Friday, November 15, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

timing

Bhaifota 2024: দুদিন পরেই ভাইফোঁটা, জেনে নিন এবছর কখন পড়ছে ভাইফোঁটার মাহেন্দ্রক্ষণ?

নিউজ ডেস্ক: 'উৎসবের' দেশ ভারত। ১২ মাসে ১৩ পার্বন লেগেই থাকে। প্রতিটি দিনই আমাদের কাছে কোনো না কোনো কারণে 'বিশেষ'। চলছে উৎসবের মরসুম। আজ কালীপুজো। আর কালীপুজো এবং দীপাবলির পর পরই বাঙালির ঘরে ঘরে উদযাপিত হয় ভাইফোঁটা (Bhaifota 2024)৷ আশ্বিন বা কার্তিক মাসের শুক্লাপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে দাদা বা ভাইয়ের কপালে মঙ্গলতিলক এঁকে শুভকামনা থাকে বোন বা দিদির তরফে৷ বিনিময়ে ভাইরা বোনদের উপহার দেয় এবং সারাজীবন যে কোন ধরণের বিপদ থেকে রক্ষার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিছু জায়গায় প্রতিপদে ভাইফোঁটা হয়। অবশ্য বেশিরভাগ জায়গাতেই দ্বিতীয়াতে ফোঁটা দেওয়ার প্রচলন রয়েছে।

এই বছর ভাইফোঁটা (Bhaifota 2024) পড়ছে ৩ নভেম্বর, ২০২৪, রবিবার। তিলকের সময় ১৩:১০:২৭ থেকে ১৫:২২:১৮। স্থিতিকাল: ২ ঘণ্টা ১১ মিনিট। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, ভাইফোঁটার মন্ত্র। 'ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা। যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা, আমি দিই আমার ভাইকে ফোঁটা, যমুনার হাতে ফোঁটা পেয়ে যম হল অমর। আমার হাতে ফোঁটা খেয়ে আমার ভাই হোক অমর।' প্রচলিত রীতি অনুযায়ী এই মন্ত্র পড়ে ঘি, চন্দন,কাজল দ্বারা বোন বা দিদিরা ভাই বা দাদাদের কপালে তিলক কেটে দীর্ঘায়ু কামনা করেন। আশ্বিন বা কার্তিক মাসের শুক্লাপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে ভাইয়ের কপালে মঙ্গল তিলক এঁকে, তাঁর শুভকামনা করেন বোন বা দিদি।

এইদিন প্রদীপের আলোয় মিষ্টি খাওয়ার খুনশুটিতে বাঙালি বাড়িতে এক অন্য আমেজ৷ এই দিনটি ভাই-বোনের মধ্যে ভালোবাসা ও স্নেহের সম্পর্কের প্রতীক। উৎসবের এই বিশেষ দিনগুলিকে আমরা সকলেই খুব আড়ম্বরে উদযাপন করি। বিশেষ এই দিনের উদযাপনের পিছনে শুধুমাত্র ধর্মীয় বিশ্বাসই যে রয়েছে তা নয়, এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হল নিজের পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়দের সঙ্গে উৎসবের বিশেষ এই দিনটিকে সেলিব্রেট করা। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, সূর্য ও সংজ্ঞার সন্তান যম ও যমী বা যমুনা। যমুনা নিজের ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দিয়েছিলেন, তার পর থেকে এই উৎসব পালিত হতে শুরু করে। পশ্চিমবঙ্গের বাইরে এটি ভাই দুজ বা ভাই বীজ নামে পরিচিত। তবে নামে পার্থক্য থাকলেও উদ্দেশ্য একটিই, ভাইয়ে দীর্ঘায়ু ও উন্নতি কামনা করা।

