Friday, November 15, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

sealdah division

Local Train: কমছে লোকাল ট্রেনের স্টপেজের সময়! যাত্রী ভোগান্তির আশঙ্কা

নিউজ ডেস্ক: লোকাল ট্রেনের নিত্যযাত্রীদের জন্য দুঃসংবাদ। এবার থেকে যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ মাত্র ৩০ সেকেন্ড। অর্থাৎ প্রতি স্টেশনে ঘড়ির কাঁটা মেপে ৩০ সেকেন্ড দাঁড়াবে ট্রেন। ফলে যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। শুক্রবার থেকে ট্রেন স্টপেজের সময়সীমা কমিয়ে মাত্র ৩০ সেকেন্ড নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে শিয়ালদহ ডিভিশনে (Indian Railways) ট্রেন চলাচলের সময়সূচী ঠিক রাখতে এবং ট্রেনের দেরি হওয়ার সমস্যার সমাধানে। যাত্রী ওঠানামার এই সময়সীমা কার্যকর করতে ইতিমধ্যেই স্টেশনে মোতায়েন করা হচ্ছে কমার্শিয়াল বিভাগের কর্মী এবং আরপিএফ জওয়ানদের।

আসলে দীর্ঘদিন ধরে শিয়ালদহ ডিভিশনে ট্রেন চলাচল দেরিতে হচ্ছে, যাত্রীদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় ভোগান্তি বাড়ছে। ট্রেনগুলির নির্ধারিত সময়ে না পৌঁছানোর ফলে যাত্রীরা প্রায়ই অফিস বা অন্যান্য গন্তব্যে দেরিতে পৌঁছাচ্ছেন। এই সমস্যার মূল কারণ হিসাবে ট্রেনের স্টপেজে বেশি সময় লাগা উঠে এসেছে। প্ল্যাটফর্মে ট্রেন থামার পর যাত্রীদের ওঠা-নামা করানোর জন্য বেশি সময় বরাদ্দ হওয়ার ফলে এই দেরি হচ্ছে। তাই এবার ট্রেনের স্টপেজের সময়সীমা কমিয়ে ৩০ সেকেন্ড করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, এতদিন ট্রেন প্রতি স্টেশনে ৪০ থেকে ৫০ সেকেন্ড দাঁড়াত। অর্থাৎ যাত্রীরা ওঠা-নামার জন্য ওই সময়টা পেতেন। কিন্তু আজ অর্থাৎ শুক্রবার থেকে স্টপেজের সময় বেঁধে দেওয়া হচ্ছে ৩০ সেকেন্ড। অর্থাৎ এবার মাত্র ৩০ সেকেন্ডেই ওঠা-নামা করতে হবে যাত্রীদের। এমনিতেই অফিস টাইমে অধিকাংশ ট্রেনই প্রবল ভিড় হয়। ৪০ থেকে ৫০ সেকন্ডেও অনেকসময় যাত্রীরা উঠতে পারেন না। ট্রেন মিস হয়। সেখানে সময় আরও কমে গেলে সমস্যা বাড়বে বলেই মনে করছেন নিত্যযাত্রীরা।

যদিও এ প্রসঙ্গে রেলের একাংশের দাবি, লোকাল ট্রেনের স্টপেজের সময়সীমা বরাবরাই ৩০ সেকেন্ড। অনেকের ধারণা, খাতায় কলমে ৩০ সেকেন্ড থাকলেও ট্রেনগুলো আরেকটি একটু বেশি সময় দাঁড়াতো, তবে এবার কড়া ভাবে মেনে চলা হবে সময়সীমা। তাই সময় কমার বিষয়টা আদৌ কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।

এই সময়সীমা কমানোর পাশাপাশি রেল কর্তৃপক্ষ আরও কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে বলে জানা গিয়েছে। স্টেশনের প্ল্যাটফর্মগুলিতে যাত্রী ওঠানামার জন্য আলাদা আলাদা গেট স্থাপন করা, ট্রেনগুলিতে অতিরিক্ত বগি যোগ করা এবং প্ল্যাটফর্মে ভিড় নিয়ন্ত্রণে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে।

