Friday, September 20, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

raga

Baruipur Rajbari: ৩০০ বছরের সাবেক পুজোয় রুপোর পাখায় বাতাস, রুপোর সম্মার্জনীতে ধুলো পরিষ্কার, রীতি মেনে চলছে সব


নিউজ ডেস্ক: জমিদারি না থাকলেও, কোনও অংশে বনেদিয়ানাতে খামতি নেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের রায়চৌধুরী (Baruipur Rajbari) বাড়ির দুর্গাপুজোয়। রুপোর পাখায় বাতাস হোক কিংবা রুপোর ঝাড়ু দিয়ে রাস্তা সাফ, সবই চলছে রীতি মেনে। জেলার অন্যতম পুরনো পুজো এটি। বয়স ৩০০ বছরের বেশি। ব্রিটিশ শাসক লর্ড কর্নওয়ালিশের আমলে জমিদারির পত্তন হয় রায়চৌধুরীদের। সেই থেকেই শুরু হওয়া দুর্গাপুজো নিজস্ব জৌলুস নিয়ে আজও অমলিন।
বাড়ির নিয়ম অনুযায়ী, রুপোর পাখা দিয়ে দেবীকে হাওয়া দিতে-দিতে এবং রুপোর ঝাড়ু দিয়ে রাস্তা পরিস্কার করতে-করতে প্রতিমাকে বিসর্জন করতে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্য আরেক নিয়ম হল দশমীতে নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানো। সরকারিভাবে নীলকণ্ঠ পাখি ধরা ও বিজয়া দশমীতে তা ওড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও, আজও এটাই প্রধান বিশেষত্ব এই বনেদি বাড়ির পুজোর। দশমীতে নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ালে, সে গিয়ে কৈলাসে শিবকে খবর দেবে দেবী দুর্গা মর্ত্য ছেড়ে কৈলাসের দিকে রওনা দিয়েছেন। এই বিশ্বাস থেকে আজও বিসর্জনের পর বারুইপুরের আদি গঙ্গার সদাব্রত ঘাট থেকে নীলকণ্ঠ পাখি উড়িয়ে আসছে রায়চৌধুরীরা (Baruipur Rajbari)। প্রতি বছর দশমীতেই প্রতিমা বিসর্জন হয়। রায়চৌধুরী বাড়ির প্রতিমা বিসর্জন হওয়ার পর এলাকার বাকি প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়।
এ প্রসঙ্গে বর্তামানে এই পুজোর দায়িত্বে থাকা রায়চৌধুরী (Baruipur Rajbari) পরিবারের সদস্য অমিয়কৃষ্ণ রায়চৌধুরীর কাছ থেকেই জানা গিয়েছে, শাতব্দী প্রাচীন পুজোর ইতিহাস। তিনি জানিয়েছেন, ''তিনশো বছর আগে রাজা রাজবল্লভ রায়চৌধুরী এই দুর্গাপুজোর সূচনা করেছিলেন। এখনও তিন জন পুরোহিত রীতি মেনে এখানে পুজো করেন।''
মহালয়ার পরদিন অর্থাৎ প্রতিপদ থেকেই শুরু হয়ে যায় দেবীর আরাধনা। এখনও সপ্তমী ও অষ্টমীতে পাঁঠা বলি হয় সেখানে। নবমীতে হয় আখ ও চাল কুমড়ো বলি। উৎসবের দিনগুলি সমস্ত আত্মীয়স্বজন আসেন এই বাড়িতে (Baruipur Rajbari)। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখনও বহু মানুষ আসেন এই পুজো দেখতে। সূদূর জয়নগর, মন্দিরবাজার, কুলতলি থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থী আসেন তিনশো বছরের বেশি প্রাচীন এই দুর্গাপুজো দেখতে। সত্যি বলতে কি, চারপাশে হাজার একটা বারোয়ারী পুজোর ভিড়, থিমের চমক থাকলেও আজও অমলিন বারুইপুরের রায়চৌধুরী বাড়ির দুর্গাপুজো।

Sweta Chakrabory | 16:30 PM, Fri Sep 13, 2024

Hilsa Fish: মরসুমের প্রথম ইলিশ এল রাজ্যে! কত উঠল দাম? 

নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে বর্ষা প্রবেশ করতে না করতেই বাজারে দেখা মিলল ইলিশের (Hilsa Fish)। গতকাল শুক্রবার এই মরসুমের প্রথম ইলিশ ঢুকেছে ডায়মন্ড হারবারের নগেন্দ্রবাজারে। প্রতিকেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ টাকা হিসাবে। ভোজন রসিক বাঙালিদের কাছে পছন্দের মাছ হল ইলিশ। ইলিশের ঝাল, ভাপা, পাতুরি, সর্ষে ইলিশের স্বাদ অতুলনীয়। বর্ষার মরশুমে ইলিশ মাছ পাতে না পড়লে যেন রসনা তৃপ্তি বাঙালির ভোজন সম্পূর্ণ হয় না। তাই ইলিশের নাম শুনলেই জিভে জল চলে আসে। যদিও মাত্র কয়েকদিন আগে গিয়েছে বাঙালির জামাইষষ্ঠীর উৎসব। কিন্তু সেই সময় টাটকা ইলিশের খোঁজ মেলেনি। তাতে অনেকেরই মন খারাপ ছিল। এইবার বর্ষা আসতেই ইলিশের নিয়ে আশার কথা শোনালেন মৎস্যজীবীরা।

উল্লেখ্য গত দুই মাস সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ ছিল। অবশ্য এই দুই মাস মাছ ধরার জন্য সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। কারণ এই সময় পরিণত মাছগুলি ডিম দেয়। সেই জন্য মাছের বংশ বিস্তার এবং ছোট মাছ পরিণত হওয়ার সময় সমুদ্রে মাছ ধরার উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এই বছর ১৫ জুনের পর থেকে মাছ ধরতে ট্রলার নিয়ে পাড়ি দিয়েছেন মৎস্যজীবীরা। ডায়মন্ডহারবারের মৎস্যজীবীদের জালে উঠেছে প্রচুর ইলিশ (Hilsa Fish)। নগেন্দ্রনগর বাজারের আড়তদার এবং ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার প্রায় ৩০০০ কেজি ইলিশ ঢুকেছে বাজারে।

নগেন্দ্রনগর বাজার সমিতির সম্পাদক জগন্নাথ সরকার বলেছেন, “এই বছর ইলিশের (Hilsa Fish) মরসুমের শুরুতেই জালে ইলিশ ধরা পড়েছে। তবে মাছের পরিমাণ কম হলেও ইলিশের আকার অনেক বড় বড় ছিল। দুই মাস সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ ছিল। মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছেন আবার। ভালো সাইজের মাছ ধরা পড়েছে। গত বছরের তুলনায় এই বছর ভালো পরিমাণে ইলিশ পাওয়ার অনেক সম্ভাবনা রয়েছে।”

Sweta Chakrabory | 15:08 PM, Sat Jun 22, 2024

Oldest Voter: ১৮ তম লোকসভা নির্বাচনে বাংলার প্রবীণতম ভোটার কে জানেন?

নিউজ ডেস্ক: বিরল ইতিহাস গড়ল সুন্দরবন(sundarban), বয়স ১১৪ বছর। আগামী ১ জুন ১৮ তম লোকসভা নির্বাচনে(Loksabha Election 2024) নিজের ভোটাধিকার নিজেই প্রয়োগ করবেন ১১৪ বছরের প্রবীণ বৃদ্ধা হাজারী সরদার। জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের বয়স্কতম ভোটার(Oldest Voter ) হাজারী দেবী। ১১৪ বছরের বৃদ্ধা ভোটার হাজারী সরদারকে বাড়িতে গিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন খোদ বিডিও।

১১৪ বছর বয়স্কা বৃদ্ধা হাজারী দেবীর কথা জানতে পেরেই তাঁর বিধানপল্লির বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন বাসন্তীর বিডিও(BDO) সঞ্জীব সরকার। তিনি বৃদ্ধাকে পুষ্পস্তবক দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। দীর্ঘায়ু কামনা করেন।

বয়স শুনে বোঝাই যাচ্ছে হাজারী দেবী পুরনো আমলের লোক। দেশকে স্বাধীন হতে দেখেছেন তিনি। তার আগে দেখেছেন ইংরেজদের রাজত্বও। জানা গেছে হাজারী দেবীর জীবন দশায় তিনি মোট ১০ বার পঞ্চায়েত নির্বাচন, ১৭ বার বিধানসভা নির্বাচন এবং ১৭ বার লোকসভা নির্বাচনে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এবার ১ জুন ১৮ তম লোকসভা নির্বাচনেও নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন হাজারী দেবী।

