Manoj Mitra: নক্ষত্রপতন! প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেতা, কিংবদন্তি নাট্যকার মনোজ মিত্র
নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেতা মনোজ মিত্র। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। মৃত্যুর ভুয়ো খবরও রটেছে বার বার। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে সেই খবরই সত্যি হয়ে গেল। বর্ষীয়ান অভিনেতার ভাই, সাহিত্যিক অমর মিত্র জানান, মঙ্গলবার সকাল ৮টা ৫০ নাগাদ প্রয়াত হয়েছেন অভিনেতা মনোজ মিত্র।
চলতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্ষীয়ান অভিনেতা তথা নাট্যকারকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।সল্টলেকের ক্যালকাটা হার্ট ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট নিয়ে অশীতিপর অভিনেতাকে ভর্তি করানো হয়। শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের মাত্রা কমে যাওয়ার রক্তচাপ খুবই কমে গিয়েছিল। এর পর তিনি সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন। তবে অসুস্থতা পিছু ছাড়েনি। এ বছর একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। বছরের শুরুতেই বুকে প্রেসমেকার বসেছিল মনোজ মিত্রের। হৃদযন্ত্রের সমস্যা-সহ একাধিক অসুস্থতার চিকিৎসা চলছিল৷ শেষ পর্যন্ত হেমন্তের সকালে সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে সাজানো বাগান ফেলে চলে গেলেন বাঞ্ছারাম৷
১৯৩৮ সালের ২২ ডিসেম্বর অবিভক্ত বাংলাদেশের খুলনা জেলার সাতক্ষীরা মহকুমার ধুলিহর গ্রামে জন্ম হয় তাঁর। ১৯৫৮ সালে স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে দর্শনে অনার্স-সহ স্নাতক হন তিনি। এই কলেজেই থিয়েটারে দীক্ষিত হন। সঙ্গী হিসেবে পান বাদল সরকার, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তের মতো ব্যক্তিত্বদের। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে এমএ করেন। অভিনেতার বাবা অশোককুমার মিত্র এবং মা ছিলেন রাধারাণী মিত্র। বাবার ইচ্ছা ছিল ছেলে অধ্যাপনা করুক। ছেলের ইচ্ছা অভিনয়। তাই অভিনেতা চেয়েছিলেন কলকাতার কাছের এমন কোনও কলেজে যোগ দিতে যেখানে চাকরি করতে করতে তাঁর থিয়েটার চালিয়ে যাওয়া সম্ভব। ১৯৫৭ সালে কলকাতায় মঞ্চনাটকে অভিনয় শুরু মনোজ মিত্রর (Manoj Mitra)। ১৯৭৯ সালে তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন।
‘বাঞ্ছারামের বাগান’, ‘ঘরে বাইরে’, 'শত্রু'-সহ একাধিক ছবিতে তাঁর অভিনয় দর্শকের মন জয় করেছে। 'আদালত ও একটি মেয়ে' ছবিতে তাঁর অভিনয় জায়গা করে নিয়েছে বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে। সময় যত এগিয়েছে, মঞ্চ থেকে পর্দা, দিনে দিনে অভিনেতা হিসেবে সকলের মন জয় করেছিলেন মনোজ।