Sweta Chakra... | 13:57 PM, Tue Oct 08, 2024
RG Kar Hearing Breaking: আরজি কর মামলার শুনানি শুরু সুপ্রিম কোর্টে
Sweta Chakra... | 11:04 AM, Mon Sep 09, 2024
RG Kar BREAKING: সিল বন্ধ খামে আরজি কর কাণ্ডের তদন্তের রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই
Sweta Chakra... | 11:39 AM, Thu Aug 22, 2024
Buddhadeb Bhattacharjee: সকালে প্রাতঃরাশ সেরেই অসুস্থ, প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বয়স হয়েছিল ৮০
Sweta Chakra... | 11:47 AM, Thu Aug 08, 2024
Astra Mark 1: বিমান বাহিনীর অস্ত্র ভান্ডারে এবার দেশীয় দুরপাল্লার মিসাইল
Pankaj Kumar... | 16:58 PM, Wed Aug 07, 2024
RSS বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবি আরএসএসের
Pankaj Kumar... | 16:41 PM, Wed Aug 07, 2024
Paris Olympics 2024: প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছ ইতিহাস গড়লেন মানিকা বাত্রা, জাগালেন পদকের আশা
Pankaj Kumar... | 12:50 PM, Tue Jul 30, 2024
Amarnath Yatra: অমরনাথ যাত্রায় হামলার ছক, এবার খলিস্তানীদের ময়দানে নামাচ্ছে পাকিস্তান
Pankaj Kumar... | 18:35 PM, Sat Jul 27, 2024
Terrorist Attack: জঙ্গিদের ছবি প্রকাশ্যে এল, মাথার দাম পাঁচ লাখ টাকা
Pankaj Kumar... | 18:32 PM, Sat Jul 27, 2024
Meerut Police: নির্ভয়ার স্মৃতি ফিরল মেরঠে, গ্রেফতার হাসিন, শাহরুখ, একরামউদ্দিন এবং মহসিন
Pankaj Kumar... | 15:46 PM, Sat Jul 27, 2024
BJP Protest: “অন্য ধর্মে জন্মানো দুর্ভাগ্যের”, ফিরহাদের বিতর্কিত মন্তব্যে তোলপাড় বিধানসভা
Pankaj Kumar... | 15:23 PM, Sat Jul 27, 2024
নিউজ ডেস্ক: লাগাতার বৃষ্টির জেরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি শুরু হয়েছে উত্তরবঙ্গে। জানা যাচ্ছে ধসের জেরে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। এ দিকে বৃষ্টির জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। গত কয়েক সপ্তাহ আগেই ভয়াবহ গরমে তেতেছিল দার্জিলিং (Darjeeling)। সেপ্টেম্বর মাসে তাপমাত্রা ছিল ৪০ ছুঁইছুঁই। কার্যত গরমে নাজেহাল অবস্থা হওয়ার জোগাড় ছিল পাহাড়বাসীদের। আর এবার বৃষ্টি হতেই ধসের জেরে জীবন বিপর্যস্ত সাধারণ মানুষের।
জানা যাচ্ছে ধসের জেরে যে বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে তাঁর নাম রঘুবীর রাই (৭৮)। বাড়ি দার্জিলিং (Darjeeling) থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরের বুজুওয়া গ্রামে। জানা যাচ্ছে, এ দিন সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। সেই সময় আচমকাই ধস নামে। মৃত্যু হয় তাঁর। মৃতের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের কথা জানানো হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দার্জিলিঙে বৃষ্টি হয়েছে ১৭৫.৪ মিলিমিটার। বৃহস্পতিবার সারাদিন দার্জিলিঙে (Darjeeling)ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে আবহাওয়া দপ্তরের। তবে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস মিলে গেলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন সেখানকার এলাকাবাসীরা। যদিও জানা গিয়েছে, দার্জিলিংয়ে এই মুহূর্তে কোনও পর্যটক আটকে নেই। আপাতত নিরাপদেই রয়েছেন তাঁরা।
অন্যদিকে প্রবল বৃষ্টির কারণে দার্জিলিং (Darjeeling) থেকে রক গার্ডেন যাওয়ার রাস্তাতে ধস নামে। ফলে রক গার্ডেন যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সুখিয়াতে লেপচাজগতের কাছেও রাস্তায় ধস নেমেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত রক গার্ডেন আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জিটিএ। কিছুদিন আগেই রক গার্ডেনকে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জিটিএ। তারপরই এই ধসের ঘটনা ঘটল। একাধিক জায়গায় ধসের জেরে বিপর্যস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা। সকাল থেকেই প্রশাসনের তরফে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।
