Friday, September 20, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

nabanna abhijan

Nabanna Abhijan: নবান্ন অভিযান ঘিরে তুলকালাম! পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ উগরে দিলেন বিক্ষোভকারীরা


নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ছাত্র সমাজের ডাকা নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhijan) ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। সাঁতরাগাছিতে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা বিক্ষোভকারীদের। একইসঙ্গে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ। এর পরেই পাল্টা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। যদিও জল কামান, কাঁদানে গ্যাসের শেল উপেক্ষা করে নবান্নর পথে এগোচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। নিজেদের দাবিতে অনড় প্রতিবাদীরা। তাঁদের দাবি— মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ। 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস' বলে স্লোগান দিতে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা।

এদিন হাওড়ার ফোরশোর রোডে উত্তেজনা ছড়ায়। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা। লাঠি চালায় পুলিশ। জলকামান ব্যবহার করা হয়। তারইমধ্যে পুলিশকে রাস্তায় ফেলে মারার অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে কলকাতার মহাত্মা গান্ধী রোডেও তৈরি হয়েছে উত্তেজনা। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করা হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে জলকামান ব্যবহার করা হয়। তারইমধ্যে ধর্মতলা থেকে একটি মিছিল (Nabanna Abhijan) হাওড়ার দিকে যাচ্ছে। তাতে ‘মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফার’ দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি হেস্টিংসের কাছেও চলল জলকামান। কলকাতা পুলিশ ট্রেনিং স্কুলের (পিটিএস) কাছে জলকামান ব্যবহার করা হয়েছে। সেখানেও পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। সব মিলিয়ে গোটা শহর জুড়ে নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থতি তৈরি হয়েছে।

জল কামান প্রয়োগ করে, কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে এমন কি লাঠিচার্জ করেও কোথাও কোথাও বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ৷ জলকামানের জল একাধিক বার শেষ হয়ে গেলেও বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করা যায়নি৷ এমন কি, একা পুলিশকর্মীকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভকারীরা মারছেন, এমন ছবিও এ দিন ধরা পড়েছে৷ পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের ডাকে এ দিন নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল৷ উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে এই কর্মসূচিকে অরাজনৈতিক বলে দাবি করা হলেও পুলিশের পক্ষ থেকে এর পিছনে রাজনৈতিক উস্কানির অভিযোগ আনা হয়েছিল৷ শেষ পর্যন্ত এ দিনের বিক্ষোভ হিংসাত্মক রূপই নিল৷

Sweta Chakrabory | 15:34 PM, Tue Aug 27, 2024

Governor On Nabanna Abhijan: নবান্ন অভিযানে রাজ্যকে বিশেষ বার্তা রাজ্যপালের


নিউজ ডেস্ক: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে (RG Kar Incident) তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) ডাক দিয়েছে। এবার সে প্রসঙ্গেই রাজ্যকে বিশেষ বার্তা দিলেন রাজ্যপালের সিভি আনন্দ বোস। 'ছাত্র সমাজ'-র ‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ’ দমন করতে সরকারি ক্ষমতার যেন অপব্যবহার না করা হয়। মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের আগে রাজ্য সরকারকে কার্যত ‘ওয়ার্নিং’ দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

নবান্ন অভিযানের আগে যে বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (Governor On Nabanna Abhijan) সেই বার্তার ৪০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয় রাজভবন থেকে। যার মূল কথা, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের দমনে সরকারি শক্তি প্রয়োগ চলবে না।

ভিডিও বার্তায় রাজ্যপাল বলেন,"আগামীকাল বাংলার ছাত্র সমাজ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। এর মধ্যে জোর করে আন্দোলন দমনের খবর আসছে। আমি সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলতে চাই, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদীদের দমন করতে বাংলায় যেন সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করা না হয়। মনে রাখবেন, গণতন্ত্র মানে নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠতা। সংখ্যাগরিষ্ঠতার কণ্ঠরোধ করা নয়।"

