Friday, September 20, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

Army Compulsory service: সেনাবাহিনীতে যোগ বাধ্যতামুলক! নয়া সিদ্ধান্তের কী প্রভাব পড়বে ভারতে?

Editor | 14:32 PM, Wed Feb 21, 2024

নিউজ ডেস্ক: গৃহযুদ্ধের ভয়ংকর আকার নিচ্ছে মায়ানমারে। সেই আগুনের আঁচ পড়ছে ভারত ও বাংলাদেশেও। শরণার্থীদের ঢল ও জঙ্গি অনুপ্রবেশে প্রশ্ন উঠছে জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে। ভারতে জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত কুকি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠছে মায়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের দিকে। এবং বাংলাদেশের বেশ কিছু বর্ডার আউটপোস্ট দখল নিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিদ্রোহীদের অগ্রগতি রুখতে নয়া নীতি নিল মায়ানমারের সামরিক জুন্টা সরকার। সে দেশের ‘সক্ষম’ নাগরিকদের সামরিক বাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করে জারি হল সরকারি নির্দেশিকা।

সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক যোগদান এড়াতে মায়ানমারের তরুণ প্রজন্মের বড় অংশ এ বার দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন বলে সে দেশের গণতন্ত্রপন্থীরা মনে করছেন। উল্লেখ্য, মায়ানামারের এই সংঘর্ষের জেরে বাংলাদেশে ফের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ঢল নামার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যা নিয়ে চূড়ান্ত সতর্কতা অবলম্বন করছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। প্রতিবেশী দেশে সংঘর্ষের জেরে রোহিঙ্গারা দেশে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য সমস্ত রকম পদক্ষেপ করছে বিজিবি (‘বর্ডার গার্ড পুলিশ’)। 

তবে ইতিমধ্যেই মায়ানমার সেনা এবং বিজিপি বাহিনীর বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ঘাঁটি তাউং পিও (বাম) দখল করে নিয়েছেন বিদ্রোহী আরাকান গোষ। বাংলাদেশের কক্সবাজার লাগোয়া মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের মংডু শহরের অদূরে কয়েকটি সীমান্ত চৌকি দখলের কথা জানা গেছে। 

প্রসঙ্গত, মায়ানমারের তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী— ‘তাঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ (টিএনএলএ), ‘আরাকান আর্মি’ (এএ) এবং ‘মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’ (এমএনডিএএ)-র জোট ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’ নভেম্বর থেকে সে দেশের সামরিক জুন্টা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছিল। এর পরে জুন্টা-বিরোধী যুদ্ধে শামিল হয়, আরাকান আর্মি, ‘চিন ন্যাশনাল আর্মি’ (সিএনএ) এবং ‘চায়নাল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স’ (সিডিএফ), ‘কাচিন লিবারেশন ডিফেন্স ফোর্স’ (কেএলডিএফ)-এর মতো বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলিও। যার ফলে মায়ানমারের পাশাপাশি নিরাপত্তাজনিত সমস্যা তৈরি হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের কিছু অঞ্চলে। 

upload
upload