Saturday, September 21, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

rss

RSS বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবি আরএসএসের

নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে কোটা বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন হিংসার ঘটনা বাড়তেশুরু করে। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর থেকে হিংসা, অগ্নিসংযোগের পরিমাণ আর বেড়েছে।বিভিন্ন জায়গায় দোকানপাট লুট করা হচ্ছে সরকারি দফতরে অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে।কোটা বিরোধী আন্দোলন পরিণত হয়, সরকার বিরোধী আন্দোলনে। সরকারের পতনের পর এখন হিন্দুদের (Bangladeshi Hindus) টার্গেট করা হচ্ছে এই পরিস্থিতি জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আরএসএস (RSS)

আরএসএসের দাবি (RSS)

আরএসএস সরকারের কাছে মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) সর্বভারতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ভৈয়াজি জোশী বলেন, বাংলাদেশে (Bangladeshi Hindus) হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আরএসএস কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করেছে। রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেশটি নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সম্মুখীন। " জোশি মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় একথা জানান। জোশি আরও বিশদভাবে বলেন, “বাংলাদেশ একটি ভিন্ন দেশ। সন্ত্রাসকে বলিত বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি জেলায় হিন্দুদের বাড়ি এবং দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু মন্দির

হিন্দুদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ সেনা

বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ খ্রিস্টান একতা পরিষদ জানিয়েছে, প্রায় ৩০০ জন হিন্দুর দোকানঘর এবং বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে প্রায় ২৪ টির মতো মন্দির ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে ৪০ জনের বেশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ আহত হয়েছেন। হামলাকারীরা মনে করেন, হিন্দুরা শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লিগের সমর্থক। সেই ভাবনা থেকেই হিন্দুদের (Bangladeshi Hindus) উপরে বেশি আঘাত নেমে আসছে বলে অভিযোগ। যদিও অনেক জায়গায় মুসলিমরা মন্দির পাহারা দিয়েছেন এমন ছবিও দেখা গেছে। কিন্তু সকল সংখ্যালঘুর নিরাপত্তা এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি বাংলাদেশের সেনাবিহিনী।  

বাংলাদেশে কমছে হিন্দুদের সংখ্যা (Bangladeshi Hindus)

জানা গেছে, বাংলাদেশে ২০ টির বেশি জেলায় হিন্দুরা আক্রান্ত হয়েছেন বিশেষ করে দিনাজপুর, বগুড়া, রংপুর, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, নড়াইল, যশোর, পটুয়াখালী, খুলনা, নরসিংদী, সাতক্ষীরা, টাঙ্গাইল, চট্টগ্রাম, হাবিবগঞ্জ, ঢাকা সহ বিভিন্ন জায়গায় হিন্দুদের উপর আক্রমণ বজায় রয়েছে। ভাঙচুর শেষে (Bangladeshi Hindus) তাঁদের সম্পত্তি লুটপাট করা হয়েছে বাংলাদেশ ২৫ শতাংশ থেকে কমতে কমতে হিন্দুদের জনসংখ্যা ৮ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে

Pankaj Kumar Biswas | 16:41 PM, Wed Aug 07, 2024

RSS: শিক্ষায় দখলের অভিযোগ খড়্গের! পাল্টা তোপ ধনখড়ের

নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয় দিনেও রাজ্যসভায় শাসক বিরোধী তরজা অব্যাহতএদিন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) ও কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের মধ্যে প্রথমে মজার ছলে কথোপকথন শুরু হয়। কিন্তু খড়গে তাঁর বক্তব্য আরএসএস (RSS) কেন্দ্রিক করতেই উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় দুজনের মধ্যে। নিটের বিষয়ে আলোচনা ইস্যুতে আরএসএসকে অহেতুক জড়িয়ে তির্যক মন্তব্য করেন কংগ্রেস সভাপতি পাল্টা জবাব দিতে সময় নষ্ট করেননি জগদীপ ধনখড়।  

ঠিক কি হয়েছিল?