Sweta Chakrabory | 18:07 PM, Thu Oct 31, 2024

Kali Puja 2024: আজ কালীপুজো, অমাবস্যা তিথি ঠিক কখন লাগছে? থাকবে কতক্ষণ? জানুন


নিউজ ডেস্ক: অমাবস্যা তিথিতে মা কালীর বিভিন্ন রূপের পুজো হয়। ফলহারিনী অমাবস্যা থেকে কৌশিকী অমাবস্যা, বিভিন্ন সময়ে দেবীর বিভিন্ন রূপের পুজো করা হয়। তবে এই কার্তিক অমাবস্যায় বিশেষ আচার মেনে দেবীর পুজো (Kali Puja 2024) সম্পন্ন হয় ঘরে ঘরে এবং বারোয়ারি পুজো মণ্ডপগুলিতে। পঞ্জিকা মতে নিশিতা কালে এই পুজো হয়। এ বছর কার্ত্তিক অমাবস্যা পড়েছে ৩১ অক্টোবর (১৪ কার্তিক), বৃহস্পতিবার। ৩১ অক্টোবর ৩:৫২ মিনিটে অমাবস্যা তিথি শুরু হবে। পরের দিন অর্থাৎ ১ নভেম্বর ১২:৪৮ মিনিটে অমাবস্যা ছাড়বে। কালীপুজো মধ্যরাত্রি পর্যন্ত চলে, শুরুও হয় রাতেই, তাই ৩১ অক্টোবর পুজো হবে। কালীপুজোর শুভ মুহূর্ত ৩১ অক্টোবর ১১:৪৮ মিনিট থেকে ১ নভেম্বর ১২:৪৮ মিনিট পর্যন্ত।

বাংলায় কালীপুজোর (Kali Puja 2024) বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। সারা বছর বিভিন্ন অমাবস্যার তিথিতে মা কালীর বিভিন্ন রূপের পুজো করা হয়। মন্দিরের পাশাপাশি অনেকেই বাড়িতেও কালীপুজো হয়। অনেকে আবার এই দীপাবলিতে বাড়িতে লক্ষ্মী-গণেশের পুজো করেন। অর্থাৎ কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো ছাড়াও কালীপুজোর সন্ধ্যেবেলা দীপান্বিতা লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করা হয় অনেক বাড়িতে। বাংলার পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের জেলাগুলিতে এই দীপান্বিতা লক্ষ্মীপুজো বহুল প্রচলিত। এই দিন মা কালীর আরাধনা করার পাশাপাশি মা লক্ষ্মীর আরাধনাও করা হয়। কালী পুজো মূলত অনুষ্ঠিত হয় মধ্যরাতে। ওই একই দিনে মন্দিরে এবং বাঙালির ঘরে ঘরে পূজিত হন মা লক্ষ্মীও।

শ্যামা পুজোর (Kali Puja 2024) দিন লক্ষ্মী পুজো করার আরও একটি কারণ হলো মনে করা হয় এই দিন লক্ষ্মী পুজো করলে জীবন থেকে সরে যায় সমস্ত দুঃখ দুর্দশা। ঘরে আসে সুখ সমৃদ্ধি। অর্থের কোনও অভাব হয় না দীপান্বিতা লক্ষ্মী পূজো করলে। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ওড়িশা এবং অসমেও কার্তিক অমাবস্যায় মা কালীর পুজো করা হয়। কোনও কোনও বছর কালীপুজো ও দীপাবলি একদিন আগে ও পরে পরে থাকে। এবারেও কালীপুজোর পরের দিন দীপাবলি পালিত হবে।

Sweta Chakrabory | 11:02 AM, Thu Oct 31, 2024

 Sealdah Division: সত্যিই কি ৩০ সেকেন্ডের বেশি দাঁড়াবে না কোনও ট্রেন? এবার আসল তথ্য প্রকাশ করল পূর্ব রেল


নিউজ ডেস্ক: এবার থেকে প্রতি স্টেশনে ট্রেন দাঁড়াবে ৩০ সেকেন্ড। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছিল পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ডিভিশন (Sealdah Division)। আর এর পরেই শুক্রবার সন্ধ্যেয় খবর ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে সেই খবর নস্যাৎ করে দিয়ে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, এই খবরটি ভুয়ো।

