ED Raid In Kolkata: পিএফের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ! ফের রাজ্যে ইডির হানা
নিউজ ডেস্ক: ফের পিএফ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ। ২০ কোটি টাকার প্রতারণার মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিল ইডি তদন্তের। এরপরই মঙ্গলবার বালিগঞ্জ, ডালহৌসি, হাওড়ায় একযোগে শুরু হয় তল্লাশি। প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে গত ৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলার শুনানি হয়। রাত ১০টা নাগাদ তাঁর এজলাস বসেছিল। সেখানেই ইডি তদন্তের ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয় জানা গেছে মঙ্গলবার সকালে হাওড়া জেলার সাঁকরাইলে ডেল্টা জুটমিল, সেই জুটমিলের মালিক সুনীল ঝুনঝুনওয়ালার বালিগঞ্জের বাড়িতে এবং কলকাতার কাউন্সিল হাউস স্ট্রিটে ওই জুট মিল সংস্থার একটি অফিসে হানা দিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। ভুয়ো ডিরেক্টর নিয়োগের একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই তল্লাশি অভিযান বলে খবর। মূলত দুই সংস্থার বিরুদ্ধে সেখানকার অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা মামলা করেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, কোম্পানি তাঁদের প্রাপ্য পিএফের টাকা দিচ্ছে না। এপ্রসঙ্গে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সন্দেহ প্রকাশ করেন বলেন পিএফ দুর্নীতির মামলায় বড় এবং প্রভাবশালী মাথা যুক্ত রয়েছেন। এরপরেই মঙ্গলবার সকাল থেকে ময়দানে নেমেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট টিম। জুটমিলে গিয়ে সেখানকার আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে তারা। এখানকার কর্মীদের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে ঠিকমতো টাকা দেওয়া হয় না তাঁদের। অন্যদিকে অবসরপ্রাপ্তদের পিএফের টাকাও বকেয়া। শ্রমিকদের দাবি, জুটমিল লাভের গুড় ঘরে তুলে নিচ্ছে। অথচ যাঁরা উদয়অস্ত পরিশ্রম করেন তাঁদের বঞ্চনার শিকার হতে হচ্ছে। এই মামলায় আগেই সংস্থার ডিরেক্টরদের তলব করা হয়। এসএফআইও তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। ওই কর্মীদের অভিযোগ ছিল, তাঁদের প্রাপ্য প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা তাঁরা পাচ্ছেন না। প্রায় ২১ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। ২০১১ সালের পর থেকেই তাঁদের তহবিলে কোনও পিএফের টাকা জমা পড়েনি। এমনকি, ওই সংস্থার ডিরেক্টর ভুয়ো বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
Trending Tag