Jyotipriya Mallick: গুরুতর অসুস্থ প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, ভর্তি হাসপাতালে
Sweta Chakra... | 09:52 AM, Fri Nov 15, 2024
Weather Update: দক্ষিণবঙ্গে অবশেষে পারদ-পতন, শীতের আমেজ অনুভূত গ্রাম বাংলায়
Sweta Chakra... | 09:36 AM, Fri Nov 15, 2024
Governors reports Chiefs Ministers: মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রাজ্যপালের রিপোর্ট তলব, কটাক্ষ স্পিকারের
Sweta Chakra... | 18:12 PM, Thu Nov 14, 2024
Shantipur rash rituals: শান্তিপুরের ঐতিহাসিক রাস উৎসব: বড় গোস্বামী বাড়ি থেকে শুরু, এখনও রক্ষিত শতাব্দী প্রাচীন রীতি
Sweta Chakra... | 18:07 PM, Thu Nov 14, 2024
Kanchan Mullick: ''দয়া করে ওদের ছেড়ে দিন'', শিশুদিবসে বিশেষ অনুরোধ বাবা কাঞ্চন মল্লিকের
Sweta Chakra... | 17:27 PM, Thu Nov 14, 2024
Health Tips: স্বাস্থ্যের কথা ভেবে নন স্টিকে রান্না করেন? অজান্তেই বিপদ ডেকে আনছেন না তো?
Sweta Chakra... | 17:10 PM, Thu Nov 14, 2024
RG Kar Update: আর জি কর-কাণ্ডের ১০০ দিন পার, একগুচ্ছ কর্মসূচির ডাক অভয়া মঞ্চর
Sweta Chakra... | 16:52 PM, Thu Nov 14, 2024
Fire in srinagar school: শিশু দিবসের দিন শ্রীনগরের স্কুলে আগুন, সুরক্ষিত সমস্ত শিক্ষার্থী
Sweta Chakra... | 16:40 PM, Thu Nov 14, 2024
Ajay Chakrabortys brothers arrested: পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীর ভাই মুম্বইয়ে গ্রেফতার, প্রতিক্রিয়া কুণালের
Sweta Chakra... | 16:10 PM, Thu Nov 14, 2024
Indias beats South Africa: টি-টোয়েন্টিতে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়ে ভারত হারাল দক্ষিণ আফ্রিকাকে
Sweta Chakra... | 14:45 PM, Thu Nov 14, 2024
Guwahati: গুয়াহাটিতে ফাঁস সাইবার ক্রাইম সিন্ডিকেট, গ্ৰেফতার আট
Sweta Chakra... | 14:17 PM, Thu Nov 14, 2024
Health Tips: স্বাস্থ্যের কথা ভেবে নন স্টিকে রান্না করেন? অজান্তেই বিপদ ডেকে আনছেন না তো?
নিউজ ডেস্ক: স্বাস্থ্য খাওয়া দাওয়ার কথা উঠলেই প্রথম মাথায় আসে বাড়ির রান্নার কথা। চিকিৎসক থেকে জিমের ট্রেনার, সকলেই জোর দেন, বাইরের তেল মশলা দেওয়া খাবার খাওয়া ছেড়ে বাড়ির খাবার খেতে পারেন। কিন্তু বাড়ির খাবার কতটা স্বাস্থ্যসম্মত তা কিন্তু অনেকটাই নির্ভর করে কোন বাসনে রান্না করার হচ্ছে তার উপরে।
অ্যালুমিনিয়াম বাসনে রান্না হয় অনেক বাড়িতেই। অক্সিডাইজ করা থাকে বলে এতে রান্না করা যায়। অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে গরম খাবার রাখলে বা এতে জড়িয়ে রান্না করলে কিন্তু সে খাবার দূষিত হতে পারে। খাবারে লেবু, টমেটো বা ভিনিগারের মতো টক কিছু থাকলে সেই সম্ভাবনা আরও বেশি। কম বয়সে অ্যালঝজাইমার্স ও পার্কিনসন্স ডিজিজ হওয়ার কারণেও কিন্তু এই ধাতুর ভূমিকা রয়েছে। খাবার প্যাক করার কাজে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলের বদলে তাই পার্চমেন্ট কাগজ ব্যবহার করুন। আর রান্নায় ফয়েলের মতো সুবিধা পেতে কাচের পাত্রে তেল ব্রাশ করে নিতে পারেন।
আজকাল নন–স্টিক বাসনে রান্না করেন বেশিরভাগ বাড়িতেই। টেফলন, সিলভারস্টোন, টেফাল, অ্যানোলন, সার্কুলন, সেফালন - অ্যালুমিনিয়মের সঙ্গে বিভিন্ন উপায়ে এদের জুড়ে নন স্টিক বাসন বানানো হয়। তবে এই সব উপাদানের কারণে বন্ধ্যাত্ব, পড়াশোনার দক্ষতা কমে যাওয়া বা ওজন বাড়ার কারণ হতে পারে। তাই নিয়মিত নন–স্টিক প্যান ব্যবহার না করাই ভাল। বদলে লোহার পাত্রে রান্না করা ভাল।
তবে সিরামিক বাসন যেভাবে খুশি ব্যবহার করা যায়। আগুন–গরম খাবার যেমন খাওয়া যায়, এতে রান্না করলেও ক্ষতি নেই। মাইক্রোওভেন, ডিশ ওয়াশার বা ব্রয়লারের তাপেও সে ঠিকঠাক থাকে। দেখতেও সুন্দর।
Monkeypox: পুজোর আগে ভারতে হানা মাঙ্কিপক্সের ভয়ানক ভ্যারিয়েন্টের!
নিউজ ডেস্ক: আগেই দেশে মাঙ্কিপক্সে (Monkeypox) আক্রান্ত হয়েছিলেন একজন। তবে তা হু-র উদ্বেগ বাড়ানো বিপজ্জনক ভ্যারিয়েন্ট ছিল না। কিন্তু এবার খারাপ খবর, মাঙ্কিপক্সের নতুন উপরূপ ক্লেড ১বি-এর সংক্রমণের হদিশ মিলল ভারতেও। জানা গিয়েছে, কেরলের এক ব্যক্তির দেহে এই ক্লাড ১ স্ট্রেনের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। মাঙ্কিপক্সের এই ক্লাড ১ স্ট্রেন নিয়েই সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। এবার সেই স্ট্রেনের খোঁজ পাওয়া যাওয়ায় উদ্বেগ বাড়ছে।
আটত্রিশের বছরের ওই যুবক সদ্য সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে ফিরেছেন। এসেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে আক্রান্ত ব্যক্তি বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছেন। তাঁর চিকিৎসা চলছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, মাঙ্কিপক্সের (Monkeypox) ক্লাড ১ স্ট্রেনে আক্রান্ত গুরুতর অসুস্থ হতে পারেন। এই স্ট্রেন দ্রুত ছড়িয়েও পড়ে। চলতি বছরে আফ্রিকা মহাদেশে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন। ৮০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
আর ঠিক এই কারনেই মাঙ্কিপক্সের (Monkeypox) নতুন উপরূপ বিশ্বের একাধিক দেশে মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। মাঙ্কিপক্সের এই ভ্যারিয়েন্ট দ্রুত গতিতে সংক্রমণ ছড়ায়। অফ্রিকায় ছড়ানোর পর গত অগাস্ট মাসে এমপক্স নিয়ে গোটা বিশ্বে সতর্কতা জারি করে হু (WHO)। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের পর এই নিয়ে দ্বিতীয় বার মাঙ্কিপক্স নিয়ে সতর্কতা জারি করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। উল্লেখ্য, মাঙ্কিপক্স নিয়ে বিশ্বের একাধিক প্রান্তে উদ্বেগের মধ্যেই সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে উৎসবের মরশুমে রাজ্যগুলিকে সতর্ক করে একটি নির্দেশিকাও জারি করেছে কেন্দ্র।
আশির দশকে প্রথম মাঙ্কিপক্সের (Monkeypox) খোঁজ মিলেছিল। তার পর থেকে মূলত পশ্চিম এবং মধ্য আফ্রিকার দেশগুলিতেই এই রোগ সীমাবদ্ধ ছিল। কারণ, মাঙ্কি পক্স পশুবাহিত রোগ। আর যে ধরনের পশুর শরীর থেকে এ রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা, তাদের বাস মূলত গ্রীষ্মপ্রধান এলাকার বৃষ্টি বনাঞ্চলে (রেন ফরেস্ট)। চিকেন পক্সের মতো মাঙ্কি পক্সের ক্ষেত্রে কেবল গায়ে র্যাশ কিংবা ফুসকুড়ি বেরোয়। কিন্তু মাঙ্কি পক্সের ক্ষেত্রে সারা গায়ের পাশাপাশি, লসিকাবাহেও ছড়িয়ে পড়ে সংক্রমণ। আর সে কারনেই মৃত্যু পর্যন্ত হয়।
