Sweta Chakra... | 13:57 PM, Tue Oct 08, 2024
RG Kar Hearing Breaking: আরজি কর মামলার শুনানি শুরু সুপ্রিম কোর্টে
Sweta Chakra... | 11:04 AM, Mon Sep 09, 2024
RG Kar BREAKING: সিল বন্ধ খামে আরজি কর কাণ্ডের তদন্তের রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই
Sweta Chakra... | 11:39 AM, Thu Aug 22, 2024
Buddhadeb Bhattacharjee: সকালে প্রাতঃরাশ সেরেই অসুস্থ, প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বয়স হয়েছিল ৮০
Sweta Chakra... | 11:47 AM, Thu Aug 08, 2024
Astra Mark 1: বিমান বাহিনীর অস্ত্র ভান্ডারে এবার দেশীয় দুরপাল্লার মিসাইল
Pankaj Kumar... | 16:58 PM, Wed Aug 07, 2024
RSS বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবি আরএসএসের
Pankaj Kumar... | 16:41 PM, Wed Aug 07, 2024
Paris Olympics 2024: প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছ ইতিহাস গড়লেন মানিকা বাত্রা, জাগালেন পদকের আশা
Pankaj Kumar... | 12:50 PM, Tue Jul 30, 2024
Amarnath Yatra: অমরনাথ যাত্রায় হামলার ছক, এবার খলিস্তানীদের ময়দানে নামাচ্ছে পাকিস্তান
Pankaj Kumar... | 18:35 PM, Sat Jul 27, 2024
Terrorist Attack: জঙ্গিদের ছবি প্রকাশ্যে এল, মাথার দাম পাঁচ লাখ টাকা
Pankaj Kumar... | 18:32 PM, Sat Jul 27, 2024
Meerut Police: নির্ভয়ার স্মৃতি ফিরল মেরঠে, গ্রেফতার হাসিন, শাহরুখ, একরামউদ্দিন এবং মহসিন
Pankaj Kumar... | 15:46 PM, Sat Jul 27, 2024
BJP Protest: “অন্য ধর্মে জন্মানো দুর্ভাগ্যের”, ফিরহাদের বিতর্কিত মন্তব্যে তোলপাড় বিধানসভা
Pankaj Kumar... | 15:23 PM, Sat Jul 27, 2024
Bomb Threat: সাতদিনে ৩৪ বার বিমানে ‘বোমাতঙ্ক’! কড়া পদক্ষেপের পথে কেন্দ্র
নিউজ ডেস্ক: মাঝ আকাশে বোমাতঙ্ক ছড়ানোয় তৎপরতার সঙ্গে অবতরণ করতে হচ্ছে, এমন ঘটনা নতুন নয়। তবে সম্প্রতি ভারতের একাধিক বিমানবন্দরে এভাবে বিমান অবতরণ করতে দেখা গিয়েছে। এই ধরনের ঘটনায় বারবার হয়রানির শিকার হতে হয় যাত্রীদের। জানা গিয়েছে, গত এক সপ্তাহে বোমাতঙ্কের ভুয়ো মেসেজের সংখ্যা ৩৪। তাই এবার বোমাতঙ্ক ছড়ানোর শাস্তি হিসেবে কড়া নিয়ম আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
বিমানে (Flights) বোমাতঙ্ক ছড়ালে আজীবন বিমানযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে। সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর প্রেক্ষিতে এবার এই বিষয়ে আইন সংশোধনীর পথে হাঁটছে অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক। আইনে নতুন শাস্তির রূপরেখা ঠিক কী হবে, তা ঠিক করতে আলোচনা শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, আইন মন্ত্রক এবং অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক এই বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছে। এতদিন পর্যন্ত বিমানের অভ্যন্তরে অভব্য আচরণ এবং বিমানে থাকাকালীন বোমাতঙ্ক ছড়ালে নো ফ্লাই লিস্ট- এ নাম অন্তর্ভুক্তি হত। এবার বাইরে থেকে ফোন কল, সোশ্যাল মিডিয়া, বা ইমেলের মাধ্যমে বোমাতঙ্ক ছড়ালেও বিমানযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি হবে, এমন আইন সংশোধনীর পথেই হাঁটছে সরকার।
প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, মোট তিনটি আলাদা আলাদা হ্যান্ডেল থেকে হুমকি মেসেজ পাঠানো হচ্ছে। এর মধ্যে লন্ডন এবং জার্মানির বিভিন্ন জায়গা চিহ্নিত করতে পেরেছেন তদন্তকারী অফিসাররা। মোট ১৪টি বিমানসংস্থায় থ্রেট মেসেজ এসেছে শুধুমাত্র শুক্রবারই। গত এক সপ্তাহে বোমাতঙ্কের ভুয়ো মেসেজের সংখ্যা ৩৪।
