Governors reports Chiefs Ministers: মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রাজ্যপালের রিপোর্ট তলব, কটাক্ষ স্পিকারের
Sweta Chakra... | 18:12 PM, Thu Nov 14, 2024
Shantipur rash rituals: শান্তিপুরের ঐতিহাসিক রাস উৎসব: বড় গোস্বামী বাড়ি থেকে শুরু, এখনও রক্ষিত শতাব্দী প্রাচীন রীতি
Sweta Chakra... | 18:07 PM, Thu Nov 14, 2024
Kanchan Mullick: ''দয়া করে ওদের ছেড়ে দিন'', শিশুদিবসে বিশেষ অনুরোধ বাবা কাঞ্চন মল্লিকের
Sweta Chakra... | 17:27 PM, Thu Nov 14, 2024
Health Tips: স্বাস্থ্যের কথা ভেবে নন স্টিকে রান্না করেন? অজান্তেই বিপদ ডেকে আনছেন না তো?
Sweta Chakra... | 17:10 PM, Thu Nov 14, 2024
RG Kar Update: আর জি কর-কাণ্ডের ১০০ দিন পার, একগুচ্ছ কর্মসূচির ডাক অভয়া মঞ্চর
Sweta Chakra... | 16:52 PM, Thu Nov 14, 2024
Fire in srinagar school: শিশু দিবসের দিন শ্রীনগরের স্কুলে আগুন, সুরক্ষিত সমস্ত শিক্ষার্থী
Sweta Chakra... | 16:40 PM, Thu Nov 14, 2024
Ajay Chakrabortys brothers arrested: পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীর ভাই মুম্বইয়ে গ্রেফতার, প্রতিক্রিয়া কুণালের
Sweta Chakra... | 16:10 PM, Thu Nov 14, 2024
Indias beats South Africa: টি-টোয়েন্টিতে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়ে ভারত হারাল দক্ষিণ আফ্রিকাকে
Sweta Chakra... | 14:45 PM, Thu Nov 14, 2024
Guwahati: গুয়াহাটিতে ফাঁস সাইবার ক্রাইম সিন্ডিকেট, গ্ৰেফতার আট
Sweta Chakra... | 14:17 PM, Thu Nov 14, 2024
EPFO Wage Limit: সরকারি কর্মীদের ন্যূনতম বেতন বেড়ে ২৬,০০০! ইপিএফও-র নিয়মেও বদল আনার ভাবনা কেন্দ্রের
Sweta Chakra... | 13:40 PM, Thu Nov 14, 2024
Barasat Medical College: সরকারি হাসপাতালের বাইরের ভ্যাটে পরে শরীরের একাধিক অংশ! চাঞ্চল্য বারাসতে
Sweta Chakra... | 13:18 PM, Thu Nov 14, 2024
Sunita Williams: দিনে দিনে কমছে ওজন! শীর্ণকায়া সুনীতার ছবি দেখে চমকে উঠল বিশ্ব, কী বলছে নাসা
নিউজ ডেস্ক: গত পাঁচ মাস ধরে মহাকাশযানের ছোট্ট গণ্ডিতেই সীমাবদ্ধ সুনীতা উইলিয়ামসের দুনিয়া। এক দিন এক দিন করে মহাকাশে ১৫০ দিন পার করে ফেলেছেন সুনীতা ও তাঁর সঙ্গী বুচ উইলমোর। সম্প্রতি নাসার পক্ষ থেকে সুনীতার যে ক’টি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে তাতে সুনীতার জন্য উদ্বেগ বাড়ছে বই কমছে না বিশ্ববাসীর। এই পাঁচ মাসে তাঁর ওজন এতটাই হ্রাস পেয়েছে যে সুনীতাকে অত্যন্ত শীর্ণকায় লাগছে। তাঁর এতটাই ওজন হ্রাস পেয়েছে, যা চিন্তা বাড়িয়েছে নাসারও।
দিনটা ছিল ৫ জুন৷ পৃথিবীর মাটি থেকে পাড়ি দিয়েছিল বোয়িং স্টারলাইনার৷ গন্তব্য মহাকাশ৷ তাঁর সঙ্গে সঙ্গী হয়েছিলেন বুচ উইলমোর৷ সমস্যা ঘটে তারপর থেকেই৷ ইন্টারন্যাশানাল স্পেস স্টেশনে কয়েকমাস পরও ফিরে আসতে পারেন নি, তাঁরা৷ সময় আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকায় শরীরের অবস্থার ক্রমশ অবনতি হচ্ছে৷ সুনীতা উইলিয়ামস যখন যাত্রা শুরু করেছিল, তখন তাঁর ওজন ছিল প্রায় ৬৩ কেজি৷ কিন্তু সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদপত্রে তাঁর যে ছবি প্রকাশ পেয়েছে তা রীতিমতো আশঙ্কাজনক৷ মহাকাশ থেকে পাঠানো ছবিতে সুনিতার ভাঙা চোয়াল, শীর্ণকায় চেহারা দেখে, চিন্তিত নাসাও৷ কিন্তু প্রাণহানির কোনও আশঙ্কা নেই৷
নাসার এক প্রতিবাদে বলা হয়েছে, মহাকাশের ভ্রমণের সময় বিপাকের পরিবর্তন হয়৷ এর ফলেই পুরুষ নভোচরদের তুলনায় মহিলাদের দ্রুত পেশি ক্ষয় হয়৷ মহাকাশে বেশিদিন থাকলে দ্রুতহারে কমতে থাকে লাল রক্তকণিকার পরিমাণ৷ এর ফলে রক্তাল্পতার মতো সমস্যা দেখা যেতে পারে৷ বিভিন্ন গবেষণায় জানা গিয়েছে, মহাকাশে থাকাকালীন প্রায় প্রতি সেকেন্ডে তিন লক্ষ লোহিত কণিকা ধ্বংস হয়ে যায়৷ আসলে মহাকাশে ওজন স্থিতিশীল রাখতে উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার খেতে হয় মহাকাশচারীদের। শুধুমাত্র ওজন বজায় রাখার জন্য মহাকাশ সফরের সময় প্রতি দিন প্রায় সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার ক্যালোরির খাবার খেতে হয় নভোচরদের। সেই পরিমাণ খাবার শরীরকে না দিলে শরীর ভাঙতে শুরু করে ও দ্রুত ওজন কমতে থাকে।
তবে সুনীতার স্বাস্থ্যের উপর কড়া নজর রাখছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। মূলত আট দিনের নির্ধারিত মহাকাশ সফরের পরিধি বেড়ে পাঁচ মাসে দাঁড়িয়েছে বোয়িং স্টারলাইনার মহাকাশযানের প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে। সম্প্রতি নাসার তরফ থেকে জানা গিয়েছে, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে, সুনীতাদের পৃথিবীতে ফেরানো হবে৷ এর জন্য ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেস এক্সের ‘ক্রু ড্রাগন’ তৈরি হচ্ছে৷ এই মহাকাশযানের মাধ্যমে তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে৷
Kokata Metro: মেয়ের সামনেই মেট্রো লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা মায়ের! অফিস টাইমে দুর্ভোগে নিত্যযাত্রীরা