ধসের পাশাপাশি দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে তিস্তা নদীতে জলের পরিমাণ আরও বেড়েছে। সব মিলিয়ে গতকালের পর থেকে পাহাড়ি এলাকার পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক।
Darjeeling Landslide: ফুঁসছে তিস্তা, লাগাতার বৃষ্টিতে দার্জিলিঙে ধস! বিপদ বাড়ছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে
নিউজ ডেস্ক: লাগাতার বৃষ্টিতে ফের বিপজ্জনক পরিস্থিতি পাহাড়ে। কালিম্পং তো বটেই, ধস (Darjeeling Landslide) নেমেছে দার্জিলিংয়ের সিংমারি সহ একাধিক জায়গায়। এই বর্ষার মরশুমে মোট ন'বার ধস নামল দার্জিলিং পাহাড়ে। এরই মধ্যে টানা ভারী বৃষ্টি হওয়ায় জল বাড়ছে তিস্তায়। তিস্তাবাজার, সেবক, বাসুসুবা, গজলডোবা সহ একাধিক জায়গায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ধসের জেরে বিচ্ছিন্ন একাধিক জায়গা। ধসে বিদ্যুতের পোল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় একাধিক জায়গায় বিদুৎ নেই।
আবহাওয়া দফতরের পুর্বাভাস অনুযায়ী শনিবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টি চলবে পাহাড়-সহ সমতলে। আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ির বেশ কয়েকটি জায়গায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির কথা আগেই জানিয়েছিল সিকিম আবহাওয়া দফতর। তার মধ্যেই তিস্তায় নতুন করে জলস্ফীতি ঘটায় তিস্তাপারের বাসিন্দাদের সতর্ক করল প্রশাসন। বিপদ এড়াতে কয়েকটি এলাকায় নজরদারি শুরু করে দেওয়া হয়েছে। সতর্কতা জারি করা হয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক-সহ পাহাড়ি রাস্তাগুলিতে।
ধসের জন্য মাঝেমধ্যেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। তিস্তাবাজার, সেবক, গজলডোবা-সহ একাধিক জায়গায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পেশক রোড খোলা থাকলেও যেভাবে তিস্তায় জলস্ফীতি ঘটছে, তাতে এই রাস্তাটি বন্ধ (Darjeeling Landslide) হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এছাড়াও কালিম্পং এবং দার্জিলিং জেলা প্রশাসনের তরফে বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং ছাড়াও ধস নেমেছে লোয়ার সিটংয়ের ডায়েরি গাঁওয়ে। এ ছাড়াও ধসের কবলে দুধিয়া, পানিঘাটা রোডও। তবে বেশ কিছু জায়গায় ধস সরানোর কাজ চলছে। রাস্তার একাংশ দিয়ে গাড়ি চলাচলও শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, ধস এবং তিস্তার জলোচ্ছ্বাসের কারণে গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত মোট ন'বার বন্ধ (Darjeeling Landslide) হয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। পূর্ত দফতর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করায় ন'দিন পর গত মঙ্গলবার খুলেছিল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। তার মধ্যেই আবার বাংলা-সিকিম 'লাইফলাইনে' ধস নামার ঘটনা ঘটে। স্বাভাবিকভাবে আতঙ্কে পর্যটকরা।
Sevabharati: ধস কবলিত ওয়েনাড়ে বিধ্বস্ত মানুষের পাশে সেবাভারতী
নিউজ ডেস্ক: সেবাভারতীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ধস-বিধ্বস্ত ওয়েনাড়ের (Wayanad Landslide) এমানুয়েল চার্চের পুরোহিতরা। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় মানবিক কাজের জন্য পরিচিত সঙ্ঘের-এই সংস্থা (Sevabharati)।