উল্লেখ্য গতকাল বৃহস্পতিবার ইন্ডিগো এবং ভিসতারার বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়ায়। জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে মুম্বইয়ে আসছিল ভিসতারার ওই বিমান। বুধবার স্থানীয় সময় রাত ৮টা ২০ মিনিটে ১৪৭ জন যাত্রীকে নিয়ে রওনা দেয়। কিন্তু মুম্বইয়ের কিছুটা দূরেই বৃহস্পতিবার বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়ায়। যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সমাজমাধ্যমে সেই হুমকি বার্তা পাওয়ার পরই জরুরি ভিত্তিতে ছত্রপতি শিবাজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করানো হয় বিমানটিকে। পরে যাত্রীদের নিরাপদে সরিয়ে বিমানে তল্লাশি চালানো হয়। অন্যদিকে আবার আর একটি ইন্ডিগোর বিমান তুরস্ক থেকে মুম্বই রওনা হয়। সেই বিমানেও বোমাতঙ্ক ছড়ায় ওই একই দিনে। যদিও সন্দেহজনক কিছু উদ্ধার হয়েছে কিনা, তা জানা যায়নি। তবে যাত্রীদের নিরাপদে নামিয়ে বিমানে তল্লাশি করা হয়। প্রসঙ্গত, সোমবার একই ধরনের বোমা হামলার হুমকির মুখে পড়েছিল মুম্বইয়ের তিনটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। পরে অবশ্য বিমানের অভ্যন্তরে তন্ন তন্ন করে তল্লাশি চালিয়ে কিচ্ছু পাননি সিভিল এভিয়েশন সিকিউরিটি ব্যুরো (বিসিএএস), সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি এবং পুলিশের কর্তারা।
Homeopathy Threat Culture: হোমিওপ্যাথিতেও কি ছড়িয়ে পড়েছে থ্রেট কালচার? সামনে এল চাঞ্চল্যকর অভিযোগ
নিউজ ডেস্ক: শুধু এমবিবিএস কলেজেই নয়, হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজেও ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে পড়েছে থ্রেট কালচার। ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট হোমিওপ্যাথি ফ্রন্টের তরফে আনা হল একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। কোথাও ফেল করা পড়ুয়াকে অনার্স পাইয়ে দেওয়ার চাপ, কোথাও আবার কলেজে ঢুকলেই মারধরের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। এমনকি হোম সেন্টারে পরীক্ষা নেওয়ার পিছনেও বড় দুর্নীতি (Homeopathy Threat Culture) জড়িয়ে রয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হল ফ্রন্টের তরফে।
আর জি কর মেডিক্যাল থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্য়াল। মেদিনীপুর মেদিনীপুর কলেজ থেকে কলকাতা মেডিক্য়াল কলেজ। রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালগুলি থেকে উঠছে একের পর এক থ্রেট কালচারের অভিযোগ। আর এই আবহেই, রাজ্যের একাধিক হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজেও উঠল 'থ্রেট কালচার'-এর রমরমার অভিযোগ।
এ প্রসঙ্গে, সরকারি হোমিওপ্য়াথি চিকিৎসক ফয়জুল হক বলছেন, 'আমার কলেজে ডিউটি থাকে। আমাকে বলছে তুমি যদি কালকে সকালে কলেজে আসো, তোমার যদি ক্ষমতা থাকে তুমি এসো। তোমাকে আমি মারব কলেজে আসলে।' একইসঙ্গে সরকারি জুনিয়র হোমিওপ্য়াথি চিকিৎসক কৌস্তভ রায়ের দাবি, 'বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের একটা থ্রেট কালচার (Homeopathy Threat Culture), একটা হুমকির কালচার। সমস্ত মেডিক্যাল কলেজগুলিতে এটা বিদ্যমান। শুধুমাত্র এমবিবিএস কলেজেই নয়। সোশালের নাম করে টাকা চাওয়া থেকে শুরু করে, বিভিন্ন অবস্থায় তাদের মতের বিরোধিতা যে মুহূর্তে করা হয়, সেই মুহূর্তে বিভিন্ন রকমের হুমকি দেওয়া হয়। বিভিন্ন বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করা হয়। মধ্যরাতে ফোন করে বিভিন্ন রকমের থ্রেট করা হয়েছে।'