বাসন্তী ব্লকের ঝড়খালি কোস্টাল থানার বিধানপল্লীর বাসিন্দা শতায়ু এই বৃদ্ধার জন্ম ১৯১০ সালে পরাধীন ভারতে। বর্তমান তাঁর বয়স ১১৪ বছর। স্বামী বল্লভ সরদার অনেক আগেই প্রয়াত হয়েছেন। বৃদ্ধার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

বাসন্তী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রিয়াঙ্কা মণ্ডল জানিয়েছেন, "হাজারিদেবী ইংরেজ শাসন দেখেছেন। দেশকে স্বাধীন হতে দেখেছেন। তিনি সমস্ত নির্বাচনে তাঁর ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। যা এক বিরল ঘটনা।"

বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল বলেন, "আমার বিধানসভা এলাকায় ১১৪ বছর বয়স্কা এক বৃদ্ধা ভোটার(Oldest Voter ) রয়েছেন। এটা আমার গর্ব। এবার ১৮ তম লোকসভা নির্বাচনেও তিনি তাঁর ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চলেছেন।"

উল্লেখ্য গোসাবা, বাসন্তী, কুলতলি, ক্যানিং পূর্ব, ক্যানিং পশ্চিম, জয়নগর ও মগরাহাট পূর্ব বিধানসভা নিয়ে জয়নগর লোকসভা কেন্দ্র। এই কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ১৫ লক্ষ। এর মধ্যে বাসন্তী বিধানসভা এলাকায় মোট ভোটার সংখ্যা তিন লক্ষের বেশি। তার মধ্যেই জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের বয়স্কতম ভোটার (voter)হাজারী সর্দার।

অন্যদিকে দক্ষিনবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গতেও খোঁজ মিলল প্রবীণতম আরেক বৃদ্ধার। সম্প্রতি কোচবিহার জেলার ভোটার তালিকার প্রবীণতম মানুষগুলির নাম ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। এই তালিকার মধ্যে থাকা প্রথম নামটি হল কুমুদিনী বর্মনের। তাঁর বয়স ১১৪ বছর। শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রের খলিসামারি অঞ্চলের জটামারি গ্রামের বাসিন্দা এই মহিলা। এই বয়সে এসেও তিনি রীতিমত হেঁটে চলে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আর চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনে তিনি বুথকেন্দ্রে গিয়ে ভোটও দেবেন।

কিন্তু স্বাধীনতার আগের মানুষ হওয়ায় জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের বয়স্কতম ভোটার(Oldest Voter ) হাজারী দেবী ও কোচবিহার ভোটার কুমুদিনী বর্মনের মধ্যে কে প্রবীণতম তা স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি।

Sweta Chakrabory | 12:01 PM, Tue Apr 09, 2024

Santanu Thakur : বাইক মিছিলের মাধ্যমে প্রচার শুরু শান্তনু ঠাকুরের

নিউজ ডেস্ক : বনগাঁয়(bangaon) হুডখোলা জিপে ভোট প্রচার বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের(Santanu thakur )। সঙ্গে রয়েছেন জেলা সভাপতি দেবদাস মন্ডল । লোকসভা ভোটের(lok sabha election 2024) বাকি আর কয়েকটি দিন। শাসক হোক বা বিরোধী সব রাজনৈতিক দলগুলিরই প্রস্তুতি একেবারে তুঙ্গে। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে নারাজ। রোজই চলছে ভোট প্রচার। এবারের লোকসভা ভোটে, পশ্চিমবঙ্গের ওপর বিশেষ নজর রেখেছে বিজেপি। তাই ভোট প্রচারে ও কোন অংশে পিছিয়ে নেই বিজেপি প্রার্থীরা। এবার জনসংযোগ বাড়াতে ভোট প্রচারে(election campaign) বেরিয়ে পড়েছেন শান্তনু ঠাকুরও।

 ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী(BJP candidate) শান্তনু ঠাকুর(Santanu thakur ), এদিন বনগাঁ মতিগঞ্জ থেকে একটি বাইক মিছিলের মাধ্যমে প্রচার শুরু করেন বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। মাথায় পাগড়ী পড়ে জিপের সামনের সিটে বসেন শান্তনু। অন্যদিকে স্টিয়ারিং হাতে গাড়ি চালাচ্ছেন বনগাঁ জেলার বিজেপি সভাপতি দেবদাস মন্ডল(Debashis Mondal)। আর গাড়ির পিছনে কয়েশো বাইক নিয়ে কর্মী সমর্থকরা। মতিগঞ্জ থেকে বাগদা পর্যন্ত এই প্রচার মিছিল হবে।

এদিন বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের প্রচারে আসার খবর পেয়ে বনগাঁ পাইকপাড়ায় মহিলারা তাঁকে স্বাগত জানাতে হাতে ফুলের থালা ও মালি নিয়ে দাড়িয়েছিলেন। এরপর পাইকপাড়ায় শান্তনুর মিছিল পৌছাতেই শঙ্খ বাজিয়ে পুষ্প বৃষ্টি শুরু হয়ে। মহিলারা মালা পড়িয়ে বরন করেন শান্তনুকে।

এদিন প্রচারের(election campaign) সময় শান্তনু ঠাকুর বলেন,"জেতার ব্যাপারে ২০০ শতাংশ আশাবাদী।" স্লোগান দিয়ে বলেন,আপকি বার দুশ বাইশ আপকি বার ২ লাখ ২২ পার।

উল্লেখ্য, এবারের লোকসভা ভোটে বনগাঁ কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের মনোনীত প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস(Biswajit das)। অর্থাৎ বিশ্বজিৎ দাসের প্রতিপক্ষ হয়েই এবারের লোকসভা নির্বাচনে লড়াইয়ে নামবেন বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। শান্তনু ঠাকুরের পাশাপাশি প্রচারের ময়দানে পিছিয়ে নেই কিন্তু বিশ্বজিৎ দাসও। ভোটের শেষ মুহূর্তে প্রচার চালাচ্ছেন তিনিও। বনগাঁয় ২০ মে পঞ্চম দফার ভোট। আর ৪ জুন ভোটের ফল(election result) প্রকাশের পরেই জানা যাবে জিত কার।

Sweta Chakrabory | 11:00 AM, Fri Apr 05, 2024

 Lovely Maitra: তৃণমূল নেত্রীর পুলিশ স্বামীকে অপসারণ-সঠিক সিদ্ধান্ত বলল বিজেপি


নিউজ ডেস্ক: স্ত্রী তৃণমূলের বিধায়ক। স্বামী কলকাতা পুলিশের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার। স্বাভাবিক ভাবেই তার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। তাই সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়ক অরুন্ধতি মৈত্র সিনেমা জগতে যার নাম লাভলী মৈত্র তার স্বামী ডিসিপি সাউথ ওয়েস্ট সৌম্য রায়কে(DCP Soumya Roy) ভোটের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে কমিশন। ভোটের কোনও কাজে থাকতে পারবেন না সৌম্য রায়, এমনটাই জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন(election commission), সৌম্যকে অ-নির্বাচনী কোনও পদে বদলি করতে হবে। কমিশনের এই সিদ্ধান্তের পরেই মেজাজ হারিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূলের তারকা বিধায়ক লাভলী মৈত্র (lovely maitra) ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিজেপি নেতাদের মতে ঢিলটা যে ঠিক জায়গায় লেগেছে তা স্পষ্ট হয়ে গেছে। স্বামীর অপসারণে গোঁসা হয়েছে লাভলির। তাঁর স্বামীকে এভাবে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনাকে পূর্ব পরিকল্পিত বলেই ব্যাখ্যা করছেন তিনি। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে মুখের যা ভঙ্গি ছিল অভিনেত্রী বিধায়কের তাতে তার আচরণ স্পষ্ট ধরা পড়ে যায়। লাভলি বলেন " নির্বাচন কমিশন, ইডি, সিবিআই সবটাই বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে চলে। আগে বিধানসভা নির্বাচনের সময়েও সরিয়েছে।”

প্রশ্ন উঠছে কোন বাড়তি সুবিধায় খামতি হয়ে যাবে সৌম্যর অপসারণে। তবে এটাই প্রথম নয় ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের আগেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল সৌম্য রায়কে। বিধানসভা ভোটের পর লোকসভা ভোটেও ফের সৌম্য রায়ের অপসারণ। স্ত্রী স্বামীর অপসারণে ক্ষুব্ধ হয়েছে তা মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও তার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এক ডিসিপির অপসারণে মুখ্যমন্ত্রীর কেন বিচলিত তা অবাক করেছে অনেককে। মমতা বলেন, “কেউ বিধায়ক হলে তাঁর স্বামীকে সরে যেতে হবে?’

