Friday, November 15, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

Shantipur rash rituals: শান্তিপুরের ঐতিহাসিক রাস উৎসব: বড় গোস্বামী বাড়ি থেকে শুরু, এখনও রক্ষিত শতাব্দী প্রাচীন রীতি

Sweta Chakrabory | 18:07 PM, Thu Nov 14, 2024

নিউজ ডেস্ক: বাংলার ঐতিহ্য ও ভক্তির অন্যতম পীঠস্থান নদীয়ার শান্তিপুর। এখানেই প্রায় ৫০০ বছর আগে সূচনা হয়েছিল রাধা-কৃষ্ণের ঐতিহাসিক রাসযাত্রার, যা আজ বাংলার অন্যতম আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সময় বড় গোস্বামী বাড়ি, যা এই উৎসবের কেন্দ্রস্থল, সেজে উঠেছে আলোকমালায়। বড় গোস্বামী বাড়ির প্রতিষ্ঠাতা মথুরেস গোস্বামী প্রথম এই রাস উৎসবের আয়োজন করেছিলেন এবং সেই থেকে গোস্বামী পরিবারের প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই রীতি ধরে রেখেছেন।

বড় গোস্বামী বাড়ির বিগ্রহ রাধারমন জিউ শতাব্দী প্রাচীন এবং এটির ইতিহাস বহু ঘটনাপ্রবাহে সমৃদ্ধ। এক সময় রাধারমন চুরি হয়ে গিয়েছিল এবং পরবর্তীতে দেবী কাত্যায়নীর ব্রতের মাধ্যমে বিগ্রহটি উদ্ধার করা হয়। সেই থেকে প্রতীকীভাবে রাধার পাশে রাধিকাকে প্রতিষ্ঠা করে যুগল বিগ্রহ রীতি শুরু হয় এবং ঐতিহ্যবাহী বিয়ের আয়োজনের মতো সানাই বাজিয়ে রাধারমনকে তোলা হয় রাসমঞ্চে। তিনদিন ধরে এই ভাঙা রাস উৎসব পালিত হয়, যেখানে বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত হাজারো ভক্তবৃন্দ এই দৃশ্যের সাক্ষী হন।

শান্তিপুরের বড় গোস্বামী বাড়ির পাশাপাশি মোট ২২টি গোস্বামী বাড়িতে রাস উৎসব পালিত হয় এবং প্রত্যেক বাড়িই আলোকমালায় সজ্জিত থাকে। সমস্ত বিগ্রহ অষ্টধাতুর তৈরি এবং সোনার অলংকারে সজ্জিত। রাধারমন জিউ কখনো পুরীতে প্রতিষ্ঠিত ছিল এবং পরে যশোরে স্থানান্তরিত হয়। নবাবদের আক্রমণ থেকে রক্ষার্থে মথুরেস গোস্বামী বিগ্রহটি শান্তিপুরে নিয়ে আসেন এবং তখন থেকেই এখানেই শুরু হয় ঐতিহাসিক রাসলীলা।

গোস্বামী পরিবারের সদস্যরা রাস উৎসবের এই তিনদিন বাড়ির বিগ্রহ দেবতার আরাধনায় মগ্ন হন। ইতিমধ্যে বড় গোস্বামী বাড়ির রাসমঞ্চ আলোক সজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে এবং দর্শনার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নাটমন্দির থেকে রাজমঞ্চ পর্যন্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে, যাতে শান্তিপুরের এই ঐতিহাসিক রাসযাত্রা সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে পালিত হয়।

upload
upload