এখানেই শেষ নয়, হোম সেন্টারে পরীক্ষা নেওয়ার পিছনেও বড় দুর্নীতি (Homeopathy Threat Culture) জড়িয়ে রয়েছে বলে উঠছে অভিযোগ। দিনের দিনে খাতা দেখে দেওয়া, ফেল করা পড়ুয়াকে পাশ করিয়ে দেওয়া, এমনকি ফেল করা পড়ুয়াকে অনার্স পাইয়ে দেওয়ার জন্য ক্রমাগত চাপ আসছে বলে অভিযোগ করেছেন হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজের আর এক চিকিৎসক মনসুর হাবিবুরউল্লা গাজি।
যদিও এ সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কাউন্সিলের সহ সভাপতি শ্যামলকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, ''যত কথা এখানে বলা হয়েছে প্রত্যেকটা ভুয়ো, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আরজি কর ঘটনাকে কেন্দ্র করে এরা ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছে।''
Bangladesh Durga Puja: বাংলাদেশে দুর্গাপুজো নিয়ে হুমকি, পুজো করতে হলে দিতে হবে ৫ লাখ!
নিউজ ডেস্ক: হাতে গোনা আর কয়েকদিন বাদেই পুজো। কিন্তু ওপার বাংলায় পুজো (Bangladesh Durga Puja) ঘিরে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক, ভয়ের পরিবেশ। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, ঘনঘন হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাদের। কার্যত তোলাবাজি চলছে। বলা হচ্ছে, টাকা না দিলে, পুজো করতে দেওয়া হবে না।
আসলে সম্প্রতি শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর বাংলাদেশে একাধিক জায়গায় সংখ্যালঘুদের উপরে হামলা হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয়স্থান। এনিয়ে সেখানকার হিন্দুরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তবে এবার দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। যদিও এবার পুজোয় ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ সরকার (Bangladesh Durga Puja)। দেশের নেতারা সম্প্রীতির কথা বলছেন। তার পরেও থামছে না হুমকি। জানা গিয়েছে খুলনায় এক পুজো কমিটির কাছে এক উড়ো চিঠি এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে, পুজো করতে গেলে ৫ লাখ টাকা দিতে হবে। 'এক সপ্তাহের ওই টাকা তৈরি রাখতে হবে। কালিনগর বাজারে যেখানে বলব সেখানে টাকা নিয়ে যাবি। প্রশাসন বা সাংবাদিকদের বললে কচুকাটা করব। তোদের পরিবারও রেহাই পাবে না। প্রশাসন, সেনাবাহিনী সব আমাদের কেনা। কোনও চালাকি করবি না। টাকা না পেলে কেটে টুকরো টুকরো করব।'
প্রসঙ্গত, মৌলবাদীরা প্রতি বছর পুজোয় হিন্দু মন্দির এবং দুর্গা পুজো প্যান্ডেলগুলিকে টার্গেট করে। শেখ হাসিনার শাসনকালে সারা দেশে (Bangladesh Durga Puja) হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। তারপরেই পুজোয় নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল শেখ হাসিনার সরকার। তবে বর্তমানে বাংলাদেশের পরিস্থিতি আলাদা। বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানের পরেই হিন্দুদের উপর অত্যাচার নেমে এসেছিল। আর এবার হুমকি চিঠি পাওয়ায় দুর্গাপুজোর আয়োজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় বাংলাদেশের পুজো কমিটিগুলি।
