RG Kar Hearing Breaking: আরজি কর মামলার শুনানি শুরু সুপ্রিম কোর্টে
Sweta Chakra... | 11:04 AM, Mon Sep 09, 2024
RG Kar BREAKING: সিল বন্ধ খামে আরজি কর কাণ্ডের তদন্তের রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই
Sweta Chakra... | 11:39 AM, Thu Aug 22, 2024
Buddhadeb Bhattacharjee: সকালে প্রাতঃরাশ সেরেই অসুস্থ, প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বয়স হয়েছিল ৮০
Sweta Chakra... | 11:47 AM, Thu Aug 08, 2024
Astra Mark 1: বিমান বাহিনীর অস্ত্র ভান্ডারে এবার দেশীয় দুরপাল্লার মিসাইল
Pankaj Kumar... | 16:58 PM, Wed Aug 07, 2024
RSS বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবি আরএসএসের
Pankaj Kumar... | 16:41 PM, Wed Aug 07, 2024
Paris Olympics 2024: প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছ ইতিহাস গড়লেন মানিকা বাত্রা, জাগালেন পদকের আশা
Pankaj Kumar... | 12:50 PM, Tue Jul 30, 2024
Amarnath Yatra: অমরনাথ যাত্রায় হামলার ছক, এবার খলিস্তানীদের ময়দানে নামাচ্ছে পাকিস্তান
Pankaj Kumar... | 18:35 PM, Sat Jul 27, 2024
Terrorist Attack: জঙ্গিদের ছবি প্রকাশ্যে এল, মাথার দাম পাঁচ লাখ টাকা
Pankaj Kumar... | 18:32 PM, Sat Jul 27, 2024
Meerut Police: নির্ভয়ার স্মৃতি ফিরল মেরঠে, গ্রেফতার হাসিন, শাহরুখ, একরামউদ্দিন এবং মহসিন
Pankaj Kumar... | 15:46 PM, Sat Jul 27, 2024
BJP Protest: “অন্য ধর্মে জন্মানো দুর্ভাগ্যের”, ফিরহাদের বিতর্কিত মন্তব্যে তোলপাড় বিধানসভা
Pankaj Kumar... | 15:23 PM, Sat Jul 27, 2024
Indian Army: ১৬ হাজার ফিট উচ্চতায় মোবাইল পরিষেবা, সেনাকে বিজয় দিবসের উপহার কেন্দ্রের
Pankaj Kumar... | 15:19 PM, Sat Jul 27, 2024
Durga Puja: অভাবের সংসার থেকে শুরু পতমান, বর্তমানে থিমের মণ্ডপ শিল্পী হিসাবেই খ্যাতিলাভ পঞ্চানন ভূুঁইয়া
নিউজ ডেস্ক: ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকার ঝোঁক। আর বড় হয়ে সেই আঁকা বদলে গেল মণ্ডপ সজ্জা শিল্পে। সংসার চালাতে এই কাজে আসা। আর বর্তমানে এই কাজই শিল্পী পঞ্চানন ভূুঁইয়ার (Artist Panchanan Bhunia) পরিচয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার তৈরি মণ্ডপ সজ্জা অসম ও কোচবিহারের পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন দুর্গাপুজো প্যান্ডেলে ফুটে উঠবে। পুজো যত এগিয়ে আসছে কাজের চাপ তত বাড়ছে। তাই রাত দিন এক করে তারই কাজ করে চলেছে পঞ্চানন।
সালটা ২০২০। সবে মাত্র উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ। তারপর করোনা আর লকডাউন আর্থিক সংকটের জাঁতাকলে ছাড়তে হয় পড়াশোনা। দু চোখে স্বপ্ন ছিলো পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গে অঙ্কন শিল্পী হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা। করোনার ফলে দীর্ঘ লকডাউনে সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছিলো পরিবার। পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পড়াশোনা আর করা হয়নি। তবে অঙ্কনকেই পেশা হিসাবে নিয়ে কাজ শুরু করে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমারের কোলসর এলাকার যুবক পঞ্চানন ভূঁইয়া (Artist Panchanan Bhunia)। তাঁর তুলির টানেই ফুটে উঠেছে ছোট থেকে বড় বিভিন্ন ধরনের দেব-দেবী, মনীষী, বিখ্যাত মানুষ ও প্রকৃতির জীবন কাহিনী।
কখনও চালের উপর, আবার কখনও বালির ছোট নুড়ি, ফেলে দেওয়া বোতলের ছিপি, নারকেলের মালা, সহ অন্যান্য জিনিসপত্র দিয়ে নানান ধরনের দূর্গা প্রতিমা ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন পঞ্জানন। সারা বছর ধরে নিত্যনতুন কিছু করার চেষ্টা করে সে। তবে দুর্গাপূজার সময় ব্যস্ত হয়ে ওঠে মন্ডপ সজ্জার কাজে।
এ প্রসঙ্গে পঞ্চানন (Artist Panchanan Bhunia) জানিয়েছেন, ''আমাদের জেলার শিল্পী গৌরাঙ্গ কুইল্যা ফেলে দেওয়া জিনিসপত্র দিয়ে তুলির টানে নানান জিনিস বানিয়ে, মণ্ডপ সজ্জা করে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁকে দেখেই অনুপ্রেরণা পেয়েছি। পরিবারের হাতে অর্থ তুলে দিতেই এই কাজ শুরু করা। বর্তমানে কাজের পরিসর বাড়ছে। একটু একটু করে নাম ডাক হয়েছে মণ্ডপ শিল্পী হিসাবে।''
জানা গিয়েছে, পঞ্চাননের (Artist Panchanan Bhunia) ছোট থেকেই ছবি আঁকার নেশা ছিলো। স্থানীয় এক শিল্পীর কাছে ছবি আঁকার প্রশিক্ষণ নেয়। তার পর নিজে নিজেই ছবি আঁকার কাজ শুরু করে। বর্তমানে এলাকার ছেলে মেয়েদের ছবি আঁকার প্রশিক্ষণের পাশাপাশি নিজের কাজ করে চলেছে পঞ্জানন।
Britannia factory Closed: তালা ঝুলল তারাতলার ব্রিটানিয়া বিস্কুট কারখানায়! এ দায় কার? কী অভিযোগ বিজেপির?
