RG Kar Hearing Breaking: আরজি কর মামলার শুনানি শুরু সুপ্রিম কোর্টে
Sweta Chakra... | 11:04 AM, Mon Sep 09, 2024
RG Kar BREAKING: সিল বন্ধ খামে আরজি কর কাণ্ডের তদন্তের রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই
Sweta Chakra... | 11:39 AM, Thu Aug 22, 2024
Buddhadeb Bhattacharjee: সকালে প্রাতঃরাশ সেরেই অসুস্থ, প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বয়স হয়েছিল ৮০
Sweta Chakra... | 11:47 AM, Thu Aug 08, 2024
Astra Mark 1: বিমান বাহিনীর অস্ত্র ভান্ডারে এবার দেশীয় দুরপাল্লার মিসাইল
Pankaj Kumar... | 16:58 PM, Wed Aug 07, 2024
RSS বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবি আরএসএসের
Pankaj Kumar... | 16:41 PM, Wed Aug 07, 2024
Paris Olympics 2024: প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছ ইতিহাস গড়লেন মানিকা বাত্রা, জাগালেন পদকের আশা
Pankaj Kumar... | 12:50 PM, Tue Jul 30, 2024
Amarnath Yatra: অমরনাথ যাত্রায় হামলার ছক, এবার খলিস্তানীদের ময়দানে নামাচ্ছে পাকিস্তান
Pankaj Kumar... | 18:35 PM, Sat Jul 27, 2024
Terrorist Attack: জঙ্গিদের ছবি প্রকাশ্যে এল, মাথার দাম পাঁচ লাখ টাকা
Pankaj Kumar... | 18:32 PM, Sat Jul 27, 2024
Meerut Police: নির্ভয়ার স্মৃতি ফিরল মেরঠে, গ্রেফতার হাসিন, শাহরুখ, একরামউদ্দিন এবং মহসিন
Pankaj Kumar... | 15:46 PM, Sat Jul 27, 2024
BJP Protest: “অন্য ধর্মে জন্মানো দুর্ভাগ্যের”, ফিরহাদের বিতর্কিত মন্তব্যে তোলপাড় বিধানসভা
Pankaj Kumar... | 15:23 PM, Sat Jul 27, 2024
Indian Army: ১৬ হাজার ফিট উচ্চতায় মোবাইল পরিষেবা, সেনাকে বিজয় দিবসের উপহার কেন্দ্রের
Pankaj Kumar... | 15:19 PM, Sat Jul 27, 2024
Jammu & Kashmir Assembly Election 2024: প্রায় ১ দশক পর জম্মু-কাশ্মীরে আজ নির্বাচন! আঁটসাঁট নিরাপত্তা
নিউজ ডেস্ক: এক দশক পরে জম্মু ও কাশ্মীরে আবার বিধানসভা ভোট হচ্ছে। সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হল জম্মু ও কাশ্মীরে। মোট তিন দফায় জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচন (Jammu & Kashmir Assembly Election 2024) অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ১৮ সেপ্টেম্বর প্রথম দফার ভোট গ্রহণ। মোট ২৪টি আসনে ভোট গ্রহণ হবে। প্রথম দফায় দক্ষিণ কাশ্মীর অঞ্চলের ১৬টি আসনে এবং জম্মু অঞ্চলের ৮টি আসনে ভোট হচ্ছে।
৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর এই প্রথম বিধানসভা ভোট (Jammu & Kashmir Assembly Election 2024) হচ্ছে জম্মু-কাশ্মীরে। এর আগে ২০১৪ সালে যখন জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল, তখন সেটি পূর্ণ রাজ্য ছিল। তবে এখন এটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। প্রথম দফায় ২১৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁদের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন ২৩ লাখ ভোটার। তার মধ্যে প্রায় ৩৫ হাজার কাশ্মীরি পণ্ডিতও রয়েছেন। মোট ৩২৭৬টি বুথে প্রায় ১৪ হাজার ভোটকর্মী দায়িত্বে আছেন আজ।
এদিন ভোটগ্রহণ (Jammu & Kashmir Assembly Election 2024) পর্বে সকলকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক্স বার্তায় তিনি লেখেন, ‘‘জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় নির্বাচনী এলাকার সকলকে বিপুল সংখ্যক ভোট দিতে এবং গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানাচ্ছি।’’ নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সকাল ১১টা পর্যন্ত ২৬.৭২ শতাংশ ভোট পড়েছে জম্মু-কাশ্মীরে। নির্বাচনের কারণে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে উপত্যকা।
বিগত কয়েক দিন ধরে বার বার জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে জম্মু ও কাশ্মীরে। সেই কথা মাথায় রেখেই নিরাপত্তা সাজিয়েছে প্রশাসন। সশস্ত্র আধা সামরিক বাহিনী (সিএপিএফ) থেকে শুরু করে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ— নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সাজানো হয়েছে বহু স্তরে। সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে বদ্ধপরিকর কমিশনও। একই সঙ্গে ভোটদানে (Jammu & Kashmir Assembly Election 2024) সর্বাধিক ভোটারের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চায় তারা। সেই মতো একাধিক পদক্ষেপও করেছে কমিশন এবং পুলিশ। যেখানে যেখানে ভোট, সেই সব এলাকায় চলছে রুটমার্চও।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে শেষবার বিধানসভা নির্বাচন হয় জম্মু-কাশ্মীরে। সেই নির্বাচনে পিডিপি দক্ষিণ কাশ্মীর এবং চেনাব উপত্যকায় ২২টি আসনের মধ্যে ১১টি আসন জিতেছিল। এটিই সর্বোচ্চ আসন ছিল। বিজেপি এবং কংগ্রেস ৪টি আসনে জিতেছিল, ন্যাশনাল কনফারেন্স ২টি আসন এবং সিপিআই-এম একটি আসন দখল করেছিল। এবার দেখা যাক এত বছর পর এই বিধানসভা ভোটের ফলাফল কী দাঁড়ায়।
Muslim Voting Pattern: মুসলমানরা প্রার্থীদের ভোট দেয় ধর্মের ভিত্তিতে!
