RG Kar Hearing Breaking: আরজি কর মামলার শুনানি শুরু সুপ্রিম কোর্টে
Sweta Chakra... | 11:04 AM, Mon Sep 09, 2024
RG Kar BREAKING: সিল বন্ধ খামে আরজি কর কাণ্ডের তদন্তের রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই
Sweta Chakra... | 11:39 AM, Thu Aug 22, 2024
Buddhadeb Bhattacharjee: সকালে প্রাতঃরাশ সেরেই অসুস্থ, প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বয়স হয়েছিল ৮০
Sweta Chakra... | 11:47 AM, Thu Aug 08, 2024
Astra Mark 1: বিমান বাহিনীর অস্ত্র ভান্ডারে এবার দেশীয় দুরপাল্লার মিসাইল
Pankaj Kumar... | 16:58 PM, Wed Aug 07, 2024
RSS বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবি আরএসএসের
Pankaj Kumar... | 16:41 PM, Wed Aug 07, 2024
Paris Olympics 2024: প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছ ইতিহাস গড়লেন মানিকা বাত্রা, জাগালেন পদকের আশা
Pankaj Kumar... | 12:50 PM, Tue Jul 30, 2024
Amarnath Yatra: অমরনাথ যাত্রায় হামলার ছক, এবার খলিস্তানীদের ময়দানে নামাচ্ছে পাকিস্তান
Pankaj Kumar... | 18:35 PM, Sat Jul 27, 2024
Terrorist Attack: জঙ্গিদের ছবি প্রকাশ্যে এল, মাথার দাম পাঁচ লাখ টাকা
Pankaj Kumar... | 18:32 PM, Sat Jul 27, 2024
Meerut Police: নির্ভয়ার স্মৃতি ফিরল মেরঠে, গ্রেফতার হাসিন, শাহরুখ, একরামউদ্দিন এবং মহসিন
Pankaj Kumar... | 15:46 PM, Sat Jul 27, 2024
BJP Protest: “অন্য ধর্মে জন্মানো দুর্ভাগ্যের”, ফিরহাদের বিতর্কিত মন্তব্যে তোলপাড় বিধানসভা
Pankaj Kumar... | 15:23 PM, Sat Jul 27, 2024
Indian Army: ১৬ হাজার ফিট উচ্চতায় মোবাইল পরিষেবা, সেনাকে বিজয় দিবসের উপহার কেন্দ্রের
Pankaj Kumar... | 15:19 PM, Sat Jul 27, 2024
Supreme Court: রাতে কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের উপস্থিতিতে সায় সুপ্রিম কোর্টের, কী জানালেন টলিউডের অভিনেতারা?
নিউজ ডেস্ক: আরজি করের ঘটনার পর মহিলাদের রাতের শিফ্টে কাজ যতটা সম্ভব কমাতে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল রাজ্য। তা নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। বিভিন্ন মহলে সমালোচিত হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তি। ‘বিতর্কিত’ ওই বিজ্ঞপ্তির গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই এ বার প্রশ্ন তুলে দিলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। কড়া প্রশ্নের মুখে পড়ে তাই রাতে মহিলাদের কর্মস্থল সংক্রান্ত ‘বিতর্কিত’ বিজ্ঞপ্তি মুছে ফেলতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে।