নিউজ ডেস্ক: আবারও মেট্রোয় আত্মহত্যার চেষ্টা। বুধবার সকাল ১০টা ৫৫ মিনিট নাগাদ চাঁদনি চক মেট্রো স্টেশনে লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা এক মহিলার। এর ফলে চাঁদনি চক স্টেশনে আটকে পড়েছিল একটি ট্রেন। ট্রেনের বড় অংশই আটকে ছিল টানেলে। ফলে কিছুক্ষনের জন্য ব্যাহত হয়েছে স্বাভাবিক পরিষেবা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও মেট্রোর তরফে জানা গেছে, বুধবার সকাল প্রায় ১১ টা নাগাদ এক মহিলা চাঁদনি চকে মেট্রো ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই লাইনে ঝাঁপ দেন। এই সময় সঙ্গে তাঁর সন্তানও ছিল। মহিলা হঠাৎই ঝাঁপ দেন ও লাইনে আটকে পড়েন। কাঁদতে শুরু করে বাচ্চাটি। তাকে সেখান থেকে সরিয়ে স্টেশন মাস্টারের ঘরে বসানো হয় ও খবর দেওয়া হয় মহিলার স্বামীকে। পার্কস্ট্রিট চত্বরের কোনও এক স্কুল থেকে ছুটির পর মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন ওই মহিলা। পার্কস্ট্রিট থেকে উঠে নেমে পড়েন চাঁদনি চকে। এদিন মহিলার সঙ্গে কয়েক জন পরিচিতও ছিলেন। জানা গিয়েছে, এদিন মেট্রোয় উথে হঠাৎ মেয়ের সামনেই দক্ষিণেশ্বরগামী একটি ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন ওই মহিলা। ট্রেনটি দাঁড়িয়ে পড়ে। কিন্তু লাইনে আটকে থাকেন ওই মহিলা। হঠাৎ এমন ঘটনায় চমকে যান নিত্যযাত্রীরা।
খবর পেয়ে তড়িঘড়ি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে মহিলাকে উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়েন মেট্রোর কর্মীরা। তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় স্টেশনমাস্টারের ঘরে। সেখানে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। চোখের সামনে মাকে ঝাঁপ দিতে দেখে কান্নায় ভেঙে পরে বছর সাতেকের মেয়েটি।ঘটনার পরেই বন্ধ করে দেওয়া হয় আপ এবং ডাউন, উভয় লাইনেই গিরিশপার্ক থেকে ময়দান পর্যন্ত পরিষেবা। গার্ডরেল দিয়ে ঘিরে দেওয়া কালীঘাট মেট্রোর লাইন। চাঁদনি চক মেট্রো স্টেশনে আটকে পড়া যাত্রীদের প্রথমে বের করা হয়। পরে ধীরে ধীরে মেট্রোয় আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়। অফিস টাইমে সকাল সকাল এমন ঘটনায় দুর্ভোগে নিত্যযাত্রীরা।
সবমিলিয়ে প্রায় ১ ঘণ্টা মতো ব্যাহত থাকে মেট্রো পরিষেবা। বেলা ১১.৫০ টা নাগাদ ব্লু লাইনে মেট্রো পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে বলে মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে। যদিও এই প্রথম নয়, এর আগে একাধিক বার মেট্রোয় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা সামনে এসেছে। সেনিয়ে সচেতন করা হলেও চিত্রটা পাল্টায়নি। বহু মানুষের অফিস, স্কুল বা কলেজ যাওয়ার মাধ্যম মেট্রো। অফিস টাইমে এমন ঘটনায় তাই নাজেহাল হতে হয় নিত্যযাত্রীদের।
নিউজ ডেস্ক: লোকাল ট্রেনের নিত্যযাত্রীদের জন্য দুঃসংবাদ। এবার থেকে যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ মাত্র ৩০ সেকেন্ড। অর্থাৎ প্রতি স্টেশনে ঘড়ির কাঁটা মেপে ৩০ সেকেন্ড দাঁড়াবে ট্রেন। ফলে যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। শুক্রবার থেকে ট্রেন স্টপেজের সময়সীমা কমিয়ে মাত্র ৩০ সেকেন্ড নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে শিয়ালদহ ডিভিশনে (Indian Railways) ট্রেন চলাচলের সময়সূচী ঠিক রাখতে এবং ট্রেনের দেরি হওয়ার সমস্যার সমাধানে। যাত্রী ওঠানামার এই সময়সীমা কার্যকর করতে ইতিমধ্যেই স্টেশনে মোতায়েন করা হচ্ছে কমার্শিয়াল বিভাগের কর্মী এবং আরপিএফ জওয়ানদের।
আসলে দীর্ঘদিন ধরে শিয়ালদহ ডিভিশনে ট্রেন চলাচল দেরিতে হচ্ছে, যাত্রীদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় ভোগান্তি বাড়ছে। ট্রেনগুলির নির্ধারিত সময়ে না পৌঁছানোর ফলে যাত্রীরা প্রায়ই অফিস বা অন্যান্য গন্তব্যে দেরিতে পৌঁছাচ্ছেন। এই সমস্যার মূল কারণ হিসাবে ট্রেনের স্টপেজে বেশি সময় লাগা উঠে এসেছে। প্ল্যাটফর্মে ট্রেন থামার পর যাত্রীদের ওঠা-নামা করানোর জন্য বেশি সময় বরাদ্দ হওয়ার ফলে এই দেরি হচ্ছে। তাই এবার ট্রেনের স্টপেজের সময়সীমা কমিয়ে ৩০ সেকেন্ড করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এতদিন ট্রেন প্রতি স্টেশনে ৪০ থেকে ৫০ সেকেন্ড দাঁড়াত। অর্থাৎ যাত্রীরা ওঠা-নামার জন্য ওই সময়টা পেতেন। কিন্তু আজ অর্থাৎ শুক্রবার থেকে স্টপেজের সময় বেঁধে দেওয়া হচ্ছে ৩০ সেকেন্ড। অর্থাৎ এবার মাত্র ৩০ সেকেন্ডেই ওঠা-নামা করতে হবে যাত্রীদের। এমনিতেই অফিস টাইমে অধিকাংশ ট্রেনই প্রবল ভিড় হয়। ৪০ থেকে ৫০ সেকন্ডেও অনেকসময় যাত্রীরা উঠতে পারেন না। ট্রেন মিস হয়। সেখানে সময় আরও কমে গেলে সমস্যা বাড়বে বলেই মনে করছেন নিত্যযাত্রীরা।
যদিও এ প্রসঙ্গে রেলের একাংশের দাবি, লোকাল ট্রেনের স্টপেজের সময়সীমা বরাবরাই ৩০ সেকেন্ড। অনেকের ধারণা, খাতায় কলমে ৩০ সেকেন্ড থাকলেও ট্রেনগুলো আরেকটি একটু বেশি সময় দাঁড়াতো, তবে এবার কড়া ভাবে মেনে চলা হবে সময়সীমা। তাই সময় কমার বিষয়টা আদৌ কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
এই সময়সীমা কমানোর পাশাপাশি রেল কর্তৃপক্ষ আরও কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে বলে জানা গিয়েছে। স্টেশনের প্ল্যাটফর্মগুলিতে যাত্রী ওঠানামার জন্য আলাদা আলাদা গেট স্থাপন করা, ট্রেনগুলিতে অতিরিক্ত বগি যোগ করা এবং প্ল্যাটফর্মে ভিড় নিয়ন্ত্রণে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে।