যদিও বাংলাদেশের দুর্গাপুজোর (Bangladesh Durga Puja) নিরাপত্তা নিয়ে আইজি ময়মুল ইসলাম বলেন, ''দুর্গাপূজোয় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা থাকবে। পুলিস দুর্গাপুজো উপলক্ষে প্রাক-দুর্গাপুজো, দুর্গাপুজো চলাকালীন এবং প্রতিমা বিসর্জন ও দুর্গাপুজো-পরবর্তী- এ তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে পুলিসের পুজোকেন্দ্রিক নিরাপত্তার কাজ শুরু হয়েছে। পুজোমণ্ডপের নিরাপত্তায় পুলিস সর্বোচ্চ সতর্ক থেকে দায়িত্ব পালন করবে।''
RG Kar Incident: আবারও উত্তপ্ত আরজি কর! ‘থ্রেট কালচার’-এ অভিযুক্তদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি, ক্ষুব্ধ জুনিয়র ডাক্তাররা
নিউজ ডেস্ক: ফের উত্তপ্ত হল আরজি কর (RG Kar Incident) হাসপাতাল। ‘থ্রেট কালচার’-এ অভিযুক্ত একাধিক চিকিৎসককে আরজি করে দেখতে পেয়েই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন জুনিয়র ডাক্তাররা। ‘চোর চোর’ স্লোগানের পাশাপাশি শুরু হয় দুই পক্ষের ধাক্কাধাক্কি। বুধবার 'থ্রেট কালচার'-এ অভিযুক্ত একাধিক চিকিৎসককে হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি ডেকে পাঠিয়েছিল। তাঁরা হাসপাতালে যাওয়ার পরই উত্তপ্ত হয় পরিবেশ। জুনিয়র ডাক্তাররা তাঁদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায়।
এডীণ থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত ৫১ জনের মধ্যে ১২ জন চিকিৎসক, হাউসস্টাফ, ইন্টার্নরা হাজিরা দেন প্রশাসনিক ভবনে। এদিন হাসপাতালে তাঁদের ঢুকতে দেখেই জুনিয়র ডাক্তাররা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। ধাক্কাধাক্কিতে এক জনের জামা ছিঁড়ে গিয়েছে বলেও অভিযোগ। অভিযুক্তেরা হাসপাতালের (RG Kar Incident) প্রশাসনিক ভবন থেকে বেরিয়ে কোনও রকমে বাইরে যেতে পেরেছেন। কোনও রকমে পরিস্থিতি সামাল দেয় সিআইএসএফ জওয়ানরা।
যদিও বিক্ষোভরত জুনিয়র ডাক্তারেরা জানান, তাঁরা কাউকে মারধর করেননি। কেবল স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে বিক্ষোভকারী জুনিয়র ডাক্তার অনুভব মণ্ডল বলেন, ‘‘এত বড় একটা ঘটনা (RG Kar Incident) ঘটে গিয়েছে এই হাসপাতালে। ‘থ্রেট কালচার’-এ যাঁরা অভিযুক্ত, তাঁরা সকালে হাসতে হাসতে তদন্ত কমিটিতে ঢুকেছেন। এত স্পর্ধা এখনও কী করে এঁদের হচ্ছে? আমরা জানতে চাই। অভিযুক্তদের গায়ে কেউ হাত তোলেননি। বাইরে বেরিয়ে ওঁরা নিজেরাই নিজেদের জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলে আমাদের দোষ দিচ্ছেন। এই নাটক কেন করা হচ্ছে? কার ভরসায় এখনও ওঁদের এই বাড়বাড়ন্ত?’’ পাশাপাশি জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো বলেন, "ছাত্রদের অনেক ক্ষোভ ছিল ৷ সে সবকিছু আমরা তদন্ত কমিটিকে জানিয়েছি৷ যাঁরা আজ এসেছিলেন তাঁরা এই থ্রেট কালচারের জনক৷ স্লোগান, শাউটিং হয়েছে৷ মারধর করা হয়নি৷ আমরা আইনের উপর ভরসা রেখেছি৷ এই থ্রেট কালচার নিয়ে যে তদন্ত চলছে, আমরা তার দ্রুত রিপোর্ট চাই৷ দাবি করছি, সেই রিপোর্ট যেন সকলের সামনে প্রকাশ করা হয় ৷"
অন্যদিকে, আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Incident) প্রতিবাদে শুক্রবার গণ কনভেনশনের আয়োজন করেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কিন্তু এই অনুষ্ঠানের জন্য সরকারি হল, ধনধান্য অডিটোরিয়াম চেয়েও পেলেন না তাঁরা। একইভাবে, ‘না’ শুনতে হচ্ছে শহরের অন্যান্য সরকারি হল-মঞ্চ কর্তৃপক্ষের কাছে থেকেও। এমনটাই দাবি জুনিয়র চিকিৎসকদের।