নিউজ ডেস্ক: ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল মুসলিম ভোট। পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর হোক বা মহারাষ্ট্রের ধুলে লোকসভা কেন্দ্র, সেখানে মুসলমানরা প্রার্থীদের ভোট দেয় ধর্মের ভিত্তিতে। যার ফলে মুসলিম ভোটারদের একটা বড় অংশ এই লোকসভায় বিরাট ভুমিকা নিয়েছে।
১৯২৪ সালে ৮ অক্টোবর, গান্ধিজি তাঁর ২১ দিনের অনশন ভাঙার পর, মৌলানা মোহাম্মদ আলীকে লিখেছিলেন, "আপনি আমার কাছে ভাইয়ের চেয়েও বেশি। আপনার এবং আমার মধ্যে এই বন্ধনটি হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে একটি অবিচ্ছেদ্য বন্ধনে পরিণত হোক। আমাদের নিজ নিজ ধর্মের ভালো, আমাদের দেশের ভালোর জন্য এবং মানবতার ভালোর জন্য।” তবে গান্ধিজির এই ঐক্যের আদর্শবাদী দৃষ্টিভঙ্গি সত্ত্বেও, মুসলিম সম্প্রদায়ের অনুভূতিগুলি সম্পূর্ণ ভিন্ন বাস্তবতাকে প্রতিফলিত করেছিল।
কিন্তু গান্ধিজির এই আদর্শবাদী দৃষ্টিভঙ্গি অবিচল রইলনা। কারন এবছর লোকসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশের পরেই দেখা গেল ধর্মের ভিত্তিতেই ভোট (Muslim Voting Pattern) হয়েছে বহরমপুরে। ১৩ মে হয়েছিল লোকসভার ভোটের চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ। এই দিন বাংলার ৭ কেন্দ্র সহ নির্বাচন হয় বহরমপুরেও। গত পাঁচ-পাঁচটি লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election 2024) অপরাজেয় ছিলেন অধীর চৌধুরী। ১৯৯৯ থেকে টানা ৫ বার এই কেন্দ্র থেকে জিতে সংসদে গিয়েছেন তিনি। রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরে একদশক কাটিয়ে ফেলেছে তৃণমূল। কিন্তু বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে দাঁত ফোটাতে পারেনি তৃণমূল। কিন্তু ফলাফলে প্রকাশ হল অন্য তথ্য। ফল প্রকাশ হতেই দেখা গেল অধীরের গড়ে ফুল ফুটিয়েছে ঘাসফুল শিবির। কারন এবছর বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের অধীরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান। ফলে প্রার্থীকে দেখে এককাট্টা হয়ে সব মুসলিম ভোট পড়েছে তৃণমূলের দিকেই।
এই একই ছবি রয়েছে ধুলে লোকসভা কেন্দ্রেও। সেখানে কংগ্রেস প্রার্থী শোভা বাছাভ দুইবারের বিজেপি সাংসদ সুভাষ ভামরেকে হারিয়েছেন। ধুলে লোকসভা কেন্দ্রে রয়েছে ছয়টি বিধানসভা কেন্দ্র: সিন্দাখেদা, মালেগাঁও আউটার, মালেগাঁও সেন্ট্রাল, ধুলে (গ্রামীণ), বাগলান এবং ধুলে শহর। এর মধ্যে মালেগাঁও সেন্ট্রালের মোট জনসংখ্যা ৭৬ শতাংশেরও বেশি মুসলিম সম্প্রদায়। ফলে বোঝাই যাচ্ছে এই ভোটের (Lok Sabha Election 2024) ফলাফলের কারন ঠিক কী। এই বিস্ময়কর ফলাফলগুলি ভারতীয় রাজনীতিতে আরও একবার প্রমান করল যে মুসলমানরা প্রার্থীদের (Muslim Voting Pattern) ভোট দেয় ধর্মের ভিত্তিতেই। সে প্রার্থী যতই অনভিজ্ঞ রাজনিতিবিদ হোক না কেন! ফলে গোটা দেশ জুড়ে এই মুসলিম ভোট শক্তিশালী করছে ইন্ডি জোটকে, যার প্রভাব পড়ছে এনডিএ-র ওপর।
Lok Sabha elections: সকাল সকাল ভোট দিলেই ফ্রিতে আইসক্রিম-জিলিপি, নয়া ভাবনা ইন্দোরে
নিউজ ডেস্ক: ভোট চলাকালীন ভোটারদের বিশেষ ‘পুরস্কার’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর জেলা প্রশাসন। সকাল সকাল ভোট (Lok Sabha elections) দিলেই ভোটারদের জিলিপি,পোহা,আইসক্রিম দেওয়ার সিদ্ধান্ত ইন্দোরে (Indore), মঙ্গলবার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আশিস সিংয়ের সভাপতিত্বে দোকান মালিকদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দোকানের মালিকদের মতে, বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য ভোটারদের তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে অনুপ্রাণিত করা।
উল্লেখ্য আগামী ১৩ মে দ্বিতীয় দফায় মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে রয়েছে ভোট। তালিকায় রয়েছে ২৫.১৩ লক্ষ ভোটারের নাম। আর এই ভোটে যাতে সকলেই নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে আগ্রহী হয় তার জন্য এমন অভিনব চিন্তা ভাবনা করেছে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের। আসলে অনেকেরই এটা প্রথম ভোট, আবার কেউ কেউ আছেন বার্ধক্যের জন্য ভোট দিতে আসেন না। তাই সেই সমস্ত সাধারন ভোটারদের কথা মাথায় রেখেই এবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আশিস সিং।
এ প্রসঙ্গে আশিস সিং বলেন, "আমরা ভোটের দিক থেকে ইন্দোর লোকসভা কেন্দ্রকে দেশের এক নম্বর করতে চাই এবং এর জন্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।" শহরের বিখ্যাত ফুড হাব "৫৬ দুকান" এর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গুঞ্জন শর্মা জানিয়েছেন যে ভোটের দিন সকাল ৭ টা থেকে ৯ টার মধ্যে যারা ভোট দেবেন তাদের শহরের সবচেয়ে বিখ্যাত জায়গায় বিনামূল্যে পোহা এবং জিলিপি পরিবেশন করা হবে। সঙ্গে থাকবে ফ্রিতে আইসক্রিম। তবে বিনামূল্যে খাবার পেতে অবশ্যই ভোট দান করে আঙুলের কালির দাগ প্রমান হিসেবে দেখাতে হবে। তবেই মিলবে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা আইসক্রিম ও গরম জিলিপি। তাছাড়া সকাল ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে যে কোনও ভোটার ভোট দিলেই তাঁদের বিনামূল্যে দেওয়া হবে চাউমিন এবং মাঞ্চুরিয়ান।
