Jharkhand: ঝাড়খণ্ডে গঙ্গায় ডুবে গেল দমকলের গাড়ি,নিখোঁজ চালক
Sweta Chakra... | 18:06 PM, Sat Dec 21, 2024
Kejriwal announces ambedkar scholarship: আম্বেদকর স্কলারশিপের ঘোষণা কেজরির, দলিতদের শিক্ষায় দিলেন জোর
Sweta Chakra... | 18:00 PM, Sat Dec 21, 2024
kuwait: কুয়েত পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী, উষ্ণ অভ্যর্থনা জানালেন প্রবাসী ভারতীয়রা
Sweta Chakra... | 17:45 PM, Sat Dec 21, 2024
Mandarmoni: মন্দারমণির হোটেলে উদ্ধার তৃণমূল নেতার ঝুলন্ত দেহ, আটক বান্ধবী
Sweta Chakra... | 16:08 PM, Sat Dec 21, 2024
Alipurduar: আলিপুরদুয়ারে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেলারে আগুন
Sweta Chakra... | 15:52 PM, Sat Dec 21, 2024
Murshidabad: জলঙ্গিতে নিখোঁজ যুবকের দেহ উদ্ধার, শোরগোল দক্ষিণপাড়ায়
Sweta Chakra... | 15:23 PM, Sat Dec 21, 2024
Sweta Chakra... | 13:59 PM, Sat Dec 21, 2024
Sweta Chakra... | 13:44 PM, Sat Dec 21, 2024
Sweta Chakra... | 13:39 PM, Sat Dec 21, 2024
Sweta Chakra... | 13:36 PM, Sat Dec 21, 2024
PM narendra modi visit kuwait: ২১-২২ ডিসেম্বর কুয়েত সফরে যাচ্ছেন মোদী, একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর
Sweta Chakra... | 18:01 PM, Fri Dec 20, 2024
নিউজ ডেস্ক: জগদ্ধাত্রী পুজোর ঐতিহ্য নিয়ে চর্চা হলে কৃষ্ণনগরের কথা আসবেই। বলা হয়, স্বপ্নাদেশ পেয়ে মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র দেব জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু করার পরেই তা ছড়িয়ে পড়ে বাংলা জুড়ে। আর কৃষ্ণনগরের জনপ্রিয় পুজো গুলির মধ্যে অন্যতম কৃষ্ণনগর শহরে চাষাপাড়া বারোয়ারির জগদ্ধাত্রী পুজো। এই বারোয়ারির প্রতিমা 'বুড়িমা' নামে পরিচিত। কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোয় ঐতিহ্য ও আবেগের অন্য নাম চাষাপাড়ার 'বুড়িমা'। প্রায় কমবেশি ২৫০ বছর ধরে হয়ে আসছে এই পুজো। ১৭৭২ সালে এই পুজো শুরু হয়। এবছর ২৫২তম বর্ষে পদার্পণ করল 'বুড়িমা'র পুজো।
কথিত, কোনও এক সময়ে রাজা চাষাপাড়ার পুজোর দায়ভার নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন। তখন দেবী নাকি তাঁকে স্বপ্নাদেশ দেন, চাষাপাড়ায় যে সব লেঠেলরা রয়েছেন, তাঁরাই এই পুজোর দায়ভার বহন করবেন। তবে কারও কারও মতে, রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের এই স্বপ্নাদেশ পাওয়ার গল্প সত্যি নয়। রাজা নাকি তাঁর বাড়ির পুজো অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই প্রজাদের অনুদান দিতেন। দেবীর এই ‘বুড়িমা’ নাম কিন্তু প্রথম থেকেই ছিল না। আনুমানিক ৭০-৭৫ বছর আগে এই নাম দেওয়া হয়েছে।
জগদ্ধাত্রী পুজো চার দিনের হলেও কৃষ্ণনগরে মূলত একদিনের পুজো হয়। কৃষ্ণচন্দ্রের শহরে মূল পুজো হয় নবমীর দিনে। এই পুজো দেখতে লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় করেন কৃষ্ণনগরে। প্রায় ২ লক্ষ মানুষকে ভোগ প্রসাদ দেওয়া হয়। এই পুজোর জন্য কোনও চাঁদা তুলতে হয় না, মানুষ লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে চাঁদা জমা দিয়ে যান। প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ টাকা জমা পরে 'বুড়িমা'র পুজোর জন্য। ১৫ কেজির সোনার অলংকার দিয়ে সাজানো হয় 'বুড়িমা'কে।