Threat culture: শাসক দলের মদতেই মেডিক্যাল কলেজে জারি থ্রেট কালচার! জানুন এই সংস্কৃতি সম্পর্কে
নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে (RG Kar Protest) পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তার মধ্যে একটা দাবি একটু অন্য রকম। সেটা হল ‘থ্রেট কালচার’ (Threat Culture) শেষ করতে হবে। বন্ধ করতে হবে ‘দাদাগিরি’। 'থ্রেট কালচার' বা 'হুমকি সংস্কৃতি'ঠিক ব়্যাগিং নয়। তার থেকেও মারাত্মক। মেডিক্যাল কলেজগুলিতে যে দাদাগিরি বা হুমকি দেওয়া হয় ডাক্তারির পড়ুয়াদের সেটাই হল 'থ্রেট কালচার' বা 'হুমকি সংস্কৃতি'।
হুমকি দিয়ে টাকা আদায় করা হয়। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল নিয়ন্ত্রণের রাখতে ও রাজ্যের শাসকদলের আনুগত্য পেতে একদল ডাকাবুকো ছাত্র এই 'থ্রেট কালচার' বা 'হুমকি সংস্কৃতি'র (Threat Culture) রাশ নিজের হাতে নিয়ে নিয়েছিল। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের কথা অনুযয়ী পাশ করিয়ে দেওয়া থেকে পছন্দের স্থানে কাজ পাওয়া সব কিছুতই হত টাকার বিনিয়ম। যারা টাকা দিতে রাজি হত না তাদের পরিণতি খুব একটা ভাল হয় না। ভয় দেখানো, মারধর করা, নাজেহাল করা, অপদস্থ করা- এসবই হল 'থ্রেট কালচার' বা 'হুমকি সংস্কৃতি'র অঙ্গ।
আর এই কালচারের (Threat Culture) সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের সকলরেই মাথায় রয়েছে শাসক দলের ছাতা। যে কারণে শিলিগুড়ি থেকে কলকাতা, মেদিনীপুর সর্বত্রই চলছে তৃণমূলের চিকিৎসক সংগঠনের ছত্রছায়ায় থাকা কোনও কোনও ‘দাদা’র দাদাগিরি। এই ‘দাদা’রা আবার নাড়া বেঁধে রেখেছেন তৃণমূলের ওপরতলার কোনও চিকিৎসক নেতার কাছে। তার জেরে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে কায়েম রয়েছে ‘থ্রেট কালচার’।
জুনিয়র ডাক্তার এবং ডাক্তারির ছাত্রদের একাংশের দাবি, ২০২০-’২১ সাল থেকে মেডিক্যাল কলেজে ‘দাদাগিরি’-র (Threat Culture) বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে থাকে। নানা অভিযোগ উঠতে থাকে। তাঁদের দাবি, এর পিছনে রয়েছে ‘আনুগত্য’ লাভের ইচ্ছা এবং ‘নিয়ন্ত্রণ’ করার চেষ্টা। রেজিস্ট্রেশন বাতিল থেকে আটকে দেওয়া -এমন হুমকিও দেওয়া হত জুনিয়র ডাক্তাররা। মোটকথা দিনের পর দিন একটি বড় চক্র তৈরি হয়েছিল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলিতে। রেহাই পেত না সিনিয়র ডাক্তাররাও। সিনিয়র ডাক্তারদের জন্য বরাদ্দ ছিল প্রোমোশন আটকে দেওয়া বদলি করে দেওয়ার হুমকি।
চিকিৎসকদের একাংশ আরও মনে করেন, দীর্ঘ দিন মেডিক্যাল কলেজগুলিতে নির্বাচন না হওয়ার কারণে জাঁকিয়ে বসেছিল থ্রেট কালচার। তাই মে়ডিক্যাল কলেজগুলিতে দ্রুত নির্বাচন করার দাবিও জানিয়েছে জুনিয়র ডাক্তাররা।
Kangana Ranaut: 'ইমার্জেন্সি' মুক্তির আগেই আক্রমণের মুখে অভিনেত্রী তথা বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাউত
নিউজ ডেস্ক: 'এমার্জেন্সি' মুক্তির আগেই আক্রমণের মুখে পড়লেন অভিনেত্রী তথা বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut)। জানা গিয়েছে, ছবির কারণে প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রাণনাশের হুমকি পাওয়ার পরই পুলিশের কাছে সাহায্য চেয়েছেন কঙ্গনা। একদল লোক তাঁকে হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। এই মর্মে পুলিশের কাছে সাহায্য চেয়েছেন কঙ্গনা। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