নিউজ ডেস্ক: বাংলার স্বাদে ও আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে ব্রিটানিয়া বিস্কুট। আর সেই আবেগে আঘাত পড়ল সোমবার। তারাতলায় প্রোডাকশন বন্ধ হয়ে গেল ব্রিটানিয়া কোম্পানির (Britannia Factory Closed)। সূত্রের খবর, কোম্পানিতে স্থায়ী কর্মী ছিলেন ১২২ জন এবং অস্থায়ী কর্মী ছিলেন ২৫০ জন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে ২০১১ সালের পরে এই নিয়ে মোট ১৫টি কারখানা বন্ধ হল তারাতলা শিল্পাঞ্চলে।
কারখানা বন্ধের এই ঘটনায় তৃণমূলের তোলাবাজিকেই সরাসরি দায়ী করছে বিজেপি। এ প্রসঙ্গে বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মলব্য তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, "আজকের ব্রিটানিয়া ইন্ডাস্ট্রিজের কারখানার বন্ধ (Britannia Factory Closed) হয়ে যাওয়া বাংলার একসময়ের গভীর বিশৃঙ্খলার প্রতিফলন।" একইসঙ্গে কারখানা বন্ধের জন্য বাম শাসন আমলে সিপিআই(এম) এর 'ইউনিয়নবাজি' এবং টিএমসির 'তোলাবাজি' (চাঁদাবাজি) এর সম্মিলিত প্রভাবকে দায়ী করেছেন তিনি। তিনি আর বলেন, "দুর্ভাগ্যবশত, বাংলার ভাগ্য এখন 'ইউনিয়নবাজি' এবং 'তোলাবাজি'র জোড়া অভিশাপে আটকে পড়েছে। এখন একটাই প্রশ্ন, এই অভিশাপ থেকে কবে মুক্তি পাবে বাংলা?"
অন্যদিকে অমিত মালব্যর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (BJP blames on TMC) বলছেন, ''এমন একটি দল, যারা সারাক্ষণ তোলাবাজি করে, তাদের উপস্থিতিতে সেখানে শিল্প আসবে না। মুখ্যমন্ত্রীরও শিল্প-বিরোধী ভাবমূর্তি রয়েছে।'' যদিও বিজেপির এই আক্রমণের পাল্টা আঘাত হেনে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলছেন, ''সংশ্লিষ্ট সংস্থার ম্যানেজমেন্টের নিজস্ব সমস্যা রয়েছে। যারা এটিকে রাজ্যের সামগ্রিক শিল্প পরিস্থিতির সঙ্গে মেশাচ্ছেন, তাঁরা ভুল করছেন।''
অস্থায়ী কর্মীদের অভিযোগ, ২০০৪ সাল থেকে যে আড়াইশো জন অস্থায়ী কর্মী কাজ করছিলেন তাঁদেরকে কোম্পানি কোনও টাকাপয়সা না দিয়ে এই কোম্পানি বন্ধ (Britannia Factory Closed) করে দিয়েছে। তবে জানা গিয়েছে, স্থায়ী কর্মী যাঁরা ১০ বছরের উপরে চাকরি করছেন, তাঁদের এক এক জনকে ২২ লাখ ২৫ হাজার টাকা দিয়েছে কোম্পানি। ছয় থেকে দশ বছরের নিচে যাঁরা চাকরি করেছেন তাঁদেরকে ১৮ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা দিয়েছে কোম্পানি। এর নিচে যাঁরা চাকরি করেছেন তাঁদেরকে ১৩ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা করে দিয়েছে কোম্পানি। কিন্তু অস্থায়ী কর্মীদের কোনও টাকা পয়সা এখনও পর্যন্ত দেয়নি কোম্পানি বলেই অভিযোগ।
কিন্তু কী কারণে কলকাতার (Kolkata) একমাত্র ব্রিটানিয়া কারখানা বন্ধ হয়ে গেল? ব্যবসায় মন্দা? নাকি শ্রমিক সমস্যা? এনিয়ে কর্তৃপক্ষের তরফে কিছু জানানো হয়নি। তবে ব্যবসায়িক দিক থেকে কোনও সমস্যা হয়নি বলেই মত শ্রমিকদের একাংশের। এখনও বঙ্গে ব্রিটানিয়ার খাদ্যসামগ্রী বিক্রিতে অন্য যে কোনও সংস্থার চেয়ে যথেষ্ট এগিয়ে। তবে কেন বন্ধ হল কারখানা (Britannia Factory Closed) সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
Bhupatinagar: দুদিন পেরিয়ে গেলেও ভূপতিনগর কাণ্ডে গ্রেফতারি শূন্য! বদল হল তদন্তকারী অফিসার
নিউজ ডেস্ক: ফের সংবাদ শিরোনামে ভূপতিনগর(Bhupatinagar), সম্প্রতি ভূপতিনগর বিস্ফোরণ কাণ্ডকে কেন্দ্র করে তুঙ্গে কেন্দ্র-রাজ্য তরজা। আর এরই মধ্যেই ভূপতিনগরে তদন্তকারী অফিসার(investigating officer ) বদল। সিআই ভূপতিনগরকে এই তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হল। ভূপতিনগরের সার্কেল ইন্সপেক্টর শ্যামল চক্রবর্তীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্রথমে এই মামলায় ভূপতিনগর থানার এক সাব ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিক দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু তাঁকে বদল করে এবার ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিক শ্যামল চক্রবর্তীর হাতে দায়িত্ব দেওয়া হল।