পুজো উপলক্ষে পাঁচ দিন ধরে চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বুড়িমার বিসর্জন রীতিতেও আছে বৈশিষ্ট্য। কৃষ্ণনগরের সকল প্রতিমা বিসর্জনের পরে সব শেষে বুড়িমার বিসর্জন করা হয়। যত ক্ষণ না প্রতিমার বিসর্জন হচ্ছে, তত ক্ষণ রাস্তার দু’ধারে ভক্তরা ঠায় দাঁড়িয়ে থাকেন। প্রথা মেনে দেবী কাঁধে চেপেই বিসর্জনের পথে যান। আগে তাঁকে রাজবাড়ি ঘোরানো হয়, তার পরে নিয়ে যাওয়া হয় জলঙ্গীর ঘাটে।
Nadia: রোবট অনন্যার প্রেমে ভোজনরসিকরা এই রেস্তোরাঁয় কেন ভিড় জমাচ্ছেন জানেন?
নিউজ ডেস্ক: অনন্যা নামে রোবটে মজেছে কৃষ্ণনগরের একটি নামজাদা রেস্টুরেন্টের ভোজনরসিকরা। কিচেন রুম থেকে খাবার বয়ে নিয়ে, সোজা খাবার টেবিলে পৌঁছে যাচ্ছে এই অনন্যা। ভিড়ভাট্টা দেখলেই থমকে যাচ্ছে অনন্যা এবং বলছে "আমি অনন্যা খাবার নিয়ে যাচ্ছি আমাকে রাস্তা দিন"। শুধু তাই নয় গ্রাহকের স্পেশাল দিনে খাবার বা কেক ডেলিভারি করে গাইছে গান। আর তাই দিনের পর দিন ভিড় বেড়েই চলেছে নদিয়া কৃষ্ণনগরের (Nadia) ওই রেস্তোরাঁয়।
২০১৩ সালে তিনজন মহিলা নিয়ে কৃষ্ণনগরের (Nadia) জাতীয় সড়কের ধারে একটি পেট্রোল পাম্পের পিছনে শুরু হয়েছিল রেস্তোরাঁটি। গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে ১১ বছরে একটি অভিজাত রেস্তোরাঁর সমকক্ষে পরিণত হয়েছে আজ। কিন্তু কেন রোবটের নাম অনন্যা? সে এক অজানা কাহিনী। যখন প্রথম শুরু হয়েছিল, তখন তিনজন মহিলার মধ্যে একজনের নাম ছিল অনন্যা। তাঁর বাড়ি, নদিয়ার শান্তিপুরের ফুলিয়াতে। রেস্তোরাঁর তিন মহিলার মধ্যে দুজনেই কাজ ছেড়ে চলে যান কিন্তু থেকে যান অনন্যা। আর অনন্যার হাত ধরেই আজ এই রেস্তোরাঁ পূর্ণতা ও পরিচিতি লাভ করেছে। আর সেই কারণেই অনন্যাকে সম্মান জানাতেই অত্যাধুনিক রোবটের নাম অনন্যা রাখা হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত মোট চারটি অনন্যা নামের রোবট সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ক্রমাগত মানুষের কাছে খাবার পরিবেশন করে যাচ্ছে। রোবটের চলার পথে ভিড়ভাট্টা হলেই দাঁড়িয়ে পড়ছে এবং জায়গা দেওয়ার অনুরোধ করছে। রেস্তোরাঁতে খাবার খেতে আসা সকলেই একটু ফাঁক পেলেই অনন্যার সঙ্গে ছবি তুলে নিচ্ছে। শিশুরা রোবট অনন্যাকে নিয়ে মজাও করছে খুব। মহিলা পরিচালিত রেস্তোরার (Nadia) বর্তমান মূল আকর্ষণ অনন্যা নামের এই রোবট।
তবে রেস্তোরাঁ (Nadia) কর্তৃপক্ষের তরফে শুভঙ্কর মন্ডল বলেছেন, “এই রোবট শুধু খাবার ডেলিভারি নয় পরবর্তীতে হাউসকিপিং, ক্লিনিং সমস্ত কাজই করে। একদম নিজস্ব টেকনিক্যাল টিমের তৈরি এই রোবট। পরবর্তীতে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রেও বিক্রয় করা হবে। তবে অনন্যার এই কাজ খুবই প্রশংসিত হয়েছে স্থানীয় ভোজন রসিক থেকে শুরু করে দেশের বাইরের ভোজন রসিকদেরও। রাজ্যের একমাত্র রেস্তোরাঁ, যেখানে এখন আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত রোবটিক্স টেকনোলজিতে চলছে খাবার পরিবেশন এবং ভোজন রসিক গ্রাহকদের মনোরঞ্জন।