Sweta Chakrabory | 12:24 PM, Fri Oct 18, 2024

Sealdah: বাড়ানো হবে কোচ, ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে নয়া সিদ্ধান্ত রেলের


নিউজ ডেস্ক: হাতে গোনা আর কয়েকটা দিন। তারপরেই পুজো। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে পুজোর প্রস্তুতি। একদিকে প্রশাসনিক স্তরে শুরু হয়েছে বৈঠক। অন্যদিকে, প্রস্তুতি শুরু করল রেলও। প্রতি বছর বিভিন্ন জেলা থেকে বহু মানুষকে কলকাতায় প্রতিমা দর্শন করতে যান। তাই লোকাল ট্রেনগুলিতে ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতো। তাই সাধারণ মানুষ তথা রেলযাত্রীদের কথা মাথায় রেখে পুজোর জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ নিল রেল। শিয়ালদহ (Sealdah) ডিভিশনে যাত্রীদের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে একগুচ্ছ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

যাত্রীদের সাহায্যের জন্য “May I Help you” লেখা বুথ খোলা হবে শিয়ালদহ (Sealdah), কলকাতা ও দমদম জংশনের মতো ব্যস্ত স্টেশনগুলিতে। থানা, হাসপাতাল, ফায়ার ব্রিগেড সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গার ফোন নম্বর বুথগুলিত রাখা থাকবে। সম্প্রতি শিয়ালদহে এই বিষয়ে একটি জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও, বারাসত, খড়দা, বালিগঞ্জ, ব্যারাকপুর, বনগাঁর মতো একাধিক জায়গায় মোতায়েন হবে আরপিএফ। ২৪টি দুর্বল লেভেল ক্রসিং চিহ্নিত করে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়ন করার কথা ভাবা হয়েছে।শিয়ালদহ, বিধাননগর, দমদম, নৈহাটি, বালিগঞ্জ, সোনারপুর, কলকাতা, কাঁচরাপাড়া, ব্যারাকপুর, মাঝেরহাট, কৃষ্ণনগরের মতো স্টেশনে ট্রেন ইন্ডিকেশন বোর্ড ও প্যাসেঞ্জার অ্যাড্রেস ব্যবস্থা বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।

পাশাপাশি ভিড় নিয়ন্ত্রনে অতিরিক্ত ৫ টি টিকিট কাউন্টার খোলা হবে। শিয়ালদহ মেইন লাইনে ৪টি ও শিয়ালদহ দক্ষিণে ১টি কাউন্টার খোলা হবে। সেই কাউন্টারগুলি খোলার জন্য অতিরিক্ত বুকিং ক্লার্কও মোতায়েন করা হবে। একইসঙ্গে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনে জেনারেল কোচ বাড়ানো হবে। মহিলা, শিশু এবং প্রবীণ নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। অন্যদিকে, রেললাইনের ধারের প্যান্ডেলে আরপিএফ মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি গ্যালোপিং ট্রেনগুলি সব স্টেশনে থামবে বলে জানানো হয়েছে।

সব স্টেশনে ২৪ ঘণ্টা মিলবে পানীয় জল, থাকবে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র। রাজ্য প্রশাসনের পরামর্শ অনুসারে বিসর্জনের সময় সার্কুলার রেলওয়েতে ট্রেন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। বিকেল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সিনিয়র স্কাউটস, সেন্ট জনস অ্যাম্বুলেন্স এবং সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের নিয়োগ করা হবে। যাত্রীদের দিক নির্দেশ পেতে কোনও অসুবিধা হবে না।

এছাড়াও শিয়ালদহ(Sealdah), দমদম, নৈহাটি, বারাসতের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলিতে চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকবে। অসুস্থ যাত্রীদের যত্ন নেওয়ার জন্য ডাক্তার এবং প্যারামেডিক্যাল স্টাফ উপস্থিত থাকবে। অন্যান্য অনেক স্টেশনেও ফার্স্ট এইড বক্স, স্বাস্থ্য ইউনিট এবং প্যারামেডিক্যাল স্টাফ থাকবে।

Sweta Chakrabory | 17:38 PM, Sat Sep 21, 2024
upload
upload