Sweta Chakra... | 13:57 PM, Tue Oct 08, 2024
RG Kar Hearing Breaking: আরজি কর মামলার শুনানি শুরু সুপ্রিম কোর্টে
Sweta Chakra... | 11:04 AM, Mon Sep 09, 2024
RG Kar BREAKING: সিল বন্ধ খামে আরজি কর কাণ্ডের তদন্তের রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই
Sweta Chakra... | 11:39 AM, Thu Aug 22, 2024
Buddhadeb Bhattacharjee: সকালে প্রাতঃরাশ সেরেই অসুস্থ, প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বয়স হয়েছিল ৮০
Sweta Chakra... | 11:47 AM, Thu Aug 08, 2024
Astra Mark 1: বিমান বাহিনীর অস্ত্র ভান্ডারে এবার দেশীয় দুরপাল্লার মিসাইল
Pankaj Kumar... | 16:58 PM, Wed Aug 07, 2024
RSS বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবি আরএসএসের
Pankaj Kumar... | 16:41 PM, Wed Aug 07, 2024
Paris Olympics 2024: প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছ ইতিহাস গড়লেন মানিকা বাত্রা, জাগালেন পদকের আশা
Pankaj Kumar... | 12:50 PM, Tue Jul 30, 2024
Amarnath Yatra: অমরনাথ যাত্রায় হামলার ছক, এবার খলিস্তানীদের ময়দানে নামাচ্ছে পাকিস্তান
Pankaj Kumar... | 18:35 PM, Sat Jul 27, 2024
Terrorist Attack: জঙ্গিদের ছবি প্রকাশ্যে এল, মাথার দাম পাঁচ লাখ টাকা
Pankaj Kumar... | 18:32 PM, Sat Jul 27, 2024
Meerut Police: নির্ভয়ার স্মৃতি ফিরল মেরঠে, গ্রেফতার হাসিন, শাহরুখ, একরামউদ্দিন এবং মহসিন
Pankaj Kumar... | 15:46 PM, Sat Jul 27, 2024
BJP Protest: “অন্য ধর্মে জন্মানো দুর্ভাগ্যের”, ফিরহাদের বিতর্কিত মন্তব্যে তোলপাড় বিধানসভা
Pankaj Kumar... | 15:23 PM, Sat Jul 27, 2024
Pollution in Delhi: বায়ু দূষণে কড়া টক্কর কলকাতার! দীপাবলি পেরোতেই বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর দিল্লি
নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে ধুমধাম করে পালিত দীপাবলির পর এবার প্রকৃতির ফিরতি উপহার হিসেবে এসেছে দূষণ। অত্যধিক আতশবাজির কারণে দেশের বেশিরভাগ শহরে দূষণ চরমে পৌঁছেছে। আতশবাজিতে উত্তরপ্রদেশ সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে। দেশের শীর্ষ ১০টি দূষিত শহরের মধ্যে ৯টিই উত্তরপ্রদেশের। অন্যদিকেদীপাবলির পরদিন বিশ্বের সর্বোচ্চ দূষণের মাত্রা ছাড়াল দিল্লি (Delhi)। সমীক্ষায় (Delhi Pollution Survey) উঠে এসেছে এমনই তথ্য। সুইৎজারল্যান্ডের ‘আইকিউএয়ার’ নামে একটি সংস্থা দূষণ-র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থানে রেখেছে দিল্লিকে (Pollution in Delhi)। শনিবার সকাল ১০টায় দিল্লির আনন্দ বিহার স্টেশনে বাতাসের গুণমান সূচক বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ছিল ৩৮৮, যা পুরনো সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। বায়ু দূষণে দিল্লিকে জোর টক্কর দিয়ছে কলকাতাও।
দীপাবলিতে বায়ু দূষণ (Pollution in Delhi) নিয়ে আগে থেকেই উদ্বেগ ছিল। বাস্তবে সেই ছবিই ধরা পড়ল। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য বলছে, শুক্রবার রাতে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় বাতাসে অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ যথেষ্ট উদ্বেগের ছিল। আনন্দ বিহারে প্রতি ঘনমিটার বাতাসে অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার (Air Pollution) পরিমাণ সর্বোচ্চ ছিল ৫০০ মাইক্রোগ্রাম। দিল্লি বিমানবন্দর এলাকায়ও প্রতি ঘনমিটার বাতাসে সর্বোচ্চ অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ ছিল ৫০০ মাইক্রোগ্রাম। রোহিণীতে যা ছিল সর্বোচ্চ ৪৮৪ মাইক্রোগ্রাম। আর লোদী রোড এলাকায় ছিল সর্বোচ্চ ৩৭৮ মাইক্রোগ্রাম। বায়ু দূষণে (Air Pollution) খুব পিছিয়ে নেই বাংলাও। শুক্রবার রাতে হাওড়া ও কলকাতার একাধিক জায়গায় বাতাসে অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ ভয় ধরানোর মতো। বালিগঞ্জে প্রতি ঘনমিটার বাতাসে অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ সর্বোচ্চ ছিল ৫০০ মাইক্রোগ্রাম। বিধাননগর ও যাদবপুরেও প্রতি ঘনমিটার বাতাসে অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ ছিল ৫০০ মাইক্রোগ্রাম।
উল্লেখ্য, দীপাবলিকে কেন্দ্র করে অনেক রাজ্যে শুধুমাত্র সবুজ আতশবাজির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। নববর্ষের উদযাপনের জন্যও কিছু রাজ্যে সবুজ আতশবাজির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। সবুজ আতশবাজিতে বেরিয়াম সল্ট বা অ্যান্টিমনি, লিথিয়াম, পারদ, আর্সেনিক, সীসা বা স্ট্রন্টিয়াম ক্রোমেটের যৌগ থাকে না। ক্ষতিকারক পদার্থ না থাকায় সবুজ আতশবাজি পরিবেশের তেমন ক্ষতি করে না। তাই যদি রাজ্য প্রশাসন এই আতশবাজির কিছুটা অনুমতি দেয় এবং অন্যান্য সব আতশবাজির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে, তাহলে অনেক ধরনের দূষণজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