কিন্তু এটাই প্রথম নয়। ইন্দোরের (Indore) বিখ্যাত ফুড হাব '৫৬ দুকান'-এর দোকানের মালিকরা গত বছরও এমন নিয়ম রেখেছিলেন। যারা সকাল সকাল প্রথম দিকে ভোট (Vote)দিতে এসেছিলেন সেই সব ভোটারদের পোহা এবং জিলিপি সহ বিনামূল্যে স্ন্যাকস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
ইন্দোরের পাশাপাশি ভোটারদের অনুপ্রাণিত করতে বিশেষ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দিল্লিতেও। জানা গেছে দিল্লি (Delhi) মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন ভোটের দিনে বিভিন্ন রেস্তোরাঁ এবং বাজারে বিভিন্ন জিনিসের ওপর ১০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের অনুমান এই সিদ্ধান্তে হয়তো কিছুটা হলেও ভোটাররা অনুপ্রাণিত হয়ে ভোটাধিকার গ্রহণ করবেন।
Jalpaiguri: ভোটের প্রথমে দিনেই শাসক ও বিরোধী দলের ক্ষেত্রে ভিন্ন সুর পুলিশের
নিউজ ডেস্ক: এক যাত্রায় ভিন্ন ছবি। বিরোধী দলের বিধায়ককে পুলিশের বাধা। অন্যদিকে শাসক দলের বিধায়ককে বাধা দিলে পাল্টা গ্রামবাসীকে শাসানোর অভিযোগ। প্রথম ছবিটি জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) গার্লস স্কুলের। দ্বিতীয় কোচবিহারের (Coochbehar) ভেটাগুড়ি এলাকার। বিধায়ক উদয়ন গুহ এই এলাকায় গিয়ে অশান্তি পাকান বলে অভিযোগ এলাকার মহিলার। এর পর উদয়ন গুহকে (Udayan Guha) ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামের মহিলারা।
পরে পুলিশ এসে মহিলাদের ধমক দেয় বলে অভিযোগ তাঁদের। এদিন সকালে বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়কে (Sikha Chattopadhyay) তাঁর নিজের এলাকাতেই বাধা দেয় পুলিশ। প্রথম দফার ভোট শুরু হতেই উত্তেজনা উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায়। জলপাইগুড়ি গার্লস স্কুলে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সামনে বিজেপি বিধায়ক আসতেই তাঁকে আটকে দেওয়া হয়। বিধায়কের অভিযোগ পুলিশ দলদাসের কাজ করছে।
প্রসঙ্গত এদিন ওই ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের ভিতরে ঢোকেননি বিধায়ক। বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে যেতেই তাকে আটকে দেয় পুলিশ। তিনি জানতে চান তাকে নিজের বিধানসভা এলাকায় কেন আটকানো হচ্ছে। পুলিশ উত্তর দেওয়া তো দূর অস্ত উল্টে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যেতে চায়। এরপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বিজেপি (BJP) কর্মীদের সঙ্গে শুরু হয়ে যায় ধাক্কাধাক্কি। বিধায়কের বলতে শুরু করেন আগে এরেস্ট ওয়ারেন্ট আনতে হবে। গ্রেপ্তার দেখাতে হবে। তারপরেই পুলিশ তাকে নিয়ে যেতে পারবে। একই কথা বলেন বিজেপি কর্মীরাও। তাঁদের দাবি গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়া কীভাবে তারা বিধায়ককে থানায় নিয়ে যেতে পারে এবং কেন বিধায়ককে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের বাইরে আটকে দেওয়া হল। এই অভিযোগে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে বিজেপি কর্মীরা। জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বহু এলাকা শিলিগুড়ি পৌরসভার মধ্যে পড়ে। এই জায়গাটিও শিলিগুড়ি পৌরসভার আওতায় পড়ে। ডাব গ্রাম ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়কে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা শিলিগুড়ি মেয়র গৌতম দেবের নির্দেশেই আটকানো হয় বলে অভিযোগ।
প্রসঙ্গত এই ওয়ার্ডেরই কাউন্সিলর গৌতম দেব। প্রসঙ্গত পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয় তিনি যেহেতু ওই ওয়ার্ডের ভোটার নন। তাই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ভিতরে যাওয়ার অধিকার নেই। কিন্তু ভেটাবাড়িতে যখন এলাকার মহিলারা শাসক দলের বিধায়ক উদয়ন গুহকে উত্তেজনা ছড়ানোর অভিযোগে আটকালেন তখন পুলিশ উলটে তাঁকে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য তৎপর হয়ে ওঠে। এলাকার বিধায়ক (শিখা চট্টোপাধ্যায়) কেন ভোটগ্রহণ কেন্দ্র পরিদর্শন করতে পারবেন না এ বিষয়ে পুলিশের তরফে কোন উত্তর মেলেনি। পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ উঠছে। বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে পুলিশ যে আচরণ করছে শাসকদলের বিধায়কদের সঙ্গে সেই আচরণ করতে অবশ্য লক্ষ্য করা যায়নি পুলিশকে। যেভাবে উদয়ন গুহ নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে সারাদিন কোন বাধা-বিপত্তি ছাড়াই দাপিয়ে বেড়ালেন অন্যদিকে বিজেপি বিধায়কের ক্ষেত্রে কিন্তু দেখা গেল উল্টো ছবি।
Dinhata: মহিলারা এগিয়ে এলেন, মন্ত্রী পালিয়ে গেলেন
নিউজ ডেস্ক: নিজের এলাকায় বিক্ষোভের মুখে পড়ে কার্যত পালিয়ে বাঁচলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা দিনহাটার (Dinhata) বিধায়ক উদয়ন গুহ। এদিনের ছবি মনে করিয়ে দেয় সন্দেশখালির স্মৃতি। কোচবিহারের ভেটাগুড়ি এলাকায় এলাকার মহিলাদের বিক্ষোভের মুখে পুলিসকে সঙ্গী করে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান উদয়ন বাবু (Udayan Guha)। এলাকার এক পঞ্চায়েত সদস্যকে আটক করার প্রতিবাদে শুরু হয় বিক্ষোভ।
ওই পঞ্চায়েত সদস্য আবার বিজেপি (BJP) নেতা। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়ে জানায় পুলিশ। এর পরেই প্রতিবাদ শুরু করেন স্থানীয় মহিলারা। উদয়ন গুহর অঙ্গুলিহেলনে এসব করা হয়েছে বলে তাঁদের মত। উদয়ন বাবু এর পর জোর দেখাতে ওই এলাকায় এসেছেন বলে চেঁচাতে শুরু করে প্রতিবাদীরা। তাঁরা বিক্ষোভ শুরু করেন।