গত মঙ্গলবার, ধসের জেরে কার্যত বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে ওয়েনাড়। মৃত্যু হয়েছে ৪০০-র বেশি মানুষের। এখনও নিখোঁজ কয়েকশো জন। দুর্গত ওয়েনাড়বাসীর সাহায্যে এগিয়ে আসেন সেবাব্রতীরা। প্রাকৃতিক নানা দুর্যোগের বিপন্নদের পাশে দাঁড়ান সেবাভারতীর সেবাব্রতীরা। জানা গিয়েছে, ওয়েনাড়ে বিপর্যয়ের পর তাঁরাই প্রথম ঝাঁপিয়ে পড়েন। সেবাব্রতীরা যখন দুর্গতদের উদ্ধার করতে প্রাণপাত করছেন, তখনই আসেন সেনাবাহিনী, ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স, কেরল পুলিশ এবং ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিসের লোকজন। এর পরেই সেবাব্রতীরা এই সব বাহিনীর লোকজনকে উদ্ধার কার্যে সাহায্য করেন। বিলি করতে শুরু করেন ত্রাণ। জানা গিয়েছে, বিপন্নদের বাঁচাতে পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে সেবাব্রতীরা কারও নির্দেশের অপেক্ষা না করেই ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন উদ্ধারকাজে (Wayanad Landslide)। তাঁদের এহেন আচরণে মুগ্ধ ওয়েনাড়বাসী।
সেবাভারতীর সদস্যদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ভাইকার এফআর পিভি চেরিয়েন। তিনি বলেন, “সেবাভারতীর কর্মীদের অস্থায়ীভাবে গির্জায় রাখা হয়েছিল। ত্রাণসামগ্রী রাখার জন্য তারা ব্যবহার করেছিল গির্জার প্রাঙ্গণ। তারা খুবই শৃঙ্খলাপরায়ন। বিপর্যয়ের সময় সেবাভারতী প্রতিফলিত করে মাদার সংগঠনের অনুকরণীয় আচরণ।” তিনি বলেন, “সেবাভারতী পেশাদারিত্ব এবং মানবিকতার এক বিরল মিশ্রণের উদাহরণ।” জানা গিয়েছে, (Wayanad Landslide), ধস-বিধ্বস্ত ওয়েনাড়বাসীকে উদ্ধার করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন সেবাভারতীর দুই কর্মী। সেবাভারতীর কর্মীরা মহৎ ও মানবিক। তাঁদের এই মহানুভবতা এবং মানবিকতার পরিচয় কেরলবাসী পেয়েছিলেন সেই ২০০৪ সালে। ওই বছর ডিসেম্বরে সুনামি হয়। ২০১৮ সালের ভয়াল বন্যায়ও কেরলবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সেবাব্রতীরা। ২০১৬ সালে যখন পুট্টিনাল মন্দিরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১১১ জনের মৃত্যু হয়, তখনও ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন সেবাব্রতীরা। প্রতিটি দুর্ঘটনার ক্ষেত্রেই তাঁরা বিলি করেছেন ত্রাণসামগ্রী। মৃতদের সৎকার্যও করেছেন তাঁরা (Sevabharati)। যে কাজ সমাজকর্মীরাও করতে কিন্তু কিন্তু করেন, সেই কাজও হেলায় করেছেন সেবাব্রতীরা (Wayanad Landslide)।
Indian Army: কোলে করে ওয়েনাড়ের দুর্গতদের উদ্ধার করছে সেনা জওয়ানেরা, প্রকাশ্যে ভিডিও
নিউজ ডেস্ক: দুদিন কেটে গেলেও এখনও স্বাভাবিক হয়নি ওয়েনাড়ের পরিস্থিতি। ভয়াবহ ভূমি ধসে (Wayanad Landslide) প্রাণহানি ক্রমশ বেড়েই চলেছে। কাদা ও বালির স্তূপ থেকে একের পর এক দেহ উদ্ধার হচ্ছে৷ তবে বৃষ্টি মাথায় নিয়েও প্রতিকূল পরিস্থিতিকে উপেক্ষা করে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন সেনা জওয়ানেরা (Indian Army)। এ বার দুর্গতদের উদ্ধার করতে মানবসেতু তৈরি করলেন তাঁরা। কোলে করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিলেন শিশুদের।
কাদা আর বালির স্তূপ ঘেঁটে ঘেঁটে এখনও প্রাণের খোঁজ চালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। সম্প্রতি ওয়েনাড়ে (Wayanad Landslide) সেনাবাহিনীর উদ্ধারকাজের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানেই দেখা গিয়েছে, কী ভাবে হাতে হাত ধরে মানবসেতু তৈরি করেছেন জওয়ানেরা (Indian Army)। ওয়েনাড়ের চূড়ামালা গ্রামে মানবসেতু তৈরি করেছিলেন জওয়ানেরা। প্রবল স্রোতে বইছে নদী। তার উপরে দুদিকের স্থলভাগে দড়ি টাঙিয়ে কোনও রকমে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মানুষকে। মাঝে সেনা জওয়ানেরা দুহাত বিছিয়ে দড়ি ধরে সংযোগ রক্ষার চেষ্টা করছেন। শিশুদের কোলে তুলে নিরাপদ স্থানে তাঁদের পৌঁছে দিচ্ছেন জাওয়ানেরা। ১২ জন জওয়ান মিলে এই মানবসেতু তৈরি করেছিলেন ওই গ্রামে।
এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে (Wayanad Landslide) এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৫০-র গণ্ডি। ২০০ জনেরও বেশি আহত গ্রামবাসীকে উদ্ধার করেছে এনডিআরএফ৷ তাঁদের চিকিৎসাও শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই৷ এখনও পর্যন্ত ৩,০০০ জনেরও বেশি লোককে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিয়েছেন উদ্ধারকারীরা৷ উদ্ধারকাজে নামানো হচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনার হেলিকপ্টারও। যাঁরা বেঁচে গিয়েছেন, তাঁরা এখন ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই ইট, কাঠ বালি, কাদা সরিয়ে স্বজনদের খুঁজে বেড়াচ্ছেন। তবে এখনই শেষ হচ্ছেনা এলাকাবাসীর দুর্ভোগ (Wayanad Landslide)। আবহাওয়া দফতরের তরফে ওয়ানাড় এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে 'কমলা' সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ১ অগস্ট ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে এই সব স্থানে। আবহাওয়া দফতর আরও জানিয়েছে, ২ অগস্টও ওয়ানাড়ে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
Kerala: কেরলের ধস ঘুম ছুটিয়েছে! দুর্যোগ মাথায় নিয়ে এখনও অব্যাহত উদ্ধারকার্য
নিউজ ডেস্ক: কেরলের ওয়েনাড়ে ভূমিধসের (Wayanad landslides) ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫৩। এখনও আটকে বহু এবং নিখোঁজ প্রায় ৯৮জন। তবে ধসের পর থেকেই দুর্যোগ মাথায় নিয়ে চলছে উদ্ধারকাজ। কেরলের বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, যেখানে যেখানে ধস নেমেছে, সেখানে দমকল এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (NDRF) মোতায়েন করা হয়েছে। আরও একটি এনডিআরএফ টিমকে ওয়েনাড়ে পাঠানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত উদ্ধারকাজ চালিয়ে ১০০০ জন বাসিন্দাকে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী।
মঙ্গলবার ভোর ৩টে নাগাদ কেরলের (Kerala) ওয়েনাড় জেলার পাহাড়ি এলাকায় প্রথম ধস (Wayanad landslides) নামার খবর পাওয়া যায়। এরপর ভোর ৪টে ১০ মিনিটে আরও একটি জায়গায় ধস নামার খবর আসে। তবে বিপর্যস্ত ওয়েনাড়ের উপর থেকে এখনই বিপদ কাটছে না। মৌসম ভবন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ওয়েনাড় এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। ফলে উদ্ধারকাজে এই বৃষ্টি বাধা হতে পারে বলে মনে করছেন উদ্ধারকারীরা। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, ওয়েনাড়ের মেপ্পাড়ি এলাকায় ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত ১৫৩ জনের দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশুও রয়েছে। অন্যদিকে প্রায় শতাধিক মানুষকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশে ওয়েনাড়ে ত্রাণ ও উদ্ধারকার্যে নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জর্জ কুরিয়ান। জানা গিয়েছে, এই উদ্ধারকার্যে ভারতীয় নৌবাহিনীর ৩০ জন বিশেষজ্ঞ সাঁতারুদের একটি দল মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এয়ার ফোর্স স্টেশন সুলুর থেকে দুটি হেলিকপ্টারও পাঠানো হয়েছে এই উদ্ধারকার্যে। জানা গিয়েছে, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার মধ্যে রয়েছে চুরালপাড়া, ভেলারিমালা, মুন্ডকাইল এবং পোথুকালু। ধসের পর এইসমস্ত এলাকাগুলি থেকে সবরকম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মঙ্গলবার কেরলের (Kerala) মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে কথা বলেছেন। শাহ বিজয়নকে এই পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে সম্ভাব্য সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, নিখোঁজ ব্যাক্তিদের খোঁজে এখনও আত্মীয়-স্বজনরা মুন্ডকাইলে ধ্বংসপ্রাপ্ত কিছু বাড়ির সামনে অপেক্ষা করছেন এই আশায়, যে উদ্ধারকারী দল হয়তো কাউকে জীবিত খুঁজে পাবে। অন্যদিকে পুলিশ ইতিমধ্যেই পর্যটকদের ওয়েনাদে (Wayanad landslides) ভ্রমণ থেকে বিরত রেখেছে কারণ, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলির বেশিরভাগ রাস্তাই এখন উদ্ধারকার্যের জন্য যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছে।