Sealdah Station: বদলে যাবে শিয়ালদা স্টেশনের নাম? রেলমন্ত্রীর কাছে আবেদন বিজেপির, পাল্টা কুণাল ঘোষ
নিউজ ডেস্ক: মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতে বহু স্টেশন ও জায়গার নাম বদল হয়েছে। এবার সেই তালিকায় কি জুড়বে শিয়ালদা স্টেশনের (Sealdah Station) নাম? আসলে বুধবার শিয়ালদহ থেকে একাধিক রেল প্রকল্পে উদ্বোধন করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। মন্ত্রী ছাড়াও রেলের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ শান্তনু ঠাকুর, শমীক ভট্টাচার্য প্রমুখ। আর সেখান থেকেই আরও একবার উঠল শিয়ালদহ স্টেশনের নাম বদলের দাবিও। সেই প্রস্তাব দিলেন স্বয়ং বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। এদিন শিয়ালদহ স্টেশনের অনুষ্ঠান থেকেই রেলমন্ত্রীর সামনেই শমীক বলেন, ''শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নামে নামকরণ করা হোক শিয়ালদহ স্টেশনের।''
বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যর কথায়, ''মানুষের রক্তাক্ত ইতিহাস জড়িয়ে আছে। দেশ ভাগের সময় সর্বস্বান্ত হওয়া মানুষ এসে ভিড় করেছিলেন শিয়ালদা স্টেশনে (Sealdah Station)। সেদিন ক্যাম্প করে স্টেশনের আশপাশে তাঁদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।'' সেই কারণেই বিজেপির দাবি, শিয়ালদহ স্টেশনের নাম বদলে করা হোক শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্য়ায় স্টেশন।
তবে, বিজেপির এই দাবির বিরোধিতা করা হয় তৃণমূলের তরফে। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ''সমস্ত কিছুর একটা ইতিহাস আছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় নাম বদল করে রাজনীতি করছে বিজেপি। এ বার এই রাজ্যেও সেটা করার চেষ্টা হচ্ছে। শিয়ালদা স্টেশন (Sealdah Station) স্বামী বিবেকানন্দের নামে করুন। যদি নাম বদল করতে হয়, তাহলে স্বামী বিবেকানন্দের নামে করা হোক।''
প্রসঙ্গত, এটাই প্রথমবার নয়, এর আগেও শিয়ালদহ স্টেশনের (Sealdah Station) নাম বদলের দাবি উঠেছিল। বিভিন্ন সংগঠনের তরফে সেই দাবি করা হয়েছিল। আর এবার স্বয়ং বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ সেই দাবি তুললেন। তিনি জানিয়েছেন, 'আজ রেলের একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আমাদের দাবি জানিয়েছি। তিনি বলেছেন, আমি বিষয়টা দেখব।' তবে শেষ পর্যন্ত শিয়ালদহ স্টেশনের নাম বদল হয় কিনা বা হলেও কি নামকরণ করা হবে এখন সেটাই দেখার।
Sunita Williams: সুনীতাদের ফেরাতে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পৌঁছে গেলেন দুই নভোশ্চর, কবে ফিরবেন তাঁরা?
নিউজ ডেস্ক: অবশেষে সুনীতার কাছে পৌঁছচ্ছে নয়া মহাকাশযান। ভারতীয় বংশোদ্ভূত নভোশ্চর সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams) এবং তাঁর সহযাত্রী ব্যারি বুচ উইলমোরকে নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্পেস এক্স-কে। তাই সুনীতা ও বুচকে ফেরাতে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পৌঁছে গেল এই মহাকাশযান। সঙ্গে পৌঁছলেন দুই মহাকাশচারীও। লাইভ স্ট্রিমে দেখা গিয়েছে তাঁদের পৌঁছনোর মুহূর্ত। দীর্ঘদিন ধরে মহাকাশে আটকে থাকা সুনীতারা তাঁদের দেখেই জড়িয়ে ধরেন। আশার আলো নিয়ে পৌঁছনো দুই নভোশ্চরই এখন তাঁদের কাছে ত্রাতা।
তবে তবে এই অভিযানও ভয়ঙ্কর বাধার মুখে পড়েছিল। Falcon-9 রকেট মহাকাশযানটিকে কক্ষপথে পৌঁছে দেওয়ার পর তার থেকে ক্যাপসুলটি আলাদা হওয়ার সময় যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেয় বলে জানিয়েছে স্পেস এক্স। রকেটের উপরের অংশটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর। স্পেস এক্স জানিয়েছে, রকেটের উপরের অংশটি পরিকল্পনা মাফিক মহাসাগরে এনে ফেলা হয়। কিন্তু কক্ষপথ থেকে পৃথিবীতে ফিরে আসার সময় রকেটের উপরের অংশের বেশ খানিকটা পুড়ে যায়। ফলে মহাসাগরে এনে ফেলা হলেও, মহাসাগরের যে নির্ধারিত জায়গায় রকেটের অবশিষ্টাংশ এনে ফেলার কথা ছিল, তা সম্ভব হয়নি।
তবে এদিন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে মহাকাশযানটিকে নোঙর করার পর নিক এবং অ্যালেকজান্ডার নামের দুই নভোশ্চরই সন্ধ্যা ৭টায় সুনীতাদের (Sunita Williams) কাছে পৌঁছন। এ প্রসঙ্গে নাসার ডেপুটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর পাম মেলরয় বলেন, ''কী অভুতপূর্ব একটি দিন। নিক এবং আলেকজ়ান্ডার যখন ফেব্রুয়ারি মাসে ফিরবেন, সুনীতা এবং বুচকে সঙ্গে নিয়েই আসবেন। তাঁরা আগামী পাঁচ মাস সুনীতাদের সঙ্গেই স্পেস স্টেশনে থাকবেন। ২০০ রকমের পরীক্ষা নিরীক্ষা করবেন তাঁরা।''
তবে এখুনি পৃথিবীতে ফিরবেন না সুনীতারা (Sunita Williams)। জানা গিয়েছে, আগামী পাঁচ মাস সেখানে গবেষণামূলক কাজকর্ম চালাবেন নিক এবং অ্যালেকজান্ডার। সুনীতা এবং ব্যারিও তাঁদের সঙ্গে গবেষণার কাজে যুক্ত থাকবেন। শেষ মেশ, আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসে পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা তাঁদের।
Chandrayaan 4: চন্দ্রযান ৪ অভিযানে ছাড়পত্র দিল কেন্দ্র! বরাদ্দ কত কোটি?