Manoj Mitra: গুরুতর অসুস্থ অভিনেতা মনোজ মিত্র, সঙ্কটজনক অবস্থায় ভর্তি হাসপাতালে
নিউজ ডেস্ক: বর্ষীয়ান অভিনেতা ও কিংবদন্তি নাট্যকার মনোজ মিত্র (Manoj Mitra) হাসপাতালে ভর্তি। অবস্থা সংকটজনক। জানা গিয়েছে, বুকে বেশ ব্যাথা নিয়ে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৮৬ বছর বয়সী এই শিল্পী। সূত্রের খবর, তাঁকে রাখা হয়েছে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে।
মঙ্গলবার সকালে অভিনেতার পরিবারের তরফে জানানো হয়, “বিপদ এখনও কাটেনি। সঙ্কটজনক পরিস্থিতি। এখনও একই রকম আছেন। সন্ধেবেলায় বিস্তারিত জানা যাবে।” ক্যালকাটা হার্ট ক্লিনিক অ্যান্ড হসপিটালে আপাতত 'হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট'-এ (HDU) ভর্তি রয়েছেন তিনি। সোমবার হাসপাতালের তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে যে অভিনেতার (Manoj Mitra) অবস্থা খুবই সঙ্কটজনক। তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই হৃদযন্ত্রের কঠিন অসুখে ভুগছেন। সেই সঙ্গে রয়েছে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিস মেলাইটাস, ক্রনিক কিডনির অসুখ, সিওপিডি, ডিমেনশিয়ার মতো রোগও। এছাড়া তাঁর হার্টের কার্যক্ষমতাও বেশ কম।
জানা গিয়েছে, রবিরার রাত থেকে বাড়াবাড়ি। অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় অভিনেতা তথা নাট্যকার মনোজ মিত্রকে (Manoj Mitra)। সে দিন রাতেই অভিনেতার পরিবারের তরফে জানানো হয়েছিল যে তাঁর শারীরিক অবস্থা মোটেই ভাল নয়। সোমবার সকালটা খুবই উদ্বেগের মধ্যে কাটে। তবে এ দিন রাত থেকে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখা গিয়েছে। সোমবার তাঁর জামাই জানান অভিনেতার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তিনি মানুষজনও চিনতে পারছেন। সামান্য কথাও বলছেন। তবে মঙ্গলবার থেকে সেরমভাবে শারিরিক কোনও উন্নতি ঘটেনি। যদিও নিজের সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন নাট্যজগতের এই কিংবদন্তী।
তবে এরই মাঝে সোমবার সকাল থেকেই তাঁর (Manoj Mitra) মৃত্যুর ভুয়ো খবরে তোলপাড় হয় সামাজিক মাধ্যম। এ প্রসঙ্গে ভাই অমর মিত্র ফেসবুকে পোস্ট করে জানান, এমনটা সত্যি নয়। তবু গুজব থামেনি। গোটা ঘটনায় বিরক্ত পরিবার। তবে অমর মিত্র জানান,''বুকে জল জমেছিল দাদার। সঙ্গে বয়সজনিত নানা সমস্যা রয়েছে। এ সব কারণেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসকেরা বুকে জমা জল বার করে দিয়েছেন। ওষুধ দিয়ে বাকি জল শুকোনোর চেষ্টা করা হচ্ছে।''
Sitaram Yechury: অবস্থা সঙ্কটজনক ইয়েচুরির! কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্রের সাহায্যে চালু শ্বাস-প্রশ্বাস
নিউজ ডেস্ক: সিপিএম-এর (CPM) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির অবস্থা সঙ্কটজনক। নয়াদিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (AIIMS)-এ ভর্তি রয়েছেন তিনি। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে এই খবর জানাল হল। এই প্রথম দলগত ভাবে ইয়েচুরির শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক বলে ঘোষণা করা হল। মঙ্গলবার প্রকাশিত বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দেওয়ায় তাঁকে ‘রেসপিরেটরি সাপোর্টে’ রাখা হয়েছে। চিকিৎসকদের একটি দল ইয়েচুরির শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন।
জানা গিয়েছে, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত ১৯ অগস্ট থেকে ইয়েচুরি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রাথমিকভাবে তাঁকে আইসিইউতে রাখা হয়। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ইয়েচুরিকে ভেন্টিলেশনে স্থানান্তরিত করা হয়। প্রথমে তাঁর অসুখ চিকিৎসকরা ধরতে পারছিলেন না বলে জানা গিয়েছে ৷ পরে একাধিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর জানা যায় তাঁর নিউমোনিয়া হয়েছে ৷ সেই মতো তাঁর চিকিৎসা চলছিল ৷ কিন্তু বৃহস্পতিবার থেকে তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটে ৷
যদিও গোড়ায় ইয়েচুরির হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার বিষয়টি জানতেই পারেনি কেউ। এমনকি গত ২২ অগাস্ট ছয় মিনিটের একটি ভিডিও প্রকাশ করেন ইয়েচুরি। সেই ভিডিওয় পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধবেদ ভট্টাচার্যের প্রয়াণে শোকবার্তা দেন। এরপর দলের তরফে ৩১ অগাস্ট বিবৃতি জারি করা হয়, যাতে বলা হয়, শ্বাসকষ্ট সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ইয়েচুরির ফুসফুসে সংক্রমণ থাকায়, পরিস্থিতি কখনও ভাল, কখনও আবার খারাপ হচ্ছে। প্রচুর ধূমপান করতেন তিনি। ফলে নিউমোনিয়া থেকে ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। সিপিআইএম পার্টির তরফে জানানো হয়েছে,'ডাক্তারদের মাল্টি ডিসিপ্লিনারি টিম নিবিড়ভাবে তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছে। তবে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদকের শারীরিক অবস্থা নিয়ে হাসপাতালের পক্ষ থেকে সরকারি ভাবে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি৷ উল্লেখ্য, এর আগে গত ৭ অগস্ট ইয়েচুরির চোখের ছানি অপারেশন হয়েছিল। যে কারণে ৯ অগস্ট বুদ্ধদেবের শেষযাত্রাতেও থাকতে পারেননি দলের সাধারণ সম্পাদক।
Air Force Army: এবার ভারতীয় সেনার উদ্যোগেই প্রান্তিক এলাকায় পৌঁছাবে চিকিৎসা, কীভাবে সেটাই জানুন
নিউজ ডেস্ক: ১৫ হাজার ফুট ওপর থেকে মাটিতে নামল আস্ত হাসপাতাল। ভারতীয় সেনা ও বায়ুসেনার (Air Force Army) যৌথ উদ্যোগে প্যারাশ্যুটের মাধ্যমে প্রথম বার সফল ভাবে নামল চলমান হাসপাতাল (Portable Hospital)। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের জন্য এই অভিনব উদ্যোগ ভারতীয় সেনা ও বায়ুসেনার। শনিবার সকালে এক্স হ্যান্ডলে এ কথা জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র এ ভরত ভূষণ বাবু।
সীমান্ত হোক বা দেশের যে কোনও দুর্গম অঞ্চল, এতদিন যুদ্ধক্ষেত্রে আহত সৈনিকদের চিকিৎসা দিতে ‘এয়ার লিফট’ই ছিল একমাত্র উপায়। তবে তাতে ঝুঁকি কম ছিল না। এই পরিস্থিতির বদল আনতেই অভিনব এই উদ্যোগ। যেখানে চলমান হাসপাতাল (Portable Hospital) পৌঁছে যাবে দুর্গতদের কাছে। এই পদক্ষেপে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হতে চলেছে দেশের সেনাবাহিনী।