প্রসঙ্গত, দেড় বছরের পুরনো একটি বিস্ফোরণের মামলায় (Bhupatinagar blast incident)এনআইএ(NIA) অভিযান আর দুই তৃণমূল নেতার গ্রেফতারি নিয়ে তুলকালামকাণ্ড রাজ্য রাজনীতিতে। রাজ্যের সীমা ছাড়িয়ে সেই প্রভাব পড়েছে দিল্লিতেও। দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে মামলা, নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ।
উল্লেখ্য গত শনিবার বলাইচরণ মাইতি এবং মনোব্রত জানা নামে দু’জন অভিযুক্তকে ভূপতিনগর বিস্ফোরণ কান্ডে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ(NIA)। তবে বলাইচরণ এবং মনোব্রতকে গাড়িতে তুলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় কেন্দ্রীয় এজেন্সির গাড়ি ঘিরে ধরেন উত্তেজিত গ্রামবাসীরা। তাঁরা বলাই এবং মনোব্রতকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়ার দাবি করতে থাকেন বলে দাবি এনআইএ আধিকারিকদের। এর পরেই এনআইএর ওপর হামলা চালিয়ে গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। এতে এক আনআইএ আধিকারিক আহত হন।
কিন্তু ঘটনার দুদিন পেরিয়ে গেলেও ভূপতিনগরে এনআইএ -র ওপর হামলার ঘটনায় এখনও গ্রেফতারি শূন্য। তাই এনআইএ -র তল্লাশি অভিযান সংক্রান্ত দুটি মামলায় তদন্তকারী অফিসার(investigating officer) বদল করা হল। নতুন তদন্তকারী অফিসার শ্যামল চক্রবর্তী এবার এনআইএ -র করা অভিযোগ এবং এনআইএ -র বিরুদ্ধে অভিযোগ, দুটি মামলারই তদন্ত করবেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে আধিকারিক আহত হয়েছিলেন, তাঁর মেডিক্যাল রিপোর্ট(medical report) চেয়ে পাঠিয়েছে ভূপতিনগর থানার পুলিশ। এনআইএ এবং গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতার বাড়ির লোকেরা একে অন্যের অন্যের প্রতি অভিযোগ দায়ের করেছে। ইতিমধ্যেই আক্রান্ত এনআইএ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেছে রাজ্য পুলিশ(state police)।
যদিও এই অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, এনআইএ-এর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, সেক্ষেত্রেও নোটিশ(notice) পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
Bhupatinagar NIA Investigation: ভূপতিনগরকাণ্ডে সোমেই তৃণমূলের ৩ নেতাকে তলব NIA-র
নিউজ ডেস্ক: এবার ভূপতিনগরের বোমা বিস্ফোরণকাণ্ডে অভিযুক্ত স্থানীয় তিন তৃণমূল নেতাকে তলব করল এনআইএ। ওই তিন তৃণমূল নেতা মানবকুমার পইড়্যা, সুবীরকুমার মাইতি এবং নবকুমার পন্ডাকে সোমবার এনআইএর নিউ টাউনের অফিসে ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তবে স্থানীয় সূত্রে খবর, যে তিন জনকে তলব করা হয়েছে তাঁরা তিনজনই পলাতক।
প্রসঙ্গত শনিবারের পর রবিবারও ওই এলাকায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। নারুয়াবিলা সংলগ্ন বেশ কয়েকটি গ্রামে অভিযান চালায় NIA। প্রায় ৫০ জন জওয়ান নিয়ে কেন্দ্রীয়বাহিনীর একটি বড় দল অভিযান চালায় এদিন। সূত্রের খবর, ভূপতিনগরকাণ্ডে NIA র স্ক্যানারে উঠে আসে এই তিন তৃণমূল নেতার নাম।
উল্লেখ্য এর আগে ভূপতিনগরকাণ্ডের তদন্তে গিয়ে গত শনিবার বলাইচরণ মাইতি এবং মনোব্রত জানা নামে দু’জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। তবে বলাইচরণ এবং মনোব্রতকে গাড়িতে তুলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় কেন্দ্রীয় এজেন্সির গাড়ি ঘিরে ধরেন উত্তেজিত গ্রামবাসীরা। তাঁরা বলাই এবং মনোব্রতকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়ার দাবি করতে থাকেন বলে দাবি এনআইএ আধিকারিকদের। এর পরেই এনআইএর গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। এতে এক আনআইএ আধিকারিক আহত হন। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই রাজ্য রাজনীতি সরগরম। একে অপরের দিকে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল এবং বিজেপি।
Bhupatinagar Blast: মোবাইলেই লুকিয়ে ভূপতিনগরের রহস্য! বিপাকে তৃণমূল নেতারা
ভূপতিনগর বিস্ফোরণ কান্ডে এবার নিহত তৃণমূল (TMC) নেতার কল ডিটেলস (Call Record) এর দিকে নজর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ'র (NIA)। বিস্ফোরণে মৃত তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না সহ আরো দুজনের মোবাইল ফোনের কল রেকর্ড খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা। এই তালিকায় রয়েছেন এনআইএর উপর হামলার ঘটনায় আটক বলাই মাইতি এবং মনোব্রত জানা।
