RG Kar Hearing Breaking: আরজি কর মামলার শুনানি শুরু সুপ্রিম কোর্টে
Sweta Chakra... | 11:04 AM, Mon Sep 09, 2024
RG Kar BREAKING: সিল বন্ধ খামে আরজি কর কাণ্ডের তদন্তের রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই
Sweta Chakra... | 11:39 AM, Thu Aug 22, 2024
Buddhadeb Bhattacharjee: সকালে প্রাতঃরাশ সেরেই অসুস্থ, প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বয়স হয়েছিল ৮০
Sweta Chakra... | 11:47 AM, Thu Aug 08, 2024
Astra Mark 1: বিমান বাহিনীর অস্ত্র ভান্ডারে এবার দেশীয় দুরপাল্লার মিসাইল
Pankaj Kumar... | 16:58 PM, Wed Aug 07, 2024
RSS বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবি আরএসএসের
Pankaj Kumar... | 16:41 PM, Wed Aug 07, 2024
Paris Olympics 2024: প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছ ইতিহাস গড়লেন মানিকা বাত্রা, জাগালেন পদকের আশা
Pankaj Kumar... | 12:50 PM, Tue Jul 30, 2024
Amarnath Yatra: অমরনাথ যাত্রায় হামলার ছক, এবার খলিস্তানীদের ময়দানে নামাচ্ছে পাকিস্তান
Pankaj Kumar... | 18:35 PM, Sat Jul 27, 2024
Terrorist Attack: জঙ্গিদের ছবি প্রকাশ্যে এল, মাথার দাম পাঁচ লাখ টাকা
Pankaj Kumar... | 18:32 PM, Sat Jul 27, 2024
Meerut Police: নির্ভয়ার স্মৃতি ফিরল মেরঠে, গ্রেফতার হাসিন, শাহরুখ, একরামউদ্দিন এবং মহসিন
Pankaj Kumar... | 15:46 PM, Sat Jul 27, 2024
BJP Protest: “অন্য ধর্মে জন্মানো দুর্ভাগ্যের”, ফিরহাদের বিতর্কিত মন্তব্যে তোলপাড় বিধানসভা
Pankaj Kumar... | 15:23 PM, Sat Jul 27, 2024
Indian Army: ১৬ হাজার ফিট উচ্চতায় মোবাইল পরিষেবা, সেনাকে বিজয় দিবসের উপহার কেন্দ্রের
Pankaj Kumar... | 15:19 PM, Sat Jul 27, 2024
RG Kar Incident: আরজি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়কে ১৪দিনের জেল হেফাজতে পাঠাল আদালত, হবে পলিগ্রাফি টেস্ট
নিউজ ডেস্ক: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় (RG Kar Incident) নয়া আপডেট। এবার আরজির কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়কে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁকে জেল হেফাজতে রাখা হবে। একইসঙ্গে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ রায় সহ ৭ জনের পলিগ্রাফ টেস্টের অনুমতি পেল সিবিআই।
উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডে গতকালই প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ-সহ মোট ৬ জনকে শিয়ালদহ আদালতে নিয়ে যায় সিবিআই। তাদেরও পলিগ্রাফ টেস্টের আবেদন জানানো হয়েছিল। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে। সত্য উদঘাটনে (RG Kar Incident) এবার সন্দীপ ঘোষ-সহ ৬ জনের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করানো হবে। এই ৬ জনের মধ্যে রয়েছে সেই সিভিক ভলান্টিয়ারও। এর সঙ্গে সঞ্জয়ের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল বলে সিবিআই সূত্রের খবর। ৬ জনের মধ্যে রয়েছেন চার চিকিৎসক।
প্রসঙ্গত, এদিন এই মামলা (RG Kar Incident) চলাকালীন আদালতে তোলা হয়েছিল সঞ্জয়কে। সেখানে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যেই এদিন আরজিকর কাণ্ডে অভিযুক্ত সঞ্জয়কে বের করা হয়। এরপর তাঁকে শিয়ালদহের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। দুপুরে তাঁকে হাজির করানো হয় আদালতে। কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল আদালত চত্বরে। পুলিশের গাড়়ি আদালত চত্বরে নিয়ে আসার পরেই সাধারণ মানুষ চিৎকার করতে থাকেন, ''ফাঁসি চাই সঞ্জয়ের। মৃত্যুদণ্ডের ব্যবস্থা করতে হবে।''