আসলে শিয়ালদহ স্টেশনের মাধ্যমে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী তাঁদের গন্তব্যে পৌঁছন। এই ডিভিশনে (Sealdah Division) প্রচুর লোকাল ট্রেন চলে, চলে দূরপাল্লার ট্রেনও। সেই ডিভিশন নিয়েই একটি খবর শুক্রবার ছড়িয়ে পড়ে সোশ্য়াল মিডিয়ায়। সেখানে বলা হয়েছে, এবার থেকে এই ডিভিশনে প্রতিটি স্টেশনে ট্রেন দাঁড়াবে মাত্র ৩০ সেকেন্ড। তার মধ্যেই যাত্রীদের উঠতে হবে এবং নামতে হবে। আর এই খবর সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় রীতিমতো। কারন ব্যস্ত সময়ে ভিড় হয় অনেক বেশি। ফলে মাত্র ৩০ সেকেন্ড সময় বেঁধে দেওয়া হলে সমস্যায় পড়বেন যাত্রীরা। খবরটি দেখে তাই অনেক নিত্যযাত্রীই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। বিশেষত বয়স্ক যাত্রীদের পক্ষে ভিড় ঠেলে অত দ্রুত নামা-ওঠা করা বেশ কঠিন। সোশ্যাল মিডিয়ার ওই পোস্টে দাবি করা হয়েছিল যে, ট্রেন যাতে লেট না হয়, সেই কারণেই এই পন্থা নিয়েছে পূর্ব রেল। আর এই খবর ছড়াতেই এত কম সময় ট্রেন দাঁড়ালে কোনও দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে বলে পোস্ট শুরু হয় সামাজিক মাধ্যমে।

তবে এবার সেই খবরকে ভুয়ো বলে জানিয়েছে পূর্ব রেল। এদিন পূর্ব রেলের (Sealdah Division) এক্স মাধ্যমে একটি পোস্টে জানানো হয়েছে, শিয়ালদহ ডিভিশনে লোকাল ট্রেনে ওঠানামার সময় কমিয়ে ৩০ সেকেন্ড করার যে খবর ছড়িয়ে পড়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর। যাত্রীদের কাছে বিনীত অনুরোধ করা হচ্ছে, এমন ধরনের অপপ্রচারে বিশ্বাস করবেন না এবং বিভ্রান্ত হবেন না। আরও বলা হয়েছে যে লোকাল ট্রেনে ওঠানাম করার জন্য যাত্রীরা এতদিন যে সময় পেতেন, ভবিষ্যতেও সেই একই সময় পাবেন। যাত্রীদের আরামদায়ক এবং নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে পূর্ব রেলওয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যাত্রীদের অনুরোধ করা হচ্ছে, ধৈর্য ও সতর্কতার সঙ্গে ট্রেনে ওঠানামা করুন এবং যেকোনো ধরনের গুজবে কান দেবেন না। পূর্ব রেলের এই বিবৃতিতে স্বস্তি ফিরেছে যাত্রীদের মধ্যে। তবে কেন এই ভুয়ো খবর ছড়াল, তা স্পষ্ট নয়।

Sweta Chakrabory | 14:16 PM, Sat Oct 19, 2024
Local Train: কমছে লোকাল ট্রেনের স্টপেজের সময়! যাত্রী ভোগান্তির আশঙ্কা

নিউজ ডেস্ক: লোকাল ট্রেনের নিত্যযাত্রীদের জন্য দুঃসংবাদ। এবার থেকে যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ মাত্র ৩০ সেকেন্ড। অর্থাৎ প্রতি স্টেশনে ঘড়ির কাঁটা মেপে ৩০ সেকেন্ড দাঁড়াবে ট্রেন। ফলে যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। শুক্রবার থেকে ট্রেন স্টপেজের সময়সীমা কমিয়ে মাত্র ৩০ সেকেন্ড নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে শিয়ালদহ ডিভিশনে (Indian Railways) ট্রেন চলাচলের সময়সূচী ঠিক রাখতে এবং ট্রেনের দেরি হওয়ার সমস্যার সমাধানে। যাত্রী ওঠানামার এই সময়সীমা কার্যকর করতে ইতিমধ্যেই স্টেশনে মোতায়েন করা হচ্ছে কমার্শিয়াল বিভাগের কর্মী এবং আরপিএফ জওয়ানদের।

