Friday, September 20, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

voter

Lok Sabha elections: সকাল সকাল ভোট দিলেই ফ্রিতে আইসক্রিম-জিলিপি, নয়া ভাবনা ইন্দোরে

 নিউজ ডেস্ক: ভোট চলাকালীন ভোটারদের বিশেষ ‘পুরস্কার’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর জেলা প্রশাসন। সকাল সকাল ভোট (Lok Sabha elections) দিলেই ভোটারদের জিলিপি,পোহা,আইসক্রিম দেওয়ার সিদ্ধান্ত ইন্দোরে (Indore), মঙ্গলবার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আশিস সিংয়ের সভাপতিত্বে দোকান মালিকদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দোকানের মালিকদের মতে, বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য ভোটারদের তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে অনুপ্রাণিত করা।

উল্লেখ্য আগামী ১৩ মে দ্বিতীয় দফায় মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে রয়েছে ভোট। তালিকায় রয়েছে ২৫.১৩ লক্ষ ভোটারের নাম। আর এই ভোটে যাতে সকলেই নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে আগ্রহী হয় তার জন্য এমন অভিনব চিন্তা ভাবনা করেছে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের। আসলে অনেকেরই এটা প্রথম ভোট, আবার কেউ কেউ আছেন বার্ধক্যের জন্য ভোট দিতে আসেন না। তাই সেই সমস্ত সাধারন ভোটারদের কথা মাথায় রেখেই এবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আশিস সিং।

এ প্রসঙ্গে আশিস সিং বলেন, "আমরা ভোটের দিক থেকে ইন্দোর লোকসভা কেন্দ্রকে দেশের এক নম্বর করতে চাই এবং এর জন্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।" শহরের বিখ্যাত ফুড হাব "৫৬ দুকান" এর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গুঞ্জন শর্মা জানিয়েছেন যে ভোটের দিন সকাল ৭ টা থেকে ৯ টার মধ্যে যারা ভোট দেবেন তাদের শহরের সবচেয়ে বিখ্যাত জায়গায় বিনামূল্যে পোহা এবং জিলিপি পরিবেশন করা হবে। সঙ্গে থাকবে ফ্রিতে আইসক্রিম। তবে বিনামূল্যে খাবার পেতে অবশ্যই ভোট দান করে আঙুলের কালির দাগ প্রমান হিসেবে দেখাতে হবে। তবেই মিলবে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা আইসক্রিম ও গরম জিলিপি। তাছাড়া সকাল ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে যে কোনও ভোটার ভোট দিলেই তাঁদের বিনামূল্যে দেওয়া হবে চাউমিন এবং মাঞ্চুরিয়ান।

কিন্তু এটাই প্রথম নয়। ইন্দোরের (Indore) বিখ্যাত ফুড হাব '৫৬ দুকান'-এর দোকানের মালিকরা গত বছরও এমন নিয়ম রেখেছিলেন। যারা সকাল সকাল প্রথম দিকে ভোট (Vote)দিতে এসেছিলেন সেই সব ভোটারদের পোহা এবং জিলিপি সহ বিনামূল্যে স্ন্যাকস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

ইন্দোরের পাশাপাশি ভোটারদের অনুপ্রাণিত করতে বিশেষ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দিল্লিতেও। জানা গেছে দিল্লি (Delhi) মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশন ভোটের দিনে বিভিন্ন রেস্তোরাঁ এবং বাজারে বিভিন্ন জিনিসের ওপর ১০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের অনুমান এই সিদ্ধান্তে হয়তো কিছুটা হলেও ভোটাররা অনুপ্রাণিত হয়ে ভোটাধিকার গ্রহণ করবেন।

Sweta Chakrabory | 11:45 AM, Wed Apr 24, 2024

Narendra Modi: মোদির ছুটি নিইয়ে কৌতুহল! জবাব দিল পিএমও

 নিউজ ডেস্ক: জানেন কি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi) বিগত ১০ বছরে কদিন ছুটিতে (Leave) ছিলেন। উত্তর জানলে চমকে যাবেন আপনিও। ইতিমধ্যেই ১০ বছরের কার্যকাল সম্পূর্ণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১০ বছরে ছিল শতাধিক সরকারি ছুটি ছিল। এর মধ্যে কতদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছুটি নিয়েছেন।