Kerala: ভারী বৃষ্টির জেরে ধস নেমে বিপর্যয় কেরলে! চলছে উদ্ধারকাজ
নিউজ ডেস্ক: ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কেরল। ভোর ৩টে নাগাদ কেরলের (Kerala) ওয়েনাড় জেলার পাহাড়ি এলাকায় প্রথম ধস (Wayanad landslides) নামার খবর পাওয়া যায়। এরপর ভোর ৪টে ১০ মিনিটে আরও একটি জায়গায় ধস নামার খবর আসে। এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৪৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও বৃষ্টিতে ভূমিধসে আটকে প্রায় শতাধিক মানুষ। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। এনডিআরএফ-এর অতিরিক্ত দলকে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট সব দফতর এবং বিভাগকে উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে বৃষ্টির কারণে মাঝেমধ্যেই উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।
গত কয়েক দিন ধরেই ভারী বর্ষণ হচ্ছে ওয়েনাড়ে। তবে মঙ্গলবার ভোরে বৃষ্টির জেরে ধস (Wayanad landslides) নামে ওয়েনাড়ে। ধসের খবর পেয়েই রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সঙ্গে উদ্ধারকাজে নামে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। মঙ্গলবার সকালে কেরলের রাজস্বমন্ত্রী কে রাজন জানিয়েছিলেন, আট জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে বেলা গড়ানোর সঙ্গে বাড়তে থাকতে নিহতদের সংখ্যা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী নিহতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৪৩-এ। এছাড়াও ধ্বংসস্তূপে আরও অনেকের চাপা পড়ে থাকার আশঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসন। ভারী বৃষ্টি এবং ধসের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওয়েনাড় জেলার মেপ্পাডি, মুন্ডাকাই এবং চুরাল মালা এবং নুলপুঝা।
বিপর্যয়ে আতকে পড়া মানুষদের জন্য জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করেছে। জরুরি সহায়তার জন্য চালু হয়েছে হেল্পলাইন নম্বরও। সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে তামিলনাড়ুর সুলুর থেকে বিমান বাহিনীর দুটি হেলিকপ্টার পাঠানো হয়। ভূমিধসে আহত ১৬ জনকে ওয়েনাডের মেপ্পাদির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও এই বিষয়ে নজর রাখছেন। তিনি বলেছেন, ওয়েনাড়ে ভূমিধসের (Wayanad landslides) পরে সমস্ত সম্ভাব্য উদ্ধার কাজ তৎপরতার সঙ্গে করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে অর্থ সাহায্য দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে উল্লেখ্য, পরিস্থিতি যাতে আর খারাপ না হয় তার জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার ৫টি জেলায় রেড অ্যালার্ট জারি করেছে। যে জেলাগুলির জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে কাসারগোড, কন্নুর, ওয়েনাড়, কোঝিকোড় এবং মাল্লাপুরম। এসব জেলায় বাড়তি সতর্কতা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
National highway 10 affected: ব্যাপক ধসের মুখে সিকিমের 'লাইফলাইন'! বিপর্যস্ত যোগাযোগের পথ
নিউজ ডেস্ক: দুর্ভোগ পিছু ছাড়ছে না উত্তরবঙ্গে। শনিবার রাত থেকে একটানা বৃষ্টি চলছে ধুপগুড়ি-সহ ডুয়ার্সে। বৃষ্টি ও ঝড়ো হওয়ায় বিভিন্ন রাস্তায় উপরে পড়েছে গাছ। এদিকে একটানা বৃষ্টির জেরে জলস্তর বেড়েছে সমস্ত নদীতে। তিস্তায় জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা। আর এর ফলে বিপর্যয়ের মুখে শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং এবং সিকিম যাওয়ার ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। ধসের (Landslides in North Bengal) কারণে ওই রাস্তা দিয়ে যান চলাচল আপাতত বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। সংশ্লিষ্ট জাতীয় সড়কটি তিস্তা নদীর পার ধরে গিয়েছে। ওই অংশটি ক্রমশ বসে যাচ্ছে বলে খবর।