আসলে দীর্ঘদিন ধরে শিয়ালদহ ডিভিশনে ট্রেন চলাচল দেরিতে হচ্ছে, যাত্রীদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় ভোগান্তি বাড়ছে। ট্রেনগুলির নির্ধারিত সময়ে না পৌঁছানোর ফলে যাত্রীরা প্রায়ই অফিস বা অন্যান্য গন্তব্যে দেরিতে পৌঁছাচ্ছেন। এই সমস্যার মূল কারণ হিসাবে ট্রেনের স্টপেজে বেশি সময় লাগা উঠে এসেছে। প্ল্যাটফর্মে ট্রেন থামার পর যাত্রীদের ওঠা-নামা করানোর জন্য বেশি সময় বরাদ্দ হওয়ার ফলে এই দেরি হচ্ছে। তাই এবার ট্রেনের স্টপেজের সময়সীমা কমিয়ে ৩০ সেকেন্ড করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, এতদিন ট্রেন প্রতি স্টেশনে ৪০ থেকে ৫০ সেকেন্ড দাঁড়াত। অর্থাৎ যাত্রীরা ওঠা-নামার জন্য ওই সময়টা পেতেন। কিন্তু আজ অর্থাৎ শুক্রবার থেকে স্টপেজের সময় বেঁধে দেওয়া হচ্ছে ৩০ সেকেন্ড। অর্থাৎ এবার মাত্র ৩০ সেকেন্ডেই ওঠা-নামা করতে হবে যাত্রীদের। এমনিতেই অফিস টাইমে অধিকাংশ ট্রেনই প্রবল ভিড় হয়। ৪০ থেকে ৫০ সেকন্ডেও অনেকসময় যাত্রীরা উঠতে পারেন না। ট্রেন মিস হয়। সেখানে সময় আরও কমে গেলে সমস্যা বাড়বে বলেই মনে করছেন নিত্যযাত্রীরা।

যদিও এ প্রসঙ্গে রেলের একাংশের দাবি, লোকাল ট্রেনের স্টপেজের সময়সীমা বরাবরাই ৩০ সেকেন্ড। অনেকের ধারণা, খাতায় কলমে ৩০ সেকেন্ড থাকলেও ট্রেনগুলো আরেকটি একটু বেশি সময় দাঁড়াতো, তবে এবার কড়া ভাবে মেনে চলা হবে সময়সীমা। তাই সময় কমার বিষয়টা আদৌ কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।

এই সময়সীমা কমানোর পাশাপাশি রেল কর্তৃপক্ষ আরও কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে বলে জানা গিয়েছে। স্টেশনের প্ল্যাটফর্মগুলিতে যাত্রী ওঠানামার জন্য আলাদা আলাদা গেট স্থাপন করা, ট্রেনগুলিতে অতিরিক্ত বগি যোগ করা এবং প্ল্যাটফর্মে ভিড় নিয়ন্ত্রণে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে।

Sweta Chakrabory | 12:24 PM, Fri Oct 18, 2024

Vishwakarma Puja 2024: বিশ্বকর্মা পুজোয় করুন এই কাজ, আর্থিক সমস্যা হবে দূর


নিউজ ডেস্ক: আজ বিশ্বকর্মা জয়ন্তী। প্রতি বছর ১৭ সেপ্টেম্বর পালিত হয় বিশ্বকর্মা পুজো (Vishwakarma Puja 2024)। হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, এই দিনে ব্রহ্মার সপ্তম পুত্র বিশ্বকর্মা জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ভগবান বিশ্বকর্মাকে বিশ্বের প্রথম স্থপতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। দেব শিল্পী ভগবান বিশ্বকর্মার জন্মদিন উপলক্ষে কারিগর বা যে কোনও যন্ত্রপাতি দ্বারা কাজ করা লোকেরা ভগবান বিশ্বকর্মার পুজো করে। এদিন তারা তাদের কাজের দক্ষতা ও অগ্রগতির জন্যও প্রার্থনা করেন।