দেখতে আর পাঁচটা সাধারণ তাঁবুর মতো হলেও, এর মধ্যে রয়েছে ট্রমা কেয়ারের সমস্ত প্রযুক্তি ও পরিষেবা। এই হাসপাতালের মধ্যে ৭২ রকম সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে বলে জানা যাচ্ছে। যেখানে থাকবে একটি ছোট আইসিইউ, অপারেশন থিয়েটার, রান্নাঘর, খাবার, জল, একটি বিদ্যুৎ জেনারেটর, রক্ত পরীক্ষার সরঞ্জাম, একটি এক্স-রে মেশিন-সহ আরও নানান ধরনের চিকিৎসা সরঞ্জাম। কোনও বিপর্যয়ের সময়েও এই কিউবগুলি দ্রুত চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিতে কার্যকর ভূমিকা নিতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এই এক একটি চলমান হাসপাতালের ওজন প্রায় ৭২০ কেজি। এক বার মাটি স্পর্শ করার পর মাত্র ১২ মিনিটের মধ্যেই এই হাসপাতালের ভিতরের সামগ্রী গোছানো সম্ভব। কিউবগুলি অত্যন্ত হালকা ওজনের হওয়ায় এয়ারড্রপের পর যে কোনও জায়গায় দ্রুত স্থাপন করা যেতে পারে। তবে শুধু মাটি নয়, সমুদ্র পথেও এটিকে যে কোনও জায়গায় সহজে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে।
এদিন বায়ুসেনার হারকিউলিস বিমান চলমান হাসপাতালকে (Portable Hospital) ১৫ হাজার ফুট উপর থেকে প্যারাশুটের মাধ্যমে নামানো হয় মাটিতে। দেশীয় উপায়ে তৈরি এই চলমান হাসপাতালগুলিকে বলা হয় আরোগ্য মৈত্রী হেল্থ কিউব। কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ভীষ্ম’ প্রকল্পের আওতায় এই হেলথ্ কিউবগুলি তৈরি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত এই চলমান হাসপাতালগুলিকে উত্তরপ্রদেশে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার আগে মোতায়েন করা হয়েছিল।
Sleeping With AC: আপনি কি বাড়িতে এসি চালিয়ে ঘুমোন? এসি চালিয়ে ঘুমোনো কীভাবে আপনার স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে জানেন?.
নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি ইউরোপীয় কপার্নিকাস নেটওয়ার্ক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, গত কয়েকদিনে বিশ্বব্যাপী রেকর্ড করা গরম পড়েছিল। তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। গোটা বিশ্ব বর্তমানে তীব্র তাপপ্রবাহের সম্মুখীন হয়েছে। এই তাপমাত্রা চরম ভাবে ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেছেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পৃথিবী এখন তীব্র তাপপ্রবাহের সম্মুখীন হয়েছে। এটা ধীরে ধীরে মহামারির রূপ নেবে। কোটি কোটি মানুষ মারাত্মক বিশ্ব উষ্ণায়নের শিকার হয়েছেন।” এমন প্রচণ্ড গরমে, স্বস্তি ও আরামের জন্য এসি বা বাতানুকূল যন্ত্রে (Sleeping With AC) অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। যদিও এসি স্বস্তি দিতে পারে, তবে দীর্ঘক্ষণ ধরে ঘুমালে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ (Victim) হতে পারে। এসি চালিয়ে ঘুমানোর ফলে স্বাস্থ্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। আসুন জেনে নিই একনজরে কেমন প্রভাব ফেলে এসি।
শুষ্ক চোখ: এসি (Sleeping With AC) বাতাস থেকে আর্দ্রতা কমিয়ে দেয়। যার ফলে চোখে শুষ্কতা, চুলকানি এবং অস্বস্তি (Victim) হয়।
অলসতা: শীতল তাপমাত্রা শরীরে পরিপাকের হার কমাতে পারে এবং শরীরের বাকি প্রক্রিয়াগুলিকে ধীর করে দেয়। যার ফলে ক্লান্তি এবং তন্দ্রা দেখা দেয়।
ডিহাইড্রেশন: শুষ্ক বায়ু দ্রুত আর্দ্রতা হ্রাস করতে পারে। ফলে পর্যাপ্ত জল পান না করলে শরীরের শূন্যতা তৈরি করে। ফলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে।
শুষ্ক বা চুলকানি ত্বক: এসির শুষ্ক বাতাসে ত্বকের আর্দ্রতা হারাতে পারে, যার ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এমন কী জ্বালা-পোড়া হতে পারে।
মাথাব্যথা: এসির কারণে শরীরে তাপমাত্রার পরিবর্তন হলে ঠান্ডা, শুষ্ক বাতাস মাথাব্যথা এবং সাইনাসের কারণ হতে পারে।
শ্বাসকষ্ঠ জনিত সমস্যা: ঠান্ডা এবং শুষ্ক বায়ু শ্বাসনালীতে জ্বালাভাব তৈরি করতে পারে। হাঁপানি এবং অ্যালার্জির মতো অবস্থার মতো সমস্যা বাড়তে পারে।
অ্যালার্জি এবং হাঁপানি: এয়ার কন্ডিশনার সিস্টেমগুলি ধুলো, পরাগ এবং ছাঁচের মতো অ্যালার্জেনকে আশ্রয় দিতে পারে, যা অ্যালার্জি সৃষ্টি করে।
শব্দ দূষণ: ক্রমাগত এসি থেকে নির্গত শব্দ ঘুমকে ব্যাহত করতে পারে এবং বিরক্তির কারণ হতে পারে।
সংক্রামক রোগ: রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকঠাক না হলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং ছত্রাক ছড়াতে পারে। এতে সংক্রমণ হতে পারে।
অভ্যন্তরীণ দূষণকারী: এয়ার কন্ডিশনার ধুলো, পোষা প্রাণীর খুশকির মতো ময়লা জমা করতে পারে। যার ফলে শ্বাসকষ্ট এবং স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়।
ইমিউনিটি কমে যায়: বেশিরভাগ মানুষই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কর্মক্ষেত্র বা অফিসে এসি-তে সময় কাটিয়ে থাকেন। তারপর বাড়ি ফিরে রাত হলেই আবার এসি চালিয়ে শুয়েও পড়েন। আর এই ভুলটা করেন বলেই বহু মানুষের ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। কারণ গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে দীর্ঘক্ষণ ঠান্ডায় থাকলে রক্তনালী ক্রমশ সংকুচিত হয়ে পড়ে। আর সেই সুবাদে ঠিকমতো কাজ করতে পারে না রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা হয় ব্যাপক। তাই সুস্থ-সবল জীবন কাটাতে চাইলে আজ থেকেই রাতে এসি চালিয়ে ঘুমানোর বদভ্যাসগুলি বদল করা একান্ত প্রয়োজন।
ত্রিবান্দ্রমের এসপি মেডিফোর্ট হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ বিদ্যা বিমল বলেছেন, “সঠিকভাবে বাতানুকূল যন্ত্র (Sleeping With AC) ব্যবহার করা হলে নবজাতক শিশুদের জন্য নিরাপদ হয়। পিতামাতার উচিত শিশুর শরীরের তাপমাত্রার সাথে বাতানুকূল যন্ত্রের (Sleeping With AC) তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ এবং সামঞ্জস্য করা। নবজাতককে ঘরে আনার কমপক্ষে ২০ মিনিট আগে এসি চালু করা এবং ২৫-২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বজায় রাখা প্রয়োজন। কাশি এবং সম্ভাব্য নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করতে ঠান্ডা বাতাস কম ব্যবহার করার দিকে নজর রাখতে হবে। কিছু শিশুরও ঠান্ডায় অ্যালার্জি হতে পারে, তাই অতিরিক্ত ঠান্ডা এড়ানো উচিত।
DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। তাই এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এবং এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে সর্বদা বিশেষজ্ঞের মতামত নিন এবং সেই পরামর্শ অনুযায়ী চলুন।
Vitamin D: আমাদের শরীরে কতটা ভিটামিন-ডি প্রয়োজন? এর উৎস কী কী?
নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে ভিটামিন-ডি (Vitamin D) এর অভাবজনিত সমস্যায় অনেক মানুষই ভোগেন। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ভিটামিন-ডি মূলত ক্যালসিয়ামকে শরীরে শোষণ করতে প্রয়োজন হয়। আমরা সবাই জানি, ক্যালসিয়াম হাড়কে শক্ত করে। এ ছাড়া ক্যালসিয়ামের আরও অনেক কাজ মানবদেহে রয়েছে। ভিটামিন-ডি (Vitamin D) এর অভাবে শিশুদের রিকেট রোগ হয়। শিশুদের পা ধনুকের মতো বেঁকে যায় এবং মাথার খুলি বড় হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন এই রোগে ভুগলে দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধিও ব্যাহত হয়। এর পাশাপাশি শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কমে যায়। দেহে ভিটামিন-ডি এর অভাবে চোয়ালের গঠনও ঠিকঠাক হয় না, অসময়ে দাঁত পড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা যায়। বড়দের অস্টিওম্যালেসিয়া নামের এক প্রকার রোগ হয় ভিটামিন-ডি এর অভাবে। এই রোগে বয়স্কদের হাড় থেকে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস ক্ষয় হয়ে পড়ে। কখনও কখনও কোমরে ও মেরুদণ্ডে বাতের ব্যথার মতো ব্যথা অনুভূত হয়। অনেক ক্ষেত্রে মেরুদণ্ডও বেঁকে যায়।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ১৯ থেকে ৭০ বছর বয়সি প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন নিয়মিত (Health Tips) করে ১৫ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন-ডি গ্রহণ করা উচিত। বিভিন্ন খাদ্যের মাধ্যমে, পিলের মাধ্যমে ভিটামিন-ডি নেওয়া যেতেই পারে। এর পাশাপাশি রোদেও প্রচুর ভিটামিন-ডি থাকে। তবে ভিটামিন-ডি এর পরিমাণ শরীরে বেড়ে যাওয়াও ঠিক নয়, এমনটাই বলছেন চিকিৎসকরা। কারণ এর প্রভাবে হাইপারক্যালসেমিয়া রোগ হতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন, দৈনিক ছোট ছোট ভিটামিন-ডি এর ডোজ আপনারা নিতেই পারেন। ডি-২, ডি-৩ সাপ্লিমেন্ট নেওয়া যেতেই পারে। কিন্তু অবশ্যই তা যে কোনও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিতে হবে। কারণ এর সঙ্গে অনেক কিছু ফ্যাক্টর কাজ করে, যেমন আপনার শরীরের অবস্থা কেমন, আপনি কোন পরিবেশে থাকেন- এ সমস্ত কিছুই। তবে শরীরে মারাত্মক পরিমাণে ভিটামিন-ডি এর ঘাটতি হলে সাপ্তাহিক বড় ডোজ নেওয়া যেতে পারে।
২০২৩ সালের একটি গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তিদের মৃত্যুহার কমিয়ে দিয়েছে ভিটামিন-ডি এর বড় পরিমাণের সাপ্তাহিক ডোজ (Health Tips)। অন্যদিকে, সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা যাচ্ছে যে বেশিরভাগ আমেরিকার নাগরিকই ভিটামিন-ডি (Vitamin D) এর অভাবে ভোগেন বা পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন-ডি তাঁরা পান না। ২০২২ সালে এই সমীক্ষাটি হয়। যেখানে দেখা যাচ্ছে ৪১ শতাংশ আমেরিকার নাগরিকের শরীরে ভিটামিন-ডি এর অভাব রয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ জনেরই বয়স ২০ থেকে ২৯ বছরের মধ্যে। ভিটামিন-ডি এর অভাবে ক্লান্তি দেখা যায় শরীরে, কাজে অনীহা থাকে, হাড়ের ব্যথার মতো নানা রকমের উপসর্গও দেখা যায়। তবে কখনও আপনি বুঝতে পারবেন না যে আপনার ভিটামিন-ডি এর অভাবের জন্য শরীরে এইগুলি রোগগুলি হচ্ছে। আপনার শরীরে ভিটামিন-ডি এর অভাব রয়েছে কিনা তা জানতে আপনাকে রক্ত পরীক্ষা করতেই হবে। তবে প্রতিবেদনে শুরুতেই যেমন বলা হয়েছে, শরীরে উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন-ডি নিলে হাইপারক্যালসেমিয়া হতে পারে। এই হাইপারক্যালসেমিয়া রোগে ঘনঘন প্রস্রাব, দুর্বলতা ভাব, বমি বমি ভাব ইত্যাদি দেখা যায়। ভিটামিন-ডি এর অত্যধিক পরিমাণের ফলে কিডনিতে পাথরও হতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। এর পাশাপাশি নানা রকমের কিডনির জটিলতাও হতে পারে।
ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ অনেক খাবারই রয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে আপনি নিতে পারেন পনির, ডিমের কুসুম, চর্বিযুক্ত যে কোনও মাছ, যেমন ম্যাকরাল, স্যামন, টুনা ইত্যাদি। এর পাশাপাশি প্রাতঃরাশের টেবিল আপনি রাখতে পারেন দুধ, কমলার রস, মাশরুম ইত্যাদি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অ্যাভোকাডো এবং বাদামেও ভরপুর পরিমাণে ভিটামিন-ডি থাকে। অনেক মানুষই সকালে ঘুম থেকে উঠে অথবা রাতে শোবার আগে ভিটামিন-ডি সাপ্লিমেন্ট নিতে বেশি পছন্দ করেন। তবে এর ফলে ভিটামিন-ডি এর কার্যকারিতা বাড়ে নাকি, তা নিয়ে চিকিৎসকরা কিছু বলতে পারছেন না।
সূর্যালোক থেকে কীভাবে নেবেন ভিটামিন-ডি
১) চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, রোদে আপনার ছায়া আপনার তুলনায় যখন ছোট হেব সেসময়ই আপনার ত্বক সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ‘ডি’ তৈরি করতে পারবে। ২) অতিবেগুনি রশ্মি কাচ ভেদ করতে পারে না। তাই গাড়ি বা ঘরের ভেতর জানালা বন্ধ অবস্থায় রোদ এলেও লাভ নেই, পর্যাপ্ত ভিটামিন-ডি মিলবে না। ৩) পোশাক ও সানস্ক্রিন ত্বকে সরাসরি ভিটামিন-ডি লাগতে বাধা দেয়। তাই আপাদমস্তক ঢেকে বাইরে বের হয়ে লাভ নেই। অন্তত হাত-পা বা মুখের কিছু অংশ খোলা রাখুন। ৪) বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের ভিটামিন-ডি তৈরি করার ক্ষমতা কমতে থাকে। তাই বয়স্কদের বেশি পরিমাণে ভিটামিন-ডি এর প্রয়োজন হয়। সূর্যালোকে দিনে অন্তত ২০ মিনিট কাটাতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
Mental Health Issues: টাইপ১ ডায়াবেটিস আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে কী বলছে গবেষণা?
