Friday, September 20, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

upsc

Success Story: প্রথমবারেই ইউপিএসসি-তে সফল! কিন্ত বাঙালি মেয়ে আইএএস না হয়ে হলেন আইএফএস, কারন জানেন?


নিউজ ডেস্ক: মাত্র ২৩ বছর বয়সে প্রথম প্রচেষ্টাতেই ইউপিএসসি -তে সফল উত্তর ২৪ পরগনার মেয়ে তমালি সাহা। কিন্তু যেখানে আইএএস হওয়ার কথা ছিল তাঁর, তা না হয়ে বাংলার মেয়ে বেছে নিলেন ভিন্ন পথ।

জুওলজি নিয়ে স্নাতক তমালি ২০২১ সালে প্রথমবার ইউপিএসসি-তে বসেই সফল হন। লিখিত পরীক্ষায় ১৪০০-র মধ্যে তমালি পান ৬১২ নম্বর। আর পার্সোনালিটি টেস্টে ৩০০-র মধ্যে পান ১৯৫ নম্বর। মানে সব মিলিয়ে মোট ১৭০০-তে ৮৯৭। সর্বভারতীয় স্তরে ৯৪ স্থান অর্জন করেন তিনি। র‍্যাঙ্কিং অনুযায়ী আইএএস-এ যোগ দেওয়া তাঁর কাছে কোনও বাধা-ই ছিল না, কিন্তু এ মেয়ে একটু ব্যতিক্রমী। আইএএস-এর বদলে আইএফএস (Indian Forest Service)-কে বেছে নেন তমালি।

জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে কলেজ পাশ করেছিলেন তিনি। তারপরেই পরীক্ষায় বসেন। এরপর মাত্র ২৩ বছর বয়সে আইএফএস (Indian Forest Service) ক্যাডারে নির্বাচিত হন তিনি। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারে রয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তমালি বলেন, ''প্রকৃতি ভালবাসি আমি, তাই ইন্ডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিস আমার জন্য একেবারে ঠিক হয়েছে।''

উল্লেখ্য, দেশ তথা বিশ্বের অন্যতম কঠিন পরীক্ষাগুলির তালিকায় নাম রয়েছে ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (UPSC) পরীক্ষার। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে গেলে ধৈর্য ও পরিশ্রম দুয়ের সঙ্গে প্রস্তুতি নিতে হয় পরীক্ষার্থীদের। বারবার পরাজিত হলেও ফের হাল না ছেড়ে এগিয়ে যেতে হয়। উত্তর চব্বিশ পরগনার প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাস হওয়ার কারণে ছোট থেকেই নানান প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছিলেন তিনি। তবে, প্রথম থেকেই তাঁর মনে সংকল্প ছিল, তিনি দেশের উচ্চপদস্থ অফিসার পদে কাজ করবেন। বিদ্যালয়ের পড়াশোনার পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তমালি। তারপর একনিষ্ঠ পরিশ্রম শুরু করেন ইউপিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য। তাঁর লক্ষ্য ছিল অবিচল ও মন ছিল স্থির। লক্ষ্যকে পাখির চোখ করে ভারতবর্ষের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন তমালি।

তবে, মনে যদি থাকে জেদ ও একাগ্রতা তাহলে সমস্ত বাধা বিপত্তি পেরিয়ে স্বপ্ন ছোঁয়া সম্ভব। সেকথাই ফের প্রমাণ করেছেন বঙ্গতনয়া তমালি সাহা। বর্তমানে সকল ছাত্রছাত্রীদের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন অফিসার তমালি সাহা।

Sweta Chakrabory | 13:14 PM, Wed Sep 18, 2024

UPSC Rule Change: ইউপিএসসি-তে এবার আধার ভিত্তিক ভেরিফিকেশনের অনুমতি, বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের


নিউজ ডেস্ক: পূজা খেদকরকে (Puja Khedkar) নিয়ে চলা বিতর্কের মাঝেই ইউপিএসসি পরীক্ষার নিয়মে বড় বদল (UPSC Rule Change) আনতে চলেছে কেন্দ্র। ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (UPSC)-কে আধার ভিত্তিক ভেরিফিকেশন বা তথ্য যাচাইয়ের অনুমতি দিল কেন্দ্র। এবার থেকে রেজিস্ট্রেশনের সময় যেমন আধারের তথ্য লাগবে, তেমনই পরীক্ষা ও নিয়োগের সময়ও আধার কার্ড খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হবে।

কেন্দ্রের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ইউপিএসসি-তে এবার আধার ভিত্তিক ভেরিফিকেশনের (UPSC Rule Change) অনুমতি দেওয়া হয়েছে। রেজিস্ট্রেশনের সময় আবেদনকারীর পরিচয় যাচাই করতে আধার অথেনটিকেশন করা হবে। এছাড়া পরীক্ষা ও নিয়োগের বিভিন্ন ধাপেও ই-কেওয়াইসি (e-KYC) পদ্ধতিতে প্রার্থীর পরিচয় যাচাই করা হবে। ইউআইডিএআই(UIDAI)-র নিয়ম ও নির্দেশ মেনেই ইউপিএসসি এই ভেরিফিকেশন করবে বলেই জানিয়েছে কেন্দ্র।

