Sunday, November 10, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

cpm

Sitaram Yechury: অবস্থা সঙ্কটজনক ইয়েচুরির! কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্রের সাহায্যে চালু শ্বাস-প্রশ্বাস


নিউজ ডেস্ক: সিপিএম-এর (CPM) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির অবস্থা সঙ্কটজনক। নয়াদিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (AIIMS)-এ ভর্তি রয়েছেন তিনি। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে এই খবর জানাল হল। এই প্রথম দলগত ভাবে ইয়েচুরির শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক বলে ঘোষণা করা হল। মঙ্গলবার প্রকাশিত বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দেওয়ায় তাঁকে ‘রেসপিরেটরি সাপোর্টে’ রাখা হয়েছে। চিকিৎসকদের একটি দল ইয়েচুরির শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন।
জানা গিয়েছে, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত ১৯ অগস্ট থেকে ইয়েচুরি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রাথমিকভাবে তাঁকে আইসিইউতে রাখা হয়। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ইয়েচুরিকে ভেন্টিলেশনে স্থানান্তরিত করা হয়। প্রথমে তাঁর অসুখ চিকিৎসকরা ধরতে পারছিলেন না বলে জানা গিয়েছে ৷ পরে একাধিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর জানা যায় তাঁর নিউমোনিয়া হয়েছে ৷ সেই মতো তাঁর চিকিৎসা চলছিল ৷ কিন্তু বৃহস্পতিবার থেকে তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটে ৷

যদিও গোড়ায় ইয়েচুরির হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার বিষয়টি জানতেই পারেনি কেউ। এমনকি গত ২২ অগাস্ট ছয় মিনিটের একটি ভিডিও প্রকাশ করেন ইয়েচুরি। সেই ভিডিওয় পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধবেদ ভট্টাচার্যের প্রয়াণে শোকবার্তা দেন। এরপর দলের তরফে ৩১ অগাস্ট বিবৃতি জারি করা হয়, যাতে বলা হয়, শ্বাসকষ্ট সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ইয়েচুরির ফুসফুসে সংক্রমণ থাকায়, পরিস্থিতি কখনও ভাল, কখনও আবার খারাপ হচ্ছে। প্রচুর ধূমপান করতেন তিনি। ফলে নিউমোনিয়া থেকে ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। সিপিআইএম পার্টির তরফে জানানো হয়েছে,'ডাক্তারদের মাল্টি ডিসিপ্লিনারি টিম নিবিড়ভাবে তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছে। তবে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদকের শারীরিক অবস্থা নিয়ে হাসপাতালের পক্ষ থেকে সরকারি ভাবে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি৷ উল্লেখ্য, এর আগে গত ৭ অগস্ট ইয়েচুরির চোখের ছানি অপারেশন হয়েছিল। যে কারণে ৯ অগস্ট বুদ্ধদেবের শেষযাত্রাতেও থাকতে পারেননি দলের সাধারণ সম্পাদক।

Sweta Chakrabory | 14:28 PM, Tue Sep 10, 2024

Buddhadeb Bhattacharjee: সকালে প্রাতঃরাশ সেরেই অসুস্থ, প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বয়স হয়েছিল ৮০

নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharjee)। পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট (CPM) শাসনের দ্বিতীয় তথা শেষ মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। বৃহস্পতিবার সকালে এই খবর জানান তাঁর সন্তান সুচেতন ভট্টাচার্য। তিনি জানান, প্রাতঃরাশ সেরে সকালে বিশ্রাম নেওয়ার সময়ই অসুস্থ বোধ করেন বুদ্ধদেব। এদিন সকাল ৮টা ২০ মিনিটে পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতেই তিনি প্রয়াত হন। খবর পেয়ে সুচেতন সেখানে পৌঁছেছেন। তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত রাজনৈতিক মহল।