নিউজ ডেস্ক: সময় পাল্টেছে, জীবনযাপনের পদ্ধতি বদলেছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে শিশুদের ডায়াবেটিস (Type 1 Diabetes)। সব দেশে শিশুদের এ রোগে আক্রান্তের হার বাড়ছে। শিশু-কিশোরদের ডায়াবেটিস মূলত দুই ধরনের। প্রথমটির কারণ শরীরে ইনসুলিন তৈরি না হওয়া, যাকে বলে টাইপ১ ডায়াবেটিস। দ্বিতীয়টিতে ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা কমে যায়, যার নাম টাইপ২ ডায়াবেটিস। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন যে সমস্ত শিশুরা টাইপ১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাদের মধ্যে বড় ঝুঁকি থাকে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার। তারা উদ্বেগজনিত সমস্যায় (Mental Health Issues) ভুগতে থাকে, যাকে বলে অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার। ব্রিটেন ও চেক রিপাবলিকের একটি গবেষণা দল এমনই তথ্য সামনে এনেছে সম্প্রতি।
এই গবেষক দল আরও জানিয়েছে যে শিশুদের যারা টাইপ১ ডায়াবেটিসে (Type 1 Diabetes) আক্রান্ত তাদেরকে সর্বদাই পর্যবেক্ষণে রাখা দরকার। একটি গবেষণা বলছে, বর্তমানে সারা পৃথিবীতে ৮৭ লাখ শিশু টাইপ১ ডায়াবেটিসে। আক্রান্তদের মধ্যে ব্রিটেনেই এই সংখ্যা চার লাখ। সম্প্রতি, চেক প্রজাতন্ত্রের গবেষকরা সাড়ে চার হাজার শিশুর কাছ থেকে বিভিন্ন ডেটা সংগ্রহ করে, যারা টাইপ১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। সেই ডেটাতেই গবেষকরা লক্ষ্য করেন, যে সমস্ত শিশুরা ডায়াবেটিস আক্রান্ত নয়, তাদের সাপেক্ষে এই শিশুরা বেশি অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার এবং মুড ডিসঅর্ডারে ভোগে। প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ বেশি মুড ডিসঅর্ডার এবং অ্যাংজাইটিজ ডিসঅর্ডার স্বাভাবিক শিশুদের থেকে বেশি দেখা যায় টাইপ১ ডায়াবেটিস আক্রান্ত শিশুদের।
শিশুদের টাইপ১ ডায়াবেটিসের উপসর্গ দেখা দেয় তুলনামূলক কম বয়সে (Mental Health Issues)। আক্রান্ত শিশু দিন দিন শুকিয়ে যায়, ঘন ঘন প্রস্রাব করে আর দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়ে -এমনকি রক্তে শর্করা অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় শিশুরা অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে। টাইপ১ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। তবে আগে থেকে সঠিক খাদ্যাভ্যাস, দৈনন্দিন পরিশ্রম ও নিয়ন্ত্রিত জীবনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রন সম্ভব, এমনটাই বলছেন গবেষকরা।
Death for Air Pollution: বছরে ৩৩ হাজার ভারতীয়র মৃত্যুর কারন বায়ু দূষণ! চাঞ্চল্যকর তথ্য জানাল গবেষকরা
নিউজ ডেস্ক: গবেষণায় উঠে এল বিরাট তথ্য। দূষণের কারণে প্রতি বছর ভারতে মৃত্যু (Death for Air Pollution) হচ্ছে ৩৩ হাজার মানুষের। সম্প্রতি ‘দ্য ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেলথ জার্নাল’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দূষণ সংক্রান্ত সমীক্ষার রিপোর্টে এমনই উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, কলকাতা সহ ভারতের বড় বড় ১০টি শহরে (Indian Cities) প্রতি বছর বায়ুদূষণের বলি হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। তাই দূষিত বায়ুর বিপদ থেকে নাগরিকদের বাঁচানোর জন্য অবশ্যই হু-র দেওয়া নির্দেশিকা মেনে চলা উচিত ভারতের, এমনটাই জানানো হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। গবেষণাটি সাসটেইনেবল ফিউচার কোলাবোরেটিভ, অশোকা ইউনিভার্সিটি, সেন্টার ফর ক্রনিক ডিজিজ কন্ট্রোল, সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট, হার্ভার্ড এবং বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য স্থানের গবেষকদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল।
সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, ভারতের বড় বড় ১০টি শহরে বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর ৩৩ হাজার মানুষের মৃত্যু (Death for Air Pollution) হয়। ওই ১০টি গুরুত্বপূর্ণ শহরে বায়ুদূষণের কারণে দৈনিক মৃত্যুর হার ৭ শতাংশেরও বেশি। এই শহরগুলির (Indian Cities) তালিকায় রয়েছে কলকাতা, আহমেদাবাদ, ব্যাঙ্গালুরু, চেন্নাই, দিল্লি, হায়দরাবাদ, মুম্বাই, পুনে, সিমলা, এবং বারাণসী। সমীক্ষায় দেখা গেছে, বায়ুদূষণের কারণে মৃত্যুর (Death for Air Pollution) নিরিখে শীর্ষে রয়েছে ভারতের রাজধানী শহর দিল্লি, যেখানে প্রতি বছর ১২ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মুম্বাই। এখানে এই সংখ্যা ৫ হাজার ১০০। আর কলকাতায় সেই সংখ্যা ৪ হাজার ৭০০। অন্যদিকে চেন্নাইয়ে বায়ুদূষণের কারণে বছরে ২ হাজার ৯০০ জন মানুষ মারা যায়। বেঙ্গালুরুতে সেই সংখ্যা ২ হাজার ১০০ এবং বারাণসীতে ৮৩০। মৃত্যুর নিরিখে তালিকায় সবচেয়ে নিচে রয়েছে সিমলা, যেখানে বছরে বায়ুদূষণের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে কম, মাত্র ৫৯।
এ প্রসঙ্গে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সহ-লেখক জোয়েল শোয়ার্টজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ''এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে ভারতের যা পরিস্থিতি সেখানে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণই একমাত্র পথ। একমাত্র বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই প্রতি বছর কয়েক হাজার জীবন বাঁচাতে পারে। অন্যান্য দেশে যেভাবে দূষণ নিয়ন্ত্রণ হয়, সে সব পদ্ধতিগুলি ভারতে জরুরীভাবে প্রয়োগ করা প্রয়োজন।" বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু জানিয়েছে যে, পৃথিবীতে প্রায় সকলেই বায়ু দূষণের প্রস্তাবিত পরিমাণের চেয়ে বেশি পরিমানে দূষিত বায়ু গ্রহণ করে, যা স্ট্রোক, হৃদরোগ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর এর ফলেই উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে মৃত্যুর হার।
Monsoon Diseases: অবহেলা করলেই মৃত্যু! বর্ষার রোগবালাই সম্পর্কে সাবধান
নিউজ ডেস্ক: বঙ্গে এসে গিয়েছে বর্ষা। বর্ষা এসেছে গোটা দেশেও। সঙ্গে এসেছে বর্ষার বিভিন্ন রোগ্য-ব্যাধি (Monsoon Diseases)। গ্রীষ্মের খরতাপে পুড়েছে দেশ। তার পর স্বস্তির বৃষ্টি এনেছে বর্ষা। তবে স্বস্তির পাশাপাশি সঙ্গে নিয়ে এসেছে অস্বস্তিও। কারণ রোগ-বালাইয়ের (Infections And Diseases) জ্বালায় অস্থির দেশবাসী। বর্ষার মরশুমের এই রোগগুলির মধ্যে কয়েকটি আবার প্রাণঘাতীও। ঠিক সময় চিকিৎসা শুরু না হলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে রোগী কিংবা রোগিণীর। এই রোগগুলির কয়েকটির বাহক মশা। বর্ষায় বৃষ্টির জল জমে যত্রতত্র। সেই জমা জলে জন্মায় মশা। পরবর্তীকালে সে-ই হয়ে দাঁড়ায় প্রাণঘাতী নানা রোগের বাহক। মশা-বাহিত রোগের পাশাপাশি বর্ষাকালে উপদ্রব বাড়ে ভাইরাসেরও। তাই এই সময় ভাইরাসঘটিত রোগবালাইয়েও ভোগেন মানুষ। ছত্রাকের সংক্রমণ তো ফি বর্ষার রুটিনের মধ্যেই পড়ে। তাই বর্ষার সময় একটু বেশিই সাবধানতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। একমাত্র সাবধানতা অবলম্বন করলেই জমিয়ে উপভোগ করা যাবে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি-ঋতুর সৌন্দর্য।