krishnanagar tmc candidate mahua moitra : নির্বাচনী প্রচারে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! মহুয়ার গাড়ি থেকে নেতাকে নামিয়ে দিল কর্মীরা
নিউজ ডেস্ক: মহুয়া মৈত্রের (Mahua moitra) নির্বাচনী প্রচারে ভরদুপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব । তৃণমূল নেতা (TMC) জেবের শেখের নামে গো ব্যাক স্লোগান দিল তৃণমূল কর্মীরা। এদিন কৃষ্ণনগর (Krishnanagar) লোকসভা কেন্দ্রের চাপড়া (Chapra) থানার হাতিশালা (hatishala) জিদা এলাকায় চলছিল মহুয়া মৈত্রের নির্বাচনী প্রচার(Election campaign)। এরপরই তার গাড়িতে দেখা যায় জেবের শেখ কে।
জেবের শেখ দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল করলেও ২০২১ এর বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্দল হয়ে লড়াই করেছিল। জমানত বাজেয়াপ্ত হওয়া নির্দল (Independent) জেবের শেখকে মহুয়া মৈত্র জেলা সভাপতি হওয়ার পর পুনরায় তৃণমূলে যোগদান করিয়েছিলেন। এদিন মহুয়া মৈত্রের পাশে তাকে দেখতে পেয়েই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্ব।
জানা যায় গাড়ি থেকে জেবের শেখকে নামিয়ে দেওয়া হয়। এরপরেই জেবের শেখের নামে গো ব্যাক স্লোগান দিতে থাকে তারা। যদিও ক্ষুব্ধ কর্মীদের থামাতে দেখা যায় মহুয়া মৈত্রকে। কর্মীদের থামানোর সময় মহুয়াকে ধমক দিতে দেখা যায়। সেই সময়কার ঘটনা ক্যামেরাবন্দী করছিলেন এক তৃণমূল কর্মী। মহুয়া তাঁকে হুমকির সুরে বলেন, “ ক্যামেরা বন্ধ কর। ছবি ডিলিট কর। নাহলে আমার কাছে খাবে এক।”
মহুয়া মৈত্রর উগ্র মেজাজের কথা সকলেরই জানা। ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন কাণ্ডের তদন্তচলাকীন তদন্তকারীদের মেজাজ হারিয়ে অনেক কথা বলেছিলেন তিনি। পরে দোষী সাব্যবস্ত হয়ে তিনি তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন। সাংবাদিকদের ‘দু-পয়সার’ মন্তব্য করে নিন্দা কুড়িয়েছিলেন তিনি। এবার তার এলাকায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে নিজেদের দলের নেতাকেই তাড়ানো এবং ধমকের ঘটনায় তৃণমূলের নড়বড়ে সংগঠনের বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে এল। যদিও এ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের আধিকারিক প্রতিক্রিয়া মেলেনি ।
Mamata Banerjee At Krishnanagar: কৃষ্ণনগরের সভা থেকেই CAA-NRC নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ফের সুর চড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক: কৃষ্ণনগরে জনসভা দিয়ে লোকসভা নির্বাচনে প্রচার শুরু করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায়৷ কৃষ্ণনগরের ধুবুলিয়ায় সুকান্ত স্পোর্টিং ক্লাবের মাঠে এই সভা হচ্ছে৷ এদিন মুখ্যমন্ত্রী সভা থেকেই সিএএ থেকে এনআরসির মত একাধিক ইস্যু নিয়ে ফের সুর চড়ালেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। বাদ গেল না বাম, কংগ্রেস ও আইএসএফও । মঞ্চ থেকে আবার একলা চলো-র বার্তাও দেন তিনি।