নিউজ ডেস্ক: চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যে গর্বিত ভারত। তার মধ্যেই ইসরোর মুকুটে জুড়তে চলেছে নয়া পালক। এ বার পালা চন্দ্রযান ৪-এর (Chandrayaan 4)। প্রস্তুতি আগেই শুরু করে দিয়েছিল ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। বুধবার সবুজ সংকেত দিয়ে দিল কেন্দ্রও। জানা যাচ্ছে, চন্দ্রযান-৪ অভিযানের বাজেট রাখা হয়েছে ২১০৪.০৬ কোটি টাকা।
চন্দ্রযান ৪-এর অনুমতি চেয়ে গত মার্চ মাসেই কেন্দ্রের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিল ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। তাতেই বুধবার ছাড়পত্র দিল মোদি সরকার। এর পাশাপাশি শুক্রগ্রহে মহাকাশযান পাঠানো (ভেনাস অরবিটার মিশন) এবং মহাকাশ স্টেশন নির্মাণের (ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন) প্রস্তাবেও সবুজ সংকেত দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। গগনায়ন মিশনের পিছনেও বিপুল অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, শুক্র গ্রহ অভিযান হবে ২০২৮-এর মার্চে মধ্যে। এর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১,২৩৬ কোটি টাকা।
‘চন্দ্রযান ৪’ (Chandrayaan 4) অভিযানের লক্ষ্য মেরু অঞ্চল-সহ বিভিন্ন এলাকায় জল এবং বিভিন্ন খনিজের অনুসন্ধান করা। অভিযানের প্রকৃত নাম হবে লুনার পোলার এক্সপ্লোরেশন মিশন বা লুপেক্স। ইসরো সূত্রে জানা গিয়েছে, চন্দ্রযান ৪ উৎক্ষেপণ করা হবে দুটি ধাপে। প্রথমবার উৎক্ষেপণ করা হবে এলভিএম-৩, দ্বিতীয় দফায় পিএসএলভি। এতে পাঁচটি আলাদা আলাদা যান থাকবে। ভারতের এই মিশন সফল হলে আমেরিকা, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং চিনের সঙ্গে এক পঙতিতে বসে যাবে ভারত। ইতিমধ্যেই জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জাক্সার সঙ্গে এ বিষয়ে সমঝোতা করেছে ইসরো।
আগামী ৩৬ মাসের মধ্যে এই অভিযানের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হবে বলে জানিয়েছে ইসরো। পাশাপাশি ২০৩৫ সালের মধ্যে মহাকাশে ভারতের নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। আর সব কিছু ঠিক থাকলে ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদের মাটিতে মানুষ পাঠানোর অভিযান করবে ইসরো।
প্রসঙ্গত, মহাকাশ অভিযানের যে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের, সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে চন্দ্রযান-৪ (Chandrayaan 4) অভিযান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মত বিজ্ঞানীদের। এর আগে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রথমবার পা রেখে নজির গড়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ভারত। আর এ বার নয়া মাইলফলক ছোঁয়ার পালা ইসরোর।
Another Molestation Case: ফের কলকাতার হাসপাতালে শ্লীলতাহানির অভিযোগ! তরুণীর পোশাক খোলার চেষ্টা, ধৃত ওয়ার্ড বয়
নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সরগরম রাজ্য। রাস্তায় নেমেছেন সাধারণ মানুষ। জুনিয়র ডাক্তাররা টানা আন্দোলন করছেন। আর এই আবহের মধ্যেই ফের কলকাতার হাসপাতালে উঠল শ্লীলতাহানির (Another Molestation Case) অভিযোগ। এবার রোগীর আত্মীয়ের পোশাক খোলার চেষ্টা করার অভিযোগ উঠল ওয়ার্ড বয়ের বিরুদ্ধে। ওই মহিলার দাবি, তাঁর পোশাক খোলার চেষ্টার পাশাপাশি গোপনাঙ্গে স্পর্শ করা হয়। এমনকী, পুরো বিষয়টির ভিডিও রেকর্ড করা হচ্ছিল। খবর পাওয়ামাত্র অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।
বছর ছাব্বিশের আলিপুরের বাসিন্দা ওই তরুণী জানান, তাঁর সন্তান ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথে ভর্তি রয়েছে। পুলিশের কাছে অভিযোগপত্রে তিনি লিখেছেন, গতকাল রাতে ওই হাসপাতালের দোতলায় তিনি অসুস্থ সন্তানের পাশে ঘুমিয়ে ছিলেন। সেইসময় তাঁকে অশালীনভাবে স্পর্শ (Another Molestation Case) করেন ওই ওয়ার্ড বয়। এমনকি, তাঁর পোশাক খোলার চেষ্টা করেন। ভিডিয়োও করেন।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওয়ার্ড বয়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করে কড়েয়া থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় বছর ছাব্বিশের ওই অভিযুক্তকে। ধৃতের নাম তনয় পাল, সুভাষগ্রামের বাসিন্দা। তবে তাঁর আদি বাড়ি ত্রিপুরায়। ইতিমধ্যেই তাঁর মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
তবে এই ঘটনায় (Another Molestation Case) ফের একবার হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এমনিতেই আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়েছিল হাসপাতালের নিরাপত্তা। গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ করে খুন করা হয় এক কর্মরত তরুণী চিকিৎসককে। সেই ঘটনার প্রতিবাদে বর্তমানে সারা রাজ্য জুড়ে চলছে আন্দোলন। জুনিয়র ডাক্তাররা যে পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন, তার মধ্যে রয়েছে হাসপাতালে স্বাস্থ্য কর্মী ও রোগী এবং রোগীর পরিজনদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা। তবে এই ঘটনার মাঝেই ফের হাসপাতালের অন্দরে রোগীর আত্মীয়ের শ্লীলতাহানির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল।