এই বছর বিশ্বকর্মা পুজোর (Vishwakarma Puja 2024) শুভ সময় হল সকাল ১১:০৮ থেকে ০১:৪৩ পর্যন্ত। কথিত আছে নিষ্ঠা মেনে বিশ্বকর্মার পুজো করলে অর্থের অভাব হয় না এবং পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় থাকে৷ পুজোর দিন সকালে স্নান করার পরে, বাড়ির মন্দিরে ভগবান বিশ্বকর্মার ছবি স্থাপন করা উচিত। এরপরে, তার সামনে কলসি রেখে তাতে জল ভরে গোটা চাল, ফল, ফুলের মালা, চন্দন, সুপারি, হলুদ সরিষা ইত্যাদি দেবতাকে নিবেদন করুন। সত্যিকারের চিত্তে এই প্রতিকার করলে আপনার সমস্ত সমস্যা শীঘ্রই দূর হয়ে যাবে। এছাড়া পুজো শেষে প্রসাদ সকলকে বিতরণ করা বাঞ্ছনীয়। একইসঙ্গে বিশ্বকর্মা পুজোর দিন বাড়িতে থাকা যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামগুলি অয়েলিং করে, ধুয়ো মুছে রাখা উচিত। তার ফলে এইসব যন্ত্রপাতি ভালোও থাকে সারাবছর। ভবিষ্যতে কাজে লাগাতে সুবিধা হয়। এই সব নিয়ম আন্তরিক শ্রদ্ধা ও ভক্তির সঙ্গে পালন করলে দেবতা তুষ্ট হন এবং অবশ্যই উচ্চারণ করতে হবে মহামন্ত্র। সেটি হল, দেবশিল্পি মহাভাগ দেবানাং কার্য্যসাধক। বিশ্বকর্মন্নমস্তুভ্যং সর্বাভীষ্টপ্রদয়ক।

এরপর পুজো (Vishwakarma Puja 2024) শেষ হলে হাতে ফুল ও অক্ষত নিন। ভগবান বিশ্বকর্মাকে উত্সর্গীকৃত মন্ত্রগুলি তিন বা চারবার জপ করুন। এরপরে, আপনার হাতে উপস্থিত অক্ষতটি বাড়ির চার দিকে ছিটিয়ে দিন। এর ফলে বাড়িতে ইতিবাচকতা থাকবে এবং পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হতে শুরু করবে।

প্রসঙ্গত, বিশ্বকর্মা পুজোর (Vishwakarma Puja 2024) পাশাপাশি গতকাল ছিল রান্না পুজো। হিন্দুদের বারো মাসে তেরো পার্বণের মধ্যে অন্যতম হল এই রান্না পুজো। সাধারণত বিশ্বকর্মা পুজোর আগের দিন হয় অরন্ধন বা রান্নাপুজো। যদিও বাংলা বছরে দু’দিন অরন্ধন উৎসব পালিত হয়। মাঘ মাসে সরস্বতী পুজোর পরদিন শীতলষষ্ঠীতে শিলনোড়া পুজোর দিন, আর ভাদ্র মাসের সংক্রান্তিতে মনসা পুজোর দিন। এই দু’দিনই উনুন জ্বালানো হয় না। বদলে আগের দিনের রান্না করা খাবার খাওয়ার রীতি রয়েছে। রান্না পুজো বা অরন্ধন উত্সরব সারা বাংলা জুড়ে বিশেষত গ্রামাঞ্চলে ব্যাপকভাবে উদযাপিত হয়।

নিয়ম অনুযায়ী, রান্না পুজোর দিন করা রান্না, পরের দিন অর্থাৎ বিশ্বকর্মা পুজোর দিন খাওয়া হয়। এই দিন আগের দিনের করা বাসি রান্নাই সারাদিন ধরে খাওয়া চলে। মরসুমের সেরা সবজি ও মাছ আরাধ্য দেবতাকে নিবেদন করাই রান্না পুজোর প্রধান লক্ষ্য। বলা হয়, রান্নাপুজো আসলে গৃহদেবতা ও উনুনের পুজো।

Sweta Chakrabory | 11:54 AM, Tue Sep 17, 2024
upload
upload