মঙ্গলবার শুনানির সময় এক আইনজীবীই এই বিষয়টি নিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সঙ্গে সঙ্গে প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, “এটি কী ভাবে হতে পারে? মহিলারা এই ধরনের কোনও ছাড় চান না। তাঁরা চান সমান সুযোগ। মহিলা ডাক্তারেরা সব পরিস্থিতিতে কাজ করতে চান। তাঁদের সব পরিস্থিতিতে কাজ করা উচিত। রাজ্যকে এটি সুনিশ্চিত করতে হবে।” প্রধান বিচারপতির এই নির্দেশের পর রাজ্যের তরফেও আইনজীবী কপিল সিব্বল আশ্বস্ত করেন, বিজ্ঞপ্তির ওই অংশটুকু মুছে দেওয়া হবে।
সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী, অর্জুন চক্রবর্তী, দিতিপ্রিয়া রায়, চৈতি ঘোষাল সহ টলিউডের অনেক অভিনেত্রীরাই। এ প্রসঙ্গে সুদীপ্তার দাবি, “রাজ্য সরকারের এই বিজ্ঞপ্তিতে সুপ্রিম (Supreme Court) সিলমোহর পড়লে বিচলিত হতাম। একুশ শতকে এসে নারীর ভাগ্য যদি শুধুই দিন হয় তা হলে এর চেয়ে দুর্ভাগ্য আর কিছুই হতে পারে না। সমানাধিকার চাইলে পুরুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নারীও কাজ করবে। এটাই শুরু থেকে চেয়ে এসেছি। ভাল লাগছে, সেই মতে সুপ্রিম কোর্ট সমর্থন জানাল।” প্রায় একই বক্তব্য অভিনেতা অর্জুন চক্রবর্তীরও। তিনিও খুশি সুপ্রিম রায় জেনে।
অন্যদিকে অভিনেত্রী চৈতি ঘোষাল বলেন, ''রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও মহিলা। তিনিও প্রয়োজনে রাতে রাস্তায় বেরোন। তা হলে কি তিনি এই ধারা থেকে অব্যাহতি পাবেন?” চৈতির দাবি, তিনি যদি রাস্তায় বেরোতে পারেন তা হলে সাধারণ মানুষেরও এই অধিকার রয়েছে। উদাহরণ হিসাবে তিনি চিকিৎসক, নার্স, বিনোদন দুনিয়া, সেনাবাহিনী-সহ প্রত্যেক ক্ষেত্রের কথা বলেন। জানান, নারীদের রাতের ডিউটি বন্ধ হলে ‘সমানাধিকার’ শব্দটিই অভিধান থেকে মুছে যাবে।''
Aparajita Adhya: ''সুবিচার না পেলে তোমায় বরণ করতে পারব না...'', সোমবার শুনানির পর আশাহত অপরাজিতা
নিউজ ডেস্ক: এক মাস পেরিয়ে গিয়েছে আরজি কর কাণ্ডের। রাত দখল থেকে শুরু করে প্রতিবাদের নানা রূপ দেখেছে মহানগরী। সকলের একটাই চাওয়া শাস্তি পাক অপরাধীরা। সোমবার ছিল এই মামলার সুপ্রিম কোর্টের শুনানি। কিন্তু এদিনের শুনানিতে অনেকেই অখুশি। আর তাঁদেরই অন্যতম হলেন অপরাজিতা আঢ্য (Aparajita Adhya)। অন্যদিকে এদিনই নবান্ন সভাঘরে প্রশাসনিক বৈঠকে রাজ্যের মানুষের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘এক মাস হল, পুজোতে ফিরুন, উৎসবে ফিরুন’।
আর এই কথার পরিপ্রেক্ষিতেই অভিনেত্রী জানান, এদিন আদালতের নির্দেশে তিনি আশাহত। তিনি বলেন, ‘কী ভাবে উৎসবে ফিরবো সে তো নিজের অনুভূতির সঙ্গে মিথ্যাচার হবে। প্রত্যেক বছর তৃতীয়া থেকে নবমী পর্যন্ত কাজ করি দশমীতে মাকে বরণ করি, বিসর্জনে নাচি, সকলকে মিষ্টি খাওয়াই। সুবিচার দাও মা না হলে এবছর প্যান্ডেলে গিয়ে যে তোমায় বরণ করতে পারব না।’