স্থানীয় মহিলাদের বক্তব্য, “এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোট চলছিল। উদয়ন গুহ ভোট নিজের মত ভোট করানর জন্য পুলিশকে বলে পঞ্চায়েত সদস্যকে গ্রেফতার করিয়ে দিয়েছেন।”
তিনি এলাকায় আসার পরেই এলাকার পরিস্থিতি অশান্ত হতে শুরু করে। প্রসঙ্গত ভোটের আগে দাপিয়ে বেরিয়েছিলেন উদয়ন গুহ। এই দিনও বিভিন্ন জায়গায় তিনি দাপিয়ে বেড়ান। কিন্তু এলাকার মহিলাদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে যেভাবে পালিয়ে গেলেন তাতে তাঁর কতটা ইজ্জত শেষ রইল তা প্রশ্নাতীত। যদিও উদয়ন বাবুর বক্তব্য, “বিজেপির সাজানো বিক্ষোভ। কাউকেই গ্রেফতার করার নির্দেশ দেইনি। পুলিশ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা ভেবে গ্রেফতার করেছে বিজেপির ওই পঞ্চায়েত সদস্যকে।”
পাল্টা নিশীথ প্রমাণিক (Nisith Pramanik) বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী কয়েকদিন আগে বলেছিলেন মা বোনেদের ঝাঁটা হাতে তৈরি থাকলে। মা বোনেরা তৈরি আছে। এবার উনি দেখুক মা বোনেরা এগিয়ে এলে কেমন লাগে। গোটা বাংলায় ধীরে ধীরে সন্দেশখালি হয়ে উঠছে। উদয়ন গুহ যেখানেই যাচ্ছেন অশান্তি করছেন। তাই মহিলারা বিক্ষোভ দেখাবেই।”
Balurghat: তৃণমূলে ভাঙন! সুকান্তর হাত ধরে শয়ে শয়ে বিজেপিতে
নিউজ ডেস্ক: জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে শুক্রবার যখন প্রথম দফা লোকসভা নির্বাচন চলছে ঠিক সেই সময় দক্ষিণ দিনাজপুর (South Dinajpur) জেলার বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার বালুরঘাটের (balurghat) বোল্লা মন্দিরে পুজো দিয়ে ভোটের প্রচার শুরু করলেন। এদিন মালঞ্চা বাজার সহ কুমারগঞ্জ বিভিন্ন এলাকায় ভোট প্রচার করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta majumdar) ।
ভোট প্রচারে বালুরঘাট ব্লকের অমৃতখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের চকমাধব এলাকায় যান প্রার্থী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। প্রায় ২৫০ জন তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগদান করেন। সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে এদিনের যোগদান কর্মসূচি পালন করা হয়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, “চকমাধব গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে ২ কিলোমিটার রাস্তা বেহাল অবস্থায় পরে রয়েছে। গ্রামবাসিন্দারা সমস্যায় পড়ত।যার ফলে একবার ভোট বয়কটর ডাক দিয়েছিলো গ্রামবাসীরা। রাস্তার সমস্যা সমাধান না হওয়ায় এদিন ভোট প্রচারে গিয়ে সুকান্ত মজুমদারের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেন গ্রামবাসীরা।
প্রচারে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “ আজ বোল্লা মায়ের কাছে পুজো দিয়ে বালুরঘাট ব্লকের ভোট প্রচার শুরু করলাম। প্রচারে লোকের উৎসাহ দেখে বুঝতে পারছি জয় নিশ্চিত। বালুরঘাট ব্লকের চকমাধব গ্রামে প্রচার করতে এসে প্রায় ২৫০ জন তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগদান করলেন। কারণ তাঁদের গ্রামে যাবার রাস্তা বেহাল। আমি তাঁদের আশ্বাস দিলাম আমি জেতার পর সর্বপ্রথম এই রাস্তাটি সংস্কার করব। প্রসঙ্গত এদিন ছিল প্রথম দফার নির্বাচন। প্রথম দফাতেই অশান্তি শুরু।
শীতলকুচিতে বিজেপি কর্মীদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। ডাবগ্রাম ফুলবাড়িতে বিজেপি নির্বাচনী বুথে আগুন সহ তিন জেলার অশান্তি নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “ভোটে তৃণমূল কিছু করবে না এটা হতে পারে না। সেই জন্য বারবার বলছি এই সিইও থাকলে নিরপেক্ষ ভাবে ভোট সম্ভব নই। এই সিইও উস্কানিমূলক আচরণ করছে। ওনাকে সাসপেন্ড করা দরকার। সেনসেটিভ জায়গাগুলোতে কমপক্ষে ৮ জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া দরকার ছিল ও তাদের শুট এন্ড সাইটের অর্ডার দেওয়া দরকার ছিল।”
Lok Sabha Election 2024: ভোট দিতে এসে ফাটল চোখ! অভিযোগের আঙুল তৃণমূলের বিরুদ্ধে
নিউজ ডেস্ক: আবারও শিরোনামে শীতলকুচি। গণতন্ত্রের উৎসবে রেহাই পেলেন না সাধারন ভোটারও। লোকসভা ভোটের প্রথম দফায় ‘রক্তারক্তি কাণ্ড’ শীতলকুচিতে (Sitalkuchi), ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে আক্রান্ত ভোটার(Voter)। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। ভোট দিতে আসাই যেন কাল হল শীতলকুচির ওই বাসিন্দার।
জানাগেছে শুক্রবার সকালে ভোট দিতে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন এক ভোটার। হঠাৎই অতর্কিতে হামলা। দুষ্কৃতীদের আঘাতে চোখ ফেটে যায় ওই ভোটারের। এরপর যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে চিকিৎসকের কাছে গেলে চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান, ক্ষত গভীর। আপাতত ওই ব্যাক্তির চোখে ব্যান্ডেজ করা হয়েছে। ছেলের এই অবস্থা দেখে চোখে জল এসে গিয়েছে মায়ের। ভোট দিতে এসে এভাবে আক্রান্ত হতে হবে ভাবেননি তারা। আক্রান্ত ওই ব্যাক্তিবলেন, ‘আমরা তো চাই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হোক। কিন্তু সেটা আর ওঁরা কোথায় হতে দিল! ভোট দিতে গিয়ে সাধারণ মানুষ আক্রান্ত হয়, মার খায়!’
