Governors reports Chiefs Ministers: মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রাজ্যপালের রিপোর্ট তলব, কটাক্ষ স্পিকারের
Sweta Chakra... | 18:12 PM, Thu Nov 14, 2024
Shantipur rash rituals: শান্তিপুরের ঐতিহাসিক রাস উৎসব: বড় গোস্বামী বাড়ি থেকে শুরু, এখনও রক্ষিত শতাব্দী প্রাচীন রীতি
Sweta Chakra... | 18:07 PM, Thu Nov 14, 2024
Kanchan Mullick: ''দয়া করে ওদের ছেড়ে দিন'', শিশুদিবসে বিশেষ অনুরোধ বাবা কাঞ্চন মল্লিকের
Sweta Chakra... | 17:27 PM, Thu Nov 14, 2024
Health Tips: স্বাস্থ্যের কথা ভেবে নন স্টিকে রান্না করেন? অজান্তেই বিপদ ডেকে আনছেন না তো?
Sweta Chakra... | 17:10 PM, Thu Nov 14, 2024
RG Kar Update: আর জি কর-কাণ্ডের ১০০ দিন পার, একগুচ্ছ কর্মসূচির ডাক অভয়া মঞ্চর
Sweta Chakra... | 16:52 PM, Thu Nov 14, 2024
Fire in srinagar school: শিশু দিবসের দিন শ্রীনগরের স্কুলে আগুন, সুরক্ষিত সমস্ত শিক্ষার্থী
Sweta Chakra... | 16:40 PM, Thu Nov 14, 2024
Ajay Chakrabortys brothers arrested: পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীর ভাই মুম্বইয়ে গ্রেফতার, প্রতিক্রিয়া কুণালের
Sweta Chakra... | 16:10 PM, Thu Nov 14, 2024
Indias beats South Africa: টি-টোয়েন্টিতে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়ে ভারত হারাল দক্ষিণ আফ্রিকাকে
Sweta Chakra... | 14:45 PM, Thu Nov 14, 2024
Guwahati: গুয়াহাটিতে ফাঁস সাইবার ক্রাইম সিন্ডিকেট, গ্ৰেফতার আট
Sweta Chakra... | 14:17 PM, Thu Nov 14, 2024
EPFO Wage Limit: সরকারি কর্মীদের ন্যূনতম বেতন বেড়ে ২৬,০০০! ইপিএফও-র নিয়মেও বদল আনার ভাবনা কেন্দ্রের
Sweta Chakra... | 13:40 PM, Thu Nov 14, 2024
Barasat Medical College: সরকারি হাসপাতালের বাইরের ভ্যাটে পরে শরীরের একাধিক অংশ! চাঞ্চল্য বারাসতে
Sweta Chakra... | 13:18 PM, Thu Nov 14, 2024
Sheikh Shahjahan: বিধায়ককে ‘হাতে রাখতে’ গাড়ি উপহার! শাহজাহানের বিরুদ্ধে চার্জশিটে কী দাবি ইডির?
নিউজ ডেস্ক: ফের একবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। দুর্নীতির টাকায় প্রভাবশালী এক বিধায়ককে দামি গাড়ি উপহার দিয়েছিলেন সন্দেশখালির শেখ শাহজাহান। এবার চার্জশিটে এমনটাই দাবি করল ইডি (ED)। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সংস্থা জানিয়েছে, ওই বিধায়ককে ‘হাতে রাখতে’ই এই উপহার দেওয়া হয়েছিল। তবে বিধায়ক বলতে কার কথা বলা হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট করেনি ইডি।
সূত্রের খবর, ইডিকে দেওয়া নিজের বয়ানেই শাহজাহান স্বীকার করেছেন যে এক বিধায়ককে উপহার হিসেবে গাড়ি কিনে দিয়েছিলেন তিনি। চার্জশিটের ৩০ নম্বর পাতায় রয়েছে শাহজাহানের বয়ান। সেখানেই তাঁর ওই স্বীকারোক্তি রয়েছে বলে খবর। চার্জশিটে ইডি জানিয়েছে, প্রভাবশালী মন্ত্রী এবং বিধায়কদের খুশি করতে মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন ধরনের দামি উপহার দিতেন শাহজাহান। এর মাধ্যমে সন্দেশখালি এলাকায় তিনি তাঁর প্রতিপত্তি বজায় রাখতেন। তেমনই এক বিধায়ককে দামি গাড়ি উপহার হিসাবে দিয়েছিলেন তিনি। ইডি তদন্ত করে জানতে পেরেছে, বিএন ঘোষের নামে সেই গাড়ি রেজিস্টার করা হয়েছিল। তবে গাড়ি কেনার খরচ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) নিজেই বহন করেছিলেন।