সরকারি ছুটি ছাড়াও অন্যান্য দিন কদিন ছুটিতে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি? জানার জন্য বারানসের (Varanasi) বাসিন্দা এবং দৃষ্টি আইএএস কোচিং সংস্থার প্রফেসার শেখর খন্না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দপ্তর পিএমওকে একটি আরটিআই করেছিলেন। জানতে চেয়েছিলেন বিগত ১০ বছরে কতদিন ছুটি নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। আরটিআই-এর উত্তর ১৫ এপ্রিল শেখর খান্নার কাছে আছে। উত্তর দেখে চমকে যান শেখর বাবু।

২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হন নরেন্দ্র মোদি। তারপর থেকে একদিনও ছুটি নেননি তিনি। এমনই জবাব এসেছে প্রতিউত্তরে। কয়েকবছর আগে একটি ইন্টারভিউ চলাকালীন অভিনেতা অক্ষয় কুমার প্রধানমন্ত্রীকে তার কাজের সময় সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। তখন নরেন্দ্র মোদির উত্তর দিয়েছিলেন তিনি তিন থেকে চার ঘন্টা ঘুমোন। বাকি ১৮ ঘন্টা কাজ করেন। এক মাসের মধ্যেই শেখার খান্নার কাছে চলে আসে আরটিআই-এর জবাব। শেখার খন্না জানিয়েছেন ১৬ই মার্চ ২০২৪ শুধুমাত্র জিজ্ঞাসাবশত তিনি প্রধানমন্ত্রীর ছুটি সম্পর্কে তারই কার্যালয়ে (PMO) এই সম্পর্ক জানতে চেয়েছিলেন।

এক মাসের মধ্যেই কার্যালয়ের সচিব প্রবেশ কুমারের তরফে তাকে উত্তর সম্বলিত চিঠি পাঠানো হয়। দশ বছরে অর্থাৎ ৩৬৫০দিনে ৬৫ হাজার ৭০০ ঘন্টা দেশের জন্য সমর্পণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। অর্থাৎ তিনি ১৮ ঘন্টা দেশের জন্য কাজ করেন।”

Sweta Chakrabory | 16:58 PM, Thu Apr 18, 2024

Largest Indian Family: ১২০০ সদস্য ৩৫০ ভোটার হলেও সরকারী সুবিধে থেকে বঞ্চিত সর্ববৃহৎ পরিবার

নিউজ ডেস্ক: এক পরিবারে ১২০০ সদস্য। সেই বাড়িতে সাড়ে ৩৫০ জন ভোটার। বর্তমান যুগের ছোট্ট পরিবারের সংজ্ঞা উলটাপালট করে দিচ্ছে এই পরিবার। এই যুগে এমনটা ভাবাই যায় না। একান্নবর্তী পরিবারও হাজারের বেশি সদস্য অতীত সময়ের জন্য ছিল এক আশ্চর্য ঘটনা। এমনই ঘটনা ঘটিয়েছেন অসমের (Assam) সোনিতপুর (Sonitpur) লোকসভা কেন্দ্রের ফুলগুড়ি নেপালি পাম এলাকার বাসিন্দা রন বাহাদুর থাপা।

কয়েক পুরুষ যাবত এই এলাকাতেই তাঁদের বাস। দেশের সবচেয়ে বেশি ভোটার থাকার রেকর্ডধারী এই পরিবার। জানা গেছে রন বাহাদুর থাপা ইতিমধ্যে এই প্রয়াত হয়েছেন। রেখে গেছেন ১২টি ছেলে এবং ৯টি মেয়ে। শুধু তাই নয় তার স্ত্রী সংখ্যাও পাঁচ জন। চলতি মাসের ১৯ তারিখ অসমের সোনিতপুর লোকসভা ভোটের (LOksabha Seat) প্রথম দফার নির্বাচন হবে। এদিনই নিজেদের ভোট দেবেন থাপা পরিবারের সাড়ে ৩৫০ জন সদস্য। রন বাহাদুরের ১৫০ জনের বেশি নাতি নাতনি। প্রয়াত রন বাহাদুর থাপার ছেলে তিল বাহাদুর ছাপা জানিয়েছেন তার বাবা ১৯৬৪ সালে এখানে বাড়ি তৈরি করেছিলেন। বাবার পাঁচ স্ত্রী ছিলেন এবং তারা ১২ ভাই এবং ৯ জন বোন। সবমিলিয়ে ৬৫ জন নাতি নাতনি ছিল। সংখ্যা তত্ত্বের বিচারে রেকর্ড গড়া এই পরিবার আজও রাজ্য কিংবা কেন্দ্র সরকারের কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির সুবিধা থেকে বঞ্চিত। সেই কারণে বলে আফসোস করেন এই পরিবারের সদস্যরা।

