Cyclone Dana: দানার ভয়ে কাঁপছে বাংলা! ফিরছেন মৎস্যজীবীরা, ১৪টি জেলায় সব স্কুলে ছুটি ঘোষণা
নিউজ ডেস্ক: হাতে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। স্থলভাগ দূরত্ব বর্তমানে মেরেকেটে সাড়ে সাতশো কিলোমিটার। বাংলার পাশাপাশি দানার ভয়ে সিঁটিয়ে ওড়িশাও। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে বাংলা ও ওড়িশা উপকূলের মধ্যে মাঝামাঝি কোনও জায়গায় আছড়ে পড়তে পারে দানা। পূর্বাভাস বলছে, গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে ইতিমধ্যেই রূপ বদলাতে শুরু করেছে পুরীর সমুদ্র। গভীর নিম্নচাপ তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে কী অবস্থা হবে সেটাই এখন ওড়িশা প্রশাসনের সবথেকে বেশি চিন্তার কারণ।
ইতিমধ্যেই পর্যটকদের জন্য বিশেষ সতর্ক বার্তা জারি করা হয়েছে। সকলেই সৈকত সংলগ্ন হোটেল ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছে।শুধু পর্যটক নয়, ১৪টি জেলায় সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। দানা আতঙ্কে ঘোষণা করা হয়েছে ছুটির। অন্যদিকে পুরীর সমুদ্র সৈকতের আশপাশে যে সমস্ত স্থানীয় বাসিন্দারা থাকেন তাঁদেরও অন্যত্র সরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। তৎপরতা বাড়িয়েছে এনডিআরএফ, ওডিআরএফ। ঝড়ের কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যতটা কমানো যায় সেই চেষ্টাই চলছে জোরকদমে। একইসঙ্গে প্রাণহানি যাতে শূন্যতে নামিয়ে আনা যায় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রয়েছে প্রশাসনের।
ঝড়ের ক্ষতি যাতে সহজে সামলে ওঠা যায়, তার জন্য সব ক্ষেত্রে ব্যবস্থা শুরু হয়েছে। ঝড়ের গতিবেগ বেশি হলে রেহাই পাবে না রেলও। তাই শিয়ালদহ ডিভিশনের জন্য বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানাল পূর্ব রেল। ঝড়ের পূর্বাভাস শুনেই কন্ট্রোল রুম খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব রেল। ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এই এমার্জেন্সি কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে। সেখানে থাকবেন অফিসাররা। রেল লাইনে জল জমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকছেই। তাই জায়গায় জায়গায় পাম্প বসানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ট্রেন চলাচল ব্যাহত হতে পারে, এমন সম্ভাবনার কথাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পূর্ব রেল। তাই এ ব্যাপারে যাত্রীদের আগে থেকে সতর্ক করার কথা বলা হয়েছে। যদি প্রবল ঝড়-বৃষ্টিতে স্টেশন বা প্লাটফর্মে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়, তার জন্য প্লাস্টিক শিটের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। এছাড়াও শিয়ালদহ ও কলকাতার মতো বড় স্টেশনে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে এমার্জেন্সি লাইট। ওভারহেডের তারে সমস্যা হলে যাতে দ্রুত সমাধান করা যায়, তার জন্য টাওয়ার ওয়াগন প্রস্তুত রাখা হচ্ছে।
অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় দানার কারণে যাতে বিমান চলাচলে কোনও অসুবিধা না হয়, বা বিপদ এড়াতে কোনও কোন ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে সে বিষয়ে তৎপরতা বেড়েছে দমদম বিমানবন্দরেও। সতর্ক বন্দরের কর্তারা। মঙ্গলবার হয়ে গেল উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক। ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আগেই বিমানগুলিকে কীভাবে নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে, কোথায় রাখা হবে, উড়ান বাতিল হবে নাকি ঘুরপথে চলবে এই সমস্ত সামগ্রিক বিষয় নিয়ে এদিন হয় বৈঠক।