অপরাজিতার (Aparajita Adhya) দাবি, এ দিনের শুনানির দিকে তাকিয়েছিলেন তিনি। প্রতি তাঁর কিছু প্রত্যাশা ছিল। নিহত চিকিৎসক সুবিচার পাবেন, আশায় ছিলেন অভিনেত্রী। বিচারের দাবিতে তিনি একাধিক মিছিলে হেঁটেছেন। কিন্তু সোমবার দুপুরের পরে তিনি আশাহত বলে জানান অপরাজিতা। সব দেখে শুনে হতাশ হয়ে পড়েছেন।
এ প্রসঙ্গে অপরাজিতা (Aparajita Adhya) ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, “আজ খুব কষ্ট পেয়েছি। আমি আশায় বুক বেঁধেছিলাম। ভেবেছিলাম আজ ইতিবাচক কিছু দেখতে পাব। আমি খুব আবেগপ্রবণ মানুষ। নির্যাতিতার বাবা-মায়ের কেমন লাগছে, তা আমি ভাল ভাবেই বুঝতে পারছি। মেয়েটির উপর পাশবিক অত্যাচার হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত প্রত্যেকের কঠোর শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আমি পুজো, উৎসব, আনন্দ এগুলি কিছুই ভাবতে পারছি না। এ বার আমি কারও জন্য কোনও কেনাকাটা করব না। এমনকি, ছোটদের জন্যও কেনাকাটা করব না। বাচ্চাদেরও বোঝা উচিত উৎসব না হওয়ার অর্থটা।”
Mahalaya on OTT Platform: মহালয়ার সকালে দুর্গারূপে আসছেন রাজনন্দিনী
নিউজ ডেস্ক: সামনেই দুর্গাপুজো। আর তার আগে রয়েছে মহালয়া। ছোটবেলা থেকেই আমরা পরিচিত রেডিওর মহিষাসুরমর্দিনী অনুষ্ঠানের সঙ্গে। এরপর কালের নিয়মে টেলিপর্দায় মহালয়ার অনুষ্ঠানে নতুনত্বের ছোঁয়া এসেছিল। তবে এবার আরও একধাপ এগিয়ে ভাবল হইচই। সংশ্লিষ্ট ওটিটি প্ল্যাটফর্মে (Mahalaya on OTT Platform) প্রথমবার সিরিজের আকারে আসছে মহালয়ার অনুষ্ঠান।
আগামী ২রা অক্টোবর অর্থাৎ মহালয়ার সকালেই মুক্তি পাবে এই মহিষাসুরমর্দিনী ওয়েব সিরিজ। এই সিরিজের পরিচালকের ভূমিকায় রয়েছেন সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়। আর দুর্গা বা মহামায়ার ভূমিকায় দেখা যাবে রাজনন্দিনী পাল (Rajnandini Paul)-কে। শুক্রবারই প্রকাশ্যে এল দূর্গারূপে রাজনন্দিনীর প্রথম লুক। হইচই-এর ‘দুর্গা’ রাজনন্দিনী পালকে কোরিওগ্রাফি করেছেন সুকল্যাণ ভট্টাচার্য। ফেডারেশন-পরিচালক দ্বন্দ্বে দিন দুয়েক শুটিং বন্ধ থাকার পর বুধবার থেকে ফের হইচই-এর মহালয়ার শুট শুরু হয়েছে।
রাজনন্দিনীকে বর্তমানে হইচই-এর ‘ঘরের মেয়ে’ বললেও অত্যুক্তি হয় না! সংশ্লিষ্ট ওটিটি চ্যানেলের একাধিক সিরিজে নজর কেড়েছেন অভিনেত্রী। এবার দুর্গতিনাশিনীর ভূমিকায় অভিনয় করার জন্যও তাঁকেই বেছে নিল হইচই। এযাবৎকাল মহালয়ার সকাল মানেই চ্যানেল চ্যানেলে তারকাখচিত অসুরবধের শো। তবে এই প্রথমবার মা দুর্গার অসুর বধের বর্ণনা নিয়ে সিরিজের (Mahalaya on OTT Platform) মোড়কে আসছে মহালয়া।
