Friday, September 20, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

work

Puja Bonus: পুজোর আগেই বোনাস পাবেন কলকাতা পুরসভার একশো দিনের কাজের কর্মীরা


নিউজ ডেস্ক: আরজি কাণ্ডে কলকাতা সহ বাংলা জুড়ে যে গণআন্দোলন হচ্ছে, তাতে অস্বস্তি রয়েছে শাসকদল। কিন্তু এরই মাঝে সরকারি কর্মীদের মন জয় করতে বড় পদক্ষেপ নিল সরকার। এ বার কলকাতা পুরসভায় কর্মরত একশো দিনের কাজের কর্মীদের 'উৎসব বোনাস' (Puja Bonus) দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। বর্তমানে কলকাতা পুরসভার অধীনে প্রায় ১৫ হাজার এই কর্মী রয়েছেন, যাঁদের এই পুজোর বোনাস দেওয়া হবে। এর জন্যে সরকারের ১৫ কোটি টাকা খরচ হবে।
উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডের আবহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 'উৎসবে ফেরার' অনুরোধ করেছিলেন। এই আবহে অনেক মানুষের মনেই একটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। আবার গত এক মাস ধরেই ধরেই বহু পুজো কমিটি সরকারি অনুদানের টাকা ফিরিয়েছে। কিন্তু সে সবের মাঝেই পুরসভা জানাল একশো দিনের কর্মীদের সকলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সাড়ে তিন হাজার টাকা করে পাঠানো হবে।
পুজোর আগে যাতে সব কর্মীদের অ্যাকাউন্টে এই অর্থ দেওয়া যায়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করবে পুরসভা। ধাপে ধাপে এই অর্থ দেওয়া হবে। এদিকে পুজোর মুখে এই টাকা পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই হাসি ফুটেছে ওই কর্মীদের মুখে। ইতিমধ্যেই ধাপেধাপে বিভিন্ন বিভাগের ১০০ দিনের কর্মীদের অ্যাকাউন্টে এই টাকা ঢুকতে শুরু করেছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, মমতার 'উৎসবে ফেরার' (Puja Bonus) বার্তার পরই মেয়র ফিরহাদ হাকিম পুরসভার একশো দিনের কাজে কর্মীদের উৎসব বোনাস দেওয়ার বিষয়ে পদক্ষেপ করেছেন। একশো দিনের কাজের প্রকল্পে কলকাতা পুরসভার ১৫ হাজার কর্মী রয়েছে৷ তিনটি ক্ষেত্রে সেই কর্মীরা কাজ করে থাকেন। দক্ষ শ্রমিকরা দৈনিক মজুরি পান ৪০৪ টাকা। অদক্ষ শ্রমিকরা দৈনিক মজুরি পান ৩০৩ টাকা ৷ আর সুপারভাইজারের অধীনে যারা কাজ করেন দৈনিক মজুরি পান ২০২ টাকা করে৷ তবে পুজোর আগে সবাইকে সাড়ে তিন হাজার টাকা করে 'উৎসব বোনাস' দেওয়া হবে।
এই প্রসঙ্গে, ১০০ দিনের প্রকল্পের ভারপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ সদস্য অসীম বসু বলেন, 'নামমাত্র দৈনিক মজুরিতে সারাটা বছর কালঘাম ঝড়িয়ে কাজ করেন এই সমস্ত কর্মীরা ৷ এই টাকা পেলে পুজোর মুখে স্ত্রী বা বাড়ির ছোট্ট ছেলে মেয়েদের নতুন জমা কাপড় কিনে দিতে পারবেন উৎসবের আবহে।'


Sweta Chakrabory | 17:47 PM, Sun Sep 15, 2024

Nandigram: নন্দীগ্রাম থানায় বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ৪৭টি এফআইআরে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বিচারপতি সিনহার

নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রাম থানায় (Nandigram police station) বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ৪৭টি এফআইআরে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। জানা গিয়েছে, তিন সপ্তাহের জন্য এই স্থগিতাদেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের সময় ওই বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও রকমের কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে না, এমন কথাই জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