ইডির দাবি, জমি দখল দুর্নীতির টাকাতেই সেই গাড়ি কেনা হয়েছিল। তবে কোন বিধায়ককে ওই গাড়ি দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে চলছে চাপানউতোর। উল্লেখ্য, শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) মামলায় এখনও পর্যন্ত ২৬১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। এ ছাড়া শাহজাহানের তিনটি গাড়িও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। শাহজাহানের একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেখানে কয়েক কোটি টাকা গচ্ছিত রয়েছে। চার্জশিটে ইডি দাবি করেছে, সন্দেশখালিতে মাছের ব্যবসা, ইটভাঁটার ব্যবসা চালাতেন শাহজাহান। এই ব্যবসার মাধ্যমেই কালো টাকা সাদা করার কাজ চলত।
এছাড়াও দুর্নীতির টাকা আরও বিভিন্ন জায়গায় সরানো হয়েছে। এই মামলায় ইডি (ED) এর আগেও বহুবার দাবি করেছে যে, সন্দেশখালি জুড়ে কার্যত ত্রাসের সঞ্চার ঘটিয়েছিলেন শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। ওই এলাকায় তিনিই ছিলেন শেষ কথা। কোনও মন্ত্রী, বিধায়ক কিংবা সাংসদের প্রভাব সেখানে চলত না। তাই মন্ত্রী বিধায়কদের হাতে রাখতে মাঝে মাঝেই এই ধরণের দামি দামি উপহার দিতেন সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শেখ শাহজাহান।
Sheikh Shahjahan: ইডির বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ! চিঠি লিখে আদালতে জানাল শাহজাহান
নিউজ ডেস্ক: আরও একবার শিরোনামে শেখ শাহজাহান(sheikh shahjahan), এবার ইডির(ED) বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনে সোজা আদালতে চিঠি দিলেন সন্দেশখালির(sandeshkhali) ত্রাস শাহজাহান। ইডি হেফাজতে ‘জোর করে’ বয়ান লেখানো হয়েছে তাঁকে,এই মর্মেই অভিযোগ তুলে আদালতে আবেদন জানালেন শেখ শাহজাহান। তবে এ প্রসঙ্গে ইডি-র আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, এই চিঠি শাহজাহানের লেখা নয়। তাঁর আর্জি, এই চিঠিকে কোনও ভাবেই আদালতের রেকর্ডে না রাখা হয়। এই চিঠি গৃহীত হলে এতদিন শাহজাহান যে বয়ান দিয়েছেন, তার গ্রহণযোগ্যতা আর থাকবে না।
প্রসঙ্গত, শনিবারই শেষ হয় শাহজাহানের ইডি হেফাজতের মেয়াদ। তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে(bankshall court) তোলা হলে সওয়াল-জবাব চলাকালীনই তাঁর আইনজীবী প্রকাশ্যে আনেন শাহজাহানের লেখা ওই চিঠি। আদালত কক্ষেই পড়ে শোনান সেই চিঠি। চিঠির বয়ান শুনেই কার্যত শোরগোল শুরু হয়ে যায় আদালত কক্ষে।
শাহজাহানের লেখা চিঠিতে যা ছিল তা হল, “১/০৪/২৪ থেকে ১৩/৪/২৪ পর্যন্ত ইডি হেফাজতে থাকাকালীন আমাকে দিয়ে মিথ্যা বয়ান রেকর্ড করানো হয়েছে। হুমকি দেওয়া হয়েছে। বয়ান না দিলে আমি, আমার সহোদর এবং আত্মীয়দের মাদক মামলায়, জড়িয়ে দেওয়া হবে।”
