই দেব বার্তা দেন, ''একটাই কথা বলব, আমরা যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি, তাতে তথ্য যাচাই না করে সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্য না করাই ভালো।''
এরপরেই কুণালের দিক থেকে সঙ্গে সঙ্গেই পাল্টা মন্তব্য উড়ে আসে, তিনি বলেন, ''দিদির উদ্বোধন ছবিতেই স্পষ্ট। যত যন্ত্র আসুক, উদ্বোধন দুবার হতে পারে না। উদ্বোধক বদলায় না। এসব টুপি সিনেমায় দিও। আর পরিস্থিতি? আমরা, শ্রমজীবী সৈনিকরা বিষপান করে লড়ে অপ্রিয় হচ্ছি। তুমি চৈতন্যদেব সাজছো। পেশা, সৌজন্যের নামে কুৎসাকারীদের সঙ্গে আদিখ্যেতা করছ।''
কুণালের (Kunal Ghosh attacks Dev) এই পোস্টের কিছুক্ষণ পরেই এক্স হ্যান্ডলে গণেশ পুজোর একটি ছবি দিয়েছেন দেব। যেখানে লেখা, “ভগবান আমাদের সবাইকে সৎবুদ্ধি দিক।” দেবের পোস্টের কয়েক মিনিটের মধ্যেই গণেশ পুজোর ছবি দিয়েই কুণাল লেখেন, “ভগবান সব দু’মুখো সুবিধাবাদীর মুখোশ খুলে দিক।”

Sweta Chakrabory | 17:01 PM, Sat Sep 07, 2024

Crime rate in UP: আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে এবার সমাজবাদী পার্টিকে কোণঠাসা করল উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী


নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে সমাজবাদী পার্টিকে কোণঠাসা করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। তিনি জানিয়েছেন, আগের সরকারের শাসনের তুলনায় এই বছর অপরাধের হার (Crime rate in UP) উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এদিন বিধানসভায় বাজেট নিয়ে আলোচনার জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ''অযোধ্যায় সমাজবাদী পার্টির (এসপি) একজন কর্মী, অনগ্রসর শ্রেনির ১২ বছর বয়সী একটি মেয়েকে ধর্ষণে জড়িত বলে প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সমাজবাদী পার্টি তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আমি বুঝতে পারছি না এই সব কি।''

এ প্রসঙ্গে আদিত্যনাথ আরও বলেছেন যে, ''গতকালই হারদোইতে একজন আইনজীবীকে হত্যা করা হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত অভিযুক্ত সমাজবাদী পার্টির জেলা সভাপতি। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ বিভিন্ন জঘন্য অপরাধে ২৮টি মামলা রয়েছে। আমরা যদি এই ধরনের অপরাধীদের শাস্তি না দি, তাহলে কি গলায় মালা দেব? এইসব মানুষেরা সমাজের ব্যাধি। সমাজ থেকে এদের না সরালে উত্তর প্রদেশের অবস্থার উন্নতি করা কঠিন হইয়ে পড়বে।''

মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরেই তিনি (Yogi Adityanath) ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর (NCRB) তথ্য প্রকাশ করে বলেন, ''২০১৬ সালে যখন রাজ্যে সমাজবাদী পার্টির সরকার ছিল তার তুলনায় ২০২৪ সালে ডাকাতির ঘটনা ৮৬.৪৭ শতাংশ কমেছে। পাশাপাশি সেই সময়ের তুলনায় বর্তমানে ছিনতাইয়ের ঘটনা ৭৮.১৭ শতাংশ, খুনের ঘটনা ৪৩.২১ শতাংশ, দাঙ্গা ৬৭.৪২ শতাংশ এবং অপহরণের ঘটনা ৭০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।'' এছাড়াও আদিত্যনাথ এদিন আরও জানান যে, নারীদের যৌতুকের হার ১৭.৪৩ শতাংশ কমেছে। এ ছাড়া ধর্ষণের ক্ষেত্রে ২৫.৩০ শতাংশ, শ্লীলতাহানির ক্ষেত্রে ১৬.৫৬ শতাংশ এবং অপহরণের ক্ষেত্রে ০.১৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

ফলে এ তথ্য আবারও প্রমান করল যে, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) আসার পর থেকে সমগ্র রাজ্যে অপরাধের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। যা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যোগী আদিত্যনাথের গর্বের অন্যতম কারণ।

Sweta Chakrabory | 11:59 AM, Fri Aug 02, 2024

Anurag Thakur Vs Rahul Gandhi: রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করে অনুরাগ ঠাকুরের মন্তব্যকে ভরপুর সমর্থন মোদির


নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি জাতগণনা ইস্যুতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে উদ্দেশ্য করে বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুরের মন্তব্য (Anurag Thakur Vs Rahul Gandhi) ঘিরে মঙ্গলবার উত্তাল হয় লোকসভা। এবার অনুরাগ ঠাকুরের সেই মন্তব্যেরই ভরপুর সমর্থন করল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

এ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লোকসভায় বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুরের বক্তৃতার প্রশংসা করেছেন। একইসঙ্গে তিনি সমাজমাধ্যমে সাংসদ কক্ষের সেই তর্কবিতর্কের ভিডিও পোস্ট করে এও লিখলেন যে, ''আমার তরুণ সহকর্মীর বক্তব্য শুনুন সকলে। তিনি কত সুন্দর করে তথ্য এবং যুক্তি দিয়ে ইন্ডি জোটের নোংরা রাজনীতি সকলের কাছে ফাঁস করে দিলেন।''

এর আগে লোকসভায় বাজেট নিয়ে বিতর্কে রাহুল গান্ধী দাবি করেছিলেন, 'ইন্ডি জোট' ক্ষমতায় এলে দেশের ওবিসিদের সংখ্যা নির্ধারণে জাতগণনা করাবে। এই মন্তব্যের পরেই বিজেপি সাংসদ, প্রাক্তন মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর নাম না করেই রাহুল গান্ধীকে নিশানা করে বলেছিলেন, ''যাঁর নিজের জাতের ঠিক নেই, সে এখন গণনার কথা বলছে।'' এখানেই শেষ নয়, অনুরাগ আরও কটাক্ষ (Anurag Thakur Vs Rahul Gandhi) করে বলেন যে, '' কিছু মানুষ আছে যারা হঠাৎ করে হিন্দু হয়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয় তাঁদের মহাভারত সম্বন্ধেও কম জ্ঞান আছে।''

অনুরাগ ঠাকুরের এই মন্তব্যের পরেই গোটা বিরোধী শিবির প্রতিবাদ জানায়। রাহুল নিজে উঠে বলেন, ''এ দেশে বঞ্চিত, গরিবের জন্য যে মুখ খুলেছে, তাঁকে গালিগালাজ শুনতে হয়েছে। আপনারা আমায় যত অপমান করুন, আমি ক্ষমা চাইতে বলব না। কিন্তু এই সংসদে জাতগণনা পাশ করিয়ে ছাড়ব।'' এদিনের এই বাকবিতণ্ডার মধ্যে অনুরাগ ঠাকুরের কটাক্ষকেই এবার ভরপুর সমর্থন করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)।

Sweta Chakrabory | 14:10 PM, Wed Jul 31, 2024

Bangladesh: কেন বাংলাদেশ হাই কমিশনের অফিসে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী? নিজেই জানালেন এক্স হ্যান্ডেলে


নিউজ ডেস্ক: সোমবার কলকাতায় বাংলাদেশ হাই কমিশনের অফিসে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বাংলাদেশের (Bangladesh) ডেপুটি হাইকমিশনের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির বিধায়করা। তবে কেন বাংলাদেশ হাই কমিশনের অফিসে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী? এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, সম্প্রতি বাংলাদেশে যে অশান্তি চলছিল সেখানে ভারত বিরোধী স্লোগান দেওয়া হয়েছে শুধু তাই নয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্বন্ধেও কুরুচিকর স্লোগান দেওয়া হয়েছে৷ 

শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, বাংলাদেশ আন্দোলনের সময় এমন অনেক ভিডিও সামনে এসেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে ভারতবিরোধী স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। তাঁর আরও অভিযোগ, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তো বটেই, হিন্দু ধর্মের ভাবাবেগকে আঘাত করেও স্লোগান দেওয়া হয়েছে। সেই কারণেই প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, 'বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বক্তব্য রাখতে আমরা চাইছি না। বিশেষ করে গত কয়েকদিনের ঘটনা নিয়ে। কিন্তু এই ধরনের ভারতবিরোধী, হিন্দু ভাবাবেগ বিরোধী স্লোগানের তীব্র প্রতিবাদ আমরা জানাচ্ছি। আমরা আমাদের মাতৃভূমির এমন অপমান বরদাস্ত করব না। সম্প্রতি বাংলাদেশে অশান্তির কিছু ভিডিয়ো ক্লিপিংসে স্লোগানের ভাষা শুনে উদ্বিগ্ন বিজেপি। তেমনই চারটি ভিডিয়ো ক্লিপিংস জমা দেওয়া হয়েছে ডেপুটি হাইকমিশনারের কাছে।' 