'এমার্জেন্সি' ছবিতে প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকায় অভিনয় করছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা গিয়েছে,''আপনি যদি এই ছবি রিলিজ করেন, তবে সর্দারদের আপনাকে চড় মারতে হবে। আমি একজন অত্যন্ত গর্বিত ভারতীয়। আমি যদি আপনাকে আমার দেশে এবং আমার মহারাষ্ট্রের কোথাও দেখি, আমি কেবল একজন শিখ এবং একজন গর্বিত মারাঠি হিসাবে এই কথা বলছি না। তবে আমার সমস্ত হিন্দু, খ্রিস্টান এবং মুসলিম ভাইরাও আপনাকে জুতো দিয়ে স্বাগত জানাবে।" অন্যদিকে অপর একজন বলেন, ''যদি সিনেমায় তাঁকে (খলিস্তানি জঙ্গি জার্নেল সিং ভিন্দ্রানওয়ালে) জঙ্গি হিসাবে দেখানো হয়, তাহলে মনে রাখবেন সেই মানুষটার (ইন্দিরা গান্ধী) কী হয়েছিল যাঁর সিনেমা আপনি করছেন।'' তিনি আরও বলেন, ''ইতিহাস বদলানো যায় না। যদি তারা শিখদের ছবিতে সন্ত্রাসী হিসাবে চিত্রিত করে, তবে মনে রাখবেন যে যার ছবিতে এটি করছে তার সাথে কী দৃশ্য ঘটবে। মনে রাখবেন সতবন্ত সিং এবং বিয়ন্ত সিং কে ছিলেন। যারা আমাদের দিকে আঙুল তুলবে, আমরা শুধু তাদের দিকে আঙুলই নয়… তাদের মাথাও কেটে ফেলতে পারি।''
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়োটি সামনে আসার পরই অনেকেই কঙ্গনার (Kangana Ranaut) নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ভিডিও শেয়ার করে এবং মহারাষ্ট্রের ডিজিপি ও হিমাচলপ্রদেশ ও পাঞ্জাব পুলিশের উদ্দেশে আবেদন জানিয়েছেন অভিনেত্রী। কঙ্গনা লিখেছেন, "দয়া করে বিষয়টি দেখুন।"
Mimi Chakraborty: কুরুচিকর মন্তব্য মিমিকে! ধর্ষণের হুমকির মোক্ষম জবাব সৃজিত মুখার্জির
নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে সরব গোটা দেশ। সকলের মতোই এই ঘটনার বিচার চেয়ে সরব হয়েছিলেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)। আর তাতেই কুরুচিকর মন্তব্যের (Harassment Threat) শিকার হল অভিনেত্রী তথা প্রাক্তন সাংসদকে। আসলে আরজিকর কাণ্ডে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। আর এই ঘটনার ঠিক পড়েই আচমকাই একদল নেটিজেনের ক্ষোভের সম্মুখীন হন মিমি। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া স্টোরিতে স্ক্রিনশট পোস্ট করে ক্ষোভ, হতাশা প্রকাশ করেন অভিনেত্রী।
প্রসঙ্গত, আর জি কর কাণ্ডের পর নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণের কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্ত তা স্বীকার করেননি মৃতার পরিবার। সেই প্রসঙ্গ তুলেই এবার মিমিকে (Mimi Chakraborty) ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে। রাশিদুল আন্ডারস্কোর ৭৫৪ প্রোফাইল থেকে মিমির উদ্দেশ্যে লেখা হয়, "আজ এই কাণ্ড যদি মিমির সঙ্গে ঘটত তা হলে কী করত? মিমির পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হত নাকি? তাহলে মিমিকে আমার ঘরে পাঠিয়ে দিলে আমি ওঁর পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দিয়ে দেব।" এই মন্তব্যের পরেই কলকাতা পুলিশের ডিসিপিকে ট্যাগ করে দুটি মন্তব্যের (Harassment Threat) স্ক্রিনশট এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন মিমি (Mimi Chakraborty)। লেখেন, "আমরা কী এই কারণেই লড়ছি? আমরা একজন মহিলার জন্য বিচার চাইছি তাই না? ধর্ষণের হুমকি দেওয়াটা যেন জলভাত করে ফেলেছে এরা। তারাই আবার ভিড়ের মধ্যে মিশে বলছেন, মেয়েদের পাশে রয়েছেন! এটা কোন ধরনের শিক্ষা?"
