Thursday, November 14, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

VSHORADS: শীঘ্রই সেনার হাতে আসবে নয়া মিসাইল 

Editor | 17:09 PM, Fri Mar 01, 2024

ভারতীয় সেনার হাতে নয়া ব্রহ্মাস্ত্র আসতে চলছে। নিমেশেই শত্রু হবে শেষ। এই অস্ত্রের এখনও নামকরণ করা হয়নি। পরীক্ষামূলক অবস্থায় রয়েছে এই অস্ত্র। প্রাথমিক নাম রাখা হয়েছে ভেরি শর্ট রেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম (VSHORADS) । ওড়িশার চাঁদিপুরে অবস্থিত ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ থেকে পরপর দু দিন এই মানব বহনযোগ্য এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের পরীক্ষা করা হয়। বুধবার ও বৃহস্পতিবার পরীক্ষায় পুরোপুরি সফল হয়েছে এই অস্ত্র।

কী কাজে লাগবে এই নয়া অস্ত্র। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর আকাশে গতিশীল যে কোন লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম এই ছোট্ট মিসাইল। বিমান, ইউএভি, ড্রোন ও মিসাইল ধ্বংস করতে সক্ষম এই অস্ত্র। রকেট লঞ্চার থেকে এই অস্ত্র শত্রুকে লক্ষত করে ছুড়লেই হবে। সেনাবাহিনী সুত্রে খবর ফায়ার এন্ড ফরগেট অর্থাৎ রকেট লঞ্চার থেকে ছুঁড়ে দেওয়ার পর লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করার জন্য এই মধ্যে থাকবে সীকার রেডার। নিজে থেকে লক্ষ্যবস্তুকে ট্র্যাক করে ধ্বংস করবে ভেরি শর্ট রেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম (VSHORADS) । তবে সেনাবাহিনীর হাতে কবে এই অস্ত্র তুলে দেওয়া হবে তা এখনও জানা যায়নি। তবে খুব দ্রুত সেনাবাহিনীর পাক ও চীন সীমান্তে এই অস্ত্র খুবই প্রয়োজনীয়। বর্তমানে ভারতীয় সেনা রাশিয়ার ইগ্লা সিস্টেম ব্যবহার করে, তবে ভারতের VSHORADS এর তুলনায় অনেক উন্নত। এই নতুন অস্ত্র ভারতের আত্মনির্ভর ভারতের ভিত শক্ত করবে। বিশ্বের বিভিন্ন সেনাবাহিনীতে এই প্রজাতির অস্ত্রসম্ভার রয়েছে। ফান্স মিস্ত্রাল, রাশিয়া ইগ্লা এবং মার্কিন মুলুকের স্ট্রিগার মিসাইল ব্যবহার করে। তবে এগুলি তৃতীয় প্রজন্মের। চতুর্থ প্রজন্মের এই ধরণের মিসাইল হল আমেরিকার FIM-92 Stinger Block 2, রাশিয়ার Verba, চিনের QW-4, ব্রিটেনের Javelin এবং জাপানের Type 91। ভারত ষষ্ঠ দেশ হিসেবে VSHORADS উৎপাদন করবে। এত দিন এই ধরণের অস্ত্রের জন্য ভারতকে মিত্র রাষ্ট্রের উপর নির্ভর করে থাকতে হত। এখন এই অস্ত্রেও আত্মনির্ভর ভারত। যা যুদ্ধপরিস্থিতিতে ভারতকে সুবিধা দেবে। কারণ অস্ত্রের ঘাটতি হলে ভারতকে পরনির্ভরশীল হয়ে থাকতে হবে না। পরীক্ষায় সফল হওয়ার পর সেনাবাহিনী ফের এই অস্ত্রের পরীক্ষা করবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে এই মিসাইল ৬ কিলোমিটার পর্যন্ত লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম। সেনার তরফে এই মিসাইলের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আগ্রহ প্রকাশ করার হয়েছে। এই মিসাইল গবেষণা ও নির্মাণে এখন পর্যন্ত ১৯২০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

upload
upload