Friday, November 15, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

ssc recruitment scam

CBI: ওএমআর শিটের তথ্য উদ্ধার করার নির্দেশ আদালতের

নিউজ ডেস্ক: সিবিআইয়ে(CBI) দক্ষতায় অসন্তুষ্ট কলকাতা হাইকোর্ট ওএমআর শিটের আসল সার্ভার বা হার্ডডিস্কের তথ্য জানতে প্রয়োজনে যে কোন সংস্থা বা বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়ার নির্দেশ বিচারপতি রাজাশেখর মন্থার প্রসঙ্গত আদালতের তদন্তেই প্রাথমিক মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। এই মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি রাজশেখার মন্থা বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।

বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার নির্দেশ (CBI)

২০১৪ সালের প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় এবার সিবিআইকে অলআউট ঝাঁপানোর নির্দেশ দেওয়া হল ২০১৪ সালের ওর ও সার্ভার দুর্নীতির শেষ দেখতে সিবিআইকে হাইকোর্টের (High Court) নির্দেশ এই ঘটনার রহস্য উন্মোচনে পৃথিবীর যে কোন প্রান্তের এক্সপার্টদের শরণাপন্ন হতে পারবে সিবিআই (CBI)। প্রয়োজনে নিতে হবে বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা বা ব্যক্তিদের সাহায্য। শুক্রবার মামলার শুনানিতে এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তবে এ সংক্রান্ত যাবতীয় খরচ বহন করবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

ওএমআর শিটের তথ্য চায় আদালত  (High Court)

এ প্রসঙ্গে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন,“সিবিআই তদন্ত করে রিপোর্ট দিয়েছে, ওএমআর শিটের রিজিনাল ডিস্ক নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে আদালত জানতে চায়, এভাবে ডিস্ক নষ্ট করা যায় কি? নষ্ট করা গেলেও তথ্য উদ্ধার করা যায় কিনা আদালতের (High Court) ধারণা,তথ্য উদ্ধার করা যায় ডিজিটাল রেকর্ড এত সহজে ধ্বংস করা যায় না সে ব্যাপারে সিবিআইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রয়োজনে তাঁরা যে কোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।” প্রসঙ্গত ২০১৪ সালে প্রাথমিকে নিয়োগের পরীক্ষায় আসল ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছে বলে হাইকোর্টে আগেই জানিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তাঁদের বক্তব্য ছিল, আসল প্রতিলিপি নষ্ট করা হলেও পরিবর্তে তার ডিজিটাইজ়ড তথ্য রয়েছে। পরীক্ষার্থীদের ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি নামের একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাঁরাই ওএমআর শিট স্ক্যান করেছে। এর আগে ওএমআর শিট সংক্রান্ত এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তার পর এই মামলায় সিবিআইয়ের (CBI) কাছে রিপোর্ট তলব করেছিলেন বিচারপতি মান্থা। মঙ্গলবার আদালতে ওএমআর শিট নিয়ে রিপোর্ট জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে ওই রিপোর্টে সন্তুষ্ট হয়নি উচ্চ আদালত।

Pankaj Kumar Biswas | 17:26 PM, Fri Jul 05, 2024

Supreme Court Judgement: ‘নিয়োগ দুর্নীতির প্রথম সুবিধাভোগী মমতা’, মন্তব্য প্রাক্তন বিচারপতির

মমতাকে বেনজির আক্রমণ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

 নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High court) ডিভিশন বেঞ্চে প্যানেল বাতিলের রায়কে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court Judgement) চ্যালেঞ্জ করে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার এবং স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দেয়নি বরং শুনানি পিছিয়ে দিয়েছে জুন মাস পর্যন্ত। এরই মাঝে মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এবং বর্তমানে তমলুক লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

রাজ্য সরকারের সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া এবং কোর্টের রাজ্য সরকারকে কোন বাড়তি সুবিধে না দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন,“ কেন অযোগ্যদের চাকরি হল। এর উত্তর আগে দিক ওরা কেন ওআরের তথ্য নষ্ট করে দেওয়া হল এর উত্তর পাওয়া যায়নি।অতিরিক্ত প্যানেল সৃষ্টি করে যাদের বাড়তি নেওয়া হলতাঁরা কেন চাকরি করবেন। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে কারা সুবিধাভোগী তা পুনরায় খুঁজে দেখার বিষয় উঠছে এ বিষয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের জবাব,“প্রথম সুবিধাভোগীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ভাইপো।তাঁদের এখনই সিবিআইইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করে তমলুকের বিজেপি প্রার্থীবলেন, “মুখ্যমন্ত্রী থাকার কোন অধিকার নেই মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের।”