এবার জেনে নেওয়া যাক, বর্ষায় কী কী রোগ হতে পারে। ফি বর্ষায় ভারতে যে রোগটি খুবই কমন (Monsoon Diseases), সেটি হল পেটের রোগ। ডায়েরিয়া, তলপেটে খিঁচুনি, বমি বমি ভাব দেখা দিতে পারে, বমিও হতে পারে। জলের মাধ্যমে ছড়ায় ডায়েরিয়া। সামান্য জ্বরও হতে পারে। হতে পারে গাঁটে ব্যথাও। দ্রুত চিকিৎসা শুরু না করলে হতে পারে শরীরের ভয়ঙ্কর ক্ষতি। ডিহাইড্রেশন, ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালেন্স মায় কিডনি ফেলিওরও হতে পারে। ডায়েরিয়ার কোনও লক্ষণ দেখা গেলেই দ্রুত ওআরএস খাওয়াতে হবে রোগীকে। চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়ে শুরু করতে হবে যথাযথ চিকিৎসাও।
বর্ষার আর একটি ভয়ঙ্কর রোগ হল ডেঙ্গি। মশা-বাহিত এই রোগে প্রতি বছর মৃত্যু হয় অনেকের। ন্যাশনাল ভেক্টর বর্ন ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের রিপোর্ট বলছে, ২০২১ সালে ভারতে নথিভুক্ত হয়েছিল ডেঙ্গিতে আক্রান্ত এক লাখ রোগীর নাম। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত ব্যক্তি ভুগবেন প্রচণ্ড জ্বরে। মাথাব্যথায় কাতর হবেন রোগী। যন্ত্রণা হতে পারে চোখের পিছনেও। শরীরের বিভিন্ন অস্থিসন্ধিতে যন্ত্রণাও হতে পারে। ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে ত্বকে। ডেঙ্গি থেকেই হতে পারে ডেঙ্গি হেমোরাজিক ফিভার। এক্ষেত্রে রোগীর শরীর থেকে রক্তপাত হতে থাকবে। বিকল হতে পারে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। মৃত্যুও হতে পারে রোগীর। যেসব শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের ক্ষেত্রে বিপদের সম্ভাবনা অনেক বেশি। ডেঙ্গির পাশাপাশি বর্ষার আর একটি উপদ্রব হল মশা-বাহিত রোগ ম্যালেরিয়া। জমা জলে দ্রুত ((Monsoon Diseases)) বংশবৃদ্ধি করে অ্যানোফিলিস মশা। এই মশাই ম্যালেরিয়ার বাহক। ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রার পারদ বাড়তে থাকে দ্রুত। রোগী ভুগতে থাকেন প্রচণ্ড জ্বরে। ঘনঘন জ্বর আসবে। রোগীর খুব ঘাম হবে। মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব এবং পেশিতেও ব্যথা হবে। হঠাৎ হঠাৎ জ্বর আসবে। ফ্লুয়ের মতো লক্ষণও দেখা দেয়। জ্বর আসে কাঁপুনি দিয়ে। ম্যালেরিয়ার দ্রুত চিকিৎসা শুরু না হলে অ্যানিমিয়া, শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হতে পারে। সেরিব্রাল ম্যালেরিয়া হলে রোগী কোমায় চলে যেতে পারেন, মৃত্যুও হতে পারে। প্রতি বছর বর্ষায় কলেরা ভয়ঙ্কর আকার (Infections And Diseases) ধারণ করে ভারতে। জলবাহিত এই রোগে অনেকের মৃত্যুও হয়। জলের মতো পাতলা পায়খানা হতে পারে রোগীর। বমি করতে থাকেন। শরীর থেকে জল বেরিয়ে যেতে থাকবে। প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাবে। রোগীর চোখ গর্তে ঢুকে যেতে পারে। ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালেন্সও দেখা দিতে পারে। অস্বাস্থ্যকর খাবার এবং জল থেকে এই রোগ ছড়ায়। এক্ষেত্রেও রোগীকে দ্রুত ওআরএস খাওয়ানো প্রয়োজন। রোগের উপসর্গ দেখা দেওয়ার পরে পরেই রোগীকে নিয়ে যেতে হবে চিকিৎসকের কাছে।
বর্ষায় ভারতের বিভিন্ন অংশে টাইফয়েডের উপদ্রবও দেখা (Monsoon Diseases) যায়। এক্ষেত্রেও রোগীর শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় অনেকখানি। মাথাব্যথা, তলপেটে যন্ত্রণা এবং দুর্বলতা গ্রাস করে রোগীকে। এক্ষেত্রে জ্বর বাড়তে থাকে ধীরে ধীরে, রোগীর খিদে কমে যায়, কোষ্ঠকাঠিন্য কিংবা ডায়েরিয়াও দেখা যায়। বুকে গোলাপি ছোপ ছোপ দেখা যায়। টাইফয়েডে আক্রান্ত ব্যক্তির দ্রুত চিকিৎসা শুরু না হলে রোগীর জীবনহানি পর্যন্ত হতে পারে। রোগী আক্রান্ত হতে পারেন সেপ্টিসেমিয়ায়ও। বর্ষার আর একটি অতি পরিচিত রোগ হল ফ্লু। ঠান্ডা লাগা, নাক এঁটে যাওয়া, নাক দিয়ে জল গড়ানো এবং মাথাব্যথা এ রোগের প্রাথমিক লক্ষণ। এ থেকেই রোগী আক্রান্ত হতে পারেন নিউমোনিয়ায়। শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যায়ও ভুগতে পারেন রোগী। জন-ঘন-পূর্ণ এলাকায় দ্রুত ছড়ায় ইনফ্লুয়েঞ্জার ভাইরাস। এই রোগে সব চেয়ে বেশি ক্ষতি হতে পারে বয়স্ক ব্যক্তি এবং শিশুদের।
বর্ষায় আর একটি রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। এটি হল লেপ্টোস্পাইরোসিস। এই রোগ মূলত দেখা যায় বানভাসি এলাকায়। এক্ষেত্রেও ফ্লুয়ের মতো উপসর্গ দেখা দেবে, রোগী বমি করতে থাকবেন, চোখ হয়ে উঠবে জবাফুলের মতো টকটকে লাল। ঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু না হলে রোগীর লিভার এবং কিডনি ড্যামেজ হতে পারে। মেনিনজাইটিস এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। বর্ষায় ছত্রাক ঘটিত রোগের প্রাদুর্ভাব অতি পরিচিত একটি ঘটনা। দাদ-হাজা-চুলকুনির সমস্যা দেখা দেয়। নখকুনির সমস্যাও হয় এই সময়। এসব ক্ষেত্রে গা-হাত-পা চুলকোতে (Infections And Diseases) শুরু করবে, চামড়া কুঁচকে যেতে পারে, শরীরে ফোস্কার মতো দেখা দিতে পারে, ছাল উঠতে পারে। অবহেলা করলে চামড়ার স্থায়ী সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে (Monsoon Diseases)।
Lancet Global Study: অর্ধেক ভারতীয়ই শারীরিকভাবে ‘আনফিট’! দাবি ‘ল্যানসেট গ্লোবাল স্টাডি’ রিপোর্টের
নিউজ ডেস্ক: ভারতীয়দের ফিটনেস নিয়ে সম্প্রতি একটি রিপোর্ট সামনে এসেছে গ্লোবাল হেলথ জার্নালে। ল্যানসেট গ্লোবাল স্টাডির (Lancet Global Study) ওই সমীক্ষা অনুসারে, অর্ধেক ভারতীয়ই শারীরিকভাবে ‘আনফিট’। বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন তথ্য রীতিমতো উদ্বেগের। ওই সমীক্ষায় আরও দেখা গিয়েছে, প্রাপ্তবয়স্ক ভারতীয়দের মধ্যে অর্ধেকের চেয়ে বেশি সংখ্যক নাগরিকই পর্যাপ্ত পরিমাণে শরীর চর্চা করেন না এবং শরীর চর্চার ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও-এর যে নির্দেশিকা রয়েছে, তা কোনওভাবেই তাঁরা মেনে চলেন না। যার কারণে শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়ছেন তাঁরা শারীরিকভাবে অক্ষমতার দিক থেকে ভারতীয় পুরুষদের থেকে মহিলাদের হার অনেক বেশি। ওই রিপোর্ট অনুসারে দেখা যাচ্ছে, পুরুষদের মধ্যে শারীরিকভাবে আনফিট ৪২ শতাংশ এবং মহিলাদের মধ্যে এই সংখ্যা ৫৭ শতাংশ অর্থাৎ পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের শারীরিক অক্ষমতার হার বেশি।
