RG Kar Hearing Breaking: আরজি কর মামলার শুনানি শুরু সুপ্রিম কোর্টে
Sweta Chakra... | 11:04 AM, Mon Sep 09, 2024
RG Kar BREAKING: সিল বন্ধ খামে আরজি কর কাণ্ডের তদন্তের রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই
Sweta Chakra... | 11:39 AM, Thu Aug 22, 2024
Buddhadeb Bhattacharjee: সকালে প্রাতঃরাশ সেরেই অসুস্থ, প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বয়স হয়েছিল ৮০
Sweta Chakra... | 11:47 AM, Thu Aug 08, 2024
Astra Mark 1: বিমান বাহিনীর অস্ত্র ভান্ডারে এবার দেশীয় দুরপাল্লার মিসাইল
Pankaj Kumar... | 16:58 PM, Wed Aug 07, 2024
RSS বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবি আরএসএসের
Pankaj Kumar... | 16:41 PM, Wed Aug 07, 2024
Paris Olympics 2024: প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছ ইতিহাস গড়লেন মানিকা বাত্রা, জাগালেন পদকের আশা
Pankaj Kumar... | 12:50 PM, Tue Jul 30, 2024
Amarnath Yatra: অমরনাথ যাত্রায় হামলার ছক, এবার খলিস্তানীদের ময়দানে নামাচ্ছে পাকিস্তান
Pankaj Kumar... | 18:35 PM, Sat Jul 27, 2024
Terrorist Attack: জঙ্গিদের ছবি প্রকাশ্যে এল, মাথার দাম পাঁচ লাখ টাকা
Pankaj Kumar... | 18:32 PM, Sat Jul 27, 2024
Meerut Police: নির্ভয়ার স্মৃতি ফিরল মেরঠে, গ্রেফতার হাসিন, শাহরুখ, একরামউদ্দিন এবং মহসিন
Pankaj Kumar... | 15:46 PM, Sat Jul 27, 2024
BJP Protest: “অন্য ধর্মে জন্মানো দুর্ভাগ্যের”, ফিরহাদের বিতর্কিত মন্তব্যে তোলপাড় বিধানসভা
Pankaj Kumar... | 15:23 PM, Sat Jul 27, 2024
Indian Army: ১৬ হাজার ফিট উচ্চতায় মোবাইল পরিষেবা, সেনাকে বিজয় দিবসের উপহার কেন্দ্রের
Pankaj Kumar... | 15:19 PM, Sat Jul 27, 2024
BJP Protest: “অন্য ধর্মে জন্মানো দুর্ভাগ্যের”, ফিরহাদের বিতর্কিত মন্তব্যে তোলপাড় বিধানসভা
নিউজ ডেস্ক: ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্যে তুলকালাম বিধানসভায়।ফিরহাদের ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় ‘অন্য ধর্মের মানুষের দুর্ভাগ্য’ ও ‘ধর্মান্তকরন’ সংক্রান্ত মন্তব্য নিয়ে তুলকালাম হয়ে যায়। ওই ভিডিও-তে শোনা যায়, একটি অনুষ্ঠানে ইসলাম নিয়ে বক্তব্য রাখেন তিনি। তাতেই শোনা যায় ধর্মান্তকরণের প্রসঙ্গ, দাবি বিজেপির। ইতিমধ্যেই ফিরহাদের মন্তব্য নিয়ে তুঙ্গে তরজা। সমাজমাধ্যমে এবং মিডিয়ার তুলকালামের আঁচ এসে পড়ল বিধানসভায়। শুক্রবার, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে পদ থেকে বরখাস্ত করার দাবি তোলে বিজেপি। গীতা হাতে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikary) নেতৃত্বে বিক্ষোভ (BJP Protest) প্রদর্শন করে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।
ফিরহাদের বিতর্কিত মন্তব্যে তোলপাড় (BJP Protest)
বিজেপির দাবি, ফিরহাদ হাকিম সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে ইসলাম সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ধর্মান্তকরণে উৎসাহ দেন। তিনি বলেন, “ভিন্ন ধর্মে জন্মানো দুর্ভাগ্যের।” ফিরহাদকে ওই ভাইরাল ভিডিও-য় বলতে শোনা যায় , “আমরা নিজেরা মুসলিম। মুসলিম ঘরে জন্মেছি, বড় হয়েছি আমাদের নমাজ, আদব-কায়দা বেশিরভাগই মানুষের জানা। কিন্তু যারা দুর্ভাগ্য নিয়ে জন্মেছে, যারা ইসলাম নিয়ে জন্মায়নি।” এই মন্তব্যের পর ফিরহাদ হাকিমকে ক্ষমা চাইতে হবে এই দাবি ওঠে।যদিও তাঁর মন্তব্য সাম্প্রদায়িক নয়, কোনও বিতর্কিত মন্তব্য নয়।আমি একজন সেক্যুলার মানুষ।নিজ ধর্ম পালন করি।অন্য ধর্মেকে সম্মান দিই।দুর্গাপুজোর আয়োজনে অংশ নিই।এটা বিজেপির চক্রান্ত বলে দাবি করেন মমতা সরকারের এই মন্ত্রী।এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্ধব ঠাকরের বাড়ি গিয়ে দেখা করার পর এক সাংবাদিক তাঁকে এনিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানেন না বলে জানান।এবং বষয়টি ফিরহাদের ব্যক্তিগত মন্তব্য বলে এড়িয়ে যান।
বিধানসভায় বিজেপির বিক্ষোভ
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary) এদিন অধিকারী বলেন, “ফিরহাদ হাকিমের কোনও অধিকার নেই হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈন, পার্শি, শিখদের অপমান করার। স্পিকারকে বলেছিলাম, ওনাকে ক্ষমা চাইতে হবে। ফিরহাদ হাকিমকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করতে হবে। নইলে আমরা বাংলা জুড়ে আন্দোলন করব।” শুক্রবার বিধানসভার বাদল অধিবেশনে ফিরহাদের বক্তব্যের বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনার দাবি জানায় বিজেপি। যদিও তাতে অনুমোদন দেননি স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পর বিধানসভা কক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখাতে দেখাতে বেরিয়ে যান বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভার বাইরেও গীতা হাতে বিক্ষোভ (BJP Protest) দেখান তাঁরা।
Madhuri Dixit: নিষিদ্ধ পাকিস্তানির ‘মাধুরি’ যোগ, প্রবল সমালোচিত বলিউড অভিনেত্রী