তবে এদিন গোটা আদালত চত্বর সিআইএসএফ-এর জওয়ানরা ঘিরে রেখেছিলেন। নিরাপত্তায় ছিল কলকাতা পুলিশও। সঞ্জয়কে সিজিও থেকে বের করার সময় একাধিক প্রশ্ন করেছিলেন সাংবাদিকরা। তবে কোনও প্রশ্নেরই উত্তর দেয়নি সঞ্জয়।
RG Kar Incident: সুপ্রিম নির্দেশের পরেও কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় চিকিৎসকেরা
নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম নির্দেশের পরেও নিজেদের অবস্থানে অনড় আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Incident) আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। জানা গিয়েছে, আজ শুক্রবার, সিবিআই দফতরে গিয়ে তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইবেন চিকিৎসকরা। এরপরই কর্মবিরতি নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় (RG Kar Incident) বিচার চেয়ে কর্মবিরতির ডাক দেন জুনিয়র হাসপাতালের চিকিৎসকরা। একে একে সেই কর্মবিরতিতে যুক্ত হতে থাকেন গোটা রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতালগুলির পিজিটি, ইন্টার্ন, জুনিয়র চিকিৎসকরা। পাশে থেকে সংহতি জানান সিনিয়ররাও। পথে নামেন ডাক্তাররা। এমত অবস্থায় এই ঘটনার মামলা সুপ্রিম কোর্টে গড়ালে প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, চিকিৎসকরা যেন কাজে ফেরেন। সেইমতো কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে একাধিক চিকিৎসক সংগঠন। তবে কর্মবিরতির পথ থেকে সরছে না জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের জুনিয়র চিকিৎসক সংগঠন আপাতত ‘সিজওয়ার্ক’-এই থাকছে বলে জানিয়ে দেওয়া হল।
এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের জুনিয়র চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন এখনই কর্মবিরতি প্রত্যাহার করছেন না তাঁরা। বৃহস্পতিবার রাতে জেনারেল বডি বৈঠক হয়। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালেই কর্মবিরতি চলবে। আরজি কর হাসপাতালে তরুণী ট্রেনি চিকিৎসকের খুনের (RG Kar Incident) সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেফতার করলে তবেই কর্মবিরতি উঠবে। তাঁদের কথায়, সিবিআইয়ের তদন্তের গতিপ্রকৃতি এখনও স্পষ্ট নয়। জিজ্ঞাসাবাদের তালিকা দীর্ঘ হলেও নতুন করে কোনও গ্রেফতার নেই। সন্দীপ ঘোষের ভূমিকাও স্পষ্ট নেই। তদন্তের গতিপ্রকৃতি ইতিবাচক না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি জারি থাকবে। তদন্তের গতিধারা নিয়ে কথা বলতেই শুক্রবার সিবিআই দফতরে যাবেন চিকিৎসকরা।
তবে এদিন কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় ফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। দেশের সব হাসপাতালের রেসিডেন্স ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন বা আরডিএ-ও সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদিন আরডিএ জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, তাদের উপর ভরসা রাখতে, কাজে ফিরতে। সেই ভরসাতেই কাজে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা।
RG Kar Incident: মরদেহ লোপাট থেকে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ! আর কী কী অভিযোগ সন্দীপের বিরুদ্ধে?