এ প্রসঙ্গে আক্রান্ত ভোটার বলেন, ‘আমি সকালবেলা ভোট দিতে গিয়েছিলাম। তখন ভোট কাউন্টার খোলেনি। আমি ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছিলাম। কাউন্টার খোলার পর আমরা ভোট(Vote) দিই। বাড়ি ফেরার সময় পিছনে চিৎকার চেঁচামেচির আওয়াজ শুনতে পাই। তৃণমূলের(TMC) লোকজন চিৎকার চেঁচামেচি করছিল। আওয়াজ শুনে পিছন ফিরে দেখি পাথর ছোঁড়াছুড়ি শুরু হয়েছে। সেই পাথর এসেই আমার চোখে লাগে।’ তৃণমূলের লোকেরাই সেই পাথর মেরেছে বলে দাবি করেন আক্রান্ত ভোটার। এছাড়াও তিনি জানান, তাঁকে পুলিশ কিংবা কেন্দ্রীয় বাহিনী(CRPF) কেউ হাসপাতালে নিয়ে যায়নি।
প্রসঙ্গত,একুশের বিধানসভা ভোটে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল এই কেন্দ্র। চলেছিল গুলি। আর সেখানেই এবার ভোটার লাইনে দাঁড়িয়ে আক্রান্ত হল ভোটার। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ভোটের মরশুমে এমন ঘটনায় হইচই পড়ে গেছে এলাকায়। কিন্তু এত বড় একটা ঘটনা ঘটল , কোথায় ছিলেন নিরাপত্তাকর্মীরা? কেন এগিয়ে এল না কেন্দ্রীয় বাহিনী তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
Dhupguri: খাতায় কলমে মেরে দিয়েছে হাপুস নয়নে বললেন ভোটার
নিউজ ডেস্ক: উদয়ন গুহ যেখানে যাচ্ছেন অশান্তি পাকাচ্ছেন। সংবাদমাধ্যমের গাড়িতেও হামলা করানো হচ্ছে। মানুষকে ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না। অভিযোগের সুরে বললেন কোচবিহারের (Coochbehar) বিজেপি প্রার্থী (BJP) নিশীথ প্রামানিক (Nisith Pramanik) ।
শুধু কোচবিহারে নয় উত্তরবঙ্গের অন্যান্য কেন্দ্রেও উঠেছে রিগিং ও অনিয়মের অভিযোগ। এদিন জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) লোকসভা কেন্দ্রের ধূপগুড়ি (Dhupguri) পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বৈরাতিগুড়ি হাইস্কুলে ভোট কেন্দ্রে যান বাসন্তী দাস। এদিন সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ ১৫/১৮৬ নম্বর বুথে ভোট দিতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন তিনি নাকি খাতায় কলমে মৃত। তাঁর নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ হয়ে গেছে।
কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, “আমাকে বলেছে আমি নাকি মরে গেছি। আমার নাম কেটে দিয়েছে ওরা। ভোট দিতে দেবে না বলে মৃত দেখিয়ে দিল।” ওই মহিলা জানান প্রিসাইডিং অফিসার তাঁকে বলেছেন, তার কিছু করার নেই। ভোটার তালিকায় নাম নেই। ডিলিট হয়ে গেছে। তাই ভোট দিতে পারবেন না তিনি। তাই ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই বৃদ্ধাকে।
বৃদ্ধার ছেলে উজ্জ্বল দাস বলেন, “ মা একা ভোট দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওখানে বলে তোমার নাম নেই। তুমি মৃত। মা বাইরে এসে আমাদের জানায়। ফের কথা বললে জানায় নামের জায়গায় মৃত লেখা আছে। আমরা পরে বুঝে নেব। মা প্রায় দেড় ঘণ্টা ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল। তারপরেও ভোট দিতে পারেনি। আমরা তো প্রতিবার তো এখানেই ভোট দিই। এবারে কী হল জানি না।”
বাসন্তী দেবী জানান তিনি সকাল সাতটা নাগাদ ভোট দিতে গেছিলেন। দেড় ঘণ্টা হয়ে গেলেও ভোট দিতে পারি নি। এর পর প্রিসাইডিং অফিসার বলেন আপনার নাম বাতিল হয়ে গেছে। এবছর কিছু হবে না। পরে দেখা যাবে। এখন কিছু হবে না। উনি কাকে যেন ফোন করলেন তবু কিছু হল না।”
প্রসঙ্গত এরকম একাধিক অভিযোগ উঠেছে তিন কেন্দ্রেই। বহু মানুষ ভোট দিতে পারেননি। এমনকি বিরোধী দলের এজেন্টকেও বসতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অভিযোগ জানানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনে।
Nisith Pramanik: নিজের কেন্দ্রে ভোট দান সারলেন বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামানিক
নিউজ ডেস্ক: সকাল থেকেই ভোটদান(Lok Sabha Election 2024) প্রক্রিয়া চলছে উত্তরের তিন আসনে। ইতিমধ্যেই নিজের ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তথা কোচবিহার(Cooch Behar) লোকসভা আসনে বিজেপির প্রার্থী নিশীথ প্রামানিক(Nisith Pramanik)। এদিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭/২০৬ নং বুথে ভোট দিলেন বিজেপি প্রার্থী। সকাল থেকে দেখা না গেলেও বেলা বারোটায় পর তাঁকে দেখা গেল বাড়ির বাইরে। ভোট পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বের হন তিনি।
শুক্রবার ভোটদান সেরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নিশীথ প্রামাণিক বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেস বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাস করবার চেষ্টা করছে। সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করছে। বহু জায়গায় দুষ্কৃতীরা বুথ এজেন্টদের, সাধারণ ভোটারদের আটকাবার চেষ্টা করছে। আমাদের এখানকার মানুষ পঞ্চায়েত নির্বাচন, পৌরসভা নির্বাচনেও ভোট দিতে পারেনি। তাই গণপ্রতিরোধ গড়ে উঠেছে।"
উল্লেখ্য, অন্যদিকে সকাল থেকেই রাস্তায় রাস্তায় দেখা গিয়েছে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহকে(Udayan Guha)। প্রার্থী না হওয়া সত্ত্বেও উপদ্রুত এলাকাগুলিতে ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে উদয়ন গুহকে।