নিউজ ডেস্ক: বলিউডে এক আবেগের নাম মাধুরী দীক্ষিত।৫৭ বছর বয়সী অভিনেত্রী আজও বিউটি কুইন। নৃত্য, অভিনয় এবং প্রযোজনা সব ক্ষেত্রেই তিনি এক অসামান্য প্রতিভা। তবে এক পাকিস্তানি ব্যবসায়ীর সঙ্গে কাজ করার ঘোষণা করে তিনি সম্প্রতি বিতর্কে জড়িয়েছেন। পাকিস্তানি নাগরিক রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী রেহান সিদ্দিকীর সঙ্গে কর্মসূত্রে জোট বেঁধেছেন মাধুরী দীক্ষিত (Madhuri Dixit) । এ নিয়েই এখন নেট দুনিয়া উত্তাল।
উঠছে কনসার্ট বাতিলের দাবি (Bollywood)
প্রসঙ্গত ভারত ২০২০ সাল থেকে রেহান সিদ্দিকীকে ব্ল্যাকলিস্টেড করা হয়েছে। অভিযোগ উঠছে রেহানের সঙ্গে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের যোগ রয়েছে। আইএসআইয়ের বিরুদ্ধে ভারতে জঙ্গি কার্যকলাপে মদত দেওয়ার ইতিহাস রয়েছে। আইএসআইয়ের এর সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগে রেহান সিদ্দিকীকে ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এবার সেই রেহান সিদ্দিকীর কনসার্টে মাধুরির যোগ দেওয়ারখবর সামনে এসেছে। ফলে মাধুরী দীক্ষিত (Madhuri Dixit) এখন সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। তাঁর ভক্ত অনুরাগীরাই চাইছেন মাধুরি যাতে টাকার লোভ দূরে সরিয়ে এই কনসার্ট বাতিল করুন। চলতি বছর আগস্ট মাসে আমেরিকার হিউস্টন শহরে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন রেহান সিদ্দিকী। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা মাধুরীর। বিষয়টি নিয়ে তখন হইচই হয়, যখনরাজনৈতিক ভাষ্যকার সুনন্দা বশিষ্ঠ মাধুরী দীক্ষিতের সেই অনুষ্ঠানের পোস্টার প্রকাশ্যে আনেন। একই সঙ্গে তাঁর এক্স একাউন্ট থেকে শেয়ার করা হয় রেহান সিদ্দিকীকে ভারতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার সংবাদ। অনুষ্ঠানের প্রোমোটার রেহান সিদ্দিকী সঙ্গে জোট বাঁধায় মাধুরী দীক্ষিতের সমালোচনাও করেন তিনি। বলেন,“ভারত সরকার যে পাকিস্তানি নাগরিককে অবৈধ কাজের জন্য ভারতে নিষিদ্ধ করেছে,তাঁর সঙ্গে মাধুরীকে কাজ করতে দেখে অবাক হচ্ছি। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল বলিউডের তারকারা যাতে তাঁর সঙ্গে কাজ না করেন। এবং ভারতে তাঁকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।” যদিও মাধুরী দীক্ষিতের তরফে এখনো অবধি কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
প্রবল চাপে মাধুরি (Madhuri Dixit)
১৯৮৪ সালে ‘অবোধ’ সিনেমায় মাধুরী দীক্ষিত প্রথম অভিনয় করেন। এরপর ১৯৮৮ সালে ‘তেজাব’ সিনেমা করেন তিনি। এরপর বেটা, রাজা,কোয়লা, খলনায়ক,অঞ্জাম, দিল, হাম আপকে হ্যায়কৌন, দিল তো পাগল হ্যায়, দেবদাস, কলঙ্ক সহ বহু সিনেমায় নিজের অভিনয়ের ছাপ রাখেন তিনি। প্রসঙ্গত ২০২০ সালে ভারত সরকারের মন্ত্রী জি কিষেন রেড্ডি ভারতীয় অভিনেতা অভিনেত্রীদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভারত বিরোধী ব্যক্তিদের সঙ্গে অনুষ্ঠান না করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। ভারতের গোয়েন্দা দফতরের রিপোর্ট অনুসারে মন্ত্রকের তরফে ভারতীয় অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কাছে এই অনুরোধ করা হয়েছিল। একইসঙ্গে রেহান সিদ্দিকী, রাকেশ কৌশল এবং দর্শন মেহেতাকে ব্ল্যাকলিস্ট করা হয়েছিল। এই নিষিদ্ধ ঘোষণা নেপথ্যে ছিল হিউস্টনে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস। অথচ সেই শহরেই অনুষ্ঠান করতে যাচ্ছেন মাধুরী দীক্ষিত। প্রসঙ্গত কতিপয় অনুষ্ঠানের আয়োজন এই সকল অনুষ্ঠান থেকে ওঠা টাকার একটা বড় অংশ জঙ্গি কার্যকলাপে ব্যয় করে বলে অভিযোগ। বিশেষ করে আমেরিকা ও কানাডা এখন শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে। সেই বিচ্ছন্নতায় মদত দেয় আইএসআই। এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে বলিউড অভিনেতা অভিনেত্রীদের কাছে অর্থ কি তাঁদের দেশের ঊর্ধ্বে? প্রসঙ্গত মাধুরীর পাকিস্তানি প্রোমোটারের সঙ্গে যোগের ঘটনায় এখন এর দুনিয়া উত্তাল। মাধুরীর সমর্থকরা এখন তাঁকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না। এক্স হ্যান্ডলে সুনন্দা বশিষ্ঠের ওই পোস্টের নীচে এক নেট ব্যবহারকারী লিখেছেন, আজীবন মাধুরীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি যা কান্ড ঘটালেন তাতে আমার হৃদয় ভেঙ্গে খানখান। অন্য একজন লিখেছেন, মাধুরী দীক্ষিত সত্যি হতাশ করেছেন। আমি বুঝতে পারি না যে বলিউডের লোকেদের কাছে দেশের চেয়ে অনেক বেশি টাকা। আশা করব ভারত বিরোধী ব্যক্তিদের সঙ্গে তাঁর ওঠাবসা বন্ধ হবে। প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগেই মাধুরী দীক্ষিত অল আইজ অন রাফা টুলকিটের সমর্থন করেছিলেন। অথচ ভারতে যখন পাকিস্তানি জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছিল তখন তিনি চুপ ছিলেন। এতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তাহলে কি বলিউড (Bollywood) সেলেবরা কি নির্দিষ্ট টুলকিট দ্বারা পরিচালিত হন?