রবিবার প্রকাশ্য জনসভায় দলের প্রার্থী মহুয়া মৈত্রকে (Mahua Moitra) জেতানোর আবেদনের পাশাপাশি কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির (Krishnanagar Rajbari) ইতিহাস নিয়েও ফের ভয়ঙ্কর তথ্য সামনে এনেছেন তৃণমূলনেত্রী। এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও (Narendra Modi) নিশানা করেছেন মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী কৃষ্ণনগরের অমৃতা রায় ৷ গত বছর প্রশ্নের বিনিময়ে অর্থ কাণ্ডে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয় মহুয়া মৈত্রকে ৷ সেই ঘটনার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, এই কেন্দ্রটি থেকেই ফের প্রার্থী হবেন মহুয়াই ৷ এবার সেই মহুয়ার হয়েই কৃষ্ণনগরে প্রচারে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন মহুয়ার হয়ে জনসমর্থন চাওয়ার পাশাপাশি, জাতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী I.N.D.I.A জোট নিয়েও মুখ খুললেন মমতা। জানালেন, I.N.D.I.A জোটের নামটাও তাঁর দেওয়া। নির্বাচন মিটলে বাকিটাও দেখে নেবেন তিনি। এদিন মমতা আরও বলেন, "তৃণমূলকে কেন ভোট দেবেন? লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পান তো। মাসে মাসে পেয়ে যাবেন। সারাজীবন পাবেন। মোদিকে এখন ঝুটা কথা বলতে হচ্ছে। জুমলা পার্টি বিজেপি। দেওয়াললিখন দিচ্ছে ৩০০০ দেবে। আমি বলি আগে ১০০ টাকা দিয়ে দেখা। এতদিন কেন দিসনি? এটা আমাদের করা। তোমাদের নয়। আজ পর্যন্ত না মেয়ে, না ছেলে, না কৃষক, না হিন্দু, না মুসলিম, না শিখ, না মতুয়াদের জন্য, কারও জন্য কিছু করোনি।"
Mahua Maitra Breaking: দিল্লিতে তলব এড়িয়ে কৃষ্ণনগরে প্রচারে মহুয়া মৈত্র
নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে জোড়া এজেন্সির চাপে মহুয়া মৈত্র। ইডির সমনে দিল্লি গেলেন না মহুয়া মৈত্র। দিল্লিতে তলব এড়িয়ে কৃষ্ণনগরে প্রচারে তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন সংক্রান্ত মামলায় বৃহস্পতিবার মহুয়া মৈত্রকে তলব করেছিল ইডি। প্রয়োজনে ভার্চুয়ালি হাজিরা দেওয়ার কথা জানান মহুয়া মৈত্র।
প্রচারের কারণে ইডির হাজিরা এড়ালেন মহুয়া মৈত্র। "ভোটের প্রচারে ব্যস্ত আছেন যেতে পারবেন না", আইনজীবী মারফত ইডিকে জানিয়েছেন মহুয়া।
প্রসঙ্গত এর আগে ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন কাণ্ডে মহুয়া মৈত্রের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। আর আজ মহুয়াকে দিল্লিতে সমন করেছিল ইডি। তবে ইডির ডাকে দিল্লিতে হাজিরা এড়ালেন মহুয়া মৈত্র। মহুয়া ছাড়াও বৃহস্পতিবার তার বন্ধু ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানিকেও তলব করেছিলি ইডি।
উল্লেখ্য অতীতেও এই একই মামলায় কৃষ্ণনগরের বহিষ্কৃত সাংসদকে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু সেই সময়েও হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি। ই মামলা সম্পর্কে ইডি সূত্রে জানা যায়, বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনে মহুয়ার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। তদন্তকারী অফিসারদের নজরে বিদেশি মুদ্রা লেনদেনের কয়েকটি ঘটনা রয়েছে। একটি নন-রেসিডেন্ট এক্সটারনাল (এনআরই) অ্যাকাউন্টের লেনদেনও তাঁদের নজরে রয়েছে। সেই সংক্রান্ত বিষয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করতে মহুয়া এবং দর্শনকে তলব করা হয়েছে।