আদ্যাশক্তি মহামায়ার যে আদি ও অনন্ত পৌরাণিক গল্প, তাকেই তুলে ধরা হবে ওয়েব সিরিজের মোড়কে। নারীশক্তির যে উদযাপন মা দূর্গার মধ্যে দিয়ে প্রতিনিয়ত করে জনগণ, সেই গল্পকেই এবার ফুটিয়ে তোলা হবে ওটিটিতে (Mahalaya on OTT Platform)। কেবল মহিষাসুরমর্দিনী নয়, এই সিরিজে তুলে ধরা হবে সতীর পৌরাণিক গল্প ও অন্যান্য একাধিক পৌরাণিক গল্প ও চরিত্রকে যা আদি ও অনন্ত কাল ধরে মহিষাসুরমর্দিনীর সঙ্গে যুক্ত।
Supriyo Dutta: কাঞ্চন মল্লিকের মন্তব্যের জের! পুরস্কার ফেরালেন অভিনেতা সুপ্রিয় দত্ত
নিউজ ডেস্ক: বিধায়ক তথা অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিকের মন্তব্য ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্ক ও ক্ষোভের জেরেই একে একে রাজ্য সরকারের পুরস্কার ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন অনেকেই। সেই তালিকাতেই নাম লেখালেন সুপ্রিয় দত্ত (Supriyo Dutta)। পশ্চিমবঙ্গ নাট্য আকাদেমি পুরস্কার ফেরালেন অভিনেতা-নাট্যকর্মী সুপ্রিয় দত্ত। বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়ে পুরস্কার ফেরালেন তিনি।
২০২১ সালে ২৪ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গ নাট্য আকাদেমি পুরস্কারে ভূষিত হন অভিনেতা সুপ্রিয় দত্ত। তিন বছর পেরিয়ে সেই পুরস্কার ফেরত দিলেন অভিনেতা। আরজি কর কাণ্ডের মাঝেই কাঞ্চন মল্লিকের করা মন্তব্যে হতবাক তিনি। রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়ে বৃহস্পতিবার তিনি (Supriyo Dutta)জানান, এই পুরস্কার তিনি ফিরিয়ে দিতে চান। কারণ বাবদ লিখলেন, ‘কলকাতার আর জি কর হাসপাতালের নারকীয় ঘটনার পর শাসকের ভূমিকা আমায় স্তম্ভিত করেছে। শাসক এবং তার পদলেহনকারী পুলিশ-প্রশাসনের প্রতিটি পদক্ষেপ প্রমাণ করেছে সত্যকে আড়াল করতে তারা কতটা মরিয়া। এমতাবস্থায় এক কন্যা সন্তানের পিতা হিসেবে আমি ভীত, সন্ত্রস্ত। পাশাপাশি আমার বন্ধু বর্তমানে শাসকের প্রতিনিধি কাঞ্চন মল্লিকের কথায় বুঝলাম, শাসক আসলে পুরস্কার এবং সম্মানের বিনিময়ে মোসায়েব খরিদ করে। শাসক চায় একদল অমেরুদণ্ডী চাটুকারের ব্যাটেলিয়ন। কাঞ্চনবাবুর এই বিবৃতি আসলে সরকারেরই ঘোষিত (বা অঘোষিত) আদেশনামা– হয় সত্য নয় সম্মান। এমতাবস্থায় আমি সত্যের পথই বেছে নিলাম।’
এ প্রসঙ্গে সুপ্রিয় দত্ত (Supriyo Dutta) আরও বলেন, ''একজন বিধায়ক বললেন, ‘যাঁরা যাঁরা টাকা নিয়েছেন, তাঁরা ফেরত দেবেন তো?’ এমনিতেই আমি খুব যন্ত্রণার মধ্যে রয়েছি। খালি মনে হচ্ছে, এটা বোধহয় আমার কাছে রাখা ঠিক নয়। খুব গ্লানিতে ভুগছি। সেই কারণেই এটা আমি ফেরত দিতে চাই। অভিনেতা হিসেবে আমার মনে হয় এটা ফেরত দিয়ে দেওয়াই উচিত।''
Tollywood on Kanchan Mullick: কাঞ্চন-বিতর্ক! সতীর্থ অভিনেতাকে ঘিরে কেন এত ক্ষোভ টলিপাড়ায়?