 

হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে চাকরি বাতিলের নির্দেশের পর ক্রুদ্ধ মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী দল থেকে বিচারব্যবস্থা কাউকে রেয়াত করেননি।  যারা দুর্নীতি করে চাকরি পেয়েছে তাদেরও আশ্বস্ত করেছিলেন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন,“যারা এত গরী। যারা যোগ্য। কেউ এমএ পাস করেছে, কেউ বিএড করেছে তাঁদের সিস্টেম অনুযায়ী চাকরি দেওয়া হয়েছে এক দুটো ভুল হয়ে থাকলে আমরা শুধরে নেব তাই বলে তুমি চাকরি খেয়ে নেবে আমরা ২ লক্ষ চাকরির রেডি রাখছি লজ্জা করে না তোর ভাই বোনের যদি চাকরি চলে যেত তুই তাহলে কি করতি।তোর টাকা আছে। নিজের টাকা বাঁচাতে ভাজপা মেশিনে গেছিস।”সেদিন বিচারব্যবস্থা থেকে শুরু করে বিরোধী দলকে আক্রমণ করার সময় শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।   

পাল্টা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন,“ওনারা তো বলেছিলেন হাইকোর্ট নাকি বিজেপির কোর্ট। তাহলে সুপ্রিম কোর্টকে কি বলবেন সুপ্রিম কোর্ট ও কি বিজেপির কোর্ট। যে প্রশ্নগুলি তুলেছে আদালততাঁর উত্তর কোথায়।” 

অতিরিক্ত পদ তৈরি সিদ্ধান্ত যারা নিয়েছিলেন তাঁদের উপর সিবিআইয়ের কড়া পদক্ষেপের বিষয়ে আপাতত স্থগিতাদেশ দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত এ প্রসঙ্গে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের যুক্তি, “সেক্ষেত্রেপুরো মন্ত্রিসভা সিবিআই হেফাজতে চলে যেত। এই ডিভিশন বেঞ্চ পরিষ্কার করে দিয়েছিল যারা  অতিরিক্ত পদ সৃষ্টি করেছিল তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে তাতে রাজ্য সরকার মোটেও স্বস্তির জায়গাতে নেই এমনকি প্যানেলে না থাকা চাকরি প্রাপকদের নিয়ে তাঁদের পর্যবক্ষণে প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট।” নিয়োগ দুর্নীতিকে ভয়ংকর দুর্নীতি আখ্যা দিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

Pankaj Kumar Biswas | 15:41 PM, Tue Apr 30, 2024

Recruitment Scam: একমাত্র চাকরি যায় নি যার, সেই সোমা দাস কী বলছেন?

নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (recruitment scam) মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta highcourt) নির্দেশে ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল হয়ে গেল সোমবার। চাকরি হারালেন প্রায় ২৬ হাজার সরকারি শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মচারী। শুধু চাকরি যায়নি একজনের। ব্যতিক্রমী ভাবে বহাল রইল বীরভূমের শিক্ষিকা সোমা দাসের (soma das) চাকরি। তিনি নলহাটির (nalhati) এক নম্বর ব্লকের মধুরা হাই স্কুলে বাংলার শিক্ষিকা পদে কর্মরত রয়েছেন।

কিন্তু কোন যুক্তিতে তাঁর চাকরিতে বহাল রাখল আদালত। সোমবার এসএসসি (ssc) মামলার ২৮১ পাতার রায়ে দুই বিচারপতি জানিয়েছেন সোমা দাস যেহেতু ক্যান্সার আক্রান্ত। তাই মানবিকতার স্বার্থে তাঁর চাকরি বাতিল করা হয়নি। তিনি আগের মতই শিক্ষিকা হিসেবে চাকরি করতে পারবেন। চাকরি যায়নি শুনে খুশি হয়েছেন সোমা। তিনি বলেন যোগ্য প্রার্থীদের পাশে আছি তারা যেন চাকরি পান।

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা শুনানি চলাকালীন হাইকোর্টের নির্দেশে বছরখানেক আগে চাকরিতে যোগদানের সুপারিশ পত্র পেয়েছিলেন বীরভূমের (birbhum) সোমা দাস। কলকাতা হাইকোর্টের আবেদনকে মান্যতা দিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। যেহেতু সোমা দাস ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত। তাই তাঁকে সুপারিশপত্র দেওয়া হয়। এরপর তিনি বীরভূমের নলহাটি ১ নম্বর ব্লকের মধুরা হাইস্কুলের বাংলা বিভাগে শিক্ষকতার কাজে যোগ দিয়েছিলেন।