নিউজ ডেস্ক: আরজি করের (RG Kar Incident) মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পর থেকেই নজরে সন্দীপ ঘোষ। আরজি কর-কাণ্ডের সময় তিনিই ছিলেন এই মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ। ফলে স্বাভাবিকভাবেই পুরো ঘটনায় তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। ইতিমধ্যেই প্রভাবশালী সন্দীপের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। তাঁকে ডেকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে সিবিআই।
আরজি করের (RG Kar Incident) বিতর্কের পাশাপাশি অন্য বিতর্কেও নাম জড়িয়েছে সন্দীপের। ২০২৩ সালের জুনে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। ফলে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে যে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, এবার তার তদন্তে সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। ঘটনাচক্রে, এই তিন বছরের বেশির ভাগ সময়ে কলেজের দায়িত্বে ছিলেন সন্দীপই।
এছাড়াও সন্দীপের বিরুদ্ধে উঠেছে হাসপাতালের মৃতদেহ লোপাট করার মতো মারাত্মক অভিযোগও। মর্গের রেজিস্টার গুম করে দিয়েছেন তিনি, ভেঙেছেন সরকারি নিয়ম, এক বছর আগে এই বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে নিয়ে এসেছিলেন আরজি কর হাসপাতালেরই এক চিকিৎসক। পেশাগত অনিয়মের কারণে বরাবরই বিতর্কের মধ্যে থেকেছেন সন্দীপ। অধ্যক্ষ হওয়ার পরে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের গায়ে লাথি মেরে চেম্বারে প্রবেশ করার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এছাড়াও জানা গিয়েছে, কোভিডের সময় অত্যাধুনিক যন্ত্র কিনেছিল আরজি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হিসেব দেখানো হয়েছিল ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। পরে জানা যায়, ওই যন্ত্রের তৎকালীন বাজারমূল্য ছিল ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। অভিযোগ ওঠে সন্দীপ ঘোষ নাকি টেন্ডারের ক্ষেত্রেও নিজের প্রভাব খাটিয়েছিলেন। একইসঙ্গে ল্যাব টেকনিশিয়ান নিয়োগের ক্ষেত্রেও সন্দীপের বিরুদ্ধে উঠেছে স্বজনপোষণের অভিযোগ। অবৈধ ভাবে ইন্টার্ন নিয়োগের অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
RG Kar BREAKING: সিল বন্ধ খামে আরজি কর কাণ্ডের তদন্তের রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই
আজ, বৃহস্পতিবার আরজি কর-কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার দ্বিতীয় শুনানি। সিল বন্ধ খামে আরজি কর কাণ্ডের তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিবিআই। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে আরজি কর মামলার শুনানি চলছে।
RG Kar Incident: কতদূর এগোল আরজি কর কাণ্ডের তদন্ত? সুপ্রিম কোর্টে আজ রিপোর্ট জমা দেবে সিবিআই-রাজ্য
নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Incident) হাসপাতালে কর্মরত তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে গোটা দেশ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার মামলা গড়িয়েছে শীর্ষ আদালতে। পাশাপাশি এই ঘটনায় হাই কোর্টের নির্দেশে কলকাতা পুলিশের বদলে আরজি কর কাণ্ডের তদন্তভার কাঁধে নিয়েছে সিবিআই। বৃহস্পতিবার আরজি কর-কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার দ্বিতীয় শুনানি। এর আগে শুনানির প্রথম দিনই শীর্ষ আদালত পুলিশ ও হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। এখনো পর্যন্ত তদন্ত কোন পর্যায়ে তা নিয়ে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল সিবিআই্কে। এর পাশাপাশি ১৪ ই আগস্ট রাতে আরজি করে ভাঙচুরের ঘটনায় তদন্ত কোন পর্যায়ে বৃহস্পতিবার তা নিয়ে আলাদা স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং কলকাতা পুলিশ। পাশাপাশি মহিলা চিকিৎসককে যৌন নিগ্রহ ও খুনের ঘটনায় নির্যাতিতার অটোপসি রিপোর্ট জমা দিতে পারে সিবিআই। আজ সকাল সাড়ে দশটায় শুনানি।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ অগস্ট আরজি করে নিগৃহীতার বিচার চেয়ে পথে নেমেছিলেন মহিলাদের একাংশ। সেই রাতে একদল দুষ্কৃতী এসে কার্যত তাণ্ডব চালায় হাসপাতালে। ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছিল কলকাতা পুলিশ। এরপর গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে আরজি কর (RG Kar Incident) মামলার শুনানি হয়। শুনানির প্রথম থেকেই সুপ্রিম কোর্টের কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাজ্যকে। আরজি করের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলে আদালত। তবে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে শুরুতেই অসন্তোষ প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তুলে বলেন, “প্রথমে ঠিক ভাবে এফআইআর করা হয়নি। পুলিশ কী করছিল? একটা হাসপাতালের মধ্যে এত বড় ঘটনা ঘটে গেল। পুলিশ তখন কী করছিল?”
