Friday, September 20, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

water crisis

Kolkata Water Problem: গরম পড়তেই জল সঙ্কটে ভুগছে শহর

নিউজ ডেস্ক: বৈশাখ পড়তে না পড়তেই বাড়ছে জলের চাহিদা। আর গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণ কলকাতা জল সঙ্কটে পড়েছে। টালিগঞ্জ-গড়িয়া বেল্টের বাসিন্দারা পানীয় জলের অভাবের মুখোমুখি। আপাতত, কলকাতা মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশন ( KMC) জল সরবরাহ বিভাগের জলের ট্যাঙ্কারগুলির মাধ্যমে জলের ঘাটতি মেটাচ্ছে।

যে সমস্ত অঞ্চলগুলি জলের ঘাটতিতে ভুগছে তার মধ্যে রয়েছে রামগড়, বিদ্যাসাগর পল্লী, নাকতলা, অরবিন্দনগর এবং পাটুলি, যার সবকটিই টালিগঞ্জ-যাদবপুর বেল্টের অংশ। এছাড়াও বেহালার কিছু অংশ যেমন পর্ণশ্রী, শকুন্তলা পার্ক, সরসুনা এবং রায়বাহাদুর রোডসহ বিভিন্ন এলাকা ভূগর্ভস্থ জলের উপর অত্যাধিক নির্ভরশীল। তাই ক্রমশ ভূগর্ভস্থ জলের পরিমাণ কমে আসায় জল সংকটে ভুগছে কলকাতাবাসী।

উল্লেখ্য শোভন চট্টোপাধ্যায়কে অপসারিত করে ফিরহাদ হাকিমকে যখন প্রথমবারের জন্য মেয়রের পদে বসালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তখন তিনি বলেছিলেন, “বেহালা, টালিগঞ্জ এবং যাদবপুর এলাকায় জল সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নতি করতে পারেননি শোভন। ফিরহাদ যেন এই বিষয়টিতে গুরুত্ব দেয় এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিটি এলাকার কোণে কোণে জল পৌঁছে দেয়।”

তারপর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েক বছর। কলকাতা পুরনিগম সূত্রে খবর,পুরনিগমের জল সরবরাহ বিভাগের তরফে, জল সরবরাহের নেটওয়ার্কহীন এলাকাগুলোর জন্য যে লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল দেখা গেছে তার মাত্র ৫০ শতাংশ এলাকাতে পাইপ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। বাকি ৫০ শতাংশ এলাকায় এখনও কাজ বাকি রয়ে গিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে পাটুলির বাসিন্দা বিভাস চ্যাটার্জী বলেন, তার পরিবার বাজার থেকে পানীয় জল কিনতে বাধ্য হয়েছিল। “আমরা গত তিন দিন ধরে পানির সংকট অনুভব করছি। আমি আশঙ্কা করছি যে আগামী মাসগুলিতে সংকট(water crisis) আরও গভীর হবে।”

Sweta Chakrabory | 11:14 AM, Mon Apr 15, 2024

Drinking Water Crisis: নিয়তি অবশেষে ট্রিগার টানলো! এবার থেকে কিনে খেতে হবে পানীয় জল?

নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকার রাজধানী শহর কেপটাউনকে বিশ্বের প্রথম জলহীন শহর হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। কারন কেপটাউন এর সরকার ১৪ এপ্রিল, ২০২৪ এর পরে জল সরবরাহ করতে অপারগতা প্রকাশ করে। এরপরেই সেখানে সরকারী সরবরাহে জলে স্নান করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

পাশাপাশি যারা জল অপচয় করেন, এরকম দশ লক্ষ মানুষের জল-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার প্রস্তুতি চলছে। ঠিক করা হয়েছে ভারতে যেভাবে পেট্রোল পাম্পে গিয়ে পেট্রোল কেনা হয়, একইভাবে কেপটাউনে জলের ট্যাঙ্কার থাকবে যেখানে ২৫ লিটার জল পাওয়া যাবে, বেশি জল চাইলে বা জল লুটপাটকারীদের মোকাবেলা করার জন্য পুলিশ ও সেনা সদস্যদের মোতায়েন করা হবে।

তবে বিশ্বে এই দুঃখজনক পরিস্থিতির সম্মুখীন যে কাউকেই করতে হতে পারে, তাই অল্প পরিমাণে জল ব্যবহার করে, এখন থেকেই জলের অপচয় বন্ধ করা উচিত। একসময় রেলপথে লাতুরেতে (মহারাষ্ট্র) জল পাঠানো হত। পৃথিবীর মাত্র ২.৭% জল পানযোগ্য। আশেপাশের সব বাঁধের জলের স্তর কমে যাওয়ায় ভূগর্ভস্থ জলের স্তর গভীর হয়েছে। তাই একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে আমরা জলের অপচয় বন্ধ করে জল সংরক্ষণ করা উচিৎ।