CBI At Mahua Mitra's House: ভোটের মুখে বিপাকে মহুয়া মৈত্র, তৃণমূল প্রার্থীর বাড়িতে চলছে সিবিআই তল্লাশি
নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় ফের কেন্দ্রীয় এজেন্সির তৎপরতা। ভোটের মুখে আরো বিপাকে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। শুক্রবার ইডির অভিযান আর শনিবার অ্যাকশনের সিবিআই। ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন বিতর্কে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে তদন্তে সিবিআই। আলিপুরের একটি ফ্ল্যাটে চলছে সিবিআই এর তল্লাশি। তাদের সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জাওয়ানরা।
শনিবার সকাল সাতটা থেকে আলিপুরের ওই ফ্ল্যাটে চলছে সিবিআই তল্লাশি। উল্লেখ্য লোকসভা ভোটের মুখে ফের শহরে সিবিআই তৎপরতা। রবিবারের দিল্লিতে মহুয়াসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মামলা রজু সিবিআই এর। তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের কলকাতার বাড়িতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
সম্প্রতি লোকপাল সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। প্রায় ছয় থেকে সাত জন তদন্তকারী চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তল্লাশি চালাচ্ছে আলিপুরে মহুয়ার বাবা ব্যবসায়ী ডি এল মৈত্রের বাড়িতে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেড়াটোপে চলছে তল্লাশি অভিযান।
প্রসঙ্গত সংসদে ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন কাণ্ডে বহিষ্কৃত হন মহুয়া মৈত্র। এবার এই তদন্তে সিবিআইকে ছয় মাসের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ আদালতের।
PM Narendra Modi: কোরাপশানের সঙ্গে নাম জড়ালেন তৃণমূলের! TMC-এর ফুল ফর্ম কী? দুর্নীতি প্রসঙ্গে তৃণমূলকে আক্রমণ মোদীর
নিউজ ডেস্ক: TMC-র মানে এখন তু-ম্যায় করাপশান হি কোরাপশান। শনিবার কৃষ্ণনগরের সভা থেকে এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তৃণমূলকে দুর্নীতি ইস্যুতে কড়া আক্রমণ হানলেন প্রধানমন্ত্রী। ১০০ দিনের কাজে 'বঞ্চনা' ইস্যুতে গত কয়েক মাসে বিজেপিকে নিশানায় এনে বারবার সরব হয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিনের সভায় তার পাল্টা জবাব দিলেন মোদী।
দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলকে তোপ দেগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই তৃণমূল সরকার প্রতিটি স্কিমকে স্ক্যামে পরিণত করে দেয়। তবে মোদীর গ্যারান্টি, আগামী ৫ বছর ফ্রি রেশন দেবে। তবে তৃণমূল তাতেও নিজেদের স্টিকার লাগায়। রেশন চুরি করতেও তারা পিছ পা হয় না।’ এদিন দুর্নীতি প্রসঙ্গে মোদী আরও বলেন, তৃণমূল অত্যাচার আর দুঃশাসনের অপর নাম হয়ে গেছে। তৃণমূল মানে ভ্রষ্টাচার, পরিবারবাদ। তৃণমূল বাংলার মানুষকে গরীব বানিয়ে রাখতে চায় যাতে ওদের খেলা চলতে থাকে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন বাংলার মানুষ এটা বুঝে নিন, মোদীর গ্যারান্টি মানে গ্যারান্টি পূরণ হওয়ার গ্যারান্টি।