যেহেতু রন একাধিক বিবাহ করেছিলেন তাই এই পরিবারের সদস্যরা সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তিল বাহাদুর জানিয়েছেন পরিবারের ছেলে মেয়েরা উচ্চশিক্ষা পেলেও সরকারি চাকরি পাননি। তিনি বলেন, “আমাদের পরিবারের অনেক সদস্য রাজ্য ছেড়ে বাইরে চলে গেছেন। কিছু সদস্য বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru) চলে গেছেন। সেখানে প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করছেন কেউ কেউ। আবার দিনমজুরের কাজ করছেন অনেকে। কিন্তু সরকারি চাকরি কেউই করতে পারেনি।” জানা গেছে এই পরিবারের আদিপুরুষ রন বাহাদুর থাপা ১৯৯৭ সালে একটি বিশাল পরিবার রেখে মারা যান। তার ছেলেরাও বাবার পথের পথিক হয়েছেন। এখন ৬৪ বছর বয়সী সারকি বাহাদুর থাপার ৩ স্ত্রী ও ১২ জন সন্তান রয়েছেন।

তবে এই পরিবারের কেউই বিয়ে করার ব্যাপারে রনের রেকর্ড ভাঙতে পারেনি। মোট ৯ টি বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে গঠিত সোনিতপুর লোকসভা কেন্দ্রে। ১৬ লক্ষ ২৫ হাজারের বেশি ভোটার রয়েছে এই কেন্দ্রে। রয়েছে ১৬.২৫ লাখেরও বেশি ভোটার। অসমের মাত্র ১৪ টি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে। মোট তিন দফায় ভোতগ্রহণ হবে। ১৯ এপ্রিল, ২৬ এপ্রিল এবং ৭ মে হবে নির্বাচন। অসমে করিমগঞ্জ, কোকরাঝাড়, কালিয়াবোর, লখিমপুর, ডিব্রুগড়, বারপেটা, শিলচর, গুয়াহাটি, জোড়হাট সহ মোট ১৪ টি লোকসভা কেন্দ্র নিয়ে গঠিত। ১৪ টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১১ টি আসন অসংরক্ষিত, দুটি তফসিলি উপজাতি প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত এবং একটি তফসিলি জাতির প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।

Sweta Chakrabory | 16:02 PM, Thu Apr 18, 2024

Lok Sabha Elections 2024: এবছর কি আপনার প্রথম ভোট? তাহলে জেনে নিন ভোটকেন্দ্রে কী কী করনীয় ?

নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার শুরু হচ্ছে লোকসভা নির্বাচনের(Lok Sabha Elections 2024) ভোট গ্রহণ পর্ব। এবার লোকসভার ৫৪৪টি আসনে এ ভোট নেওয়া হবে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসন রয়েছে। এবার নির্বাচন হচ্ছে সাত দফায়। বাংলায় সাত দফার ভোটের মধ্যে প্রথম দফার ভোট হবে ১৯ এপ্রিল। দ্বিতীয় দফা ২৬ এপ্রিল। তৃতীয় দফার ভোট ৭ মে। ১৩ মে চতুর্থ দফার ভোট। পঞ্চম দফা ২০ মে। ষষ্ঠ দফা ২৫ মে। ১ জুন সপ্তম তথা শেষ দফার ভোট হবে বাংলায়। বাংলার মতোই সাত দফার ভোট হচ্ছে বিহার ও উত্তর প্রদেশে। ভোট গণনা ৪ জুন।

গোটা দেশের ২৮টি রাজ্য ও ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে শুক্রবার নির্বাচন হচ্ছে ১৭টি রাজ্য ও ৪টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১০২টি আসনে। একই সঙ্গে আগামীকাল নির্বাচন আছে অরুণাচল প্রদেশের বিধানসভার ৬০টি এবং সিকিমের ৩২টি আসনে।