এদিন এই সংক্রান্ত মামলাটির শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। শুভেন্দু অধিকারীর দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার পর্যবেক্ষণ, ‘‘এই মুহূর্তে তদন্তকারী সংস্থা বদল করার কোনও প্রয়োজন নেই। তাছাড়া মনে করা হচ্ছে, সব মামলাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই করা হয়েছে।’’ বিচারপতি সিনহা প্রাথমিকভাবে পর্যবেক্ষণ করেন, যে ৪৭টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে, সেখানে প্রত্যেকটি এফআইআর-এ মোটামুটি একই অভিযোগ আনা হয়েছে। এই এফআইআরগুলির আদৌ কোনও সারবত্তা রয়েছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিচারপতি সিনহা। তাই আপাতত তিন সপ্তাহের জন্য অভিযুক্ত বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনওরকমের পদক্ষেপ পুলিশ নিতে পারবে না বলে জানিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হতেই এবং ভোটপর্ব চলাকালীন ও তার পরবর্তীকালে ৩৫ দিনের মধ্যেই নন্দীগ্রাম থানাতে ৪৭টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগগুলি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তা যে মিথ্যা মামলা তা বারে বারেই দাবি করে এসেছে গেরুয়া শিবির। মিথ্যা মামলায় তাঁদের কর্মীদের ফাঁসানো হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানির সময় এমন পর্যবেক্ষণ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, এর আগে এই মামলার শুনানি ছিল গত ২৬ জুন সেদিনও বিচারপতি অমৃতা সিনহা পুলিশকে কোনও রকমের কড়া পদক্ষেপ না নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

Sweta Chakrabory | 15:58 PM, Tue Jul 02, 2024

CV Ananda Bose: কলকাতা পুলিশ কমিশনার ও ডিসি সেন্ট্রালের অপসারণের দাবি জানিয়ে চিঠি সিভি আনন্দ বোসের, কেন জানেন?

নিউজ ডেস্ক: তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগের তদন্ত করার করার অভিযোগে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) কমিশনার এবং সংশ্লিষ্ট ডিসিকে অপসারণের আর্জি জানিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। নবান্ন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তিনি আর্জি জানিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। রবিবার রাতে রাজভবন সূত্রে খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, রাজ্যপাল নবান্ন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের আইএএস, আইপিএস ক্যাডার নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ যথা ডিপার্টমেন্ট অফ পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিংকে (CV Anand Bose) এই চিঠি লিখেছেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, কলকাতা পুলিশের কমিশনার এবং ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় অসাংবিধানিক কাজ করেছেন। এর জন্য তাঁদের পদ থেকে যেন সরিয়ে দেওয়া হয়। ওই দুজন আইপিএস আধিকারিককে কেন্দ্রীয়স্তরে ডেকে পাঠানোর দাবি জানানো হয়। অবশ্য লালবাজারের তরফে এবিষয়ে এখন অবধি কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

২ মে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রাজভবনের এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল রাজ্যপাল চাকরির পদোন্নতি প্রলোভন দেখিয়ে যৌন হেনস্থা করেছেন। কিন্তু সাংবিধানিক রক্ষাকবচ থাকায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগের তদন্ত করা যায় না, বলে কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি কলকাতা পুলিশ। কিন্তু অভিযোগ না নিলেও মহিলার বয়ানের ভিত্তিতে অনুসন্ধান চালিয়েছিল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। রাজভবনের কর্মীদের ডেকে পাঠানো হয়। ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। এমনকি, পরবর্তীকালে মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে একাধিক প্রতিক্রিয়া মেলে। ডিসি সেন্ট্রাল এবিষয়ে সক্রিয় হন বলে সুত্রের খবর। মহিলাকে পুলিশের কাছে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে রাজভবনের কয়েকজন আধিকারিকের নামে মামলাও রুজু হয়। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশে সেই তদন্ত বন্ধ হয়ে যায়। তবুও এই অভিযোগ পর্ব থেকেই রাজ্যপাল, পুলিশ এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে যে তিক্ততা বেড়েছে তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।


Sweta Chakrabory | 16:04 PM, Mon Jul 01, 2024

India Highway Network: : যানজট দূর করতে আন্তর্জাতিক রাস্তা উন্নয়নের পরিকল্পনা সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রকের!