এরপরেই চিঠির বয়ান নিয়ে ইডির আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন। ওই কাগজে আদৌ শাহজাহানের(sheikh shahjahan) লেখা রয়েছে কি না। এই কাগজ চিঠি না আবেদন, তা নিয়েও সওয়াল করেন ইডির আইনজীবী। আবেদনের পদ্ধতি এবং বক্তব্যেরও বিরোধিতা করেন। শেষ পর্যন্ত আদালত জানিয়ে দেয় চিঠি গ্রহণ করা হলেও ইডি স্পেশাল কোর্টে আগামী ১৫ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শুনানি হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত বলাগড়ের যুবনেতা কুন্তল ঘোষ এবং রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত শঙ্কর আঢ্যও একই অভিযোগ তুলেছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে।
Dilip Ghosh: 'বিজেপির কিছু লাগে না,ভোটই অস্ত্র'-দিলীপ ঘোষ
নিউজ ডেস্ক: আবার সরব দিলীপ ঘোষ(dilip ghosh),ভোটের মুখে এর আগে বারংবার শিরোনামে উঠে এসছেন দিলীপ ঘোষ। এবার আরও একবার শাসক দলকে নিশানায় আনলেন তিনি। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নানা প্রশ্নের উত্তর দেন দিলীপ ঘোষ। এদিন বর্ধমানের ডি ভি সি বাংলোর পাশের ময়দানে প্রাতভ্রমণে(morning walk) বের হন তিনি। সেখান থেকে নীলপুর বাজার হয়ে যান নীলপুর শ্রীগুরু সঙ্ঘের একটি আশ্রমে। তখনই সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে তিনি একাধিক বিষয়ে মত প্রকাশ করেন-
চেলা কাঠ প্রসঙ্গে- "চেলা কাঠ কেন? গোটা কাঠও দেব। যে যা ইচ্ছা বলবে, ওই দিন চলে গেছে। আমরা পালটা বলব। 'বিজেপির(BJP) কিছু লাগে না। ভোটই(vote) অস্ত্র। মানুষ ওটা দেবে আমাদের, ওভাবেই হারাবো।"
অনন্ত মহারাজ দলে আসার প্রসঙ্গে- "অনন্ত মহারাজ অনেক দিন বাইরে থেকে সাপোর্ট করেছেন। এবারে যোগ দিয়েছেন। ভাল কথা।
" শাজাহানের সি বি আই কে ভালো বলা প্রসঙ্গে- "শাজাহানকে(sheikh shahjahan) টি এম সি(TMC) ব্যবহার করেছে। টি এম সির হয়ে টাকা তুলেছে। দু মাস চেষ্টা করল ওকে নিয়ে। এখন ছেড়ে দিয়েছে। তবে সিবিআই তদন্ত করলে আরো অনেকে ধরা পড়বে। "
উল্লেখ্য গতকাল তৃণমূল কংগ্রেসের শিবিরে ঢুকে ভাষণ দিয়েছেন, শরবত খেয়েছেন দিলীপ। তাই নিয়ে প্রশ্ন এলে তিনি বলেন- "কোনো রঙ কারো কেনা না। ওরা ( তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা) আমায় ডেকেছেন। আমায় ভাষণ দিতে বলেছেন। আমি গেছি। টি এম সি যদি দুর্গাপূজা করে আমি যাব না। ওরা শ্লোগান দিয়েছেন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে। ওরা রাজনীতি(politics) ছাড়া কিছু বোঝেন না।ভালোবেসে খাওয়ালে শরবত মিষ্টি লাগে। ওরা কাল ভালোবেসে খাইয়েছেন আমি খেয়েছি। তৃণমূল ভয় পায়নি। পরিবর্তন হয়েছে। যারা আমার গাড়িতে হামলা করত তারাই যদি শরবত খাওয়ায় তাহলে বুঝতেই পারছেন।"
কীর্তি আজাদ প্রসঙ্গে- "আমি বলেছিলাম এক সপ্তাহ পরে দেখবেন। কীর্তি আজাদ(kirti azad) অনেক বড়বড় কথা বলেছিলেন। নমিনেশনের আগেই বুঝবেন কোথায় দাঁড়িয়ে আছেন। উনি লাল মেঘ দেখছেন। লাল মেঘ দেখলে গরু যেমন লাফায় তেমন লাফাচ্ছেন।"
নিয়োগ মামলায় এফ আই আর প্রসঙ্গে- "নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এফ আই আর হয়েছে। মানুষ ক্ষুদ্ধ। বিচার প্রক্রিয়া লম্বা হলে মানুষ আশাহত হবেন। এবারে আশাকরি ওরা সাজা পেয়ে যাবেন।"
বিনয় তামাং প্রসঙ্গে- "বিনয় তামাং(binay tamang) এন্ড কোম্পানি আমার উপর হামলা করেছিল। আমার এফ আই এর নেয়নি। এখন এফ আই আর হয়েছে। ধর্মের কল বাতাসে নড়ে।"
ত্রাণ প্রসঙ্গে- "সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করবে। কিন্তু সেই টাকা যদি ভুল করে টি এম সি র লোকেদের অ্যাকাউন্টে ঢুকে যায়। কমিশন বিরোধিতা করেছে। আমরাও করেছি। "