Patuli bomb blast: পাটুলিতে বোমা বিস্ফোরণ! গুরুতর আহত কিশোর, তদন্তে পুলিশ
নিউজ ডেস্ক: কালী পুজোর পরদিনই খাস কলকাতায় বিস্ফোরণ। কান ফাঁটানো শব্দে কেঁপে উঠল পাটুলি। পাটুলিতে খেলার মাঠে এই বোমা বিস্ফোরণের জেরে আহত হয়েছে এক কিশোর৷ থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়৷ ঘটনার পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন কলকাতা পুলিশের ডিসি (ইএসডি) বিদিশা কলিতা দাশগুপ্ত৷
স্থানীয় সূত্রের খবর অনুযায়ী, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। ওই সময় পাটুলির একটি খেলার মাঠে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। ১৪ বছর বয়সী নবম শ্রেণির ছাত্র তার বন্ধুদের সাথে ফুটবল খেলার জন্য মাঠে গিয়েছিল। খেলতে খেলতে কিশোরটি একটি বোমাকে বল ভেবে খেলতে গেলে কিছু মুহূর্তের মধ্যেই সেটির বিস্ফোরণ ঘটে, যা মুহূর্তের মধ্যে সেখানকার পরিবেশকে আতঙ্কিত করে তোলে। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিস্ফোরণের আঘাতে তার নাক-মুখ থেকে রক্ত নির্গত হতে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। প্রথমে তাকে বাঘা যতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখান থেকে তাকে এম আর বাঙুর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়৷
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। জায়গাটি ঘিরে ফেলা হয়।স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারাও। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, আগে এরকম ঘটনা ওই এলাকায় ঘটেনি। মাঠের মধ্যে বোমা এল কোথা থেকে? প্রশ্ন স্থানীয়দের। তাঁদের কথায়, “এমন ঘটনা এই অঞ্চলে আগে কখনো ঘটেনি। আমাদের শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের চিন্তিত হওয়া উচিত।” স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছেন। তারা আশ্বাস দিয়েছেন যে যারা এই বিস্ফোরকের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় কাউন্সিলর দাবি করেছেন, সম্ভবত বাইরে থেকে কেউ এসেই ওই বোমা খেলার মাঠে ফেলে গিয়েছিল৷ সেই বোমা থেকেই বিস্ফোরণ ঘটে৷ তবে ওই কিশোরের আঘাত গুরুতর নয় বলেই জানা গিয়েছে৷
Kali Puja 2024: যিনি মৃৎশিল্পী তিনিই সেবাইত! জানুন মালদার চৌধুরী জমিদার বাড়ির কালীপুজোর ইতিহাস
নিউজ ডেস্ক: যিনি মৃৎশিল্পী তিনিই নাকি সেবাইত। প্রতি বছর কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে জাঁকজমকভাবে মালদার গাজোল হাটে আদি শ্যামাকালী দেবীর ধুমধাম করে পুজো হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যিনি মৃৎশিল্পী তিনিই আবার সেবাইত। যদিও গাজোলের জমিদার বাড়ির কালীপুজো এখন সার্বজনীন হয়ে উঠেছে। গাজোল হাটের এক সময়ের জমিদার রামানন্দ চৌধুরীর পরিবারের পুজো এখন সার্বজনীন হয়ে উঠেছে। জানা গিয়েছে, বহু বছর আগে দেবী মায়ের স্বপ্নাদেশে জমিদার রামানন্দ চৌধুরী এই কালী পুজোর শুরু করেছিলেন। বর্তমানে জমিদারের বংশধরেরা আর এখানে কেউ থাকেন না । ফলে এই পুজো এখন সার্বজনীন হয়ে উঠেছে।
কার্তিক মাসের অমাবস্যার তিথিতে দেবী কালী মায়ের চক্ষুদান পর্ব আচমকা যিনি দেখতে পান, তিনি নাকি হয়ে ওঠেন সৌভাগ্যের রাজা। যদিও দেবী কালীমাতার এই চক্ষুদান পর্ব দেখার নিয়ম নেই। তবুও আকস্মিকভাবে যদি কখনও পুজো চলাকালীন ভক্তদের নজরে আসে চক্ষুদানের বিষয়টি, সেই মুহূর্তেই কালী মায়ের কাছে যা মানত করা যায়, এক মাসের মধ্যেই ফল পান ভক্তেরা। প্রায় ২৫০ বছরের মালদার গাজোলের চৌধুরী জমিদার বাড়ির কালীপুজোর (Kali Puja 2024) এমনই গল্প প্রচলিত রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট মন্দিরের সেবাইত আমান কুমার ঝাঁ জানিয়েছেন, জমিদার রামনন্দ চৌধুরী পারিবারিক আদি কালীপুজোটি গাজোল হাট এলাকায় অনুষ্ঠিত হতো। বর্তমানে মালদার গাজোল হাট কমিটি উদ্যোগে আদি শ্যামাকালী পুজোটি হয়ে আসছে। তন্ত্র মতে এই পুজো হয়ে থাকে। অমাবস্যার মধ্যরাতে পুজোটি হয় এবং এই মায়ের মূর্তি অমাবস্যার দিনে বানিয়ে মাকে চক্ষুদান করা হয়। সেবাইত আমান ঝাঁ ও তার পরিবারের সদস্যরা নিজের বাড়িতেই দেবী মূর্তি বানান। তারপর সেখান থেকে মাকে ঘাড়ে করে নিয়ে এসে বেদীতে বসানো হয়। এরপর অমাবস্যা মধ্যরাতে মায়ের পুজো হয়। এই পুজোতে কয়েকশো পাঁঠাবলির প্রচলন রয়েছে। আর পুজো (Kali Puja 2024) শেষে এলাকার একটি দীঘিতে প্রাচীন নিয়ম মেনে দেবী মূর্তির বিসর্জন দেওয়া হয়।