High Court: মমতার বিরুদ্ধে মামলা করলেন রাজ্যপাল,হাইকোর্টে দায়ের হল
মামলা
নিউজ ডেস্ক: রাজভবনকে কেন্দ্র করে একের পর এক আক্রমণ করে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্লীলতাহানির অভিযোগ পর্ব থেকে সেই যে বিতর্ক শুরু, তারপর মুখ্যমন্ত্রী টানা আক্রমণ করে গিয়েছে সি ভি আনন্দ বোসকে। যদিও এই পর্বে অনেকটাই রক্ষণাত্মক রাজ্যপাল। কিন্তু এবার বিচার চাইতে হাইকোর্টের (High Court) দ্বারস্থ হলেন সি ভি আনন্দ বোস। তিনি কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর।
শপথ ঘিরে জটিলতা (Governer)
শুধু মুখ্যমন্ত্রী নয়, রাজ্যের আরও কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে রাজ্যপাল ওই মামলা (High Court) করেছেন বলে জানা গিয়েছেন। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী জানিয়েছেন, এখন অবধি মামলা লিস্টেড হয়নি। প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মেয়েরা ওখানে (রাজভবন) যেতে ভয় পাচ্ছে।এই মন্তব্য উল্লেখ করে মামলাটি করেছেন রাজ্যপাল (Governer)। প্রসঙ্গত রাজভবন নাকি বিধানসভায়, শপথ কোথায় হবে এ নিয়ে জটিলতা অব্যাহত। সদ্য জয়ী তৃণমূলের দুই বিধায়ক চাইছেন বিধানসভায় শপথ করানো হোক। অন্যদিকে রাজভবনে এসে শপথ নেওয়ার সময় দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। বিধায়করা সেখানে না যাওয়ার ফলে দুই বিধায়কের শপথ ঘিরে জটিলতা অব্যাহত। এরই মাঝে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, সোমবারের মধ্যে শপথ জটিলতার সমাধান না হলে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তিনি আবার বোমা পাঠাবেন। অন্যদিকে বিধানসভার সামনে বরানগর কেন্দ্র থেকে জয়ী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,“মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বলে দিয়েছেন তখন আর কিছু বলার নেই।ভয় তো লাগতেই পারে। অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বলে দিয়েছেন,তাই বিধায়কদের ভয় লাগছে। কিন্তু বাকি একজন পুরুষ বিধায়কের কেন শ্লীলতাহানির ভয় নাকি অন্য দলের হুইপের ভয় তা জানা যায়নি।
বিজেপির প্রতিক্রিয়া (High Court)
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে শুক্রবার মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে (High Court) দায়ের করা হয়। মামলার কপির সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য উল্লেখ করা আছে। রাজ্যপালের এই মামলার প্রসঙ্গে বিজেপি নেতার রাহুল সিনহা বলেন,“রাজ্যপাল (Governer) সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে এই সিদ্ধান্ত অনেক আগে নেওয়া উচিত ছিল। রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য মর্যাদা জড়িত আছে। এ বিষয়ে আমাদের রাজ্যপালের প্রতি আমার সমর্থন রয়েছে। অন্যদিকে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন,“রাজ্যপাল এবং রাজ্যের দ্বন্দ্ব চলছে, তাতে রাজ্যের কোনও উন্নতি হচ্ছে না। ওরা সাংবিধানিক দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছেন। এতে আসলে রাজ্যের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। ”
Sengol Controversy: সংসদ থেকে ‘সেঙ্গল’ সরানোর দাবি ঘিরে তুলকালাম,সেঙ্গল সরানো হবে না জানাল বিজেপি
নিউজ ডেস্ক: লোকসভার বিশেষ অধিবেশনে ফের একবার চর্চায় ‘সেঙ্গল’। সমাজবাদী পার্টির সাংসদ আর কে চৌধুরী সংসদ থেকে ‘সেঙ্গল’(Sengol Controversy) সরিয়ে সেখানে ‘সংবিধান’ রাখার দাবি তুলেছেন। যদিও ভারতীয় জনতা পার্টির ‘সেঙ্গল’ সরানোর দাবির বিরোধিতা করেছে।
সমাজবাদী সাংসদের দাবি
সমাজবাদী পার্টির সাংসদ আর কে চৌধুরী (Sengol Controversy) বলেছেন, সংবিধান গণতন্ত্রের প্রতীক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার নতুন সংসদে ‘সেঙ্গল’ স্থাপন করেছে। সেঙ্গলের অর্থ রাজদণ্ড। রাজতন্ত্র শেষ হওয়ার পর দেশে গণতন্ত্র স্থাপন হয়েছে। গণতান্ত্রিক দেশে সংবিধান থাকা উচিত রাজদণ্ড নয়। সংবিধান বাঁচানোর জন্য সংসদ ভবন থেকে ‘সেঙ্গল’ সরিয়ে দেওয়া হোক।
বিজেপির প্রতিক্রিয়া (Sengol Controversy)
এ বিষয়ে বিজেপি সাংসদদের তরফেও প্রতিক্রিয়া এসেছে। বিজেপি সাংসদ মহেশ জেঠমালানি বলেন,‘সেঙ্গল’ রাষ্ট্রের প্রতীক। একবার ‘সেঙ্গল’ যখন(Parliament) স্থাপন হয়েছে এটাকে আর কেউ সরাতে পারবে না।” অন্যদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বি এল ভার্মা বলেন,“সমাজবাদী পার্টি নেতাদের আগে (Sengol Controversy) সংবিধান এবং সংসদীয় পরম্পরা সম্পর্কে ধারণা রাখা উচিত। স্বাধীনতার সময় থেকেই ‘সেঙ্গল’আছে। স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর হাতে ‘সেঙ্গল’ তুলে দেওয়া হয়েছিল। অজ্ঞ ব্যক্তিদের সংবিধান এবং সংসদীয় পরম্পরা সম্পর্কে বিনামূল্যের জ্ঞান বিতরণ করা উচিত নয়। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এল মুরুগন বলেন,“তামিল সংস্কৃতির সঙ্গে বিরোধীরা পরিচিত নয়। সে কারণেই তাঁরা সেঙ্গলের বিরোধিতা করছে। বিরোধীরা আমাদের সংস্কৃতি এবং পরম্পরা নষ্ট করতে চাইছে। ‘সেঙ্গল’ সরানো হলে তামিল সংস্কৃতিকে আঘাত করা হবে।”
সেঙ্গলের ইতিহাস
