RG Kar Hearing Breaking: আরজি কর মামলার শুনানি শুরু সুপ্রিম কোর্টে
Sweta Chakra... | 11:04 AM, Mon Sep 09, 2024
RG Kar BREAKING: সিল বন্ধ খামে আরজি কর কাণ্ডের তদন্তের রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই
Sweta Chakra... | 11:39 AM, Thu Aug 22, 2024
Buddhadeb Bhattacharjee: সকালে প্রাতঃরাশ সেরেই অসুস্থ, প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বয়স হয়েছিল ৮০
Sweta Chakra... | 11:47 AM, Thu Aug 08, 2024
Astra Mark 1: বিমান বাহিনীর অস্ত্র ভান্ডারে এবার দেশীয় দুরপাল্লার মিসাইল
Pankaj Kumar... | 16:58 PM, Wed Aug 07, 2024
RSS বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবি আরএসএসের
Pankaj Kumar... | 16:41 PM, Wed Aug 07, 2024
Paris Olympics 2024: প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছ ইতিহাস গড়লেন মানিকা বাত্রা, জাগালেন পদকের আশা
Pankaj Kumar... | 12:50 PM, Tue Jul 30, 2024
Amarnath Yatra: অমরনাথ যাত্রায় হামলার ছক, এবার খলিস্তানীদের ময়দানে নামাচ্ছে পাকিস্তান
Pankaj Kumar... | 18:35 PM, Sat Jul 27, 2024
Terrorist Attack: জঙ্গিদের ছবি প্রকাশ্যে এল, মাথার দাম পাঁচ লাখ টাকা
Pankaj Kumar... | 18:32 PM, Sat Jul 27, 2024
Meerut Police: নির্ভয়ার স্মৃতি ফিরল মেরঠে, গ্রেফতার হাসিন, শাহরুখ, একরামউদ্দিন এবং মহসিন
Pankaj Kumar... | 15:46 PM, Sat Jul 27, 2024
BJP Protest: “অন্য ধর্মে জন্মানো দুর্ভাগ্যের”, ফিরহাদের বিতর্কিত মন্তব্যে তোলপাড় বিধানসভা
Pankaj Kumar... | 15:23 PM, Sat Jul 27, 2024
Indian Army: ১৬ হাজার ফিট উচ্চতায় মোবাইল পরিষেবা, সেনাকে বিজয় দিবসের উপহার কেন্দ্রের
Pankaj Kumar... | 15:19 PM, Sat Jul 27, 2024
Vishwakarma Puja 2024: বিশ্বকর্মা পুজোয় করুন এই কাজ, আর্থিক সমস্যা হবে দূর
নিউজ ডেস্ক: আজ বিশ্বকর্মা জয়ন্তী। প্রতি বছর ১৭ সেপ্টেম্বর পালিত হয় বিশ্বকর্মা পুজো (Vishwakarma Puja 2024)। হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, এই দিনে ব্রহ্মার সপ্তম পুত্র বিশ্বকর্মা জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ভগবান বিশ্বকর্মাকে বিশ্বের প্রথম স্থপতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। দেব শিল্পী ভগবান বিশ্বকর্মার জন্মদিন উপলক্ষে কারিগর বা যে কোনও যন্ত্রপাতি দ্বারা কাজ করা লোকেরা ভগবান বিশ্বকর্মার পুজো করে। এদিন তারা তাদের কাজের দক্ষতা ও অগ্রগতির জন্যও প্রার্থনা করেন।