এই পুজোকে (Kali Puja 2024) ঘিরে প্রতি বছরই ভক্তদের সমাগম ব্যাপক হারে বেড়েই চলেছে। কথিত আছে, আদি শ্যামা কালী মায়ের কাছে মন ভরে মনস্কামনা করলে, তা পূরণ হয়। আর ভক্তদের মনস্কামনা পূরণ হওয়ার কারণেই ভিড় বাড়ছে গাজোল হাটের শ্যামা কালী পুজোয়।
kalipuja Theme 2024: মণ্ডপ তো নয়, যেন হলিউড সিনেমার আস্ত সেট! বারাসতের কালীপুজোয় থিমের ছড়াছড়ি
নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজো মানেই কলকাতা। এই সময়ে রাস্তায় নামে জনপ্লাবন। কিন্তু কালীপুজোয় সেই ভিড় গিয়ে পৌঁছয় বারাসতে (kalipuja Theme 2024)। কলকাতার দুর্গাপুজোর মতোই কালীপুজোয় এখানকার বড় বড় ক্লাবগুলির মধ্যে চলে সমানে সমানে টক্কর। এবারের আলোর উৎসবে বারাসতে থিমের ছড়াছড়ি। আলো,প্যান্ডেল, থিম– সব মিলিয়ে কালীপুজোর রোশনাইয়ে সেজে ওঠে গোটা বারাসত। এর মধ্যেই কিছু কিছু প্যান্ডেল হয়ে ওঠে সবার সেরা। আসুন আজকের এই প্রতিবেদনে এক নজরে দেখে নেওয়া যাক বারাসতে কোথায় কোন থিমের প্যান্ডেল হয়েছে।
এবছর টাকি রোড সংলগ্ন শতদল পুজো (kalipuja Theme 2024)কমিটির মণ্ডপ যেন হলিউড সিনেমার আস্ত সেট। জীবজন্তুর মডেল, ঝর্ণা – মনে করিয়ে দিচ্ছে ‘জুমানজি’ সিনেমার কথা। তবে এখানে কোনও শুটিং হচ্ছে না। এ নিছক এক মণ্ডপসজ্জা। এবছর তাদের পুজোর বয়স ৫৬ বছর। থিম বিখ্যাত এই হলিউড সিনেমা। তিনভাগে সাজানো হচ্ছে থিমের পুজোটি। উদ্যোক্তাদের দাবি, মণ্ডপের দুটি ঝর্ণা দর্শনার্থীদের বিশেষ নজর কাড়বে। মন জয় করবে। মণ্ডপের প্রবেশ করলেও বাইয়ের অংশে পাহাড় কেটে তৈরি ভাস্কর্যের মধ্যে দিয়ে বইবে একটি ঝর্ণা। মণ্ডপের ভিতরে প্রবেশের পর প্রতিমা দর্শনের সময় পিছনে দেখা যাবে আরও একটি ঝর্ণা।
এছাড়া বারাসতের জনপ্রিয় পুজো গুলির মধ্যে অন্যতম পাইওনিয়ার অ্যাথলেটিক ক্লাব। বারাসত রেল স্টেশন লাগোয়া এই পুজো কমিটির ৫২ তম বর্ষের ভাবনা ‘লক্ষ্য’। লক্ষ্যহীন জীবন, গন্তব্যহীন জাহাজের মতো – এই ভাবনা থেকেই থিমটি তৈরির সিদ্ধান্ত নেন উদ্যোক্তারা। লক্ষ্যে পৌঁছনোর উদ্দেশ্যে জীবনমুখী লড়াই থিমের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে মণ্ডপে থাকছে – সাপলুডো। সাপের মুখে পড়লেই পতন অনিবার্য আর মই বেয়ে তরতরিয়ে উঠতে পারলে সোজা শীর্ষস্থান। জীবনে এগনো-পিছনো, উত্থান-পতনের নানা কৌশল দেখা যাবে মণ্ডপে (kalipuja Theme 2024)। উদ্যোক্তাদের দাবি, নজরকাড়া মাতৃপ্রতিমা তাদের অন্যতম আকর্ষণ। সঙ্গে থাকছে চন্দননগরের আলোকসজ্জা।
বারাসত কেএনসি রেজিমেন্ট কালীপুজোয় এ বছরের থিম (kalipuja Theme 2024) যোধপুরের ‘উমেদ প্যালেস’। ঠিকানা: বারাসত স্টেশন থেকে ৬০০ মিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এই পুজো। বারাসত পায়োনিয়ার ক্লাবের থিম ‘লক্ষ্য’। ঠিকানা: বারাসত স্টেশন থেকে ৬০০ মিটার। আমরা সবাই ক্লাবের থিম ‘কৈলাশ পর্বত’। এই প্যান্ডেলটি তার এলইডি লাইট শো-এর জন্য বিখ্যাত। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হবে না। ঠিকানা: বারাসত জংশন রেলওয়ে স্টেশন থেকে ২.০৮ কিলোমিটার পশ্চিমে। পুজোটি নবপল্লি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত হয়। ১২৭৯ পল্লি অ্যাসোসিয়েশন ক্লাবের এ বছরের থিম বৃন্দাবনের ‘প্রেম মন্দির’। রাধাকৃষ্ণের বিভিন্ন দৃশ্যকল্পে সাজানো এই প্যান্ডেল দর্শনার্থীদের এক অন্য রকম অভিজ্ঞতা দেবে।
Kali Puja 2024: আজ কালীপুজো, অমাবস্যা তিথি ঠিক কখন লাগছে? থাকবে কতক্ষণ? জানুন
নিউজ ডেস্ক: অমাবস্যা তিথিতে মা কালীর বিভিন্ন রূপের পুজো হয়। ফলহারিনী অমাবস্যা থেকে কৌশিকী অমাবস্যা, বিভিন্ন সময়ে দেবীর বিভিন্ন রূপের পুজো করা হয়। তবে এই কার্তিক অমাবস্যায় বিশেষ আচার মেনে দেবীর পুজো (Kali Puja 2024) সম্পন্ন হয় ঘরে ঘরে এবং বারোয়ারি পুজো মণ্ডপগুলিতে। পঞ্জিকা মতে নিশিতা কালে এই পুজো হয়। এ বছর কার্ত্তিক অমাবস্যা পড়েছে ৩১ অক্টোবর (১৪ কার্তিক), বৃহস্পতিবার। ৩১ অক্টোবর ৩:৫২ মিনিটে অমাবস্যা তিথি শুরু হবে। পরের দিন অর্থাৎ ১ নভেম্বর ১২:৪৮ মিনিটে অমাবস্যা ছাড়বে। কালীপুজো মধ্যরাত্রি পর্যন্ত চলে, শুরুও হয় রাতেই, তাই ৩১ অক্টোবর পুজো হবে। কালীপুজোর শুভ মুহূর্ত ৩১ অক্টোবর ১১:৪৮ মিনিট থেকে ১ নভেম্বর ১২:৪৮ মিনিট পর্যন্ত।
