Friday, September 20, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

medical council

Sandip Ghosh: আর ডাক্তার নয় সন্দীপ ঘোষ? রেজিস্ট্রেশন বাতিলের সিদ্ধান্ত রাজ্যের


নিউজ ডেস্ক: আর চিকিৎসক থাকবেন না সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)। এবার আরও বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে মেডিক্যাল কাউন্সিল। স্বাস্থ্য ভবন সাসপেন্ড করেছে আগেই৷ এবার বাতিল হতে পারে তাঁর রেজিস্ট্রেশনও। বুধবার এই নিয়েই মেডিক্যাল কাউন্সিলে বৈঠক হয়। তারপরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। যদিও এই মর্মে এখনও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেনি কাউন্সিল, বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি আকারে বেরোতে পারে বলে জানা গিয়েছে। ফলে এর পর আর ডাক্তারি করতে পারবেন না আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ।

আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলার পাশাপাশি আর্থিক দুর্নীতির মামলাতও গ্রেফতার হয়েছেন সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)। সিবিআই গ্রেফতার করেছে তাঁকে। গত ৭ সেপ্টেম্বর তাঁকে শোকজ করেছিল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। সেই শোকজের চিঠিতে আরজি কর কাণ্ডে তাঁর নাম জড়িয়ে পড়া এবং সেই সংক্রান্ত ইস্যু উল্লেখ করা হয়েছিল। কেন তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে না, সেই মর্মে তিন দিনের মধ্যে তাঁর জবাব তলব করা হয়েছিল। কিন্তু, ৭২ ঘণ্টার জায়গায়, আজ ১১ দিনেও তাঁর জবাব পৌঁছয়নি। সেই কারণে তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল।

এ প্রসঙ্গে মেডিক্যাল কাউন্সিলের ব্যাখ্যা ছিল, কোনও চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বাতিল করতে হলে দু’টি কারণে তা করা সম্ভব৷ প্রথমত, কেউ যদি কোনও অপরাধমূলক কাজের চক্রান্ত কিংবা তাতে সরাসরি যুক্ত থাকার অপরাধে আদালতে দোষী প্রমাণিত হন৷ দ্বিতীয়ত, কোনও অপরাধমূলক কাজে নাম জড়ানোর ফলে জনসমাজে যদি তাঁর বদনাম হয়৷ তবে দু’টি ক্ষেত্রেই শোকজ না করে রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা নিয়মবিরুদ্ধ৷ তাই সন্দীপ ঘোষকে (Sandip Ghosh) প্রথমে শোকজ করা হয়৷ কিন্তু ১১ দিনেও শোকজের জবাব না আসায় তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

উল্লেখ্য, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh)রেজিস্ট্রেশন বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বুধবার দুপুরেই আলোচনায় বসেছিল পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিল। সেই মিটিংয়েই রেজিস্ট্রেশন বাতিলের পক্ষে জোরাল সওয়াল ওঠে। চিকিৎসক সংগঠন আইএমএ-র রাজ্য শাখার তরফে তার আগে মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতিকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। চিঠিতে অনুরোধ করা হয়েছিল, সন্দীপের রেজিস্ট্রেশন যেন বাতিল করা হয়। 

Sweta Chakrabory | 11:55 AM, Thu Sep 19, 2024

Sandip Ghosh: সন্দীপকে শো-কজ রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের! সাসপেন্ড অভীক ও বিরূপাক্ষও


