Jharkhand: ঝাড়খণ্ডে গঙ্গায় ডুবে গেল দমকলের গাড়ি,নিখোঁজ চালক
Sweta Chakra... | 18:06 PM, Sat Dec 21, 2024
Kejriwal announces ambedkar scholarship: আম্বেদকর স্কলারশিপের ঘোষণা কেজরির, দলিতদের শিক্ষায় দিলেন জোর
Sweta Chakra... | 18:00 PM, Sat Dec 21, 2024
kuwait: কুয়েত পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী, উষ্ণ অভ্যর্থনা জানালেন প্রবাসী ভারতীয়রা
Sweta Chakra... | 17:45 PM, Sat Dec 21, 2024
Mandarmoni: মন্দারমণির হোটেলে উদ্ধার তৃণমূল নেতার ঝুলন্ত দেহ, আটক বান্ধবী
Sweta Chakra... | 16:08 PM, Sat Dec 21, 2024
Alipurduar: আলিপুরদুয়ারে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেলারে আগুন
Sweta Chakra... | 15:52 PM, Sat Dec 21, 2024
Murshidabad: জলঙ্গিতে নিখোঁজ যুবকের দেহ উদ্ধার, শোরগোল দক্ষিণপাড়ায়
Sweta Chakra... | 15:23 PM, Sat Dec 21, 2024
Sweta Chakra... | 13:59 PM, Sat Dec 21, 2024
Sweta Chakra... | 13:44 PM, Sat Dec 21, 2024
Sweta Chakra... | 13:39 PM, Sat Dec 21, 2024
Sweta Chakra... | 13:36 PM, Sat Dec 21, 2024
PM narendra modi visit kuwait: ২১-২২ ডিসেম্বর কুয়েত সফরে যাচ্ছেন মোদী, একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর
Sweta Chakra... | 18:01 PM, Fri Dec 20, 2024
Sunita Williams: পাঁচ মাস ধরে মহাকাশে আটকে সুনিতা উইলিয়ামস! মহাকাশে বসে কী কী খাচ্ছেন তাঁরা!
নিউজ ডেস্ক: পাঁচ মাস ধরে মহাকাশে আটকে সুনিতা উইলিয়ামস। পৃথিবীতে ফিরতে হয়ে যেতে পারে পরের বছর। কয়েকদিন আগে, নাসার এই মহাকাশচারী সুনিতা উইলিয়ামসের স্বাস্থ্যের অবনতি প্রসঙ্গে গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। বিশেষ করে, সুনিতা ও তাঁর সহকর্মী মহাকাশচারী বাচ উইলমোরের কিছু ছবি উদ্বিগ্ন করে তুলেছিল চিকিৎসকদের। জল্পনা উঠেছিল, ক্রমাগত ওজন কমছে সুনিতার। যদিও, পরে উইলিয়ামস জানান, তাঁর চেহারার পরিবর্তন নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। ভালোই আছেন। নাসার মেডিকেল টিমও নিশ্চিত করছে যে তাঁরা সুস্থ থাকার জন্য পর্যাপ্ত ক্যালোরি পাচ্ছেন।
তবে মহাকাশে পৃথিবীর মতো দৈনন্দিন খাবারের যোগান নেই। এমন সময়ে কী খেয়ে কাটাচ্ছেন সুনিতারা? কোন খাবারে পুষ্টি পাচ্ছেন? সম্প্রতি এ তথ্যই সামনে এসেছে। বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) মহাকাশচারী সুনিতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোর পিৎজা, রোস্ট চিকেন এবং চিংড়ি ককটেল উপভোগ করছেন। তবে অন্য আরেকটি সূত্র আবার উল্লেখ করেছে যে নভোচারীদের স্বাস্থ্যকর খাদ্যের যোগান সীমিত। স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করার জন্য খুব বেশি তাজা খাবার অবশিষ্ট নেই।
তবে, নাসা নিশ্চিত করেছে যে প্রতিদিন প্রত্যেক মহাকাশচারীর জন্য ৩.৮ পাউন্ড খাবার পাওয়া যায়। এছাড়াও, অপ্রত্যাশিতভাবে মিশনের দিন বাড়ানোর প্রয়োজন হলে অতিরিক্ত খাদ্য সরবরাহও রয়েছে।