২০২২ সালের ২ ডিসেম্বর ভূপতিনগরে (Bhupatinagar Blast) ভয়াবহ বিষ্ফোরণ হয়েছিল। বোমা বাঁধতে গিয়ে বিষ্ফোরণ হয় বলে জানা যায়। মৃত্যু হয়েছিল রাজকুমার ও তার ভাই দেবকুমার ও বিশ্বজিৎ গায়েনের। মৃত্যু হয়েছিল আরও একাধিক মানুষের। বিষ্ফোরণের ভয়াবহতায় বাড়ির ছাদ উড়ে যায়। ছিন্নভিন্ন দেহ ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থল থেকে কয়েক ফুট দূরের পুকুরে। বোমা বাঁধার আগে রাজকুমার মান্নার সঙ্গে বলাই ও মনোব্রতর কথা হয়েছিল এমন একাধিক প্রমাণ এসেছে তদন্তকারীদের হাতে। ২ ডিসেম্বর কী নিয়ে কথা হয়েছিল রাজকুমারের সঙ্গে বলাই ও মনোব্রতর তা জানতে চান তদন্তকারীরা। তা জানতেইকল ডিটেলস খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা। কল ডিটেলসের সঙ্গে তদন্তকারীরা অভিযুক্তদের বয়ান মিলিয়ে দেখতে চান। কার নির্দেশে রাজকুমার তৈরি করছিলেন, বোমা তৈরির কাঁচামাল কারা দিয়েছিল, কাদের কাছে বোমা পৌঁছে দেওয়ার বরাত ছিল সেই সব বিষয় বিস্তারিত খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই বলাই ও মনোব্রতকে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত আদালতের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার হাতে নিয়েছে এনআইএ। কিন্তু আদালতে নির্দেশে যে তদন্ত হচ্ছে তাতেও রাজনৈতিক রঙ লাগানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে গিয়ে গ্রামবাসীদের হামলার মুখে পড়েছেন তদন্তকারীরা। এনআই এর উপরে হামলা চালানো হয় সন্দেশখালির কায়দায়। মারধরের পর পুলিশে অভিযোগ জানায় তদন্তকারীরা। তদন্তকারীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ। শ্লীলতাহানি সহ একাধিক ধারায় এনআইএ’র আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তের বাধা দেওয়ার পাশাপাশি তাদের উপর পাল্টা চাপ সৃষ্টি করার পাল্টা কৌশল নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন এমনটাই অভিযোগ বিজেপির।
Bhupatinagar Incident: ভূপতিনগরে হামলা, বিপাকে তিন তৃণমূল নেতা, রিপোর্ট চাইলেন রাজ্যপাল
নিউজ ডেস্ক: এনআইএর উপর হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল। তিনি এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করলেন। শনিবার রাতে এনআইয়ের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস ( C.V. Anand Bose)। সেদিন সকালে ঘটনাস্থলে এনআইএর (NIA) আধিকারিকদের সঙ্গে ঠিক কী ঘটেছিল, কীভাবে হামলা হল, হামলার সময় কতজন মানুষ ওখানে ছিল তার বিস্তারিত বর্ণনা শুনেন তিনি। কেন আধিকারিকরা সেখানে গিয়েছিলেন সেই সম্পর্কেও জানতে চান রাজ্যপাল। রাজভবন (Governer’s House) সূত্রে খবর পুরো বিষয় জানার পর রাজ্যপালসম্পূর্ণ রিপোর্ট তলব করেছেন।
কোন দিকে এই ঘটনায় এনআইয়ের অভিযোগ নেওয়ার পাশাপাশি রাজ্য পুলিশ (Police) এনআইয়ের আধিকারিকদের বিরুদ্ধেই পাল্টা শ্লীলতাহানির মামলা রুজু করেছে। রাজ্যের এজেনন্সি কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অঙ্গুলীহেলনে কাজ করছে বলে অভিযোগ উঠছে।
প্রসঙ্গত ভূপতিনগর (Vupatinagar Blast) বিস্ফোরণ কাণ্ডে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে গিয়ে শনিবার সকালে হামলার মুখে পড়েন এনআইএ আধিকারিকরা। তাদের গাড়ির কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয়। এক এনআইএ আধিকারিকের উপর লাঠি নিয়ে হামলা করা হয়।সেই আধিকারিক এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বলে জানা যায়।২০২২ সালের ২ ডিসেম্বর ভগবানপুর ২ নম্বর ব্লকের ভূপতিনগরে প্রচন্ড জোরে বিস্ফোরণ হয়। সেই বিস্ফোরণের ভয়াবহতায় কেঁপে উঠেছিল আশপাশের এলাকা। এই ঘটনায় তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না, তার ভাই দেব কুমার মান্না ও বিশ্বজিৎ গায়েনের মৃত্যু হয়। মৃত্যু হয়েছিল আরও একজনের।ছিন্নভিন্ন, ঝলসে যাওয়া দেহ উদ্ধার হয়েছিল বাড়ির ছাদ ও কয়েক মিটার দূরের পুকুর থেকে। সেই ঘটনায় মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত ভার যায় এনআইএ’র কাঁধে।