বাংলায় কালীপুজোর (Kali Puja 2024) বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। সারা বছর বিভিন্ন অমাবস্যার তিথিতে মা কালীর বিভিন্ন রূপের পুজো করা হয়। মন্দিরের পাশাপাশি অনেকেই বাড়িতেও কালীপুজো হয়। অনেকে আবার এই দীপাবলিতে বাড়িতে লক্ষ্মী-গণেশের পুজো করেন। অর্থাৎ কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো ছাড়াও কালীপুজোর সন্ধ্যেবেলা দীপান্বিতা লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করা হয় অনেক বাড়িতে। বাংলার পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের জেলাগুলিতে এই দীপান্বিতা লক্ষ্মীপুজো বহুল প্রচলিত। এই দিন মা কালীর আরাধনা করার পাশাপাশি মা লক্ষ্মীর আরাধনাও করা হয়। কালী পুজো মূলত অনুষ্ঠিত হয় মধ্যরাতে। ওই একই দিনে মন্দিরে এবং বাঙালির ঘরে ঘরে পূজিত হন মা লক্ষ্মীও।
শ্যামা পুজোর (Kali Puja 2024) দিন লক্ষ্মী পুজো করার আরও একটি কারণ হলো মনে করা হয় এই দিন লক্ষ্মী পুজো করলে জীবন থেকে সরে যায় সমস্ত দুঃখ দুর্দশা। ঘরে আসে সুখ সমৃদ্ধি। অর্থের কোনও অভাব হয় না দীপান্বিতা লক্ষ্মী পূজো করলে। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ওড়িশা এবং অসমেও কার্তিক অমাবস্যায় মা কালীর পুজো করা হয়। কোনও কোনও বছর কালীপুজো ও দীপাবলি একদিন আগে ও পরে পরে থাকে। এবারেও কালীপুজোর পরের দিন দীপাবলি পালিত হবে।
Kolkata Metro: কালীপুজোর রাতে শহর জুড়ে চলবে বাড়তি মেট্রো, জেনে নিন সময়সূচি
নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার কালীপুজো। স্বাভাবিকভাবেই অনেকেরই প্ল্যানিং রয়েছে প্যান্ডেল হপিংয়ের। সেই কথা মাথায় রেখে কালীপুজোর রাতে বাড়তি মেট্রো চালানোর সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ। দর্শনার্থীদের যাতে ঠাকুর দর্শন এবং বাড়ি ফিরতে অসুবিধা না হয় সেই জন্য রাত ১১টা পর্যন্ত মিলবে পরিষেবা। কলকাতা শহর এবং শহরতলির প্রচুর মানুষ কালীপুজোর আনন্দে মেতে ওঠেন। বড় বড় ক্লাব এবং প্রসিদ্ধ মন্দিরস্থল দর্শন করে থাকেন ভক্তরা। রাত পর্যন্ত বাড়ি ফিরতে যাতে অসুবিধা না হয়, তাই কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত মেট্রোর সময়সূচির পরিবর্তন করা হয়েছে।
মেট্রোরেল সূত্রে খবর নীল লাইন অর্থাৎ দক্ষিণেশ্বর কবি সুভাষ রুটে কালীপুজোর দিন অন্যান্য দিনের তুলনায় কম মেট্রো চলবে। শুধু তাই নয়, সেই সঙ্গে শেষ মেট্রোর সময়সূচিতেও বদল হতে চলেছে। অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক রাত পর্যন্ত চলবে মেট্রো। এদিন কবি সুভাষ থেকে শেষ মেট্রো ছাড়বে রাত ১১টায়, দক্ষিণেশ্বর থেকে ছাড়বে রাত ১০টা ৪৮-এ। দক্ষিণেশ্বর থেকে রাত ৯টা ৪৮, ১০টা ৮, ১০টা ২৮ এবং ১০টা ৪৮-এ শেষ মেট্রো ছাড়বে। কবি সুভাষ থেকে রাত ১০টা, ১০টা ২০, ১০টা ৪০ এবং ১১টায় শেষ মেট্রো ছাড়বে বলে জানা গিয়েছে রেল সূত্রে। নীল লাইনে প্রতিদিলের ২৯২টি মেট্রোর জায়গায় এই দিন ১৯৮টি মেট্রো চলবে বলে জানা গিয়েছে। অন্য দিকে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো, অর্থাৎ সবুজ লাইনে অন্যান্য দিনের তুলনায় কম মেট্রো চলবে- ১০৬টির জায়গায় ৯০টি মেট্রো চলবে।
মেট্রো জানিয়েছে, কালীপুজোর রাতে চার জোড়া বিশেষ মেট্রো ট্রেন চলবে। বৃহস্পতিবার রাতে কালীপুজো পড়েছে তাই শহরের কিছু বিখ্যাত ঠাকুর দেখার জন্য বিশেষ পরিষেবা দেওয়া হবে। সাধারণ দিনে কবি সুভাষ এবং দক্ষিণেশ্বর থেকে শেষ মেট্রো ছাড়া হয় ৯টা ৪০ মিনিটে। কিন্তু কালীপুজোর দিনে এই দুই স্টেশন থেকে আরও রাত পর্যন্ত অতরিক্ত দুটো করে মোট চারটি ট্রেন চলবে।
Ayodhya on diwali: ৫০০০ পুলিশ, ১৫০ এনএসজি কমান্ডো! দীপাবলির প্রাক্কালে নিরাপত্তার চাদরে মোড়া অযোধ্যা
নিউজ ডেস্ক: রামলালার কী অপার মহিমা! অযোধ্যার রামমন্দিরে তিনি বসার পরই পর্যটন মানচিত্রে হু হু বদল। দেশের আধ্যাত্মিক পর্যটনের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র বারাণসীকেও টেক্কা দিয়েছে রামলালা অযোধ্যা। এতদিন কাশী বিশ্বনাথের টানে বারাণসীর ঘাটে ঘাটে পুণ্যার্থী সমাগমের ঢল নামত। কিন্তু জানুয়ারিতে অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনের পর প্রথম ছ মাসেই লাখ লাখ দর্শক ভিড় জমিয়েছেন সেখানে। আর এবারে দীপাবলিতেও তার অন্যথা হল না। ইতিমধ্যেই লক্ষাধিক ভক্ত সমাগম হয়েছে অযোধ্যায়।
এ বছরই প্রথম বার দীপাবলির (Diwali in Ayodhya) সাক্ষী হতে চলেছে রাম মন্দির। অষ্টমতম দীপোৎসবে অযোধ্যাকে সাজিয়ে তুলতে তাই পুরোদমে প্রস্তুতি নিচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সরকার। তিন দিন ধরে দীপোৎসব চলবে। তার আগেই গোটা শহরকে দুর্গে পরিণত করে ফেলা হয়েছে। পুলিশ তো আছেই, নজরদারির জন্য মোতায়েন করা হয়েছে এনএসজি কমান্ডো। তৈরি রয়েছে সন্ত্রাসদমন শাখাও (এটিএস)। দীপোৎসবে যাতে সাধারণ মানুষ শামিল হতে পারেন তার জন্য ২৯ অক্টোবর থেকে ১ নভেন্বরের মধ্যরাত পর্যন্ত মন্দির খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র। দর্শনার্থীরা ৪বি গেট থেকে মন্দিরের সজ্জা দেখার সুযোগ পাবেন।