নিউজ ডেস্ক: আরও প্রসারিত হবে ভারতের হাইওয়ে (India Highway Network)। দেশের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য সম্প্রতি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রক প্রায় ৩০,৬০০ কিলোমিটার জুড়ে একটি বিস্তৃত মহাসড়ক উন্নয়ন (Expand Highways) পরিকল্পনায় ২২ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগের জন্য মন্ত্রিসভার অনুমোদন চেয়েছে। তবে এই বিনিয়োগের প্রায় ৩৫ শতাংশ বেসরকারি খাত থেকে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে অনুমতি মিললে ২০৩১-৩২ সালের মধ্যে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের রুপ নেবে। ভারতের সড়ক নেটওয়ার্ককে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করার লক্ষ্যেই এই চিন্তা ভাবনা করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রক।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রকের এই প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে ১৮,০০০ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে এবং উচ্চ-গতির করিডোর নির্মাণ। এছাড়াও শহরগুলির চারপাশে ৪,০০০ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়কের যানজট দূর করার জন্য আন্তর্জাতিক রাস্তার উন্নয়ন। মহাসড়ক উন্নয়নের এই মহাপরিকল্পনা দুই ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে। এ প্রসঙ্গে রোড ট্রান্সপোর্ট সেক্রেটারি অনুরাগ জৈনের সভাপতিত্বে একটি বৈঠক চলাকালীন, আধিকারিকরা ২০২৮-২৯ সালের মধ্যে ফেজ-১ এর অধীনে সমস্ত প্রকল্পের টেন্ডার এবং ২০৩১-৩২ সালের মধ্যে বাকি প্রকল্প সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে চূড়ান্ত রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনা করেছিলেন।

এই প্রকল্প (Expand Highways) বাস্তবায়নের জন্য বরাদ্দ বাজেট বার্ষিক ১০ শতাংশ বৃদ্ধির অনুরোধ করেছে। তবে অন্তর্বর্তী বাজেটে, সরকার মন্ত্রণালয়ে ২৭৮,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে, যা আগের আর্থিক বছরের তুলনায় ২.৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ধাপে ধাপে এগোবে প্রকল্পের কাজ প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হলে তবেই দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য আর্থিক প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ করা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ের অতিরিক্ত ২৮,৪০০ কিলোমিটার বিকাশ করার পরিকল্পনা (India Highway Network)রয়েছে। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী আশা করা হচ্ছে যে, ফেজ ২-এর অধীনের প্রকল্প গুলি ২০৩৩-৩৪ সালের মধ্যে শুরু হয়ে, ২০৩৬-৩৭ সালের মধ্যে নির্মাণ শেষ হবে৷ এই পরিকল্পনাটি (Expand Highways) ভারতের যেকোনো অংশ থেকে ১০০-১৫০ কিলোমিটারের মধ্যে উচ্চ-গতির করিডোর নির্মাণে প্রাধান্য দেবে।

বর্তমানে, দেশে মাত্র ৩,৯০০ কিলোমিটার উচ্চ-গতির করিডোর (India Highway Network) চালু রয়েছে। তবে সড়ক পরিবহন মন্ত্রকের পরামর্শ অনুযায়ী দেশের পরিবহণের চাহিদাগুলি কার্যকরভাবে মোকাবেলা করার জন্য এখনও প্রায় ৫০,০০০ কিলোমিটার উচ্চ-গতির করিডোর প্রয়োজন। যদিও অনুমান করা হচ্ছে ২০২৬-২৭ সালের মধ্যে প্রায় ১১,০০০ কিলোমিটার উচ্চ-গতির করিডোর বৃদ্ধি পাবে।

Sweta Chakrabory | 17:42 PM, Mon Jun 24, 2024

Unemployed Workers: শ্রমিক দিবসেই রাজ্যে বন্ধ হয়ে গেল আরও একটি চা বাগান, চিন্তার ভাঁজ কর্মহীন শ্রমিকদের কপালে


মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রমিক দিবসের দিনই কাজ হারালো প্রায় হাজারের কাছাকাছি শ্রমিক। রাজ্যে বন্ধ হয়ে গেল আরও একটি চা বাগান (Tea Garden)। ফলে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কর্মহীন শ্রমিকদের (Unemployed Workers) কপালে। মে দিবসের দিন সকালেই ডুয়ার্সের (Dooars) এক চা বাগানে কাজ বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়ে দিয়েছে চা বাগানের মালিক কর্তৃপক্ষ। আর তার জেরেই মে দিবসে কর্মহীন হয়ে পড়লেন প্রায় ৮৩০ জন শ্রমিক।