প্রসঙ্গত ‘সেঙ্গল’ প্রধানমন্ত্রী ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু ব্রিটিশ ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। সেই সিঙ্গল নতুন সংসদ ভবনে স্পিকারের আসনের (Sengol Controversy) পাশে রাখা হয়েছে।‘সেঙ্গল’ ইংরেজদের থেকে ভারতের ক্ষমতা হস্তান্তর এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের প্রতীক বলে দাবি করা হয়। অতীতে চোল সাম্রাজ্যের সেঙ্গলর অধিকারী রাজার কাছ থেকে পক্ষপাতহীন ন্যায় এর আশা করা হত। চোল সাম্রাজ্যের আগে মৌর্য সাম্রাজ্যেও রাজার কাছে ‘সেঙ্গল’ থাকত। পরবর্তীকালে গুপ্ত সাম্রাজ্যের রাজার হাতে ‘সেঙ্গল’ থাকত। এমনকি মোঘলদের কাছ থেকে ব্রিটিশরা ক্ষমতায় নেওয়ার সময়ও ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতের উপর অধিকারের প্রতীক হিসেবে ‘সেঙ্গল’ নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছিল। যা পরবর্তীকাল রাজতন্ত্রের অবসান অর্থাৎ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মাউন্টব্যাটেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু হাতে তুলে দিয়েছিলেন।
UGC NET Controversy: নিট পরীক্ষায় গলদ মেনে নিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী, নিলেন বড় সিদ্ধান্ত
নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি নিটে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। সেই দুর্নীতির অভিযোগ এবং ইউজিসি নেট (UGC NET Controversy) বাতিল করার প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। সেখানেই জাতীয় টেস্টিং এজেন্সি বা এনটিএ-তে যে গলদ রয়েছে, তা মেনে নিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan)। জানালেন, ‘ভুল’ সংশোধন এবং উন্নত পরিষেবার জন্য উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হবে।
এ প্রসঙ্গে ধর্মেন্দ্র বলেন, ‘‘নিটে দুর্নীতি (UGC NET Controversy) প্রমাণিত হলে দোষীরা অবশ্যই শাস্তি পাবে। নেটের ক্ষেত্রেও বিষয়টি তাই। কাউকে কোনও অবস্থাতেই রেয়াত করা হবে না। আমি তার গ্যারান্টি দিচ্ছি। পরীক্ষা পদ্ধতির উপর বিশ্বাসযোগ্যতা ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব আমার।’’ এরপর নেট পরীক্ষার এক দিন পর তা বাতিল করে দেওয়া প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘পরীক্ষার পরের দিন বিকেল ৩টে নাগাদ আমরা জানতে পারি, ডার্ক নেটে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছিল পরীক্ষার আগেই। মূল প্রশ্নপত্রের সঙ্গে তা মিলিয়ে দেখা হয় এবং ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সঙ্গে তা মিলে যায়। এর পরেই আমরা পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। টেলিগ্রামের মতো অ্যাপগুলির উপর নজরদারি চালানো কঠিন। প্রশ্নফাঁসে সেই ধরনের অ্যাপই ব্যবহৃত হয়েছে। তবে স্বচ্ছতার সঙ্গে আমরা আপস করব না। একথা বলতে পারি, জোরালো প্রমাণ পেলে কোনও অপরাধীই নিষ্কৃতি পাবে না। পড়ুয়াদেরই ভবিষ্যতে আমাদের অগ্রাধিকার।’’
গত বুধবার নেট পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। কারণ সম্প্রতি নিটের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে বিহার থেকে। সেখানে এক জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। জেরায় যিনি স্বীকার করেছেন, পরীক্ষার আগের দিন তিনি প্রশ্ন পেয়ে গিয়েছিলেন। তা মুখস্থ করে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন। এই ঘটনায় সিবিআই এর তদন্ত করবে বলে আগেই জানিয়েছিল কেন্দ্র। তবে এরপর বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় এফআইআর করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি ইউজিসি-নেট (UGC-NET) পরীক্ষা নেয়। প্রায় ৯ লক্ষের উপর পরীক্ষার্থী তাতে অংশ নেয়। কিন্তু নিটের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে পরীক্ষার মাত্র একদিন পরই বুধবার কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
Abhijit Gangopadhyay: অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম! বিতর্কে জড়ালেন পুলিশ আধিকারিক
নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা ভোট। আর ভোটের আগেই আবার বিতর্ক দানা বাঁধল তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে। বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay) পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে ভোটের মুখে বিতর্কে জড়ালেন তমলুকের এক পুলিশ আধিকারিক। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও ভাইরাল হওয়া মাত্রই তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক।
জানা গেছে, সম্প্রতি তমলুকে প্রচারে যান তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানে মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তিতে মাল্যদান করে রাস্তায় ঘুরে ঘুরে আসন্ন লোকসভা ভোটের প্রচার সারেন তিনি। এরপর সেখান থেকে জেলখানা মোড়ের কাছেও প্রচারে যান। সেখানেই বাড়ি তমলুক(tamluk) পুলিশ টেলিকম থানার আধিকারিক অব্ধেশ সিংয়ের। তাঁর দাবি, প্রচারের ফাঁকে বিজেপি প্রার্থীর শৌচালয় ব্যবহারের দরকার পড়ে। এরপর ওই পুলিশ কর্মীর কাছে তাঁর শৌচালয় ব্যবহারের অনুমতি চান তিনি। অনুরোধে সাড়া দিয়ে শৌচালয় ব্যবহার করতে দেন অব্ধেশ।
পুলিশ আধিকারিকের দাবি, সেকারণেই বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর বাড়িতে যান। এরপর বিজেপি প্রার্থী ওই পুলিশ আধিকারীকের মাকে প্রনাম করেন। তারপর তার বাড়ির সকলেই অভিজিৎবাবুকে প্রণাম করেন। তখন তিনিও বাকি সবার সাথেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে(Abhijit Gangopadhyay) পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন। এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই বলেই দাবি তাঁর।
তবে গোটা ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে তৃণমূল(TMC) নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনে জানিয়েছেন। অন্যদিকে পাল্টা বিজেপি এই ঘটনাকে সনাতনী কৃষ্টি সংস্কৃতি বলেই দাবি করেছেন। তবে পুলিশ আধিকারিকের এই যুক্তিতে কান দিতে নারাজ রাজনৈতিক মহল।