NJP Station: আর ঘটবে না দুর্ঘটনা! নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে চালু হল নতুন ব্যবস্থা
নিউজ ডেস্ক: গত কয়েক মাস ধরে যেভাবে একের পর এক ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে তাকে সাধারণ যাত্রীরা রীতিমতো আতঙ্কের মধ্যে পড়ে যাচ্ছেন। তাই এবার এই আতঙ্ক থেকে রক্ষা করতে দেশের প্রথম একটি সুরক্ষা ব্যবস্থা চালু হলো নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে (NJP Station)। শিলিগুড়ির নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে রেলের তরফ থেকে এমন সিস্টেম প্রথম চালু করা হলো বলেই জানা যাচ্ছে রেল সূত্রে।
এআই সুরক্ষা পরিচালিত এই ব্যবস্থাটির নাম হল অটোমেটিক ট্রেন এগজামিনেশন সিস্টেম। এই সিস্টেমের আওতাধীন বড় এলাকায় জুড়ে কোনরকম রেল দুর্ঘটনা ঘটবে না বলেই ৯৯% আশাবাদী রেল। এআই অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে এই সুরক্ষা ব্যবস্থা কাজ করার কারণেই রেল এতটা আশাবাদী। এই সিস্টেম ইনস্টল করার পরিপ্রেক্ষিতে রেল আশাবাদী একটিও দুর্ঘটনা ঘটবে না।
জানা গিয়েছে নতুন এই সিস্টেম লাইনে ট্রেন চালু হলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে সক্রিয় হবে চারটি ক্যামেরা এবং চারটি সেন্সর। ওই সকল ক্যামেরা এবং সেন্সর ট্রেনের চাকার তাপমাত্রা থেকে শুরু করে রেল ট্র্যাকে কোথাও কোনো রকম ভাঙ্গা, সরে যাওয়া, ইঞ্জিনে গোলমাল ইত্যাদির মত কোন সমস্যা ধরা পড়লেই তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিগন্যাল পাঠাবে লোকো পাইলটকে। এই সুরক্ষা ব্যবস্থায় লোকো পাইলটের কাছে থাকা ডিসপ্লেতে সমস্যার বিষয়টি এআই তুলে ধরার পাশাপাশি তার ফোনেও অ্যালার্ট চলে যাবে। লোকো পাইলটের কাছে তথ্য যাওয়ার পাশাপাশি যাবতীয় তথ্যের লিংক চলে যাবে মেকানিক্যাল সেকশন এবং সংশ্লিষ্ট রেল আধিকারিকদের কাছে। ত্রুটি বিচ্যুতির বিষয়টি এআই মারফত সরবরাহ করার পরিপ্রেক্ষিতে তা দূরত্ব এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা পৌঁছে যাবে এবং এর ফলেই ট্রেন দুর্ঘটনা রুখে দেওয়া সম্ভব হবে বলে ৯৯% আশাবাদী রেল। এছাড়াও নতুন এই ব্যবস্থায় সেন্সর ট্রেনের অ্যাক্সেল বিয়ারিং বক্সের তাপমাত্রা, চাকার তাপমাত্রা রেকর্ড করার পাশাপাশি কোন কোচে এমন সমস্যা রয়েছে তা দ্রুত খুঁজে বের করে তথ্য প্রদান করবে। এর পাশাপাশি কোন কোচের দরজা খোলা থাকলে এবং সেই দরজা খোলা থাকার কারণ হিসেবে কোন ত্রুটি থাকলে তাও জানিয়ে দেবে ক্যামেরা ও সেন্সর।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা দাবি করেছেন, দেশের প্রথম রেলস্টেশন হিসাবে নিউ জলপাইগুড়িতে (NJP Station) এই ব্যবস্থা চালু করা হল। যদি এই ব্যবস্থা সফলতা পায় তাহলে তা আগামী দিনে দেশের অন্যান্য জায়গাতেও স্থাপন করা হবে।
Goa Beyond Beaches: সমুদ্রের পার ছেড়ে, রাজ্যে গভীরে পর্যটন টানার উদ্যোগ গোয়া সরকারের
নিউজ ডেস্ক: নীল জলের সমুদ্রের বিচ ও ঔপনিবেশিক আমলের স্থাপত্যের বাইরেও গোয়ার নিজস্ব পরিচয় রয়েছে। গোয়ার আসল পরিচয় তার কৃষ্টি সংস্কৃতিকে, জীব বৈচিত্র ।গোয়া এই দিকটিকেই এবার পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে চাইছে গোয়া সরকার। গোয়ার পর্যটন (Goa Tourism) বিভাগের তরফে “গোয়া বিয়ন্ড বিচেস”(Goa Beyond Beaches) নামে একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এই উদ্যোগের লক্ষ্য গোয়ার বিচ, পানিয়ের ঠেক এবং ঔপনিবেশিক আমলের স্থাপত্যের বাইরেও গোয়ার মানুষের জীবনযাত্রা, কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং বন্যজীবন পর্যটকদের কাছে তুলে ধরা।
গোয়ায় হোমস্টে তৈরিতে আর্থিক সহযোগ
সপ্তাহান্তে এবং বিশেষ বিশেষ সময় গোয়ার বিচগুলিতে গিজগিজ করে মানুষের কালো মাথায়। অথচ গোয়ার অনেক দর্শনীয় স্থল রয়েছে, যেগুলি যথেষ্ট আকর্ষণীয় হলেও সেগুলি ততটা জনপ্রিয় হয়নি। গো যত ভিড়, সমুদ্রের পারে। গোয়ার পর্যটন বিভাগের আধিকারিক দীপক নাভরেকর বলেন,“আমরা চাইছি, গোয়ার আসল সৌন্দর্য পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে। গোয়া মানে শুধুমাত্র সমুদ্রের পাড় নয়, গোয়ার কৃষ্টি, সংস্কৃতি, গোয়ার মানুষের জীবন, গোয়ার বৈচিত্র আমরা পর্যটকদের কাছে তুলে ধরছি। এর জন্যই নতুন করে সরকারের তরফে (Goa Beyond Beaches) উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। “গোয়া বিয়ন্ড বিচেস’ খুব দ্রুত পর্যটকদের মধ্যে জনপ্রিয় হচ্ছে। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, গোয়ার পর্যটনস্থলের বাইরে যে সমস্ত জায়গায় সৌন্দর্য, কৃষ্টি-সংস্কৃতি রয়েছে, সেগুলি পর্যটকদের কাছে তুলে ধরা। জানা গিয়েছে, গোয়ার বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ এলাকায় যারা হোমস্টে তৈরি করবেন, সরকার তাঁদের দুই লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্য দেবে। মূলত অভ্যন্তরীণ এলাকা যেমন কানাকোনা, বিচোলিম, সাত্তারিকে জনপ্রিয় করে তোলার প্রাথমিক উদ্দেশ্য নিয়ে এগোচ্ছে গোয়ার পর্যটন বিভাগ (Goa Tourism)।
গোয়ার অভয়ারণ্য (Goa Beyond Beaches)