উল্লেখ্য, গত ৯ অগস্ট আরজি কর (RG Kar Incident) হাসপাতালের চার তলায় চেস্ট মেডিসিন বিভাগের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয়েছিল মহিলা চিকিৎসকের মৃতদেহ। সেই ঘটনা ঘিরে রহস্য ঘনীভূত হয়। মৃত চিকিৎসকের মা-বাবা অভিযোগ করেন, তাঁদের প্রথমে বলা হয়েছিল যে মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। এরপর জানা যায় খুন। পরে ধর্ষণের মামলাও রুজু করা হয়। ফলে সব মিলিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিষয়টি ধামাচাপা দেওার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। এই পরিস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা গ্রহণ করে শীর্ষ আদালত। আজ সেই মামলারই দ্বিতীয় শুনানি।
Mimi Chakraborty: কুরুচিকর মন্তব্য মিমিকে! ধর্ষণের হুমকির মোক্ষম জবাব সৃজিত মুখার্জির
নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে সরব গোটা দেশ। সকলের মতোই এই ঘটনার বিচার চেয়ে সরব হয়েছিলেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)। আর তাতেই কুরুচিকর মন্তব্যের (Harassment Threat) শিকার হল অভিনেত্রী তথা প্রাক্তন সাংসদকে। আসলে আরজিকর কাণ্ডে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। আর এই ঘটনার ঠিক পড়েই আচমকাই একদল নেটিজেনের ক্ষোভের সম্মুখীন হন মিমি। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া স্টোরিতে স্ক্রিনশট পোস্ট করে ক্ষোভ, হতাশা প্রকাশ করেন অভিনেত্রী।
প্রসঙ্গত, আর জি কর কাণ্ডের পর নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণের কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্ত তা স্বীকার করেননি মৃতার পরিবার। সেই প্রসঙ্গ তুলেই এবার মিমিকে (Mimi Chakraborty) ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে। রাশিদুল আন্ডারস্কোর ৭৫৪ প্রোফাইল থেকে মিমির উদ্দেশ্যে লেখা হয়, "আজ এই কাণ্ড যদি মিমির সঙ্গে ঘটত তা হলে কী করত? মিমির পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হত নাকি? তাহলে মিমিকে আমার ঘরে পাঠিয়ে দিলে আমি ওঁর পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দিয়ে দেব।" এই মন্তব্যের পরেই কলকাতা পুলিশের ডিসিপিকে ট্যাগ করে দুটি মন্তব্যের (Harassment Threat) স্ক্রিনশট এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন মিমি (Mimi Chakraborty)। লেখেন, "আমরা কী এই কারণেই লড়ছি? আমরা একজন মহিলার জন্য বিচার চাইছি তাই না? ধর্ষণের হুমকি দেওয়াটা যেন জলভাত করে ফেলেছে এরা। তারাই আবার ভিড়ের মধ্যে মিশে বলছেন, মেয়েদের পাশে রয়েছেন! এটা কোন ধরনের শিক্ষা?"
আর এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ধর্ষণের হুমকির মোক্ষম জবাব দিয়েছেন পরিচালক সৃজিত মুখার্জি। এদিন মিমির (Mimi Chakraborty) শেয়ার করা পোস্টটির স্ক্রিনশট নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করে সৃজিত লিখেছেন, "তারকাদের ঘৃণা করুন কিন্তু ভেবেচিন্তে। জেলে ইন্টারনেট নাও পেতে পারেন।"
RG Kar Incident: স্যোশাল মিডিয়া থেকে চিকিৎসকের নাম-ছবি সরিয়ে ফেলুন, আরজি কাণ্ডে নির্দেশ শীর্ষ আদালতের
নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Incident) হাসপাতালে কর্মরত তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে গোটা দেশ। সকলেই সুবিচারের জন্য লড়ছেন। আরজি কর কাণ্ডের এই ঘটনার প্রায় দেড় সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মাধ্যমে সামনে এসেছে নির্যাতিতার নাম। ছড়িয়ে পড়েছে ছবিও। এবার তা নিয়েই প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। প্রসঙ্গত, এই মামলার শুনানি শুরু হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেখানেই মামলা চলাকালীন কার্যত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।
