Saturday, September 21, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

uses

Kashmiri Pandit: ভূস্বর্গে আগুন, পুড়ে খাক পাঁচ কাশ্মিরী পণ্ডিতের বাড়ি

নিউজ ডেস্ক: তুষ্টিকরণের রাজনীতি করতে গিয়ে ভূস্বর্গে আগুন জ্বালানোর সুযোগ করে দিয়েছিল কংগ্রেস। যার জেরে ভিটেছাড়া হতে হয়েছিল কাশ্মীরি পণ্ডিতদের (Kashmiri Pandit)। তাঁদের ফেলে আসা (Jammu And Kashmir) জমি-জিরেত দখল করে নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসে কড়া হাতে জঙ্গি দমন করে উপত্যকায় অশান্তির আগুনে জল ঢালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার পর থেকে মোটামুটি শান্তই জম্মু-কাশ্মীর।

মঙ্গলবার গভীর রাতে ফের অশান্তির আগুনে পুড়ে খাক হয়ে গেল পাঁচ-পাঁচটি বাড়ি। সবগুলোই কাশ্মীরি পণ্ডিতদের। দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার মাত্তান এলাকার ঘটনা। মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। কাশ্মীরি পণ্ডিত সম্প্রদায়ের অভিযোগ, তাঁদের হুমকি দিতেই আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বাড়িগুলিতে। তাঁরা যাতে ভূস্বর্গে আর না ফেরেন, তাই নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। বাড়িতে আগুন লাগিয়ে হুমকি দেওয়া হল ভিটে ছেড়ে আসা পণ্ডিতদের।

আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসেন মাত্তানের এসএইচও। পুলিশ ও দমকলকে সঙ্গে নিয়েই আসেন তিনি। ঘণ্টা চারেকের চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আসে (Jammu And Kashmir)। এসএইচও-র আশ্বাস, তদন্ত করে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে। দমকলের আধিকারিক নাসির আহমেদ বলেন, “খবর পেয়েই আমরা ঘটনাস্থলে চলে আসি। দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিনের চেষ্টায় ঘণ্টা চারেকের মধ্যেই আগুন আয়ত্ত্বে আসে।” বুধবার গভীর রাতের এই আগুনের দিন দুয়েক আগে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল এই মাত্তান এলাকায়ই। সেদিন কাশ্মীরি হিন্দু পণ্ডিতদের তিনটি বাড়ি পুড়ে ছারখার হয়ে গিয়েছিল। সেই ঘটনার রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগে ফের অগ্নিকাণ্ড। এবং লক্ষ্যবস্তু পণ্ডিতদের বাড়িই।

কাশ্মীর সারদাপীঠ আস্থাপনের সভাপতি রবীন্দ্র পণ্ডিত জানান, এই বাড়িগুলির বাসিন্দারা সকলেই বাইরে থাকেন। তাঁরা কাশ্মীরি উদ্বাস্তু। বাড়িগুলিতে কেউ থাকেন না। তাই শর্ট সার্কিট কিংবা গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুন লাগার কোনও সম্ভাবনা নেই। স্পষ্টতই এটা নাশকতার ঘটনা। তিনি বলেন, “সংখ্যালঘু সম্পত্তি রক্ষার দায়িত্ব জেলার ডেপুটি কমিশনারের। তিনি উপযুক্ত পদক্ষেপ করছেন না। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের (Kashmiri Pandit) ফেলে যাওয়া সম্পদ রক্ষায় সরকার পদক্ষেপ করুক।” পুড়ে যাওয়া বাড়িগুলির মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিও জানান তিনি (Jammu And Kashmir)। অল টেম্পলস অ্যান্ড শ্রাইনস ইন সাউথ কাশ্মীরের প্রেসিডেন্ট অশোক কুমার বলেন, “আমরা এতে ভীত নয়, পরোয়াও করি না। ১৯৯০ সাল থেকে এই হুমকি আমরা পাচ্ছি। কিন্তু এটা আমাদের জন্মভূমি। আমরা আমাদের মন্দির ও বিল্ডিংগুলো সংস্কার করছি। ওদের কাজে আমরা পিছিয়ে আসব না। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সম্পত্তি এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে।”