গোয়া মানেই দর্শকদের কাছে দক্ষিণ গোয়ার উপনিবেশিক আমলের স্থাপত্য এবং নর্থ গোয়ার আরব সাগরের নীল জলের বিচার পাশে তিন তারা, পাঁচ তারা হোটেল আর সমুদ্রের পাড়ের বিচ স্যাক। সরকার চাইছে এই ধারণা ভেঙ্গে গোয়ার বন্যজীবন, গোয়ার গ্রামীণ কোঙ্কণী মানুষের জীবন এবং কৃষ্টি-সংস্কৃতি বিশ্বের কাছে তুলে ধরা। নীল জলের সমুদ্রের রাজ্যে বন্যপ্রাণী সাফারির কথা জানেনই না অনেক পর্যটক। গোয়াতে কোটিগাও, মাধেই, নেত্রভালি এবং সেলিম আলী বার্ড স্যাংচুয়ারি রয়েছে। এগুলি দর্শনীয় হলেও প্রচারের অভাবে সেভাবে দর্শক টানতে ব্যর্থ হয়। সরকার চাইছে এই সমস্ত জায়গাগুলিকে (Goa Beyond Beaches) জনপ্রিয় করে তুলতে। বিশেষ করে গোয়া কর্নাটকে সীমান্তের কোটিগাও অভয়ারণ্যে উড়ন্ত কাঠবিড়ালি, এশিয়ান ও ভারতীয় ভাম বিড়াল, মাউস ডিয়ার, স্লেন্ডার লরিস, নানান প্রজাতির হরিণ ও নানান ধরনের জীবজন্তু দেখার সুযোগ রয়েছে। একইভাবে মাধেই অভয়ারণ্যে নানান প্রজাতির হরিণ, গন্ধগোকুল, বন্য শুকর, কালো চিতাবাঘ দেখার সুযোগ রয়েছে। অথচ বেশিরভাগ পর্যটক গোয়ায় এসে সমুদ্রের পাড়ে সময় কাটিয়ে ফিরে যান। তাঁরা জানেনই না গোয়ার এই সকল অভয়ারণ্যের কথা।
ডেস্টিনেশন ওয়েডিং দায়িত্ব সরকারের (Goa Tourism)
শুধুমাত্র সরকার এটুকুতেই সীমিত থাকতে চায় না। বিশেষ করে যারা ডেস্টিনেশন ওয়েডিং-এর জন্য গোয়ায় যেতে চান, তাঁদের জন্য সরকার এক নতুন ভাবনা নিয়ে এসেছে। সরাসরি গোয়ার পর্যটন বিভাগের কাছে আবেদন করলেই হবে। সরকারের তরফেই বাকি পরিষেবা দেওয়া হবে। বর্তমানে মধ্যবিত্তদের মধ্যেও ডেস্টিনেশন ওয়েডিং-এর আগ্রহ বেড়েছে। সরকার চাইছে এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গোয়ার পর্যটনকে (Goa Tourism) এক অন্য মাত্রায় নিয়ে যেতে।
Nandigram: নন্দীগ্রাম থানায় বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ৪৭টি এফআইআরে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বিচারপতি সিনহার
নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রাম থানায় (Nandigram police station) বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ৪৭টি এফআইআরে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। জানা গিয়েছে, তিন সপ্তাহের জন্য এই স্থগিতাদেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের সময় ওই বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও রকমের কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে না, এমন কথাই জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
এদিন এই সংক্রান্ত মামলাটির শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। শুভেন্দু অধিকারীর দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার পর্যবেক্ষণ, ‘‘এই মুহূর্তে তদন্তকারী সংস্থা বদল করার কোনও প্রয়োজন নেই। তাছাড়া মনে করা হচ্ছে, সব মামলাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই করা হয়েছে।’’ বিচারপতি সিনহা প্রাথমিকভাবে পর্যবেক্ষণ করেন, যে ৪৭টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে, সেখানে প্রত্যেকটি এফআইআর-এ মোটামুটি একই অভিযোগ আনা হয়েছে। এই এফআইআরগুলির আদৌ কোনও সারবত্তা রয়েছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিচারপতি সিনহা। তাই আপাতত তিন সপ্তাহের জন্য অভিযুক্ত বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনওরকমের পদক্ষেপ পুলিশ নিতে পারবে না বলে জানিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হতেই এবং ভোটপর্ব চলাকালীন ও তার পরবর্তীকালে ৩৫ দিনের মধ্যেই নন্দীগ্রাম থানাতে ৪৭টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগগুলি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তা যে মিথ্যা মামলা তা বারে বারেই দাবি করে এসেছে গেরুয়া শিবির। মিথ্যা মামলায় তাঁদের কর্মীদের ফাঁসানো হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানির সময় এমন পর্যবেক্ষণ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, এর আগে এই মামলার শুনানি ছিল গত ২৬ জুন সেদিনও বিচারপতি অমৃতা সিনহা পুলিশকে কোনও রকমের কড়া পদক্ষেপ না নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
Indian Railway: চুরির দায়ে রেলকে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ কমিশনের
নিউজ ডেস্ক: ট্রেনে লাগেজ নিয়ে যাওয়ার সময় চুরির ঘটনায় (Indian Railway) রেলকে জরিমানাকরল কনজিউমার কমিশন। ২০১৬ সালে এক মহিলা যাত্রীর ব্যাগ চুরি হয়ে যায়। যাতে ৮০ হাজার টাকা জিনিস ছিল। সেই চুরি যাওয়া ব্যাগ উদ্ধার করে না দিতে পারা এবং যাত্রীর হয়রানির জন্য এবার ওই মহিলা যাত্রীকে১ লক্ষ ৮ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হল রেল কর্তৃপক্ষকে।
যাত্রীর উপর দোষারোপ রেলের (Indian Railway)
জানা গিয়েছে ঝাঁসি ও গোয়ালিয়ার স্টেশনের মাঝে ২০১৬ সালে ওই ব্যাগ চুরি হয়েছিল। ঘটনাটি ঘটেছিল মালওয়া এক্সপ্রেসে। যাত্রীর অভিযোগ ছিল (Indian Railway) রেল তাঁদের সুরক্ষার দায়িত্ব নেয়নি। এমনকি কোন স্টেশনে অভিযোগ জানাতে হবে তা নিয়ে রেল পুলিশ কর্তৃপক্ষ যাত্রীকে সঠিক নির্দেশ দিতে পারেনি। ওই মহিলা নিউ দিল্লী স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠেছিলেন এবং নেমেছিলেন ইন্দোর স্টেশনে। রেল পাল্টা দাবি করে ওই যাত্রীর অবহেলাই ছিল চুরির কারণ। কিন্তু সে কথায় আমল দেয় নি কমিশন।
চুরির জন্য রেলকেই দায়ী করল কমিশন