এই বছর বিশ্বকর্মা পুজোর (Vishwakarma Puja 2024) শুভ সময় হল সকাল ১১:০৮ থেকে ০১:৪৩ পর্যন্ত। কথিত আছে নিষ্ঠা মেনে বিশ্বকর্মার পুজো করলে অর্থের অভাব হয় না এবং পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় থাকে৷ পুজোর দিন সকালে স্নান করার পরে, বাড়ির মন্দিরে ভগবান বিশ্বকর্মার ছবি স্থাপন করা উচিত। এরপরে, তার সামনে কলসি রেখে তাতে জল ভরে গোটা চাল, ফল, ফুলের মালা, চন্দন, সুপারি, হলুদ সরিষা ইত্যাদি দেবতাকে নিবেদন করুন। সত্যিকারের চিত্তে এই প্রতিকার করলে আপনার সমস্ত সমস্যা শীঘ্রই দূর হয়ে যাবে। এছাড়া পুজো শেষে প্রসাদ সকলকে বিতরণ করা বাঞ্ছনীয়। একইসঙ্গে বিশ্বকর্মা পুজোর দিন বাড়িতে থাকা যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামগুলি অয়েলিং করে, ধুয়ো মুছে রাখা উচিত। তার ফলে এইসব যন্ত্রপাতি ভালোও থাকে সারাবছর। ভবিষ্যতে কাজে লাগাতে সুবিধা হয়। এই সব নিয়ম আন্তরিক শ্রদ্ধা ও ভক্তির সঙ্গে পালন করলে দেবতা তুষ্ট হন এবং অবশ্যই উচ্চারণ করতে হবে মহামন্ত্র। সেটি হল, দেবশিল্পি মহাভাগ দেবানাং কার্য্যসাধক। বিশ্বকর্মন্নমস্তুভ্যং সর্বাভীষ্টপ্রদয়ক।
এরপর পুজো (Vishwakarma Puja 2024) শেষ হলে হাতে ফুল ও অক্ষত নিন। ভগবান বিশ্বকর্মাকে উত্সর্গীকৃত মন্ত্রগুলি তিন বা চারবার জপ করুন। এরপরে, আপনার হাতে উপস্থিত অক্ষতটি বাড়ির চার দিকে ছিটিয়ে দিন। এর ফলে বাড়িতে ইতিবাচকতা থাকবে এবং পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হতে শুরু করবে।
প্রসঙ্গত, বিশ্বকর্মা পুজোর (Vishwakarma Puja 2024) পাশাপাশি গতকাল ছিল রান্না পুজো। হিন্দুদের বারো মাসে তেরো পার্বণের মধ্যে অন্যতম হল এই রান্না পুজো। সাধারণত বিশ্বকর্মা পুজোর আগের দিন হয় অরন্ধন বা রান্নাপুজো। যদিও বাংলা বছরে দু’দিন অরন্ধন উৎসব পালিত হয়। মাঘ মাসে সরস্বতী পুজোর পরদিন শীতলষষ্ঠীতে শিলনোড়া পুজোর দিন, আর ভাদ্র মাসের সংক্রান্তিতে মনসা পুজোর দিন। এই দু’দিনই উনুন জ্বালানো হয় না। বদলে আগের দিনের রান্না করা খাবার খাওয়ার রীতি রয়েছে। রান্না পুজো বা অরন্ধন উত্সরব সারা বাংলা জুড়ে বিশেষত গ্রামাঞ্চলে ব্যাপকভাবে উদযাপিত হয়।
নিয়ম অনুযায়ী, রান্না পুজোর দিন করা রান্না, পরের দিন অর্থাৎ বিশ্বকর্মা পুজোর দিন খাওয়া হয়। এই দিন আগের দিনের করা বাসি রান্নাই সারাদিন ধরে খাওয়া চলে। মরসুমের সেরা সবজি ও মাছ আরাধ্য দেবতাকে নিবেদন করাই রান্না পুজোর প্রধান লক্ষ্য। বলা হয়, রান্নাপুজো আসলে গৃহদেবতা ও উনুনের পুজো।
Radha Ashtami 2024: বুধবার শ্রীশ্রী রাধাষ্টমী, এই নিয়মে পালন করলে পাবেন ভাগ্যলক্ষ্মীর আশীর্বাদ
নিউজ ডেস্ক: কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর ঠিক ১৫ দিন পরে পালিত হয় রাধাষ্টমী (Radha Ashtami 2024)। গত ২৬ অগাস্ট গোটা দেশ জুড়ে ধূমধাম করে পালিত হয়েছে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী। আজ পালিত হচ্ছে শ্রীরাধিকার জন্মতিথি। এই বছর রাধাষ্টমী পড়েছে আজ ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ মঙ্গলবার। গতকাল ১০ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা ১২ মিনিটে অষ্টমী লাগে এবং অষ্টমী থাকছে আজ ১১ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা ৪৬ মিনিট পর্যন্ত। আজ সকাল ১০টা ২৯ মিনিট থেকে বেলা ১১টা ৫৭ মিনিট পর্যন্ত পুজো করার জন্য শুভ সময়।