আর এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ধর্ষণের হুমকির মোক্ষম জবাব দিয়েছেন পরিচালক সৃজিত মুখার্জি। এদিন মিমির (Mimi Chakraborty) শেয়ার করা পোস্টটির স্ক্রিনশট নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করে সৃজিত লিখেছেন, "তারকাদের ঘৃণা করুন কিন্তু ভেবেচিন্তে। জেলে ইন্টারনেট নাও পেতে পারেন।"
Ayodhya Ram Mandir: রাম মন্দির উড়িয়ে দেওযার হুমকি পাক জঙ্গি সংগঠনের!
নিউজ ডেস্ক: বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হবে অযোধ্যার রাম মন্দির (Ayodhya Ram Mandir)। এমনই হুমকি দিল পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish-e-Mohammad)। অডিও-বার্তা মারফত হুমকি পেয়ে আঁটসাঁট করা হয়েছে মন্দির চত্বরের নিরাপত্তা। সতর্ক রয়েছে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। শুরু হয়েছে তদন্ত। ২০০১ সালে একবার রাম মন্দিরে হামলার হুমকি দিয়েছিল জইশ-ই-মহম্মদ। এতদিন পরে ফের হুমকি-বার্তা।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে উদ্বোধন হয় অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir)। তার পর থেকে মাঝেমধ্যেই হুমকি দিচ্ছে পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন। ২২ জানুয়ারি মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, সেই হিন্দুত্ব শক্তিকে হুমকি দিয়েছে পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গি (Jaish-e-Mohammad)। একটি হুমকি এসেছিল পলাতক ভারতীয় জঙ্গি ফারহাতুল্লা ঘাউরি, অন্যটি এসেছিল দ্য রেসিস্ট্যান্স ফোর্সের তরফে। দুটিই হুমকি দেওয়া হয়েছিল রামলালার বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে। বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানকে ‘শয়তানের ঘটনা’ বলে উল্লেখ করেছে ওই জঙ্গি গোষ্ঠী। এটিকে প্রতিশোধের ঘটনা বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
রাম মন্দির (Ayodhya Ram Mandir) প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানের পরে পরেই একটি ভিডিও-বার্তা প্রকাশ করেছিল ঘাউরি। শিরোনাম ছিল ‘রাম মন্দির : ডিক্লারেশন অফ ওয়ার’। বিজেপি এবং আরএসএসের বিরুদ্ধে একে সে জিহাদ বলেই জানিয়েছিল। ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত করা হবে বলেও হুমকি দিয়েছিল সে। ভিডিওতে ঘৌরির কণ্ঠস্বরের পাশাপাশি ছবি দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী নুপূর শর্মা এবং নবীন কুমার জিন্দলের। আরও পড়ুন: “স্পিকার পদে বিজেপি প্রার্থীকেই সমর্থন করবে জেডিইউ”, বললেন ত্যাগী প্রফেট মহম্মদকে নিয়ে ২০২২ সালে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন নুপূর। ভিডিওটিতে রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) ছবি দেওয়া হয়েছিল। দেওয়া হয়েছিল হ্যান্ড গ্রেনেড, ছুরি, সুইসাইড জ্যাকেট, বুলেট, বন্দুক এবং বুলডোজারের ছবিও। ভিডিওটিতে সাংবাদিকদেরও হুমকি দেওয়া হয়েছিল। ঘাউরি মুক্তমনা মুসলমানদেরও সমালোচনা করেছিল। জিহাদ পরিত্যাগ করায় সমালোচনা করা হয়েছিল মুক্তমনা পণ্ডিত ফিয়াজ সইদ এবং প্রাক্তন সাংসদ মাহমুদ আশাদ মাদানির (Jaish E Mohammad)।
Shantanu Thakur: বাংলায় জঙ্গি সংগঠন লস্করের আত্মপ্রকাশ! কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পেলেন জঙ্গি সংগঠনের হুমকি চিঠি
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জঙ্গিদের হুমকি!