এদিন রাজ্যসভায় মল্লিকার্জুন খড়্গে অভিযোগ করেন নিটের ৭০ টি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সাত বছরে লিক হয়েছে। তাঁর অভিযোগ সবকিছু জেনেও চুপ থেকেছে মোদি সরকার। এর সঙ্গে তিনি আর যোগ করেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের লোকেরা (RSS) দেশের পঠন-পাঠন সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি সংস্থায় ঢুকে পড়েছে। তাঁর অভিযোগ এনসিইআরটি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর পদে আরএসএস-এর লোকেরা বসে আছেন।

জগদীপধনখড়ের পাল্টা জবাব (RSS)

পাল্টা জগদীপ ধানখড়(Jagdeep Dhankhar) প্রশ্ন করেন, আরএসএস করা কি অপরাধ? আরএসএস করলে কি কোন ব্যক্তির কোন সংস্থার প্রবেশাধিকার নষ্ট হয়ে যায়। আরএসএসে(RSS) প্রশংসা করে উপরাষ্ট্রপতি বলেন,“আরএসএস রাষ্ট্রের অগ্রগতির জন্য দায়বদ্ধ। রাষ্ট্রের উন্নয়নে স্বয়ংসেবকদের অবদান অনস্বীকার্য।” সোমবার কংগ্রেস সভাপতি আর অভিযোগ করে বলে, রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ ভাষণের প্রস্তাবের আড়ালে সরকার তাদের ব্যর্থতা লুকোতে চাইছে। রাষ্ট্রপতির ভাষণে গরী, দলিত ও সংখ্যালঘুদের কথা উল্লেখ করা হয়নি বিরোধীরা যখন সাধারণ মানুষের কথা বলছে, সেই সময় মোদি শুধু মন কি বাত করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীকে নির্বাচনের সময় বিভাজনমূলক বক্তব্য রাখার জন্য অভিযুক্ত করে খড়্গে বলেন,“এর আগে দেশের কোন প্রধানমন্ত্রী এ কাজ করেননি।” কংগ্রেস পার্টির ম্যানিফেস্টোকে যেভাবে ধর্মের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল তা অবাঞ্ছিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

Pankaj Kumar Biswas | 19:49 PM, Mon Jul 01, 2024

RSS Founder: আরএসএস প্রতিষ্ঠার সঙ্গে বঙ্গের যোগাযোগের ইতিহাস জানলে অবাক হবেন 

রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রতিষ্ঠাতা ডঃ কেশব বলিরাম হেডগেওয়াড় জন্মদিনে সোমবার শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সারা দেশের রাজনৈতিক  ব্যক্তিত্ব। শুভেচ্ছা এসেছে বিশ্বের নানান প্রান্ত থেকে। কিন্তু ডাক্তারজী নামে পরিচিত কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারের সম্পর্কে এখনো চর্চা অনেকটা কম এই বাংলায়

 কে ছিলেন ডাক্তার কেব বলিরাম হেডগেওয়াড়?

 পরাধীন ভারতবর্ষে কেশব বলিরাম হেডগেওয়াড় ছিলেন এক আদর্শ নায়ক। যিনি বুঝেছিলেন স্বাধীনতার পরেও স্বাধীনতা ধরে রাখার জন্য একটি সংগঠনের প্রয়োজন এর জন্যই তিনি বিজয়া দশমীর সকালে তৈরি করেছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ আজকের দিনেই ১৮৮৯ সালে ১ এপ্রিল নাগপুরে কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারের জন্ম হয়েছিল

 

কী ছিল তার সঙ্গে বঙ্গের যোগাযোগ?