কমিশনের সভাপতি জীত সিং এবং রশ্মি বনসল চুরি এবং যাত্রীর হয়রানির জন্য রেলের কর্মীদের দায়ী করেছেন। এদিকে যাত্রীর অভিযোগ ছিল তিনি এফ আই আর করার জন্য বিভিন্ন স্টেশনে ঘুরেছেন। কিন্তু কোন লাভ হয়নি।কোন স্টেশনের কত দূরে এবং কত নম্বর পিলারের কাছে তাঁর ব্যাগ খোয়া যায় তা জানতে এবং সেখানে গিয়ে খুঁজে দেখতে নির্দেশ দেওয়া হয়। অর্থাৎ সব রকম ভাবে রেল পুলিশ তাঁকে হয়রান করে বলে অভিযোগ। পরে অবশ্য গড়িমসি করে তদন্ত শুরু হয়। কিন্তু সেই ব্যাগ আর ফেরত পাওয়া যায়নি। রেলের (Indian Railway) বিরুদ্ধে পরিষেবায় ঘাটতি এবং অবহেলার অভিযোগ তোলেন ওই যাত্রী।
লক্ষাধিক টাকা জরিমানা মেটাল রেল
দুপক্ষের শুনানির পর কমিশনের নির্দেশ, পরিষেবা বা সুরক্ষায় খামতির অভাবে চুরির ঘটনায় অবিলম্বে ৮০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে (Indian Railway) রেলকে। এছাড়াও মামলা চালাবার খরচ বাবদ ৮ হাজার টাকা দিতে হবে। অতিরিক্ত ২০ হাজার দিতে হবে ক্ষতিপূরণ বাবদ। প্রসঙ্গত রেলের চুরির ঘটনা নতুন কিছু নয়। রেল কর্তৃপক্ষের দাবি আগের তুলনায় চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা অনেকটাই কমেছে। কিন্তু এখনও চুরি যে হয় তা মেনে নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। তবে রেলের ডাকাতির ঘটনা অনেকটাই কমেছে আগের তুলনায়। এমন কি এখনও ছোটখাটো চুরির ঘটনায় রেল পুলিশ এফআইআর নিতে গড়িমসি করে বলে অভিযোগ।
Election Commission: দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ! ভোটের মধ্যেই দুই ওসিকে সাসপেন্ড করল কমিশন
নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার থেকেই রাজ্যে শুরু হয়ে গেছে ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন(lok sabha vote 2024), আর ভোট শুরু হতেই একেবারে কড়া হাতে পরিস্থিতি সামলাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। প্রথম দফার ভোটের দিনেই শক্তিপুর (Saktipur PS) ও বেলডাঙা থানার (Beldanga PS) ওসিকে সরানোর নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission),শুক্রবার কমিশনের তরফে একটি চিঠিতে এই নির্দেশ এসেছে। কমিশন চিঠিতে বলেছে, অবিলম্বে ওই দুই পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট ফাইল করতে হবে।
কারণ হিসাবে কমিশন জানিয়েছে, ওই দুই পুলিশকর্তাকে নির্দিষ্ট ভাবে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়ার পরও তাঁরা সেই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই তাঁরা আর ভোটের কাজ করতে পারবেন না। শক্তিপুর এবং বেলডাঙার ওই দুই অফিসারের নাম যথাক্রমে রাজু মুখোপাধ্যায় এবং মহম্মদ জামালউদ্দিন মণ্ডল।
গত সপ্তাহে শক্তিপুর এবং বেলডাঙায় যে অশান্তি হয়েছিল, তার জন্য এই দুই পুলিশকর্তার কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগেই তাদের সাসপেন্ড করা হয়েছে বলেই কমিশন সূত্রে খবর। এই কারণেই দুই পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে তারা। আপাতত পুলিশ হেডকোয়ার্টারেই (Headquater)থাকবেন তাঁরা।
অন্যদিকে ওই দুই পুলিশকর্তার বদলি হিসাবে তিন জন দক্ষ অফিসারের নামও পাঠাতে বলেছে নির্বাচন কমিশন। আগামিকাল বেলা ১১টার মধ্যেই মুর্শিদাবাদের(Murshidabad) ওই দুই থানার জন্য নতুন অফিসার নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য বলেছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককেই তাঁদের বদলি অফিসারের নাম পাঠানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
তবে এটাই প্রথম নয়। এর আগেও ভোটের মুখে আদর্শ আচরণবিধি লাগু হওয়ার পর থেকে এমন অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। রাজ্য পুলিশের ডিজির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল রাজীব কুমারকে। একইসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম ও বীরভূম – এই চার জেলার জেলাশাসকদেরও বদলি করা হয়েছিল নির্বাচন কমিশন(Election commission) তরফে। এগুলি ছাড়া আরও একগুচ্ছ ক্ষেত্রে অফিসার বদলির সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আর এবার ভোট শুরু হতেই মুর্শিদাবাদ জেলার দুই থানার ওসিকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন।
South 24 Paraganas: বৃদ্ধা শাশুড়িকে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ গৃহবধূর
নিউজ ডেস্ক: বৃদ্ধা শাশুড়িকে খুন করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করলেন গৃহবধূ। দক্ষিণ ২৪ পরগনা(south 24 paraganas) মহেশতলা পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লার গেট সাফা রায় পুর এলাকার ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, শাশুড়ি ও বৌমার মধ্যে রোজই গন্ডগোল লেগে থাকত। শনিবার রাত্রিবেলাও সেই অশান্তি হয়। এরপর রবিবার সকালে অভিযুক্ত বৌমা ভারতী নস্কর পৌঁছে যান থানায়।
থানায় গিয়ে অভিযুক্ত বলেন, “আমিই শাশুড়িকে খুন করেছি।” এরপর মহেশতলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বৃদ্ধার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে। এরপর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বেহালা বিদ্যাসাগর হাসপাতালে। সেখানে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার পরেই বৌমা ভারতী নস্করকে গ্রেফতার করেছে মহেশতলা থানার পুলিশ(maheshtala police station)।