তবে সোমার চাকরি পাওয়ার রাস্তা মসৃণ ছিল না। ২০১৯ সালে কলকাতা প্রেসক্লাবের সামনে যে চাকরি প্রার্থীরা কয়েক মাস আন্দোলন অনশন চালিয়েছিল তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন বীরভূমের নলহাটির বাসিন্দার সোমা। তার কর্কট রোগের চিকিৎসা চলছিল। পরবর্তীকালে তিনি চাকরি পেলেও সেদিনের আন্দোলনের কথা আজও মনে রয়েছে সোমা দাসের। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে তাঁর চাকরি বহাল থাকলে সহযোদ্ধাদের প্রতি তার সমর্থন আজও রয়েছে আগের মতই।

বাংলার শিক্ষিকা এদিন প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেন, “দুর্নীতি যে হয়েছিল তা আগেই বোঝা গিয়েছিল। মাননীয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সবার আগে দুর্নীতিকে চিহ্নিত করে দেন। তাঁকে নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে ঠিকই। কিন্তু তিনি যা বলেছিলেন যা করেছিলেন আজকের রায় সেই বিচারেরই সত্যতা প্রমাণ করল। আজও অনেক যোগ্য প্রার্থী চাকরি পায়নি। তাদের জন্য খারাপ লাগছে। আমি চাইব তাদের যেন দ্রুত চাকরি হয়। তাদের চাকরি হওয়ার মতন উপযুক্ত পরিবেশ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে হবে।”

Sweta Chakrabory | 16:07 PM, Mon Apr 22, 2024

SSC Recruitment Scam News: আদালতের রায়ে খুশি নন আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীরা!

 নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে এখন পুরোদস্তুর ভোটের হাওয়া। আর এরই মধ্যে রাজ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam ) নিয়ে বিরাট ঘোষণা করল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High court ), একসঙ্গে প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল করল হাইকোর্ট। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, ৪ সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের ১২ শতাংশ সুদ-সহ বেতন ফেরত দিতে হবে। অতিরিক্ত পদে নিয়োগকারীদের প্রয়োজনে নেওয়া যাবে হেফাজতে। মঙ্গলবার এমনই নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।

তবে আদালতের এই রায়ে সম্পূর্ণ খুশি হতে পারছেন না আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থী রাসমণি পাত্র সহ অন্যান্যরাও। উল্লেখ্য গত ডিসেম্বরে এই রাসমণিই এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থানের ১০০০তম দিনে প্রতিবাদস্বরূপ নিজের মাথার চুল কামিয়ে ফেলেছিলেন।

মঙ্গলবার বিচারপতির রায় শুনে রাসমণি বলেন, “আদালত ও বিচারব্যবস্থার উপর আস্থা ছিল। যারা অবৈধভাবে চাকরি পেয়েছে তাঁরা যে যথাযথ শাস্তি পেয়েছে সেটা কাম্য। সত্যের জয় হয়েছে।” একই সঙ্গে তিনি আরও বলেন,“প্যানেল বাতিল আমাদের দাবি ছিল না। আমাদের দাবি ছিল যে অন্যায় আমাদের সঙ্গে হয়েছে, যে চাকরিটা আমাদের চুরি হয়েছে সেটা ফিরিয়ে দেওয়া হোক। আমরা পরীক্ষা দিয়েছিলাম, আমাদের ওএমআর সঠিক। আমরা র‌্যাঙ্কেও এসেছিলাম। তা হলে চাকরিটা কেন আমাদের দেওয়া হল না? আজকে রায়দানে পুরোপুরি খুশি হতে পারছি না। এখনও তো অনিশ্চয়তা রয়েছে। নতুন নিয়োগ (Recruitment) কবে হবে, কতদিনে প্যানেল প্রকাশ হবে তা এখনও সম্পূর্ণ দৃশ্যমান নয় আমাদের কাছে।' ”

সর্বোপরি রাসমণি-সহ ধর্নামঞ্চে থাকা অন্য চাকরিপ্রার্থীদেরও বক্তব্য, অবৈধ উপায়ে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিদের শাস্তি দেওয়া হোক। কিন্তু যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের কেন বঞ্চিত করা হবে।

উল্লেখ্য মঙ্গলবার আদালতের তরফে বলা হয়েছে, টেন্ডার ডেকে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিট (OMR Sheet) পুনর্মূল্যায়নেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সমস্ত ওএমআর শিটের কপি আপলোড করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

Sweta Chakrabory | 15:59 PM, Mon Apr 22, 2024
upload
upload