আমারা চাইলে খুব সহজেই এটি একটি তালিকার মাধ্যমে মেনে চলতে পারি, যেমন :-

● প্রতিদিন গাড়ি/বাইক ধোবেন না।

● উঠান/সিঁড়ি/মেঝে ধোয়া এড়িয়ে চলুন বা ধোয়ার সময় কম জল ব্যবহার করুন।

●একটানা ট্যাপ চালু রাখবেন না |

● অন্যান্য অনেক ভাল ব্যবস্থা করে জল সংরক্ষণ করুন |

● ঘরে ফুটো ট্যাপ ঠিক করুন।

● গাছের টবে ন্যূনতম জল দিন।

●রাস্তায় জল ছিটাবেন না।

কারন জলই জীবন। বর্তমানে বিশ্বে দ্রুত গতিতে দূষণ ছড়াচ্ছে। ব্যাপক হারে গাছ কাটার ফলে, নদনদী জলাধার সব শুকিয়ে মরুভূমির বালিয়াড়ি তে পরিণত হচ্ছে। মাটির তলে জল স্তর বহু নিচে চলে গেছে। তাই এখন থেকে হ্রাস না ধরলে নিজেরা না শুধরলে ভবিষ্যতে পানীয় জলের ঘাটতিতে ভুগবে সকলেই।

Sweta Chakrabory | 22:10 PM, Fri Apr 05, 2024

Water Crisis In Kolkata: ক্রমশ তলানিতে ঠেকছে পানীয় জলস্তর! জল সঙ্কটে ভুগছে রাজ্য

নিউজ ডেস্ক: জল সঙ্কটে ভুগছে রাজ্য। কলকাতা সহ আসে পাশের একাধিক জেলায় গরম আসার আগেই জল সঙ্কটে ভুগছে এলাকাবাসী। শহরে পরিস্রুত পানীয় জলের চাহিদা মেটাতে তৈরি হয়েছে একের পর এক বুস্টার পাম্পিং স্টেশন। কিন্তু অভিযোগ একটাই, বুস্টার পাম্পিং স্টেশন তৈরির পরেও শহরে পানীয় জলের চাহিদা মিটছে না। গরম পড়তে শুরু করতে না করতেই শহরের সংযুক্ত এলাকায় জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে।

গরম কাল এলেই কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় মাথাচাড়া দেয় পানীয় জলের সমস্যা। কোথাও সরু হয়ে জল পড়ে। কোথাও আবার জল বিশেষ পড়ে না। এমনকী টাইম কলের সময়সীমাও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। দিনের পর দিন ধরে এই সমস্যা চলতে থাকছে। কলকাতার সল্টলেক সহ বেশ কিছু এলাকায় জলের চাহিদা পূরণ হয়না, এমনকি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার কিছু অংশেও পানীয় জলের সঙ্কটে ভুগছে মানুষ।

অন্যদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর থানার অন্তর্গত ধোসা চন্দনেশ্বর অঞ্চলের তিলপি, শ্যামনগর, গোবিন্দপুর, চন্দনেশ্বর সহ একাধিক গ্রামে গরম পড়তে না পড়তেই দেখা দিয়েছে তীব্র জলের সঙ্কট। গত কয়েক দিন ধরে নলকূপ থেকে জল পড়া পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। নলকূপের জল না পেয়ে বাধ্য হয়ে পুকুরের জলে রান্না করছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার এইসব গ্রামের বাসিন্দারা। এদিকে পুকুরের জলও শুকোতে শুরু করেছে। ফলে সবমিলিয়ে চরম সমস্যায় পড়েছেন সুন্দরবনের নদী সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে শহরে ৭২টি বুস্টার পাম্পিং স্টেশন রয়েছে। আরও ১৫টি বুস্টার পাম্পিং স্টেশন তৈরি হওয়ার পথে। তবু তা গরমকালের প্রবল জলের চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিতে পারছে না। জানা গেছে টালিগঞ্জ, কসবা, যাদবপুরের একাংশে পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। অন্যদিকে দিনে দিনে কলকাতায় জনসংখ্যা বাড়লেও মানুষের চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত জলের জোগান দিতে পারছেনা টালা ট্যাঙ্ক। উল্লেখ্য সামনেই লোকসভা ভোট, তাই তার আগে শহরবাসীর জলকষ্ট মেটাতে ৩ টি জল প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৪ টি জল প্রকল্পের শিলান্যাস করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা।

তবে এই প্রকল্প গুলি কবে কার্যকর হবে বা আদেও হবে কিনা সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। গরম প্রায় এসেই গেছে এর মধ্যে প্রকল্প গুলি কার্যকরী না হলে জল সঙ্কটে কিভাবে মকাবিলা করবে কলকাতাবাসী এখন সেই চিন্তাতেই কপালে ভাঁজ পড়েছে তাদের।

Sweta Chakrabory | 12:25 PM, Tue Feb 27, 2024
upload
upload