প্রশাসন সূত্রে খবর, অযোধ্যার গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলি চিহ্নিত করে সেখানে নিরাপত্তা (Security in Ayodhya) বৃদ্ধি করা হয়েছে। রাম মন্দির-সহ এই গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে মোতায়েন করা হয়েছে ৫০০০ পুলিশ, ১৫০ এনএসজি কমান্ডো, সন্ত্রাসদমন শাখা। দীপাবলিতে অযোধ্যার নিরাপত্তা নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে বসেন পুলিশ সুপার রাজকরণ নায়ার। মন্দির শহরে দীপোৎসব যাতে মৃসণ ভাবে পালন করা যায় তার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশ সুপারের। শহরে যাতে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তাই অযোধ্যানগরীর প্রতিটি কোনা মুড়ে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার চাদরে। পুলিশ, এনএসজি কমান্ডোর পাশাপাশি থাকছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, জল পুলিশ, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং আরও উদ্ধারকারী দল। সরযূ নদীতে প্রতি মুহূর্তে নজরদারি চালানো হবে।
অযোধ্যার দেব দীপাবলি বিখ্যাত। সরযূর তীর ভরে ওঠে প্রদীপের আলোয়। এবারও রেকর্ড ২৫ লক্ষ মাটির প্রদীপে সেজে উঠবে। এবারের আরও আকর্ষণ রামলালার সজ্জা। তার পোশাক তৈরি করছেন বিখ্যাত ডিজাইনার মণীশ মালহোত্রা। তাতে ফ্যাশন ও আধ্যাত্মিকতার মেলবন্ধন থাকবে বলে আগাম আভাস। সবমিলিয়ে, ২০২৪-এ অযোধ্যার দেব দীপাবলি বিশেষ আকর্ষণীয় হতে চলেছে।
Diwali at Ayodhya: ৫০০ বছর পর প্রথমবার অযোধ্যায় দীপাবলি উদযাপন, আবেগাপ্লুত প্রধানমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক: ৫০০ বছর পরে রামলালা ঘরে ফিরেছেন। প্রত্যাবর্তনের পরে প্রথমবার অযোধ্যার রামমন্দিরে দীপাবলি পালন করবেন রামলালা। তাই এবারের আলোর উৎসব অনেক বেশি স্পেশাল। দীপাবলির আগে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে এই কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার রোজগার প্রকল্পের অধীনে ৫১ হাজার যুবককে নিয়োগপত্র প্রদান অনুষ্ঠানে এই মত প্রকাশ করেন মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, “আমি সকল নাগরিকদের ধনতেরাসের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। দুই দিনের মধ্যে আমরা দীপাবলি উদযাপন করতে যাচ্ছি। এই বছরের দীপাবলি বিশেষ। ৫০০ বছর পর, রাম লল্লা তাঁর বিশাল মন্দিরে সজ্জিত আছেন। এটি হবে তাঁর সঙ্গে আমাদের প্রথম দীপাবলি উদযাপন। আমরা সকলেই এই বিশেষ এবং মহৎ দীপাবলি উদযাপন করতে পেরে ধন্য।”
এখানে এবার একসঙ্গে দুটি বিশ্ব রেকর্ড গড়ার প্রস্তুতি চলছে। ৫০০ বছর পর ভগবান রামের মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার উপলক্ষে অযোধ্যায় ২৫ লক্ষ প্রদীপ জ্বালিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়া হবে। এর সঙ্গে, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে প্রায় ২০০ সাধু এবং ১১০০ বৈদিক ব্রাহ্মণ সরযূ নদীতে মহা আরতিতে অংশ নেবেন। দিওয়ালির এই মহাউৎসবের দিনে, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সবার আগে ভগবান রাম এবং সীতার রাজাভিষেক করবেন। এর পর সরযূ নদীর মহা আরতিতে যোগ দেবেন, যা “জয় শ্রী রাম” এর উল্লাস এবং শঙ্খধ্বনির সঙ্গে শুরু হবে। রামের পায়ে, আওধ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০,০০০ স্বেচ্ছাসেবক একসাথে ২৫ লক্ষ প্রদীপ জ্বালাবেন, এবং অযোধ্যাকে আবার একবার বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করা হবে।
ভগবান রামের নগরীকে এই মহৎ আয়োজনের জন্য বিশেষভাবে সাজানো হচ্ছে। এটি অযোধ্যায় প্রভু রামের মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর প্রথম দীপোৎসব, যা ঐতিহাসিক করতে প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখা হচ্ছে না। রামায়ণে বলা হয়ে থাকে, লঙ্কা জয় করে সীতাকে নিয়ে রাম যেদিন ফিরেছিলেন সেদিন আলো জ্বালিয়ে তাদের প্রিয় রাজার জন্য অপেক্ষা করেছিলেন অযোধ্যাবাসীরা। সেইদিনই দীপাবলি। এবারের দীপাবলি অযোধ্যার রাম মন্দির নির্মাণের পর প্রথম দীপাবলি। তাই সরযূ নদীর তীরে ২৮ লাখ প্রদীপ জ্বালানো হবে। রাম মন্দির কমপ্লেক্স পুরোটাই ফুল দিয়ে সাজানো হবে। সাজানো হবে সরোজ নদীর তীরে ৫৫টি ঘাট।
Kolkata baji market: নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে বাজারে দেদার বিক্রি চকোলেট বোমা! সব জেনেও কি চুপ প্রশাসন?