জীবনে ডাক্তারি পড়তে কলকাতায় এসেছিলেন হেডগেওয়াড়।সশস্ত্র বিপ্লবী ও স্বাধীনতা সংরামীদেরসানিধ্যে এসেছিলেন তিনি তার ভাবনার খোরাক পেয়েছিলেন এই কলকাতায়। অনুভব করেছিলেন হিন্দুদের হিন্দু হিসেবে একত্রিত হতে হবে না হলে স্বাধীনতার পরেও পরাধীনতার সময় যে ভাবে দাঙ্গায় হিন্দুরা একতরফা মার খেয়েছে পরবর্তীকালেও হালাল হয়ে যেতে হবে। তার আদর্শ অনুপ্রাণিত হয়েই ভারতীয় জনতা পার্টি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বজরং দল, হিন্দু সংহতি, হিন্দু জাগরণ মঞ্চের মত বিবি সংগঠন তৈরি হয়েছে কংগ্রেসসহ অন্যান্য দল আরএসএসকে নিত্যদিন বিঁধলেও বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা প্রণব মুখোপাধ্যায় ২০১৮ সালে তাঁর মূর্তিতে মাল্যদান করে বলেছিলেন, ভারত মায়ের এক মহান সন্তান বলিরাম

 

সংঘের কাছে এই দিনের গুরুত্ব!

রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের কাছে এই দিনটি গুরুত্ব অপরিসীম কারণ সংঘের প্রতিষ্ঠাতারপ্রথম সরসংঘ  চালক ডাক্তার কেশব বলিরাম হেগড়েবার এই দিনেই বৈদিক ব্রাহ্মণ পরিবারে নাগপুরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার পিতার নাম ছিল বলিরাম পন্ত হেডগেওয়ার এবং মাতার নাম ছিল রেবতি বাই। তারা ছিলেন তিন ভাই ও তিন বোন। বড় ভাই মহাদেব,মেঝ ভাই সীতারাম এবং সর্বকনিষ্ঠ কেশব। মাত্র ১২ বছর বয়সে তিনি প্লেগ মহামারীতে পিতা ও মাতাকে হারান। তিনি তার দাদা মহাদেব ও সীতারামের কাছে লালিত পালিত হন। ভিক্টোরিয়ার রানী হওয়া৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সারা দেশজুড়ে ধুমধাম করে উৎসব পালিত হচ্ছিল। বিভিন্ন পাঠশালায় মিষ্টি বিতরণ করা হয় সেই সময় আট বছর বয়সী ছাত্র কেশব বলিরামকে লাড্ডু খেতে দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি তা নর্দমায় ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলেন। বলেছিলেন এভাবে মিষ্টি বিলিয়ে ইংরেজরা আমাদের স্থায়ী গোলামে পরিণত করে রাখতে চায়।

দেশে সংঘের গুরুত্ব?

 দীর্ঘ ৮০০ বছরের দাসত্বের ফলে সনাতন ধর্মের মানুষদের তার নিজস্ব গৌরবম সংস্কৃতি, পরম্পরা ও ইতিহাস ভুলতে বসেছিল বিদেশীদের প্রভুত্ব স্বীকার আন্তরিক বর্ণবাদের ফলে নিজ দেশে হিন্দুরা কোনঠাসা হয়ে পড়েছিল সেই জাতিকে একত্রিত করার মহান কাজ নিজের কাজে তুলে নিয়েছিলেন ডক্টর কেশব বলিরাম হেডগেওয়াড় যখন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের জন্ম হয়েছিল তখন কেউই ভাবেনি এই সংগঠনের কয়েক কোটি সদস্য হয়ে উঠবে। এই সংগঠনের মন্ত্রের দীক্ষিতরা পরবর্তীকালে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমাজের সর্বোচ্চ আসনে বসবেন।