নিউজ ডেস্ক: গত কয়েকঘণ্টায় সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড় হয়েছে কাঞ্চন মল্লিকের করা এক মন্তব্যকে ঘিরে। তারপরই টলিপাড়ার অন্দরেই তৃণমূলের বিধায়ককে কেন্দ্র করে একাংশের ক্ষোভ (Tollywood on Kanchan Mullick) বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেকেই সমাজমাধ্যমে অভিনেতার সমালোচনা করেছেন।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে অভিনেতা-তথা বিধায়ক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “যাঁরা কর্মবিরতি করছেন শাসকদলের বিরুদ্ধে। ভাল। তাঁরা সরকারি বেতন নিচ্ছেন তো নাকি নিচ্ছেন না? এটা আমার প্রশ্ন। বোনাস নেবেন তো? না নেবেন না?” সরকারি পুরস্কার গ্রহণ করবেন কি না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। যে চিকিৎসকরা প্রায় এক মাস ধরে বিচার আর নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলন করছেন, তাঁদের উদ্দেশে কাঞ্চন বলেছেন, ‘এমন কোনও কাজ আপনাদের করা উচিত নয় যে ডাক্তার ভগবান বলতে দু’বার ভাবেন।’ এই মন্তব্যের পরেই কাঞ্চন বিভিন্ন মহলে সমালোচিত হচ্ছেন। কাঞ্চনকে উদ্দেশ্য করে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁর ইন্ডাস্ট্রির সহকর্মীরাও। উত্তরপাড়ার বিধায়কের বক্তব্যের প্রতিবাদে টলিপাড়ার (Tollywood on Kanchan Mullick) অনেকেই সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে সাবধান করে অনন্যা চট্টোপাধ্যায় লেখেন, ‘কাঞ্চন মল্লিক, আপনি এই কথাগুলো বলতে পারলেন? একবার নিজের কথাগুলো কানে শুনেছেন? শুনে কি লজ্জা পেয়েছেন? আপনারা জনগণের অভিভাবক। আপনাদের ওপর থেকে মানুষের বিশ্বাস ভরসা সরে যেতে দেবেন না এইভাবে। একা হয়ে যাবেন একদিন। চারিদিকে তাকিয়ে কাউকে দেখতে পাবেন না। দায়িত্ব নিয়ে কথা বলুন। পার্টি (রাজনীতি) করলেই সবাই খারাপ মানুষ হয়ে যায় না। এই বিশ্বাসের জন্ম দিন। আপনি জননেতা।’
একইসঙ্গে অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী কাঞ্চনকে ‘ত্যাজ্য’ করেছেন বলে জানিয়েছেন। স্যোশাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, “কাঞ্চন তোকে ত্যাগ দিলাম। অনুপ্রেরণার লকারে চোখ, কান, মাথা, মনুষ্যত্ব, বিবেক, বুদ্ধি, বিবেচনা, শিক্ষা সব ঢুকিয়ে রেখে চাবিটা হারিয়ে ফেলেছিস মনে হয়। চাবিটা খুঁজে পেলে খবর দিস বন্ধু। তখন আবার কথা হবে, আড্ডা হবে।”
সুদীপ্তার এই মন্তব্যের পরেই দৃষ্টি আকর্ষণ করে অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তীর (Tollywood on Kanchan Mullick) পোস্ট। শুরু থেকেই আরজি কর-কাণ্ডে সমাজমাধ্যমে প্রতিবাদ করছেন ঋত্বিক। এই বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ প্রসঙ্গেও তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন। কাঞ্চন প্রসঙ্গে ফেসবুকে ঋত্বিক তাঁর পোস্টে লিখেছেন, ‘‘ঘাঁটা মল্লিক চাটা মল্লিক ফাটা মল্লিক টা টা মল্লিক।’’
sayantika banerjee: "যাঁরা টিকিট দিলেন, একবারও ভাবলেন না!", সায়ন্তিকাকে কটাক্ষ জীতুর
নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে তোলপাড় গোটা দেশ। আরজি কর (RG Kar Incident) হাসপাতালে কর্মরত তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে সকলে। আর এরই মধ্যে এবার বরাহনগরের বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (sayantika banerjee) সরাসরি কটাক্ষ করলেন টলি পাড়ার অন্যতম অভিনেতা জীতু কমল।
আসলে গত বুধবার বরাহনগরের বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (sayantika banerjee) দেখা গিয়েছিল প্রতিবাদের মঞ্চে। আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদ চলছে দেশ জুড়ে, তাতেই অংশ নিয়েছিলেন সায়ন্তিকা। প্রতিবাদী মঞ্চ থেকে সায়ন্তিকার গিটার বাজানোর এক ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয় স্যোশাল মিডিয়ায়। তারকা বিধায়কের গিটারের বোলে গান ধরেছেন বিক্ষোভ মঞ্চে উপস্থিত মহিলারা। আর সেই ভিডিওই বর্তমানে নেটপাড়ায় চর্চার শিরোনামে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সায়ন্তিকার হাতে গিটার। মঞ্চে গাওয়া হচ্ছে 'আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে' আর তার তালেই গিটার বাজাচ্ছেন অভিনেত্রী। তবে তাল মেলাতে গিয়ে এক্কেবারে বেতালা সায়ন্তিকা। গানের সুরে গিটারের কোনও মিলই নেই। স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই ভিডিও। আর সেই ভিডিওই শেয়ার করে এবার ব্যক্তিগত মতামত পেশ করলেন অভিনেতা জীতু কমল।
এ প্রসঙ্গে জীতু বলেন, ''এটা বড্ড দৃষ্টকটু। একসময়ে বাংলার রাজনীতির দিকে গোটা ভারতবর্ষ তাকিয়ে থাকত। স্বাধীনতা আন্দোলনেও বাংলার রাজনীতির ভূমিকা ছিল অগ্রণী। আজও ২০২৪ সালে বাংলার রাজনীতির ব্যক্তিদের নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু এগুলো কি...! পেছনে বসে থাকা মা-বোনেরাও কী মানতে পারছেন? যে বা যারা টিকিট দিলেন, একবারও ভাবলেন না! ওঁর স্বাদ, ওঁর শখ,ওঁর রাজনৈতিক জ্ঞান সম্বন্ধে? কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন বাংলার রাজনীতিকে! ট্রাজেডি না কমেডি, বিরহ না আনন্দ! অনুভূতিটা বুঝতেই পারছি না!"