তবে এই গোটা ঘটনায় বিজেপির(BJP) তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভানেত্রী তথা বিধায়িকা তাপসী মণ্ডল বলেন, “ওই সময় ওই অফিসার অন ডিউটিতে ছিলেন না। তাই ব্যক্তিগতভাবে গুরুজন হিসেবে তিনি সম্মান দেখিয়ে কাউকে প্রণাম করতেই পারেন। তাতে বিতর্ক কিংবা অন্যায় কিছু দেখছি না।”
ধর্ম ও দেশকে নিয়েও কুকথা বলতে ছাড়লেন না দুর্নীতিতে অভিযুক্ত সাংসদ
প্রথমে ধর্ম এবার দেশকে নিয়েও কুকথা বলতে ছাড়লেন না দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত ডিএমকে সাংসদ এ রাজা। ইনি ২ জি স্পেক্ট্রাম ও আয়ের চেয়ে বেশি সম্পদ মামলায় অভিযুক্ত। সনাতন ধর্ম নিয়ে নিন্দাজনক মন্তব্য করে আগে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন ডিএমকে সাংসদ এ রাজা। এবার দেশের নামে কুমন্তব্য করে বসলেন ডিএমকে সাংসদ। তিনি বলেন, তামিলনাড়ু কখনও বিজেপির জয় শ্রীরাম ও ভারতমাতার আদর্শকে গ্রহণ করবে না। ভারত কখনও দেশ ছিল না। এটা উপমহাদেশের অংশ। তাঁকে সময় নষ্ট না করে পালটা ধুয়েছেবিজেপি শিবিরও।
মাদুরাইয়ে এক জনসভায় প্রাক্তন কংগ্রেস আমলে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা ডিএমকে সাংসদকে বলতে শোনা যায়, “ওদের ব্যখ্যা অনুযায়ীই আপনাকে বলতে হবে জয় শ্রীরাম, বলতে হবে ভারতমাতা কি জয়! তাহলে বলতে হবে, তামিলনাড়ু কোনওদিনই ভারতমাতা ও জয় শ্রীরাম গ্রহণ করবে না।” বিজেপিকে ‘রামের শত্রু’ বলেও তোপ দেগেছেন রাজা। তাঁর কথায়, “কে এই রামের শত্রু? আমার তামিল শিক্ষক বলেছিলেন রাম সীতার সঙ্গে বনে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি এক শিকারিকে স্বীকৃতি দেন। মেনে নেন সুগ্রীব ও বিভীষণকেও। কোনও জাতপাতের বিষয় ছিল না। আমি রামায়ণ বা রাম জানি না। আমি এতে বিশ্বাস করি না।”
তাঁকে আরও বলতে শোনা যায়, “মনে রাখতে হবে,দেশ বলতে বোঝায় এক ভাষা, এক সংস্কৃতি, এক প্রথা। ভারত কোনও দেশ নয়। এটা একটা উপমহাদেশ। যদি কোনও সম্প্রদায় গোমাংস খায়, মেনে নিতে হবে। মণিপুরে কুকুরের মাংস খান অনেকে। এটা ওঁদের সংস্কৃতিতে রয়েছে। আপনাদের কী সমস্যা? ওঁরা কি আপনাদের খেতে জোর করেছেন?”
পাশাপাশি ডিএমকে সাংসদ মোদি সরকারকে তোপ দেগে বলেন, “মোদী বলেছেন লোকসভা নির্বাচনের পরে তামিলনাড়ুতে ডিএমকে থাকবে না। যদি ডিএমকে না থাকে, তাহলে ভারতও থাকবে না। ওরা তো চায় সংবিধানকে ছুড়ে ফেলতে। ওরা ফের ক্ষমতায় এলে সংবিধানই থাকবে না।রাজার এমন সব মন্তব্যের পালটা দিয়েছে বিজেপিও। গেরুয়া শিবিরের আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘ডিএমকের ঘৃণাভাষণ চলছেই। উদয়নিধি স্ট্যালিনের পর এবার এ রাজা। উনি ভারতের বিচ্ছিন্নতার কথা বলেছেন। ভগবান রামকে উপহাস করেছেন। মণিপুরীদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন।’
ডিএমকে দলের একের পর এক নেতা ভারত,সনাতন ধর্ম ও দেশের সংকৃতিকে নিয়ে অপমানজনক টিপ্পনী করে চলেছেন। তাতে ওই দলের তরফে ওই মন্তব্যকে নিন্দা জানিয়ে কোন মন্তব্য আসেনি। ফলে নীরব থেকে দলের একটা বড় অংশ তাঁদের নেতাদের ঘৃণাভাষণকে পর্দার আড়ালে সমর্থন জুগিয়ে চলেছেন। এ রাজা এর আগে সনাতন ধর্মকে এইচআইভি এবং কুষ্ঠ রোগের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। দলের মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে এবং মন্ত্রী উদয়নিধি স্টালিন সনাতন ধর্মকে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া এবং করোনার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। বিজেপির অভিযোগ দক্ষিণ ভারতকে সমগ্র ভারতের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন করতে চাইছে ডিএমকে। রাজনৈতিক স্বার্থে দেশে গৃহযুদ্ধের মত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপট তৈরি করার চেষ্টায় লিপ্ত ডিএমকের নেতারা।
Arjun Singh: “শ্যাম রাখবে না অর্জুন ঠিক করুক তৃণমূল” কটাক্ষ সুকান্তর
শেষ বার তিনি তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে বিজেপির হয়ে লড়েছিলেন। জিতে মাঝপথে রাজ্য পুলিশের একের পর এক দেওয়া মামলার চাপে বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করেন। এবারও যাতে তিনি টিকিট না পান তাঁর জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের আওতায় থাকা দুই বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম ও সুবোধ অধিকারী। কোন রাখঢাক না রেখেই অর্জুন সিংকে কটাক্ষ করেছেন দুই বিধায়ক। অর্জুন যাতে তৃণমূলের প্রার্থী না হন তাঁর জন্য গণস্বাক্ষর করাচ্ছেন দুই বিধায়ক। এমনই অভিযোগ তুলছেন অর্জুন সিংহের অনুগামীরা।
পাল্টা দলের দুই বিধায়ককে শোকজের দাবিতে এবার সরব হলেন অর্জুন সিংহের অনুগামীরা। টানা দু'মাস ধরে দলের সাংসদকে লাগাতার নিশানা করে চলেছেন দুই বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম ও সুবোধ অধিকারী। মঙ্গলবার জগদ্দলের শ্যামনগর লিচুতলা পার্টি অফিসে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে দুই নিধায়কের বিরুদ্ধে রীতিমতো তোপ দাগলেন দলীয় কর্মীরাই। তাদের দাবি, “দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানিয়েও এখনও পর্যন্ত দুই বিধায়কের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি”। প্রসঙ্গত, দল বিরোধী কাজের জন্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে শোকজ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাতেই মনে জোর পেয়েছেন দলের পুরানো সৈনিকরা। জনসমক্ষে মুখ খোলায় এবার ওই দুই বিধায়কের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি দলের কর্মীরা। যদিও দলের ওই কর্মীদের অর্জুন অনুগামী বলে কটাক্ষ করেছেন সোমনাথ শ্যামের অনুগামীরা।