শ্রীরাধার জন্মস্থান হল মথুরার বারসনা। ভাদ্র মাসের শুক্ল অষ্টমী তিথিতে রাজা বৃষভানু এবং তাঁর স্ত্রী কীর্তি স্বর্ণপদ্মের কোল আলো করে শ্রীরাধা তাঁদের ঘরে এসেছিলেন। রাধাষ্টমী (Radha Ashtami 2024) বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বীদের কাছে উল্লেখযোগ্য একটি দিন। কথিত আছে পবিত্র রাধাষ্টমী পালন করলে সকল মনোবাসনা পূরণ হয়।
রাধাষ্টমীর (Radha Ashtami 2024) দিন গোপনে তিল দান করা শুভ। এর সঙ্গে লোহার তৈরি জিনিস দান করা যেতে পারে। এতে ব্যক্তির দাম্পত্য জীবনের প্রতিবন্ধকতা দূর হতে পারে। এছাড়াও ব্যক্তি পছন্দসই জীবনসঙ্গী পেতে পারেন। এছাড়াও শাস্ত্রমতে, এইদিন নিজের বাড়িতে সাতজন কুমারী মেয়েকে পায়েস বা সাদা রঙের কোনও মিষ্টি খাওয়ানো ভাল। এতে বাড়ির চারপাশে নেগেটিভ এনার্জি কেটে যাবে ও জীবনে সুখ আসবে। তবে এই দিন করলা, চিরতা, নিম, উচ্ছে এই সমস্ত কখনওই ভুল করেও মুখে তোলা উচিৎ নয়। নয়তো ছোটখাটো নানান কারণে সংসারে অশান্তি লেগে থাকে। যার প্রভাব পড়ে কাজকর্ম এবং আয়ের জায়গায়।
রাধাষ্টমী (Radha Ashtami 2024) পুজোয় সবার আগে গণেশের পুজো করুন। তারপর রাধারানির পুজোর ব্যবস্থা করুন। একটা তামা বা মাটির কলস স্থাপন করুন। এর উপরে রাধারানির ছবি বা মূর্তি বসিয়ে তাঁকে পঞ্চামৃত দিয়ে স্নান করান। এরপর প্রসাধন করিয়ে ফুল, প্রসাধন সামগ্রী, ফল, মিষ্টি দিয়ে পুজে করুন। শ্রীরাধিকার মন্ত্র জপ করুন। শেষে আরতি করুন ও পরিবারের সদস্যদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করে দিন।
Ganesh Chaturthi 2024: গণেশ চতুর্থীর দিন সিদ্ধিদাতার পুজো করলে তাঁর আশীর্বাদ মেলে, নিবেদন করুন এই ৫ ভোগ
নিউজ ডেস্ক: আজ ১৭ সেপ্টেম্বর শনিবার ভাদ্র শুক্লা চতুর্থী তিথিতে পালিত হচ্ছে গণেশ চতুর্থী। প্রতিবছর মহাসমারোহে পালিত হয় এই গণেশ চতুর্থী (Ganesh Chaturthi 2024)। সারা ভারত জুড়ে চলে এই উৎসব। তবে মূলত মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি ধুমধাম করে পালিত হয় গণেশ পুজো। লোকবিশ্বাস ভক্তিভরে নিয়ম মেনে গণেশ চতুর্থীর দিন সিদ্ধিদাতার পুজো করলে তাঁর আশীর্বাদ মেলে। গণেশ ঠাকুরের পুজোয় সঠিক ভোগ নিবেদন করা অত্যন্ত জরুরি। কারণ তিনি যে একটু ভোজনপটু, তা তাঁর চেহারা দেখলেই বিস্তর মালুম হয়। তাই আজ গণেশ জয়ন্তীতে সিদ্ধিদাতাকে তাঁর পছন্দের ভোগ নিবেদন করুন। তবে তার আগে জেনে নিন পুজোর সময় ও তিথি।
গণেশ চতুর্থীর (Ganesh Chaturthi 2024) তিথি ৬ সেপ্টেম্বর দুপুর ৩ টে ৩১ মিনিট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫ টা ৩৭ মিনিট পর্যন্ত থাকবে। এই সময়ের মধ্যে গণেশের মূর্তি স্থাপন করলে অত্যন্ত শুভফল প্রাপ্ত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। গণেশ চতুর্থী তিথিতে ভুলেও মুলো খাবেন না৷ কোনওরকম তিতো খাবারও এই তিথিতে বাড়িতে করবেন না৷ তাহলে জীবনে তিক্ততা এড়িয়ে থাকা যাবে৷ গণেশ চতুর্থীতে আমিষজাতীয় খাবার গ্রহণ করবেন না৷ এই তিথিতে সাত্তিক আহার খেলে গণপতির আশীর্বাদ পাবেন৷