গত কয়েকদিন ধরেই শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। এদিন সকাল থেকে শ্বাসকষ্ট বেড়েছিল। অক্সিজেন দেওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। দীর্ঘ দিন ধরেই গুরুতর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা (সিওপিডি)-তে ভুগছিলেন বুদ্ধদেব (Buddhadeb Bhattacharjee)। অসুস্থতার কারণে শেষ কয়েক বছর কার্যত গৃহবন্দিই ছিলেন। শেষবার দলীয় কর্মসূচিতে দেখা গিয়েছিল ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। ভগ্ন শরীর নিয়েই কোনওক্রমে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড পর্যন্ত এসেছিলেন। কিন্তু মঞ্চে উঠতে পারেননি। একাধিক বার হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয় তাঁকে। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বুদ্ধদেব। সেই সময়েও কয়েক দিন ভেন্টিলেশনে রাখতে হয় তাঁকে। সেখান থেকে বিপন্মুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরেন। গত বছরের ৯ অগাস্ট হাসপাতাল থেকে বিপন্মুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন বুদ্ধদেব। ২৯ জুলাই আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছিল দক্ষিণ কলকাতার আলিপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে। বেশ কয়েক দিন তাঁকে ভেন্টিলেশন (ইনভেসিভ) সাপোর্টে রাখেন চিকিৎসকেরা।

২০০০ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা ১১ বছর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (Buddhadeb Bhattacharjee) ছিলেন তিনি। ২০০৬ সালে ২৩৫ আসনে জিতে ক্ষমতায় ফেরা মুখ্যমন্ত্রীকে পাঁচ বছর পরই শোচনীয় পরাজয়ের মুখে পড়তে হয়। ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গে অবসান হয় সাড়ে ৩৪ বছরের একটানা বাম শাসনের (CPM) । তাঁর আমলের শেষ পাঁচ বছরে কৃষি থেকে সরে শিল্পায়নকে আঁকড়ে ধরতে গিয়েই বুদ্ধদেবের পায়ের তলার জমি সরে যায়। ২০১১ সালে যাদবপুর কেন্দ্রে হারার পর থেকেই সেভাবে দলের সক্রিয় কোনও কর্মসূচিতে দেখা যায়নি তাঁকে। শারীরিক সমস্যার জন্য ১১ বছর ধরে ঘরবন্দি ছিলেন বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গেই শেষ হল বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি অধ্যায়।

Sweta Chakrabory | 11:47 AM, Thu Aug 08, 2024

Congress: বেইমান! কংগ্রেসের সঙ্গে কোন জোটে যাবে না ফরওয়ার্ড ব্লক

নিউজ ডেস্ক: ফরওয়ার্ড' ব্লকের রাজনৈতিক বিশ্লেষন পশ্চিমবাংলার বিজেপি- তৃনমূল বিরোধী মানুষ বিকল্প হিসাবে ঐক্যবদ্ধ বামফ্রন্টকে দেখতে চাইছে। কংগেস ও ISF এর সঙ্গে বামফ্রন্টের জোট মানুষ গ্রহন করেনি। তার প্রমান ২০১৬ ও ২০২১ এর বিধানসভার ভোটের ফলাফল। বামপন্থীদের ভোট কংগ্রেস প্রার্থীর পক্ষে যায়- কিন্তু কংগ্রেসের ভোট বামপন্থী প্রার্থীর পক্ষে যায় না-- এটাই ২০১৬ ও ২০২১ এর ভোটে আমরা দেখেছি।

পুরুলিয়ার কংগ্রেস নেতাদের বিশ্বাস করা যায় না। এরা তৃনমুল ও বামফ্রন্টের সঙ্গে আসন সমঝোতা করার পরও বেইমানি করেছে। ২০১১সালে তৃনমূলের সঙ্গে জোট করার পরও জয়পুর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃনমূলের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী দিয়ে ভোট কেটে নেবার ফলে বামফ্রন্টের ফরওয়াড ব্লক প্রার্থীর জয়ী হয়েছিল। ২০১৬ সালে ফরওয়াড' ব্লকের ভোট নিয়ে বাঘমুন্ডি তে নেপাল মাহাত জয়ী হলেও-- জয়পুর কেন্দ্রে কংগ্রেস এর ভোট তৃনমূলের প্রাথী'র পক্ষে করে দিয়ে বামফ্রন্টের ফরওয়াড' ব্লক প্রার্থী কে পরাজিত করেছিল।