 জানা গিয়েছে, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই পাওনাগন্ডা নিয়ে শ্রমিক-মালিক অসন্তোষ চলছিল। পিএফ, গ্র্যাচুইটির মতো বিভিন্ন পাওনা বাকি ছিল। শুধু তাই নয়, শ্রমিকদের (Workers) ৩ পাক্ষিক সপ্তাহের মজুরিও বকেয়া ছিল বলে অভিযোগ। যার জেরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কর্মরত শ্রমিকরা। এরপর ২৭ এপ্রিল নিজেদের বকেয়া অর্থ বুঝতে চেয়ে শ্রমিকদের একাংশ বানারহাট থানায় গিয়ে অবস্থানে শামিল হন। বানারহাট বিডিও অফিসে একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠকও ডাকা হয়। তবে মালিকপক্ষের কেউ উপস্থিত না থাকায় সেই বৈঠক ভেস্তে যায়। কিন্তু মালিকপক্ষের তরফে একটি চিঠি দিয়ে প্রশাসনকে জানানো হয়, মঙ্গলবার বকেয়া মজুরির এক কিস্তির টাকা তাঁরা মিটিয়ে দেবেন। সেই টাকা গতকাল দিয়েও দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরই রাত্রিবেলা কর্মবিরতির বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। পুলিশ-প্রশাসনকেও মালিক পক্ষ জানিয়ে দেয় নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা। বাগানে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় তালা। এরপর সকালে শ্রমিকরা কাজে এসে দেখেন বাগানে তালা ঝুলছে।

 এ প্রসঙ্গে চা শ্রমিক নেতা অজয় মাহালি বলেন, “কোন সমস্যা থাকলে মালিকপক্ষ তা আলোচনার মাধ্যমে মেটাতে পারতেন। সেটা না করে শ্রমিক দিবসের ঠিক আগের রাতে এভাবে বাগান বন্ধ করে চলে যাওয়ার ঘটনার ঘোর নিন্দা জানাই। হাজার শ্রমিক কর্মহীন।”

 প্রসঙ্গত, শ্রমিক দিবস (International labour day)উপলক্ষে সকালেই মুখ্যমন্ত্রী শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। মুখ্যমন্ত্রী তার শুভেচ্ছা বার্তায় লেখেন,"আমাদের সকল শ্রমিক ভাই বোনকে জানাই আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের আন্তরিক শুভেচ্ছা। শ্রমিকরা আমাদের সমাজের সম্পদ। তাদের নিয়ে আমরা গর্বিত। আমি সব সময় তাদের পাশে থাকি। বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনার মত যুগান্তকারী প্রকল্প চালু করা থেকে, কেন্দ্রের কাছ থেকে ১০০ দিনের কাজের টাকা পাওয়া থেকে বঞ্চিত রাজ্যের ৫৯ লক্ষ গ্রামীণ শ্রমিকের টাকা রাজ্যের নিজস্ব তহবিল থেকে মিটিয়ে দেওয়া, বরাবর আমরা সকল ক্ষেত্রে শ্রমিক ভাই বোনদের পাশে থেকেছি আগামীতেও থাকবো। "

আর মুখ্যমন্ত্রী এই বার্তার পরেই জানা গেল উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়ি মহাকুমার বারানহাট (Banarhat) ব্লকের তোতাপাড়া চা বাগানে কাজ বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Sweta Chakrabory | 13:11 PM, Wed May 01, 2024

International Labour Day: জানেন কি কেন পালন করা হয় মে দিবস? কোন ইতিহাস লুকিয়ে এই দিনটির পেছনে!


নিউজ ডেস্ক: প্রতি বছর ১ মে পালিত হয় আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস (International Labour Day), যা মে দিবস নামেও পরিচিত। কিন্তু কেন পালন করা হয় মে দিবস? কোন ইতিহাস লুকিয়ে এই দিনটির পেছনে তা জেনে নিন আজকের এই প্রতিবেদনে।

সহজ ভাষায় বলতে গেলে বলা যায় যে কাজের ফাঁকে শ্রমিকদের একটু বিশ্রামের দিন এই শ্রমিক দিবস। কাজ তো করতেই হবে৷ কিন্তু সারাদিন ধরে কাজ করা তো সম্ভব নয়৷ তাই কাজ যেমন জরুরি, ঠিক ততটাই জরুরি পর্যাপ্ত বিশ্রামের সময় পাওয়া। এই সহজ কথাটাই নতুন করে মনে করার দিন পয়লা মে, আর্ন্তজাতিক শ্রমিক দিবস (Labour Day)। আর এরই সঙ্গে বিশ্বজুড়ে শ্রমিকদের ঐতিহাসিক সংগ্রামের কথা মনে করিয়ে দিতেই দিনটি পালিত হয়ে থাকে।