এনএইচ১০ সিকিমের 'লাইফলাইন' হিসেবে পরিচিত। শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং এবং সিকিমের মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী এই সড়ক ধসের (National highway 10 affected) কারনে বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিপাকে পড়েন বহু মানুষ। প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের গেইলখোলার কাছে সেলফিধরায় ধস নেমেছে। নতুন করে কালিঝোরা এবং হনুমান ঝোরায় ধস নেমে পুরো রাস্তাটাই বসে গিয়েছে। ফলে বিকল্প রাস্তা হিসাবে সেবকের করোনেশন সেতু হয়ে ওদলাবাড়ি, ডামডিম, গরুবাথান, লাভা, লোলেগাঁও হয়ে কালিম্পং যাতায়াত করছে যানবাহন। সিকিম যাওয়ার জন্যও আপাতত ওই রাস্তার উপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জলপাইগুড়িতে বৃষ্টি হয়েছে ১৩৬ মিলিমিটার। অন্যদিকে রবিবার সকালেই গজল ডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে প্রায় ২৬০০ কিউমেকের বেশি জল ছাড়া হয়েছে। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে তিস্তার জল। দফায় দফায় প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত সিকিম ও কালিম্পং। একাধিক এলাকায় ধস (Landslides in North Bengal) নেমেছে। তবে প্রশাসন সূত্রে খবর, পাহাড়ে অতি বৃষ্টির ফলে ধসকবলিত যে সব এলাকা রয়েছে, সেখানকার রাস্তা ঠিকঠাক করার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
Sikkim Landslide: অবশেষে ফেরার পালা, এক দিনেই লাচুং থেকে উদ্ধার ১১৭৮ পর্যটক
নিউজ ডেস্ক: টানা সাতদিন আটকে থাকার পর বাড়ির পথে রওনা দিলেন সিকিমে বন্দি পর্যটকেরা। আবহাওয়ার একটু উন্নতি হতেই উত্তর সিকিমে আটকে থাকা বেশির ভাগ পর্যটককে উদ্ধার করল প্রশাসন। সিকিম প্রশাসনের তরফে খবর, লাচুংয়ে আটকে থাকা ১১৭৮ জন পর্যটককেই মঙ্গলবার বার করে আনা গিয়েছে। বাকিদের বুধবার সকালে বার করে আনা হয়।
সিকিম প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার আবহাওয়রা সামান্য উন্নতি হওয়ায় ৬৫ জন পর্যটককে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার লাচুং ও আশপাশের এলাকা থেকে পর্যটকদের সরানোর কাজ শুরু হয়। লাচুং থেকে চুংথাংয়ের পথে রওয়া হন শয়ে শয়ে পর্যটক। মঙ্গলবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ১২৩৭ পর্যটককে টুং-নাগা-মংগন সড়ক পথে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। লাচুংয়ে আটকে থাকা ১১৭৮ জন পর্যটককেই মঙ্গলবার বের করে আনা সম্ভব হয়েছে। বুধবার সকালে আরও ৯১ জনকে উদ্ধার করা হয়। টানা বৃষ্টি এবং বার বার ধসের কারণে টানা উদ্ধারকাজ না-চালিয়ে দফায় দফায় কাজ করছিলেন কর্মীরা।
গত ১১ জুন থেকে সিকিমে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় একাধিক পথ। ডিকচু-সংকলন-টুং, মংগন-সংকলন, সিংথাম-রাংরাং এবং রাংরাং-টুং সহ উত্তর সিকিমের দিকে যাওয়ার একাধিক রাস্তা ভারী বৃষ্টির জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উত্তর সিকিম এবং জংগু অঞ্চলে প্রাথমিক সংযোগ ব্যবস্থার অন্যতম মাধ্যম সংকলন সেতু। সেই সেতুই ভেঙে পড়ায় পরিস্থিতি শোচনীয় হয়ে ওঠে। তার উপর খারাপ আবহাওয়ার দরুণ আটকে থাকা পর্যটকদের বার করে আনার সমস্যা তৈরি হয়। আবহাওয়া মন্দের ভাল হতেই উত্তর সিকিমের বিভিন্ন জায়গায় যেখানে যত পর্যটক আটকে রয়েছেন, সবাইকে নিরাপদে বার করে আনতে সচেষ্ট হয় সিকিম সরকার। উদ্ধার কাজে একযোগে হাত লাগান বিআরও, এনডিআরএফ, এসএফআরএফ (BRO, NDRF, SFRF) ও স্থানীয়রা। তবে বৃষ্টি পুরোপুরি না থামায় একাধিক জায়গায় নতুন করে ধসে নামে। সেই কারণে বারবার বাধাপ্রাপ্ত হয় উদ্ধার অভিযান।