তবে সায়ন্তিকাই (sayantika banerjee) প্রথম নয়, এর আগে আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদে নেমে ট্রোলিংয়ের মুখে পড়েছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। আর এবার সেই তালিকায় নাম জুড়ল অভিনেত্রী বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও।
Actor Rudranil Ghosh: ছন্দপতন! অভিনেতা নেতা রুদ্রনীল ঘোষ কি দল ছাড়ছেন?
নিউজ ডেস্ক: দোলের দিন ছন্দপতন। দলের দিন একসঙ্গে একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। সূত্রের খবর, সোমবার দুপুরে আচমকা ৬০ এর বেশি whatsApp গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যান বিজেপি নেতা- অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। আর এরপরেই রুদ্রনীল এর দল ছাড়ার জল্পনা তীব্র হয়। চর্চা শুরু হয় অভিনেতার লোকসভায় টিকিট পাওয়া নিয়ে।
লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের প্রায় সব আসনেই বিজেপি প্রার্থীদের নাম ঘোষণা হলেও রুদ্রনীল ঘোষের নাম কোথাও নেই। এখনও পর্যন্ত বাংলার ৩৮ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। যে ৪টি আসনে এখনও বিজেপির প্রার্থী ঘোষণা হতে বাকি আছে সেগুলি হল- ডায়মন্ড হারবার, আসানসোল, ঝাড়গ্রাম এবং বীরভূম। এর আগে কৃষ্ণনগর, বারাসাত, যাদবপুরের মতো লোকসভা আসনে প্রার্থী হিসেবে রুদ্রনীলের নাম উঠে এসেছিল। সূত্র থেকে জানা যায়, লোকসভায় টিকিট না পাওয়ায় তার গলায় একটু অন্য সুর শোনা গেছে।
তিনি বলেছেন যে, "আমি দলের জন্য দলের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করেছি । কঠিন আসন ভবানীপুরেও লড়েছি । আশা তো একটা ছিলই কি লোকসভায় টিকিট পাব । এমন আশা কেন থাকবে না বলুন তো । কিন্তু দল যা ভালো ভেবেছে, সেটাই করেছে। "তিনি আরো বলেছেন, "টিকিট পাব বলে আশা ছিল না, এটা বললে মিথ্যা বলা হবে। আমি তো সারাদিন কবিতা লিখিনা। মাঠে-ঘাটে গিয়ে দলের কাজ করি।"
যদিও কী কারণে তিনি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেছেন তার ব্যাখ্যা নিজেই দিয়েছেন বিজেপি নেতা। বিজেপি নেতা জানিয়েছেন, তাঁকে একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অ্যাড করা হয়েছিল। যে যেমন পেরেছিল তাঁকে অ্যাড করেছিল। তাতে প্রচুর ভিডিয়ো থাকায় দেখতে দেখতে এক সময় ফোন ভরে যাচ্ছিল। তাই দোলের দিন বাড়িতে থাকার সুযোগ তিনি অবাঞ্ছিত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেছেন। তবে এখনও তিনি দলের ১০ থেকে ১২ টি গুরুত্বপূর্ণ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে রয়েছেন বলেই জানিয়েছেন।