তবে শুধুমাত্র সৌম্য রায় অপসারিত হয়েছেন এমন নয়। পূর্ব মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের জেলাশাসককেও অপসারিত করা হয়েছে। এর আগে ডিজিপি রাজীব কুমারকে অপসারিত করা হয়েছিল। এবিষয়ে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ প্রত্যেকের উপর নির্বাচন কমিশনের নজর রয়েছে। যেখানে পক্ষপাত পাওয়া যাবে সেখানে ব্যবস্থা নেবে কমিশন। যে অফিসারদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের পক্ষ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বুঝিয়ে দিচ্ছেন আসলে নির্বাচন কমিশন সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

প্রসঙ্গত,কলকাতা পুলিশের ডিসি (দক্ষিণ-পশ্চিম) পদে সৌম্য রায়ের বদলি কে হবেন তা জানিয়ে রাজ্য সরকারকে কমিশনে তিন জন যোগ্য পুলিশ আধিকারিকের নাম পাঠাতে হবে। ৩ এপ্রিল রাজ্যের কাছ থেকে ওই তিনটি নাম চেয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন(election commission)।

Sweta Chakrabory | 15:29 PM, Wed Apr 03, 2024

Breaking DCP South Soumya Roy: বিধায়ক লাভলী মৈত্র স্বামী সৌম রায়কে সরালো কমিশন


আরও একবার বড় সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের। লোকসভা ভোটের আগে বিধায়ক লাভলী মৈত্র স্বামী সৌম রায়কে সরালো কমিশন। ডিসিপি সাউথ ওয়েস্ট সৌম্য রায় কে সরালো নির্বাচন কমিশন।

এর আগে বিধানসভা ভোটের আগেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল সৌম্য রায় কে।

সৌম্য রায়কে নির্বাচনের সঙ্গে কোনভাবেই যুক্ত নয় এমন পদে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন।কলকাতা পুলিশের ডিসি সাউথ ওয়েস্ট সৌম্য রায় হলফনামায় প্রকাশ করেছেন তার পরিবারের সদস্য সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। সেই সূত্রেই তাকে বর্তমান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন।

পুলিশ আধিকারিক সৌম্য রায় সম্পর্কে সোনারপুর দক্ষিণ কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক লাভলী মৈত্র স্বামী। সেই প্রসঙ্গই তিনি হলফনামায় দাবি করেন। তাকে মঙ্গলবার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরে সেই পদে নিযুক্ত করার জন্য পুলিশ আধিকারিকের নাম চেয়ে পাঠানো হয় নির্বাচন কমিশনের তরফে।

Sweta Chakrabory | 16:01 PM, Tue Apr 02, 2024

South 24 Paraganas: বৃদ্ধা শাশুড়িকে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ গৃহবধূর

নিউজ ডেস্ক: বৃদ্ধা শাশুড়িকে খুন করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করলেন গৃহবধূ। দক্ষিণ ২৪ পরগনা(south 24 paraganas) মহেশতলা পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লার গেট সাফা রায় পুর এলাকার ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, শাশুড়ি ও বৌমার মধ্যে রোজই গন্ডগোল লেগে থাকত। শনিবার রাত্রিবেলাও সেই অশান্তি হয়। এরপর রবিবার সকালে অভিযুক্ত বৌমা ভারতী নস্কর পৌঁছে যান থানায়।

থানায় গিয়ে অভিযুক্ত বলেন, “আমিই শাশুড়িকে খুন করেছি।” এরপর মহেশতলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বৃদ্ধার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে। এরপর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বেহালা বিদ্যাসাগর হাসপাতালে। সেখানে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার পরেই বৌমা ভারতী নস্করকে গ্রেফতার করেছে মহেশতলা থানার পুলিশ(maheshtala police station)।