 প্রতি বছরই নতুন ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এবারেও নতুন ভোটার(first-time voters) সংখ্যা নেহাত কম নয়। তাই নতুন ভোটারদের সুবিধার্থে এবার ভোট দিতে গেলে কী কী নথি লাগবে তার তালিকা প্রকাশ করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন (Election Commission), পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, কেন্দ্র–রাজ্য–সরকার অধিগৃহীত সংস্থার সচিত্র পরিচয়পত্র, সাংসদ–বিধায়কদের দেওয়া সরকারি পরিচয়পত্র, সচিত্র ব্যাঙ্ক কিংবা পোস্ট অফিসের পাসবুক, প্যান কার্ড, রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার স্মার্ট কার্ড, একশো দিনের কাজের জব কার্ড, শ্রম মন্ত্রকের কোনও প্রকল্পের স্বাস্থ্য বিমার কার্ড , বিশেষভাবে সক্ষমদের ইউনিক কার্ড, সচিত্র পেনশন নথি, আধার কার্ড ও ভোটারদের সচিত্র পরিচয়পত্র-জানানো হয়েছে এই নথির যে কোনও একটি থাকলে আপনি ভোট দিতে পারবেন।

 প্রথমেই ভোটারকে তার কাছাকাছি ভোট কেন্দ্রে যেতে হবে। ভোট কেন্দ্র যাওয়ার পর ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা পোলিং অফিসারের কাছে নিজের নাম ভোটার(voter) লিস্টের সঙ্গে মেলাতে হবে। এরপর তথ্য যাচাই হয়ে গেলে হাতের আঙুলে কালি দেওয়া হবে এবং একটি স্লিপ দেওয়া হবে। এরপর রেজিস্টারে সই করে সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত পোলিং অফিসারের কাছে স্লিপটি জমা দিয়ে ভোটিং বুথের কাছে যেতে হবে। বুথের ভিতরে, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (EVM) এ গিয়ে পছন্দের প্রার্থীর নির্বাচনী প্রতীকের সাথে থাকা সংশ্লিষ্ট বোতাম টিপে ভোটদান প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। তবে যদি প্রার্থীদের মধ্যে কাউকে আপনি ভোট দিতে না চান তাহলে ইভিএমের নীচে নোটা (NOTA-None Of The Above) নির্বাচন করার বিকল্প রয়েছে।

 উল্লেখ্য, ভোট কেন্দ্রের মধ্যে মোবাইল এবং ক্যামেরার মতো ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ। তাই ভোট কেন্দ্রে ঢোকার আগে সঙ্গে ফোন থাকলে তা অবশ্যই দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের কাছে জমা দিয়ে ভেতরে ঢুকতে হবে।

Sweta Chakrabory | 13:07 PM, Thu Apr 18, 2024

North Dinajpur: ভোটের মুখে ভোটারদের হুমকি তৃণমূল বিধায়কের

নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা নির্বাচন(lok sabha vote 2024), আর সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই চলছে শাসক-বিরোধী দলের লড়াই। ভোটের মুখে এবার তৃণমূল কংগ্রেস(TMC) বিরোধী ভোটারদের প্রকাশ্যে দেখে নেবার হুমকি দিলেন উত্তর দিনাজপুরের(north Dinajpur) চোপড়ার(chopra) বিধায়ক হামিদুল রহমান। তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট না দিলে ২৬শে এপ্রিল কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে যাবার পর চোপড়ার বাহিনীরাই থাকবে, তখন বিরোধী ভোটারদের(voter) কিছু হলে তার সমাধান তিনি করবেন না বলে প্রকাশ্যে জানালেন হামিদুল রহমান।

বুধবার দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী(TMC candidate) গোপাল লামার সমর্থনে চোপড়া ব্লকের মাঝিয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের চুয়াগাড়ি চৌরঙ্গী মোড়ে নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে চোপড়ার বিধায়ক বিরোধী দলের ভোটারদের এমনই হুমকি দিলেন। বিধায়কের এই হুমকির পরেই তা ঘিরে জোর বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হামিদুল রহমানকে হুমকি-টুমকি না দেবার জন্য সতর্ক করেছে চোপড়ার বিজেপি(BJP) নেতা বরুন সিংহ।

