Thursday, September 19, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

raj bhavan

Aparajita Bill 2024: অপরাজিতা বিলেও ধাক্কা! টেকনিকাল রিপোর্ট ছাড়া সই পাওয়া সহজ হবে না, জানালেন রাজ্যপাল


নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের অপরাজিতা বিলকে (Aparajita Bill 2024) ‘পলিটিকাল গিমিক’ বলে খোঁচা রাজভবনের। রাজভবনের মতে, কোনও বিল সইয়ের জন্য পাঠানো হলে তার টেকনিকাল রিপোর্ট দেওয়ার দায়বদ্ধতা রাজ্যেরই। তাই এই বিলের টেকনিকাল রিপোর্টও চাইলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সরকারের এই বিলটি অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, অরুণাচলের অনুকরণে তৈরি বলেও খোঁচা দিয়েছেন সিভি আনন্দ বোস।
আরজি কর কাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, বিধানসভায় তার সরকার মহিলা সুরক্ষায় নতুন একটি বিল আনতে চলেছে। সম্প্রতি সেই 'অপরাজিতা বিল ২০২৪' (Aparajita Bill 2024) সম্প্রতি বিধানসভায় পাস করিয়েছে রাজ্য সরকার। নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্যের বিধানসভায় পাশ হওয়ার পর যে কোনও বিল রাজভবনে পাঠানো হয়। সেই বিলে রাজ্যপাল স্বাক্ষর করলে তা আইনে পরিণত হয়। বিল নিয়ে রাজ্যপাল যদি কোনও সিদ্ধান্তে আসতে না পারেন বা তাঁর যদি কোনও পরামর্শের প্রয়োজন হয়, তবে তা তিনি পাঠিয়ে দেন রাষ্ট্রপতির কাছে। সেই বিলের ক্ষেত্রে তখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন রাষ্ট্রপতিই।
বস্তুত, রাজ্যের যে কোনও বিল নিয়েই প্রশ্ন তুলতে পারেন রাজ্যপাল। কোনও বিল কেন আনা হয়েছে, কী ভাবে আনা হয়েছে, সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত একটি রিপোর্ট বিলের সঙ্গেই জমা দিতে হয়। তাকে বলে ‘টেকনিক্যাল রিপোর্ট’। ওই বিল কার্যকর করতে রাজ্যের উপর কতটা আর্থিক দায় বর্তাবে, রাজ্যের তহবিল থেকে কত খরচ হতে পারে, তা-ও রিপোর্টে উল্লেখ করা থাকে। এ ছাড়া, কেন্দ্রীয় আইন ব্যবস্থার সঙ্গে রাজ্যের আনা ওই বিলের সাযুজ্য কতটা, তা বিস্তারিত জানাতে হয়। ‘অপরাজিতা বিল’ নিয়েও এই সংক্রান্ত তথ্যগুলিই রাজ্যপাল জানতে চান বলে মনে করা হচ্ছে।
যদিও এ প্রসঙ্গে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আজকের মধ্যেই বিলের (Aparajita Bill 2024) টেকনিক্যাল রিপোর্ট চলে যাবে। অন্য রাজ্য সঙ্গে এখানকার বিষয় আলাদা। তাই অবিলম্বে এই বিল পাস করিয়ে দেওয়া উচিত রাজ্যপালের। প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে উদ্যোগ নিন রাজ্যপাল। সবটাই বাংলার স্বার্থে।”
উল্লেখ্য, এই বিল রাজভবনে পাঠানোর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছেও পাঠানো হয়। তবে এই বিলে রাজ্যপাল যে সহজে সই করবেন না তা রাজভবনের বক্তব্যে স্পষ্ট। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়েছে।

Sweta Chakrabory | 17:19 PM, Fri Sep 06, 2024

BJP Dharna: নির্দিষ্ট শর্ত মেনে রাজভবনের সামনে ধর্নার অনুমতি বিজেপিকে


নিউজ ডেস্ক: অবশেষে বিজেপির ধর্নায় সায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় আক্রান্তদের নিয়ে রাজভবনের সামনে ধর্না করতে চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। প্রথমে বিজেপিকে সেই অনুমতি না দিলেও অবশেষে বিজেপির ধর্নায় অনুমতি দিল হাইকোর্ট। তবে আদালত তরফে জানানো হয়েছে নির্দিষ্ট শর্ত মেনেই বিজেপিকে এই ধর্নায় বসতে হবে। 

বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহের বেঞ্চে শুভেন্দুর মামলার শুনানি ছিল। আদালতে রাজ্যের আইনজীবী জানান, ১৪ জুলাই, রবিবার সকাল ১০টা থেকে রাজভবনের সামনে শুভেন্দুরা যদি ধর্নায় বসেন, তাতে তাঁদের আপত্তি নেই। এরপর রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ধর্নায় অনুমতি দিয়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ, ১৪ জুলাই সকাল ১০টা থেকে রাজভবনের নর্থ গেট থেকে দশ মিটার দূরে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করতে হবে শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। তবে সেখান থেকে করা যাবে না কোনও উস্কানিমূলক মন্তব্য। কোনও ব্যক্তি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেন না। শান্তিপূর্ণ ভাবে কর্মসূচি করতে হবে। কোনও প্রকার অশান্তি সেখানে বরদাস্ত করা হবে না। দূষণবিধি মানতে হবে শুভেন্দু এবং তাঁর সঙ্গীদের। সকাল দশটা থেকে চার ঘণ্টা ধর্নায় বসতে পারবেন শুভেন্দু। আদালতের শর্ত অনুযায়ী ৩০০ লোক নিয়ে ধর্নায় বসতে পারবেন বিরোধী দলনেতা।

তবে এর আগে প্রথমে আপত্তি জানিয়েছিল রাজ্য। বলা হয়, রাজভবনের সামনে ওই জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি থাকে। তাই নিরাপত্তা সংক্রান্ত কারণে বিজেপির কর্মসূচিতে অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। সে কথার প্রসঙ্গে শুভেন্দুদের (Suvendu Adhikari) তরফে গত বছর একই জায়গায় শাসকদলের কর্মসূচির দৃষ্টান্ত দেওয়া হয়। যেখানে ১০০ দিনের কাজের টাকার দাবিতে রাজভবনের সামনেই টানা পাঁচ দিন ধর্নায় বসেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করেই সেই দৃষ্টান্ত আদালতে জানান শুভেন্দু। সে সময় আদালত জানিয়েছিল, শাসকদলের নেতা ধর্নায় বসেছিলেন বলে তাঁদেরও ওই জায়গাতেই কর্মসূচি করতে হবে, তার কোনও যুক্তি নেই। শুভেন্দুদের কর্মসূচির জন্য বিকল্প জায়গাও খুঁজতে বলেছিল আদালত। এরপর আদালতে বিজেপির তরফে জানানো হয়, রাজভবনের সামনে কর্মসূচির অনুমতি না পেলে তাঁরা রাজ্য পুলিশের ডিজির দফতরের সামনে ধর্নায় (BJP Dharna) বসতে চান। যদিও পরে রাজভবনের সামনে বিরোধী দলনেতার কর্মসূচিতে সায় দেয় আদালত।

Sweta Chakrabory | 17:41 PM, Wed Jul 03, 2024

CV Ananda Bose: লালবাজারের নিরাপত্তায় সুরক্ষিত নন রাজ্যপাল! পুলিশকর্মীদের রাজভবন থেকে সরানোর নির্দেশ 

নিউজ ডেস্ক: লালবাজারের নিরাপত্তায় সুরক্ষিত নন রাজ্যপাল। অবিলম্বে রাজভবন খালি করুন। সোমবার সকালে রাজভবনে মোতায়েন কলকাতা পুলিশের কর্মীদের এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। ইতিমধ্যেই রাজভবন চত্বরে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের সরানোর নির্দেশ দিয়ে নবান্নে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যপাল। এ প্রসঙ্গে রাজভবনের (Raj Bhavan) ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক জানিয়েছেন, রাজ্যপাল রাজভবনের ভিতরে মোতায়েন পুলিশ কর্মীদের অবিলম্বে প্রাঙ্গন খালি করার নির্দেশ দিয়েছেন।

চিঠিতে রাজ্যপাল জানিয়েছেন যে, রাজভবনের (Raj Bhavan) নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ কর্মীরা তাঁর নির্দেশনা মানছে না। ফলে রাজভবন চত্বরে থাকা কলকাতা পুলিশের নিরাপত্তায় তিনি একেবারেই সুরক্ষিত বোধ করছেন না। তাই অবিলম্বে রাজভবনের (Raj Bhavan) নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের সরিয়ে ফেলা হোক। যদিও রাজভবনের চিঠির প্রেক্ষিতে নবান্নের তরফে এখনও কোনও বক্তব্য মেলেনি।

গত বৃহস্পতিবার রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসায় 'আক্রান্তদের' নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে আসেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কিন্তু সে সময় তাঁকে ভিতরে ঢুকতে দেয়নি কর্তব্যরত কলকাতা পুলিশ। রাজভবনের বাইরে ১৪৪ ধারা জারি থাকার কারণ দেখিয়ে শুভেন্দু সহ শো দুয়েক লোককে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ফলে রাজ্যপালের (CV Ananda Bose) অনুমতি থাকা সত্ত্বেও রাজভবনে প্রবেশ করতে না পেরে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন বিরোধী দলনেতা। শুনানিতে বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, রাজ্যপাল কি গৃহবন্দী নাকি। তাঁর অনুমতি সত্ত্বেও কেন দেখা করার অনুমতি দেওয়া হল না। আর বিচারপতির এই মন্তব্যের পরেই এবার রাজভবন (Raj Bhavan) চত্বর থেকে লালবাজারের নিরাপত্তা সরিয়ে নেওয়ার জন্যে নবান্নকে চিঠি পাঠালেন রাজ্যপাল।