নিউজ ডেস্ক: আলোর উৎসব দীপাবলিকে আরও রঙিন করে তোলে হরেক রকম আতশবাজি। প্রতিবারের মতো এবারও কলকাতায় বৈধ বাজি বাজার বসার কথা কালিকাপুর, টালা, বেহালা এবং ময়দানের শহীদ মিনারের ময়দানে। দক্ষিণ কলকাতায় বাজি বাজার বসছে বেহালার ক্যালকাটা ব্লাইন্ড স্কুলের মাঠে। এ বছর সেখানে ২৪টি স্টল বসার কথা রয়েছে। তবে রবিবার পর্যন্ত সেখানে শুরু করা যায়নি বাজি বাজার। এর কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা জানান, এখানকার মাঠের অবস্থা খুব খারাপ। জল জমে থাকায় তা সম্ভব হয়নি। তাই গতকাল, সোমবার থেকে বাজি বাজার শুরু করার কথা জানান ব্যবসায়ীরা।
চড়কি, তুবড়ি, রঙমশালের মতো পরিচিত আতশবাজির পাশাপাশি এ বছর বাজি বাজারে চমক হিসেবে হাজির হয়েছে আরও কিছু বাজি। আতশবাজির চিরন্তন আলোর রোশনাইয়ের সঙ্গে মিশেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। যেমন ড্রোনের আকারে তৈরি হয়েছে বাজি। বাজিতে আগুন দিলেই ড্রোনের মত আকাশে উড়ে যাবে সেই বাজি। সেই সঙ্গে বেরোবে আলোর রোশনাই। ক্যামেরা বাজি এবার বাজি বাজারের অন্যতম আকর্ষণ। বাজিতে আগুন দিলেই ক্যামেরার ফ্ল্যাশের মত আলো জ্বলবে। এছাড়া রয়েছে, কালার ব্লাস্ট। বাজিতে আগুন দিলেই তৈরি হবে হরেক রঙের কোলাজ। রঙিন তুবড়িও এবার রয়েছে নতুন বাজির তালিকায়।
প্রসঙ্গত, এবার বাজির শব্দমাত্রা বাড়িয়ে ৯০ ডেসিবেলের বদলে ১২৫ ডেসিবেল করা হয়েছে। প্রথমে কলকাতা পুলিশ বাজি পরীক্ষা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে পরিবেশবিদদের আপত্তিতে শেষ পর্যন্ত বাজি পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা পুলিশ। শেষমেষ দানার কারণে বাজি পরীক্ষা সম্ভব হয়নি। ফলে অন্যান্য বারের তুলনায় এ বার বাজির বিপদ আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অন্যতম আতশবাজি বাজার চম্পাহাটি হাড়াল বাজি বাজার। এই বাজারে দেখা গেল প্রত্যেক দোকানে বিকোচ্ছে নিষিদ্ধ চকলেট বোমা। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা সত্বেও কীভাবে বিক্রি হচ্ছে চকলেট বোমা তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। দোকানদারদের বক্তব্য ক্রেতাদের চাহিদা রয়েছে তাই লুকিয়ে চুরিয়ে বিক্রি করতে হয় না হলে খরিদ্দার আসবেন না।
Weather Update: বৃষ্টি মাথায় নিয়েই দীপাবলি উদযাপন? আবহাওয়ার বড় আপডেট
নিউজ ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে নাজেহাল দশা হয়েছিল দক্ষিণের মানুষের। কিন্তু সেই ঝড় বৃষ্টির রেশ এখন কেটেছে অনেকটাই। সামনেই কালী পুজো। কেমন থাকবে কালী পুজোয় রাজ্যের আবহাওয়া? কী জানাল আবহাওয়া বিদরা? আবহাওয়া দফতর তরফে জানা গিয়েছে, ধীরে ধীরে আবহাওয়ার উন্নতি হচ্ছে। বৃষ্টির পরিমাণ কমছে জেলায় জেলায়। আগামী এক সপ্তাহে দুর্যোগ বা ভারী বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই। কোনও কোনও জেলার দু'এক জায়গায় স্থানীয়ভাবে হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা।
মোট কথা নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে আবহাওয়ার বদলের সূচনা। এবার ধীরে ধীরে রাজ্যে প্রবেশ করবে শীত। শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে রাজ্যজুড়ে। কিন্তু বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সর্তকতা রয়েছে রাজ্যের বেশ কিছু জেলায়। বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে বেশিরভাগ জায়গাতে। তবে কোথাও ভারী বৃষ্টি হবে না। আপাতত কালীপুজো পর্যন্ত পিছু ছাড়বে না বৃষ্টি। যদিও বৃষ্টির সতর্কতা নেই দক্ষিণবঙ্গের কোনও জেলাতেই। ধীরে ধীরে হালকা ঠান্ডার আমেজ উপভোগ করতে পারবে দক্ষিণবঙ্গবাসী। কালীপুজো এবং দীপাবলিতে শুষ্ক হিমেল পরশ বইতে পারে।
আজ মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের কোন কোন জেলায় দু এক জায়গায় স্থানীয়ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার থেকে পশ্চিমের জেলাগুলিতে শুষ্ক আবহাওয়ার শুরু। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই শনিবার থেকে শুষ্ক আবহাওয়া। জেলায় জেলায় মূলত পরিষ্কার আকাশ থাকবে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টির খুব সামান্য সম্ভাবনা। বৃষ্টির সম্ভাবনা যেমন কমবে তেমনি বাতাস থেকে জলীয় বাষ্পের পরিমাণও ধীরে ধীরে কমবে। এর ফলে কমবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি।
