Thursday, November 14, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

Pollution in Delhi: বায়ু দূষণে কড়া টক্কর কলকাতার! দীপাবলি পেরোতেই বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর দিল্লি

Sweta Chakrabory | 18:34 PM, Sat Nov 02, 2024

নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে ধুমধাম করে পালিত দীপাবলির পর এবার প্রকৃতির ফিরতি উপহার হিসেবে এসেছে দূষণ। অত্যধিক আতশবাজির কারণে দেশের বেশিরভাগ শহরে দূষণ চরমে পৌঁছেছে। আতশবাজিতে উত্তরপ্রদেশ সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে। দেশের শীর্ষ ১০টি দূষিত শহরের মধ্যে ৯টিই উত্তরপ্রদেশের। অন্যদিকেদীপাবলির পরদিন বিশ্বের সর্বোচ্চ দূষণের মাত্রা ছাড়াল দিল্লি (Delhi)। সমীক্ষায় (Delhi Pollution Survey) উঠে এসেছে এমনই তথ্য। সুইৎজারল্যান্ডের ‘আইকিউএয়ার’ নামে একটি সংস্থা দূষণ-র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থানে রেখেছে দিল্লিকে (Pollution in Delhi)। শনিবার সকাল ১০টায় দিল্লির আনন্দ বিহার স্টেশনে বাতাসের গুণমান সূচক বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ছিল ৩৮৮, যা পুরনো সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। বায়ু দূষণে দিল্লিকে জোর টক্কর দিয়ছে কলকাতাও।

দীপাবলিতে বায়ু দূষণ (Pollution in Delhi) নিয়ে আগে থেকেই উদ্বেগ ছিল। বাস্তবে সেই ছবিই ধরা পড়ল। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য বলছে, শুক্রবার রাতে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় বাতাসে অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ যথেষ্ট উদ্বেগের ছিল। আনন্দ বিহারে প্রতি ঘনমিটার বাতাসে অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার (Air Pollution) পরিমাণ সর্বোচ্চ ছিল ৫০০ মাইক্রোগ্রাম। দিল্লি বিমানবন্দর এলাকায়ও প্রতি ঘনমিটার বাতাসে সর্বোচ্চ অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ ছিল ৫০০ মাইক্রোগ্রাম। রোহিণীতে যা ছিল সর্বোচ্চ ৪৮৪ মাইক্রোগ্রাম। আর লোদী রোড এলাকায় ছিল সর্বোচ্চ ৩৭৮ মাইক্রোগ্রাম। বায়ু দূষণে (Air Pollution) খুব পিছিয়ে নেই বাংলাও। শুক্রবার রাতে হাওড়া ও কলকাতার একাধিক জায়গায় বাতাসে অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ ভয় ধরানোর মতো। বালিগঞ্জে প্রতি ঘনমিটার বাতাসে অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ সর্বোচ্চ ছিল ৫০০ মাইক্রোগ্রাম। বিধাননগর ও যাদবপুরেও প্রতি ঘনমিটার বাতাসে অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ ছিল ৫০০ মাইক্রোগ্রাম।

উল্লেখ্য, দীপাবলিকে কেন্দ্র করে অনেক রাজ্যে শুধুমাত্র সবুজ আতশবাজির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। নববর্ষের উদযাপনের জন্যও কিছু রাজ্যে সবুজ আতশবাজির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। সবুজ আতশবাজিতে বেরিয়াম সল্ট বা অ্যান্টিমনি, লিথিয়াম, পারদ, আর্সেনিক, সীসা বা স্ট্রন্টিয়াম ক্রোমেটের যৌগ থাকে না। ক্ষতিকারক পদার্থ না থাকায় সবুজ আতশবাজি পরিবেশের তেমন ক্ষতি করে না। তাই যদি রাজ্য প্রশাসন এই আতশবাজির কিছুটা অনুমতি দেয় এবং অন্যান্য সব আতশবাজির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে, তাহলে অনেক ধরনের দূষণজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

upload
upload