এবার দেখে নিন গণেশ পুজোয় (Ganesh Chaturthi 2024) কোন কোন ভোগ নিবেদন করতেই হবে। গণপতির অত্যন্ত প্রিয় হল মোতিচুরের লাড্ডু। মনে করা হয়, মোতিচুরের লাড্ডু নিবেদন করলে খুব সহজেই তাঁকে প্রসন্ন করা যায়। আর সিদ্ধিদাতা প্রসন্ন হলে তাঁর আশীর্বাদে আপনার সংসারে সুখ সমৃদ্ধির অভাব হবে না কখনোই। অন্যদিকে গণেশের প্রিয় মোদক, তা আমরা সবাই জানি। আসলে পুরাণ অনুসারে পরশুরামের কুঠারের আঘাতে গণেশের একটি দাঁত ভেঙে যায়। সেই সময় অন্য কোনও খাবার তিনি খেতে পারছিলেন না। তখন মাতা পার্বতী তাঁর জন্য নরম পাকের মোদক বানিয়ে দেন। সেই থেকে গণেশের অতি প্রিয় খাবার হল মোদক। গণেশ জয়ন্তীতে তাঁকে মোদক নিবেদন করলে বিশেষ কৃপা লাভ করা সম্ভব হয়। এছাড়াও কলা, নারকেল, ক্ষীর ইত্যাদি দিয়েও ভোগ নিবেদন করলে তুষ্ট হবেন বাপ্পা।
এবারের গণেশ চতুর্থীতে (Ganesh Chaturthi 2024) একাধিক শুভ যোগের সৃষ্টি হয়েছে। সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ, রবি যোগ, ব্রহ্ম যোগ এবং ইন্দ্র যোগ তৈরি হওয়ার ফলে এই বছর গণেশ পূজা ভক্তদের জন্য বিশেষ আর্শীবাদ বয়ে আনবে বলে মনে করা হচ্ছে। গণেশ চতুর্থীতে ভগবান গণেশকে দূর্বা ও ফুলের মালা নিবেদন করলে আর্থিক উন্নতি হয়। এছাড়া 'বক্রতুন্ডায় হুম' মন্ত্র ৫৪ বার জপ করলে জীবনের বাধা ও সংকট দূর হয়।
Kaushiki Amavasya 2024: কৌশিকী অমাবস্যায় সেজে উঠেছে কঙ্কালীতলা, কথিত আছে এই তীর্থে এলে মনস্কামনা পূর্ণ হয়
নিউজ ডেস্ক: কৌশিকী অমাবস্যায় (Kaushiki Amavasya 2024) সেজে উঠেছে বোলপুরের কঙ্কালীতলা। এবার সোমবার ভোরে এই তিথি শুরু হয়ে পরের দিন সকাল পর্যন্ত থাকছে। আগের দিন যেহেতু ছু’টি তাই রবিবার থেকেই ভক্তের ঢল নামেছে কঙ্কালীতলায়। মহাপীঠ তারাপীঠের মতোই বোলপুরের কঙ্কালীতলা সতীপীঠ। অমাবস্যার বিশেষ তিথি কৌশিকী অমাবস্যাকে ঘিরে সেজে উঠেছে কঙ্কালীতলা।
কথিত আছে, কঙ্কালীতলায় সতীর কাঁক অর্থাত্ কোমর পড়েছিল। তখন থেকেই এই তীর্থের নাম কঙ্কালীতলা। এই পুজোর সঙ্গে জড়িত আছে নানা পৌরাণিক কাহিনি। কৌশিকী অমাবস্যার (Kaushiki Amavasya 2024) পবিত্র লগ্নে তারাপীঠের মন্দিরের ন্যায় কঙ্কালী মন্দিরেও বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। কথিত আছে সাধক বামাক্ষ্যাপা, ১২৭৪ বঙ্গাব্দে কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠ মহাশ্মশানে শ্বেতশিমূল বৃক্ষের তলায় সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। মা তাঁকে নিরাশা করেনি। ধ্যানমগ্ন বামাক্ষ্যাপা এদিন তারা মায়ের আবির্ভাব পান। এছাড়াও শোনা যায়, এই তিথিতে কৌশিকী রূপে মা তারা বিশেষ সন্ধিক্ষণে, শুম্ভ- নিশুম্ভ নামক অসুরদের দমন করেছিলেন। সেই নাম থেকেই 'কৌশিকী অমাবস্যা' নামটি এসেছে। আবার আজকের এই দিনে দশ মহাবিদ্যার দ্বিতীয়া স্তরের অন্যতম দেবী ‘তারা’ মর্ত ধামে আবির্ভূত হন৷ অন্যদিকে কৌশিকী অমাবস্যা (Kaushiki Amavasya 2024) তিথি উপলক্ষ্যে সেজে উঠছে তারাপীঠ মন্দিরও।