উদয়ন গুহ প্রসঙ্গে বিজেপি(BJP) প্রার্থী বলেন, "আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ করেছিলাম, উদয়ন গুহর গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে। উদয়ন গুহ যেখানেই যাচ্ছেন কর্মীদেরকে প্রভাবিত করছেন, উদয়ন গুহ উস্কানিমূলক বার্তা দিয়ে আসছেন, তাই সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা হচ্ছে, গাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। যত দিন তৃণমূল আছে, হিংসা হবে। তবে এবার জনগণই প্রতিরোধ করছে। ভোট কিছুটা শান্তিপূর্ণ হচ্ছে। তবে উদয়ন গুহর গতিবিধি নিয়ন্ত্রিত হলে আরও শান্তিপূর্ণ ভোট হত। উদয়নকে গ্রেফতার করা উচিত।"
তিনি আরও বলেন,তৃণমূল কংগ্রেস ভয় পেয়ে গিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।
Dilip Ghsoh: সুনীল মণ্ডল কী বিজেপিতে? কী বললেন দিলীপ ঘোষ
নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে গেলেন দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার রাতে বর্ধমানের উল্লাসে সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে পৌঁছন দিলীপ। দু’জনের মধ্যে এক ঘণ্টারও বেশি সময় কথা হয়। প্রসঙ্গত দিলীপ ঘোষের জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটারও ব্যবস্থা করেছিলেন সুনীল মণ্ডল। তবে বিষয়টিকে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে উল্লেখ করেছেন সুনীল এবং দিলীপ দুজনেই।
লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন দলের কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে না সুনীল মণ্ডলকে। তিনি বলেন, “দল ডাকেনি তাই নামিনি।” বর্ধমান শহরে ঢোকার মুখেই দু-নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে সাংসদ সুনীল কুমার মণ্ডলের বাড়ি, বাড়ির নাম অভিযান। কী কারণে সুনীল মণ্ডলের সঙ্গে সাক্ষাৎ দিলীপ ঘোষ বলেন, “ সুনীলদা আমার পুরোনো বন্ধু। আমার জন্মদিন ছিল কেক কাটল, খাওয়াল আমাকে। কিছুই করছেন না। কী রাজনীতির কথা বলব। আমি না অনুরোধ করতেই চলে এসেছিল এখন দেখা যাক কী করে কোথায় যায়।”
প্রসঙ্গত বর্ধমানের কার্জনগেট চত্ত্বরে বিজেপির পতাকা ছেঁড়া হয়। এনিয়ে শুরু হয় অশান্তি। এপ্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া, “এসব ছিঁচকে চোরের মত কোথাও দেওয়াল মুছে দিচ্ছে। পতাকা ছিঁড়ে দিচ্ছে। এসব করে ভোট হয়? যারা লড়তে পারেনা এই ধরনের করে। বেশিদিন চলবে না ঠিক হয়ে যাবে। আমরাও দেখছি পুলিশ কি করছে নাহলে বাকিটা আমরা করব।”
অন্যদিকে প্রথম দফা ভোটের আগে বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি। সকাল থেকেই শুরু হয়েছে অশান্তি। রাজ্যের প্রথম দফার ভোটে কোচবিহারে। সকাল সাতটা থেকে শুরু হয়েছে নির্বাচন। এখনও পর্যন্ত ভোটের যা অভিযোগ, প্রায় সবই এই জেলা থেকে। রাজখরা, চান্দিমারি-সহ জেলার একাধিক জায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছে। শীতলকুচি থেকেও তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষের খবর পাওয়া গিয়েছে। দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া, “পুরোনো অভ্যাস। কোথাও বোম পাওয়া যাচ্ছে। বন্দুক পাওয়া যাচ্ছে। আমার যেটা মনে হচ্ছে এবার পশ্চিমবঙ্গের ভোট শান্তিপূর্ণ হবে। যেমন রামনবমীর মিছিল শান্তিপূর্ণ হয়েছে। টিএমসির অভ্যাস ঝগড়া করা, ভয় দেখানোর চেষ্টা। মানুষ বুঝে গেছে জবাব দেবে।”
শীতলকুচি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “শীতলকুচি, সিতাই, দিনহাটা উদয়ন গুহর জায়গা, গণ্ডগোল হবেই। ওরা যেকটা আছে গণ্ডগোল করে। গতবারের শিতলকুচি, সীতাইয়ের ক্যাণ্ডিডেট এবারের লোকসভার ক্যাণ্ডিডেট হয়েছে, সে লোকসভা ভোটের পরে পালিয়ে গিয়েছিল এলাকা ছেড়ে, ছ'মাস আসেনি। আমরা বলেছিলাম কাউকে তাড়াব না আমরা। দিনহাটা কোচবিহারে বাংলাদেশ থেকে গুণ্ডা নিয়ে আসা হয়, উৎপাত করা হয়। তারপরেও শীতলকুচি বিধানসভায় আমরা জিতেছি। সব জায়গায় লিড পাব জিতব।
Lok Sabha Election 2024: ভোট গ্রহন শুরু হতেই বিজেপির ওপর হামলা,বুথ দখল থেকে ছাপ্পা! কিছুই বাদ নেই
নিউজ ডেস্ক: কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপের মধ্যে শুরু হয়ে গেল ২০২৪ এর লোকসভা ভোট(Lok Sabha Election 2024)। শুক্রবার সকাল থেকেই কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি আসনে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ(phase 1 Voting) চালু হয়ে গেছে। এবার লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহারকে পাখির চোখ করেছে নির্বাচন কমিশন(Election Commission), কিন্তু এত নিরাপত্তার মধ্যেও ভোট গ্রহন চালু হতেই একাধিক জায়গায় বিজেপি ওপর হামলার অভিযোগ উঠে আসছে।
সকাল থেকেই কোচবিহারের কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর উঠে এসেছে। বিজেপির(BJP) তরফ থেকে ইতিমধ্যেই কমিশনের কাছে পাঁচটা অভিযোগ জমা পড়েছে। কোথাও বুথ দখল, কোথাও ছাপ্পা কথাও বা বিজেপির পোলিং এজেন্টকে(BJP Polling Agent) ঢুকতে বাধা। এমনকি অপহরণেরও অভিযোগ এসেছে বিজেপির তরফে।
জলপাইগুড়িতে বিজেপির বুথ অফিস পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ-
শিলিগুড়ির কাছে জলপাইগুড়ি লোকসভায় ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকায় ভালোবাসা মোড়ে ৮৬ নং বিজেপির বুথ অফিস পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ।
জলপাইগুড়িতে বিজেপি পরিবারের ওপর হামলা-
জলপাইগুড়ি রাজগঞ্জ বিধানসভার ১৮/৯৭ বুথের দুইটি বিজেপি পরিবারের ওপর হামলার অভিযোগ। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
শীতলকুচিতে বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ-