বিষয়টি নিয়ে তিনি গত শনিবার বাংলাদেশ ডেপুটি কমিশনারকে মেইল করেন। কমিশনের পক্ষ থেকে এদিন শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) আমন্ত্রণ জানানো হয়। এরপর ডেপুটি হাইকমিশনের আমন্ত্রণ মতো এদিন বিকেলে শুভেন্দু কমিশনে এলে পুলিশ তাঁকে বাধা দেয় বলে অভিযোগ৷ পুলিশের সঙ্গে বচসাতেও জড়িয়ে পড়েন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। অবশেষে তিনি ২০ জন বিজেপি বিধায়ককে সঙ্গে নিয়েই বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের অফিসে প্রবেশ করেন। এরপর ডেপুটি হাইকমিশনারের কাছে তিনি দাবি করেন, যারা এই ধরনের স্লোগান দিয়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

বিরোধী দলনেতা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের (Bangladesh) ডেপুটি হাই কমিশনারের কাছে সেই ধরনের সমস্ত ভিডিও ফুটেজ তুলে দেওয়া হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, হিন্দুদের সঞ্জীবনী মন্ত্র- 'হরে কৃষ্ণ হরে রাম'-কে বিকৃত করা হয়েছে। সেই ভিডিও ফুটেজও তুলে দেওয়া হয়েছে কমিশনারের কাছে।

Sweta Chakrabory | 12:06 PM, Tue Jul 30, 2024

West Bengal Legislative Assembly: বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু! স্পিকারকে লেখা চিঠিতে কী বললেন বিরোধী দলনেতা?


নিউজ ডেস্ক: নারী নির্যাতন ইস্যুতে বুধবার সকাল থেকে তপ্ত বিধানসভা (West Bengal Legislative Assembly) অধিবেশন। এরই মধ্যেই নিজের শারীরিক নির্যাতনের ভয়ঙ্কর অভিযোগ তুললেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ইতিমধ্যেই শাসকদলের বিধায়কের বিরুদ্ধে শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগে স্পিকারকে চিঠি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, "বিধানসভার মধ্যেও আমরা নিরাপদ নই!" 

বুধবার বিধানসভা অধিবেশনের শুরু থেকেই নারী নির্যাতন ও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী। পাল্টা বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি পাল্টা বলেন, “নারী নির্যাতন ঘটনা ঘটলে সবার আগে বাংলা প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়। ক্রিমিন্যাল জাস্টিস কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে রাজ্যের হাত থেকে।” আর সে ইস্যুতে তপ্ত হয়ে ওঠে অধিবেশন। বিজেপি বিধায়করা স্লোগান দিতে থাকেন। পাল্টা স্লোগান দেন শাসক বিধায়করাও। প্রথম পর্বের অধিবেশন শেষ হয়। বিক্ষোভ দেখাতে দেখাতে বিধানসভার অধিবেশন কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসেন বিজেপি বিধায়করা। অভিযোগ, সেই সময়েই বিধানসভার ভেতরে শুভেন্দুর সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ে জড়িয়ে পড়েন পূর্বস্থলীর তৃণমূল বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়। বিরোধী দলনেতার দাবি, সেই বাগ্‌বিতণ্ডার সময়েই তাঁকে শারীরিক ভাবে হেনস্থা করেছেন। তাঁর দাবি, বিধানসভার ভিতরে ও বাইরে হেনস্থা করা হয়েছে। 

এ প্রসঙ্গে এদিন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, ''বিধানসভার লবিতে আমি যখন বেরোচ্ছিলাম, তখন পূর্বস্থলীর বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় আমাকে ফিজিক্যালি অ্যাসল্ট করতে চায়। বিজেপি এমএলএ-রা কেন্দ্রীয় বাহিনী পায়। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বাইরে রাখার অর্ডার রয়েছে। আমি স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলছি, লিখে পাঠাচ্ছি এখনই।'' স্পিকারকে লেখা চিঠিতে বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, 'এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বিধানসভার মধ্যে তাঁকে শারীরিক নিগ্রহের চেষ্টা করা হল। একবার হাউযের ভিতরে করেছেন, আজকে লবিতে করলেন।' স্পিকার হিসেবে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারেন না বলেও চিঠিতে স্পষ্টভাবে লিখেছেন শুভেন্দু।

একই সঙ্গে অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের আর্জিও জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। যদিও শুভেন্দুর আনা শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন পূর্বস্থলী উত্তরের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়।

Sweta Chakrabory | 16:26 PM, Wed Jul 24, 2024

TMC Clash: তৃণমূলের মহিলা কাউন্সিলরের হাতে মার খেলেন দলেরই যুবনেতা! প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল

নিউজ ডেস্ক: আবারও প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল (TMC Clash)। অভিযোগ, উত্তর কলকাতার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুনন্দা সরকারের (Sunanda Sarkar) হাতে মার খেলেন ওই ওয়ার্ডের প্রাক্তন যুব সংগঠনের সভাপতি কেদার সরকার। ঘটনার প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই বড়তলা থানা ঘেরাও করেন কেদার অনুগামীরা। কাউন্সিলরও ঘটনা নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন বলেই খবর।

কানাঘুষো শোনা যায়, রাজ্যের মন্ত্রী তথা শ্যামপুকুর বিধানসভার বিধায়ক শশী পাঁজার ঘনিষ্ঠ যুবনেতা কেদার দাস। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি তৃণমূল করেন। ২১শে জুলাইয়েরও সমস্ত দায়িত্ব কেদারের হাতেই ন্যাস্ত করেছিলেন শশী। তাঁর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই সুনন্দার দ্বন্দ্ব চলছিল। তবে এদিনের এই ঘটনা যেন সব কিছুকেই ছাপিয়ে গেল। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে শোভাবাজারের ঢুলিপাড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে বচসা শুরু হয় কাউন্সিলর ও যুবনেতার মধ্যে। কথা চলতে চলতেই অচমকাই সুনন্দা কেদারের গালে থাপ্পড় মারেন বলে অভিযোগ। কাউন্সিলরের অভিযোগ, ওই এলাকায় পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীদের মারধর করেছিলেন কেদার ও তাঁর অনুগামীরা। তাই ঘটনার কথা জানতে পেরেই সুনন্দা সেখানে যান। তারপর দুজনের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় শুরু হয়। এরপরেই ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর ঠাঁটিয়ে চড় মারেন (TMC Clash) ওই ওয়ার্ডেরই যুব সভাপতি কেদার দাসকে। শাড়ি পড়েই সুনন্দাকে কার্যত তেড়েমেড়ে ছুটে যেতে দেখা যায় কেদারের দিকে। জানা যাচ্ছে, তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ তোলেন ওই যুবনেতা। আর তারই ফলস্বরূপ এই চড়। 

এ প্রসঙ্গে কেদার দাস বলেন, “এখানে অসামাজিক কাজকর্মের বিরুদ্ধে আমরা রুখে দাঁড়িয়েছি বলে তৃণমূল কাউন্সিলরের নেতৃত্বে আমায় মারা (TMC Clash) হয়েছে। এখানে প্রোমোটিং, গাঁজা, জুয়ার বেআইনি কারবার চলত। আমরা প্রতিবাদ করি। এরপর দুপুর নাগাদ কাউন্সিলর আমায় ফেলে মেরেছে।” 

কেদারের এই মন্তব্যের পর সুনন্দার পালটা দাবি, কখনওই কেদারকে থাপ্পড় মারা (TMC Clash) হয়নি। ‘‘কেদার আসলে একজন সমাজবিরোধী। পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীদের মারধর করছিল। তা জানতে পেরেই ওখানে যাই। কেদারের হাতে লাঠি ও ইট ছিল। আমি সেগুলো কেড়ে নিতে যাই। সেই কেড়ে নেওয়ার দৃশ্যকেই ওরা থাপ্পড় মারা হিসাবে তুলে ধরছে।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘এলাকায় তোলাবাজি থেকে শুরু করে সব রকম অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত কেদার। ওর অনৈতিক কাজকে সমর্থন করি না। তাই প্রতিবাদ করেছি।’’ এ প্রসঙ্গে, তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “এই আচরণ (TMC Clash) প্রকাশ্যে হওয়া উচিৎ নয়। এই দৃশ্য ঠিক নয়। একটা অবাঞ্ছিত ঘটনা। যদি কেদারের দোষও থাকে, তবুও এটা হতে পারে না। জেলা নেতৃত্বকে বলব বিষয়টা দেখতে।”

Sweta Chakrabory | 17:46 PM, Tue Jul 16, 2024

Yogi Governments: উত্তরপ্রদেশে উন্নয়নের জন্য যোগী সরকারের প্রশংসা জেপি নাড্ডার


নিউজ ডেস্ক: উপনির্বাচনের ফলাফলের একদিন পরেই রবিবার উত্তর প্রদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য যোগী আদিত্যনাথ সরকারের (Yogi Governments) প্রশংসা করলেন ভারতীয় জনতা পার্টির (BJP) জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (J P Nadda)। রাজ্য জুড়ে এক্সপ্রেসওয়ে এবং মেডিক্যাল কলেজ সহ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উলেখ্যযোগ্য কাজের কথাও তুলে ধরেছেন। অন্যদিকে এদিন উত্তরপ্রদেশে বিজেপির এই সভায় বিরোধীদের লাগাতার চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণও করেছেন জেপি নাড্ডা।