সবচেয়ে উদ্বেগ ওই সমীক্ষায় (Lancet Global Study) প্রকাশিত হয়েছে যে প্রাপ্তবয়স্ক ভারতীয়দের মধ্যে শরীরচর্চার প্রবণতা একেবারেই নেই। শরীরচর্চার বিষয়ে অবহেলা করেন তাঁরা। রিপোর্টে আরও দেখা যাচ্ছে, ২০০০ সালে পুরুষদের মধ্যে শরীরচর্চা করতেন না ২২.৩ শতাংশ। ২০২২ সালে সেই হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯.৩ শতাংশ। অর্থাৎ উদ্বেগজনক ভাবে রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ৬০ শতাংশ ভারতীয় নাগরিকই শারীরিক সক্ষমতা হারাবেন, শরীরচর্চা না করার জন্য।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা 'হু' (WHO Health Guidelines) সমস্ত প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ থেকে ৩০০ মিনিটের শরীরচর্চা করার সুপারিশ করে। প্রতিদিন গড়ে ২০ মিনিটের শরীরচর্চা যেকোনও ব্যক্তিকে শারীরিকভাবে সক্ষম করে তুলতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও জানিয়েছে, শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয়তার কারণেই প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে হৃদরোগের সম্ভাবনা (Lancet Global Study) বেড়েই চলেছে। বাড়ছে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, টাইপ টু ডায়াবেটিস, ডিমনেশিয়া এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি।
ল্যানসেট গ্লোবাল স্টাডি (Lancet Global Study), ১৯৫ দেশের ওপর এই সমীক্ষা চালিয়েছিল। সমীক্ষাতে দেখা গিয়েছে, তালিকায় ভারত গোটা বিশ্বে ১২তম স্থান অধিকার করেছে। বিশ্বব্যাপী প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশই শরীর চর্চা করেন না বলে ওই রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৩১ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ১৮০ কোটি মানুষ ২০২২ সালে শরীরচর্চার কোনও নির্দেশিকা মানেনি। শরীরচর্চার বিষয়ে সবথেকে বেশি অবহেলার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরী অঞ্চলে। যেখানে ৪৮ শতাংশ মানুষই শরীরচর্চার বিষয়ে অবহেলা করেন। পশ্চিমীদেশ গুলোতে এই হার ২৮ শতাংশ। এবিষয়ে ডাক্তার প্রজ্ঞা শুক্লা বলেন, ‘‘যুব সমাজের মধ্যে ক্যান্সারের প্রবণতা বাড়ছে। শরীরচর্চা না করার জন্য।’’ একই মত ভারতীয় ডাক্তার অনুপ সারিয়ারও।
Alka Yagnik: 'প্রার্থনা করুন', অসুস্থ অলকা ইয়াগনিক! বিরল স্নায়ু রোগে আক্রান্ত গায়িকা
নিউজ ডেস্ক: বিরল এক স্নায়ুরোগে আক্রান্ত বলিউড গায়িকা অলকা ইয়াগনিক (Alka Yagnik)। আচমকাই হারিয়ে ফেলেছেন তাঁর শ্রবণশক্তি (Indian Singer Hearing Loss)। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করে তিনি নিজেই এই অসুস্থতার কথা জানিয়েছেন সকলকে। বলেছেন, এই জন্যই গত কয়েকদিন ধরে তিনি নিজেকে আড়ালে রেখেছেন।
সোমবার তিনি নিজের একটি ছবি শেয়ার করে ইনস্টাগ্রামে লেখেন, "আমার সমস্ত অনুরাগী, বন্ধু ও শ্রোতাদের বলছি, কয়েক সপ্তাহ আগে এক বিমান থেকে বেরিয়ে আসার সময় আমি অনুভব করলাম যে আমি তখন কিছুই শুনতে পাচ্ছিলাম না। এই ঘটনার বেশ কয়েক সপ্তাহ পরে আমার বন্ধু-অনুরাগীদের জন্য সত্য জানাতে এসেছি। আমার কিছু কথা বলতে এসেছি। যে সমস্ত শুভাকাঙ্ক্ষীরা আমাকে প্রায়ই জিজ্ঞেস করছিলেন যে কেন আমি নিজেকে এখন আড়ালে রেখেছি, তাদের উত্তর দিতে এসেছি। আমার চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে জানতে পেরেছেন যে, এক বিরল স্নায়ুরোগে আক্রান্ত আমি, যে কারণে আমার শ্রবণশক্তি নষ্ট হতে পারে। একটি ভাইরাল অ্যাটাকের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। আমি চেষ্টা করছি এর সঙ্গে মানিয়ে নিতে। আপনারা দয়া করে আমার জন্য প্রার্থনা করুন।"
একইসঙ্গে এদিন এই পোস্টে গায়িকা তাঁর অনুগামীদের সতর্ক করেন খুব জোরে মিউজিক শোনা এবং হেডফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার নিয়ে। তিনি বলেন, "আমার শুভাকাঙ্ক্ষী বন্ধু ও অনুরাগীদের জন্য খুব জোরে হেডফোন বা লাউডস্পিকারে গান শোনার ব্যাপারে একটু সতর্কতা দিতে চাই। একদিন কখনও আমার পেশাগত জীবনের ক্ষতিকর দিকগুলির ব্যাপারে বলব। আপনাদের ভালবাসা আর সহানভূতি আমাকে আবার সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সাহায্য করবে। এটুকুই এখন আমার কাছে একটা গোটা পৃথিবী।"
৯০-এর দশকের বলিউডে ছবির গানের জগতে একের পর এক সোনাঝরা গান উপহার দিয়ে আজও গানপ্রেমীদের মনের মণিকোঠায় বেঁচে আছেন অলকা ইয়াগনিক (Alka Yagnik)। মাধুরী দীক্ষিত থেকে শ্রীদেবী, তাবড় তাবড় অভিনেত্রীদের হয়ে প্লে-ব্যাক গায়িকা হিসেবে গান গেয়েছেন অলকা। তবে সম্প্রতি তাঁর এই হৃদয়বিদারক খবরের (Indian Singer Hearing Loss) কথা জানার পর উৎকণ্ঠায় রয়েছেন তাঁর সকল ভক্তরা। ৫৪ বছর বয়সি অলকা ইয়াগনিক শেষ গান গেয়েছেন 'ক্রু' এবং 'অমর সিং চমকিলা' ছবিতে। এর পরে তাঁকে আর তেমন দেখা যায়নি ।
Panta Bhat: হিট স্ট্রোক এড়ানোর চাবিকাঠি-'পান্তা ভাত'
নিউজ ডেস্ক: চৈত্র থেকেই নিজের তেজ দেখাতে শুরু করেছিল সূর্য দেব। আর বৈশাখ পড়তেই সূর্যের তেজে জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে বাংলা। ইতিমধ্যেই ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলেছে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলা। তাপপ্রবাহের(heat wave) সতর্কবার্তাও জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস। আর এই গরমে শরীরকে সুস্থ রাখাই হল চ্যালেঞ্জের। প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়ার পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়া নিয়েও সচেতন থাকতে হবে। আর এই নাজেহাল পরিস্থিতিতে পান্তা ভাতের(Panta Bhat) জুরি মেলা ভার। এই গরমে যদি নিয়ম করে পান্তা ভাত খান, হিট স্ট্রোকের(heat stroke) ঝুঁকি এড়াতে পারবেন। শরীরে ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি একাধিক রোগের ঝুঁকি কমায় পান্তা ভাত।
আসুন আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা জেনেনি পান্তা ভাতের উপকারিতা পুষ্টিগুণের দিক থেকে পান্তাভাত একশোয় একশো।
রিহাইড্রেশন: পান্তা ‘বডি রিহাইড্রেটিং ফুড’ হিসেবে পরিচিত। পান্তা ভাত শরীরকে ঠান্ডা করে। এই খাবারে যেহেতু তরলের পরিমাণ বেশি থাকে, তাই শরীরকে হাইড্রেটেডও রাখে।
উপকারি ব্যাকটেরিয়া: প্রোবায়োটিক্সে ভরপুর পান্তা ভাত। যা হজমশক্তি রক্ষায় সাহায্য করে। সেই সঙ্গে পান্তা সারাদিন কাজ করার জন্য শক্তি যোগাতে সাহায্য করে ।
অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি: বিজ্ঞানীদের মতে পান্তাভাত পিএইচ ব্যালেন্স করতে সাহায্য করে। গ্যাস-অম্বল, অ্যাসিডিটি, আলসারের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় এই খাবার।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা: ন্যাচারাল ল্যাক্সেটিভ হিসেবে কাজ করে। ফলে এটি কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সহায়তা করে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: রক্তচাপের রোগীদের ক্ষেত্রে এটি বেশ কার্যকরী। সাধারণ ভাতের তুলনায় এতে সোডিয়ামের পরিমাণ কম। অন্যদিকে পটাশিয়ামের পরিমাণ যথেষ্ট বেশি। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
এছাড়াও অনিদ্রার সমস্যা দূরেও বিশেষ সহায়ক এই পান্তা ভাত।
পান্তাভাতের প্রশংসাতেই পঞ্চমুখ চিকিৎসকেরাও। গবেষণা বলছে যে আগের দিন রেঁধে রাখা ভাত জল দিয়ে রেখে দিলে নাকি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ কার্যকর। এছাড়াও পান্তা ভাত(Panta Bhat) খেলে শরীরের শক্তি বাড়ে। অসুখ-বিসুখ নাকি সহজেই কাবু করতে পারে না। তাছাড়া খরচও কম আর খেতেও বেশ সুস্বাদু। মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, ফলের মতো পুষ্টিকর খাবার ফেলে পান্তা ভাত খেয়ে কারও গায়ের জোর হতে পারে এটা ভাবাই যায় না।
তাই আর দেরি নয় এই গরমে শরীর সুস্থ রাখতে কাল থেকেই শুরু করুন পান্তা খাওয়া। রাত্রে খাওয়ার পর অতিরিক্ত ভাতে জল ঢেলে সারারাত রেখে দিন। অথবা সকালের তৈরি গরম ভাতে জল ঢেলে রাত্রে কাঁচা লঙ্কা, পেঁয়াজ, লেবু সহযোগে তৃপ্তি করে খান পান্তা ভাত।
BJP candidate sukanta majhumder: মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে জীবনের অজানা কথা জানালেন সুকান্ত মজুমদার
নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা ভোট। হাতে সময় খুব কম। তাই এই এপ্রিল-মে মাসের সূর্যের তেজেও দমে নেই বালুরঘাটের হেভিওয়েট বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের ভোট প্রচার। লড়াইয়ের ময়দানে মাথার ওপর চড়া রোদ নিয়ে প্রচারে নেমেছেন তিনি। তাই শরীর ঠিক রাখতে মানছেন কোন ডায়েট? (diet) মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে জীবনের অজানা কথা জানালেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)
প্রিয় খাবার থেকে ডায়েট চার্ট(Diet Chart), প্রচারে বেরিয়ে শরীর সুস্থ রাখতে মানছেন কোন ডায়েট সব নিজেই জানালেন বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী। সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'আমি সাধারণত হালকা খাবার পছন্দ করি। এখন প্রচারের ব্যস্ততায় কর্মীদের বাড়ি খেতে হচ্ছে। তবে বাড়ির খাবার পেলে বেশি ভাল হয়।'
উল্লেখ্য ১৯ এপ্রিল উত্তরবঙ্গে(north bengal) রয়েছে প্রথম দফার ভোট। ফলত হাতে ভোট প্রচারের সময় কমে আসছে ক্রমশ। তাই এই সময় প্রচণ্ড গরমেও প্রচারে পিছুপা হটছেন না সুকান্ত। আর প্রচারে নেমে জন সাধারনের মাঝে ঝড় তুলতে হলে, নিজেকে ফিট রাখাটাও একান্তই প্রয়োজন। খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রেও তাই অত্যন্ত সতর্ক বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
প্রসঙ্গত, বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার(sukanta majhumdar)। আর মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে প্রতিপক্ষের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি বদলে তার গলায় শোনা গেল ইলিশ, চিংড়ির গল্প। সুকান্তর কথায়, "আমি বাঙাল। পছন্দের তালিকায় ইলিশ। তবে ইলিশ সিজানাল বলে বেশি চিংড়ি হয়। " এই প্রচন্ড গরমে যখন চিকিৎসকেরা(doctor) শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিদিন বেশি করে জল ,টক দই ও তরল জাতীয় খাবার খেতে বলছেন, সেই সময় বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী (balurghat BJP candidate) কি ডায়েটে রয়েছেন সে কথাও জানালেন নিজেই।
মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার দিন তিনি দুপুরে কি খেয়েছেন তা ভাগ করে নিলেন সকলের সঙ্গে। জানালেন ভাত,আলু পটলের তরকারি,সজনে ডাটার তরকারি, মাছের ঝোল,কুলের চাটনি ও টক দই দিয়ে সেরেছেন দুপুরের মধ্যাহ্নভোজ(lunch), অতএব লড়াইয়ের ময়দানে শরীর ঠিক রাখতে সঠিক পথেই আছেন বালুরঘাটের হেভিওয়েট বিজেপি প্রার্থী।
Sabyasachi Chakraborty health update: ফিরেছেন বাড়ি, কেমন আছেন ফেলুদা?
নিউজ ডেস্ক: এখন অনেকটাই সুস্থ ফেলুদা। হাসপাতাল থেকে ফিরেছেন বাড়ি। বাড়ির ফেরার পর অভিনেতার পুত্রবধূ অর্থাৎ অভিনেতা গৌরব চক্রবর্তীর স্ত্রী, অভিনেত্রী ঋদ্ধিমা জানিয়েছেন, "বাবা এখন আগের থেকে অনেকটাই সুস্থ। চিকিৎসকরা বলেছেন বিশ্রামে থাকতে। দোলের আগে বাবা বাড়ি ফিরেছে এটা সত্যিই আনন্দের ব্যাপার।”
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তীর শারীরিক অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়তেই টলিপাড়ার একাংশের কপালে দেখা দেয় চিন্তার ভাঁজ। জানা যায়, ১৯ মার্চ রাতে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে অভিনেতাকে বুকে ব্যথা নিয়ে ভর্তি করানো হয়। প্রাথমিক চিকিৎসায় সব্যসাচীর হার্টে ব্লকেজ ধরা পড়ায় তাঁর শরীরে পেসমেকার বসে।
সূত্রের খবর, ২২ মার্চ অভিনেতা হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। যদিও অভিনেতার অসুস্থতার বিষয়ে তাঁর পরিবারের লোকজন সংবাদমাধ্যমের কাছে কোনও তথ্যই প্রকাশ করতে চাননি। পুরো বিষয়টাই আড়ালে রাখা হয়েছিল। কিন্তু হাসপাতাল সূত্রে খবর, শুক্রবার বাড়ি ফিরেছেন পর্দার ফেলুদা। আগের থেকে এখন অনেকটাই ভাল আছেন। সুস্থ হয়ে শুভ্রজিৎ মিত্র পরিচালিত ‘দেবী চৌধুরানী’ ছবির শুটিং শুরু করবেন সব্যসাচী।
Basanti Chattopadhyay: গুরুতর অসুস্থ বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়
গুরুতর অসুস্থ বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছে স্নেহাশিস চক্রবর্তীর জনপ্রিয় ধারাবাহিক "গীতা এলএলবি"-তে। দীর্ঘদিন তাঁকে যিনি নিয়মিত দেখাশোনা করেন তিনি জানিয়েছেন, প্রবীণ অভিনেত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে দমদমের এক বেসরকারি হাসপাতালে। অবস্থা আশঙ্কাজনক। চিকিৎসকেরা কোনও আশা দিতে পারছেন না। কাউকে চিনতে পারছেন না তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই বাসন্তী দেবী নানা রোগে জর্জরিত। ক্যান্সারে আক্রান্ত তিনি। কেমো নিয়ে সাময়িক সুস্থ হলেও ফের মারণরোগ ফিরে আসে। তাঁর পেসমেকার বসানো আছে। কিডনি অকেজো। কোভিডকালে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। অজ্ঞান হয়ে বাসন্তী দেবী বাথরুমে পড়ে গিয়েছিলেন। তার থেকেই মুখে-মাথায় গাঢ় কালশিটে চোট-আঘাত।