আসলে সম্প্রতি পূজা খেড়কর নামক একজন ট্রেনি আইএএস অফিসারের ভুয়ো নথি ও তথ্য দিয়ে ইউপিএসসি পাশ করা এবং প্রতারণা করে চাকরি পাওয়ার ঘটনা ফাঁস হতেই দেশজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। এরপরেই ২০২২ সালের সিভিল সার্ভিসেস পরীক্ষার মাধ্যমে নিযুক্ত এই ট্রেনি আইএএস অফিসার পূজা খেদকারের প্রার্থীপদ বাতিল করে ইউপিএসসি। পাশাপাশি পূজা খেদকারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে ইউপিএসসি। তদন্তে জানা যায় যে নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, ছবি, স্বাক্ষর, ইমেল আইডি, মোবাইল নম্বর এবং ঠিকানা পরিবর্তনের মাধ্যমে নিজের পরিচয় গোপন করেছেন পূজা। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই মুখ পুড়েছিল ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের।

এরপর ইউপিএসসির তরফে জানানো হয়, পূজার 'অপকর্ম' নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত চালানো হয়েছে। তা থেকে যা সব তথ্য বেরিয়ে এসেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতেই এবার ইউপিএসসি পরীক্ষায় আধার বাধ্যতামূলক (UPSC Rule Change) করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কবে থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হবে তা এখনও জানানো হয়নি ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের তরফে।

Sweta Chakrabory | 13:42 PM, Thu Aug 29, 2024

Manisha Dharve: তিন বার ব্যর্থ হয়েও পরিশ্রম ও জেদকে সম্বল করে আইএএস অফিসার আদিবাসী তরুণী মনীষা

নিউজ ডেস্ক: সাফল্য (Success Story) একদিনে আসে না। সাফল্য একটা প্রয়াস। বার বার চেষ্টা করলেই লক্ষ্যে পৌঁছনো যায়। মনের জেদ বজায় রাখতে হয়। পরিশ্রম করে যেতে হয়। এই কথাগুলোকে আঁকড়ে ধরেই এগিয়ে গিয়েছিলেন মনীষা ধারভে। একবার নয় দুইবার নয়, তিনবার ব্যর্থ হয়েছিলেন ইউপিএসসি পরীক্ষায়। তবু হাল ছাড়েননি। বড় অফিসার তাঁকে হতেই হবে। চতুর্থবারে সফল। আসলে কেউ লড়াই করলে ভাগ্য দেবতাও এক না একদিন তাঁর প্রতি সদয় হন। বড় বড় মণীষীরা বলেছেন, মানুষ নিজের কর্মের জোড়ে ভাগ্য বদলাতে পারে। তারই বড় প্রমাণ মনীষা (Manisha Dharve)।

ছোট থেকেই মোধাবী ছাত্রী ছিলেন মনীষা (Manisha Dharve)। মনীষার প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় বন্দরনিয়া গ্রামের একটি অঙ্গনওয়াড়িতে। তার বাবা, গঙ্গারাম ধরভে বড় চাকরি ছেড়ে গ্রামের শিশুদের শিক্ষিত করার কাজে ব্রতী হন। মা জামনা ধারভেও সরকারি স্কুলে পড়াতেন। মনীষা ছোট থেকেই পড়াশোনাকে তাঁর বন্ধু করেছিল। দশম শ্রেণির পরীক্ষায় ৭৫ শতাংশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় ৭৮ শতাংশ নম্বর পান গ্রামের আদিবাসী কিশোরী মনীষা। এরপর ইন্দোরের হোলকার কলেজ থেকে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করেন মনীষা। স্নাতক শেষ করে দিল্লিতে গিয়ে ইউপিএসসি (UPSC) পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন মনীষা। প্রথমবার ব্যর্থ হয়ে গ্রামে ফিরে যান মনীষা। এবার শুরু হয় আসল লড়াই। দিনের পর দিন একমনে নিজেই পড়ে যেতে থাকেন মনীষা। দ্বিতীয়বারও ব্যর্থ (Success Story)। শুরু হয় সমালোচনা। পাড়া-প্রতিবেশী থেকে আত্মীয় স্বজন অনেকেই বাবতে থাকেন এই মেয়ের দ্বারা কিস্যু হবে না। কোনও কিছুতে কান না দিয়েই নিজের কাজ করতে থাকে মেয়েটি। তৃতীয়বারও সাফল্য মেলেনি। ধীরে ধীরে বাবা-মাও হতাশ হয়ে পড়েন। কিন্তু আশা ছাড়েননি মনীষা। আরও আরও ভাল করা চেষ্টা। চতুর্থবার ২০২৩ ইউপিএসসি পরীক্ষায় ২৫৭ তম স্থান পান মনীষা। অবশেষে স্বপ্নপূরণ।

খারগোনের ঝিরনিয়া ব্লকের বোন্ডারনিয়া গ্রামের বাসিন্দা মনীষা (Manisha Dharve)। ছোট থেকে গ্রামেই বড় হয়েছেন। দেখেছেন আদিবাসী মহিলাদের কষ্ট। গ্রামের গরীব মানুষরা কতটা অসহায়। তাই অফিসার হয়ে সেই অসহায় মানুষদের জন্য কাজ করাই লক্ষ্য আদিবাসী কন্যার।

Sweta Chakrabory | 12:06 PM, Fri Jul 05, 2024
upload
upload