আর্ন্তজাতিক শ্রমিক দিবসের ইতিহাস

১৯ শতকের শ্রমিক আন্দোলন থেকে শ্রমিক দিবসের উৎপত্তি, যেখানে শ্রমিকরা আরও ভাল কাজের পরিবেশ, সংক্ষিপ্ত কাজের সময় এবং সংগঠিত হওয়ার অধিকারের জন্য লড়াই করেছিলেন। ১৮৮২ সালে সেন্ট্রাল লেবার ইউনিয়নের (Central Labour union) আয়োজনে নিউইয়র্ক সিটিতে প্রথম শ্রমিক দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ১৮৮৬ সাল থেকে আমেরিকায় আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন করা হয়। যদিও ভারতে এই দিনটি পালন করা হচ্ছে ১৯২৩ সাল থেকে। ১৮৮৬ সালে আমেরিকার (America) শিকাগো শহরের হে মার্কেটে নিহত শহিদদের আত্মত্যাগকে মনে রেখে এই দিনটি পালন করা হয়। সেদিন দৈনিক ৮ ঘণ্টার কাজের দাবিতে শ্রমিকরা (workers) হে মার্কেটে জমায়েত করেছিলেন। তাঁদের ঘিরে থাকা পুলিশের প্রতি কেউ একজন বোমা ছোঁড়ে। তার পরে পুলিশ শ্রমিকদের উপর গুলি চালাতে শুরু করে। ফলে প্রায় ১০-১২ জন শ্রমিক ও পুলিশ নিহত হন।

এই দিনটির তাৎপর্য

বিশ্বব্যাপী ৮০টিরও বেশি দেশে শ্রমিক দিবস পালিত হয়, প্রতিটি দেশ তার নিজস্ব অনন্য উপায়ে দিবসটি পালন করে। অনেক দেশে, শ্রমিক দিবস একটি জাতীয় সরকারী ছুটির দিন (National Holiday) হিসাবে পালন করা হয়, যার ফলে শ্রমিকরা তাদের কাজের থেকে প্রাপ্য বিরতি নিয়ে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারে।

সচেতনতা বৃদ্ধি

শ্রমিক দিবসের দিন অনেক জায়গাতেই প্যারেড বা সমাবেশ হয়, যেখানে শ্রমিক এবং শ্রমিক ইউনিয়নগুলি তাঁদের দাবিতে সোচ্চার হতে এবং তাদের সাফল্য উদযাপন করতে একত্রিত হয়। এই অনুষ্ঠানগুলি আসলে শ্রমিকদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা (awareness) বৃদ্ধি করতে এবং ন্যায্য মজুরি, নিরাপদ ও উন্নত কাজের পরিবেশের পক্ষে প্রচারের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করে।

Sweta Chakrabory | 11:28 AM, Wed May 01, 2024

Konnagar Incident: গার্ডেনরিচ, বিরাটির পর এবার কোন্নগরে! পাঁচিল ধসে মৃত ২

নিউজ ডেস্ক: গার্ডেনরিচ, বিরাটির পর এবার হুগলীর(Hooghly) নবগ্রাম। পাঁচিল ধসে মৃত দুই শ্রমিক। জানা গেছে কোন্নগরের (Konnagar )নবগ্রামে পাঁচিল ধসে(wall collapse ) মৃত্যু হয় ওই দুই শ্রমিকের। কোনরকম নিরাপত্তা ছাড়াই কাজ চলছিল, অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। বৃহস্পতিবার ইদের দিনেই এমন দুর্ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা এলাকায়। গোটা ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা, বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে হুগলির উত্তরপাড়া(uttarpara) থানার অন্তর্গত নবগ্রাম পঞ্চায়েতের নবচক্র এলাকায়। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, নির্মাণ কাজ চলার সময় পাঁচিল ধসে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ওই ঘটনায় দু’জন শ্রমিকের মৃত্যুর পাশাপাশি আহত হয়েছেন এক জন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বর্তমানে ওই শ্রমিকের অবস্থায় আশঙ্কাজনক। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে কানাইপুর ফাঁড়ির পুলিশ।
জানা গেছে ঘটনার পরেই ঘটনাস্থলেই সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হয় শ্যামল দাস(৪৮) নামে এক শ্রমিকের। এরপর আহত দুজনকে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে মৃত্যু হয় সোনা শীল(৩১) নামে আরেক শ্রমিকের। আহত সোনা শীলকে উত্তরপাড়া থেকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে রেফার করার সময় মৃত্যু হয় তাঁর।
জানা গেছে গত পনেরো দিন ধরে কাজ চলছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ কোনও রকম নিরাপত্তা ছাড়াই কাজ(Illegal Construction) চলছিল। রাস্তার পাশে পুরোনো পাঁচিল গার্ড না করেই কাজ হচ্ছিল। বাঁশ দিয়ে পাঁচিলে সাপোর্ট দেওয়া ছিল।
তবে স্থানীয়দের প্রশ্ন কীভাবে পঞ্চায়েত এলাকায় জি প্লাস ফোর আবাসনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বেআইনিভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। অভিযোগ, খোদ প্রধানের ওয়ার্ডে এমন কাজ হচ্ছে। তাহলে অন্য জায়গায় কী হচ্ছে। এছাড়া ভারী গাড়িতে করে নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে আসায় রাস্তায় ধস নামছে। অনেকবার নিষেধ করা হলেও শোনেনি, অভিযোগ স্থানীয়দের।
গোটা ঘটনায় নির্মাতা গণেশ দাস বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার সকালে ২০ জন শ্রমিক কাজ শুরু করেন। স্থানীয়দের অভিযোগ সঠিক নয়। বাঁশ দিয়ে পাঁচিল ঘেরা ছিল। কপালে ছিল তাই দুর্ঘটনা হয়ে গিয়েছে। পনেরো দিন ধরে কাজ চলছিল। কিন্তু কোনও অভিযোগ ছিল না।’’
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় বিজেপি এবং বাম নেতাদের বক্তব্য, নিয়ম না মেনেই ওই নির্মাণ চলছিল। তবে বিরোধীদের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। নবগ্রাম(nabagram) অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি অপূর্ব মজুমদার বলেন, ‘‘আবাসন তৈরি হচ্ছিল জেলা পরিষদের অনুমতি নিয়ে। অসাবধানতাবশত একটি পাঁচিল ভেঙে দুর্ঘটনাটি ঘটে।’’