এদিন কংগ্রেসকেও নিশানা করতে পিছ পা হন না জেপি নাড্ডা। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, “৯০ বার কংগ্রেস নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার চেষ্টা করেছে। বিজেপি জম্মু ও কাশ্মীরে ১০ বছরের জন্য রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করেছিল। এরপরেও সংসদে বলে যে এটি অস্থায়ী এবং অপসারণ করা হবে। আজ বিরোধীরা গণতন্ত্রের জন্য কান্নাকাটি শুরু করেছে এবং সংবিধানের রক্ষক হয়েছে। সংবিধানে লেখা আছে, ধর্মের ভিত্তিতে কোনও সংরক্ষণ করা যাবে না। কিন্তু তা অমান্য করে অন্ধ্রপ্রদেশে একবার নয়, চারবার ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।” এছাড়াও তিনি আরও বলেন “বিজেপি এবং কংগ্রেস লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্র, গুজরাট, ছত্তিশগড় এবং মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যে ৬৪টি আসনে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিল। এর মধ্যে কংগ্রেস মাত্র ২টি আসন পেয়েছে, আর বাকি ৬২টি আসন জিতেছে বিজেপি।”

এদিন কংগ্রেস ও ইন্ডি জোটকে নিশানা করে জেপি নাড্ডা (J P Nadda)বলেন, ‘‘তিনটি লোকসভা নির্বাচনের পর কংগ্রেসের সংখ্যা ১০০ পেরোয়নি। আজ দেশের ১৩টি রাজ্যে একজনও কংগ্রেস সাংসদ নেই। আমরা সমাজকর্মী বেশি, রাজনৈতিক কর্মী কম। আমরা সব সময় জনগণের স্বার্থে কাজ করেছি। কংগ্রেস একটা পরজীবী দল।’’ 

পাশাপাশি বিজেপির জাতীয় সভাপতি (J P Nadda) রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি এবং উত্তরপ্রদেশকে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত করার জন্য যোগী আদিত্যনাথ সরকারের প্রশংসাও করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘একটা সময় ছিল যখন আইনশৃঙ্খলা সমস্যার কারণে লোকেরা উত্তরপ্রদেশ ছেড়ে অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছিল। আজ, মাফিয়া রাজ শেষ হয়েছে। গত ১০ বছরে উত্তরপ্রদেশ অনেক উন্নতি করেছে। রাজ্যের অর্থনীতি দেশের দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।”

নাড্ডার (J P Nadda) মতে, “২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল দেখিয়ে দিয়েছে যে, যে দলই থাকুক না কেন, তারা যদি উত্তর-পূর্বে সক্ষম হয় তবে মধ্য ভারতে তারা শূন্য। উত্তর ভারতে যদি কোনও দল সক্ষম হয়, দক্ষিণ ভারতে সেই ম্যাজিক আবার দেখা যায় না। যদি পশ্চিম ভারতে সক্ষম হয়, তাহলে পূর্বদিকে দলের নাম নেওয়ারও কেউ নেই। আর কেন্দ্রে যদি কেউ সক্ষম হন, তবে বিজেপিই একমাত্র সর্বভারতীয় দল, যা পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর বা দক্ষিণ ভারত সর্বত্রই আছে।”

Sweta Chakrabory | 11:37 AM, Mon Jul 15, 2024

Kunal Ghosh: ভোটের মাঝেই আরও বড় তথ্য ফাঁস করলেন বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে


নিউজ ডেস্ক: মানিকতলা উপনির্বাচনের মধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ ও বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবের (Kalyan Chaubey) মধ্যে দ্বৈরথ অব্যাহত রইল। মানিকতলা উপনির্বাচনের আগে কল্যাণ চৌবের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। এবার কুনালের সেই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিলেন বিজেপি প্রার্থী। উপনির্বাচনের দিনই সাংবাদিক বৈঠক করে কুনালের বিরুদ্ধে একের পর এক তথ্য ‘ফাঁস’ করলেন কল্যাণ চৌবে।

মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে কুনাল ঘোষ বলেন, ''রবিবার আমাকে ভোটে অন্তর্ঘাতের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বিনিময়ে খেলার জগতে রাজ্য বা জাতীয় স্তরে বড় পদের প্রস্তাবও দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ।'' তবে কুনাল এই অফার প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ''এই বিজেপি প্রার্থীকে (Kalyan Chaubey) একটা ভোটও দেওয়া উচিত নয়।'' এরপর নিজের দাবির সপক্ষে একটি অডিয়ো ক্লিপ সংবাদমাধ্যমের সামনে আনেন তৃণমূল নেতা।