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে লস্কর এ তৈয়বার (Lashkar E Tayyaba) হুমকি ভরা চিঠি! মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে উত্তর চব্বিশ পরগণায় (North 24 Parganas)। কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের (Shantanau Thakur) কাছে সোমবার একটি চিঠি আসে। শান্তনু ঠাকুর এবারও বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন তার কাছে যে হমকি চিঠি এসেছে তাতে লেখা যদি বাংলায় এনআরসি লাগু করা হয় তাহলে হাফিজ সঈদের নির্দেশ মাফিক লস্করের প্রতিক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। ঠাকুরবাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।
সোমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Union Minister) শান্তনু ঠাকুরের কাছে একটি চিঠি আসে। সেই চিঠিতে লেখা ছিল শ্রদ্ধেয় শান্তনু বাবু। আশা করি ভালো আছেন। যাই হোক আপনাকে জানাচ্ছি যে পশ্চিম বাংলায় যদি এনআরসি (NRC) এবং এনআরসি-র ফলে যদি মুসলমানদের ওপর কোনও রকম অত্যাচার হয়, তাহলে পশ্চিমবাংলা তথা সমগ্র ভারত জ্বলবে এবং আপনাদের ঠাকুরবাড়ি(Matua Thakurbari) উড়িয়ে দেওয়া হবে। কেউ আপনাদের ঠাকুরবাড়িকে বাঁচাতে পারবে না। লস্কর-এ-তৈয়বার নাম শুনেছেন তো? আমরা লস্কর-এ-তৈয়বার সদস্য। আপনাদের হাফিজ সঈদের নির্দেশ মত আমরা পশ্চিমবাংলায় এনআরসি লাগু করলে সঙ্গে সঙ্গে কাজ শুরু করে দেব। চিঠির প্রেরক হিসেবে নজরুল ইসলাম, সাহেব আলী ও ফজর আলীর নাম লেখা এবং ঠিকানা হাদিপুর, দেগঙ্গা, উত্তর ২৪ পরগনা উল্লেখ করা হয়েছে। চিঠিটি যথেষ্ট সন্দেহজনক। আপাতদৃষ্টিতে দেখলে টাইপরাইটারে টাইপ করা মনে হয়। ০৫ এপ্রিল শুক্রবার এই চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে। যদিও চিঠির ভিতর ০৭ ফেব্রুয়ারি উল্লেখ করা আছে।
শান্তনু ঠাকুর জানিয়েছেন তিনি বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানাতে চলেছেন। এবং সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চলেছেন। পাশাপাশি বিষয়টি স্থানীয় পুলিশকে জানানো হয়। এই ঘটনা পুলিশকে জানানো হলে গাইঘাটা থানার পুলিশ ঠাকুরবাড়িতে উপস্থিত হয়। তাঁরা শান্তনু ঠাকরের সঙ্গে এবিষয়ে কথা বলেন।
তবে এ রাজ্যে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-এ-তৈয়বা সক্রিয় থাকলে খুবই চিন্তার বিষয়। বিজেপি সহ বিরোধী দলগুলির দীর্ঘ সময় থেকে অভিযোগ বাংলাদেশ লাগোয়া জেলাগুলিকে সেফ করিডর হিসেবে ব্যবহার করে থাকে জঙ্গি সঙ্গঠনের সদস্যরা। ঘাপটি মেরে তাঁরা তাদের কাজকর্ম চালায়। ভোটব্যাঙ্কের কথা ভেবে তদন্তের সুরাহা হয় না বলে অভিযোগ বিজেপির। এই রাজ্য থেকে একের পর এক নাশকতামূলইক কাজকর্ম হলেও রাজ্য পুলিশ তদন্তে অনীহা দেখায়। ফলে কেন্দ্রীয় এজেন্সি আদালতের নির্দেশে তদন্ত করছে। তাতেও শাসক দলের কর্মীরা বাধা দেয়।
এর আগেও এই রাজ্যে পিএফআই, সিমি, জামাতের মত নিষিদ্ধ সংগঠনের অস্তিত্ব মিলেছে। এবার সরাসরি কেন্দ্রিয় মন্ত্রীকে হুমকির মত ঘটনা চিন্তার বিষয় বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত দেগঙ্গা ভারত বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তের খুব দূরে নয়। কিন্তু লস্কর পাকিস্তান থেকে চালিত হয়। পাকিস্তানের এই উগ্রপন্থী সংগঠন বাংলায় কিভাবে তাদের শাখা বিস্তার করল তা চিন্তার বিষয়।
Laskar Threat to Indian Minister: কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে লস্কর এ তৈয়বার হুমকি ভরা চিঠি!
মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে উত্তর চব্বিশ পরগণায়। কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের কাছে সোমবার একটি চিঠি আসে। তাতে লেখা যদি বাংলায় এন আর সি লাগু করা হয় তাহলে হাফিজ সঈদের নির্দেশ মাফিক লস্করের প্রতিক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। ঠাকুরবাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। কেউ রেহাই পাবে না।