এরপর সন্দেশখালি প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী তৃণমূলকে নিশানা করে বলেন, এতদিন রাজ্য সরকার চায়নি সন্দেশখালির দোষী গ্রেফতার হোক। তৃণমূল সন্দেশখালির মায়েদের আর্তি শোনেনি। কিন্তু সন্দেশখালির পাশে দাঁড়িয়েছে বিজেপি। তাই তৃণমূল অপরাধীকে ধরতে বাধ্য হয়েছে। পাশাপাশি তিনি বলেন বাংলাকে গরিব করে রাখতে চায়। সেই কারণেই তৃণমূল সরকার দরিদ্রদের জন্য প্রকল্প চালু করতে দিচ্ছে না। তৃণমূল বাংলার মানুষকে নিরাশ করছে। এই তৃণমূলকে ভোটের মাধ্যমে শিক্ষা দিতে হবে। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল মা মাটি মানুষের স্লোগান দিয়ে ভোট নিয়েছে। কিন্তু আজ মা মাটি মানুষ সবাই কাঁদছে। সন্দেশখালির মানুষ বিচার চেয়েছে। কিন্তু তৃণমূল সরকার ওদের শোনেনি। এখানে পুলিশ নয়, অপরাধী ঠিক করে তাকে কখন গ্রেফতার করা হবে, কখন সে সারেন্ডার করবে। তৃণমূল সরকার কখনও চায়নি ও শাস্তি পাক। কিন্তু বাংলার নারী শক্তি মা দুর্গার রূপ ধারণ করেন। তাদের পাশে আমরা দাঁড়াই। তখন সরকার বাধ্য হয় গ্রেফতার করতে। মহিলাদের জন্য কোনও প্রকল্প এখানে রাজ্য সরকার লাগু হতে দেয় না।
কিছুদিন আগেই কল্যাণী এইমস আমরা মানুষকে উৎসর্গ করেছি। ১০০০ সজ্জার এই হসপিটাল রোজগারে সুযোগ আনবে, স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতি হবে। কিন্তু তাতে তৃণমূলের সমস্যা। ওরা বলছে এটার অনুমোদন নেই। পুরো রাজ্যে তোলাবাজি, দুর্নীতি, গুন্ডামি পুরো পারমিশন রয়েছে। কিন্তু এত বৃহৎ একটা কাজে তৃণমূল পরিবেশের দোহাই দিয়ে পারমিশনের কথা বলছে। তৃণমূলে আগে কমিশন তার পর পারমিশন। কমিশন না দিলে পারমিশন নেই। তৃণমূল আয়ুষ্মান ভারত লাগু হতে দিচ্ছে না। আমরা পশ্চিমবঙ্গে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতি করেছি। ২০১৪ এর আগে রাজ্যে সরকারি মেডিকেল কলেজ ছিল ১৪ টি। এখন দশ বছরে সেই সংখ্যাটা হল ২৬। দ্বিগুণের বেশি। এক সময় এই জায়গা পাটের জন্য বিখ্যাত ছিল। কিন্তু তৃণমূলের আমলে পাটের চাষ এবং ব্যবসা নষ্ট হয়ে গেছে। বিজেপি সরকার পাটের জন্য নানা উদ্যোগ নিয়েছে। বিজেপি সরকার গম, চিনির বস্তায় জুটের বস্তার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে। প্লাস্টিকের বস্তা বন্ধ করেছে। পাট চাষে এমএসপি বাড়ানো হয়েছে। ৩ লাখের বেশি কৃষককে বীজ দেওয়া হয়েছে। সবাই পিএম কিষান থেকে লাভ পাচ্ছেন।
পুরো দেশে বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও চলছে। এখানে লাগু হতে দিচ্ছে না। মহিলা হেল্প লাইন চালু হয়েছে। তৃণমূল সেটা নিয়েও উদাসীন। দেশজুড়ে ১০ কোটি উজ্বালা যোজনা দেওয়া হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে ১৩ লাখ এপ্লিকেশন এসেছে। কিন্তু উজ্জ্বলা কমিটি বানানো হয়নি এখানে। এরা চাইছে কেন্দ্র সরকারের প্রকল্পের সুবিধা কারা পাবে সেটা তৃণমূলের তোলাবাজরা ঠিক করবে। এখানে ২৫ লাখ ভুয়ো জবকার্ড আছে। যে জন্মায়নি তার নামেও কার্ড হয়েছে। যে টাকা গরীব মানুষের পাওয়ার কথা ছিল সেটা তোলাবাজরা পেয়েছে। ওদের একটাই লক্ষ্য কেন্দ্রের প্রকল্পকে রাজ্য সরকারের স্টিকার লাগিয়ে চালানো। স্কিমকে স্ক্যামে বদলে দিয়েছে তৃণমূল।