Sheikh Shahjahan: সন্দেশখালির বাঘ কে শুনতে হল চোর চোর স্লোগান
নিউজ ডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্যায় জ্যোতপ্রিয় মল্লিকের পর এবার শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। শাহাজাহানকে দেখে চোর চোর স্লোগান দিল রোগীর পরিজনেরা। সূত্রের খবর, শেখ শাহজাহানকে যখন মেডিকেল চেক আপ করে বের করা হয় তখন সেখানে উপস্থিত রোগীর পরিজনেরা চোর স্লোগান তোলেন। শাহজাহানকে দেখে স্লোগানের সঙ্গে চলে লাগাতার বিক্ষোভ।
উল্লেখ্য শুক্রবার শাহাজাহানকে স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর জোকা ইএসআই হাসপাতাল (joka ESI Hospital) থেকে বার করার সময় ‘চোর চোর’ স্লোগান তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বেশ কয়েজন সাধারণ মানুষ। তাদের দাবি, যারা ভোট লুঠ করে তাদের তিহাড়ে পাঠিয়ে দেওয়া হোক। তাঁদের যারা নিরাপত্তা দিচ্ছে সেই বাহিনীকে সন্দেশখালির স্পর্শকাতর বুথে মোতায়েন করা হোক। ভিড়ের মাঝেই একজন তো চেঁচিয়ে বলে উঠলেন, “এদের গুলি করে মেরে ফেলা হোক। এনকাউন্টার করা হোক। এরা সন্দেশখালির(sandeshkhali) ত্রাস।”
পাশাপাশি আরেক বিক্ষোভকারী বলেন, যারা মহিলাদের সম্মান নিয়ে খেলা করে, ভোটের সময় বুথ দখল করে তাদের কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে কেন? এদের তিহাড়ে পাঠিয়ে সেই নিরাপত্তা বুথগুলিতে দেওয়া উচিত।
অন্যদিকে ইডির নজরে এসেছে সন্দেশখালির এই নেতার হিসাবের খাতা। ঠিক যেন সারদার লাল ডায়েরি কিংবা খাদ্য কেলেংকারির মেরুন ডায়েরি সেই ধাঁচেই একটি সাদা রঙের খাতার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে খোদ শাহজাহান এবং তাঁর কর্মচারী, ঘনিষ্ঠদের জেরা করে।
ইডি সূত্রে খবর, শাহজাহানের বিরুদ্ধে যে সমস্ত দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, ব্যাঙ্কের নথিতে (bank details) তার হিসাব নেই। তবে কি শাহজাহানের সেই সাদা খাতাতেই মিলবে কালো টাকার হিসাব? এই ডায়রি(accounts copy) কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। শাহজাহানের লেনদেন সংক্রান্ত যে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি, ওই খাতার পাতা থেকে মিলতে পারে সব উত্তর,এমনটাই মনে করছে তদন্তকারী সংস্থা।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ইডি(ED) হেফাজতে আছেন সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহান। রেশন দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে এই শাহজাহানের বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে সন্দেশখালির সাধারণ মানুষের জমি-ভেড়ি জবর দখলেরও অভিযোগ রয়েছে শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার শেখ শাহজাহানকে হেফাজতে নিয়েছে ইডি। ইডির দাবি, চিংড়ি রফতানির নামে অন্তত ১৩৭ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে শেখ শাহজাহান।
যদিও রেশন দুর্নীতি ও টাকা পাচারের অভিযোগে আগেই নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছে শেখ শাহজাহান। তিনি দাবি করে, তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক চক্রান্ত হচ্ছে।
TMC Leaders drug connection: শাহজাহান বাহিনীর মাদক যোগ!