উল্লেখ্য, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের মধ্যে সবচাইতে উত্তেজনাপ্রবন এলাকা ছিল চোপড়া। বিরোধী সিপিএম(CPIM), কংগ্রেস(congress) মিছিল করে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাবার সময় মিছিলের উপর গুলি, বোম ছোড়া হয়েছিল। গুলি বিদ্ধ হয়ে এক সিপিএম কর্মীর মৃত্যু হয়েছিল। গুলি এবং বোমার আঘাতে বেশ কয়েকজন গুরুতরভাবে আহত হয়েছিলেন। এই ঘটনার পর রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠেছিল। বিরোধীদের উপর তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) এই হামলার পর বিরোধীরা কেউ মনোনয়নপত্র দাখিল করতেই পারেন নি। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের আসনগুলি জয় লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। আর এবারও সেই একই পথে হাঁটছে রাজ্যের শাসক দল। লোকসভা নির্বাচনেও চোপড়া(chopra) বিধানসভা এলাকায় বিরোধীরা কেউ যাতে অন্য দলে ভোট না দেন সেবিষয়ে নির্বাচনের আগেই সতর্ক করলেন চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান। বুধবার চোপড়ার বিধায়ক বলেন, যে বিরোধী ভোটার(voter) তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেবেন না ২৬ এপ্রিল ভোটের পর কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে যাবে। থাকবে এলাকার বাহিনী। তারা কিছু করলে তিনি তার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেবেন না।

একই সঙ্গে বিধায়ক আরো জানিয়েছেন চোপড়ার প্রতিটি পঞ্চায়েত বিরোধী শূন্য। চোপড়া বিধানসভা এলাকায় প্রতিটি বুথে ৯০ শতাংশ ভোট তৃণমূল কংগ্রেস না পেলে তিনি দলের পঞ্চায়েত সদস্যদের বসিয়ে দিয়ে দলের নেতাদের দিয়ে এলাকার উন্নয়ন করাবেন। পঞ্চায়েত সদস্যদের বুথে লিড দিলেই হবে না বুথে ৯০ শতাংশ ভোট দলের প্রার্থী গোপাল লামাকে পেতেই হবে। যদি এই কাজ না হয় তবে তিনি এই পদক্ষেপ গ্রহন করবেন বলে প্রকাশ্যে মঞ্চ থেকে ঘোষনা করেছেন। আর বিধায়কের(MLA) এই হুমকির পর চোপড়া এলাকায় ভোটারদের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরী হয়েছে।

তবে এ প্রসঙ্গে চুপ থাকেননি চোপড়ার বিজেপি নেতা বরুন সিংহও। লোকসভা নির্বাচনের আগে বিধায়ক হামিদুল রহমানকে অত হুমকি টুমকি না দেবার জন্য সতর্ক করেছেন চোপড়ার বিজেপি নেতা বরুন সিংহ। বরুনবাবু জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং লোকসভা নির্বাচন(lok sabha vote 2024) দুটি আলাদা নির্বাচন। নির্বাচনে জোরজার খাটাতে গেলে তার পরিনাম ভাল হবে না।

Sweta Chakrabory | 13:11 PM, Fri Apr 12, 2024

Oldest Voter: ১৮ তম লোকসভা নির্বাচনে বাংলার প্রবীণতম ভোটার কে জানেন?

নিউজ ডেস্ক: বিরল ইতিহাস গড়ল সুন্দরবন(sundarban), বয়স ১১৪ বছর। আগামী ১ জুন ১৮ তম লোকসভা নির্বাচনে(Loksabha Election 2024) নিজের ভোটাধিকার নিজেই প্রয়োগ করবেন ১১৪ বছরের প্রবীণ বৃদ্ধা হাজারী সরদার। জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের বয়স্কতম ভোটার(Oldest Voter ) হাজারী দেবী। ১১৪ বছরের বৃদ্ধা ভোটার হাজারী সরদারকে বাড়িতে গিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন খোদ বিডিও।

১১৪ বছর বয়স্কা বৃদ্ধা হাজারী দেবীর কথা জানতে পেরেই তাঁর বিধানপল্লির বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন বাসন্তীর বিডিও(BDO) সঞ্জীব সরকার। তিনি বৃদ্ধাকে পুষ্পস্তবক দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। দীর্ঘায়ু কামনা করেন।

বয়স শুনে বোঝাই যাচ্ছে হাজারী দেবী পুরনো আমলের লোক। দেশকে স্বাধীন হতে দেখেছেন তিনি। তার আগে দেখেছেন ইংরেজদের রাজত্বও। জানা গেছে হাজারী দেবীর জীবন দশায় তিনি মোট ১০ বার পঞ্চায়েত নির্বাচন, ১৭ বার বিধানসভা নির্বাচন এবং ১৭ বার লোকসভা নির্বাচনে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এবার ১ জুন ১৮ তম লোকসভা নির্বাচনেও নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন হাজারী দেবী।