পুলিশ সূত্রে খবর মৃত বৃদ্ধার নাম যমুনা নস্কর (৭৭)। বৃদ্ধার ছেলে বলেন, “আমি তো কিছুই জানতাম না। শুনলাম খুন হয়েছে। মায়ের গা থেকে রক্ত বেরচ্ছে।” ইতিমধ্যেই মহেশতলা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত (investigation)শুরু করেছে।

Sweta Chakrabory | 15:54 PM, Sun Mar 31, 2024

Bhabanipur Murder:নিমতায় জলের ট্যাঙ্কের নীচ থেকে উদ্ধার ব্যবসায়ীর দেহ! খুনের অভিযোগ বিজনেস পার্টনারের বিরুদ্ধে

নিউজ ডেস্ক: খাস কলকাতায় হাড়হিম করা ঘটনা। উত্তর ২৪ পরগনার নিমতা এলাকায় জলের ট্যাঙ্কের নীচ থেকে উদ্ধার ব্যবসায়ীর দেহ। বস্তাবন্দি করে রাখা হয়েছিল ওই ব্যাক্তির দেহ। ব্যবসায়ীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে, তার ‘বিজনেস পার্টনারে’র বিরুদ্ধে। নিহত ব্যবসায়ীর নাম ভাবো লাখানি। ভবানীপুরের বাসিন্দা তিনি। ঘটনাটির তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, জলের ট্যাঙ্কের নীচে বস্তাবন্দি দেহ রেখে রাতারাতি পাঁচিল তোলা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যবসায়িক অংশীদার অনির্বাণ গুপ্ত ও সুমন দাস নামে দু’জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে বালিগঞ্জ থানার পুলিশ।

জানা গেছে ওই মৃত ব্যাক্তি পরশু বাড়ি থেকে স্ত্রীকে বলে বেরিয়েছিলেন ব্যবসার কাজে। কিন্তু তারপর থেকে আর খোঁজ মেলেনি। এরপর মঙ্গলবার ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রী ভবানীপুর থানায় মিসিং ডায়েরি করেন। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ভবানীপুরের ওই ব্যবসায়ীর মোবাইল ফোন উদ্ধার করে বিডন স্ট্রিট থেকে। সেই ফোনেরই সূত্র ধরে পুলিশের হাতে তথ্য আসে। জানতে পারে মোবাইলের শেষ কথা হয় ব্যবসায়ীর নিমতার বন্ধুর সঙ্গে। এরপর বুধবার সকালেই তাঁর বাড়িতে হানা দিতেই উদ্ধার হয় ব্যবসায়ীর দেহ।

পুলিশ সূত্রে খবর, যে বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে, তার মালিক মৃত ব্যবসায়ীর পরিচিত। তাঁরা একসঙ্গে ব্যবসা করতেন। অভিযুক্তের সঙ্গে তাঁর ওষুধের ব্যবসা ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ মনে করছে, ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরে ৫০ লক্ষ্য টাকার দেনা পাওনার জেরেই খুন। ব্যবসায়ীকে নিমতায় ডেকে এনে মাথায় উইকেট দিয়ে বাড়ি মেরে খুন করে জলের ট্যাঙ্কের নীচে দেহ ঢুকিয়ে রাখা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, দেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রমাণ লোপাট করতে বাইরে পাঁচিল দিয়ে ঘিরে ফেলার চেষ্টা হয়। লালবাজার সূত্রের খবর, ঘটনার খবর পেয়েই গোটা বিষয়টি কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল নিজে খতিয়ে দেখতে শুরু করেন। তার সঙ্গে বালিগঞ্জ থানার পুলিশ এবং লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ যৌথভাবে তদন্তে সামিল ছিল। ।

Sweta Chakrabory | 12:38 PM, Wed Mar 13, 2024

Water Crisis In Kolkata: ক্রমশ তলানিতে ঠেকছে পানীয় জলস্তর! জল সঙ্কটে ভুগছে রাজ্য

নিউজ ডেস্ক: জল সঙ্কটে ভুগছে রাজ্য। কলকাতা সহ আসে পাশের একাধিক জেলায় গরম আসার আগেই জল সঙ্কটে ভুগছে এলাকাবাসী। শহরে পরিস্রুত পানীয় জলের চাহিদা মেটাতে তৈরি হয়েছে একের পর এক বুস্টার পাম্পিং স্টেশন। কিন্তু অভিযোগ একটাই, বুস্টার পাম্পিং স্টেশন তৈরির পরেও শহরে পানীয় জলের চাহিদা মিটছে না। গরম পড়তে শুরু করতে না করতেই শহরের সংযুক্ত এলাকায় জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে।