যদিও রবিবার বিরোধী দলনেতা একশোর বেশি ঘরছাড়াকে নিয়ে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের (CV Ananda Bose) সঙ্গে দেখা করেন। সেই সময় রাজ্যপাল শুভেন্দু অধিকারীকে বলেন, পশ্চিমবঙ্গকে তিনি হিংসা মুক্ত করবেন। তিনি এর শেষ দেখে ছাড়বেন বলেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু এসবের মাঝেই এবার বিচারপতির ওই মন্তব্যের পর সোমবার সকালে রাজ্যপাল এই নির্দেশ দেন।

Sweta Chakrabory | 13:42 PM, Mon Jun 17, 2024

Suvendu Adhikari: অভিষেকের মতো একই জায়গায় ধর্নায় বসতে চান শুভেন্দু! শর্তসাপেক্ষে শুভেন্দুকে রাজভবন যাওয়ার অনুমতি হাইকোর্টের


নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিঃসায় আক্রান্তদের নিয়ে রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসতে চান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। গত বছরের শেষ দিকে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে ধর্নায় বসেছিলেন, ঠিক সেখানেই এবার ধর্নায় বসতে চান তিনি। ইতিমধ্যেই ধর্নার অনুমতি চেয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গয়ালকে চিঠি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। উল্লেখ্য, ভোটের ফল প্রকাশের পর কর্মীদের ওপর আক্রমণের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। একইসঙ্গে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও উঠেছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের তরফে। এসব ইস্যু সামনে রেখেই আগামী ১৯ জুন থেকে ধর্নায় বসার পরিকল্পনা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

 এ প্রসঙ্গে, শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার একক বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে যে, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করতে রাজ্যপালের কাছে নতুন করে আবেদন জানাতে পারেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। বিচারপতি জানিয়েছেন, রাজ্যপালের অনুমতি সাপেক্ষে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ও নির্বাচন পরবর্তী অশান্তিতে ‘আক্রান্ত’ ব্যক্তিরা। তবে রাজ্যপালের সঙ্গে কতজন দেখা করতে যাবেন, সেটা পুলিশকে জানাতে হবে। পাশাপাশি বিচারপতির নির্দেশ, যদি গাড়ি নিয়ে রাজ ভবনের (Raj Bhavan) ভেতরে যাওয়া হয়, তাহলে কতগুলি গাড়ি রাজভবনের ভিতরে ঢুকবে, সেটাও জানাতে হবে পুলিশকে।

তবে শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষের আইনজীবী এদিন আদালতে জানিয়ে দেন, তাঁদের কোনও গাড়ি রাজভবনের ভিতরে ঢুকবে না। সকলেই হেঁটে রাজভবনের ভিতরে প্রবেশ করবেন। অন্যদিকে রাজ্যের তরফে আবার সওয়াল করা হয়, যাঁরা রাজভবনের ভিতরে প্রবেশ করবেন, তাঁদের শনাক্তকরণের কাজ শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) পক্ষ থেকে কোনও ব্যক্তিকে করতে হবে। রাজ্যের এই দাবিতে বিচারপতি সম্মতি দিলেও, তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, কারও পরিচয় নথিবদ্ধ করা যাবে না। কারণ, সেরকম হলে পরে আবার তাঁদের হেনস্থা করার আশঙ্কা থেকে যায় বলেই মনে করছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

বিজেপি জানিয়েছে, এ বছর লোকসভা ভোটের ফলাফলে কিছুটা আশাহত দলের নিচুতলার কর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে দলের শীর্ষ নেতারা পাশে না থাকলে সংগঠন আরও দুর্বল হয়ে পড়বে। তাই শুভেন্দু অধিকারীর এই ধর্নার উদ্যোগকে দলের কর্মীদের চাঙ্গা রাখার একটি প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। বর্তমানে দলের নেতাকর্মীদের মনোবল বাড়ানোই রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। তাই শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) নগরপালকে জানিয়েছেন, তিনি আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের নিয়েই ধর্নায় বসতে চান। তবে এখনও পর্যন্ত কলকাতা পুলিশের (kolkata police) পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো উত্তর মেলেনি।

প্রসঙ্গত, গত বছর ডিসেম্বর মাসে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে এবং রাজ্যের বকেয়া মেটানোর দাবিতে রাজভবনের সামনে টানা ধর্নায় বসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার শাসক দলের বিরুদ্ধে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ তুলে ওই একই স্থানে ধর্নায় বসতে চান শুভেন্দু অধিকারী।

Sweta Chakrabory | 18:01 PM, Fri Jun 14, 2024
upload
upload