তারাপীঠে সব থেকে বড় উৎসব কৌশিকী অমাবস্যা। এই উৎসব মানেই লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম। বিশেষ এই তিথিতে পুণ্যলাভের আশায় ফিবছর লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী ভিড় জমান। যা সামাল দিতে কালঘাম ছোটে পুলিসের পাশাপাশি মন্দির কমিটির। এবার আরজিকর কাণ্ডে দোষীদের শাস্তির দাবিতেও মায়ের কাছে পুজো দেন অনেক ভক্ত। সোমবার সন্ধ্যা হতেই মন্দিরের চেহারা পাল্টে যাবে। নানা রঙের আলোর ছটা গর্ভগৃহের দেওয়ালে ফেলা হবে। সেই সঙ্গে গোটা মন্দির চত্বর ফুল ও আলোকসজ্জায় সাজিয়ে তোলা হবে। পুলিশের পক্ষ থেকে তারাপীঠের জনবহুল মোড়গুলিতে ওয়াচ টাওয়ারের পাশাপাশি জায়ান্ট স্ক্রিন লাগানো হচ্ছে। যাতে ভিড়ে যাঁরা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন না, তাঁরা এই স্ক্রিনের মাধ্যমে দেবীর পুজো ও আরতি দর্শন করতে পারবেন। সেই সঙ্গে পর্যটকদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে ২৭০০ পুলিশ কর্মী। বিশেষ নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে শ্মশান চত্বরকে।
এদিকে সতীপীঠ বোলপুরের কঙ্কালীতলাতেও এবার ভিড় বাড়বে বলে আশাবাদী মন্দির কমিটি। তাই তাদের পক্ষ থেকেও নিরাপত্তার সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আগত ভক্ত ও সাধুসন্তদের সুবিধার্থে প্যান্ডেল খাটানো হয়েছে। একাধিক অস্থায়ী হোমযজ্ঞ করার জায়গায় ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্থানীয় পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে গোটা মন্দির চত্বরজুড়ে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ।
Belur Math: চিরাচরিত প্রথা মেনে জন্মাষ্টমীর পুণ্য প্রভাতে দেবী দুর্গার কাঠামো পূজা হল বেলুড় মঠে
নিউজ ডেস্ক: হাতে আর মাস দেড়েক। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই দেবীপক্ষের সূচনা আর দ্বিতীয় সপ্তাহে ভরপুর দুর্গাপুজোর আনন্দ। তাই নিয়ম মেনে জন্মাষ্টমীর দিনই কাঠামো ও খুঁটি পুজো হল বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠ (Belur Math) ও মিশনে। রামকৃষ্ণ মিশনের (RKM) সদর দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, যেদিন থেকে এখানে দুর্গাপুজো শুরু হয়েছে, সেদিন থেকেই ঠিক এই নিয়ম মেনে জন্মাষ্টমীর দিন কাঠামো পুজো হয়। কাঠামোটি এখানে স্থায়ী। প্রতি বছর দশমীতে দেবী বিসর্জনের পর কাঠামো তুলে এনে ফের রাখা হয়। তাতেই বছর বছর মাটি লেপা হয়।
প্রতি বছরই বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠ (Belur Math) ও মিশনে জন্মাষ্টমীর দিন থেকেই দুর্গোৎসবের সূচনা হয়ে যায়। রীতি মেনে ওই দিনই কাঠামো ও খুঁটি পুজো হয়। তাই প্রতি বারের মত এবছরও তার ব্যতিক্রম হল না। নিয়মমতো মূল মন্দিরে ঠাকুরের মঙ্গলারতির পরে কাঠামো পুজা শুরু হয়। মঠের সন্ন্যাসী এবং মহারাজেরা পুষ্প অর্ঘ্য দেন। পরে গীতা পাঠ ও আরতি প্রভৃতি হয়। এক হিসেবে, বলা যেতে পারে, এ বছরের দেবী দুর্গার আবাহন-পর্ব শুরু হল বেলুড় মঠে। অন্য দিকে, জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আজ সোমবার বেলুড় মঠের মূলমন্দিরের ভেতরে ফুলমালা দিয়ে শ্রীকৃষ্ণের পূজা করা হয়।