তবে দক্ষিণবঙ্গ শুস্ক থাকলেও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরবঙ্গে। মঙ্গলবার থেকে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। বুধবার দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুর, উত্তর দিনাজপুর ও মালদা সব জেলাতেই বিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই দু-এক জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা থাকবে বৃহস্পতিবারেও।
Firecrackers: কালীপুজোয় বাজার কাঁপাতে এল পমপম, আগুন নয় জলেই ফাটবে এই নতুন বাজি
নিউজ ডেস্ক: সামনেই কালীপূজো, আর কালীপূজো মানেই আলোর রোশনাই, বাজির ঝলকানি। প্রতি বছরই নিত্যনতুন বাজির দেখা মেলে। এবারও শিলিগুড়ির কাওয়াখালিতে বাজি বাজারে হরেকরকমের নতুন বাজি এসেছে। ছোটদের জন্য নানা নামে নানা মডেলের বাজি রয়েছে। তার মধ্যেই নজর কেড়েছে পমপম। এই বাজি ফাটানোর জন্য চাই জল! জলে পড়লেই ফাটবে এই বাজি।
জলে বাজি ফাটে, এমন দেখে অবাক অনেকেই। এ প্রসঙ্গে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আবহাওয়ার পরবির্তন হয়েছে। এখন কালীপুজোর সময় ঝকঝকে আকাশের বদলে অনেকসময় বৃষ্টিও দেখা দেয়। ফলে বাজি পোড়ানো কার্যত যায় না। এত পরিবর্তনের মাঝে টিকে থাকতে তাই বাজিতেও পরিবর্তন। নতুন এই পমপম বাজি বিকোচ্ছে ভালই। এর সঙ্গেই এবছর বাজারে নতুন পাওয়া যাচ্ছে ড্রোন, হেলিকপ্টার, রাইডার, সাইক্লোন, হেলিকপ্টার ও ফান রাইডার। ড্রোনের হরেকরকম ধরনও রয়েছে ঝুলিতে। তবে, এবার শিলিগুড়ির বাজার মাতাবে পমপম বাজিই, মনে করছেন ব্যবসায়ী ঝন্টু সরকার। ৩০০ টাকা দিলে পাওয়া যাবে ৩০টা পমপম বাজি। এদিকে হেলিকপ্টার পাওয়া যাবে ২৫০ টাকায়, রাইডার ৬০০ টাকায় ও সাইক্লোন ৩৫০ টাকায়। রাইডার বাচ্চাদের খেলনা গাড়ির মতো। যার সলতে-তে আগুন দিলে তুবরির মতো জ্বলে গাড়ির মতো এগিয়ে যাবে। সাইক্লোনের সলতে-তে আগুন দিলে সাইক্লোনের মতো হবে এবং হেলিকপ্টারের সলতে-তে আগুন দিলে কিছুটা উপরে উঠে আবার নেমে আসবে।
ছোট থেকে বড়, কালীপুজোর আগের এই সময়ে সকলেই বাজি রোদে দিতে ব্যস্ত থাকে। কিন্তু যেভাবে 'দানা' দাপট দেখাচ্ছে এবছর তাতে কালীপুজোর আগে বাজি রোদে দেওয়ার চেষ্টা বৃথা। এই পরিস্থিতিতে মন খারাপ অনেকেরই। বাজি পোড়াবে কেমন করে, সেনিয়েও প্রশ্ন রয়েছে মনে। যদিও ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, এই মুহূর্তে বাজারের অবস্থা বোঝা না গেলেও পুজোর আগে এবার ভালই ব্যবসা হবে। কারন দুদিন হল কাওয়াখালিতে শিলিগুড়ি বাজি বাজার শুরু হয়েছে। এর মধ্যেই ভিড় করেছেন পাহাড়, ডুয়ার্স ও শিলিগুড়ির পার্শ্ববর্তী এলাকার বাজি ব্যবসায়ীরা। হোলসেলে তারা বাজি কিনতে আসছেন। এরপর সেই বাজি বিকোবে সাধারণের মধ্যে।
Mayapur ISKCON: সূর্যাস্তের পরেই হাজার হাজার ভক্ত হাতে প্রদীপ নিয়ে হাজির মায়াপুরে, ইসকনে শুরু অকাল দীপাবলি
নিউজ ডেস্ক: সামনেই দীপাবলি উৎসব। সেই দীপাবলীর আগেই জ্বলে ওঠে শত শত দীপ। আর এভাবেই অকাল দীপাবলিতে মেতে ওঠেন মায়াপুর ইসকনের ভক্তরা। লক্ষ্মীপুজোর দিন থেকে শুরু হওয়া এই দীপদান উৎসব চলবে পুরো একমাসব্যাপী।
আসলে কার্তিক মাস দামোদর মাস অথবা নিয়ম সেবার মাস হিসাবে পালিত হয় কৃষ্ণ ধর্মালম্বীদের কাছে। আর দামোদর মাসে কোজাগরি লক্ষ্মী পুজোর দিন থেকে ইসকনের প্রধান কেন্দ্র মায়াপুর ইসকনে শুরু হয়েছে এই দীপদান উৎসব। দীপদান উৎসব উপলক্ষে দেশ-বিদেশের অসংখ্য ভক্তের সমাগম ঘটেছে মায়াপুর ইসকনে। সূর্যাস্ত যাওয়ার পরেই হাজার হাজার ভক্ত হাতে ঘি-এর প্রদীপ নিয়ে ইসকনের চন্দ্রোদয় মন্দিরে বিগ্রহের সামনে আরতি করতে থাকেন। আর এভাবেই প্রতিদিন সন্ধেয় একদিকে দামোদর অষ্টকম পাঠ, অন্যদিকে সমস্ত ভক্তের হাতে শত শত প্রদীপ জ্বলে ওঠে।