এই ঘটনায় তৃণমূলের জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মানব কুমার পড়েয়া, সুবীর মাইতি ও নবকুমার পান্ডাকে ফের নোটিশ দিল এনআইএ। শনিবার তিনজনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিলেন এনআইএ আধিকারিকরা। তাদের সোমবার সকালে নিউটাউনের এনআইএ দপ্তরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আগেও তলব করা হয়েছিল। কিন্তু একবারও তারা হাজিরা দেননি।
এদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এনআইএর কর্মকান্ড নিয়ে রাজনৈতিক রঙ দিতে তৎপর। হেমতাবাদের সভা থেকে তিনি বলেন,“হামলা মেয়েরা করেনি, করেছে এনআইএ। গদ্দারটা জানে হারবে। তাই লোকের বাড়িতে লোক পাঠাচ্ছে। তুমি লোকের বাড়িতে ঢুকে যাবে রাতে। তৃণমূলের সব সভাপতিকে এমএলএকে গ্রেফতার করবে। সবাই শাঁখা পলা পড়ে বসে থাকবে।” প্রসঙ্গত জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিরুদ্ধে এক এনআইএ আধিকারিকের বাড়ি গিয়ে নামের তালিকা তুলে দেওয়ার অভিযোগ এনেছিল শাসক দল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অভিযোগ তুলেছিলেন ২৬ মার্চ জিতেন্দ্র তিওয়ারি N.I.A.’র এসপি ধরাম সিংএর কলকাতার বাড়িতে গিয়ে একটি খাম তুলে দিয়ে এসেছিলেন। জিতেন্দ্র তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “মানহানিকর বক্তব্য রাখা হয়েছে। সাত দিন সময় দিলাম। নিজের বক্তব্য ফেরত না নিলে মানহানিকর মামলা করব।”
পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে বলে মনে করছে বিজেপি বিজেপি মুখপাত্র শ্রমিক ভট্টাচার্য বলেছেন মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসে এভাবে তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে লেলিয়ে দিয়ে তদন্ত প্রভাবিত করছেন মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী, তিনি চাইছেন আরেকটা বড় ঘটনা হোক এবং এর দায় তদন্তকারী সংস্থার উপরে চাপিয়ে দেওয়া হবে। চেষ্টা চালানো হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসে দুষ্কৃতিদের এবং অভিযুক্তদের আড়াল করতে চাইছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনা নজিরবিহীন
Mamata Banerjee: NIA-এর ওপর হামলায় নিন্দার পরিবর্তে হামলাকারীদের পক্ষে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী!
নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর বিস্ফোরণের ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে নোটিস পাঠিয়েছিল এনআইএ। তাঁরা হাজিরা না দেওয়ায় আশপাশের গ্রামে তল্লাশিতে যান আধিকারিকরা। সেই তালিকাতেই ছিলেন তৃণমূল নেতা বাদল মাইতি। তাঁর বাড়িতে যাওয়ার পথেই হামলার ঘটনা ঘটে এনআইএ আধিকারিকদের উপর। এই ঘটনায় তৃণমূলের সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিন্দার পরিবর্তে হামলাকারীদের পক্ষে দাঁড়ালেন। এনআইএ-এর তদন্ত নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুললেন। যা নিয়ে বিরোধীরা তাঁকে তীব্র আক্রমণ করেছে। রাজ্যজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
শনিবার রায়গঞ্জে রাত্রিযাপন করে দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনে যোগ দিতে যাওয়ার সময় রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় অডিটোরিয়াম মাঠে হেলিকপ্টারে ওঠার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, "ওরা কি পুলিশকে জানিয়ে গেছিলো? ওরা কেন মধ্যরাত্রে পুলিশকে না জানিয়ে যাচ্ছে? নিয়ম হচ্ছে লোকাল পুলিশকে জানিয়ে যাওয়া। মধ্যরাতে যদি গ্রামের লোক দেখে হঠাৎ করে কিছু লোক আসছে পুলিশের ড্রেস পরে, তারা কি করে বুঝবে কিসের জন্য? আর নির্বাচনের আগে কেন গ্রেফতার করবে? যদি সবাইকে গ্রেফতার করে, বিজেপি কী মনে করে, সব বুথ এজেন্টদের গ্রেফতার করবে, সব ভোট ম্যানেজারদের গ্রেফতার করবে? এসব করে ওরা ভোটে জিতবে? শূন্যে গুলি ছুড়ছে। কি অধিকার আছে এনআইএ-র? শুধু বিজেপিকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য। বিজেপি নোংরামি খেলা খেলছে। আমরা সারা পৃথিবীতে এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলব!"
বিরোধীদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী যদি হামলাকারীদের এভাবে পাশে দাঁড়ায়, তাহলে থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সাহস দেখাতে পারবে না। হামলাকারীদের এভাবে মদত দেওয়ার অর্থ, তিনিও এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া আক্রমণ করেছেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Mamata Banerjee), তিনি বলেন, পুরো বিষয়টি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ঘটেছে।
এ দিকে, আবার মুখ্যমন্ত্রী মুখ খোলার পরই পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছে বিজেপি-র পক্ষ থেকে। বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, “চোরকে জানিয়ে তারপর তাঁর বাড়ি পৌঁছতে হবে? এটা কোথায় লেখা আছে? এ তো আগেরকার দিনে রঘু ডাকাতরা চিঠি দিয়ে ডাকাতি করতে যেত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি সেই দিন ফিরিয়ে আনতে চাইছেন? এই মন্তব্যের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। ওনাকে দেখেই বাংলার মানুষ একসময় স্বপ্ন দেখেছিল সিপিএম-কে পরাজিত করা সম্ভব। এখন সেই মুখ্যমন্ত্রী হামলাকে সমর্থন করছেন।”
Attacks on NIA: ইডির পর এবার এনআইএ! তদন্তে নেমে গ্রামবাসীর বিক্ষোভের মুখে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা
নিউজ ডেস্ক: ইডির পর এবার এনআইএ। ভূপতিনগরে তদন্তে গিয়ে গ্রামবাসীর একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়ে এনআইএ। পুলিশ সূত্রে খবর, NIA-র তদন্তকারীরা গ্রামে পৌঁছে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করতে গেলেই তুমুল ধস্তাধস্তি শুরু হয়। গ্রামবাসীদের একাংশ অফিসারদের ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের দাবি, ভোররাতের অন্ধকারে ছোঁড়া হয় ইঁট। গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। ভোটের মুখেই ফের জাতীয় তদন্ত সংস্থাদের উপর আক্রমণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।
উল্লেখ্য ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয় ভূপতিনগর। ওই বিস্ফোরণে তিনজনের মৃত্যু হয়। আদালতের নির্দেশে সেই বোমা বিস্ফোরণের তদন্ত করছে তদন্তকারী সংস্থা। সেই সূত্রেই সেখানে গিয়েছিলেন তাঁরা। বিস্ফোরণকাণ্ডে সম্প্রতি আটজনকে এনআইএ-র কলকাতার দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। অভিযুক্তরা হাজিরা দেননি। এরপরই শুক্রবার রাতে গ্রামে পৌঁছান তদন্তকারীরা।
স্থানীয় সূত্রে দাবি, রাতে এনআইএ-র একটি দল নিরাপত্তার জন্য ভূপতিনগর থানায়(Bhupatinagar police station) পৌঁছেছিল। অপর দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত একজনকে আটক করে। তখনই হামলার ঘটনা ঘটে। এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। অভিযোগ, সেই সময়ই ওই ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে এনআইএ’র গাড়ি ঘিরে ধরেন স্থানীয়রা। হামলা চালানো হয় গাড়িতে। দুই এনআইএ আধিকারিক সামান্য আহত হয়েছেন বলেও খবর।
ইতিমধ্যে পুরো ঘটনা দিল্লিতে এনআইএ-র সদর দপ্তরে জানানো হয়েছে। তবে এনআইএ-র তরফে এখনও কোনও বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি। ইতিমধ্যে ভূপতিনগর থানায় এবিষয়ে এফআইআরও দায়ের করেছেন তদন্তকারীরা। প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারি মাসে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ইডির (ED) ওপর ভয়ঙ্কর হামলার ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল গোটা রাজ্য। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই এবার এনআইএ-র (NIA) ওপর হামলা।
Breaking NIA investigation: ময়নায় বিজেপি কর্মী খুনে NIA কে নির্দেশ হাইকোর্টের
ভোটের মুখে আরো এক মামলায় NIA-এর নির্দেশ হাইকোর্টের। ময়নায় বিজেপি কর্মী বিজয়কৃষ্ণ ভূঁইয়া খুনের মামলায় NIA কে নির্দেশ হাইকোর্টের। ১৫ দিনের মধ্যে তদন্তের দায়িত্ব নিতে হবে এনআইএকে,নির্দেশ হাইকোর্টের। ২৪শে এপ্রিলের মধ্যে নির্দেশ কার্যকর করে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ হাইকোর্টের।
তবে হাইকোর্টের এই নির্দেশ কার্যকরে আগ্রহ দেখায়নি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ফলে নির্দেশ কার্যকরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্তকের ভূমিকায় হতাশ হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, বিজেপির বুথ কমিটির সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুইয়াঁ (৬০)-কে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ময়নার বাকচা পঞ্চায়েতের গোরামহল এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ, বিজয়কৃষ্ণকে অপহরণ করা হয় এবং পরে তাঁকে খুন করা হয়।