নিউজ ডেস্ক: ফের প্রসঙ্গে সন্দেশখালি (sandeshkhali), আর শেখ শাহাজাহান। সন্দেশখালিকাণ্ডের পরে নতুন নতুন অভিযোগ উঠতে থাকে শেখ শাহজাহান ও তার অনুগামীদের (sheikh shahjahan) বিরুদ্ধে। এবার শাহজাহানের ড্রাগ ব্যবসার অভিযোগ উঠল। তবে এর অনেক আগে শাহজাহানদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং সাধারণ সম্পদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়।
২০২২ সালে সুকান্ত মজুমদার(sukanta majumder) ও জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়(jagannath chaterjee) সাংবাদিক বৈঠক করে উত্তর ২৪ পরগনায় ড্রাগ পাচারের একটি অভিযোগ করেছিলেন। সেখানেই উঠে এসেছিল সন্দেশখালির দুই দাপুটে নেতা শেখ শাহজাহান ও শিবু হাজরার নাম। বলা হয়েছিল, প্রায় ৪০ কেজি হেরোইন শরিফুল এন্টারপ্রাইজের (sariful enterprise) নামে কলকাতা বন্দরে এসেছিল। তখনই শরিফুল নামটি প্রকাশ্যে আসে। এরপরেই এই অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে হেরোইন চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে জেলিয়াখালির তৃণমূল নেতা শরিফুল মোল্লার (Sariful Molla)বিরুদ্ধে।
দেড় বছর আগেই হেরোইন মামলার তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। সেই তদন্তের ফলাফল হিসেবেই সন্দেশখালির শেখ শাহজাহানের সঙ্গে সমান্তরালভাবে উঠে এসেছে শেখ শরিফুলের নাম। মাদক মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত জানা গেছে ,শরিফুলের বিরুদ্ধেই একটা সময়ে যৌথ অভিযান চালিয়েছিল গুজরাট এটিএস ও ডিরেক্টরেট অব্ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স। তখন শরিফুলের বাড়িতে ইঞ্জিনিয়ারিং যন্ত্রাংশের সরঞ্জামের মধ্যে থেকে প্রায় ৪০ কেজি হেরোইন উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। এই বিপুল পরিমাণ মাদকের দাম ছিল প্রায় ২০০ কোটি টাকা।
বর্তমানে সিবিআই(CBI) হেফাজতে রয়েছে সন্দেশখালির বাঘ শেখ শাহজাহান। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে প্রতি দিনই নতুন নতুন অভিযোগ উঠছে। এরই মাঝে মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, “ শরিফুল মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত আমরাই সবার আগে অভিযোগ করেছিলাম। এখন তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করছে। ধীরে ধীরে সব দিনের আলোর মত পরিষ্কার হয়ে যাবে।”
প্রসঙ্গত বিজেপির একাধিক নেতা আগেই দাবি করেছেন যে সংস্থার মাধ্যমে হেরোইন চক্র চলত ওই সংস্থার মালিক শরিফুল ইসলাম মোল্লা তৃণমূলের ‘ঘনিষ্ঠ’। সন্দেশখালি ১ ও ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শিবু হাজরা(shibu hazra) এবং শাহজাহানের সঙ্গে শরিফুলের যোগাযোগ রয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছিল বিজেপির পক্ষে। সেই সূত্রেই শাহজাহানের মানহানির মামলা।
Sandeshkhali: ফের উত্তপ্ত সন্দেশখালি! শাহজাহান না থাকলেও দাপট চলছে শাহজাহান অনুগামীদের
নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে ফের ক্ষোভের আগুন। শাহজাহান না থাকলেও শাহজাহান অনুগামীদের দাপট চলছে সন্দেশখালিতে। স্থানীয় মহিলাদের ওপর শাহজাহান অনুগামীদের অত্যাচারের অভিযোগ। একই সঙ্গে সন্দেশখালিতে একাধিক জমি দখলের অভিযোগ বাসিন্দাদের।
৫ জানুয়ারি ইডির ওপর হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার ফের সরবেড়িয়া এলাকার শাহজাহান অনুগামীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজাম প্যালেসে তলব সিবিআইএর।
High Court On Sandeshkhali Case: খুনের মামলায় অসন্তোষ হাই কোর্টের,শাজাহানদের বাড়ল সিবিআই হেফাজত
নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে তিন বিজেপি কর্মী খুনের মামলায় পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাই কোর্ট। অভিযোগ, খুনের মামলায় পুলিশের চার্জশিট থেকে শেখ শাহজাহান সহ তাঁর ঘনিষ্ঠদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার এর কারণ জানতে চেয়েই অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। ১ এপ্রিল এর লিখিত বক্তব্য দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এদিকে, সন্দেশখালিতে অশান্তির ঘটনায় শেখ শাহজাহান ও তাঁর ভাই শেখ আলমগীর সহ শাজাহান ঘনিষ্ট জিয়াউদ্দিন মোল্লা, ফারুক আকুঞ্জী, মাহফুজার মোল্লা, দিদার বক্স মোল্লা সহ নয়জনকে শুক্রবার বসিরহাট আদালতে তোলা হয়। তার প্রেক্ষিতে শেখ শাহাজান, মেহবুর মোল্লা, সুকমল সরদার কে ৬ দিনের সিবিআই হেফাজত, বাকি দিদার বক্স মোল্লা ও জিয়াউদ্দিন মোল্লাকে ৪ দিন এবং মাফুজার মোল্লা ও শেখ আলমগীরকে ৯ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি, ফারুক আকুঞ্জি ও সিরাজুল মোল্লাকে ৬ দিনের জেলে হেফাজতের নির্দেশ দেয় বসিরহাট আদালত।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে ৬ জুন সন্দেশখালিতে ৩ বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনাতেও শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু সেই ঘটনায় পুলিশের চার্জশিটে শেখ শাহজাহান সহ বাকিদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। পরে শাহজাহান জামিন পেয়ে যান। ওই চার্জশিটকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে মামলা দায়ের করে মৃত বিজেপি কর্মীদের পরিবার।
এদিন মামলায় পরিবারের আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, "অনেক দিন সময় নিয়েছে রাজ্য। আর সময় দেওয়া যায় না। প্রত্যক্ষদর্শী শাহাজাহানের নাম নিয়েছে। তারপরেও নাম বাদ দেওয়া হয়েছে তাঁর।" যদিও রাজ্যের দাবি, "চার্জশীট জমা পড়েছে। তবে চার্জ ফ্রেম হয়নি এখনও।” এনিয়ে রাজ্য পাল্টা হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য সময় চায়।
Sheikh Shahjahan:শাহজাহান বাহিনীর মোট ৩টি গাড়ি বাজেয়াপ্ত! গাড়ি কেনার অর্থ উৎস জানতে চায় ইডি
নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় আবারও সক্রিয় ইডি। বৃহস্পতিবার সন্দেশখালি থেকে শাহজাহান বাহিনীর মোট তিনটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে ইডি। জানা গেছে এর মধ্যে একটি গাড়ির মালিক শেখ শাহজাহান নিজেই, একটি গাড়ি তাঁর ভাই শেখ আলমগীরের। অন্য গাড়িটির মালিক শাহজাহান ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীর। ইতিমধ্যেই এই গাড়িগুলিকে বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা।
শেখ শাহাজাহানের মালিকানাধীন গাড়িটি ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি কেনা হয়। দাম ২০ থেকে ২৩ লক্ষ টাকা। গত বছরের ডিসেম্বরে কেনা হয় শেখ আলগমীরের মালিকানাধীন গাড়িটি। দাম ২৪ থেকে ২৭ লক্ষ টাকা। এছাড়াও পাঞ্জাবের সংস্থার নামে রেজিস্ট্রেশন যে গাড়িটির , সেটি ২০১৮ সালের ৭ মে কেনা হয়। দাম ১৭ থেকে ২০ লক্ষ টাকা। এই গাড়িগুলি কেনার অর্থের উৎস সম্পর্কে জানতে চায় ইডি। এত টাকা কোথা থেকে এল, কেনই বা এই সব বিলাসবহুল গাড়ি বিভিন্ন নামে কেনা হয়, সবকিছুর উত্তর খুঁজছে ইডি।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সন্দেশখালিতে তল্লাশি চালানোর সময় শাহজাহানের এই বিলাসবহুল গাড়ি গুলির খোঁজ পান ইডি আধিকারিকরা। সন্দেশখালির সরবেড়িয়া নতুন বাজারে একটি গোপন গ্যারাজ থেকে গাড়িগুলি বাজেয়াপ্ত করে তারা। ইডি সূত্রে জানা গেছে এই গাড়িগুলির সাহায্যেই শাহজাহান ৫৬ দিন ধরে তদন্তকারীদের চোখে ধুলো দিয়ে একের পর এক আস্তানা বদলেছেন।