শীতলকুচির গোসাইহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের বড় ধাপের চাত্রা এলাকায় ভোট দিতে যাবার সময় এক বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃনমুলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ এদিন তিনি বড় ধাপের চত্রায় এলাকায় তিনি ২০১ নং বুথে ভোট দিতে যাচ্ছিলেন সেই সময় তৃণমূল(TMC) কর্মীরা তাকে বাঁশ দিয়ে মারধর করে। যদিও তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
শালবাড়িতে বিজেপির এক যুব নেতাকে মারধরের অভিযোগ-
বিজেপির এক যুব নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে বক্সিরহাট থানার শালবাড়ির ঘটনা৷
বিজেপির বুথ অফিসের সামনে তৃণমূলের পতাকা লাগানোর অভিযোগ-
রাজগঞ্জের ১৮/২৫৪ নম্বর বুথে বিজেপির বুথ অফিসের সামনে তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। বিজেপির পোলিং এজেন্টকে অপহরণ-
কোচবিহারের দিনহাটায় বিজেপির পোলিং এজেন্ট বিশ্বনাথ পালকে বুথ থেকে অপহরণের অভিযোগ। শুকারুরকুটির কুরশারহাটের ২২১ নম্বর বুথের সামনে থেকে বিজেপির পোলিং এজেন্টকে তৃণমূলের বাইক বাহিনী অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ।
বিজেপির পোলিং এজেন্টকে বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ-
কোচবিহার দক্ষিণের চারটি কেন্দ্রে বিজেপির পোলিং এজেন্টদের বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ।
গিরিয়াকুঠিতে বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ-
দক্ষিণ কোচবিহারের গিরিয়াকুঠিতে বিজেপি সমর্থক কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপির(BJP) অভিযোগ, বেছে বেছে তাঁদের সমর্থকদের বাড়ি চিহ্নিত করা হচ্ছে। বাঁশ, লাঠি, লোহার রড নিয়ে বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চলেছে।
Suvendu Adhikary: নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ শুভেন্দু
নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (LOP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary) । বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গে ভোটের (Loksabha Election 2024) প্রচারে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) ভূমিকায় যে একেবারে খুশি নন তাঁর স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন। তাঁর মতে একাধিক বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপ আরো কঠোর হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তা হয়নি।
বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি (Siliguri) মহকুমা পরিষদের ফাঁসিদেওয়া ব্লকে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। দার্জিলিংয়ের বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তার (Raju Bista) সমর্থনে প্রচার কর্মসূচি ছিল তাঁর। সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূল নেতৃত্বকে কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর ভাষণে উঠে আসে হিংসা প্রসঙ্গ। আগেভাগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন রামনবমীতে হিংসা হবে। এরপরই দেখা যায় বুধবার রামনবমীর দিন মুর্শিদাবাদের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। অগ্নিসংযোগ করা হয়। আশপাশের বাড়ি থেকে মিছিল লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হয়।
শুভেন্দু এই প্রসঙ্গে বলেন, “সংখ্যালঘু ভোট হারাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। অশান্তি ছড়ানো হচ্ছে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গোলমাল পাকানো চেষ্টা হচ্ছে। পুলিশ যদি আগেভাগে ব্যবস্থা নিত তাহলে এই ঘটনা ঘটার কথাই নয়। হিংসা নিয়ে সাত দিন ধরে চিৎকার করে গেছেন মমতা। নির্বাচন কমিশনের সাহস থাকলে তাকে গ্রেফতার করা উচিত ছিল। রামনবমীর অশান্তির কারণ হিসেবে মমতার ষড়যন্ত্রকে এই দায়ী করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
phase 1 Voting at Cooch Behar : কোচবিহারে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের অস্বাভাবিক মৃত্যু
নিউজ ডেস্ক: ভোট শুরুর আগেই ঘটল অঘটন। মৃত্যু হল কোচবিহারে(Cooch Behar) কর্তব্যরত জওয়ানের। মৃত জওয়ানের নাম কুমার নীলু। কোচবিহারের মাথাভাঙার বেলতলা এলাকায় একটি স্কুলে ভোটের ডিউটিতে ছিলেন বছর ৪২-এর ওই জওয়ান। বিহার থেকে ভোটের ডিউটি(Election Duty) করতে কোচবিহারে এসেছিলেন তিঁনি। কর্তব্যরত অবস্থাতেই তিঁনি অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে জানা গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর এই জওয়ানের(CRPF jawan) আকস্মিক মৃত্যু ঘিরে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। গোটা বিষয়টির ওপর নজর রয়েছে নির্বাচন কমিশনের।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান(CRPF jawan) কুমার নীলু বৃহস্পতিবার রাতে বাইশগুড়ি হাইস্কুলে ডিউটি করছিলেন। তখনই ভোটকেন্দ্রে ডিউটি করার সময়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাঁর নাক-মুখ থেকে রক্তপাত হতেও শুরু করে। এরপর গভীর রাতে কুমার নীলুকে অসুস্থ অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেছিলেন তাঁর সহকর্মীরা। তাঁকে সেই অবস্থায় দেখে সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত(Unnatural death) বলে ঘোষণা করেন। এরপর দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে চিকিৎসকদের প্রাথমিক অনুমান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের। তবে রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট ভাবে জানা যাবেনা।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সকাল থেকেই শুরু হয়ে গেছে ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন(phase 1 Voting), আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ির সঙ্গে ভোট শুরু হল কোচবিহারেও। তফসিলি জাতিদের জন্য সংরক্ষিত আসনে মোট ২০৪৩টি বুথে ভোট নেওয়া হচ্ছে। কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৭টি বিধানসভা এলাকাতেই চলছে ভোটগ্রহণ। রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে ১১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ইতিমধ্যেই ভোট দানের জন্য বুথে বুথে লাইন পড়েছে।