উল্লেখ্য, দীপাবলি এ বছর ৩১ অক্টোবর এবং ১ নভেম্বর এই দু’দিন পালিত হবে। বিশ্বাস করা হয় যে এই দিন রাতে দেবী লক্ষ্মী পৃথিবীতে বিচরণ করেন। দীপাবলির একটি শুভ সময়ে দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করলে, দেবী লক্ষ্মী ঘরে থাকেন। অতএব, এই দিনে মানুষ তাদের ঘর সাজায় এবং দেবী লক্ষ্মীকে স্বাগত জানায়, তাঁর পুজো করে। কারণ দেবী কেবল সেই বাড়িতেই বাস করেন যেখানে পরিষ্কার, শান্তি এবং সুখের পরিবেশ থাকে। তাই ঘর পরিষ্কার ও সাজিয়ে দীপাবলি উদযাপনের রীতি রয়েছে।
এ বিষয়ে মায়াপুর ইসকনের জেনারেল ম্যানেজার কৃষ্ণ বিজয় দাস জানান, দামোদার মাসে লক্ষ্মীপুজোর দিন থেকে একমাসব্যাপী এই দীপদান উৎসব চলবে। সমস্ত ভক্ত তাঁদের মনোস্কামনা পুণ্যার্থের জন্য এই দীপদান উৎসব ভগবানের নামে উৎসর্গ করেন। প্রতিদিন সন্ধেয় হয় দামোদর অষ্টকম পার-সহ বিভিন্ন ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এই দীপদান উৎসবে শুধু রাজ্য নয়, দেশ-বিদেশের হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয়। প্রত্যেককে ইসকনের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে এই প্রদীপ দেওয়া হয় ভগবানের উদ্দেশে দীপ দেখানোর জন্য। আর এভাবেই একমাসব্যাপী এই দীপদান উৎসব চলবে মায়াপুর ইসকনের চন্দরা মন্দিরে।
Dhanteras 2024:ধনতেরাসে সৌভাগ্য আনতে কেন সোনা-রুপোই কিনতে হয়? রইল শাস্ত্র মতে নিখুঁত সময়ের হদিশ
নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর পর এবার আলোর উৎসব দিওয়ালি বা দীপাবলি আসতে চলেছে খুব শীঘ্রই। সারা ভারতে দীপাবলি উৎসব চলে ৫ দিন ধরে। ধনতেরস (Dhanteras 2024) থেকেই শুরু হয়ে যায় এই আলোর উৎসব। যা শেষ হয় ভাইফোঁয়ায়। প্রতি বছর কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে ধনতেরস উৎসব পালিত হয় দেশজুড়ে।
ক্যালেন্ডার বলছে এবছর ২৯ অক্টোবর ধনতেরাস (Dhanteras 2024)। মাত্র ২ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের শুভ যোগ! কুবেরের ধন মিলবে, মা লক্ষ্মীর কৃপায় ঘুরবে ভাগ্যের চাকা, এই বিশ্বাসে কেনাকাটায় মেতে উঠবেন সকলেই। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে দুপুর সোয়া একটা পর্যন্ত ধনতেরসের শুভ মুহুরৎ। ধনতেরসের দিনে তিন দেবদেবী– আয়ুর্বেদিক ওষুধের জনক ধন্বন্তরি, লক্ষ্মী এবং কুবেরের পুজো করা হয়। এই উৎসবের পরদিন, দীপাবলি বা নরক চতুর্দশী পালিত হয়। শাস্ত্র অনুসারে, ধন্বন্তরীর আরাধনা করলে স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
ধনতেরাস (Dhanteras 2024) বা ধন ত্রয়োদশী বলে পরিচিত এই দিনটিতে সৌভাগ্য অর্জনের জন্য সোনা-রুপো, ধাতুর জিনিস কেনার চল রয়েছে। কথিত রাজা হিমের ষোল বছর বয়সী পুত্রের জীবনে একটি অভিশাপ ছিল। বিয়ের চার দিনের মাথায় সাপের কামড়ে তাঁর অকালমৃত্যু হবে। তাই বিয়ের পরে ওই চতুর্থ রাতে নববধূ স্বামীকে ঘুমোতে দেননি। নানা রকম কৌশলে তাঁকে জাগিয়ে রাখেন। শোওয়ার ঘরের বাইরে প্রচুর ধন সম্পদ, সোনা-রুপোর গয়না, বাসন সাজিয়ে রাখেন তিনি। ঘরেও সব জায়াগায় প্রদীপ জ্বালিয়ে দেন। যাতে সাপ কোনও ভাবেই তাঁদের ঘরে ঢুকতে না পারে। স্বামীকে জাগিয়ে রাখতে সারারাত গল্প আর গানও শোনান তিনি। মৃত্যুর দেবতা যম তাঁর স্বামীকে নিয়ে যেতে আসেন, ঘরের দরজায় অত গয়নার জৌলুস এবং প্রদীপের আলোয় তাঁর চোখ ধাঁধিয়ে যায়। রাজপুত্রের শোওয়ার ঘর পর্যন্ত না গিয়ে ওই গয়নার উপর শুয়ে রানির গান আর গল্প শুনতে শুনতে বিভোর হয়ে পড়েন যম। পরে দিকভ্রান্ত হয়ে নিজের আস্তানায় ফিরে যান যমদেব। রক্ষা পান রাজকুমার। এই ঘটনার পরের দিন সেই আনন্দে সোনা-রুপো এবং আরও বিভিন্ন ধাতু কিনে উৎসব পালন করা শুরু হয় রাজপরিবারে। সেই থেকেই শুরু ধনতেরাস উৎসবের।
তাই গয়না হোক বা মুদ্রা, এই দিনে কিছু না কিছু কেনার রীতি রয়েছে। তাই গয়নার দোকানগুলিতেও উপচে পড়ে ভিড়। হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে, এই দিনে কেনা সোনা বা রুপো দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদপ্রাপ্ত হয়। তাই এই দিনে সোনা বা রুপো কিনলে তা জীবনে সৌভাগ্য এবং সমৃদ্ধি নিয়ে আসে।