বাসন্তী ব্লকের ঝড়খালি কোস্টাল থানার বিধানপল্লীর বাসিন্দা শতায়ু এই বৃদ্ধার জন্ম ১৯১০ সালে পরাধীন ভারতে। বর্তমান তাঁর বয়স ১১৪ বছর। স্বামী বল্লভ সরদার অনেক আগেই প্রয়াত হয়েছেন। বৃদ্ধার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

বাসন্তী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রিয়াঙ্কা মণ্ডল জানিয়েছেন, "হাজারিদেবী ইংরেজ শাসন দেখেছেন। দেশকে স্বাধীন হতে দেখেছেন। তিনি সমস্ত নির্বাচনে তাঁর ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। যা এক বিরল ঘটনা।"

বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল বলেন, "আমার বিধানসভা এলাকায় ১১৪ বছর বয়স্কা এক বৃদ্ধা ভোটার(Oldest Voter ) রয়েছেন। এটা আমার গর্ব। এবার ১৮ তম লোকসভা নির্বাচনেও তিনি তাঁর ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চলেছেন।"

উল্লেখ্য গোসাবা, বাসন্তী, কুলতলি, ক্যানিং পূর্ব, ক্যানিং পশ্চিম, জয়নগর ও মগরাহাট পূর্ব বিধানসভা নিয়ে জয়নগর লোকসভা কেন্দ্র। এই কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ১৫ লক্ষ। এর মধ্যে বাসন্তী বিধানসভা এলাকায় মোট ভোটার সংখ্যা তিন লক্ষের বেশি। তার মধ্যেই জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের বয়স্কতম ভোটার (voter)হাজারী সর্দার।

অন্যদিকে দক্ষিনবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গতেও খোঁজ মিলল প্রবীণতম আরেক বৃদ্ধার। সম্প্রতি কোচবিহার জেলার ভোটার তালিকার প্রবীণতম মানুষগুলির নাম ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। এই তালিকার মধ্যে থাকা প্রথম নামটি হল কুমুদিনী বর্মনের। তাঁর বয়স ১১৪ বছর। শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রের খলিসামারি অঞ্চলের জটামারি গ্রামের বাসিন্দা এই মহিলা। এই বয়সে এসেও তিনি রীতিমত হেঁটে চলে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আর চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনে তিনি বুথকেন্দ্রে গিয়ে ভোটও দেবেন।

কিন্তু স্বাধীনতার আগের মানুষ হওয়ায় জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের বয়স্কতম ভোটার(Oldest Voter ) হাজারী দেবী ও কোচবিহার ভোটার কুমুদিনী বর্মনের মধ্যে কে প্রবীণতম তা স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি।

Sweta Chakrabory | 12:01 PM, Tue Apr 09, 2024

Lok Sabha Election 2024: আজ থেকেই বাড়িতে বসে ভোট দিতে পারবেন প্রবীণ ও দৃষ্টিহীনরা, জানাল কমিশন

নিউজ ডেস্ক: দেশের প্রথম দফায় ভোট ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হলেও শুক্রবার থেকে এই রাজ্যে শুরু হয়ে যাচ্ছে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। ৫ এপ্রিল অর্থাৎ শুক্রবারই বাড়িতে বসে ভোট দিতে পারবেন ৮৫ বছরের বেশি বয়সি নাগরিকরা এবং দৃষ্টিহীন ব্যক্তিরা। এই ভোট গ্রহণ চলবে আজ ৫ এপ্রিল শুক্রবার থেকে আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত।

রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ৮৫ বছরের বেশি বয়সি ভোটারের সংখ্যা এ রাজ্যে রয়েছে ৪ লাখ ৭৮ হাজার ৭১৯ জন। তাদের মধ্যে ১০১ বছরের বেশি ভোটারের সংখ্যা রাজ্যে ৩,৫৪১ জন। কমিশন(Election Commission) আরও জানিয়েছে, রাজ্যে ১০১ বছর বয়সি ভোটারদের সংখ্যা সব থেকে বেশি রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে। সেই সংখ্যা হল ৩০৯। অন্যদিকে ১০১ বছর বয়সি ভোটারের সংখ্যা সব থেকে কম রয়েছে কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রে। সেখানে এই সংখ্যা মাত্র ১১। কমিশন (Election Commission) সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বয়স্ক ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গে ৭২,৩০৯ জন দৃষ্টিহীন ভোটার রয়েছেন। এই সমস্ত ভোটাররাও চাইলে বাড়িতে বসে ভোট দিতে পারবেন।