Sweta Chakrabory | 14:01 PM, Thu Aug 01, 2024

How to use Meta AI: হোয়াটসঅ্যাপ খুললেই নীলচে-বেগনি গোলাকার চিহ্ন দেখতে পাচ্ছেন? কী এটা? জানুন


নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি হোয়াট্‌সঅ্যাপের চ্যাট বাক্সতে নতুন একটি গোলাকার চিহ্নের সংযোজন হয়েছে। নীলচে-বেগনি রঙের এই চিহ্নটির নাম ‘মেটা এআই’ (Meta AI on WhatsApp)। হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে ভারতীয় ইউজারদের জন্য ইতিমধ্যেই মেটা এআই লঞ্চ হয়েছে। হাতের মুঠোয় এই সুপারপাওয়ার এসে যাওয়ায় সুবিধা বহু ক্ষেত্রে, এমনই দাবি নির্মাতাদের। অর্থাৎ ‘চ্যাটজিপিটি’, ‘বিংএআই’ এবং ‘গুগ্‌ল বার্ড’-এর মতো মেটা সংস্থার ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, মেসেঞ্জার এবং হোয়াট্‌সঅ্যাপের হয়ে কাজ করবে মেটা এআই। অর্থাৎ স্মার্টফোন আরও ‘স্মার্ট’ হয়ে উঠবে।

বর্তমান প্রযুক্তির যুগে গোটা একটি মানুষের বিকল্প হয়ে উঠেছে ‘চ্যাটবট’ প্রযুক্তি। মনের মতো সঙ্গী বা সঙ্গিনীর অভাব পূরণেও এগিয়ে এসেছে ‘এআই’। নিজের পছন্দ-অপছন্দের তালিকা ‘চ্যাটবট’কে জানিয়ে দিলে প্রায় কুমোরটুলি থেকে অর্ডার দেওয়ার মতো পছন্দসই সঙ্গী বা সঙ্গিনী হাজির করবে। ‘এআই’ প্রযুক্তির সাহায্যে সে একেবারে রক্ত-মাংসের মানুষের মতোই কথা বলবে। কোনও অজানা বিষয় মাথায় এলে ‘গুগ্‌ল সার্চ’-এ গিয়ে খুঁজতে যতটা সময় ব্যয় হয়, তার চেয়ে অনেক কম সময়ে, নির্ভুল তথ্য ব্যবহারকারীর সামনে তুলে ধরবে এই ‘চ্যাটবট’। ‘এআই’ জেনারেটেড ছবি তৈরি করতেও সাহায্য করবে এই প্রযুক্তি। 

প্রথমত আপনার হোয়াটসঅ্যাপ আপডেট করা থাকলেই তবে এই সুবিধা পাবেন। এরপর আপনার অ্যান্ড্রয়েড বা আইওএস ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ বা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে পার্পেল-ব্লু রিং দেখা যাবে। এটি ক্যামেরা আইকনের একেবারে কাছেই থাকছে। এই আইকনে ক্লিক করেই মেটা এআইয়ের (Meta AI on WhatsApp) জগত খুলে যাবে আপনার সামনে। সেখানে যা প্রয়োজন সবই লিখে জিজ্ঞাসা করা যাবে। গ্রুপ চ্যাটেও মেটা এআই ব্যবহার করা সমান মজাদার। এছাড়াও ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান হলে, কোথায় যাবেন, কোথায় থাকবেন, কেমন খরচ হতে পারে কিংবা যেখানে ঘুরতে যাবেন, সেখানকার আবহাওয়া কেমন, সেই সম্পর্কিত নানা ধরনের তথ্য জানাবে মেটা এআই।

Sweta Chakrabory | 16:57 PM, Sun Jun 30, 2024

Old Houses Of Kolkata Are Collapsing: বাড়ি ভাঙে- মানুষ মরে,দায় চাপানোর খেলা চলে

নিউজ ডেস্ক: কলকাতা ঐতিহ্যের শহর। হাজার হাজার পুরনো বাড়ি এখনও দাঁড়িয়ে কলকাতার বুকে। তবে যত দিন যাচ্ছে সেই সব পুরনো বাড়ি হয়ে উঠছে বিপদজনক। অন্যদিকে বেয়াইনি ভাবে জলাশয় বুজিয়ে গজিয়ে ওঠা বহুতল গুলোও ঘুম উড়িয়েছে কলকাতাবাসীর। পর পর একই ঘটনা। বারবার সামনে আসছে বহুতল বিপর্যয়ের ঘটনা। কিন্তু তাও টনক নড়ছেনা প্রশাসনের। সরকারের চোখের সামনেই পর পর গজিয়ে উঠছে বেয়াইনি বহুতল। আর যার জন্য জীবন বলি দিচ্ছে সাধারন মানুষ।