গরম কাল এলেই কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় মাথাচাড়া দেয় পানীয় জলের সমস্যা। কোথাও সরু হয়ে জল পড়ে। কোথাও আবার জল বিশেষ পড়ে না। এমনকী টাইম কলের সময়সীমাও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। দিনের পর দিন ধরে এই সমস্যা চলতে থাকছে। কলকাতার সল্টলেক সহ বেশ কিছু এলাকায় জলের চাহিদা পূরণ হয়না, এমনকি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার কিছু অংশেও পানীয় জলের সঙ্কটে ভুগছে মানুষ।

অন্যদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর থানার অন্তর্গত ধোসা চন্দনেশ্বর অঞ্চলের তিলপি, শ্যামনগর, গোবিন্দপুর, চন্দনেশ্বর সহ একাধিক গ্রামে গরম পড়তে না পড়তেই দেখা দিয়েছে তীব্র জলের সঙ্কট। গত কয়েক দিন ধরে নলকূপ থেকে জল পড়া পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। নলকূপের জল না পেয়ে বাধ্য হয়ে পুকুরের জলে রান্না করছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার এইসব গ্রামের বাসিন্দারা। এদিকে পুকুরের জলও শুকোতে শুরু করেছে। ফলে সবমিলিয়ে চরম সমস্যায় পড়েছেন সুন্দরবনের নদী সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে শহরে ৭২টি বুস্টার পাম্পিং স্টেশন রয়েছে। আরও ১৫টি বুস্টার পাম্পিং স্টেশন তৈরি হওয়ার পথে। তবু তা গরমকালের প্রবল জলের চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিতে পারছে না। জানা গেছে টালিগঞ্জ, কসবা, যাদবপুরের একাংশে পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। অন্যদিকে দিনে দিনে কলকাতায় জনসংখ্যা বাড়লেও মানুষের চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত জলের জোগান দিতে পারছেনা টালা ট্যাঙ্ক। উল্লেখ্য সামনেই লোকসভা ভোট, তাই তার আগে শহরবাসীর জলকষ্ট মেটাতে ৩ টি জল প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৪ টি জল প্রকল্পের শিলান্যাস করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা।

তবে এই প্রকল্প গুলি কবে কার্যকর হবে বা আদেও হবে কিনা সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। গরম প্রায় এসেই গেছে এর মধ্যে প্রকল্প গুলি কার্যকরী না হলে জল সঙ্কটে কিভাবে মকাবিলা করবে কলকাতাবাসী এখন সেই চিন্তাতেই কপালে ভাঁজ পড়েছে তাদের।

Sweta Chakrabory | 12:25 PM, Tue Feb 27, 2024

Baruipur: রোহিঙ্গার খোঁজে এবার কেন্দ্রের তথ্যানুসন্ধানী দল , খোঁজ মিলল আদেও,নাকি হাতছাড়া?

নিউজ ডেস্ক: মায়ানমারের গৃহযুদ্ধের আঁচ ছড়াচ্ছে এরাজ্যেও। রোহিঙ্গার খোঁজে এবার কেন্দ্রের তথ্যানুসন্ধানী দল এল দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে। শনিবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল পৌঁছয় বারুইপুর পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের হাড়দহ এলাকায়। এই এলাকায় বেশ কিছু রোহিঙ্গা পরিবার বসবাস করছে বলে কেন্দ্রীয় দলের কাছে খোঁজ ছিল।