Sunita Williams: দিনে দিনে কমছে ওজন! শীর্ণকায়া সুনীতার ছবি দেখে চমকে উঠল বিশ্ব, কী বলছে নাসা
নিউজ ডেস্ক: গত পাঁচ মাস ধরে মহাকাশযানের ছোট্ট গণ্ডিতেই সীমাবদ্ধ সুনীতা উইলিয়ামসের দুনিয়া। এক দিন এক দিন করে মহাকাশে ১৫০ দিন পার করে ফেলেছেন সুনীতা ও তাঁর সঙ্গী বুচ উইলমোর। সম্প্রতি নাসার পক্ষ থেকে সুনীতার যে ক’টি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে তাতে সুনীতার জন্য উদ্বেগ বাড়ছে বই কমছে না বিশ্ববাসীর। এই পাঁচ মাসে তাঁর ওজন এতটাই হ্রাস পেয়েছে যে সুনীতাকে অত্যন্ত শীর্ণকায় লাগছে। তাঁর এতটাই ওজন হ্রাস পেয়েছে, যা চিন্তা বাড়িয়েছে নাসারও।
দিনটা ছিল ৫ জুন৷ পৃথিবীর মাটি থেকে পাড়ি দিয়েছিল বোয়িং স্টারলাইনার৷ গন্তব্য মহাকাশ৷ তাঁর সঙ্গে সঙ্গী হয়েছিলেন বুচ উইলমোর৷ সমস্যা ঘটে তারপর থেকেই৷ ইন্টারন্যাশানাল স্পেস স্টেশনে কয়েকমাস পরও ফিরে আসতে পারেন নি, তাঁরা৷ সময় আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকায় শরীরের অবস্থার ক্রমশ অবনতি হচ্ছে৷ সুনীতা উইলিয়ামস যখন যাত্রা শুরু করেছিল, তখন তাঁর ওজন ছিল প্রায় ৬৩ কেজি৷ কিন্তু সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদপত্রে তাঁর যে ছবি প্রকাশ পেয়েছে তা রীতিমতো আশঙ্কাজনক৷ মহাকাশ থেকে পাঠানো ছবিতে সুনিতার ভাঙা চোয়াল, শীর্ণকায় চেহারা দেখে, চিন্তিত নাসাও৷ কিন্তু প্রাণহানির কোনও আশঙ্কা নেই৷
নাসার এক প্রতিবাদে বলা হয়েছে, মহাকাশের ভ্রমণের সময় বিপাকের পরিবর্তন হয়৷ এর ফলেই পুরুষ নভোচরদের তুলনায় মহিলাদের দ্রুত পেশি ক্ষয় হয়৷ মহাকাশে বেশিদিন থাকলে দ্রুতহারে কমতে থাকে লাল রক্তকণিকার পরিমাণ৷ এর ফলে রক্তাল্পতার মতো সমস্যা দেখা যেতে পারে৷ বিভিন্ন গবেষণায় জানা গিয়েছে, মহাকাশে থাকাকালীন প্রায় প্রতি সেকেন্ডে তিন লক্ষ লোহিত কণিকা ধ্বংস হয়ে যায়৷ আসলে মহাকাশে ওজন স্থিতিশীল রাখতে উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার খেতে হয় মহাকাশচারীদের। শুধুমাত্র ওজন বজায় রাখার জন্য মহাকাশ সফরের সময় প্রতি দিন প্রায় সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার ক্যালোরির খাবার খেতে হয় নভোচরদের। সেই পরিমাণ খাবার শরীরকে না দিলে শরীর ভাঙতে শুরু করে ও দ্রুত ওজন কমতে থাকে।
তবে সুনীতার স্বাস্থ্যের উপর কড়া নজর রাখছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। মূলত আট দিনের নির্ধারিত মহাকাশ সফরের পরিধি বেড়ে পাঁচ মাসে দাঁড়িয়েছে বোয়িং স্টারলাইনার মহাকাশযানের প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে। সম্প্রতি নাসার তরফ থেকে জানা গিয়েছে, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে, সুনীতাদের পৃথিবীতে ফেরানো হবে৷ এর জন্য ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেস এক্সের ‘ক্রু ড্রাগন’ তৈরি হচ্ছে৷ এই মহাকাশযানের মাধ্যমে তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে৷
Sunita Williams: সুনীতাদের ফেরাতে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পৌঁছে গেলেন দুই নভোশ্চর, কবে ফিরবেন তাঁরা?