রবিবার মধ্যরাতেই এমন ঘটনার সাক্ষী থাকল গার্ডেনরিচের ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী নির্মীয়মান বহুতল ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। আহত বহু। জানা গেছে জলাজমি বুঝিয়ে তৈরি হচ্ছিল বহুতল। মধ্যরাতে এক বিকট শব্দে কিছু বুঝে ওঠার আগেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ওই বহুতল। রাতে ঘুমের মধ্যেই ধ্বংসস্তুপে চাপা পড়েন অনেকে। বহুতলের আশপাশে ছিল প্রচুর ঝুপড়ি। নির্মীয়মাণ বহুতলটি ভেঙে পড়েছে সেই ঝুপড়িগুলির উপরেই।

গার্ডেনরিচে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই একতলা বা দোতলার অনুমতি নিয়ে আট থেকে ন’তলা বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে। সবটাই স্থানীয় পুরপ্রতিনিধিদের সামনে ঘটছে বলে অভিযোগ।এমন ঘটনা যদিও নতুন নয়। এর আগেও এই একই ঘটনার সাক্ষী থেকেছে দক্ষিণ কলকাতার দেশপ্রাণ শাসমল রোডের এলাকাবাসীরা। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আচমকাই এক যুবকের উপরে ভেঙে পড়ে ওই এলাকার পুরনো বাড়ির একাংশ। এরপরেই তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্যদিকে কয়েক ঘণ্টা টানা বৃষ্টি হলেই পুরনো বাড়ি ভেঙে পড়ার একাধিক ঘটনা ঘটছে শহরে। তাতে কখনও ভাঙা অংশের নীচে চাপা পড়ে বাড়ির বাসিন্দাদের মৃত্যু হচ্ছে, কখনও ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হচ্ছে। এমন পুরনো বাড়ির সামনে দিয়ে যাতায়াত করার সময়ে অনেকে আহত হচ্ছেন বা মারাও যাচ্ছেন। কিন্তু এতেও টনক নড়ছেনা সরকারের।

এছাড়াও আগের বছর জুন মাসে গিরিশ পার্কের বলরাম দে স্ট্রিটে পুরনো বাড়ির একাংশ ভেঙে বিপত্তি হয়। পুরনো বাড়ির বিপজ্জনক অংশ পুরসভার কর্মীরা ভাঙার সময় ওই বিপত্তি ঘটে। সেসময় পুরনো বাড়ির একাংশ ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাশের বাড়ির একাংশও। পাশাপাশি ২০২২ সালে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর 2 নং ব্লকের রানিচক গ্রাম পঞ্চায়েতের রানিচক দক্ষিণ পাড়ায় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে একটি নির্মীয়মাণ পাকা বাড়ি। ফলে এটা স্পষ্ট যে বারংবার একই ঘটনায় বলি হচ্ছে সাধারন মানুষ। কিন্তু সরকারের মুখে কুলূপ।

প্রসঙ্গত, রবিরারের ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ এবং আহতদের ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েই দায় সারছে সরকার। উপরুন্ত ক্ষমতায় আসার ১৩ বছর পরেও ঘটনার দায় বাম আমলের উপর চাপালেন মেয়র ও পুর-নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর দাবি, বাম জমানা থেকেই ওই এলাকায় বেআইনি নির্মাণের প্রবণতা তৈরি হয়েছে। তাই তৃণমূল সরকার ও তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার তরফে নানা পদক্ষেপ নেওয়া সত্ত্বেও বেআইনি নির্মাণ করা থামেনি। পাশাপাশি বাম আমলকে দুষেও, স্বীকার করলেন নজরদারির অভাব ছিল পুরসভার তরফেও। দায় চাপালেন পুরসভার আধিকারিকদের ঘাড়ে।

Sweta Chakrabory | 16:20 PM, Mon Mar 18, 2024
upload
upload