তৃণমূলে একদিকে তাপস রায়, কুণাল ঘোষ ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে তরজার শেষ নেই। এমন অবস্থায় গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মত সামনে এসেছে অর্জুন বনাম সোমনাথ শ্যাম ও সুবোধ অধিকারীর দ্বন্দ্ব। যা কটাক্ষর সুযোগ করে দিয়েছে বিজেপিকে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এ প্রসঙ্গে বলেন, “তৃণমূলের এখন শ্যাম রাখে না অর্জুন রাখে অবস্থা। ওরা আগে ঠিক করুক কাকে গুরুত্ব দেবে। যদিও এটা ওদের দলের ব্যাপার। তবে দলটা বেশি দিন থাকবে না মনে হচ্ছে”।
Lion Couple: আকবর-সীতা নামের জের! মামলা গড়াল প্রধান বিচারপতির এজলাসে
নিউজ ডেস্ক: সিংহীর নাম পরিবর্তন নিয়ে এবার পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। সম্প্রতি একথা কোর্ট কে জানাল সরকার পক্ষ। শেষ পর্যন্ত মামলা গড়াল প্রধান বিচারপতির এজলাসে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারী বেঙ্গল সাফারি পার্কে সিংহীর নাম সীতা রাখায় কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে মামলা দায়ের করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
বুধবার বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য স্টেট জু অথরিটি র কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠায়। এদিন সিঙ্গল বেঞ্চে পুনরায় মামলা শুনানির জন্য উঠতেই দেবদেবী বা স্বাধীনতা সংগ্রামীর নামে পশু পাখির নাম রাখা যায় কিনা এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য। সরকার পক্ষের আইনজীবী জয়জীৎ চৌধুরী দাবি করেন সিংহ,সিংহীর নাম ত্রিপুরাতেই রাখা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত সিংহীর নাম বদল মামলা গড়ায় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আইনজীবী সুদীপ্ত মজুমদার বলেন, আজ রাজ্যের তরফে রিপোর্ট জমা করে বলা হয়েছিল। রিপোর্ট শুনবার পর বিচারপতি এই মামলাটি জনস্বার্থ মামলা হিসেবে বিবেচনা করে আগামী দশ দিনের মধ্যে প্রধান বিচারপতির এজলাসে পাঠাবেন। তাই আমাদের আগামীকালের মধ্যে এই মামলার যাবতীয় সংশোধন করতে বলেছেন। আমরা তা অবশ্যই করবো। আমাদের সীতা নাম নিয়ে আপত্তি ছিলো। অপরদিকে আজ রাজ্যের তরফে সিংহীর নাম বদল করে দেবে বলা হয়েছে। যদি নাম বদল হয়ে যায় তবে সব মিটে গেলো। কিন্তু যতক্ষন পর্যন্ত নাম বদল করা না হচ্ছে মামলা চলবে।
প্রসঙ্গত, ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরা থেকে বেঙ্গল সাফারি পার্কে আনা হয়েছিল একটি সিংহ ও একটি সিংহীকে। সিংহের নাম রাখা হয়েছিল আকবর এবং সিংহীর নাম রাখা হয় সীতা। এরপর এই নাম রাখাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। সিংহীর সীতা নাম রাখার বিরুদ্ধে আপত্তি তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
Lion Couple controversy: সিংহের নাম আকবর সিংহীর নাম সীতা! রিপোর্ট চাইল আদালত
নিউজ ডেস্ক: বেঙ্গল সাফারিতে সিংহ ও সিংহীর নাম নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। সিংহীর নাম সীতা আর সিংহের নাম আকবর। হিন্দু ধর্মের দেবীর নামে সিংহীর নাম। আর হিন্দু বহু রাজার হত্যাকারী বিদেশী আক্রমণকারী বাবরের বংশধর আকবরের নামে রাখা হয়েছে। আরে এতেই হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত এবং নৈতিকতার প্রশ্ন তুলেছেন বাংলার মানুষ। ইচ্ছাকৃত ভাবে না ভুলবশত এই কাজ করা হয়েছে জানতে চাইছেন মানুষ। ইচ্ছাকৃত হলে দোষীদের শাস্তি দেওয়া হোক অনিচ্ছাকৃত হলে অবিলম্বে এই নাম বদল করা হোক দাবি উঠেছে।
এরই মাঝে রাজ্যের কাছে এবিষয়ে রিপোর্ট চাইল হাই কোর্ট। ১৬ ফেব্রুয়ারী সাফারি পার্কে সিংহীর নাম সীতা রাখায় কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে মামলা দায়ের করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। বুধবার বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের সিঙ্গল মেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। বিচারপতি দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর রাজ্য সরকারকে রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ দেয়। বৃহস্পতিবার ফের মামলার শুনানি রয়েছে।
প্রসঙ্গত চলতি মাসেই শিলিগুড়ি বেঙ্গল সাফারি পার্কে আগমন হয় পশুরাজ সিংহ দম্পতির। ত্রিপুরার বিশালগড়ের সিপাহিজালা জুওলজিকাল পার্ক থেকে সোমবার বেঙ্গল সাফারি পার্কে পৌঁছয় ওই সিংহ দম্পতি। সঙ্গে একজোড়া লেপার্ড ক্যাট ও চশমাবাঁদর বা ম্যাজেস্টিক লাঙ্গুর ও আনা হয়। সিংহকে বেঙ্গল সাফারি পার্কের জন্য বেছে নেয় সেন্ট্রাল জু অথরিটি ও রাজ্য জু অথরিটি। আকবর নামের ওই সিংহের বর্তমানে তার বয়স সাত বছর। পাশাপাশি ত্রিপুরা চিড়িয়াখানাতেই জন্ম হয় সিংহীর। তার জন্ম ২০১৮ সালে। এখন তার বয়স পাঁচ বছর। প্রতিদিন পাঁচ থেকে আট কেজি করে মাংস দেওয়া হয় সিংহ দুটোকে। বেঙ্গল সাফারি পার্কে আসার আগে ওই সিংহ দম্পতির একসঙ্গে থাকার অভ্যেস হয়েছে। বেঙ্গল সাফারি রয়্যাল বেঙ্গল প্রজননে নজির স্থাপন করেছে। কিন্তু যত সমস্যা ওই সিংহের নাম নিয়ে আকবরের সঙ্গে সীতার বাসে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়া হয়েছে অভিযোগ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের। বিষয়টি ইচ্ছাকৃত ভাবে এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মনে করছে একাংশ বঙ্গবাসী।