পুলিশ সূত্রে খবর মৃত বৃদ্ধার নাম যমুনা নস্কর (৭৭)। বৃদ্ধার ছেলে বলেন, “আমি তো কিছুই জানতাম না। শুনলাম খুন হয়েছে। মায়ের গা থেকে রক্ত বেরচ্ছে।” ইতিমধ্যেই মহেশতলা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত (investigation)শুরু করেছে।
Malda News: অমৃত ভারত নিয়ে এবার রাজনৈতিক তরজা! সাংসদ কে পরিযায়ী বলে কটাক্ষ, পাল্টা তোপ সাংসদের
নিউজ ডেস্ক: অমৃত ভারত প্রকল্প নিয়ে এবার তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। রেলের অনুষ্ঠান মঞ্চে সংবর্ধনা বিজেপির মন্ডল সভাপতিদের। রেলের অনুষ্ঠানকে বিজেপির অনুষ্ঠান বলে কটাক্ষ বিরোধীদের। পরিযায়ী বলে কটাক্ষ বিজেপি সাংসদ কে। পাল্টা তৃণমূলকে তোপ বিজেপির। লোকসভার প্রাক্কালে এবার রেল নিয়ে জেলায় চড়ছে রাজনীতির পারদ। মালদা জেলায় লোকসভায় রেলকে প্রচারের হাতিয়ার করতে চলেছে গেরুয়া শিবির। যা কার্যত স্পষ্ট।
মালদা থেকে চালু হয়েছে বন্দে ভারত এবং অমৃত ভারত এক্সপ্রেস। ইতিমধ্যেই মালদা জেলার মালদা টাউন সহ অনেক গুলো স্টেশন অমৃত ভারত প্রকল্পের আওতায় আধুনিকীকরণের কাজ শুরু হয়েছে। সোমবার সারা দেশের ৫৫৪টি স্টেশনের সঙ্গে বাংলায় ১৭টি স্টেশন অমৃত ভারত প্রকল্পের আওতায় আধুনিকীকরণের কাজ শুরু হল। এর মধ্যেই রয়েছে মালদা কোর্ট, হরিশ্চন্দ্রপুর, ভালুকা রোড এবং কুমেদপুর স্টেশন। ভার্চুয়ালি দেশের অন্যান্য স্টেশনের সঙ্গে এখানেও সেই কাজের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এদিন হরিশ্চন্দ্রপুরে অমৃত ভারতের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। হরিশ্চন্দ্রপুরে এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাটিহার ডিভিশনের এডিআরএম বিজয় কুমার চৌধুরী, স্টেশন ম্যানেজার রাজ দেব রাম, উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু প্রমুখ। এছাড়াও এই অনুষ্ঠানে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার বিজেপি নেতৃত্বের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। এমনকি মঞ্চে সম্বর্ধনা দেওয়া হয় বিজেপির মন্ডল সভাপতিদেরও। যা নিয়ে শুরু বিতর্ক। কংগ্রেস এবং তৃণমূলের অভিযোগ বিজেপি রেলকে রাজনৈতিক মঞ্চ করে দিচ্ছে। এলাকার জন-প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ করা হয়নি। কিন্তু ডাকা হয়েছে বিজেপির নেতাদের।
সরকারি অনুষ্ঠানে এই ধরনের দ্বিচারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। সাথে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের অভিযোগ এতদিন এলাকায় সাংসদকে দেখা যায়নি। এখন এসে রেলের অনুষ্ঠানকে বিজেপির অনুষ্ঠান করে দিচ্ছেন। যদিও পাল্টা সাংসদ খগেন মুর্মুর দাবি প্রত্যেক বিধায়ককে ডাকা হয়েছে। সাংসদ আরো বলেন জেলায় মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠকে এলে বিরোধীদের ডাকা হয় না। এটা তৃণমূলের সংস্কৃতি। কিন্তু বিজেপি সবাইকে নিয়ে চলে। সমগ্র ঘটনায় তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানৌউত্তর।
Deforestation: পাথরপ্রতিমায় ম্যানগ্রোভ কেটে নদীর চর ভরিয়ে ব্যবসার উদ্যোগ, নির্বিকার বন দপ্তর
দক্ষিণ ২৪ পরগণা: সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে নদীবেষ্টিত দ্বীপ পাথরপ্রতিমা ব্লক। পূর্বে আয়লা, আমফান, ইয়াসের মত প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে নদী বাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এমনিতেই জল জঙ্গলে ভরা এই এলাকার মানুষের দুঃখের শেষ নেই। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে যেখানে কোটি কোটি ম্যানগ্রোভ বসানো হচ্ছে নদী বাঁধ রক্ষা করার জন্য। কিন্তু বেশকিছু অসাধু ব্যবসায়ী ম্যানগ্রোভ ধ্বংসলীলা চালিয়ে যাচ্ছে। কেউ ব্যবসা করে রোজগার করার জন্য, আবার কেউ মাছের ভেড়ি তৈরি করে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য। প্রতিটি ক্ষেত্রেই ম্যানগ্রোভ ধ্বংস হচ্ছে আর এক কঠিন পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।
পাথরপ্রতিমা বাজার সংলগ্ন কালীমন্দির সংলগ্ন এলাকা তার জলজ্যান্ত প্রমাণ। সঞ্জিৎ গিরি নামে এক ব্যবসায়ী ইতিমধ্যেই আস্তে আস্তে ম্যানগ্রোভ কেটে নদীর চরে জায়গা ভরা শুরু করেছে। একদিনে নদীর চর ভরাট না করে একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছে। এমনকি সেই ভরাট জায়গার উপরে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন বিল্ডার্সের নেট তুলে ব্যানার ঝুলিয়ে পয়সা রোজগার করছে সে। বনদপ্তরের চোখে কি কিছুই পড়ছে না প্রশ্ন স্থানীয়দের। নির্বিকার বনদপ্তর। পুলিশো চুপ রয়েছে সব জেনেও।
এ ব্যাপারে বিজেপির লোকসভার কো কনভেনার নন্দ বারুই সরাসরি আঙুল তুলেছেন শাসকদল এবং বনদপ্তরের দিকে। অন্যদিকে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই সঞ্জিৎ গিরির দাবি, "এটি তাদের রায়ত জায়গা। ২৫-৩০ বছর আগে থেকে মাটি ভরাট হয়েছে। আর বর্তমানে যে ম্যানগ্রোভ কাটা হচ্ছে সেটা কে কেটে নিয়ে যাচ্ছে তিনি জানেন না। অন্য এলাকার মানুষজন এসে কেটে নিয়ে যাচ্ছেএমনই দায়সারা উত্তর দিলেন তিনি। শাসক দলের শিক্ষা সংগঠনের দায়িত্বে থাকা সেখ সাইফুদ্দিন বলেন, "ম্যানগ্রোভ কাটা উচিত নয়। কারা দোষ করছে প্রশাসনের দেখা উচিত"।