উল্লেখ্য রেশন বণ্টন দুর্নীতির তদন্তে ইতিমধ্যেই শাহজাহানের ১২ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। এদিন সরবেড়িয়ায় এক মাছ ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালান ইডির গোয়েন্দারা। ইডির অনুমান, শাহজাহানের কালো টাকা মাছ ব্যবসায় বিনিয়োগ হয়েছে। সূত্রের খবর, মূলত এই ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচার করা হয়েছে। এদিন সে বিষয়েই তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করেন তদন্তকারীরা। সবমিলিয়ে ৯ ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশি অভিযান। বেশ কিছু নথি ওই ব্যবসায়ীদের বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে খবর।
Film Based On Sandeshkhali: অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালি এবার রুপোলী পর্দায়
নিউজ ডেস্ক: বাস্তবের ঘটনা এবার সিনেমার পর্দায়। সন্দেশখালির বাঘ শেখ শাহাজাহানের কর্মকাণ্ড এবার ফুটে উঠবে রুপোলী পর্দায়। সন্দেশখালির ঘটনার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠবে সিনেমা। ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে সিনেমার পোস্টার। সিনেমার চিত্রনাট্য লিখেছেন অমিতাভ সিং ও ইশা বাজপেয়ী।
সিনেমাটি প্রযোজনা করবেন সুমিত চৌধুরী এবং কেওয়াল শেঠি। সৌরভ তেওয়ারি পরিচালিত সিনেমাটির কাজ শুরু হবে ২০২৪ সালের আগস্টে। ছবি মুক্তি পাবে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে। কাস্টও নাকি ঠিক হয়ে গেছে। তবে, কারা কারা অভিনয় করছে তা এখনও জানা যায়নি। সিনেমার নাম আপাতত ঘোষণা করেননি নির্মাতারা। তবে টিজার পোস্টারে সন্দেশখালি নামটি জ্বলজ্বল করছে।
প্রসঙ্গত, সন্দেশখালির ঘটনায় বর্তমানে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। সন্দেশখালির তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা গেছে ইতিমধ্যেই। তাঁর বিরুদ্ধে জমি দখল ও যৌন নিপীড়নের অভিযোগও আছে। ৫০ দিন ফেরার থাকার পর অবশেষে শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিস। ২৯ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবনের সন্দেশখালি দ্বীপ থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে মিনাখা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। যৌন হয়রানির অভিযোগ ছাড়াও, শাহজাহানের বিরুদ্ধে রেশন কেলেঙ্কারির মামলাও রয়েছে। তবে এখনও প্রমাণ হয়নি সেখানকার মানুষদের অভিযোগ সত্যি নাকি মিথ্যা। এবার সেই ঘটনা নিয়েই বানানো হবে ছবি।
সম্প্রতি বঙ্গসফরে এসে সন্দেশখালিকে হাতিয়ার করেই লোকসভা ভোটের প্রচার করে গিয়েছেন খোদ নরেন্দ্র মোদি। এবার সেই অঞ্চলের রাজনৈতিক নেতাদের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে মহিলাদের প্রতিবাদ যখন সিনেম্যাটিক ভাষায় উঠে আসবে, তখন সেই ছবি নিয়ে যে আলাদা কৌতূহল থাকবে, তা বলাই বাহুল্য।
Sandeshkhali Breaking: শেখ শাহাজাহানের বাড়িতে বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সিবিআই টিম
শেখ শাহাজাহানের বাড়ি ঘিরে রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ইডির সিল করা তালা খুলে শাহাজাহানের বাড়িতে ঢুকল সিবিআই। সন্দেশখালির আকুঞ্জিপাড়ায় পৌঁছলো সিবিআই এর বিশাল টিম। ২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে শেখ শহাজাহানের বাড়িতে সিবিআই। সিবিআই এর সঙ্গে হাজির ইডির দুই অফিসার। ৫ জানুয়ারি আক্রান্ত হওয়া ইডির দুই অফিসারকে নিয়ে শুক্রবার এলাকায় যায় সিবিআই। ঘটনার ২ মাস পর ঘটনাস্থলে কেন্দ্রীয় ফরেনসিক দল। শেখ শাহাজাহানের বাড়িতে ভিডিওগ্রাফি কেন্দ্রীয় ফরেনসিক দলের।পাশাপাশি এলাকা থেকে নমুনা সংগ্রহও করে ফরেনসিক দল।
Sheikh Shahjahan: শেখ শাহজাহানকে হেফাজতে নিতে ভবানী ভবনের পথে রওনা CBI এর টিমের
আদালতের নির্দেশ মানতেই বুধবার বিকেলে ফের ৬ টি গাড়ি নিয়ে ভবানী ভবনের পথে রওনা CBI এর টিমের। মঙ্গলবারের পর বুধবারও ফের হাইকোর্টে ধাক্কা রাজ্যের। হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে , বিকেল ৪টে ১৫ মিনিটে মধ্যে CBIএর হাতে তুলে দিতে হবে শেখ শাহজাহানকে। এরপর হাইকোর্টের নির্দেশ পেয়েই তৎপর হয় CBI.