মোদী জানান ৬ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হচ্ছে। আগামী ৫ বছর এই যোজনা চলবে। এটা মোদীর গ্যারান্টি। এর পাশাপাশি তিনি জানান আগামী ৫ বছরে অসংখ্য কর্মসংস্থান করবে বিজেপি। এই সময়ে পশ্চিমবঙ্গ তেও আমূল পরিবর্তন আনতে হবে। তার জন্য লোকসভা ভোটকে হাতিয়ার করতে হবে। বাংলার বিকাশ হলে তবেই দেশের বিকাশ হবে। প্রতি লোকসভায় পদ্ম ফুটতে হবে। এইবার এনডিএ সরকার ৪০০ পার। সবশেষে এমন বক্তব্য রেখেই সভা শেষ করেন মোদী।
PM Modi At Krishnanagar: কৃষ্ণনগরে পৌঁছলেন মোদী, প্রধানমন্ত্রীকে দেখেই জনসভায় উঠল ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি
নিউজ ডেস্ক: শনিবার রাজ্যে মোদীর দ্বিতীয় দিন। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কৃষ্ণনগরে পৌঁছেছেন। সেখানে ইতিমধ্যেই বিজেপি নেতারা উপস্থিত হয়েছেন মোদীকে স্বাগত জানাতে। শনিবার কৃষ্ণনগরে সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। সকাল থেকেই সেই সভকে ঘিরে রয়েছে উচ্ছ্বাস উদ্দীপনা। কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় চলছে নজরদারি। স্নিফার ডগ দিয়ে চলছে তল্লাশিও।
রথে চেপে কৃষ্ণনগরের জনসভায় প্রবেশ করলেন নরেন্দ্র মোদী। জনতার উদ্দেশে হাত নাড়তে নাড়তে জনসভায় আসেন প্রধানমন্ত্রী। মোদীকে দেখেই জনসভায় উঠল ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি। এরপর জনতার মাঝ খান দিয়ে এসে মঞ্চে উঠলেন প্রধানমন্ত্রী। মঞ্চে মোদী ছাড়াও উপস্থিত রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, সাংসদ শান্তনু ঠাকুর, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বাংলার উন্নয়নের জন্য ১৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের ঘোষণা করলেন মোদী।
প্রশাসনিক সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, এদিন কৃষ্ণনগর স্টেডিয়ামে বায়ু সোনার বিশেষ বিমানে প্রধানমন্ত্রী এসেছেন। সেখান থেকে তিনি প্রথমে চলে গিয়েছেন গাছ তলার মাঠে। সেখানে পৌঁছে সাড়ে ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত একটি সরকারি কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন। একগুচ্ছ প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করেছেন তিনি। এরপর কৃষ্ণনগর সরকারি কলেজের মাঠে একটি দলীয় জনসভায় ভাষণ রাখার কথা মোদীর। ১২টা পর্যন্ত সভাস্থলে থাকার পরে রাজ্য ছাড়বেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত,এই কৃষ্ণনগর থেকেই গতবার লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র। আবার এই লোকসভা কেন্দ্রে মতুয়া ভোটের প্রভাব রয়েছে বেশ ভালো। এই আবহে আজ কৃষ্ণনগর থেকে সিএএ নিয়ে কোনও বার্তা প্রধানমন্ত্রী দেন কি না, সেদিকে নজর থাকবে সবার।