আর কুনাল ঘোষের এই মন্তব্যের পর নির্বাচনের দিনই সাংবাদিক বৈঠক করে একের পর এক তথ্য ‘ফাঁস’ করলেন কল্যাণ। তাঁর বক্তব্য, ''‌আমি সকলের কাছে ভোট প্রার্থনা করছি। সেই হিসাবে তাঁর সঙ্গেও কথা বলেছি। কিন্তু আমি কোনও প্রতিশ্রুতি দিয়েছি এটা সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা। পুরো অডিয়ো ক্লিপিং শোনালে সেটা বোঝা যাবে।''‌ আর এরপরেই বিজেপি প্রার্থী একেবারে বেনজির আক্রমণ শানালেন কুণাল ঘোষের উদ্দেশ্যে। পরিষ্কার বলেই দিলেন, “এই মানুষটা কয়েকদিন আগে তাপস রায়কে জেতানোর জন্য নিজের দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। আমার কাছে হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট রয়েছে। ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের সব লোকেরা তাপস রায়ের হয়ে কাজ করছে। বিজেপির হয়ে কাজ করছে। তবে আমি ব্যক্তিগত কথোপকথন বাইরে আনব না।”

উল্লেখ্য, ভোটের আগের দিনই কল্যাণ চৌবে (Kalyan Chaubey) অভিযোগ করে বলেছিলেন কুণাল ঘোষ নাকি বিজেপিতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। এর জন্য একাধিকবার তাঁর বাড়িও গিয়েছেন তিনি। বিজেপি প্রার্থী বলেন, “উনি আমার বাড়িতে একটা মেরুন স্যান্ট্রো করে অংখ্যবার গিয়েছেন। আমায় বলেছিলেন বিজেপিতে যোগ দেবেন।” যদিও, এ নিয়ে কুণাল (Kunal Ghosh) জানিয়েছিলেন, “বিজেপি-তে যাওয়ার ইচ্ছা হলে পচা কল্যাণকে আমার লাগবে না।” যদিও বুধবার ‘পচা কল্যাণ’ শব্দটি নিয়ে প্রতিবাদ করেন মানিকতলার বিজেপি প্রার্থী বলেন, “এই শব্দটাকে আমি নিন্দা করছি। উনি নিম্নরুচির পরিচয় দিয়েছেন।”

Sweta Chakrabory | 16:40 PM, Wed Jul 10, 2024

Balurghat: মোদির কুশপুত্তলিকায় জুতোপেটা তৃণমূলের, আন্দোলনে বিজেপি, অভিযোগ থানায়

নিউজ ডেস্ক: আন্দোলনের নামে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কুশপুত্তলিকায় জুতোপেটা ও লাথি মারায় অভিযোগ উঠল তৃণমূলের শিক্ষা সেলের সদস্যদের বিরুদ্ধে। বাদ যাননি কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে অপমান করার প্রতিবাদে এবারে বালুরঘাট (Balurghat) থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপির দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কমিটি। প্রত্যেককে গ্রেফতারের দাবিতে জেলাজুড়ে আন্দোলনে নেমেছে বিজেপি।

বৃহস্পতিবার বালুরঘাট জেলাশাসকের অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ দেখান বিজেপির নেতা-কর্মীরা। এদিকে এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়াতেও নিন্দার ঝড় উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী ও বালুরঘাটের সাংসদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নামে যা করেছে তৃণমূল তা নিম্ন রুচির পরিচয়। এমনই মনে করছেন নেটিজেনরা। জানা গিয়েছে, দেশজুড়ে হওয়া নিট কেলেঙ্কারির প্রতিবাদে বুধবার বালুরঘাটের (Balurghat) রাস্তায় বিক্ষোভ প্রদর্শন ও বিক্ষোভ সভা করে তৃণমূলের রাজ্য শিক্ষা সেল। আন্দোলনে সামিল হয়েছিল, ওয়েবকুপা, পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি ও পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। সংগঠনের পক্ষ থেকে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ মিছিল করা হয়। মিছিল চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের কুশপুত্তলিকা দাহ করার পাশাপাশি সেগুলিতে জুতোপেটা, লাথি মারা হয়। এমনকী থুথু ছেটান বিক্ষোভকারীরা। এই ঘটনার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই নিন্দার ঝড় বইতে শুরু করে।

বিজেপির (BJP) জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, 'আন্দোলনের নামে অসভ্যতা করেছে তৃণমূল। আমরা অপেক্ষায় ছিলাম, প্রশাসন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু, নেয়নি। তাই আমরা বালুরঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করতে চলেছি। যাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে জুতোপেটা করেছিলেন তাঁরা শিক্ষক নন। শিক্ষক সমাজের কলঙ্ক, অসভ্য বর্বর, নিম্ন প্রজাতির কীট। তাই তাঁদের গ্রেফতারের দাবিতে রাজ্যজুড়ে আন্দোলন চলবে।'


