Friday, November 15, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

ahmedabad

Death for Air Pollution: বছরে ৩৩ হাজার ভারতীয়র মৃত্যুর কারন বায়ু দূষণ! চাঞ্চল্যকর তথ্য জানাল গবেষকরা

নিউজ ডেস্ক: গবেষণায় উঠে এল বিরাট তথ্য। দূষণের কারণে প্রতি বছর ভারতে মৃত্যু (Death for Air Pollution) হচ্ছে ৩৩ হাজার মানুষের। সম্প্রতি ‘দ্য ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেলথ জার্নাল’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দূষণ সংক্রান্ত সমীক্ষার রিপোর্টে এমনই উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, কলকাতা সহ ভারতের বড় বড় ১০টি শহরে (Indian Cities) প্রতি বছর বায়ুদূষণের বলি হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। তাই দূষিত বায়ুর বিপদ থেকে নাগরিকদের বাঁচানোর জন্য অবশ্যই হু-র দেওয়া নির্দেশিকা মেনে চলা উচিত ভারতের, এমনটাই জানানো হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। গবেষণাটি সাসটেইনেবল ফিউচার কোলাবোরেটিভ, অশোকা ইউনিভার্সিটি, সেন্টার ফর ক্রনিক ডিজিজ কন্ট্রোল, সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট, হার্ভার্ড এবং বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য স্থানের গবেষকদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল।

সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, ভারতের বড় বড় ১০টি শহরে বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর ৩৩ হাজার মানুষের মৃত্যু (Death for Air Pollution) হয়। ওই ১০টি গুরুত্বপূর্ণ শহরে বায়ুদূষণের কারণে দৈনিক মৃত্যুর হার ৭ শতাংশেরও বেশি। এই শহরগুলির (Indian Cities) তালিকায় রয়েছে কলকাতা, আহমেদাবাদ, ব্যাঙ্গালুরু, চেন্নাই, দিল্লি, হায়দরাবাদ, মুম্বাই, পুনে, সিমলা, এবং বারাণসী। সমীক্ষায় দেখা গেছে, বায়ুদূষণের কারণে মৃত্যুর (Death for Air Pollution) নিরিখে শীর্ষে রয়েছে ভারতের রাজধানী শহর দিল্লি, যেখানে প্রতি বছর ১২ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মুম্বাই। এখানে এই সংখ্যা ৫ হাজার ১০০। আর কলকাতায় সেই সংখ্যা ৪ হাজার ৭০০। অন্যদিকে চেন্নাইয়ে বায়ুদূষণের কারণে বছরে ২ হাজার ৯০০ জন মানুষ মারা যায়। বেঙ্গালুরুতে সেই সংখ্যা ২ হাজার ১০০ এবং বারাণসীতে ৮৩০। মৃত্যুর নিরিখে তালিকায় সবচেয়ে নিচে রয়েছে সিমলা, যেখানে বছরে বায়ুদূষণের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে কম, মাত্র ৫৯।

এ প্রসঙ্গে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সহ-লেখক জোয়েল শোয়ার্টজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ''এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে ভারতের যা পরিস্থিতি সেখানে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণই একমাত্র পথ। একমাত্র বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই প্রতি বছর কয়েক হাজার জীবন বাঁচাতে পারে। অন্যান্য দেশে যেভাবে দূষণ নিয়ন্ত্রণ হয়, সে সব পদ্ধতিগুলি ভারতে জরুরীভাবে প্রয়োগ করা প্রয়োজন।" বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু জানিয়েছে যে, পৃথিবীতে প্রায় সকলেই বায়ু দূষণের প্রস্তাবিত পরিমাণের চেয়ে বেশি পরিমানে দূষিত বায়ু গ্রহণ করে, যা স্ট্রোক, হৃদরোগ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর এর ফলেই উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে মৃত্যুর হার।

Sweta Chakrabory | 11:36 AM, Fri Jul 05, 2024

PM Modi in Ahmedabad: মহাত্মা গান্ধীর আশ্রমে 'আশ্রম ভূমি বন্দনা' প্রধানমন্ত্রীর

নিউজ ডেস্ক: মহাত্মা গান্ধীর ডান্ডি পদযাত্রার ৯৪তম বার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার গুজরাটের সবরমতিতে মহাত্মা গান্ধীর আশ্রমে ‘আশ্রম ভূমি বন্দনা’ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সঙ্গে সবরমতি আশ্রমের পুনরুদ্ধারের মাস্টারপ্ল্যান হিসেবে ১২০০ কোটি টাকার ‘সবরমতি আশ্রম মেমোরিয়াল অ্যান্ড প্রিসিন্ট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’-এরও উন্মোচন করেন তিনি। একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে , ১২০০ কোটি টাকার বাজেটের এই প্রকল্পের লক্ষ্য বর্তমান এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য মহাত্মা গান্ধীর শিক্ষা এবং দর্শনকে পুনরুজ্জীবিত করা।

সবরমতিতে মহাত্মা গান্ধী আশ্রমে পৌঁছনোর পর প্রধানমন্ত্রী একটি চারা রোপণ করেন এবং সবরমতী আশ্রমে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি প্রকল্প চালু করতে এবং স্বদেশী প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির সাক্ষী হতে গুজরাট এবং রাজস্থান সফরে বেড়িয়েছিলেন। এদিনই গুজরাটের আহমেদাবাদে সবরমতি আশ্রম পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। ১২ মার্চ কোচরাব আশ্রম উদ্বোধন এবং গান্ধী আশ্রম স্মৃতিসৌধের মাস্টার প্ল্যান চালু করতে আশ্রম পরিদর্শন করেন তিনি।

মঙ্গলবার সমাবেশের বক্তৃতায়, প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন, "আজ ১২ মার্চ, আজই সেই দিন যেদিন মহাত্মা গান্ধী স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রবাহ পরিবর্তন করেছিলেন যার ফলে ইতিহাসের পাতায় ডান্ডি অভিযান স্বর্ণাক্ষরে নিবন্ধিত হয়েছিল।" জানা গেছে ,আহমেদাবাদের এইচসিপি ডিজাইন ও প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থা এই মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করেছে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১২০ একর জুড়ে বিস্তৃত মূল আশ্রমে বিদ্যমান ৬৩টি ভবনের প্রায় অর্ধেকেরই পুনরুদ্ধার, সংরক্ষণ এবং পুনর্নির্মাণ করা হবে। সব মিলিয়ে ৩৬টি ভবনের কাজ হবে। প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ২০টি পুরানো ভবনের সংরক্ষণ, ১৩টি ভবনের সুনির্দিষ্ট পুনরুদ্ধার, এবং আশ্রমের মূল স্থাপত্যের সরলতা এবং সারমর্মকে মেনে চলার পবিত্র লক্ষ্যকে মাথায় রেখে তিনটি ভবনের পুনঃউন্নয়ন। পুনরুদ্ধারের তালিকায় রয়েছে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের অফিস,দুটি গোশালা এবং আরও দশ ওর্দি এবং পুনঃউন্নয়নের তালিকায় আছে দেহলা পুনি কেন্দ্র, সাত অর্দি এবং আনন্দ ভবন সংগ্রহালয়।

Sweta Chakrabory | 17:15 PM, Tue Mar 12, 2024
upload
upload