Kolkata baji market: নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে বাজারে দেদার বিক্রি চকোলেট বোমা! সব জেনেও কি চুপ প্রশাসন?
নিউজ ডেস্ক: আলোর উৎসব দীপাবলিকে আরও রঙিন করে তোলে হরেক রকম আতশবাজি। প্রতিবারের মতো এবারও কলকাতায় বৈধ বাজি বাজার বসার কথা কালিকাপুর, টালা, বেহালা এবং ময়দানের শহীদ মিনারের ময়দানে। দক্ষিণ কলকাতায় বাজি বাজার বসছে বেহালার ক্যালকাটা ব্লাইন্ড স্কুলের মাঠে। এ বছর সেখানে ২৪টি স্টল বসার কথা রয়েছে। তবে রবিবার পর্যন্ত সেখানে শুরু করা যায়নি বাজি বাজার। এর কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা জানান, এখানকার মাঠের অবস্থা খুব খারাপ। জল জমে থাকায় তা সম্ভব হয়নি। তাই গতকাল, সোমবার থেকে বাজি বাজার শুরু করার কথা জানান ব্যবসায়ীরা।
চড়কি, তুবড়ি, রঙমশালের মতো পরিচিত আতশবাজির পাশাপাশি এ বছর বাজি বাজারে চমক হিসেবে হাজির হয়েছে আরও কিছু বাজি। আতশবাজির চিরন্তন আলোর রোশনাইয়ের সঙ্গে মিশেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। যেমন ড্রোনের আকারে তৈরি হয়েছে বাজি। বাজিতে আগুন দিলেই ড্রোনের মত আকাশে উড়ে যাবে সেই বাজি। সেই সঙ্গে বেরোবে আলোর রোশনাই। ক্যামেরা বাজি এবার বাজি বাজারের অন্যতম আকর্ষণ। বাজিতে আগুন দিলেই ক্যামেরার ফ্ল্যাশের মত আলো জ্বলবে। এছাড়া রয়েছে, কালার ব্লাস্ট। বাজিতে আগুন দিলেই তৈরি হবে হরেক রঙের কোলাজ। রঙিন তুবড়িও এবার রয়েছে নতুন বাজির তালিকায়।
প্রসঙ্গত, এবার বাজির শব্দমাত্রা বাড়িয়ে ৯০ ডেসিবেলের বদলে ১২৫ ডেসিবেল করা হয়েছে। প্রথমে কলকাতা পুলিশ বাজি পরীক্ষা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে পরিবেশবিদদের আপত্তিতে শেষ পর্যন্ত বাজি পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা পুলিশ। শেষমেষ দানার কারণে বাজি পরীক্ষা সম্ভব হয়নি। ফলে অন্যান্য বারের তুলনায় এ বার বাজির বিপদ আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অন্যতম আতশবাজি বাজার চম্পাহাটি হাড়াল বাজি বাজার। এই বাজারে দেখা গেল প্রত্যেক দোকানে বিকোচ্ছে নিষিদ্ধ চকলেট বোমা। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা সত্বেও কীভাবে বিক্রি হচ্ছে চকলেট বোমা তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। দোকানদারদের বক্তব্য ক্রেতাদের চাহিদা রয়েছে তাই লুকিয়ে চুরিয়ে বিক্রি করতে হয় না হলে খরিদ্দার আসবেন না।