নিউজ ডেস্ক: চিকিৎসকদের লাগাতার চাপের মুখে অবশেষে সন্দীপ গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। সন্দীপ ঘোষকে (Sandip Ghosh) শো-কজ করল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। সঙ্গে সাসপেন্ড হলেন তাঁর গ্যাংয়ের তিন সদস্য অভীক দে, বিরূপাক্ষ বিশ্বাস ও মুস্তাফিজুর রহামান। এদের মধ্যে ২ জনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে পদক্ষেপ করেছে স্বাস্থ্য দফতর।
কেন সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) ডাক্তারির রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে না, এই প্রশ্ন তুলে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল শো-কজ করেছে তাঁকে। রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার আগে শো-কজ করা বাধ্যতামূলক। সন্দীপ ঘোষকে শো-কজ করার পর ৭২ ঘণ্টা অপেক্ষা করা হবে। তিনি যদি উত্তর না দেন বা সন্তোষজনক জবাব না দেন সেক্ষেত্রে তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে যতদিন পর্যন্ত আরজি কর হাসপাতালের দুর্নীতি মামলায় সন্দীপ ক্লিনচিট পান।
অন্যদিকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক বিরূপাক্ষ মেডিক্যাল কাউন্সিলের পিনাল এবং এথিক্স কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। একই কমিটির সদস্য ছিলেন মুস্তাফিজুরও। আপাতত কাউন্সিলের (West Bengal Medical Council) কোনও মিটিংয়ে থাকতে পারবেন না তাঁরা। মেডিক্যাল কলেজে ‘থ্রেট কালচার’ চালানোর অভিযোগে এর আগে গত ৫ তারিখ স্বাস্থ্য ভবন সাসপেন্ড করে অভীক দে ও বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে। দুই বিতর্কিত চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়। আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও নৃশংস খুনের দিন আরজি কর (RG Kar Incident) মেডিক্যালে হাজির ছিলেন বিরূপাক্ষ ও অভীক। বিরূপাক্ষ ও অভীকের বিরুদ্ধে শাসানি, ভয় দেখানোর একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই সিবিআই গ্রেপ্তার করেছে সেখানকার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে (Sandip Ghosh)। আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্তে সিবিআই-এর সঙ্গে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে ইডিও। শুক্রবারও সন্দীপের বাড়িতে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খাওয়ার পরে এবার আরও বিপাকে সন্দীপ। গ্রেফতারির পর বর্তমানে সিবিআই হেফাজতেই রয়েছেন সন্দীপ ঘোষ। ফলে তিনি কী ভাবে শো-কজের জবাব দেবেন তা নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

Sweta Chakrabory | 18:15 PM, Sat Sep 07, 2024

CBI in NEET: যে আবাসনে সাংসদ খুন, সেখানেই নিট কাণ্ডে সিবিআই

নিউজ ডেস্ক: যেই আবাসনে বাংলাদেশের সাংসদ খুন হয়েছিলেন সেই আবাসনেই এবার সিবিআইয়ের হানা। তবে সাংসদ খুন কাণ্ডে নয়, নিট প্রশ্নপত্র ফাঁস কাণ্ডে অভিযুক্ত অমিত কুমারের নিউটাউনের ফ্ল্যাটে এদিন হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ঝাড়খন্ডের বাসিন্দা অমিতের নিউটাউনেসঞ্জিবা গার্ডেনে ফ্ল্যাট রয়েছে। বুধবার দুপুরে তল্লাশি চালা সিবিআই।

নিট কাণ্ডের কলকাতা যোগ

সিবিআই সূত্রের খবর, নিট প্রশ্নপত্র ফাঁস কাণ্ডে ঝাড়খণ্ড থেকে ধৃত পাঁচজনকে জেরা করে অমিত কুমারের নাম জানতে পারেন তদন্তকারীরা। সেই সূত্রেই এদিনের তল্লাশি অভিযান। তদন্তকারীরা মনে করছেন, অমিতের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে নিটের প্রশ্নফাঁস কাণ্ডের একাধিক তথ্য মিলতে পারে। যদিও ফ্ল্যাটটি তালাবন্ধ ছিল। সেই তালা ভাঙতে সিবিআই আধিকারিকেরা এক জন চাবিওয়ালাকেও নিয়ে যান। নিটের প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় ইতিমধ্যেই বিহার, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র এবং গুজরা থেকে বেশ কয়েক জন গ্রেফতার হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত এই কাণ্ডে ৩৩ জন গ্রেফতার হয়েছেন। ২২ জুন সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়। তদন্তভার হাতে পাওয়ার পর বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং মহারাষ্ট্র থেকে মোট সাত জনকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। ধৃতদের জেরা করে এই প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় দুই চক্রীর নাম উঠে এসেছে। তাঁদের মধ্যে সিকন্দর যাদব আগেই গ্রেফতার হয়েছেন। অন্য চক্রী সঞ্জীব মুখিয়ার এখনও হদিস পায়নি সিবিআই। সূত্রের খবর, এই সঞ্জীবই প্রশ্নফাঁসকাণ্ডের মূল চক্রী। তদন্তে জানা গিয়েছে, সঞ্জীব বেশ কয়েকটি রাজ্যে নিয়মিত যাতায়াত করতেন। উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে তাঁর নিয়মিত যাতায়াত ছিল।