২০০১ সালে র বিধানসভা নিবা'চনে কংগ্রেস- তৃনমূল জোট হওয়া সত্বেও ঝালদা বিধানসভা কেন্দ্রে নেপাল মাহাত নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়াই করেছিলেন। ২০২১ সালে সংযুক্ত  মরচা প্রাথী হিসাবে জয়পুর কেন্দ্রে ফরওয়াড' ব্লকের প্রাথী'র নাম ঘোষিত হলেও কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছিল জয়পুর কেন্দ্রে। কংগ্রেসের বেইমানি করতে পারে- এটা মাথায় রেখেই আমরাও প্রস্তুত ছিলাম এবং শেষ দিনে বাঘমুন্ডি কেন্দ্রে আমরাও মনোনয়ন পত্র জমা দিতে বাধ্য হই।

Sweta Chakrabory | 08:08 AM, Sat Mar 23, 2024

ISF Loksabha election: বামেদের আগেই ৮ টি আসনে লড়াই করার কথা প্রকাশ্যে আনল আই এস এফ

নিউজ ডেস্ক: বামেদের উপর চাপ বাড়াতেই এবার বামেদের প্রথম তালিকা প্রকাশের আধ ঘণ্টা আগে ৮ টি আসনে লড়াই করার কথা প্রকাশ্যে নিয়ে এল আই এস এফ। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই ৪২টি আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে তৃণমূল। বিজেপিও বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। আর এবার এরই মধ্যে লোকসভা ভোটে ৮টি কেন্দ্রের নাম প্রকাশ করল আই এস এফ।

বারাসাত,বসিরহাট,মথুরাপুর,যাদবপুর,উলুবেড়িয়া,শ্রীরামপুর, মালদহ দক্ষিণ ও মুর্শিদাবাদ আসনে লড়াইয়ের কথা জানাল আই এস এফ। প্রথমে ২০,তারপরে ১৪,এবং জোটের স্বার্থে ৮ আসনের নাম জানিয়ে দিল আই এস এফ। এ প্রসঙ্গে আই এস এফ সভাপতি সামসুর আলি মল্লিক জানিয়েছেন, "জোটের স্বার্থে যাদবপুর আমরা ছাড়তে পারি। তবে সেখানে বিকাশ বাবু লড়াই করলে তবেই ছাড়ব। পরিবর্তে বালুরঘাট জয়নগর বা ঝাড়গ্রাম আসনের মধ্যে একটি দিতে হবে।"

অন্যদিকে তিনি জানান,ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে নওশাদ সিদ্দিকী দাঁড়ানোর ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। জানা গেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নেতৃত্ব সেটা আলোচনা করছেন। দু একদিনের মধ্যেই জানা যাবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। সূত্র মারফত জানা গেছে বামেদের সঙ্গে জোটের পক্ষে আই এস এফ। তবে, তাদের শর্ত না-মানলে আজই প্রার্থী ঘোষণা করার পথে হাঁটবে তারা।

প্রসঙ্গত,বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের কথাবার্তা না এগোলেও আসন ভাগাভাগি করে ফেলল নৌসাদ সিদ্দিকির দল আইএসএফ। বৃহস্পতিবার বামেদের সঙ্গে আলোচনার শেষে আটটি আসনে প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ডায়মন্ড হারবারে অভিষেকের কেন্দ্র যা নিয়ে এত জল্পনা সেখানে প্রার্থী দিচ্ছেনা আইএসএফ।

Sweta Chakrabory | 17:56 PM, Thu Mar 14, 2024
upload
upload