নিউজ ডেস্ক: অবশেষে সুনীতার কাছে পৌঁছচ্ছে নয়া মহাকাশযান। ভারতীয় বংশোদ্ভূত নভোশ্চর সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams) এবং তাঁর সহযাত্রী ব্যারি বুচ উইলমোরকে নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্পেস এক্স-কে। তাই সুনীতা ও বুচকে ফেরাতে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পৌঁছে গেল এই মহাকাশযান। সঙ্গে পৌঁছলেন দুই মহাকাশচারীও। লাইভ স্ট্রিমে দেখা গিয়েছে তাঁদের পৌঁছনোর মুহূর্ত। দীর্ঘদিন ধরে মহাকাশে আটকে থাকা সুনীতারা তাঁদের দেখেই জড়িয়ে ধরেন। আশার আলো নিয়ে পৌঁছনো দুই নভোশ্চরই এখন তাঁদের কাছে ত্রাতা।
তবে তবে এই অভিযানও ভয়ঙ্কর বাধার মুখে পড়েছিল। Falcon-9 রকেট মহাকাশযানটিকে কক্ষপথে পৌঁছে দেওয়ার পর তার থেকে ক্যাপসুলটি আলাদা হওয়ার সময় যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেয় বলে জানিয়েছে স্পেস এক্স। রকেটের উপরের অংশটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর। স্পেস এক্স জানিয়েছে, রকেটের উপরের অংশটি পরিকল্পনা মাফিক মহাসাগরে এনে ফেলা হয়। কিন্তু কক্ষপথ থেকে পৃথিবীতে ফিরে আসার সময় রকেটের উপরের অংশের বেশ খানিকটা পুড়ে যায়। ফলে মহাসাগরে এনে ফেলা হলেও, মহাসাগরের যে নির্ধারিত জায়গায় রকেটের অবশিষ্টাংশ এনে ফেলার কথা ছিল, তা সম্ভব হয়নি।
তবে এদিন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে মহাকাশযানটিকে নোঙর করার পর নিক এবং অ্যালেকজান্ডার নামের দুই নভোশ্চরই সন্ধ্যা ৭টায় সুনীতাদের (Sunita Williams) কাছে পৌঁছন। এ প্রসঙ্গে নাসার ডেপুটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর পাম মেলরয় বলেন, ''কী অভুতপূর্ব একটি দিন। নিক এবং আলেকজ়ান্ডার যখন ফেব্রুয়ারি মাসে ফিরবেন, সুনীতা এবং বুচকে সঙ্গে নিয়েই আসবেন। তাঁরা আগামী পাঁচ মাস সুনীতাদের সঙ্গেই স্পেস স্টেশনে থাকবেন। ২০০ রকমের পরীক্ষা নিরীক্ষা করবেন তাঁরা।''
তবে এখুনি পৃথিবীতে ফিরবেন না সুনীতারা (Sunita Williams)। জানা গিয়েছে, আগামী পাঁচ মাস সেখানে গবেষণামূলক কাজকর্ম চালাবেন নিক এবং অ্যালেকজান্ডার। সুনীতা এবং ব্যারিও তাঁদের সঙ্গে গবেষণার কাজে যুক্ত থাকবেন। শেষ মেশ, আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসে পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা তাঁদের।
Sunita Williams: মহাকাশে আরও পাঁচ মাসের অপেক্ষা শুরু সুনীতা এবং বুচের
নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams) আর তাঁর সঙ্গী আমেরিকান বুচ উইলমোর মহাকাশেই আটকে রইলেন। মহাকাশে যে যানে চড়ে তাঁরা গিয়েছিলেন, শুক্রবার সেই বাহন পৃথিবীতে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। নিজেরা ফিরবেন আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে। ফলে মহাকাশে আরও পাঁচ মাসের অপেক্ষা শুরু হল সুনীতাদের।