গোটা ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপির নেতা-কর্মীরা ময়না থানা ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। ময়না বাইপাসের ধারে তিন রাস্তার মোড়ে দলীয় পতাকা হাতে গেরুয়া শিবিরের স্থানীয় নেতারা লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ চালান। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ময়না বন্ধের ডাক দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
Recycled sari: কাশবালিশ হয়নি তবে শান্তিপুরে তৈরি হচ্ছে কচুরিপানার শাড়ি
নিউজ ডেস্ক: কাশফুলের বালিশ হয়নি কিন্তু কচুরিপানা থেকে শাড়ি তৈরি হচ্ছে। কথা আছে শাড়িতেই নারী। নারীর জন্য তৈরি হচ্ছে কচুড়িপানার শাড়ি । এমনিতেই নদীয়ার শান্তিপুরের তাঁতের শাড়ি জগৎ বিখ্যাত। এবার সেই তাঁতের শাড়ির পাশাপাশি স্থান পেতে চলেছে কচুরিপানার শাড়ি । যা এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে শান্তিপুরের তাঁতি ।
পরিত্যক্ত কিংবা অব্যবহৃত বিষয় কাজে লাগিয়ে পুনরায় ব্যবহারের যোগ্য করে তোলান নানান প্রয়াস শুরুর হচ্ছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কখনো কাশফুলের বালিশ কখনো কচুরিপানা থেকে খাবার তৈরির সম্ভাবনার কথা বলেছিলেন। তার ভাবনা কাজে লাগেনি ঠিকই তবে কচুরিপানারসুত থেকে শাড়ি তৈরি হচ্ছে।
জানেন কি কিভাবে কচুরিপানার শাড়ি তৈরির পথ প্রশস্ত হল? আজ থেকে পাঁচ বছর আগে বনগাঁর বাসিন্দা কৌশিক মন্ডল নদীয়ার শান্তিপুর এলাকার বেশ কিছু তাঁতি সহ সারা বাংলার বিভিন্ন জেলার পরিবেশ রক্ষা এবং নতুন ধরনের চিন্তা ভাবনা সম্পন্ন মানুষজনকে নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন “স্বচ্ছতা পুকারে” নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। যদিও সে সময় নদী পরিষ্কার তাদের প্রধান কাজ ছিল। আর সেই কাজ করতে গিয়ে তারা প্রথম লক্ষ্য করেন কোন কাজে না লাগা কচুরিপানা মাছ চাষ এবং নদীপথ যোগাযোগে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করত। সেগুলি পরিষ্কার করার জন্য কৃষকদের অযাচিত ব্যয় হত, অন্যদিকে সেগুলো পুকুরের কিংবা জলাশয়ের পাড়ে ফেলে নষ্ট হত না।
টাটা কোম্পানির এনভারমেন্টাল ডিপার্টমেন্টের চিফ জেনারেল ম্যানেজার গৌরব কুমার আনন্দ এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে পরামর্শদাতা হিসেবে যোগাযোগ হওয়ার পর তিনিই কচুরিপানা দিয়ে কিছু করার চিন্তাভাবনা শুরু করেন।
প্রাথমিকভাবে এবং পরীক্ষামূলকভাবে কাজ শুরু হয় শান্তিপুরের বিভিন্ন ডোবা পুকুর পরিষ্কারের পর গোড়া এবং পাতা ফেলে দিয়ে, প্রধান কাণ্ড কিংবা পাতার মোটা ডাটা থেকে আঁশ ছাড়ানোর, এবং পরবর্তীতে শুকানোর কাজ। তবে এক্ষেত্রে মাত্র দু কেজি তন্তু পাওয়া যায়। তবে এগুলোই সরাসরি সুতো হিসেবে নয়। পশ্চিমবঙ্গে স্পিনিং মিলের সংখ্যা কম থাকার কারণে তারা বিভিন্ন রাজ্যের এ ধরনের মিলে সুতো তৈরি করে নিয়ে আসেন। যেগুলো কখনো তানায় কখনো পোড়েন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে তবে ২৫ শতাংশের বেশি কখনোই নয়। কারণ হিসাবে কৌশিক মন্ডল জানান টেকসই এবং ক্রেতাদের ক্ষমতার উপর নজর রেখে এভাবেই প্রায় ৪০০ শাড়ি ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে। যা সাড়া ফেলে দিয়েছে ইউরোপ আমেরিকা মতন দেশ গুলিতে। তাদের সংগঠনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে এই উৎপাদনের জন্য। আগামী দিনে অত্যন্ত কমমূলধনের এই ব্যবসায় অনেকেই আগ্রহী হবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। পরিবেশের দিক থেকে এবং পরিত্যক্ত রিসাইকেল এই বিষয়টিতে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য উভয় সরকারকে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর জন্য আবেদন জানিয়েছেন সংগঠনের কর্মকর্তারা।
আজ নদীয়ার শান্তিপুর মহাপ্রভু পাড়ায় স্বচ্ছতা প্রকারের সংগঠনের এই কাজ দেখতে এসেছিলেন ছত্রিশগড় রাজ্যের জব্বলপুর এলাকা থেকে এনইউএলএমর স্বেতা সোনি। তিনি বলেন “তারা বিভিন্ন ধরনের হস্তচালিত কুটির শিল্প কিংবা ব্যবসায়িক স্বনির্ভরতার সহযোগিতা করে থাকেন”। সোশ্যাল মিডিয়ায় কচুরিপানার এই শাড়ি দেখার পর নিজে এসে স্বচক্ষে দেখে গেলেন শাড়ি উৎপাদন। আগামী দিনে রাজ্যে ফিরে গিয়ে সেখানে এ ধরনের একটি প্রকল্প করার চিন্তাভাবনা আছে।