সেই সূত্র ধরে এই গ্রামে ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল আসে। শনিবার তল্লাশি চালিয়ে সেখানে রোহিঙ্গাদের খোঁজ মেলে নি। তবে বসবাসের জায়গায় রাতের খাবারের চিহ্ন মিলেছে। তদন্ত আরও জোরালো করতে শনিবার বারুইপুর ও কুলতলি এলাকার বেশ কয়েকটি স্থানে যাবে কেন্দ্রের প্রতিনিধিদলটি। তদন্তের সাপেক্ষে এই সফরের বিস্তারিত রিপোর্ট দেবে কেন্দ্রীয় দলটি।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে মায়ানমারের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ। সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে বিদ্রোহীরা একের পর এক প্রদেশ দখল করে নিয়েছে। রাজধানী নেপিডো এবং আগের রাজধানী ঈয়াঙ্গনের মতো বড় শহর দুটি বাদে মাঝারি মানের বেশিরভাগ শহরই এখন বিদ্রোহীদের দখলে। গত মাসে দেশটির রাষ্ট্রপতি মিন্ট সোয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, বিদ্রোহীরা যেভাবে শক্তি সঞ্চয় করে এগচ্ছে তাতে মায়ানমার ভেঙে যেতে পারে। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাষ্ট্রপতির আশঙ্কা ইতিমধ্যেই সত্য প্রমাণিত হয়েছে। ভাঙনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণাই বাকি। এখনই প্রায় ৫২ শতাংশ ভূখণ্ড বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির দখলে। ফলে দেশে স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অচল হয়ে পড়েছে যানবাহন, বিদ্যুৎ, পানীয় জল এবং জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থা।

এই পরিস্থিতিতে লাখ লাখ মানুষ ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তে এসে জড়ো হয়েছে। তারা এই দুই দেশে আশ্রয় প্রার্থী। সাধারণ নাগরিকদের পাশাপাশি শতাধিক সেনা জওয়ান ও অফিসারও ভারত ও বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এবার সেই রোহিঙ্গা গোষ্ঠীর খোঁজেই কেন্দ্রের তথ্যানুসন্ধানী দল তদন্তে নেমেছে।

Sweta Chakrabory | 15:00 PM, Sat Feb 24, 2024

Rahul Gandhi: রাহুলের ঐশ্বর্য ভজনা! কংগ্রেস নেতার হাবুডুবু ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়

নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মুখে বারবার উঠে আসছে বলিউড সুন্দরী ঐশ্বর্য  রায়ের নাম। নিয়ম করে সভায় টানছেন ঐশ্বর্যর প্রসঙ্গ। পকেট্মার থেকে বাজারদর সবেতে “ঐশ্বর্য আর ঐশ্বর্য”। সেলবকে নিয়ে নেতার পাগলামি ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। সম্প্রতি একাধিক সভায় এই কংগ্রেস নেতা বিভিন্ন প্রসঙ্গে বারবার ঐশ্বর্য  রায়ের নাম উল্লেখ করেছেন। প্রসঙ্গত, রাহুল এখন তাঁর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা সফরে রয়েছেন উত্তর প্রদেশে। সেখানেই ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় হঠাৎই বলিউডকে টেনে আনলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তা-ও আবার চলচ্চিত্র জগতের খাস বচ্চন পরিবারের পুত্রবধূকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করতে গিয়ে অমিতাভ বচ্চন এবং তাঁর পুত্রবধূ ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের নাম করলেন রাহুল।

এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনা করতে গিয়ে রাহুল বলেন, ''রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা উৎসব দেখেছেন আপনারা? সেখানে কোনও OBC মুখ দেখেছেন? দলিত কিংবা আদিবাসীদের দেখা গিয়েছে? অথচ সেখানে ছিলেন অমিতাভ বচ্চন, ঐশ্বর্য রাই এবং নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু যারা সত্যিকারের দেশ চালায়, তাদের কাউকে দেখা যায়নি। এরা প্রমাণ করতে চায় যে আপনারা কখনওই দেশ পরিচালনা করতে পারবেন না।” রাহুল গান্ধীর এহেন মন্তব্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মোদির বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে তিনি যেভাবে বিগ বি এবং তাঁর পুত্রবধূ ঐশ্বর্যর নাম টেনেছেন, তা নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় অনেকেই আপত্তি প্রকাশ করেছেন।

এর আগেও রাহুল গান্ধী কে একাধিক সভায় নানান প্রসঙ্গে ঐশ্বর্যর নাম তুলে নানা বক্তব্য পেশ করতে শোনা যায়। কেন তিনি সবসময় বলিউড তারকাকেই নিশানা করছেন বা তার কথা উল্লেখ করছেন তা নিয়ে গুঞ্জন ছড়াচ্ছে। ফলে সাধারন জনতার মুখে মুখে এখন এ প্রসঙ্গই ঘুরপাক খাচ্ছে।

Editor | 16:28 PM, Wed Feb 21, 2024
upload
upload