জুনের প্রথম সপ্তাহে বোয়িং স্টারলাইনার মহাকাশ যান সুনীতা ও বুচকে মহাকাশে নিয়ে যায়। কিন্তু তারপরেই প্রযুক্তিগত সমস্যা তৈরি হয়। তাই সুনীতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোর এখনও মহাকাশেই রয়ে গিয়েছেন। কিন্তু মহাকাশযানটি কোনও ক্রু ছাড়াই পৃথিবীতে ফিরে এসেছে। স্টার লাইনার সাত সেপ্টেম্বর গভীর রাতে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র থেকে যাত্রা শুরু করে এবং সাত সেপ্টেম্বর তা পৃথিবীতে ফিরে আসে।
প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মহাকাশযান স্টার লাইনার এদিন ভারতীয় সময় ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে বিচ্ছিন্ন হয় এবং সকাল ৯.৩২-এ এটি আমেরিকার মেক্সিকোর হোয়াইট স্যান্ড স্পেস হারবারে অর্থাৎ মরুভূমিতে অবতরণ করে। উল্লেখ্য, গত ৫ জুন এই বোয়িং স্টারলাইনার ক্যাপসুলে চড়েই মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন সুনীতা (Sunita Williams) এবং বুচ। তাঁদের গন্তব্য ছিল আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন। আট দিনের মধ্যেই সেখানে কাজ সেরে আবার তাঁদের পৃথিবীতে ফেরার কথা ছিল। সে ক্ষেত্রে স্টারলাইনারে চড়েই ফিরতে হত সুনীতাদের। কিন্তু এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি। সুনীতাদের বাহনে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে। মহাকাশযানটির থ্রাস্টার নামক এক বিশেষ যন্ত্র কাজ করছিল না। এ ছাড়া, হিলিয়াম গ্যাস লিক করছিল ওই স্টারলাইনার থেকে। সব দেখেশুনে নাসা সিদ্ধান্ত নেয়, স্টারলাইনারে সুনীতারা ফিরবেন না। তা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। পৃথিবীতে ফেরার পথে স্টারলাইনারে কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে দুই নভশ্চরের প্রাণ সংশয় হবে।
এর পর সুনীতাদর মহাকাশ থেকে ফেরানোর বিকল্প স্থির হয়। স্পেস এক্সের যান আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে মহাকাশে গিয়ে সুনীতাদের ফিরিয়ে আনবে পৃথিবীতে। তাঁদের আট দিনের সফর আট মাসেরও বেশি দীর্ঘায়িত হয়েছে। তাই এই সময়ের মধ্যে সুনীতাদের (Sunita Williams) অন্য কাজও দিয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মহাকাশে গবেষণা এবং অনুসন্ধান চালাবেন তাঁরা। তাঁদের সংগৃহীত তথ্য পরবর্তী সময়ে মহাকাশচারীদের কাজে লাগবে।
Sunita Williams: নাসার যানে ত্রুটি, সুনীতাদের ফেরা নিয়ে সংশয়! কবে , কীভাবে পৃথিবীর মাটি স্পর্শ করবে স্টারলাইন?
