Friday, November 15, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

Sleeping With AC: আপনি কি বাড়িতে এসি চালিয়ে ঘুমোন? এসি চালিয়ে ঘুমোনো কীভাবে আপনার স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে জানেন?.

Sweta Chakrabory | 09:57 AM, Sun Jul 28, 2024

নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি ইউরোপীয় কপার্নিকাস নেটওয়ার্ক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, গত কয়েকদিনে বিশ্বব্যাপী রেকর্ড করা গরম পড়েছিল। তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। গোটা বিশ্ব বর্তমানে তীব্র তাপপ্রবাহের সম্মুখীন হয়েছে। এই তাপমাত্রা চরম ভাবে ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেছেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পৃথিবী এখন তীব্র তাপপ্রবাহের সম্মুখীন হয়েছে। এটা ধীরে ধীরে মহামারির রূপ নেবে। কোটি কোটি মানুষ মারাত্মক বিশ্ব উষ্ণায়নের শিকার হয়েছেন।” এমন প্রচণ্ড গরমে, স্বস্তি ও আরামের জন্য এসি বা বাতানুকূল যন্ত্রে (Sleeping With AC) অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। যদিও এসি স্বস্তি দিতে পারে, তবে দীর্ঘক্ষণ ধরে ঘুমালে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ (Victim) হতে পারে। এসি চালিয়ে ঘুমানোর ফলে স্বাস্থ্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। আসুন জেনে নিই একনজরে কেমন প্রভাব ফেলে এসি।

শুষ্ক চোখ: এসি (Sleeping With AC) বাতাস থেকে আর্দ্রতা কমিয়ে দেয়। যার ফলে চোখে শুষ্কতা, চুলকানি এবং অস্বস্তি (Victim) হয়।

অলসতা: শীতল তাপমাত্রা শরীরে পরিপাকের হার কমাতে পারে এবং শরীরের বাকি প্রক্রিয়াগুলিকে ধীর করে দেয়। যার ফলে ক্লান্তি এবং তন্দ্রা দেখা দেয়।

ডিহাইড্রেশন: শুষ্ক বায়ু দ্রুত আর্দ্রতা হ্রাস করতে পারে। ফলে পর্যাপ্ত জল পান না করলে শরীরের শূন্যতা তৈরি করে। ফলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে।

শুষ্ক বা চুলকানি ত্বক: এসির শুষ্ক বাতাসে ত্বকের আর্দ্রতা হারাতে পারে, যার ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এমন কী জ্বালা-পোড়া হতে পারে।

মাথাব্যথা: এসির কারণে শরীরে তাপমাত্রার পরিবর্তন হলে ঠান্ডা, শুষ্ক বাতাস মাথাব্যথা এবং সাইনাসের কারণ হতে পারে।

শ্বাসকষ্ঠ জনিত সমস্যা: ঠান্ডা এবং শুষ্ক বায়ু শ্বাসনালীতে জ্বালাভাব তৈরি করতে পারে। হাঁপানি এবং অ্যালার্জির মতো অবস্থার মতো সমস্যা বাড়তে পারে।

অ্যালার্জি এবং হাঁপানি: এয়ার কন্ডিশনার সিস্টেমগুলি ধুলো, পরাগ এবং ছাঁচের মতো অ্যালার্জেনকে আশ্রয় দিতে পারে, যা অ্যালার্জি সৃষ্টি করে।

শব্দ দূষণ: ক্রমাগত এসি থেকে নির্গত শব্দ ঘুমকে ব্যাহত করতে পারে এবং বিরক্তির কারণ হতে পারে।

সংক্রামক রোগ: রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকঠাক না হলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং ছত্রাক ছড়াতে পারে। এতে সংক্রমণ হতে পারে।

অভ্যন্তরীণ দূষণকারী: এয়ার কন্ডিশনার ধুলো, পোষা প্রাণীর খুশকির মতো ময়লা জমা করতে পারে। যার ফলে শ্বাসকষ্ট এবং স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়।

ইমিউনিটি কমে যায়: বেশিরভাগ মানুষই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কর্মক্ষেত্র বা অফিসে এসি-তে সময় কাটিয়ে থাকেন। তারপর বাড়ি ফিরে রাত হলেই আবার এসি চালিয়ে শুয়েও পড়েন। আর এই ভুলটা করেন বলেই বহু মানুষের ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। কারণ গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে দীর্ঘক্ষণ ঠান্ডায় থাকলে রক্তনালী ক্রমশ সংকুচিত হয়ে পড়ে। আর সেই সুবাদে ঠিকমতো কাজ করতে পারে না রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা হয় ব্যাপক। তাই সুস্থ-সবল জীবন কাটাতে চাইলে আজ থেকেই রাতে এসি চালিয়ে ঘুমানোর বদভ্যাসগুলি বদল করা একান্ত প্রয়োজন।

ত্রিবান্দ্রমের এসপি মেডিফোর্ট হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ বিদ্যা বিমল বলেছেন, “সঠিকভাবে বাতানুকূল যন্ত্র (Sleeping With AC) ব্যবহার করা হলে নবজাতক শিশুদের জন্য নিরাপদ হয়। পিতামাতার উচিত শিশুর শরীরের তাপমাত্রার সাথে বাতানুকূল যন্ত্রের (Sleeping With AC) তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ এবং সামঞ্জস্য করা। নবজাতককে ঘরে আনার কমপক্ষে ২০ মিনিট আগে এসি চালু করা এবং ২৫-২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বজায় রাখা প্রয়োজন। কাশি এবং সম্ভাব্য নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করতে ঠান্ডা বাতাস কম ব্যবহার করার দিকে নজর রাখতে হবে। কিছু শিশুরও ঠান্ডায় অ্যালার্জি হতে পারে, তাই অতিরিক্ত ঠান্ডা এড়ানো উচিত।


DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। তাই এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এবং এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে সর্বদা বিশেষজ্ঞের মতামত নিন এবং সেই পরামর্শ অনুযায়ী চলুন।

upload
upload