প্রসঙ্গত, আর জি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় শহরজুড়ে প্রতিবাদ চলছে। মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে 'অরাজনৈতিক' সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। সে কারনেই নবান্নের নিরাপত্তায় থাকছেন প্রায় ১০০ উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তা। ২ হাজার কনস্টেবল। এছাড়াও কলকাতা ও হাওড়া ঘিরে রাখবে পুলিশ। আর এমন পরিস্থিতির মধ্যেই তাৎপর্পূর্ণ বার্তা দিলেন সি ভি আনন্দ বোস।

প্রসঙ্গত এ প্রসঙ্গে রাজ্য পুলিশ স্পষ্টত জানিয়েছে, যে নবান্ন অভিযানের ডাক (Governor On Nabanna Abhijan) দেওয়া হয়েছে তা বেআইনি। কারণ, একে তো কোনও নির্দিষ্ট সংগঠনের তরফে এই অভিযানের ডাক দেওয়া হয়নি। দুই প্রথা মাফিক তথা নিয়ম মেনে পুলিশের কাছে কোনও আবেদন জানানো হয়নি। তাই পুলিশ কোনও অনুমতি দিচ্ছে না। এতএব বোঝাই যাচ্ছে, মঙ্গলবার প্রবল উত্তেজনা ছড়াতে পারে এই অভিযানকে কেন্দ্র করে।

Sweta Chakrabory | 13:25 PM, Tue Aug 27, 2024

Nabanna Abhijan: নবান্ন অভিযান ঘিরে সুরক্ষার চক্রব্যূহ, সতর্ক রাজ্য পুলিশও


নিউজ ডেস্ক: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে (RG Kar Incident) তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) ডাক দিয়েছে। হাওড়া ও কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই মিছিলের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই কারণে কলকাতা ও হাওড়ার বেশ কিছু রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। নেওয়া হয়েছে কঠোর বিধিনিষেধও। মঙ্গলবার ভোর থেকেই নবান্ন ও তার সংলগ্ন এলাকাগুলিতে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা। শহরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য বিভিন্ন জেলা থেকে একাধিক পুলিশ অফিসারদের এনে মোতায়েন করা হয়েছে।

ইতিমধ্যেই ১৩ জন এসপি পদমর্যাদা র‍্যাঙ্কের আইপিএস অফিসার, ১৫ জন অ্যাডিশনাল এসপি, ডিসি র‍্যাঙ্কের পদমর্যাদার অফিসার, ২২ জন ডেপুটি এসপি তথা অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার র‍্যাঙ্কের অফিসার ও ২৬ জন ইন্সপেক্টর র‍্যাঙ্কের অফিসারদের মোতায়েন করা হয়েছে নবান্ন ও হাওড়া পুলিশের অধীনে। একেবারে কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনীতে মুড়ে ফেলা হয়েছে নবান্নকে। এছাড়াও নবান্ন এলাকায় ৫০০ বেশি সাদা পোষাকের পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ওই এলাকায় বাড়িতে বাড়িতেও থাকছে নজরদারি। অযাচিত ব্যক্তি প্রবেশ আটকানো হবে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে মনে হলে।

নবান্ন ও আশেপাশের এলাকায় ১৬৩ ধারা জারি রয়েছে। নতুন গাড়ি ওই এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না। বৈধ কারণ দেখাতে পারলে তবেই প্রবেশের অনুমতি। আন্দুল রোড ও কোনা রোডে যে বাস চলাচল করবে মঙ্গলবার সেখানেও সাদা পোষাকের পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া নবান্ন ঢুকতে গেলেও আজ, মঙ্গলবার প্রত্যেককে অইডি কার্ড দেখাতে হচ্ছে। হাওড়া সিটি পুলিশ সূত্রে খবর, কোনা এক্সপ্রেসওয়ে, ফোরশোর রোড ও ময়দানে ব্যারিকেড করা হবে। পুলিশ, র‍্যাফের পাশাপাশি কমব্যাট ফোর্স মোতায়েন করা হবে। থাকছে জলকামানও। যদিও সোমবারই রাজ্য পুলিশের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের এই নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhijan) সম্পূর্ণরূপে বেআইনি।

Sweta Chakrabory | 11:57 AM, Tue Aug 27, 2024
upload
upload