জানা গিয়েছে, যাঁরা বাড়িতে বসে ভোট দিতে চান তাঁদের আবেদন যদি মঞ্জুর হয় সেক্ষেত্রে দুজন নির্বাচনী আধিকারিক, একজন ভিডিওগ্রাফার এবং নিরাপত্তা রক্ষীর দল পৌঁছে যাবে তাঁর বাড়িতে। বাড়িতে পোস্টাল ব্যালটে এই ভোট দান করবেন প্রবীণ ব্যক্তিরা। যাঁরা বাড়িতে বসে ভোট দেবেন, সেই তালিকা দেওয়া হবে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রার্থীদের হাতেও। অর্থাৎ বাড়িতে বসে ভোট হলেও তা কমিশনের কড়া নজরদারিতে হবে। বোঝাই যাচ্ছে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করতে কমিশন কতটা সক্রিয়।

আসন্ন লোকসভা নির্বাচন থেকেই দেশে চালু হচ্ছে বাড়ি বসে ভোটদান বা হোম ভোটিং প্রসেস। প্রথম দফার ভোটগ্রহণ আগামী ১৯ এপ্রিল। তার জন্যই শুক্রবার থেকেই শুরু হচ্ছে বাড়ি বসে ভোটদান প্রক্রিয়া।

Sweta Chakrabory | 12:57 PM, Fri Apr 05, 2024

Election Commission on Jalpaiguri: লাগবেনা ভোটার কার্ড! ভোটার স্লিপ থাকলেই ভোট দেওয়া যাবে

নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গে ঝড়ে বিপর্যস্তদের জন্য নির্বাচনে নয়া সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম দফা নির্বাচন রয়েছে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে। তাই বিধ্বংসী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বাসিন্দাদের জন্য ভোটার কার্ড ছাড়াই ভোট (Lok Sabha Election 2024) দেওয়ার ব্যবস্থা করল কমিশন।

উত্তরবঙ্গের কালবৈশাখী-বিধ্বস্ত জেলাগুলির সামগ্রিক অবস্থা পর্যালোচনা করে সোমবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কার্যালয়ের পক্ষ থেকে দুর্যোগ কবলিত এলাকার ভোটারদের আশ্বস্ত করে এ কথা জানানো হয়েছে। অর্থাৎ নির্বাচনের দিন ভোটের লাইনে শুধু ভোটার স্লিপ নিয়ে দাঁড়ালেই ভোট দিতে পারবেন ঝড়ে বিধ্বস্ত জলপাইগুড়ির বাসিন্দারা।

উল্লেখ্য সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে কয়েক মিনিটের 'মিনি টর্নেডো-তে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রচুর কাঁচা বাড়ি ভেঙে ঘরছাড়া হয়েছে অনেক পরিবার। প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া ঘরগুলিতে থাকা বিভিন্ন দরকারি কাগজপত্রও খুঁজে পাচ্ছেন না বেশিরভাগ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে কোন পরিচয়পত্র নিয়ে লোকসভা ভোট দেবেন তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন অনেকে। তাঁদের সেই চিন্তার অবসান ঘটাল ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India).

এপ্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের একজন আধিকারিক সাংবাদিকদের জানান, এটা একটি বিপর্যয় এবং এর ফলে জরুরি অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। প্রচুর মানুষের ঘরবাড়ি যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তেমনি তাঁরা প্রায় সবকিছুই হারিয়ে ফেলেছেন। এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যাঁদের ভোটার আইডেন্টিটি কার্ড (voter cards)হয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অথবা হারিয়ে গেছে। আমরা তাঁদের আশ্বস্ত করতে চাই যে এর জন্য চিন্তা করার কোনও কারণ নেই। তাঁরা শুধুমাত্র ভোটার স্লিপ (voters' slip) দেখিয়েই ভোটদান করে নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।

Sweta Chakrabory | 13:50 PM, Wed Apr 03, 2024
upload
upload