সুদূর মুম্বাই থেকে অর্পনা গাইকোড এর নেতৃত্বে ৮ ছাত্রছাত্রীর একদল ফ্যাশন ডিজাইন এবং বস্ত্র বয়ন সংক্রান্ত পড়াশোনা করা গবেষক ছাত্রছাত্রীরা একইভাবে স্বচক্ষে দেখতে এসেছিলেন শান্তিপুরে। তারাও জানাচ্ছেন অত্যন্ত যুগোপযোগী এই প্রকল্প আগামী দিনে প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান হতে পারে। তবে শুধু শাড়ি নয় এই ফাইবার বা তন্তু নানান কাজে লাগানো সম্ভব অন্যদিকে এই কচুরিপানা সংগ্রহের ফলে বর্ষাকালে উপকৃত হবেন বহু মৎস্যজীবী থেকে শুরু করে নদী এবং বিভিন্ন জল পথে যাতায়াত মাধ্যমের কর্মীরাও।
Sonia Gandhi: ক্ষমতায় না থেকেও পরিপূর্ণ কোষাগার? সম্পত্তির হিসেব দিলেন কংগ্রেস প্রাক্তন সভানেত্রী
নিউজ ডেস্ক: গত পাঁচ বছরে কংগ্রেস ক্ষমতায় না থাকলেও সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রীর। সম্প্রতি নিজের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব দিলেন সনিয়া গান্ধী। সোনার গহনা থেকে শুরু করে ইটালির বাড়ির ভাগ এবং উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি সব মিলিয়ে ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালে সম্পত্তি ৫.৮৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রীর।
উল্লেখ্য লোকসভার ছেড়ে এবার রাজ্যসভায় যাচ্ছেন সোনিয়া গান্ধী। শারীরিক অসুস্থতার জন্য আর লোকসভায় লড়তে চান না বলে জানিয়েছেন তিনি। গত বুধবার রাজস্থান থেকে নিজের মনোনয়ন জমা করেছেন তিনি। সেখানেই কমিশনে জমা করা হলফনামায় নিজের সম্পত্তির উল্লেখ করেছেন কংগ্রেস নেত্রী। তথ্য অনুযায়ী সনিয়া গান্ধীর মোট সম্পত্তির মূল্য ১২ কোটি ৫৩ লাখ ৭৬ হাজার ৮২২ টাকা। যার মধ্যে অস্থাবর সম্পত্তি ৬ কোটি ৩৮ লাখ ১১ হাজার ৪১৫ টাকার। এই অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে নগদ অর্থ, সোনার গহনা, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাওয়া রয়্যালটি, নানা রকম বিনিয়োগ থেকে প্রাপ্য অর্থ সহ বন্ড ও ব্যাংকে জমা টাকা।
অস্থাবর সম্পত্তির একটা বড় অংশ হল সোনিয়ার গহনা। তার মোট ১ কোটি ৭ লাখ ১৫ হাজার ৪৯০ টাকার গহনা রয়েছে বলে লেখা রয়েছে হলফনামায়। এর মধ্যে ১ কেজি ৩০০ গ্রাম সোনার গহনা। যার মূল্য ৪৯.৯৫ লাখ টাকা। রয়েছে ৮৮ কেজির রুপোর গহনা এবং বাসনপত্রও। যার মূল্য ৫৭.২ লাখ টাকা। এর পাশাপাশি ৯০ হাজার টাকা নগদ অর্থেরও হিসাব দিয়েছেন সোনিয়া গান্ধী। সোনিয়ার মোট স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৬.১৫ কোটি টাকার। এর মধ্যে রয়েছে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সনিয়ার ইটালির বাড়িও। ওই বাড়িতে সনিয়ার ভাগের মূল্য ২৬.৮৪ লাখ টাকা।
প্রসঙ্গত,এর আগে লোকসভা নির্বাচনেও নিজের সম্পত্তির হিসাব দিয়েছিলেন সনিয়া। দেখা যাচ্ছে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ প্রতি পাঁচ বছর অন্তর বেড়েছে। ২০১৪ সালে তাঁর জমা করা হলফনামায় মোট সম্পত্তির পরিমাণ উল্লেখ ছিল ৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা। যা ২০১৯ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ১১ কোটি ৮২ লাখ। পাঁচ বছর পর ২০২৪ এ তা বেড়ে হয় প্রায় ৭১ লাখ টাকা। যা ২০১৯ সালের তুলনায় ৫.৮৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সবমিলিয়ে ক্ষমতা থেকে সরে এসেও মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে সোনিয়ার স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ বিপুলভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
Stone Smuggling scam: পাথর কেটে পাহাড় উধাও, মারাত্মক অভিযোগ পুরুলিয়ায়
নিউজ ডেস্ক: পাথর কাটার নামে পাহাড় উধাও করে দেওয়া হচ্ছে। ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশের। এমনই অভিযোগ উঠছে পুরুলিয়ায়। প্রশাসনের বিরুদ্ধে উঠছে গাফিলতির অভিযোগ।
দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে চলছিল পাহাড় কাটার কাজ। পুরুলিয়া জেলার সাঁওতালডিহি থানার পাহাড়িগোড়া সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, পাথর মাফিয়ার অবৈধ কার্যকলাপের ফলে নষ্ট হচ্ছে পাহাড় ও এলাকার সুস্থ পরিবেশ। তারা জানান, পাথর কেটে পাচার করছিল দীর্ঘদিন ধরে। এখানে পাথর খুব হালকা তাই এই পাথর পাশেয রাজ্য ঝাড়খন্ড তথা ঝাড়খন্ড হয়ে বাংলাদেশের পাচার হয়েছে এই পাথর । অভিযোগ, বার বার প্রশাসনকে জানিয়েও হয়নি কোনো লাভ।
দুই বছর আগে এলাকার বাসিন্দাদের উদ্যোগে তৈরি হয় পাহাড় ও পরিবেশ বাঁচাও কমিটি । গতবছর হাই কোর্টের দারস্থ হয়েছিলেন তারা। সেই আবেদনের ভিত্তিতে কোর্টের নির্দেশে প্রশাসনিক আধিকারিকরা এলাকা পরিদর্শন করেন। তারা আশ্বাস দিয়েছেন, রিপোর্ট পাঠাবেন তারা। আদৌও কি বাঁচবে পাহাড়, প্রশ্ন করছেন পাহাড় ও পরিবেশ বাঁচাও কমিটির সদস্যরা।