নিউজ ডেস্ক: মহাকাশে ‘আটকে’ রয়েছেন সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams)। তিনি ও তাঁর সহযাত্রী ব্যারি বুচ উইলমোর আপাতত ফিরতে পারবেন না পৃথিবীতে। এমনটাই জানিয়েছে নাসা (NASA)। প্রথমে জানা গিয়েছিল, ২৬ জুন তাঁরা ফিরবেন। কিন্তু এখন নাসা সূত্রে জানানো হয়েছে, আপাতত তাঁদের ফেরা সম্ভব নয়। ত্রুটি ধরা পড়েছে তাঁদের মহাকাশযানে। যে মহাকাশযানে তাঁরা গিয়েছিলেন তাতে আর ২৬ দিনের জ্বালানি বাকি রয়েছে। তাই সুনীতাদের পৃথিবীতে ফেরা নিয়ে উদ্বেগও বাড়ছে।
মহাকাশযান বোয়িং স্টারলাইনারকে ঘিরেই তৈরি হয়েছে সমস্যা। গত ৫ জুন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পাড়ি দিয়েছিলেন সুনীতা (Sunita Williams)। উৎক্ষেপণের পরেই একাধিক যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে তাঁদের মহাকাশযানে। না ঘুমিয়ে নিজেরাই সেই ত্রুটি মেরামত করেন নভশ্চররা। এরপর যাবতীয় সমস্যা পেরিয়ে গন্তব্যে পৌঁছে যায় তাঁদের মহাকাশযান। কিন্তু ফের যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ছে তাঁদের যানে। তাই মহাকাশ স্টেশনেই অপেক্ষা করতে হচ্ছে তাঁদের। জানা গিয়েছে সুনীতা উইলিয়ামস ও তাঁর সহযাত্রী বুচ উইলমোর দুজনেই সেই আইএসএসে নিরাপদেই রয়েছেন। তাদের সঙ্গে আরও সাতজন ক্রু মেম্বার রয়েছেন।
থ্রাস্টার ট্রাবল শুটিং এবং নির্ধারিত স্পেসওয়াকের কারণে মহাকাশযানটি ফেরত আসতে বিলম্ব হবে বলে জানিয়েছে সিএনএন। স্টিচের মতে,'আমাদের দলের ডেটা দেখার জন্য আরও কিছুটা সময় লাগবে, এরপর আমরা নিশ্চিত করবে যে আমরা সত্যিই বাড়িতে আসতে প্রস্তুত।'বোয়িংয়ের কমার্শিয়াল ক্রু প্রোগ্রামের প্রধান মার্ক নাপ্পি বলেন, 'আমরা এটিকে একটি সুযোগ হিসেবে দেখছি। এক্ষেত্রে স্টেশনে থেকে আরও কাজ করার সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে।' একবার নাসা মহাকাশচারীদের ফিরে আসার সবুজ সংকেত দিলে, স্টারলাইনারের থ্রাস্টারগুলি আইএসএস থেকে ক্যাপসুলটিকে আনডক করতে ব্যবহার করা হবে। এরপর ছয় ঘণ্টায় পৃথিবীতে পৌঁছে যাবেন সুনীতারা (Sunita Williams)। তাঁরা ৬ জুলাই পৃথিবীতে ফিরতে পারেন। নাসা (NASA) বলেছে যে প্রপালশন সিস্টেমে ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও, স্টারলাইনার মহাকাশচারীদের সঙ্গে করে পৃথিবীতে ফিরে আসতে সক্ষম। স্টারলাইনারকে সম্পূর্ণ অকেজো ঘোষণা করা হলে স্পেসএক্সের ক্রু ড্রাগনের মাধ্যমে মহাকাশচারীদের ফিরিয়ে আনা যেতে পারে। মার্চ মাসে, ক্রু ড্রাগন চার নভোচারীকে মহাকাশ স্টেশনে নিয়ে যায়। জরুরী পরিস্থিতিতে, ক্রু ড্রাগনে আরও নভোচারী বসানো যেতে পারে।
২০০৩ সালের ১৬ জানুয়ারি মহাকাশ অভিযান শেষ করে স্পেস শাটল কলম্বিয়ায় পৃথিবীর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন কল্পনা চাওলা ও তাঁর সঙ্গীরা। ১লা ফেব্রুয়ারি পৃথিবীর মাটি ছোঁয়ার ১৬ মিনিট আগে ভেঙে পড়ে কলম্বিয়া। মৃত্যু হয় কল্পনা-সহ বাকি নভোশ্চরদের। তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়, মহাকাশযান সবদিক থেকে ঠিকঠাক ছিল। খালি হাইড্রোলিক ট্যাঙ্কের তরল দ্রুত কমে আসছিল। এতেই মহাকাশযানের সেন্সর সিস্টেমে গড়বড় শুরু হয়। এবার মহাকাশে আটকে রয়েছেন আরও এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত। এর আগে ২০০৬ ও ২০১২ সালে মহাকাশ অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন সুনীতা (Sunita Williams)। সব মিলিয়ে ৩২২ দিন মহাকাশে কাটানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। তিনি শুধু ভারতীয় বংশোদ্ভূত নন, ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গেও তাঁর যোগ রয়েছে। তাই তাঁকে উদ্বিগ্ন ভারতও।