Lok Sabha Election 2024: এবার গ্রাউন্ড জিরো থেকে কোচবিহারের ওপর সরাসরি নজর দুই বিশেষ পর্যবেক্ষকের
নিউজ ডেস্ক: অবশেষে ভোটের ময়দানে যুদ্ধ শুরু হতে চলেছে শুক্রবার থেকে। ১৯ এপ্রিল রাজ্যে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ পর্ব রয়েছে। এবারের লোকসভা নির্বাচনে(Lok Sabha Election 2024) প্রথম দফার ভোটগ্রহণ রয়েছে উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার,জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে। তবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই এবার বাড়তি নিরাপত্তার জন্য কোচবিহারকেই(Coochbehar) পাখির চোখ করছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর ভোটগ্রহণ পর্বের দিন সেখানেই দুই বিশেষ পর্যবেক্ষক(Special Observers) রাখছে নির্বাচন কমিশন।
একুশের বিধানসভা ভোটের সময় তপ্ত হয়েছিল কোচবিহার। এবারও লোকসভা ভোটের আগে নিশীথ-উদয়ন দুই দলের প্রার্থীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা লেগে রয়েছে। তাই অনেকেই মনে করছেন এমন অবস্থায় এবার গ্রাউন্ড জিরোয় থেকে পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে চাইছেন নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষকরা। বর্তমানে সময় বদলেছে। আর সময়ের সাথে বদলেছে পরিস্থিতিও। আগে লোকসভা নির্বাচন বা বিধানসভা নির্বাচনের সময় পর্যবেক্ষকরা ভোটের দিন দূর থেকেই অপারেশন করতেন। তবে এবার প্রথম ভোটগ্রহণ(Lok Sabha Election 2024) পর্বের দিন জেলায় হাজির থাকছেন নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষকরা।
সূত্র মারফত জানা গেছে, ভোটের দুদিন আগে আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে থাকবেন কমিশনের দুই বিশেষ পর্যবেক্ষক। তারপর ভোটগ্রহণের দিন কোচবিহারে থাকবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওই দুই বিশেষ পর্যবেক্ষক। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন নিশীথ প্রামাণিক(Nisith Pramanik)। সেবার তৃণমূল কংগ্রেসের পরেশচন্দ্র অধিকারীকে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। এমনকী একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও এই কেন্দ্রের পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্র দখলে রাখতে সফল হয়েছিল বিজেপি(BJP)। তাই এবারেও বিজেপির বিশ্বাস উত্তরবঙ্গে তাদের গড়ে ছক্কা হাঁকাবেন নিশীথ প্রামাণিক।
উল্লেখ্য, রাজবংশীদের ভোট যেদিকে যাবে,কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে সেই দলই জিতবে। এমন একটা সমীকরণ হয়ে রয়েছে এখানে। আর এই রাজবংশী সম্প্রদায়কে কাছে টানতে কোনও খামতি রাখছেনা তৃণমূল-বিজেপি দুই শিবির। রাজবংশী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি নিশীথ প্রামাণিককে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করে এবং অনন্ত মহারাজকে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে বিজেপি(BJP)। ফলে বোঝাই যাচ্ছে এবারের লোকসভা নির্বাচনে নিশীথের ওপরেই ভরসা করে আছে বিজেপি।
Rajyasabha Cross Voting: ক্রস ভোটিং-এ অতিরিক্ত আসন লাভ বিজেপির,হিমাচলে পতনের মুখে কংগ্রেস!
নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগেই রাজ্যসভার নির্বাচনে বড় চমক। মঙ্গলবার, হিমাচল প্রদেশের পাশাপাশি রাজ্যসভার নির্বাচন হয় উত্তরপ্রদেশ এবং কর্নাটকেও। তিন রাজ্যেই দেদার ক্রশ ভোটিং হয়েছে। তার জেরে হিমাচল প্রদেশের একমাত্র আসনে জয় হয়েছে বিজেপির।
৬৮ সদস্যের বিধানসভায় দুপক্ষই ৩৪টি করে ভোট পাওয়ায় লটারির মাধ্যমে জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয় হিমাচলে। সেখানে রাজ্যসভার একটি আসনে সরাসরি লড়াই ছিল শাসকদল কংগ্রেস এবং বিরোধীদল বিজেপির। সংখ্যাতত্ত্বের নিরিখে উত্তরপ্রদেশের রাজ্যসভার ১০টি আসনের মধ্যে বিজেপির সাত এবং সমাজবাদী পার্টির তিনটি আসনে জয়ী হওয়ার কথা ছিল। তবে ফল প্রকাশের পর দেখা গেল বিজেপি আটটি অর্থাৎ অতিরিক্ত একটি আসনে জয় পেয়েছে গেরুয়া শিবির।
ফলত লোকসভা নির্বাচনের আগে হিমাচল প্রদেশে পতনের মুখে কংগ্রেস সরকার। সে রাজ্যের একটি মাত্র রাজ্যসভা আসনের ভোটে মঙ্গলবার জিতেছেন বিজেপির প্রার্থী হর্ষ মহাজন। কংগ্রেসের আইনজীবী নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গ থেকে নির্বাচিত প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিকে হারিয়ে জিতেছেন তিনি। ক্রস ভোটিংয়ের জেরেই এই ফলাফল বলে অভিযোগ কংগ্রেসের।
তবে অন্যদিকে কর্নাটকে চারটি আসনের মধ্যে তিনটি আসনে জয় পেয়েছে কংগ্রেস। কর্নাটকের এই ফলকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে কংগ্রেস। প্রসঙ্গত এবারের রাজ্যসভার ৫৬টি আসনের মধ্যে বিনা লড়াইয়ে জিতেছেন ৪১ জন। বর্তমানে দেশে মাত্র তিনটি রাজ্যে রয়েছে কংগ্রেস সরকার। সেখান থেকে এই নির্বাচনের পর হিমাচলও হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। অন্যদিকে লোকসভা ভোটের আগেই হিমাচলে কংগ্রেস সরকারের পতন ঘটবে বলে মঙ্গলবার দাবি করেছে বিজেপি।