প্রসঙ্গত নতুন বছরের শুরুতেই রয়্যাল বেঙ্গল, গন্ডার, হাতি সাফারির পাশাপাশি পশুরাজ সিংহ সাফারির মজা উপভোগ করতে পারবে পার্কে আসা পর্যটকরা। তবে অনতিবিলম্বে সিংহ কিংবা সিংহীর নাম বদল করতে হবে এই দাবি জোরালো হয়ে উঠছে। সাফারির জন্য বেঙ্গল সাফারি পার্কে ৯৬ একরের উপর আলাদা এনক্লোজার তৈরি করা হয়েছে।
Rahul Gandhi: রাহুলের ঐশ্বর্য ভজনা! কংগ্রেস নেতার হাবুডুবু ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়
নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মুখে বারবার উঠে আসছে বলিউড সুন্দরী ঐশ্বর্য রায়ের নাম। নিয়ম করে সভায় টানছেন ঐশ্বর্যর প্রসঙ্গ। পকেট্মার থেকে বাজারদর সবেতে “ঐশ্বর্য আর ঐশ্বর্য”। সেলবকে নিয়ে নেতার পাগলামি ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। সম্প্রতি একাধিক সভায় এই কংগ্রেস নেতা বিভিন্ন প্রসঙ্গে বারবার ঐশ্বর্য রায়ের নাম উল্লেখ করেছেন। প্রসঙ্গত, রাহুল এখন তাঁর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা সফরে রয়েছেন উত্তর প্রদেশে। সেখানেই ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় হঠাৎই বলিউডকে টেনে আনলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তা-ও আবার চলচ্চিত্র জগতের খাস বচ্চন পরিবারের পুত্রবধূকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করতে গিয়ে অমিতাভ বচ্চন এবং তাঁর পুত্রবধূ ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের নাম করলেন রাহুল।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনা করতে গিয়ে রাহুল বলেন, ''রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা উৎসব দেখেছেন আপনারা? সেখানে কোনও OBC মুখ দেখেছেন? দলিত কিংবা আদিবাসীদের দেখা গিয়েছে? অথচ সেখানে ছিলেন অমিতাভ বচ্চন, ঐশ্বর্য রাই এবং নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু যারা সত্যিকারের দেশ চালায়, তাদের কাউকে দেখা যায়নি। এরা প্রমাণ করতে চায় যে আপনারা কখনওই দেশ পরিচালনা করতে পারবেন না।” রাহুল গান্ধীর এহেন মন্তব্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মোদির বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে তিনি যেভাবে বিগ বি এবং তাঁর পুত্রবধূ ঐশ্বর্যর নাম টেনেছেন, তা নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় অনেকেই আপত্তি প্রকাশ করেছেন।
এর আগেও রাহুল গান্ধী কে একাধিক সভায় নানান প্রসঙ্গে ঐশ্বর্যর নাম তুলে নানা বক্তব্য পেশ করতে শোনা যায়। কেন তিনি সবসময় বলিউড তারকাকেই নিশানা করছেন বা তার কথা উল্লেখ করছেন তা নিয়ে গুঞ্জন ছড়াচ্ছে। ফলে সাধারন জনতার মুখে মুখে এখন এ প্রসঙ্গই ঘুরপাক খাচ্ছে।
Sandeshkhali Violence: সন্দেশখালিতে ধর্ষিতার পরিচয় প্রকাশ! পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ সুকান্তর
নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে ধর্ষণের শিকার ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশের জন্য পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বিরুদ্ধে জাতীয় মহিলা কমিশনের কাছে অভিযোগ জানালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, শিবু হাজরার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা এক মহিলার নাম প্রকাশ করেছে পুলিশ। শুধু তাই নয় ওই মহিলার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোডও করা হয়েছে। এই অভিযোগে জাতীয় মহিলা কমিশনের কাছে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার চিঠি লিখে জানান, সম্প্রতি সন্দেশখালি কাণ্ডে মূল অভিযুক্তদের মধ্যে শিবু হাজরাকে স্থানীয় পুলিশ গ্রেফতার করেছে। একজন নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দির ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সেই মহিলার অভিযোগ যে ওই এলাকার অপরাধীরা তার বাড়ি ভাঙচুর করেছে ও শিবু হাজরা ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে বয়ান দেওয়ার জন্য তার জীবন ঝুঁকিপূর্ণ। ওই মহিলার এমন পরিস্থিতির জন্য পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ একমাত্র দায়ী বলে অভিযোগ সুকান্তর। কারন রাজ্য পুলিশই ওই মহিলার পরিচয় প্রকাশ করেছে। এই কাজ সম্পূর্ণ আইনবিরুদ্ধ। পুলিশ নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ করে গুরুতর অপরাধ করেছে। নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ কখনও করা যায় না। কিন্তু সেই কাজ করেছে পুলিশ। শুধু তাই নয়,পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে নির্যাতিতার নাম, পরিচয় প্রকাশ করেছে। যাতে তারা সামনে এগিয়ে না আসে৷ এমনই অভিযোগ করেছেন সুকান্ত মজুমদার৷ রাজ্যের ডিজি রাজীব কুমার ও অন্যান্য আধিকারিকের বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিত৷ রাজীব কুমারকে গ্রেফতার করার দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের কাছে দেওয়া চিঠিতে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, সন্দেশখালিতে নির্যাতিতেকে যখন ম্যাজিস্ট্রেটের দফতরে নিয়ে আসা হয়, তাঁর গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য সেইসময় রাজ্য পুলিশ একটি ভিডিয়ো করে। পরে সেই ভিডিয়োটি কলকাতা পুলিশের এক্স হ্যান্ডেলেও পোস্ট করা হয়। আর তাতেই ভিডিয়োতে নির্যাতিতার নাম বলানো হয়েছে এবং তাঁর মুখ দেখানো হয়েছে বলে দাবি সুকান্তর। ঘটনাচক্রে রাজ্য বিজেপি সভাপতির চিঠির প্রসঙ্গটি প্রকাশ্যে আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই কলকাতা পুলিশের এক্স হ্যান্ডেলে ওই বির্তকিত ভিডিয়োর পোস্টটি আর দেখা যাচ্ছে না৷
Malda HS Exam News: উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্রে জলের বোতল-পিচবোর্ড নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা! শিক্ষক-অভিভাবকদের মধ্যে তুমুল গন্ডগোল
নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে চলছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। এবার সেই পরীক্ষায় পরীক্ষাকেন্দ্রে জলের বোতল ও পিচবোর্ড নিয়ে প্রবেশের অনুমতি না দেওয়াকে কেন্দ্র করে শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে তুমুল গন্ডগোল বাঁধে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার মহেন্দ্রপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। পরিস্থিতি এতটাই হাতের বাইরে চলে যায় যে পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছায়। অভিভাবকদের অভিযোগ, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিন কেন্দ্রে পিচবোর্ড নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিলেও আজ হটাৎ করে জলের বোতল ও পিচবোর্ড নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেইনি। এর আগে স্কুল থেকে জল খেয়ে প্রথমদিন অসুস্থ হয়ে পড়েন এক পরীক্ষার্থী বলে অভিযোগ করেন অভিভাবকদের এক দল। আর উচ্চ মাধ্যমিকের দ্বিতীয় দিনে পিচবোর্ড নিয়ে যাওয়ার অনুমতি না দেওয়ায় চরম সমস্যায় পড়েছেন পরীক্ষার্থীরা। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে তুমুল গন্ডগোল হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ বাহিনিকে পৌঁছাতে হয়। শেষমেষ অনেক পরীক্ষার্থী পিচবোর্ড ছাড়াই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে বাধ্য হন। জানা গিয়েছে, তুলসীহাটা উচ্চ বিদ্যালয় ও দৌলতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্র হয়েছে মহেন্দ্রপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। সেখানেই ঘটে এমন কাণ্ড। যদিও পরীক্ষা সংক্রান্ত জারি হওয়া নয়া নির্দেশিকায় বোর্ড, স্কেল, পেনসিল বক্স সঙ্গে অ্যাডমিট এবং রেজিস্ট্রেশন নিয়ে ঢোকার অনুমতি ছিল। তবে সাদা রং ছাড়া অন্য কোনও রঙের জলের বোতল সঙ্গে নেওয়া যাবে না এমন নির্দেশিকা আগেই জারি হয়েছিল।
Netaji Photo controversy: নেতাজির ছবির নিচে তৃণমূল নেতার নাম ঘিরে বিতর্ক
নিউজ ডেস্ক: নেতাজীর ছবির নিচে তৃনমূল কাউন্সিলরের নাম শুরু প্রবল বিতর্ক। বিরোধীদের কটাক্ষ ওরা নিজেদের নেতাজি মনে করে। পাল্টা তৃনমূলের দাবি ছাপার ভুল।
প্রসঙ্গত রিষড়া পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষ নগর এলাকায় তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হয়। সেখানেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় পতাকার নিচে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ছবিতে মালা দেওয়া হয়।সেই ছবি ঘিরেই তৈরী হয়েছে বিতর্ক।নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ছবির নিচে লেখা কিশোর ঘোষ পৌর সদস্য।বিরোধী সিপিএম এর অভিযোগ এটাই তৃনমূলের সংস্কৃতি।ওরা নিজেদের নেতাজি ভাবে তাই এমন কাজ করতে পারে।
যদিও তৃনমূল রিষড়া শহর সভাপতি পুরসভার কাউন্সিলর মনোজ সাউ এর দাবি ছাপার ক্ষেত্রে ভুল হয়েছিল। বিষয়টি ইচ্ছাকৃত নয়”। তবে এক্ষেত্রে প্রশ্ন ছাপার ভুল যখব বুঝতে পারলেন তাঁর পরেও ওই ছবি ব্যবহার হল কেন? নাকি যারা দায়িত্বে ছিলেন তাঁদের অক্ষরজ্ঞান কম?
Anapurni controversy: নয়নতারার রাম নাম নামে থামবে কি বিতর্ক?
নিউজ ডেস্ক: ভগবান রাম আমিষ খেতেন। ব্রাহ্মন কণ্যার নামাজ সহযোগে বিরিয়ানি রান্নার এই দৃশ্যায়ণকে ঘিরেই সোশাল মিডিয়ায় শুরু হয় বিতর্ক। অভিযোগ এক জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মের ' অন্নপূর্ণি ' ছবিতে এই দৃশ্য দেখানো হয়। বিতর্কের মাঝে ছবিটি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। এই ছবি তুলে নেওয়ার পর মৌনতা ভাঙলেন নয়নতারা । শাহরুখ খানের জওয়ান ছবির অভিনেত্রী নয়নতারার সিনেমা অন্নপূর্ণি নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। শেষ পর্যন্ত জয় শ্রীরাম লিখে ক্ষমা চাইলেন অভিনেত্রী। নয়নতারার অন্নপূর্ণি ছবিতে নাকি বলা হয়েছে রাজা রাম মাংস খেতেন। অভিযোগ লাভ জিহাদকে প্রমোট করা হয়েছে। এবং হিন্দু ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত দেওয়া হয়েছে। তারপরেই ছবিটি তুলে নেওয়া হয়। এবং প্রযোজনা সংস্থার পক্ষ থেকে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া হয়েছিল। জানানো হয়েছিল শব্দগুলি এডিট করার পরেই সেটি আবার দেখানো হবে নেটফ্লিক্সে। অন্নপূর্ণি যার অর্থ হল অন্নের দেবী। হিন্দু ধর্মে লক্ষ্মীকে অন্নপূর্ণি বলা হয়ে থাকে। সেই লক্ষ্মীদেবীর অবমাননা করা হয়েছে নয়নতারার সিনেমা অন্নপূর্ণিতে। এমনই অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয় সিনেমাটিতে একাধিকবার হিন্দু ধর্মের অবমাননা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। থিয়েটারে মুক্তি পাওয়ার পর ছবিটি ওটিটিতেও মুক্তি পায়। কিন্তু তারপরেই শোরগোল শুরু হয়ে যায় ছবিটি নিয়ে।
V.O.4. এক ব্রাহ্মণ কন্যার চরিত্রে অভিনয় করেছেন নয়নতারা। যার স্বপ্ন শেফ হওয়া। প্রযোজনা সংস্থার পক্ষ থেকে আগেই ক্ষমা চেয়ে নেওয়া হয়েছিল লিখিতভাবে। এবার অভিনেত্রী নিজে লিখিত ভাবে ক্ষমা চেয়েছেন। অভিনেত্রী প্রথমে ক্রিশ্চান পরিবারে জন্মেছিলেন। তারপরে তিনি হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেন। একাধিক সম্পর্কেও জড়িয়েছেন অভিনেত্রী। জনপ্রিয় ডান্স কোরিওগ্রাফার প্রভুদেবার সঙ্গে দীর্ঘদিন লিভইন রিলেশনশিপে ছিলেন তিনি। কিন্তু প্রভুদেবার স্ত্রীর ডিভোর্স দিতে রাজি না হওয়ায় সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেন নয়নতারা।