Sweta Chakrabory | 20:57 PM, Thu Apr 11, 2024

Howrah Jute Mile: ভোটের মুখে কাজ বন্ধ জুট মিলে! বিপাকে প্রায় ৩৫০০ কর্মচারী

নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের মুখে(, lok sabha vote 2024) কাজ বন্ধ শিবপুরের হাওড়া জুট মিলে(Howrah Jute Mile)। এর ফলে বিপাকে পড়েছেন প্রায় সাড়ে তিন হাজার কর্মচারী। আগামী ২০ মে হাওড়া সদর লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। আর তার আগেই বন্ধ হয়ে গেল মধ্য হাওড়া বিধানসভার অন্তর্গত হাওড়া জুট মিল। ফলে কর্মহীন হয়ে পড়ল প্রায় সাড়ে তিন হাজার কর্মী(mill workers)।

এই মিলে কর্মরত শ্রমিকদের অভিযোগ মিলের বিমিং ডিপার্টমেন্টের কর্মীদের দৈনিক মজুরি থেকে গত কয়েকদিনের এক ঘন্টার মজুরি কাটা হয়েছে। এর পাশাপাশি দোলের দিনের মজুরি পাওয়ার কথা থাকলেও সেটাও তাদের দেওয়া হয়নি। এর ফলে ওই ডিপার্টমেন্টের শ্রমিকরা ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা কম বেতন পেয়েছেন। এই নিয়েই ওই ডিপার্টমেন্টের শ্রমিকরা(mill workers) ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

একইসঙ্গে এর ওপর ভিত্তি করে তারা পাওনা টাকার দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেন। এরপর ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে ওই বিভাগের কর্মীদের কাজে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হলেও তারা তা মানতে চাননি। এরই প্রেক্ষিতে ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে একটি নতুন নির্দেশ জারি করা হয়।

এরপর মঙ্গলবার সকালে কর্মচারীরা কাজে যোগদান করতে এসে দেখেন মিলের গেটে নোটিশ ঝুলছে। ওই নোটিশে বলা হয় যতক্ষণ না পর্যন্ত বিমিং ডিপার্টমেন্টের কর্মচারীরা কাজে যোগ দিচ্ছেন ততক্ষণ ব্যাচিং, ওয়েভিং সহ অন্যান্য ডিপার্টমেন্টের শ্রমিকদের কাজ বন্ধ রাখার কথা বলা হয়। এদিকে বিমিং ডিপার্টমেন্টে কর্মচারীদের পাওনা নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ান অন্য বিভাগের কর্মচারীরা। ফলে মিলের মধ্যে শুরু হয় অচলাবস্থা। এরই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার কর্মচারীরা মিলে এলেও কোন উৎপাদন হয়নি।

এ বিষয়ে শ্রমিকদের আরো অভিযোগ ওই মিলে অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের পাওনা পিএফ(PF) এর টাকা নিয়ে টালবাহানা চলছে। এছাড়াও ইএসআই(ESI) এর টাকা তারা পাচ্ছেন না। সামনে ঈদ। তার আগে মিলে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আর্থিক সমস্যায় পড়েছেন শ্রমিকরা। তারা চাইছেন দ্রুত মিলটিতে(Howrah Jute Mile) কাজ শুরু হোক।