Sweta Chakrabory | 17:48 PM, Thu Jun 27, 2024

Congress leader join BJP: বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ কংগ্রেস নেতার

নিউজ ডেস্ক: আবারও কংগ্রেসের বড় ধাক্কা। অরুণাচল প্রদেশের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যে, বিশিষ্ট কংগ্রেস আইনসভা দলের নেতা লম্বো তাইং সোমবার বিজেপিতে যোগদান করে। লম্বো তাইং এর এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। যা ভোটের আগে কংগ্রেসকে চিন্তায় ফেলেছে।

উল্লেখ্য এর আগে ২০১৯ সালের নির্বাচনে ৬০ সদস্যের বিধানসভায় কংগ্রেস চারটি আসন পেয়েছিল। তাইংয়ের দলত্যাগের পর গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টিতে এখন কেবল একজন বিধায়ক, ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নাবাম টুকি রয়েছে। গত সপ্তাহে, কংগ্রেসের অন্য দুই বিধায়ক নিনং এরিং এবং ওয়াংলিন লোয়াংডং এর সাথে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আরও দুই আইন প্রণেতা মুচ্চু মিথি এবং গোকর বাসারও বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।

তায়ং ছাড়াও তিরাপ জেলার খোনসা পশ্চিমের প্রতিনিধিত্বকারী স্বতন্ত্র বিধায়ক চাকত আবো ইটানগরে দলের রাজ্য সদর দফতরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। ২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের আগে সন্দেহভাজন NSCN জঙ্গিদের দ্বারা তিরং আবোহ হত্যার পর একটি উপ-নির্বাচনে তিনি খোনসা পশ্চিম আসনে জয়ী হওয়ার পরে আবুহের সিদ্ধান্ত আসে। তিনি এনপিপির মনোনীত প্রার্থী ছিলেন।

প্রসঙ্গত, পূর্ব সিয়াং জেলার মেবো থেকে ছয় মেয়াদের বিধায়ক তাইয়েং এর আগে কংগ্রেস সরকারের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাইং এবং আবোহ বিজেপি যোগ করার ফলে বিধানসভায় বিজেপির শক্তি এখন ৫৫ টি আসনে দাঁড়িয়েছে। রাজ্যের প্রভাবশালী রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে তার অবস্থানকে সুসংহত করেছে। অন্যদিকে এনপিপির দুটি আসন রয়েছে, যেখানে কংগ্রেসের একমাত্র প্রতিনিধির পাশাপাশি দুটি স্বতন্ত্র সদস্যও রয়েছে। তবে ভোটের আগে কংগ্রেস ছেড়ে এভাবে একের পর এক বিজেপিতে যোগ কংগ্রেসের ভীত অনেকটাই নড়বরে করছে। ফলত নির্বাচনের মুখে কপালে ভাঁজ পড়ছে কংগ্রেসের।

Sweta Chakrabory | 12:51 PM, Tue Mar 05, 2024

Jatileshwar Mandol: প্রকাশ্য জনসভায় বিরোধীদের হাত কেটে নেওয়ার হুমকি! তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ শুভেন্দুর

নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা নির্বাচন। ভোটের নির্ঘণ্ট এখনও পর্যন্ত ঘোষণা হয়নি। কিন্তু, তার আগেই হুংকার দিয়ে সন্ত্রাসের বাতাবরণ সৃষ্টি করলেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা। প্রকাশ্য জনসভা থেকে বিরোধীদের হাত কেটে নেওয়ার হুমকি দেন ময়ূরেশ্বরের তৃণমূল নেতা জটিলেশ্বর মণ্ডল। ভোট না দিলে, ভোটে বেইমানি করলে বা দলের নামে অপপ্রচার করলে হাত কেটে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন তিনি।

২০১১ সাল থেকেই ভোটে হিংসার ছবি দেখতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে বাংলা। ভোটের সঙ্গে হিংসার নাম অতোপ্রত ভাবে জড়িয়ে গিয়েছে। পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে পুরসভা, বিধানসভা, লোকসভা কোনও ভোটেই বাদ যায়নি হিংসা। মনোনয়ন জমার দিন থেকেই হিংসার সাক্ষী থেকেছে বাংলা। এবারও তার অন্যথা হলনা।

এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা জটিলেশ্বর মণ্ডল বলেন,"আমাদের নেত্রীর দেওয়া ভাতা নেবে, সাইকেল নেবে, রেশনের চাল খাবে। আর আমাদের বদনাম করলে শুনব না। তা হলে হাত কেটে নেওয়া হবে! পঞ্চায়েত থেকে বিধানসভা, সব জায়গায় আমরা আছি। ওরা ঢোল পাততেই পারবে না।’’ এখানেই শেষ নয়। জটিলকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘ওদের বলে দিতে হবে, ভোটের দিনে যেন বাড়ি থেকে না-বেরোয়। ভদ্র ভাবে শুনলে ভাল। না হলে ডাঙ (ডান্ডা) পেটা করে পেটাতে হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনী ওদের বাপের বন্ধু নয়। ভোট পেরোলেই চলে যাবে। তখন কী হবে? এখনই ওদের হুমকি দিয়ে দিতে হবে। তাতে থানা-পুলিশ হলে আমরা দেখে নেব। কেস করতেই দেব না!’’ জটিল মণ্ডল ময়ূরেশ্বর দু'নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি। ময়ূরেশ্বরে দলীয় কার্যালয়ের সামনেই এই বিতর্কিত মন্তব্য করেন জটিল মণ্ডল। যা ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।

এ প্রসঙ্গে,তৃণমূল নেতা জটিলেশ্বর মণ্ডলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগও জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কমিশনের কাছে জটিলের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার আবেদন জানিয়েছেন। পাশাপাশি জেলা বিজেপির পক্ষ থেকেও ময়ূরেশ্বর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও জটিলেশ্বর ওই ধরনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

Sweta Chakrabory | 16:59 PM, Thu Feb 29, 2024

TMC Leader Ajit Maity: রাতে আটক, আর সকাল হতেই গ্রেফতার তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি

নিউজ ডেস্ক: আবারও প্রসঙ্গ সন্দেশখালি। এবার সন্দেশখালিকাণ্ডে তৃণমূল নেতা অজিত মাইতিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার তাঁকে নিয়েই উত্তপ্ত ছিল সন্দেশখালির বেড়মজুর গ্রাম। গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়ে অন্য এক জনের বাড়িতে ঢুকে পড়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে পুলিশ তাঁকে আটক করে মিনাখাঁ থানায় নিয়ে যায়। এরপর সোমবার সকালে অজিতকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই তাঁর বাড়িতে হামলা হয়েছিল। তার অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী এবং কন্যার শ্লীলতাহানি হয়েছে। এই সবের মাঝেই বেড়মজুর ১ নম্বর অঞ্চল সভাপতি করা হয় অজিত মাইতিকে। উল্লেখ্য, শেখ সিরাজউদ্দিনকে সরিয়ে শনিবারই তাঁকে বেড়মজুর ১ নম্বর অঞ্চল সভাপতি করা হয়েছে বলে ঘোষণা করে এসেছিলেন রাজ্যের ২ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ও সুজিত বসু। কিন্তু এরপর রবিবার ফের অজিত মাইতিকে ধাওয়া করে এলাকার মহিলারা। তাদের অভিযোগ, এলাকায় অশান্তির শেষ নেই, নেতা-মন্ত্রীরা এলেও সুরাহা হচ্ছে না। তাই তাঁদের শাড়ি, চুড়ি পরাতে চান। মহিলাদের তাড়া খেয়ে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতে প্রায় ৪ ঘণ্টা লুকিয়ে থাকেন অজিত মাইতি। এরপর ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের হাত থেকে উদ্ধার করে সেখান থেকে তাঁকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। আর সোমবার সকালে গ্রেফতার করা হয় অজিত মাইতিকে।

গ্রেফতারের আগে জনরোষের মুখে পড়ে দুর্নীতির অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন অজিত মাইতি। যদিও ২ মন্ত্রীর দাবি, অজিত দলের কেউ নন, তাঁকে আগেই পদ থেকে সরানো হয়েছে। উল্লেখ্য সভাপতি ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না-কাটতেই অজিতকে পদ থেকে সরায় দল। পাশাপাশি জানিয়ে দেওয়া হয়, অজিতের পাশে দল নেই।

প্রসঙ্গত, অজিতের বিরুদ্ধে এলাকায় অত্যাচার, জমি জবরদখলের মতো অভিযোগ তুলেছেন গ্রামবাসীরা। তিনি শাহজাহান শেখের ভাই সিরাজউদ্দীনের ঘনিষ্ঠ বলে এলাকায় পরিচিত। এক সময়ে নাকি গ্রামবাসীদের চমকে-ধমকে বেড়িয়েছেন অজিত। আর তাই গ্রামের মহিলাদের জনরোষের মুখে পড়েছেন তিনি। তাঁর গ্রেফতারির দাবিতে শনিবারও বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। এরপর রবিবার তাঁকে সামনে পেয়ে তাড়া করেন। অবশেষে সোমবার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন বেড়মজুরের তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি।

Sweta Chakrabory | 11:39 AM, Mon Feb 26, 2024
upload
upload