এ প্রসঙ্গে আদালত (Supreme Court) জানিয়েছে, ''আমরা নির্দেশ দিচ্ছি মৃতের নাম ছবি প্রকাশ করা যাবে না। সমস্ত স্যোশাল মিডিয়া প্লাটফর্ম থেকে মৃতের ছবি সরাতে হবে।'' আসলে এদিন মামলা চলাকালীন দুজন আইনজীবী অভিযোগ করেছিলেন যে মৃতের ছবি নাম কোথাও কোথাও প্রকাশ করা হচ্ছে। এর পরেই প্রধান বিচারপতি বলেন, “নির্যাতিতার নাম ও ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকী ময়নাতদন্তের আগের ও পরের ভিডিয়ো ক্লিপ ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দেহ দেখা যাচ্ছে। একটা প্যারামিটার আছে, সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইনও আছে। তারপর কীভাবে এটা হল?” এরপরেই প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘একজন তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে, তাঁকে এইটুকু মর্যাদা দেওয়া উচিত।’ প্রধান বিচারপতির প্রশ্নের মুখে আইনজীবী (রাজ্য সরকারের তরফে) কপিল সিবল বলেন, ‘পুলিশ যাওয়ার আগেই ছবি তোলা হয়েছে। আমরা পুরো জায়গাটা ঘিরে রেখেছিলাম।’
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) গাইডলাইনই শুধু নয়, নির্যাতিতার নাম প্রকাশ্যে আনার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট আইনও আছে। ভারতীয় আইনে ধর্ষণ বা যৌন হেনস্থার ঘটনায় নির্যাতিতার নাম, পরিচয় বা ছবি প্রকাশ করা যায় না। এমন কোনও তথ্য যা প্রকাশ করলে নির্যাতিতার পরিচয় জানা যেতে পারে, তাও প্রকাশ করা যায় না। আসলে আরজি কর (RG Kar Incident) হাসপাতালের চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তোলপাড় কলকাতা সহ গোটা রাজ্য। এই আবহে মানুষ প্রতিবাদ করছেন রাস্তায় ও সোশ্যাল মিডিয়ায়। এহেন পরিস্থিতিতে অনেকেই নির্যাতিতার ছবি পোস্ট করছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাই আইন অনুযায়ী নির্যাতিতার নাম প্রকাশ্যে আনা বন্ধ করতে এই নির্দেশ দিল আদালত।
RG Kar Incident: ‘‘সিট গঠন করে সন্দিপ ঘোষকে বাঁচাবেন?’’, আরজি কর কাণ্ডে মমতাকে আক্রমণ বিজেপির
নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Incident) মেডিক্যালে চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। এরই মধ্যে এবার আরজি কর মেডিক্যালে উঠল আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ। আর তার তদন্তে এবার সিট (SIT) গঠন করল রাজ্য সরকার। তবে রাজ্য সরকারের সিট গঠনের বিষয়টিকে সন্দিপ ঘোষকে বাঁচানোর পদক্ষেপ বলেই অভিযোগ করছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)।
জানা গিয়েছে, প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের জমানায়, ২০২১ সাল থেকে, ব্যাপক কারচুপি ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে আরজি কর মেডিক্যালে। এবার তাঁর তদন্তে অফিসার প্রণব কুমারের নেতৃত্বের ৪ সদস্যের সিট গঠন করল স্বরাষ্ট্র দফতর। দলের বাকি সদস্যরা হলেন ডিআইজি মুর্শিদাবাদ রেঞ্জ ওয়াকার রাজা, ডিআইজি সিআইডি সোমা দাস মিত্র এবং কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। এক মাসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিটকে। নবান্নের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যে সব আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তার পুরোটাই তদন্ত করে দেখবে এই সিট।
রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপকে আসল ঘটনার থেকে দৃষ্টি সরানো এবং আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে বাঁঁচানোর চেষ্টা বলে আক্রমণ করেছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির মিডিয়া সেলের ইনচার্জ এবং মুখপাত্র অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক ট্যুইটার) লিখেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের তদন্তের জন্য সিট (SIT) গঠন করেছে৷ এটি সন্দীপ ঘোষকে বাঁচাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদক্ষেপ ছাড়া আর কিছুই নয়। রাজ্য পুলিশ ঠিক সময়েই সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করবে, যাতে সিবিআই তাঁকে হেফাজতে নিতে না পারে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পদত্যাগ না করলে ডাক্তারের ধর্ষণ ও খুনের (RG Kar Incident) অবাধ ও সুষ্ঠু তদন্ত সম্ভব নয়। তাঁকে এখনই পদত্যাগ করতে হবে।’’