Sweta Chakrabory | 13:50 PM, Tue Apr 09, 2024

Birbhum: বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে


নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা ভোট(lok sabha vote 2024), হাতে গুনে আর কয়েকদিন বাকি। ইতিমধ্যেই ভোট প্রচারের মাধ্যমে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিচ্ছে সব দলের প্রার্থীরাই। আর এরই মধ্যে আবারও আঙুল উঠল রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে। এবার অভিযোগ বিজেপি(BJP) কর্মীর ওপর রাতের অন্ধকারে হামলা।

ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে বীরভূমের(birbhum) মহম্মদ বাজার এলাকায়। মহম্মদ বাজারের(mohammad bazar) কপিস্টার গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারকাটা গ্রাম থেকে দলীয় বৈঠক সেড়ে বাড়ি ফেরার সময় তিন বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনার পরেই রবিবার রাতে আহত বিজেপি কর্মীদের ভর্তি করা হয়েছে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে(suri super speciality hospital)।

তাদের অভিযোগ অন্ধকার রাস্তায় বাইক নিয়ে আসার সময় কয়েকজন তৃণমূলের(TMC) কর্মী তাদের পথ আটকায় এবং বাঁস ও রড দিয়ে মারধর করা হয় তাদের। এরপর কোনক্রমে সেখান থেকে তারা পালিয়ে আসে মহম্মদ বাজারে। পরে তাদের আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।

ঘটনার খবর পৌঁছাতেই তাদের দেখতে হাসপাতালে এসে পৌঁছান বীরভূম বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা(Dhruba saha)। তবে কেবল জেলা সভাপতি নয়। সোমবার সকাল হতেই আহতদের সঙ্গে দেখা করতে যান বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরও(debashis dhar)।

এ প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, "সম্মানীয় সাধারণ সম্পাদক নরেন মিস্ত্রী উনি মিটিং করে ফিরছিলেন,এই সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা পার্টির সাধারণ সম্পাদককে আক্রমণ করে। আমাদের সভাপতি প্রসেনজিৎ দত্ত ও আমদের যুব নেতা আক্রান্ত হয়। আমরা থানায় কমপ্লেন করেছি, এবং তাদের কালকের মধ্যে যদি অ্যারেস্ট(arrest) না করা হয়,ভারতীয় জনতা পার্টি আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব। "

Sweta Chakrabory | 13:14 PM, Mon Apr 08, 2024

Salary Hike In West Bengal: বেতন বৃদ্ধি আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের, ভোটের মুখে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে বিশাল ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মঙ্গলবারই তিনি ঘোষণা করেছিলেন, বুধবার সকাল ১০টায় ফেসবুকে একটি বিশাল বড় ঘোষণা করবেন তিনি৷ সেই মতো বুধবার সকালে আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করলেন তিনি৷ এপ্রিল থেকেই কার্যকর হবে নতুন বর্ধিত বেতনক্রম।

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আশাকর্মীদের বেতন ৭৫০ টাকা বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁর সরকার। এর পাশাপাশি অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি পাবে ৭৫০ টাকা। অন্যদিকে আইসিডিএস হেল্পারদের বেতনও প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে বৃদ্ধি পাবে বলেই জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সকালে একটি ভিডিয়ো বার্তা পোস্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই বার্তায় ভোটের আগেই বাংলায় আশা, আইসিডিএস ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ভিডিওতে তিনি বলেন, সবাই ভালো থাকুক। মা-মাটি-মানুষের সরকার এভাবেই সবার সুযোগ-সুবিধার কথা খেয়াল রেখে কাজ করে যাবে।

এর পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, "বাংলার মানুষের সুখ-দুঃখের খেয়াল রাখা, তাঁদের হিতার্থে দিবারাত্রি কাজ করে যাওয়ার জন্য - আমি এবং আমার জনদরদী মা-মাটি-মানুষের সরকার সদা সচেষ্ট। আজ থেকে আমাদের গর্ব, সমাজের দিশা - আশা কর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং অঙ্গনওয়াড়ি হেল্পারদের মাসিক বেতন বৃদ্ধি করা হল। আমি আমৃত্যু এইভাবেই আপনাদের জন্য কাজ করে যাব। আপনারা ভালো থাকলেই, আমার ভালো থাকা। জয় হিন্দ! জয় বাংলা!"

