Friday, September 20, 2024

Logo
Loading...
upload upload upload

Bhabanipur Murder:নিমতায় জলের ট্যাঙ্কের নীচ থেকে উদ্ধার ব্যবসায়ীর দেহ! খুনের অভিযোগ বিজনেস পার্টনারের বিরুদ্ধে

Sweta Chakrabory | 12:38 PM, Wed Mar 13, 2024

নিউজ ডেস্ক: খাস কলকাতায় হাড়হিম করা ঘটনা। উত্তর ২৪ পরগনার নিমতা এলাকায় জলের ট্যাঙ্কের নীচ থেকে উদ্ধার ব্যবসায়ীর দেহ। বস্তাবন্দি করে রাখা হয়েছিল ওই ব্যাক্তির দেহ। ব্যবসায়ীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে, তার ‘বিজনেস পার্টনারে’র বিরুদ্ধে। নিহত ব্যবসায়ীর নাম ভাবো লাখানি। ভবানীপুরের বাসিন্দা তিনি। ঘটনাটির তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, জলের ট্যাঙ্কের নীচে বস্তাবন্দি দেহ রেখে রাতারাতি পাঁচিল তোলা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যবসায়িক অংশীদার অনির্বাণ গুপ্ত ও সুমন দাস নামে দু’জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে বালিগঞ্জ থানার পুলিশ।

জানা গেছে ওই মৃত ব্যাক্তি পরশু বাড়ি থেকে স্ত্রীকে বলে বেরিয়েছিলেন ব্যবসার কাজে। কিন্তু তারপর থেকে আর খোঁজ মেলেনি। এরপর মঙ্গলবার ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রী ভবানীপুর থানায় মিসিং ডায়েরি করেন। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ভবানীপুরের ওই ব্যবসায়ীর মোবাইল ফোন উদ্ধার করে বিডন স্ট্রিট থেকে। সেই ফোনেরই সূত্র ধরে পুলিশের হাতে তথ্য আসে। জানতে পারে মোবাইলের শেষ কথা হয় ব্যবসায়ীর নিমতার বন্ধুর সঙ্গে। এরপর বুধবার সকালেই তাঁর বাড়িতে হানা দিতেই উদ্ধার হয় ব্যবসায়ীর দেহ।

পুলিশ সূত্রে খবর, যে বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে, তার মালিক মৃত ব্যবসায়ীর পরিচিত। তাঁরা একসঙ্গে ব্যবসা করতেন। অভিযুক্তের সঙ্গে তাঁর ওষুধের ব্যবসা ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ মনে করছে, ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরে ৫০ লক্ষ্য টাকার দেনা পাওনার জেরেই খুন। ব্যবসায়ীকে নিমতায় ডেকে এনে মাথায় উইকেট দিয়ে বাড়ি মেরে খুন করে জলের ট্যাঙ্কের নীচে দেহ ঢুকিয়ে রাখা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, দেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রমাণ লোপাট করতে বাইরে পাঁচিল দিয়ে ঘিরে ফেলার চেষ্টা হয়। লালবাজার সূত্রের খবর, ঘটনার খবর পেয়েই গোটা বিষয়টি কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল নিজে খতিয়ে দেখতে শুরু করেন। তার সঙ্গে বালিগঞ্জ থানার পুলিশ এবং লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ যৌথভাবে তদন্তে সামিল ছিল। ।

upload
upload