প্রসঙ্গত আদালতের নির্দেশের পরেও ধৃত শাহজাহান শেখকে নিজেদের হেফাজতে পায়নি সিবিআই। বুধবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে আইনজীবী বিরাজ ত্রিবেদী বলেন,'মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টের মধ্যে শাহজাহান শেখকে সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করার নির্দেশ মানেনি রাজ্য পুলিশ'।শেখ শাহজাহানকে CBI কে হস্তান্তর করেনি CID.
Sheikh Shahjahan: ড্রাইভার থেকে সন্দেশখালির ত্রাস!শাহাজাহানের রোমহর্ষক কাহিনী
নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিসদের মৎস কর্মাধক্ষ্য। সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লকের তৃনমূল কংগ্রেস সভাপতি। কিন্তু সেই সাধারণ নেতার হাতেই নাকি সন্দেশখালীর গোটা সাম্রাজ্য রয়েছে। রাজনৈতিক মহলে শেখ শাহজাহান রাজ্যের অন্যতম তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। যিনি এই মুহূর্তে রেশন দুর্নীতি মামলায় জেল বন্দি। সন্দেশখালির আনাচে কানাচে কান পাতলেই শোনা যায় বাম জমানার শেষ দিক থেকে সন্দেশখালিতে উত্থান হতে শুরু করে শেখ শাহজাহানের।
মাথার উপরে লাল ঝাণ্ডার ছায়ায় কোনরকম ঝামেলা ছাড়াই উঠে পড়েন এই নেতা। তার বিরুদ্ধে মানব পাচারের অভিযোগ ও শোনা যেতে শুরু করে। গরু পাচার, কাঠ পাচারের মতো উল্লেখযোগ্য অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। একসময় উঠেছিল হেরোয়িন পাচার ও ব্যবসার অভিযোগ। যিনি নিজে নাকি সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে ভারতে এসেছিলেন। এমনটাও শোনা যায় কানাঘুষো।
এরপরে বামেদের সরিয়ে ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। ক্ষমতা থেকে বামেরা সরে যাওয়ার পর সেই বাহিনীর সঙ্গ ত্যাগ করে শাহজাহান। যোগ দেন তৃণমূলে। সেখানে এক শীর্ষ নেতার হাত ধরে তৃণমূলে পদ পান শাজাহান। তারপরেও প্রতি পদ ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে থাকে। শুধু তাই নয় ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে নুসরাত জাহানকে বসিরহাট থেকে প্রার্থী করে তৃণমূল। তখন নাকি সংখ্যা লঘু ভোটব্যাংক নিশ্চিত করতে বহু কাঠখড় পুড়িয়ে ছিলেন শেখ শাহজাহান। যা নুসরাতের জয়ের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নেয়। এমনটাই সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা।
অন্যদিকে শাহজাহানের মদতে রোহিঙ্গাদের শিবির চলে বলেও অভিযোগ। সূত্রের খবর,ইডির আধিকারিকরা মনে করছেন রেশন দুর্নীতিতে বড়সড়ো ভূমিকা রয়েছে এই শেখ শাহজাহানের। এলাকায় নাকি তার ইশারাতে গাছের পাতা নড়ে। তবে বর্তমানে কিছুদিনের মধ্যে সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে পরিস্থিতি। গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে কুর্সি ছেড়ে গোপন ডেরায় আস্তানা নিয়েছিলেন সন্দেশখালীর এই বেতাজ বাদশা। এরপর থেকেই তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সুর চড়িয়ে ছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। সন্দেশখালি মহিলারা এতদিন ভয়ে মুখে কুলুপ এঁটে থাকতে বাধ্য হয়েছিল। কিন্তু আজ তারাই ঝাঁটা লাঠি হাতে নিয়ে প্রতিবাদে এমেছেন রাস্তায়।
জানা যায় বেশিরভাগ জমিই নাকি গ্রামবাসীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছিলেন শেখ শাহজাহান। সেখানে গড়ে উঠেছিল তার মাছের ভেড়ি। এছাড়াও জমি জবর দখল, মানব পাচার, মহিলাদের শ্লীলতাহানি ছাড়াও আরো বড় বড় কুকীর্তির অভিযোগ রয়েছে শাহাজাহানের বিরুদ্ধে। এক কথায় বলা বাহুল্য সন্দেশখালি তে এক ট্রেকার ড্রাইভার থেকে সেখানকার বেতাজ বাদশা হিসেবে শেখ শাহজাহানের উত্থানের কাহিনী হার মানাবে সিনেমার গল্পকেও।