হাজারিবাগ থেকে প্রশ্ন ফাঁস

নিটের প্রশ্ন প্রথমবার ফাঁস হয়েছিল হাজারিবাগের একটি প্রস্তুতি সেন্টার থেকে। সেখান থেকেই অন্যান্যদের হাত ধরে তা বাকি জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে।  একেকটি প্রশ্ন পত্র বিক্রি হয়েছিল ৩৫-৪০ লক্ষ টাকায়সিবিআই মনে করছে এই ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে নথি পেতে পারে সেই কারণেই এই তল্লাশি অভিযান।প্রসঙ্গত এই সঞ্জীবা গার্ডেনের একটি ফ্ল্যাটেই খুন হয়েছিলেন বাংলাদেশের  ঝিনাইদহের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম। সেই আবসনেই বুধবার নিট কাণ্ডে সিবিআই হানা দিল।

Pankaj Kumar Biswas | 19:09 PM, Wed Jul 03, 2024

West Bengal Doctors: অন্য রাজ্যের রেজিস্ট্রেশন গ্রাহ্য হবে না এ রাজ্যে! চিকিৎসা ক্ষেত্রে নয়া নির্দেশিকা জারি রাজ্য সরকারের 

নিউজ ডেস্ক: বাংলায় থেকে চিকিৎসা করতে গেলে মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক। বৃহস্পতিবার এমনই এক নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসকদের জন্য এবার বড় পদক্ষেপ করল পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিল। এই মর্মে একটি নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে কাউন্সিলের তরফে।

রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল এ বিষয়ে জানিয়েছে, বর্তমানে অনেক ছাত্র ছাত্রী রাজ্য থেকে বেরিয়ে বাইরে গিয়ে ডাক্তারি পড়ছে। এবং পড়া শেষ হলে এই রাজ্যেই ফিরে এসে চিকিৎসা করছে এরাজ্যের সাধারন মানুষদের। অর্থাৎ,বাইরের রাজ্যের রেজিস্ট্রেশন নিয়ে এসে এই রাজ্যে অনেকেই চুটিয়ে প্র্যাকটিস করছেন। কিন্তু, এক্ষেত্রে রোগীর কোনও সমস্যা হলে তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহন করা এই রাজ্যের মেডিক্যাল কাউন্সিলের পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ রোগীর চিকিৎসা করা ওই চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন এক্ষেত্রে ভিন রাজ্যের। আর সেই জন্যই এবার কড়া পদক্ষেপের ভাবনা রাজ্যের মেডিক্যাল কাউন্সিলের।

প্রসঙ্গত,বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয় রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের বোর্ড মিটিং। সেখানে আলোচনার পর এই নয়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বাংলায় রোগী দেখতে গেলে এবার থেকে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসকদের বাধ্যতামূলকভাবে নিতে হবে রাজ্যের মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রেশন। আগে থেকে তাদের কাছে বাইরের রাজ্যের মেডিক্যাল রেজিস্ট্রেশন থাকলেও আলাদা ভাবে এরাজ্যের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও নিতে হবে।

 কারণ দেখা যাচ্ছে, অন্যান্য রাজ্য থেকে আসা বহু চিকিৎসকের চিকিৎসার গাফিলতি তুলে প্রশ্ন করেছেন রোগীর পরিবারের সদস্যরা। তবে এক্ষেত্রে তাঁদের চিকিৎসা নিয়ে যদি কোনও অভিযোগ করা হয় সেক্ষেত্রে এই রাজ্যের মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা সম্ভব নয়। কারণ তাঁদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর অন্য রাজ্যের। তাই এই নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই কোনও পদক্ষেপ করা যায় কিনা আলোচনা চালাচ্ছিল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। এরপর বিষয়টি নিয়ে বোর্ড মিটিংয়ে আলোচনার পর বৃহস্পতিবারই এর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এবং পাশাপাশি জানিয়ে দেওয়া হয় এবার থেকে বাংলায় থেকে প্র্যাকটিস করতে গেলে রাজ্যের মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফে রেজিস্ট্রেশন নম্বর নেওয়া বাধ্যতামূলক।

Editor | 11:44 AM, Sat Feb 10, 2024
upload
upload