উল্লেখ্য, বেলুড় মঠে (Belur Math) দুর্গাপুজোর বিশেষ খ্যাতি ও জনপ্রিয়তা রয়েছে। পুজোর চারটি দিন এখানে মহাধূমধামে মায়ের পুজো হয়। তা দেখতে ভিড় জমান বহু ভক্ত। বিশেষত অষ্টমী-নবমীর কুমারী পুজোয় উপচে পড়ে ভিড়।
Janmastami 2024: আজ জন্মাষ্টমী, করুন ভগবান কৃষ্ণের পুজো, পূরণ হবে মনোবাঞ্ছা
নিউজ ডেস্ক: প্রতি বছর, ভাদ্রপদ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জন্মোৎসব পালন করা হয়। এ বছর এই উৎসব পালিত হচ্ছে ২৬ অগাস্ট ও ২৭ অগাস্ট। তবে ২০২৪ সালে একটি বিরল কাকতালীয়ভাবে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী (Janmastami 2024) পালিত হবে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, অষ্টমী তিথি শুরু হবে ২৬ অগাস্ট সকাল থেকে। দ্বাপর যুগে কৃষ্ণের জন্মের সময় যে নক্ষত্র ও যোগ গঠিত হয়েছিল, এ বছর কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর উৎসব পালিত হবে।
পুরাণ মতে ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে কৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল। তাই বাঙালি বাড়িতে এই দিন পঞ্চব্যঞ্জনে গোপালকে ভোগ দেওয়ার রীতি রয়েছে। লোকমতে প্রচলিত হিসেব বলে, এটা ৫,২৫০ তম জন্মাষ্টমী। কয়েক হাজার বছর আগের কথা। ভাদ্র মাসের কৃষ্ণা অষ্টমীর এক দুর্যোগময় রাতে বসুদেব আর দেবকীর অষ্টম সন্তান শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল। কিন্তু জন্মলগ্নের পরই কৃষ্ণের ঘর বদল হয়। গোকুলে বাবা নন্দ মা যশোদা-র ঘরে বেড়ে ওঠেন শ্রী কৃষ্ণ (Sri Krishna)। তাই হিন্দু রীতিতে এই তিথির বিশেষ গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য রয়েছে।
জন্মাষ্টমী (Janmastami 2024) উপলক্ষে গোপালকে ৫৬ ভোগ দেওয়া হয়। মনে করা হয় এই ৫৬ ভোগেই কৃষ্ণ প্রসন্ন হন। ভাত , ডাল ,চাটনি ,কঢ়ী ,দই-সব্জির কঢ়ী, সিখরন , বড়া , শরবৎ , মঠরী , ফেনি এমন হরেক পদে সাজিয়ে দেওয়া হয় ভোগের থালা। তবে বাঙালি বাড়িতে হাতে তৈরি তালপোয়া, তালের বড়া, পায়েস, লুচি, পাঁচ ভাজা এমন না না পদে সাজানো হয় গোপালের ভোগের থালা।
তাই কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর (Janmastami 2024) দিন মন্দিরে এবং বাড়িতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পুজো করুন। সনাতন ধর্ম মতে, অধর্ম ও দুর্জনের বিনাশ এবং ধর্ম ও সুজনের রক্ষায় কৃষ্ণ যুগে যুগে পৃথিবীতে আগমন করেন। অপশক্তির হাত থেকে শুভশক্তিকে রক্ষার জন্য শ্রীকৃষ্ণ মথুরার অত্যাচারী রাজা কংসকে হত্যা করে মথুরায় শান্তি স্থাপন করেছিলেন। শ্রীকৃষ্ণের ভাব ও দর্শন যুগ যুগ ধরে হিন্দু সমাজ ও সংস্কৃতিতে গভীরভাবে অবদান রাখে।