Editor | 18:10 PM, Mon Apr 01, 2024

Gandhi’s Relation with RSS: গান্ধীজির আদর্শকে বহন করছে সঙ্ঘ

নিউজ ডেস্ক: ইংরেজ(British) আগমন পরবর্তী ভারতের ইতিহাসে যে সব মানুষের অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে, যাঁরা নিজেরাই এক একটি অধ্যায় হয়ে উঠেছিলেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন মহাত্মা গান্ধী (Mohan Das Karamchand Gandhi)। আজও তাঁর আদর্শ বহন করে চলেছে আরএসএস (RSS)।
মহাত্মা গান্ধী একজন কট্টর হিন্দু ছিলেন। হিন্দু ধর্ম, গোরক্ষা, স্বদেশী, অস্পৃশ্যতা দূরীকরণের বিষয়ে তাঁর চিন্তাধারাকে আজও আরএসএস এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সঙ্ঘের সঙ্গে গান্ধীর সম্পর্ক ছিল খুবই ভালো। সঙ্ঘের প্রশংসাও শোনা গিয়েছিল তাঁর মুখে। ১৯৩৪ সালে ওয়ার্ধার(wardha) কাছে সঙ্ঘের(RSS Camp) এক শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। গান্ধী (Gandhi)সেখানে গিয়েছিলেন। শিবিরে গিয়ে তাঁর মন ভরে গিয়েছিল। দেখেন জাত-পাতের ঊর্ধ্বে গিয়ে যুবরা সবাই এক ছাদের তলায় রয়েছেন। তা দেখার পর বেজায় খুশি হয়েছিলেন গান্ধী।

ভারতের (Bharat) স্বাধীনতার (Independence) পরে একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় সঙ্ঘের অনুশাসনের প্রশংসা করেন গান্ধী। বলেছিলেন, "সঙ্ঘের নিয়মানুবর্তিতা ও সরলতা দেখে আমি মুগ্ধ। এমনকী, সেখানে জাত-পাতের কোনও বালাই নেই। সবাই সেখানে একসঙ্গে থাকেন।"
১৯২২ সালে গান্ধীজি গ্রেফতার(Arrest) হওয়ার পর নাগপুর শহর কংগ্রেস একটি জনসভার (Public Meeting) আয়োজন করে। ওই সভায় বক্তৃতা দিয়েছিলেন ডাঃ কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার(Hegdewar)। গান্ধীজিকে ‘পূণ্যপুরুষ’ বলে সম্বোধন করে ডাঃ হেডগেওয়ার বলেছিলেন, উনি যে কথা বলেন, সেটাই করে দেখান। ওঁর মত ও পথের মধ্যে কোনও ফারাক নেই। নিজের মতাদর্শের জন্য সর্বস্ব ত্যাগ করতেও উনি মনেপ্রাণে প্রস্তুত। শুধুমাত্রা গান্ধীজির ‘গুণবর্ণনা’ করলে অবশ্য তাঁর মতাদর্শ ও কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে না। গান্ধীজির এইসব গুণ অনুকরণ করে ব্যক্তিগত জীবনকে সেই পথে চালিত করলে তবেই তাঁর মতের ও কাজের প্রসার ঘটানো সম্ভব হবে।
গান্ধীর সঙ্গে দীনদয়াল উপাধ্যায়ের (Deen Dayal Upadhyay)অনেক মিল রয়েছে। গান্ধী এবং উপাধ্যায় প্রাথমিকভাবে সংগঠক ছিলেন। তাঁরা দু'জনেই ক্ষমতায় সরাসরি অংশগ্রহণ থেকে দূরে থাকতেন। নেপথ্যে ও মাটির কাছাকাছি থেকেই পরিচালনা করায় বিশ্বাসী ছিলেন তাঁরা। তাঁদের আদর্শকে পাথেয় করেই এগিয়ে চলেছেন বহু মানুষ।

দেশের মহাপুরুষদের স্মরণ করার জন্য রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের স্থাপনার দিন থেকেই সকালে একটি স্তোত্র পাঠের রীতি রয়েছে। ১৯৬৩ সালে তা পুনর্বার রচনা করে নতুন করে অনেকের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। গান্ধীজির নামও ওই স্তোত্রে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। সঙ্ঘের স্বয়ংসেবকরা প্রতিদিন সকালে গান্ধীজির নাম উচ্চারণ করে তাঁর কথা স্মরণ করেন।

Editor | 16:12 PM, Tue Jan 30, 2024
upload
upload