Sweta Chakrabory | 12:46 PM, Wed Mar 06, 2024

Asha Workers: আশাহত হচ্ছেন! প্রাপ্য বুঝে নিতে পথে আশা কর্মীরা

স্থায়ীকরণ, ভাতা বৃদ্ধি, সময়মত বেতন সহ একাধিক দাবিতে আশা কর্মীরা মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ভবন অভিযান করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে বিধাননগরের বিশাল পুলিশ বাহিনী। প্রসঙ্গত বঞ্চনার অভিযোগে ১ মার্চ থেকে কর্মবিরতিতে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ আশা কর্মী ইউনিয়নের সদস্যরা। মঙ্গলবার তাদের কর্ম বিরতি পঞ্চম দিনে পদার্পণ করল

এদিন পশ্চিমবঙ্গ আশা কর্মী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য ভবন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়। উত্তরবঙ্গের দুটি জেলা বাদে রাজ্যের ২১ টি জেলা থেকে আশা কর্মীরা এসে জমায়েত হয় স্বাস্থ্য ভবনের সামনে। আশা কর্মীদের মূল দাবী, তাদের ভাতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং তাদের সমস্ত বকেয়া টাকা প্রদান করতে হবে। যতক্ষন না তাদের দাবি মানা হবে তারা এই আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে দাবি তাদের। পাশাপাশি বিধাননগর পুলিশের বিশাল বাহিনী ও র‍্যাফ উপস্থিত ঘটনাস্থলে।

উল্লেখ্য বহু বছর ধরে আশা কর্মীরা তাঁদের প্রাপ্য পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করছেন। তাঁরা বহুবার স্বাস্থ্য ভবন অভিযান করেছে। ভোটের আগে সরকারের তরফ থেকে প্রতিশ্রুতি আসে। নির্বাচনের আনুষাঙ্গিক কাজেও তাঁদের ব্যবহার করা হয়েছে অতীতে এমনটাই তাঁদের দাবি। তথাপি তাঁদের দাবি পূরণ হচ্ছে না বলে তাঁদের অভিযোগ।

Editor | 15:05 PM, Tue Mar 05, 2024

sand scam: অবৈধভাবে তোলা মাটি ও বালি আটক কল্যাণীতে

নিউজ ডেস্ক: ভাগীরথী থেকে তোলা বালি আটক করল কল্যাণী মহকুমার ভূমি ও ভূমি রাজস্ব বিভাগ। বেশ কিছুদিন ধরেই ফোনে কল্যাণী মহকুমার ভাগীরথী নদীর বিস্তীর্ণ পাড়ের এলাকা থেকে অবৈধভাবে মাটিকাটা ও নদী থেকে বালি তোলার অভিযোগ আসছিলো কল্যাণী মহকুমার ভূমি ও ভূমি রাজস্ব বিভাগ। স্থানীয় বাসিন্দারা সেই অভিযোগ করলেও তাঁরা নামপ্রকাশ করতে চাননি। অভিযোগ পেয়ে কল্যাণী মহকুমার ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তর আধিকারিকরা ২১ তারিখ চরজাজিরা এলাকা পরিদর্শনে আসেন। তাঁদের নজরে আসে ঘটনার সত্যতা। তাঁরা আটক করেন প্রচুর পরিমাণ নদী থেকে তোলা বালি। বসানো হয় পুলিশ পিকেট।

শনিবার সকালে কাছারিপাড়ায় বেআইনিভাবে মাটি কাটা হচ্ছিলো। সেই খবর পেয়ে সেখানে তল্লাশি অভিযান চালায় আধিকারিকরা। তাঁদের দেখে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। তিনটি ট্রলার ও মাটিকাটার বেশকিছু সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করেন আধিকারিকরা। পাশাপাশি কল্যাণী ব্লকের চরজাজিরায় অবৈধভাবে বালি তোলা হয় সেগুলো বাজেয়াপ্ত করে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের আধিকারিকরা।

কল্যাণী মহকুমার ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের ডিজিও পুষ্পাণ্য মণ্ডল স্বীকার করেন যে একশ্রেণির মাফিয়া নদীতীর থেকে বালি ও মাটি পাচার করছে। সেদিকে দৃষ্টি রেখেই প্রতিনিয়ত সরেজমিনে তদন্ত চলছে। আটকও করা হচ্ছে বালিতোলার সরঞ্জাম। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ পুলিশের একাংশ মাসোয়ারার বিনিময়ে চোখ বুজে থাকায় দীর্ঘদিন ধরে মাটি ও বালিপাচার হচ্ছে।

Editor | 16:29 PM, Sat Feb 24, 2024
upload
upload